Logo
শিরোনাম

নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের নির্বাচন রায়হান সভাপতি, বেলায়েত সম্পাদক

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটি বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ক্লাবের ৪০ জন ভোটার নির্বাচনে তাদের ভোট প্রদান করেন। এতে সভাপতি পদে এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের জেলা প্রতিনিধি এএসএম রায়হান আলম ২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বদ্বী মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি আবু বক্কর সিদ্দিক পেয়েছেন ১২ ভোট, আরেক সভাপতি প্রার্থী চ্যানেল আই এর নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি কায়েস উদ্দিন পেয়েছেন ৬ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বাংলাভিশন ও দৈনিক মানব কণ্ঠের নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি বেলায়েত হোসেন ২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বদ্বী প্রার্থী এনটিভি'র স্টাফ রিপোর্টার ও আমাদের সময় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আসাদুর রহমান জয় পেয়েছেন ১৬ ভোট।

ভোট প্রদান শেষে রাত ৮টার দিকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নওগাঁ জেলা তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক আবু সালেহ মোঃ মাসুদুল হক ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নওগাঁর ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মুনীর আলী আকন্দ ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি এ্যাড. শেখ আনোয়ার হোসেন। 

১৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি দুটি পদে নির্বাচিত হয়েছেন নিউ নেশন ও খবরপত্র পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মোশাররফ হোসেন জুয়েল ও সমাজ সংবাদ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সুলতানুল আলম মিলন। যুগ্ন সম্পাদক দুটি পদে নির্বাচিত হয়েছেন জিটিভি, খোলা কাগজ ও ঢাকা ট্রিবিউনের জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রউফ পাভেল এবং বাংলাদেশ প্রতিদিন, নিউজ ২৪ টিভি ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর জেলা প্রতিনিধি বাবুল আখতার রানা। অর্থ সম্পাদক দৈনিক আলোকিত সকালের জেলা প্রতিনিধি আবু রায়হান রাসেল, দপ্তর সম্পাদক মুক্ত খবরের জেলা প্রতিনিধি মাসুদ রানা, প্রচার সম্পাদক পদে নাগরিক টিভি ও ঢাকা মেইলের জেলা প্রতিনিধি সুমন আলী নির্বাচিত হয়েছেন। কার্যনির্বাহী সদস্য ছয়টি পদে নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক ইনকিলাব ও দৈনিক বগুড়ার জেলা প্রতিনিধি এমদাদুল হক সুমন, দীপ্ত টিভি ও দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রউফ রিপন, বিডি টুডেস, দেশবাংলা প্রতিদিন ও দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন,

প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি ওমর ফারুক, ডেইলি অবজারভারের জেলা প্রতিনিধি ওবায়দুল হক এবং দৈনিক সংবাদ কণিকার জেলা প্রতিনিধি শামীম আনসারী। নতুন কমিটি আগামী এক বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন।


আরও খবর



রাজধানীবাসী ৯ বছরে ৩১ দিন নির্মল বাতাস পেয়েছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

গত নয় বছরে তিন হাজার ১১৪ দিনের মধ্যে মাত্র ৩১ দিন নির্মল বা ভালো বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পেরেছে রাজধানীর মানুষ। অর্থাৎ বছরের মাত্র এক শতাংশ সময় ঢাকাবাসী বিশুদ্ধ বাতাস পাচ্ছে। অন্যদিকে বছরের অর্ধেকের বেশি সময় অস্বাস্থ্যকর, চরম অস্বাস্থ্যকর বা দুর্যোগপূর্ণ বাতাস ফুসফুসে টেনে নিচ্ছে ঢাকাবাসী।

