Logo
শিরোনাম

নওগাঁ পৌরসভা আধুনিক বিনির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৪২জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁ পৌরসভা আধুনিক বিনির্মানের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে ‘সচেতন পৌরবাসী’ ব্যানারে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। যেখানে স্লোগান দেয়া হয়েছে ‘হয় শহর বদলাও, না হয় মেয়র বদলাও’।

মানববন্ধনে পৌর নাগরিকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন, রামিম দেওয়ান, ফিলিপ হোসেন, সুলতান মাহমুদ সহ স্থানীয় অনেকেই। 

এসময় বক্তারা বলেন, ১৯৬৩ সালে নওগাঁ পৌরসভা গঠিত হয়। যা প্রথম শ্রেনীর মর্যাদা পায় ১৯৮৯ সালে। অথচ আড়াই লাখ নাগরিক বসবাসের এ শহরের সড়ক, ড্রেন, বৈর্জ ব্যস্থাপনা সব কিছুই বেহাল অবস্থা। অলি-গলির সড়কগুলো খানা-খন্দে ভরা। রাতে সড়কে ঠিকঠাক জ্বলেনা বাতি। এ যেন কেবলই ভোগান্তির শহরে পরিনত হয়েছে নওগাঁ শহর।

বক্তারা আরো বলেন, এতো সমস্যার ভিড়ে প্রধান সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে অটোরিক্সা-সিএনজি। নিয়ম-নিতির কোন তোয়াক্কা না করে হাজার হাজার অটোরিক্সা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শহরের মধ্যে। এতে সকাল থেকে রাত অবধি যানজটের সৃষ্টি হয়। সাধারণ মানুষের পা ফেলার যায়গা পর্যন্ত থাকে না। শহরে নেই কোন সৌচাগারের ব্যবস্থা। তাই প্রতিদিনই শহরে আসা হাজারও নারী-পুরুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। 

বর্তমান মেয়র নজমুল হক সনি টানা তৃতীয় বারের মত দীর্ঘ ১৩ বছর ক্ষমতায়। কিন্তু শহরবাসীর ভোগান্তি লাঘবে দৃশ্যমান তেমন কিছুই করতে পারেননি তিনি উল্লেখ করে মানববন্ধন থেকে মেয়রের পদত্যাগ দাবী করেন আন্দোলনকারীরা।

ঘণ্টাব্যাপী চলা এই মানববন্ধনে পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের সাধারণ নাগরিক উপস্থিত ছিলেন। 

এসব অভিযোগ পুরোপুরি সত্য নয় দাবী করে নওগাঁ পৌরসভার মেয়র নজমুল হক সনি বলেন, ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে প্রথম বারের মত নওগাঁ পৌরসভার দায়িত্ব গ্রহণ করি। এরপর থেকে রাস্তা-ঘাট, ড্রেন তথা শহরের উন্নয়নে কোটি কোটি টাকার কাজ করেছি। এমনকি ইউজিপি-৩ এর মত বড় প্রকল্পও বাস্তবায়ন করা হয়েছে তার সময়কালে। আমার সাধ্যমত পৌরবাসীর উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি বলে জানান মেয়র।


আরও খবর



ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক শনিবার ২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৯২জন দেখেছেন

Image

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণকাজের জন্য শনিবার (২০ মে) দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকবে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক। এদিন ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত নিরাপত্তাজনিত কারণে দেশের অন্যতম ব্যস্ততম এ সড়কটি বন্ধ থাকবে।

সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা জানান, শনিবার সীতাকুণ্ড উপজেলার আরআর টেক্সটাইল মিলস এলাকায় নির্মাণাধীন ফুটওভার ব্রিজের ডেকবিম স্থাপন করা হবে। তাই এদিন দুই ঘণ্টার জন্য সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ থাকবে।

গত শনিবার (১১ মে) ডেকবিমটি বসানোর কথা ছিল। তবে ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে তা সম্ভব হয়নি।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




যে ফল খেলে দূর হবে বাতের ব্যথা

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১০৯জন দেখেছেন

Image

সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যেই আর্থ্রাইটিস বা বাতের সমস্যা দেখা যায়। এই রোগে দেহের বিভিন্ন জায়গায় তীব্র ব্যথা হয়, দেখা যায় ফুলে ওঠা ও জড়তার মতো সমস্যাও।

আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার নানা কারণ রয়েছে। অনিয়মিত জীবনযাপন, শরীরচর্চার অভাব, বংশগত, বিভিন্ন রোগের প্রভাব, এ ছাড়া আরও অনেক কারণেই বাতের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকেরই ধারণা, বয়স বাড়লেই বাত দেখা দেয়। কিন্তু যেকোনও বয়সেই হতে পারে এই সমস্যা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু খাবার আরাম দিতে পারে বাতের ব্যথায়। এমন কিছু ফল রয়েছে, যেগুলো খেলে বাতের কষ্ট থেকে কিছুটা মুক্তি মিলতে পারে।

