Logo
শিরোনাম

নওগাঁ-৬ এমপি হেলালের হাতেই নৌকার বৈঠা দিলেন শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনে নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান এমপি আনোয়ার হোসেন হেলাল। রবিবার ২৬ নভেম্বর বিকেল ৪টায় সংবাদ সন্মেলনের মাধ্যমে চ‚ড়ান্তভাবে জানান দিয়েছেন নৌকার মাঝির নাম। এমপি হেলালের নাম ঘোষণা হওয়ার পরপরই নির্বাচনী এলাকায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এর আগে গত কয়েক দিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে ছিলেন কে হচ্ছে গুরুত্বপ‚র্ণ এই আসনের নৌকার মাঝি। 

তপশিল ঘোষণা হওয়ার পর শুরু হয়েছিল মনোনয়ন ফরম দেওয়ার লড়াই। ফলে এই আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন ১০জন। কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি তা নিয়ে শুরু হয়েছিল জল্পনা-কল্পনা। অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত রবিবার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সংবাদ সন্মেলনের মাধ্যমে এমপি হেলালের নাম ঘোষণা দেন। বর্তমান এমপি আনোয়ার হোসেন হেলালের হাতেই নৌকার বৈঠা তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অবশ্য নাম প্রকাশ হওয়ার পরপরই ধন্যবাদ দিতেও ভ‚লেননি এমপি হেলাল।

নওগাঁর ছয়টি আসনের মধ্যে সর্বশেষ আসন নওগাঁ-৬ (রাণীনগর-আত্রাই) এটি। জেলার রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-৬। এ আসনটি জাতীয় সংসদের ৫১ নম্বর নির্বাচনী এলাকা। দুই উপজেলায় মোট ভোটার ৩লক্ষ ১৯হাজার৩৩৫ জন। তার মধ্যে পুরুষ ১লক্ষ৬১হাজার৭৭ জন, নারী ১লক্ষ৫৮হাজার২৭১ জন এবং হিজড়া ২জন।

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে বিজয়ী হন তৎকালীন ঢাকা মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত নেতা ইসরাফিল আলম। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আবারও আসনটি দখলে রাখেন ইসরাফিল আলম। গত ২০২০ সালের ২৭জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইসরাফিল আলম। এরপর উপনির্বাচনে তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হেলালকে নৌকার মনোনয়ন দিলে তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। উপ-নির্বাচনে বর্তমান এমপি আনোয়ার হোসেন হেলাল জয়ী হওয়ার পর সাংগঠনিকভাবে দলীয় নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করা ও বিভিন্ন উন্নয়নম‚ল কাজের জন্য তিনি আবারও পেয়েছেন বলে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী মনে করছেন। 

এমপি হেলাল বলেন, গত উপ-নির্বাচনে ৩৪ জন মনোনয়ন প্রত্যাশীর মধ্যে থেকে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছিলেন। আমি বিপুল ভোটে জয়লাভ করে এ আসনটি শেখ হাসিনাকে উপহার দিয়ে সংসদে গিয়েছিলাম। এমপি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। প্রধানমন্ত্রীর সুনাম ধরে রেখেছি। আবারও এ আসনটি তাকে উপহার দিতে পারব ইনশাআল্লাহ। আমি আমার নির্বাচনী এলাকা থেকে অন্যায় অবিচার দ‚র করে সাম্যের সমাজ গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর।

উল্লেখ্য, সিইসির ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ আগামী ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই হবে আগামী ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি হবে ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে আগামী ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। এবং আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



নওগাঁয় মাদক বিরোধী প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

'নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে' স্লোগানে নওগাঁয় তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে মাদক বিরোধী প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে নওগাঁ শহরের পুরাতন কালেক্টরেট চত্বর মুক্তমঞ্চে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন এর আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল।

এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক লোকমান হোসেন, জেলা কালচারাল অফিসার তাইফুর রহমান, জেলা সরকারি গ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান এসএম আশিফ, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, জেলা ডিবেট ক্লাবের সভাপতি তানজিম বিম বারী, রিফাত বিন রাজীব ও রাশবদ আনজুম তন্ময় সহ অন্যরা। মর্ডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন, নওগাঁ বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম।

আয়োজকরা জানান, বির্তক প্রতিযোগীতা প্রথম পর্যায়ে চারটি স্কুল অংশ নিয়ে নওগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং নওগাঁ জিলা স্কুল বাছাই করা হয়। এরপর চুড়ান্ত পর্যায়ে ‘ক্রীড়া, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিমুখিতাই তরুণ তরুণিদের মাদকাসক্তির প্রধান কারণ’ বিষয়ে পক্ষে নওগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং বিপক্ষে নওগাঁ জিলা স্কুলের মধ্যে বিকর্ত হয়। বিপক্ষে নওগাঁ জিলা স্কুল বিজয় এবং রানাস আপ হয় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এছাড়া শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয় ফরহান সাদিক। শেষে প্রধান অতিথি বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট ও পুরস্কার তুলে দেন।


