Logo
শিরোনাম

নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বন্ধের ‘ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ-মানববন্ধন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বন্ধ করার ‘ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপূরে মেডিকেল চত্বর থেকে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের মুক্তির মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানুুষ অংশ নেয়।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত নওগাঁ মেডিকেল কলেজ চালুর পর থেকেই বরাবরই প্রশংসনীয় ফলাফল অর্জন করেছে। বড় মেডিকেল কলেজগুলোর মতো প্রায় সব সুবিধা থাকার পরও শুধু স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকার কারণে এটি বন্ধের অনেক অপচেষ্টা চলছে। তাই ষড়যন্ত্র বন্ধ করে দ্রুত স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবি জানানো হয়। 


আরও খবর

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয় দাবি

মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫




গ্রীষ্মে স্বাভাবিক থাকবে বিদ্যুৎ সরবরাহ

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

চলমান গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রেজাউল করিম।

তিনি বলেছেন, বিদ্যমান সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রাখতে কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। আমরা আশা করছি, এই গ্রীষ্মকালে বিদ্যমান সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

বিপিডিবি চেয়ারম্যান বলেন, বিদ্যমান বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো গড়ে ১৪,০০০-১৪,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে, যেখানে দৈনিক চাহিদা আনুমানিক ১৫,০০০ মেগাওয়াট ।

তিনি বলেন, সর্বোচ্চ চাহিদা ১৭ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট বলে অনুমান করা হয়েছে, যেখানে ২০২৪ সালে সর্বোচ্চ উৎপাদন ছিল ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট।

বিপিডিবির তথ্য অনুসারে, শনিবার দেশে ১১ হাজার ৯৭১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে, যেখানে চাহিদা ছিল ১৪ হাজার ৪৫১ মেগাওয়াট। রবিবার কর্মদিবস হওয়ায় চাহিদা প্রায় ১৫ হাজার মেগাওয়াট হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিপিডিবি সূত্র জানিয়েছে, গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের ঘাটতি ৭৫০ মেগাওয়াট পর্যন্ত থাকবে। তবে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। সূত্র এও জানিয়েছে, কারিগরি সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে।

বিপিডিবি গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াট হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে, যেখানে সর্বোচ্চ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১৭ হাজার ২৬০ মেগাওয়াট। এছাড়া সরকার গ্যাসের চাহিদা পূরণের জন্য তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সংগ্রহ করছে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

জ্বালানির ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে ও দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে গত ১৭ এপ্রিল সরকার আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে দুই কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।

এর আগে মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের মেসার্স এক্সেলেরেট এনার্জি, এলপি থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। এভাবে সরকার প্রায়ই এলএনজি সংগ্রহ করে থাকে। অন্যদিকে জ্বালানি চাহিদা মেটাতে এলএনজি নিয়ে কাতার ও ওমানের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি রয়েছে।

সম্প্রতি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, গ্রীষ্মকালে লোডশেডিং কমাতে সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। গ্রীষ্মকালে সারা দেশে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সরকার কিছু নির্দেশনা দিয়েছে।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে সরকারি অফিস, ব্যাংক, বাড়ি ও মসজিদে এয়ার কন্ডিশনারের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা উচিত নয়। যদি এটি বজায় রাখা যায়, তাহলে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। শীতকালের তুলনায় গ্রীষ্মকালে জাতীয় বিদ্যুতের চাহিদা বেশি থাকে।

লোডশেডিং সম্পর্কে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, সরবরাহ ও চাহিদায় অমিলের কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। কিন্তু যদি ট্রান্সফরমারটি বিকল হয়ে যায় অথবা ঝড় ও বৃষ্টিপাতের কারণে কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি দেখা দেয়, তাহলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।