আপেল আপেল স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। আপেলে রয়েছে কোয়ারসেটিন নামক এক ফ্ল্যাভোনয়েড, যাতে আবার প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য বর্তমান। কোয়ারসেটিন জয়েন্টে পেন, বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

চেরি চেরি, বিশেষ করে টার্ট চেরি আর্থ্রাইটিসের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর। চেরিতে থাকে অ্যান্থোসায়ানিন। এই কারণেই বাতের রোগীদের প্রদাহ এবং বাতের ব্যথা কমাতে ভালো কাজ করে চেরি।

আনারস আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন নামক এনজাইম, যা শরীরের প্রদাহ কমাতে পারে। জয়েন্টে ব্যথা এবং ফোলাভাবের মতো বাতের বিভিন্ন উপসর্গ থেকে মুক্তি দিতে পারে এই ফল। তাই আনারসকে আপনার রোজকার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন।

ব্লুবেরি ব্লুবেরিতে পুষ্টিগুণ ভরপুর। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বিভিন্ন উপকারী যৌগ সমৃদ্ধ এই ফল শরীরের প্রদাহ কমায়। ব্লুবেরিতে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। নিয়মিত ব্লুবেরি খেলে বাতের বিভিন্ন উপসর্গ উপশম হতে পারে।

কমলালেবু কমলালেবু ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের দুর্দান্ত উৎস। ভিটামিন সি প্রদাহ কমায় এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই বাত বা আর্থ্রাইটিস উপশম করতে নিয়মিত কমলালেবু খেতে পারেন।


আরও খবর

আম পান্না তৈরি করবেন যেভাবে

শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩




বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান চতুর্থ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৭০জন দেখেছেন

Image

বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর মধ্যে আজ (২৩ মে) সকাল ৯টার দিকে ঢাকার অবস্থান চতুর্থ। বাতাসের মান সূচকে (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআই) মঙ্গলবার এ সময় ঢাকার স্কোর ১৩৭। বাতাসের এ মান সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর। সোমবার এ সময়েই ঢাকার অবস্থান ছিল অষ্টম। আর বাতাসের মান সূচকে স্কোর ছিল ১৩১।

আজ সকাল ৯টার দিকে বিশ্বের ১০০টি শহরের মধ্যে বায়ুদূষণে প্রথম অবস্থানে আছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। শহরটির স্কোর ১৬৮। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে পাকিস্তানের লাহোর, স্কোর ১৬২। চীনের উহান আছে তৃতীয় অবস্থানে, স্কোর ১৪০।

আইকিউএয়ার সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান। তারা দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা প্রকাশ করে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এ সূচকে একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়, সতর্ক করে।

বায়ুর মান সূচকে ভালো মানের বায়ুর ক্ষেত্রে স্কোর শূন্য থেকে ৫০। স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে মধ্যম বা গ্রহণযোগ্য মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর বায়ু ধরা হয়। আর ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়।


আরও খবর



সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১২২জন দেখেছেন

Image

ঢাকাসহ দেশের আট বিভাগেই বৃষ্টির হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এছাড়া বেশ কিছু অঞ্চলে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

সোমবার (২৩ মে) রাতে আবহাওয়া অধিদফতরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গা অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানিয়েছেন, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

তিনি আরও জানান, খুলনা বিভাগসহ মাদারীপুর ও পাবনা জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী দুই দিন বৃষ্টির প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় তাড়াশে দেশের সর্বোচ্চ ৭৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ঈশ্বরদীতে ১৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




ঘূর্ণিঝড় মোখা সিডরের মতো ভয়ঙ্কর

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ৯১জন দেখেছেন

Image

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা দেশের দক্ষিণ উপকূলে ২০০৭ সালে আঘাত হানা সিডরের মতোই শক্তিশালী বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. আসাদুর রহমান এ কথা জানান।

তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন, টেকনাফ ও উখিয়া অঞ্চলে মোখার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে। এটি যখন তীরে আছড়ে পড়বে তখন বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১৬০ কিলোমিটারের বেশি। এর প্রভাবে যে বৃষ্টি হবে, তাতে পাহাড় ধসের শঙ্কা আছে। একটানা আট ঘণ্টার বেশি প্রবল বৃষ্টি হলে ভূমিধসের আশঙ্কা থাকে। প্রবল বৃষ্টির হতে পারে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে। সিলেটেও প্রভাব থাকবে তবে, ঢাকায় কম হবে।

আসাদুর রহমান বলেন, মোখার প্রভাব সিলেট পর্যন্ত থাকবে। বর্তমানে এর ডায়ামিটার ৫০০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার। ডায়ামিটার যদি ২৫০ কিলোমিটারও থাকে, তাও তো কম না। তীর থেকে ৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে এলে এর গতি থাকবে ১৬০ থেকে ১৭৫ কিলোমিটার। কিন্তু এটা আরও গতি সঞ্চার করতে পারে। এই গতিতে এগিয়ে এলে আগামীকাল (রোববার) সকাল ১০টা থেকে ঝড়ো হাওয়ার পরিমাণ বাড়বে।