আরও খবর



এক হাসপাতালেই ৫ হাজার রোগী

ভয়াবহ রূপ নিয়েছে রোটা ভাইরাস

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

রোটা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এর ফলে ডায়রিয়া ও কলেরা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় চাঁদপুরের মতলবের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়া ডিজিজ রিসার্স (আইসিডিডিআর’বি) হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ। গত ১৫ দিনে প্রায় পাঁচ হাজার রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। যাদের মধ্যে বেশিরভাগ রোগীই ছিল শিশু।

এদিকে শুধু চাঁদপুরই নয়, আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিনই শিশুসহ নানা বয়সী রোগীর ভিড় বাড়ছে এই হাসপাতালে। সরেজমিনে দেখা যায়, ধারণা ক্ষমতা ছাড়িয়ে যাওয়ায় হাসপাতালের বারান্দায় বেড বসিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ঠাণ্ডা, দূষিত পানি এবং দূষিত খাবার খাওয়ার কারণে এমনটি হচ্ছে বলে ধারণা চিকিৎসকদের।

হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দূর-দূরান্ত থেকে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুদের হাসপাতালে নিয়ে আসছেন অভিভাবকরা। তারা জানান, তিন থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত বাড়িতে পাতলা পায়খানা, বমি হচ্ছিল বাচ্চাদের। বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসায় কাজ না হওয়ায় অবস্থা খারাপ দেখে রোগীদের আইসিডিডিআর’বি হাসপাতালে নিয়ে আসছেন তারা।

আইসিডিডিআর’বি মতলব হাসপাতালের তথ্যমতে, ৭০ শয্যার এ হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৩শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ রোগী এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। ৭ জানুয়ারি ডায়রিয়া আইসিডিডিআর’বি হাসপাতালের শয্যার তুলনায় চারগুণেরও বেশি রোগী এসেছে। আর গত ১৫ দিনে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ৮৪১ জন রোগী। যা গতবছরের তুলনায় অনেক বেশি।

আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে চাঁদপুর, শরীয়তপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনি, মুন্সীগঞ্জ, নীলফামারী জেলাসহ দেশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে এ হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীরা আসছেন।

আইসিডিডিআর'বি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. চন্দ্র শেখর দাস বলেন, রোটা ভাইরাসে আক্রান্তদের পাতলা পায়খানা, বমি সঙ্গে জ্বরও থাকতে পারে। বর্তমানে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে রোগী ভর্তি হচ্ছেন। আমরা রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। যদি শিশু খুব দুর্বল হয়ে নেতিয়ে পড়লে ঘণ্টায় তিন বার বা তার বেশি বমি করলে, শিশুর পেট ফুলে গেলে, শ্বাস কষ্ট হলে, পায়খানায় রক্ত গেলে, জ্বর বা খিচুনি হলে, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে অতি দ্রুত কাছের হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে শিশুকে পরিমাণ মত খাওয়ার স্যালাইন খাওয়াবেন এবং অন্যান্য পথ্য চালিয়ে যাবেন। প্রতি প্যাকেট স্যালাইন আধা লিটার পানিতে গুলিয়ে নিবেন এবং শিশুর যত কেজি ওজন প্রতিবার পায়খানার পর ততো চা চামচ স্যালাইন খাওয়াবেন। অর্থাৎ শিশুর ওজন ১০ কেজি হলে ১০ চামচ স্যালাইন খাওয়াবেন। পাঁচ বছরের শিশুকে একটি করে জিংক ট্যাবলেট দশ দিন খাওয়াবেন। দুই বছরের শিশুকে অবশ্যই মায়ের বুকের দুধ খাবে। ছয় মাসের বেশি বয়সী শিশু খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি বাসায় রান্না করা সব ধরনের খাবার খাবে। রোগীকে বেশি বেশি ডাবের পানি, চিড়ার পানি, সুপ ইত্যাদি খাওয়াবেন। রোগীকে কোমল পানীয়, ফলে জুস, আঙ্গুর, বেদানা খাওয়াবেন না। সাধারণত এই নিয়ম মেনে চললে আক্রান্ত শিশুরা এক সপ্তাহের মধ্যেই সেরে উঠে।