আরও খবর



টানা ৫ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের সব বিভাগে আগামী পাঁচ দিন বজ্রসহ বৃষ্টি ঝরতে পারে। সেই সঙ্গে এ সময় দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়বে বলেও সংস্থাটি জানিয়েছে। শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে— এ অবস্থায় আজ শনিবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি সারা দেশে দিন ও রাতের তাপামাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। এ ছাড়া আগামীকাল রবিবার ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ দিন সারা দেশে দিন ও রাতের তাপামাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী সোমবার সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিনের তাপামাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপামাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।

পরদিন মঙ্গলবার ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

এ ছাড়া আগামী বুধবার সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে এ দিন সারা দেশে দিন ও রাতের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা সম্পর্ক বলা হয়েছে, এ সময় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে এবং তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর



চীনের পাল্টা শুল্ক আরোপে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বুধবার (২ এপ্রিল) চীনের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। পাল্টা জবাব হিসেবে মার্কিন পণ্যের ওপর চীনও ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। আর এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ট্রাম্প। চীনকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, চীন তার শুল্কের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে ‘ভুল খেলেছে।৪ এপ্রিল তিনি এ মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যযুদ্ধের জেরে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে ব্যাপক ধস নেমেছে। আর এটিকে গুরুত্ব না দিয়ে উল্টো ‘ধনী হওয়ার সুযোগ’ হিসেবে তুলে ধরেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে বড় অক্ষরে লেখেন, ‘চীন ভুল খেলেছে, তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে — আর এর পরিণাম ভোগার মতো অবস্থায় তারা একদমই নেই!

বিশ্ববাজারে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ধস নামে। ফলে বিনিয়োগ এবং অবসরকালীন সঞ্চয় খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ হারিয়ে যায়। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল সতর্ক করে বলেন, এই শুল্ক উচ্চতর মুদ্রাস্ফীতি এবং কম প্রবৃদ্ধি ডেকে আনতে পারে।

এশিয়া এবং ইউরোপের বাজারের ধসের ধারাবাহিকতায় ওয়াল স্ট্রিটে ব্যাপক পতন দেখা যায়। ডাও জোন্স সূচক ৫.৫ শতাংশ এবং এসঅ্যান্ডপি ৫.৯৭ শতাংশ কমে যায়।

ট্রাম্প ‘স্বাধীনতা দিবস’ ঘোষণা করে শুল্ক আরোপের পর থেকে এখন পর্যন্ত শুধু মার্কিন আর্থিক বাজারে ৬ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে।

একসঙ্গে অনেক দেশের ওপর আমদানি শুল্ক আরোপের পর ট্রাম্প এ নিয়ে কোনো অনুশোচনাবোধ না দেখিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে বলেন, ‘আমার নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে না।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও লিখেন, ‘এটি ধনী হওয়ার দুর্দান্ত সময়।

৭৮ বছর বয়সী এই রিপাবলিকান নেতা মনে করছেন তার বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতি বিদেশি কোম্পানিগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য আমদানি নয়, উৎপাদনে বাধ্য করবে। ট্রুথ সোশ্যালে তিনি আরও লেখেন, ‘শুধু দুর্বলরাই ব্যর্থ হবে!

বড় কর্পোরেশনগুলো অপ্রস্তুত ছিল অবে তারা শুল্ক নিয়ে চিন্তিত নয় জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো শুল্ক নিয়ে চিন্তিত নয়। কারণ, তারা জানে তারা এখানে থাকবে।


আরও খবর



উৎপাদন খরচের অর্ধেক দামে আলু বিক্রি

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বগুড়ায় বর্তমানে জাতভেদে প্রতি মণ (৪২ কেজি) আলু বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকায়। এতে প্রতি কেজি আলুর দাম পড়ছে সাড়ে ৭ টাকা থেকে ৯ টাকা। 

বগুড়া জেলার মধ্যে শিবগঞ্জ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি আলু চাষ হয়। আলীগ্রামের কৃষক নাফিসুল ইসলাম টিবিএসকে বলেন, 'প্রতি বিঘা (৩৩ শতক) জমিতে আলু চাষ করতে খরচ হয়েছে ৪০-৪৫ হাজার টাকা। গড়ে ৯০ মণের মতো এবার ফলন হতে পারে। সে হিসাবে, প্রতি মণে প্রায় ৪৫০-৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। 