আবহাওয়াবিদ ড. মো. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, প্রত্যেকটা সাইক্লোনের বৈশিষ্ট্য স্বতন্ত্র। সিডরের সঙ্গে এর তুলনা হলো, যতক্ষণ পর্যন্ত এটা বঙ্গোপসাগরে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত এর শক্তি ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকবে। উপকূলে যাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত এটা শক্তি সঞ্চয় করতে থাকে। বর্তমানে সাগরে অবস্থানকালীন মোখার দমকা বাতাসের সঙ্গে যে ঝড়ো হাওয়া বইছে তার সঙ্গে সিডরের মিল রয়েছে। উপকূল অতিক্রম করার সময় কোনো কোনো ক্ষেত্রে বৈশিষ্ট্য, গতিবেগ, দমকা বাতাস বা ঝড়ো হাওয়ার ধরণ পরিবর্তন হয়। সে কারণে বাতাসের গতিবেগ কম বেশি হয়। তাই সিডরের মতো হবে এ রকম না বলে প্রায় সিডরের সমতুল্য গতিবেগ নিয়ে মোখা মিয়ানমার ও বাংলাদেশের কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে।

ব্রিফিংয়ে যুগ্ম পরিচালক ১৪ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তি তুলে ধরে বলেন, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ১৪ মে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। শনিবার (১৩ মে) রাত থেকে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।

এদিকে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত (পুনঃ) ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত (পুনঃ) ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

অপরদিকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

কতটা শক্তিশালী মোখা : বিভিন্ন সময়ের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের দুটি মৌসুম রয়েছে। একটি বর্ষার আগে, অর্থাৎ এপ্রিলের শেষ থেকে মে মাসে। আরেকটি বর্ষার পরে, অর্থাৎ অক্টোবর-নভেম্বর মাসে।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ ড. সমরেন্দ্র কর্মকার বলছেন, এই দুই সময়ে সি সার্ফেসের তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে। বায়ুমণ্ডলের বিন্যাসও ফেভারেবল হয়। সূর্য যখন এক গোলার্ধ থেকে আরেক গোলার্ধে যায়, তখন এই সময়টায় বঙ্গোপসাগরের ওপরে থাকে। ফলে বঙ্গোপসাগর অতি উত্তপ্ত হয়ে যায়। এতে সমুদ্রপৃষ্ঠে যে পানি আছে তা সুপ্ত তাপ নিয়ে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। এটা বায়ুমণ্ডলে যত প্রবেশ করবে ঘূর্ণিঝড় তত শক্তিশালী হয়। মূলত এই কারণে এ সময় ঘূর্ণিঝড় বেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলতি বছরের মার্চ ও এপ্রিল মাসে মধ্য ও উত্তর বঙ্গোপাসগরে কোনো নিম্নচাপ, লঘুচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়নি। ফলে মোখাই হতে যাচ্ছে চলতি বছরে প্রথম ঘূর্ণিঝড়। সেকারণে পুরো মৌসুমটায় সূর্য থেকে আগত রশ্মি পুরোটাই বঙ্গোপসাগরের পানি উত্তপ্ত করেছে। এতে বঙ্গোপসাগরের পানিতে প্রচুর শক্তি সঞ্চিত হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, গেল কবছরের মধ্যে মোখা সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রার পানিতে সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। এখন বঙ্গোপসাগরের পানির তাপমাত্রার যে মানচিত্র দেখা যাচ্ছে তাতে বুঝা যাচ্ছে, যত উত্তর দিকে ঘূর্ণিঝড়টি অগ্রসর হবে তত বেশি এটি উত্তপ্ত পানির সংস্পর্শে আসবে। এছাড়া শক্তি ধরে রাখতে যে তিনটি উপাদান প্রয়োজন তার সব কটিই রয়েছে মোখায়।

সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রির ওপরে এবং সমুদ্রে সঞ্চিত শক্তিযথেষ্ট পরিমাণে আছে, ফলে ঘূর্ণিঝড়টি আকারে বড় হবে। তারা আভাস দিয়েছেন, উপকূলীয় অঞ্চলে অত্যন্ত তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আছড়ে পড়তে পারে এটি।

২০০৭ সালের সিডরে যা হয়েছিল : ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর দেশের দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় সিডর প্রায় ৬ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল। যদিও রেডক্রিসেন্টের হিসাবমতে প্রাণহানির সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার।

সে সময় উত্তর ভারত মহাসাগরে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে সৃষ্ট ওই ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ ছিল ২৬০ থেকে ৩০৫ কিলোমিটার। সিডর খুলনা ও বরিশাল এলাকায় তাণ্ডব চালায়। সমুদ্র থেকে উঠে আসা ১৫ থেকে ২০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসের তোড়ে সব কিছু ভেসে যায়। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৩২টি জেলার ২০ লাখ মানুষ। উপকূলীয় এলাকায় প্রায় ছয় লাখ টন ধান নষ্ট হয়ে যায়। সুন্দরবনের প্রাণীদের পাশাপাশি অসংখ্য গবাদিপশু ‍মারা যায়।

 


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