'বিশ্ব ধরিত্রী দিবস ২০২৫: বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, 'বায়ুদূষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বৃদ্ধ ও শিশুরা। আমরা বৃদ্ধরা তো কয়েকদিন পর মরেই যাব। কিন্তু আগামী দিনের নাগরিক শিশুদের অবস্থাটা কি হবে? আমাদের বর্তমান পরিবেশ বিষয়ক উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছেন।তিনি (অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে) দায়িত্ব নেওয়ার শুরুতে যে ভাষায় কথা বলতেন, এখন কিন্তু তা পারছেন না। এটা বাস্তবতা।'

নুর মোহাম্মদ বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির কথা দীর্ঘদিন থেকে বলা হচ্ছে। এটা কারা করতে দিচ্ছে না, কেন করতে দিচ্ছে না? সৌরবিদ্যুৎ ক্ষেত্রে বাধা আসছে।

বাধা দিচ্ছেন যারা বিদ্যুত (ব্যবসা) নিয়ন্ত্রণ করেন। তারা এদেশের সবচেয়ে বড় পুঁজিপতি। যারা পরিবর্তন করতে দিতে চান সেই সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। এজন্য বৃহত্তর আন্দোলন দরকার।

সংবাদ সম্মেলনের বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে নবায়নযোগ্য জ্বালানীর ভূমিকা নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার যুগ্ম সম্পাদক ও ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার।

প্রবন্ধে তিনি ঢাকার আমেরিকান দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত ২০১৬ হতে ২০২৪ সালের বায়ুমানসূচক (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআই) ও তথ্য‌-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে রাজধানীর বায়ুদূষণের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নয় বছরের তিন হাজার ১১৪ দিনের মধ্যে ঢাকাবাসী মাত্র ৩১ দিন নির্মল বায়ু সেবন করতে পেরেছে। এসময় রাজধানীতে সহনীয় বা গ্রহণযোগ্য মানের বাতাস ছিল ৬২৪ দিন যা মোট দিনের ২০ শতাংশ। ২৮ শতাংশ সময়জুড়ে অর্থাৎ, ৮৭৮ দিন রাজধানীর বাতাস ছিল সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর।

গত নয় বছরে ৮৫৩ দিন অস্বাস্থ্যকর ও ৬৩৫ দিন খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাস ছিল রাজধানীতে যা মোট সময়ের ৪৮ শতাংশ। এসময় ঢাকার বাসিন্দারা সবচেয়ে খারাপ অর্থাৎ দুর্যোগপূর্ণ বাতাস সেবন করেছে ৯৩ দিন যা মোট দিনের ৩ শতাংশ। ২০২৩ সালে ৩৬৫ দিনের মধ্যে ১৪ দিন ছিল অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বা দুর্যোগপূর্ন যা ২০২৪ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ দিনে।

প্রসঙ্গত, বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে তা ভালো বা বিশুদ্ধ বাতাস। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে সহনীয় বা গ্রহণযোগ্য। সূচক ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালেই সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ বিবেচিত।

সংবাদ সম্মেলনে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার-এর বরাত দিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশ বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর একটি। ২০২১ ও ২০২৩ সালে বায়ুদূষণে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল প্রথম। গত বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় ও দূষিত শহর হিসেবে ঢাকার অবস্থান ছিল তৃতীয়।

বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে বায়ু দূষণের কারণে ২ লাখ ৩৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ার (সিআরইএ) এর গবেষণা বলছে, বায়ুদূষণে দেশে প্রতিবছর ৫ হাজার ২৫৮ শিশুসহ এক লাখ ২ হাজার ৪৫৬ জনের অকালমৃত্যু ঘটে। এক‌ই সঙ্গে তা পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে।

নবায়নযোগ্য জ্বালানীর ব্যবহার নিয়ে অধ্যাপক কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, 'জীবাশ্ম জ্বালানির ক্ষতিকর প্রভাব রোধ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানীর শতভাগ নিশ্চিত করতে পারলেই নির্মল বায়ু নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি বলতে বোঝায় সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জলবিদ্যুৎ, ভূ-তাপীয় শক্তি ও বায়োমাস শক্তির মতো প্রাকৃতিক উৎস থেকে প্রাপ্ত শক্তি, যা পুনরায় ব্যবহারযোগ্য এবং পরিবেশবান্ধব। জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ে, যা গ্রিনহাউস প্রভাব সৃষ্টি করে এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি করে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করলে কার্বন নিঃসরণ প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব।'