মতলব স্বাস্থ্য ও গবেষণা কেন্দ্র আইসিডিডিআরবির প্রধান ডা. মো. আলফজল খান বলেন, শীতকালে শিশুদের ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে। যা সাধারণত রোটা ভাইরাসজনিত কারণে হয়ে থাকে বলে আমরা মনে করি। গত ১৫ দিন ধরে গড়ে ৩শ’ রোগী আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। যার প্রায় ৮৫ ভাগই দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশু।

তিনি বলেন, পাতলা পায়খানার সঙ্গে বাচ্চার বমি ও জ্বর থাকতে পারে। খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। ছয় মাসের বেশি বয়সী বাচ্চাকে প্রতিদিন একটি করে বেবি জিংক দশ দিন খাওয়াতে হবে। এই ডায়রিয়া ভালো হতে সাধারণত তিন থেকে সাত দিন সময় লাগতে পারে। আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। পরিস্থিতির অবনতি হলে নিকটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করবেন। আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা সামগ্রী, ওষুধ এবং বেডের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতিকে আমরা সফলভাবে মোকাবেলা করতে পারবো বলে আশাবাদী।

ডা. মো. আলফজল খান বলেন, আমাদের তথ্য অনুযায়ী গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি রোগী আসছেন। প্রতি বছরই আমরা দেখছি দূর-দূরান্ত থেকে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীরা মতলব হাসপাতালে আসছেন। যার ফলে আমাদের সেবা দেয়ার এলাকা বাড়ছে। বর্তমানে আমরা প্রায় ৩৫টি উপজেলার মানুষকে ডায়রিয়া স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছি।


আরও খবর

দেশে পাঁচজনের শরীরে মিললো নতুন ভাইরাস

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




রাজাপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপক্ষো করে জমি দখল ও ঘর নির্মানের অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ঝালকাঠির রাজাপুরের বড় কৈবর্তখালি গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পৈত্রিক ও কবলাকৃত জমিতে খুপড়ি ঘর নির্মান করে দখলের পায়তারার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে উপজেলার বড় কৈবর্তখালী গ্রামের মৃত ওফাজ উদ্দিন ফরাজির ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে জানান, বড় কৈবর্তখালী গ্রামের রুস্তুম আলীর ছেলে সোহরাফ হোসেন খোকন কিছুদিন পূর্বে তাদের অন্য ওয়ারিশদের কাছ থেকে গোপনে বড় কৈবর্তখালী মৌজায় বিএস ৭৬৯ নং খতিয়ানের ২২৭০ ও ২০৯২ দাগে ৬.১০ শতাংশ ও ৪.৩২ শতাংশ জমি ক্রয় করে এবং রাজাপুর-ভান্ডারিয়া মহসড়কের পূর্ব পাশে ২২৭০ দাগ থেকে প্রায় ৬.৫৩ শতক জমি ক্রয় করে। কিন্তু সোহরাফ হোসেন খোকন তার কবলাকৃত সম্পূর্ণ সম্পত্তির চেয়েও বেশি জমি রাস্তার পার্শ্বের দামী পজিশন থেকে আপোষ মিমাংসা না করে জোরপূর্বক রাতের আধারে দখল করে বেড়ি বাধ দেয়। মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান, তার পিতা ওফাজ উদ্দিন ফরাজী এর ওয়ারিশ ও রাশিদা আক্তারের কাছ থেকে একই তফসিলভূক্ত জমি সাব কবলা সূত্রে ও ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হন। ওই বিরোধীয় জমির ওয়ারিশসূত্রে মালিক মোস্তাফিজুর রহমানের শ্যালক তারিকুল ইসলাম ন্যায্য অধিকার বঞ্চিত হয়ে ঝালকাঠি আদালতে ঝালকাঠিতে প্রিয়েমশন (জমি অগ্রক্রয়) আইনে মামলা নং ১১/২০২৪ এবং ১৬/২০২৪ দায়ের করলে আদালত গত ১ নভেম্বর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। পরবর্তীতে মোস্তাফিজুর রহমানের ভাই মাহাবুবুর রহমান ওই জমি নিয়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা নং ১১২/২০২৪ দায়ের করেন। যা শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত উক্ত বিরোধীয় সম্পত্তিতে উভয় পক্ষকে নির্মান কাজ পরিচালনা করতে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও রাজাপুর থানার পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে রাতের আধারে স্থায়ীভাবে পাকা বিল্ডিং নির্মানের লক্ষ্যে পিলার তৈরী করে এবং পরবর্তীতে তাদের হয়রানী ও ফাসানোর জন্য জমির এক পার্শ্বে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে পূর্বে নির্মিত একটি ছোট কুঁড়েঘর নিজে ভাংচুর করে তাদের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে পাকা বিল্ডিং নির্মান ও পিলার তৈরি কাজ বন্ধ পূর্বক আইন আমান্যকারীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী বিষয়ে প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোহরাফ হোসেন খোকন জানান, তিনি দলিলমূলে ১৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন। তার মধ্যে ৬.১০ শতাংশ জমি নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে বিরোধ ও আদালতে মামলা চলমান। কিন্তু তারা তো পুরো জমির কাজ বন্ধ করে দিতে পারে না। আদালত যে রায় দিবে তা মেনে নিতে তো আমরা বাধ্য। তিনি দাবি করেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে অন্য অংশে কাজ শুরু করলে তারা কিছু পোলাপান নিয়ে সবকিছু মেচাকার করে ফেলছে। রাজাপুর থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী উভয় পক্ষকে শান্তিশৃঙখলা বজায় রাখতে জমিতে প্রবেশে বারন করা হয়েছে। উভয় পক্ষকে আদালতের রায়ের আদেশ অনুযায়ী কাজ করতে বলা হয়েছে। যেহেতু সম্পূর্ণ বিষয়টাই আদালতের তাই আদালতের নির্দেশনা কোন পক্ষ উপেক্ষা করলেও তা ওই আদালতে অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে।