'কিন্তু বাজারে দাম এর অর্ধেক। এ কারণে এখনও তুলিনি। আরও কয়েকদিন পর তুলে কোল্ড স্টোরেজে রাখব।

কোল্ড স্টোরেজের ভাড়া বৃদ্ধি আরেক দফা চাপ সৃষ্টি করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'গত বছর বস্তা ৩৫০ টাকায় রাখতাম। ৫০ কেজির বস্তায় ৬৫ কেজি আলু ধরত। কিন্তু এবার কেজিতে ৮ টাকা দিতে হবে। ৮ টাকা স্টোরেজ ভাড়া দিয়ে পরে কয় টাকায় আলু বিক্রি করতে পারি, বলতে পারছি না।

একই কথা জানান ফেনিগ্রামের আব্দুল হামিদ। তিনি বলেন, 'পাকড়ি ও স্টিক আলু চাষ করেছি। প্রতি বিঘায় পাকড়ি ৬৫-৭০ মণ এবং স্টিক ৯০ মণের মতো হবে। আমার প্রতি বিঘায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে যারা বীজ কিনে আলু চাষ করে তাদের খরচ আরও অনেক বেশি। গত বছর আলুর দাম বেশি ছিল, এ কারণে বেশি জমিতে আলু চাষ করেছি। কিন্তু এই দামে আলু চাষ করলে কৃষক নিঃস্ব হয়ে যাবে।

গত বছরের বেশিরভাগ সময় আলুর দাম ছিল অস্বাভাবিক বেশি। ফলে বাড়তি লাভের আশায় কৃষকরা আলু চাষ বেশি করেছেন। তবে এখন উৎপাদন খরচও ওঠাতে পারছেন না তারা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, চলতি মৌসুমে ৪.৬৭ লাখ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। তবে এরই মধ্যে আবাদ হয়েছে ৫.২৪ লাখ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৭ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আলু চাষ হয়েছে। 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব অনুযায়ী, গত অর্থবছরে আলুর আবাদ হয়েছিল ৪.৫৭ লাখ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এবার ৬৭ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আলুর চাষ হয়েছে।

ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে পুরো মার্চ মাসজুড়ে মূল মৌসুমের আলু উত্তোলন করেন কৃষকরা। তবে গত বছর আলুর ভরা মৌসুমেই দাম ছিল বেশি। এরপর মে মাসে তা ৫০ টাকা পেরিয়ে যায়। নভেম্বরে আলুর দাম দাঁড়ায় কেজিতে ৮০ টাকা, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার নাগদাহ গ্রামের কৃষক আবু তাহের বলেন, 'এখন আমাদের এলাকায় প্রতি কেজি আলু ১০-১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে ৮ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে। গত দুই দিন ধরে কিছুটা বাড়তির দিকে। তবে ২০ টাকার নিচে হলে কৃষকদের লোকসান হবে।'

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় বিপণন বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম টিবিএসকে বলেন, 'যে বছর দাম বেশি থাকে এর পরের বছর কৃষকরা সে ফসল বেশি করেন। আবার দাম কম থাকলে পরের বছর কম ফসল করেন। এটা কমন সমস্যা। এখন ফলন বেশি হলে আবার দাম কমে যায়। 

'এজন্য আলুর ক্ষেত্রে ভ্যালু অ্যাড করার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। দ্বিতীয়ত গ্রুপ মার্কেটিংয়ে ফোকাস করতে হবে। অর্থাৎ ১০ জন কৃষক আলু চাষ করেন; এর মধ্যে একজন সেগুলো বাজারজাত করবেন। এতে সরাসরি বাজারের সঙ্গে কৃষকরা যুক্ত হবেন।'