বাপার সহসভাপতি অধ্যাপক এম ফিরোজ আহমেদ বলেন, যানবাহনের ধোঁয়া বা অন্যান্য স্থানীয় উৎস ছাড়াও বায়ুদূষণের একটি বড় উৎস আন্তদেশীয় দূষণ। এই দূষণের পরিমাণ অনেক বেশি। এর ওপর আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বাংলাদেশে দূষণের সব উৎস বন্ধ করলেও এটা থেকে মুক্তি নেই। এর জন্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

বর্তমান পরিবেশবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান যখন পরিবেশ আন্দোলনকর্মী হিসেবে সক্রিয় ছিলেন তখন যে গতি ছিল, এখন তা দেখা যাচ্ছে না কেন- এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বাপার সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর কবির বলেন, 'খাঁটি বাংলায় বললে, আমরা একটা গ্যাঁড়াকলের মধ্যে আছি। আমরা (পরিবেশ উপদেষ্টার সঙ্গে) দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর রাজপথে একসঙ্গে এই ইস্যুগুলো নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছি। ফলে আমরা বলছি, রিজ‌ওয়ানা আপাকে ব্যর্থ হ‌ওয়া যাবে না। কারণ, উনি আবার যখন (পরিবেশ আন্দোলনকর্মী হিসেবে) ফিরে আসবেন তখন আমাদের কথা মানুষ শুনবে না। (মানুষ বলবে) আপনি তো ছিলেন ক্ষমতায়, আপনি তো পারেননি।'

এসময় সংবাদ সম্মেলন থেকে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রতি আটটি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। উল্লেখযোগ্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে মেয়াদউত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধ করে বৈদ্যুতিক ও হাইব্রিড যানবাহনের ব্যবহার বাড়ানো, ইটের বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব ব্লকের ব্যবহার বাড়ানো, বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ ও বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা করা। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা, বিদ্যমান জ্বালানি নীতিগুলো সংশোধন ও নির্মল বায়ু আইন প্রণয়ন করা, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিল্প কারখানায় বিশ্বমানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নিঃসরণমান নির্ধারণ ও এর প্রয়োগ নিশ্চিত করা।


আরও খবর



দূর্গন্ধের কারণ খুজতে গিয়ে মিললো ভাই ও বোনের মৃতদেহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় দূর্গন্ধে অতিষ্ট প্রতিবেশীরা দূর্গন্ধ আসছে কোথা থেকে সেটি জানতে গিয়ে দেখতে পান ঘরের ভেতর ভাই ও বোনের অর্ধগলিত মৃতদেহ। সাথে সাথে ঘটনাটি থানা পুলিশ কে জানালে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক রিপোর্ট অন্তে ভাই-বোনের দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করেন। নওগাঁর পোরশা থানা পুলিশ গত সোমবার সকাল ৮টার দিকে পোরশা উপজেলার পূর্ববাড়ি গ্রামে থেকে ভাই-বোন দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। নিহত দুই ভাই বোন হলেন, পোরশা উপজেলার পূর্ববাড়ি গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে নূর মোহাম্মদ ওরফে নুরু (৫৪) ও মেয়ে রেজিয়া বেগম (৫৭)। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই একই বাড়িতে দুই ভাই-বোন বসবাস করে আসছিলেন। কিছুদিন যাবত তাদের বাড়ির লোকজন বাড়ি থেকে বাহীরে যাতায়াত দেখতে পাচ্ছিল না। এছাড়া বাড়ীর মূল দরজায় বাহির থেকে তালা লাগানো ছিলো। ঘটনার দিন সকালে ঘরের ভিতর থেকে পচা দুর্গন্ধ বের হওয়ায় প্রতিবেশীরা ঘরের জানালার থাই গ্লাস খুলে দেখতে পান রেজিয়া'র মৃতদেহ দরজার কাছেই উপুর অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে। ঘটনাটি পোরশা থানা পুলিশে জানালে। প্রথমে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছার পর ঘটনাটি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জানালে পরবর্তীতে পিবিআই এবং সিআইডি'র নেতৃত্বে পোরশা থানা পুলিশ, স্থানীয় এলাকাবাসী ও নিকট আত্মীয়দের উপস্থিতিতে ঘরের দরজার তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে রেজিয়া খাতুনের মৃতদেহ মেঝেতে উপুর অবস্থায় এবং তার ভাই নূর মোহাম্মদের মৃতদেহ তার শয়ন কক্ষে পড়ে থাকতে দেখতে পান। তাদের দুই ভাই ও বোনের মৃত্যু রহস্যজনক বলেই মন্তব্য স্থানিয়দের।