আরও খবর



রাজধানীতে পটকা ও আতশবাজির আগুনে দগ্ধ ৫

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ইংরেজি বর্ষবরণের আনন্দ উদযাপনে পটকা ও আতশবাজি পোড়ানোর সময় রাজধানীতে পাঁচ জন দগ্ধ হয়েছে; তাদের মধ্যে তিনজন শিশু।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) মধ্যরাতের পর বিভিন্ন সময়ে তারা ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিয়েছে। একটি শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, আগুনে ফারহান নামে ৮ বছর বয়সী একটি শিশুর শরীরের ১৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।

এছাড়া শিফান মল্লিকের (১২) শরীরের ১ শতাংশ, সম্রাটের (২০) শরীরের ১ শতাংশ, শান্তর (৪৩) শরীরের ২ শতাংশ এবং তাফসির (৩) নামে এক শিশুর শরীরের ২ শতাংশ পুড়ে গেছে।

ডা. শাওন বলেন, দগ্ধরা ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে হাসপাতালে এসেছেন। থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ও পটকা পোড়ানোর সময় তারা আগুনে দগ্ধ হয়েছে। তাদের একজন শরীরের ১৫ শতাংশ বার্ন নিয়ে এসেছে। বয়স্ক হলে তেমন আশঙ্কা ছিল না, শিশু তাই তার অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বছরের শেষ রাত উদযাপনের এমন বিপত্তি এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পটকা-আতশবাজির বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কয়েকদিন আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। পরিবেশ মন্ত্রণালয় থেকেও বারবার অনুরোধ করা হয়েছে, পটকা ফাটিয়ে যেন শব্দ ও বায়ুদূষণ করা না হয়।

তবে ঢাকাবাসী তা কানে তোলেনি। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকেই পাড়া মহল্লার চারপাশে শুরু হয়ে যায় হৈ চৈ, থেমে থেমে ভেসে আসতে থাকে পটকার শব্দ। ঘড়ির কাঁটা ১২টায় পৌঁছালে তা চরমে ওঠে। রাতের আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে আতশবাজির রঙিন আলোয়।

গত কয়েক বছরে এরকম উদযাপনের রাতে জ্বলন্ত ফানুস থেকে অগ্নিকাণ্ডও ঘটেছে অনেক জায়গায়।

২০২২ সালে পটকা ও আতশবাজির বিকট শব্দে অসুস্থ হয়ে পড়ে তানজীম উমায়ের নামের ৪ মাস বয়সী এক শিশু। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।


আরও খবর

মেট্রোরেলের সময়সূচি পরিবর্তন

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি উৎসব

মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫




২২৭৬ নেতাকর্মী হত্যা-গুমের অভিযোগ নিয়ে ট্রাইব্যুনালে বিএনপি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এবং সিলেট-২ আসনের সাবেক এমপি এম ইলিয়াস আলীসহ দলটির সহযোগী সংগঠনের ২ হাজার ২৭৬ জন নেতাকর্মীকে ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে দলটির মামলা ও তথ্য বিষয়ক প্রতিনিধি দলের তিনজন সদস্য ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেন।

এ সময় তারা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আমগীরের সই করা চিঠি নিয়ে ট্রাইব্যুনালে আসেন। এতে, ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশের জেলা উপজেলা,মহানগর ও ইউনিয়ন পর্যন্ত ক্রসফায়ার ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়।

এছাড়া ১৫৩ জনকে গুম করা হয়, যাদের মধ্যে অনেকে এখনও নিখোঁজ বলে উল্লেখ করা হয়।


আরও খবর

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম সংশোধনে আবেদন

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

ঢালাও মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ

মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