আরও খবর

সবজিতে আর স্বস্তি নেই

মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫




ছুটির দিনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে সবজির বাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শীত মৌসুমের আগে-পরে বাজারে সবজির দামে যে স্বস্তি ফিরেছিল, তা এখন উধাও হয়ে গেছে। গত তিন-চার মাস ধরে তুলনামূলক কম দামে সবজি কিনতে পারলেও, বর্তমানে রাজধানীর বাজারগুলোতে বেশিরভাগ সবজির দামই ৮০ টাকা ছাড়িয়েছে। আবার কিছু সবজির দাম ছাড়িয়েছে ১০০ টাকা। এমন অবস্থায়, এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পেঁয়াজ এবং ডিমের দামও।২৫ এপ্রিল সকালে রাজধানীর উত্তরা, বাড্ডা ও মধ্যবাড্ডা কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজির দোকানগুলোতে গোল বেগুন, লম্বা বেগুন, করলা, পটল, লাউ, কাঁচা পেঁপে, শসা, গাজর, ফুলকপি, বরবটি, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙা, কচুর লতি, ঢেঁড়শসহ অন্যান্য সবজি সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় অধিকাংশটির দামই কেজি প্রতি ৮০ টাকা বা তার বেশি। বরবটি, কচুর লতি, পটোল, চিচিঙ্গা, বেগুন ও শালগম বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। আর কাঁকরোল ও শজনের দাম আকাশছোঁয়া। সবজি দুটি মানভেদে ১২০-১৬০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে। আর তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম দামে পাওয়া যাচ্ছে করলা, লাউ, ঝিঙে, ধুন্দুল, ঢ্যাঁড়স ও পেঁপে, যেগুলোর কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। সবচেয়ে কম দামের সবজি এখন টমেটো, যা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। এছাড়া, আলু ২০-২৫ টাকা কেজি এবং কাঁচামরিচ ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দামের ঊর্ধ্বগতি এবং বাড়তি পরিবহন খরচই দাম বৃদ্ধির জন্য দায়ী।

আজমপুর কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা বেশি দামে কিনলে বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। গত কয়েক সপ্তাহে পাইকারি বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। বিশেষ করে পটল, বরবটি, বেগুন—এগুলোর দাম বেশ চড়া। আমাদের কেনা দাম বেশি হলে আমরা কম লাভে বিক্রি করতে পারি না। তাছাড়া, শীতের পর আগের মতো এখন আর সহজে মাল পাওয়া যাচ্ছে না। দূরের মোকাম থেকে মাল আনতে খরচ বেশি পড়ছে। এখন যে সবজিগুলো বাজারে আসছে, সেগুলোর চাষের খরচও শীতের সবজির চেয়ে বেশি। সেজন্য দামও বেশি।

পেঁয়াজের দাম নিয়ে রফিকুল ইসলাম নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কিছুটা কমেছে। আড়তে দাম বেশি। আমরা বেশি দামে কিনে আনি, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হই। আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে তেমন নেই।

এমন অবস্থায় বাজারের এই ঊর্ধ্বমুখী দামে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। ছুটির দিনে কিছুটা সাশ্রয়ে বাজার করার আশায় এসেও তাদের পকেটে টান পড়ছে।

আবু সালেহ নামের এক ক্রেতা বলেন, দ্রব্যমূল্যের এই পরিস্থিতিতে সংসার চালাতে গিয়ে অনেককেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। সবজির দাম হঠাৎ এত বেশি বেড়ে যাবে ভাবিনি। আজ পুরো সপ্তাহের বাজার করতে এসেছিলাম। কিন্তু আজ সবজির দাম অনেক বেশি। তাই প্রয়োজনের অর্ধেক পরিমাণ কিনেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারলে ক্রেতাদেরও সুবিধা হতো এবং তাদের বিক্রিও বাড়তো।

তবে অনেক ক্রেতাই মনে করেন, বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যও দাম বাড়ার একটি কারণ। এছাড়া, পাইকারি বাজার থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা যে দামে সবজি কেনেন তার কয়েক গুণ বেশি দামে পরে তারা বিক্রি করেন। যার নজরদারি ঠিকমতো করা হচ্ছে না বলেও মন্তব্য অনেকের।


আরও খবর

সবজিতে আর স্বস্তি নেই

মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