এব্যাপারে পোরশা থানা অফিসার ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে সকালে দুই ভাই-বোনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহ দুটি ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। যেহতি ময়না তদন্ত করা হয়েছে এজন্য ময়না তদেন্তর রিপোর্ট হাতে পেলে তাদের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। জানিয়ে তিনি আরো বলেন, তারা নিজেদের বাড়িতে দুই ভাই-বোন বসবাস করতেন। নূর মোহাম্মদ কিছুটা মানষিক ভারসাম্যহীন হলেও বোন রেজিয়া বেগম সুস্থ ছিলেন। গত কয়েক দিন থেকে এলাকাবাসী তাদের দেখতে পায়নি। দূর্গন্ধ ছড়ানোর পর প্রতিবেশীরা গিয়ে তাদের মৃতদেহ দেখে থানায় সংবাদ দেয়।


আরও খবর



পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের কাফন মিছিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ছয় দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর কাফন মিছিল করেছেন।

বৃহস্পতিবার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের আন্দোলনকারীরা আজকের এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। ঘোষণা অনুযায়ী, আজ দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা জুমার নামাজের পর একযোগে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ মিছিল করবেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, জুমার নামাজের পর বেলা দুইটার দিকে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট জামে মসজিদের সামনে থেকে কাফন মিছিল বের হয়।

মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মাথায় কাফনের কাপড় বাঁধা ছিল। কারও কারও পরনেও ছিল কাফনের কাপড়।

মিছিলটি জামে মসজিদের সামনে থেকে তেজগাঁও এলাকার প্রধান সড়কে আসে। সাতরাস্তা মোড় ঘুরে মিছিলটি ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মূল ফটকে যায়। সেখানে কিছু সময় অবস্থানের পর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের ভেতরে চলে যান।

মিছিল থেকে নানা স্লোগান দেওয়া হয়। এসব স্লোগানের মধ্যে ছিল—‘মামা থেকে মাস্টার, মামাবাড়ির আবদার, এক হও এক হও, পলিটেকনিক এক হও, ষড়যন্ত্রের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও, কুমিল্লায় হামলা কেন, প্রশাসন জবাব দাও

গত বুধবার ছয় দফা দাবিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা সড়ক, মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। সড়ক আটকে রাখায় তীব্র যানজটে পড়ে দিনভর ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে। পরে তাঁরা সারা দেশে বৃহস্পতিবার রেল ব্লকেড বা রেলপথ অবরোধ করার ঘোষণা দেন। কিন্তু গতকাল সকালে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুপুরে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে তাঁদের বৈঠক আছে। বৈঠকের আগপর্যন্ত রেল ব্লকেড কর্মসূচি শিথিল থাকবে।

গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক থাকায় শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) দুপুর পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ে ছিলেন না। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব খ ম কবিরুল ইসলামও ঢাকার বাইরে ছিলেন। এ অবস্থায় অতিরিক্ত সচিব (কারিগরি অনুবিভাগ) রেহানা ইয়াছমিনের সঙ্গে বৈঠক করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল। দুপুর ১২টার দিকে বৈঠক শুরু হয়ে শেষ হয় বেলা তিনটার দিকে।

এই আলোচনায় শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট হননি। এ অবস্থায় তাঁরা আন্দোলনের কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। সেই ঘোষণার অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে মশাল মিছিল করেন তাঁরা। গতকাল রাতে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একজন প্রথম আলোকে বলেন, আজ শুক্রবার দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা জুমার নামাজের পর একযোগে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ মিছিল করবেন।

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে প্রথমটি হলো, জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ পদোন্নতি কোটা বাতিল করতে হবে। এ ছাড়া জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতির রায় বাতিল, ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চাকরিচ্যুত, ২০২১ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ বাতিল এবং সেই বিতর্কিত নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে।


আরও খবর

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয় দাবি

মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫




২৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো পৌনে ২৮ হাজার কোটি

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ঈদের আগে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড ৩.২৯ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। রেমিট্যান্সের সেই গতিধারা এখনো অব্যাহত। চলতি মাসের (এপ্রিল) প্রথম ২৬ দিনেই এসেছে ২.২৭ বিলিয়ন (২২৭ কোটি ১০ লাখ ডলার) ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ২৭ হাজার ৭০৬ কোটি টাকার বেশি। আর প্রতিদিন আসছে ৮ কোটি ৭৩ লাখ ডলারের বেশি বা ১ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন বলছে, চলতি মাসের (এপ্রিল) প্রথম ২৬ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ কোটি ৯৪ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১২৯ কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪২ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

এর আগে মার্চের পুরো সময়ে এসেছে ৩.২৯ বিলিয়ন (৩২৯ কোটি ডলার) ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৪০ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে প্রতিদিন আসে প্রায় ১০.৬১ কোটি ডলার বা ১২৯৫ কোটি টাকা করে।

তথ্য বলছে, গত বছরের মার্চের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১.৭১ বিলিয়ন বা ১৭১ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে চলতি বছরের মার্চে ১৫৮ কোটি ডলার বেশি এসেছে। চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৭৮ কোটি ডলার, যা গত অর্থবছরে একই সময়ে এসেছিল ১ হাজার ৭০৮ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরে একই সময়ের চেয়ে ৪৭০ কোটি ডলার বেশি।

গত ডিসেম্বরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসে দেশে। সে রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়ে মার্চ মাসে। এ নিয়ে অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্ট থেকে টানা ৮ মাস দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ডলার, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার, নভেম্বরে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। সবশেষ মার্চে আসে ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়।


আরও খবর

সবজিতে আর স্বস্তি নেই

মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫




প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে জাটকা নিধন

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

জাটকা রক্ষায় চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের মাছ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, মওজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নদীর অভয়াশ্রম এলাকা মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় এ নিষেধাজ্ঞা।

জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে জেলা টাস্কফোর্স, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলা টাস্কফোর্স, জনপ্রতিনিধি, জেলে নেতা ও জেলেদের নিয়ে প্রস্তুতিমূলক সভা করেছেন জেলা প্রশাসক ও মৎস্য অধিদপ্তর এবং উপজেলা প্রশাসন।

এছাড়া নদী উপকূলীয় জেলেপাড়া ও মৎস্য আড়তগুলোতে জাটকা না ধরার জন্য সচেতনতামূলক সভা, লিফলেট বিতরণ ও ব্যানার সাঁটানো হয়েছে।

এদিকে মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে আমিরাবাদ পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার। মাছ ধরা বন্ধে নদীর সীমানায় বসানো হয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা টাস্কফোর্স এবং কোস্টগার্ডের ক্যাম্প। তবে এতেও থামছে না জাটকা নিধন।

অভিযোগ উঠেছে, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে জাটকা মাছ নিধন। বিষয়টি শিকারও করেছেন জেলে ও মৎস্য আড়ৎ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতিরা। তবে মৎস্য কর্মকর্তা বলেছেন, অপপ্রচার চালাচ্ছেন জেলে ও আড়তদাররা।

দিনের আলোয় নদীতে মাছ ধরার দৃশ্য তুলনামূলকভাবে কম দেখা গেলেও রাতের আঁধারে সরকার ঘোষিত অভয়াশ্রম থাকছে মৎস্য শিকারি জেলেদের দখলে। ভোরের আলোয় মেঘনা নদীর তীরে সারি সারি নৌকায় ভর্তি ভেজা জাল লক্ষ্য করা গেছে।

মেঘনা নদীর পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, শতাধিক জেলে নৌকায় ভেজা জাল পরিষ্কার করছেন। দূরে কিছু নৌকা তখনও মাছ ধরায় ব্যস্ত। কিছু নৌকা থেকে পাইকাররা মাছ উঠাচ্ছেন বাজারে বিক্রির জন্য।

উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নের মালোপাড়া-সংলগ্ন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে জাটকা। দুপুরে আমিরাবাদ মৎস্য আড়তে গিয়ে একই চিত্র দেখার মেলে। আড়তে অসংখ্য পাইকারি ক্রেতা-বিক্রেতার কোলাহল। মাছ বেচাকেনার দামদরের কাজে ব্যস্ত সবাই। খানিকটা দূরে অপেক্ষমাণ কয়েকটি পিকআপ ভ্যান। সেসব ভ্যানে করে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় যাবে জাটকা ইলিশ।

মতলব উত্তরের জেলে ইসমাইল, মালেক বেপারী, আরশাদ প্রধান, রমিজ ছৈয়ালসহ একাধিক জেলে জানান, তারা মৎস্য অফিসে ইমান আলীর মাধ্যমে টোকেন নিয়েছেন। এ টোকেন দিয়ে তারা নদীতে মাছ ধরেন। টোকেন ছাড়া নদীতে মাছ ধরতে নামলে প্রশাসন তাদের জেল-জরিমানা করে।

উপজেলার ষাটনল এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী নেতা ফুলচান বর্মনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, জেলেদের পর্যাপ্ত সুবিধা ও বিকল্প কর্মসংস্থান দিতে না পারলে সরকারের উদ্দেশে বাস্তবায়ন হবে না।

উপজেলার এখলাসপুর, আমিরাবাদ, বাবুবাজার ও কালিরবাজার আড়ৎ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতিরা বলেন, মাছ না ধরলে মানুষ না খেয়ে মরবে। জেলেরা আছে খুবই অভাব অনটনে। জাল দিয়ে মাছ ধরে চলে তাদের সংসার। তাই আমরা সবকিছু ম্যানেজ করেই বাজার চালিয়ে যাচ্ছি।

অভিযোগের বিষয়ে ইমান আলী বলেন, টাকা নিয়ে টোকেন দেওয়ার কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা। মূলত জেলেদেরকে তাদের মতো করে নদীতে নামায় আড়তদাররা।

রাতে মেঘনা নদী জেলেদের দখলে থাকে আপনারা কি রাতে অভিযান করেন এমন প্রশ্নের জবাবে মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী বলেন, ফোর্স কম। তাই রাতে অভিযান পরিচালনা করতে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তারপরও আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি।

মতলব উত্তর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস বলেন, আমরা নদীতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। যারা আইন অমান্য করে নদীতে মাছ শিকার করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি। জেলেদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, তারা আমাদের নামে যে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তা সঠিক নয়।

মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা কুলসুম মনি জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে মৎস্য বিভাগকে আরো আন্তরিক হতে হবে।


আরও খবর