Logo
শিরোনাম

নওগাঁর ২য়' শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটক

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ আগস্ট 20২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ২য়' শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে হাসান আলী (৪২) নামের এক যুবককে আটক করেছে র‍্যাব। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানা এলাকা হতে তাকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত হাসান আলী পোরশার মহরপাড়া গ্রামের মৃত নছির উদ্দিনের ছেলে।


র‌্যাব এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গত ১২ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ভুক্তভোগী ছাত্রী বাড়ীর পাশের পুকুরে গোসল করতে যায়। হাসান আলী তার প্রতিবেশি হওয়ায় সেও পুকুরে গোসল করতে যায় এবং পুকুরে ভিকটিমকে একা পেয়ে পুকুর ঘাটেই তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এঘটনায় সেদিন রাতেই ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে পোরশা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণের মামলা দায়ের করলে আসামি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ মামলা রুজুর পর থেকেই আসামীকে গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। পরবর্তীতে আসামী পালিয়ে জামালপুর অবস্থান নিলে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-১ এর সহায়তায় হাসান আলীকে আটক করতে সক্ষম হয়। 

পরবর্তীতে তাকে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জেলার পোরশা থানায় হস্তান্তর করা হলে মঙ্গলবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ জহুরুল ইসলাম।



আরও খবর



নওগাঁয় নিয়োগ না পেয়েও 'ব্যানবেইসে' শিক্ষক হিসেবে তথ্য.?

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিদ্যামাধুরী শিক্ষায়তন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ না পেলেও বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) এর ঘরে শিক্ষক হিসাবে ফারুক হোসেন নামের এক জনের নাম আপলোড করা হয়েছে। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসাবে কখনোই নিয়োগ পাননি। তবে অভিযোগ উঠেছে ব্যাকডেটে তার নিয়োগ দেখানো হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি পরিমল রায় দাবী করেন ভুলবসত তার নাম গিয়েছে। 

স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যমতে, বিদ্যামাধুরী বিদ্যায়তন বালিকা বিদ্যালয়টিয় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এমপিওভুক্ত। নবম ও দশম শ্রেণীর এমপিওভুক্ত হয়নি। এরমধ্যে গত ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখে ব্যাকডেটে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক হিসাবে ফারুক হোসেন নামের একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে তার দুইদিন পর ৯ জানুয়ারি সরেজমিনে প্রতিষ্ঠানে গেলে প্রতিষ্ঠান প্রধান ভারতী রাণী ও ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি তার স্বামী পরিমল রায় দাবী করেন তাদের প্রতিষ্ঠানে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ে কোন শিক্ষককে তারা নিয়োগ দেননি। তাদের প্রতিষ্ঠানে ওই পদ শুন্য রয়েছে। এসময় ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হাজিরা খাতায় ও ব্যানবেইজের তথ্য ফরমে ফারুক হোসেন নামের কোন শিক্ষকের তথ্য পাওয়া যায়নি। এ সময় প্রধান শিক্ষকের ম্যাসেঞ্জার থেকে প্রতিনিধির ম্যাসেঞ্জারে এ সব তথ্য পাঠাতে অনুরোধ করলে তিনি ম্যাসেঞ্জারে প্রতিনিধিকে তথ্যগুলো প্রেরণ করেন। যা প্রতিনিধির ম্যাসেঞ্জারে বিদ্যমান। এরপর প্রতিনিধির হাতে আসা গত বছরের আপলোডকৃত ব্যানবেইস-এ শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্য।  সেখানে দেখা যায় ফারুক হোসেনকে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক হিসাবে গত ২০২১ সালের ২৪ এপ্রিল তারিখে যোগদান দেখানো হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, গত ২০২১ সালের ৩১ মে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ আমিন স্বাক্ষরিত পরিপত্রের মাধ্যমে সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান) পদে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এ পদে নিয়োগের লক্ষে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষমতা দেওয়া হয় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কে। তারপর থেকে এ পদে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।

এবিষয়ে ২০২২ সালের ৭জানুয়ারি ফারুক হোসেনের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন, তিনি বিদ্যামাধুরী বিদ্যায়তন বালিকা বিদ্যালয়ে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের পদে নিয়োগ নেননি। তিনি ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক নয়। তিনি তার পূর্বে থেকে একটি এনজিওতে কর্মরত অবস্থায় রাজশাহীতে অবস্থান করছেন। বর্তমানে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটা বন্ধ থাকায় তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক ভারতী রাণী বলেন ফারুক হোসেনকে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি রেগুলার নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক নন। তাহলে ব্যানবেইজে শিক্ষক হিসাবে তার নাম কিভাবে আসলো?  সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কিভাবে তার নাম এসেছে এবিষয়ে দেখে জানাবো। তবে তিনি কবে জানাবেন তা নির্দিষ্ট করে বলতে বললে রেগে যান।

বিদ্যালয়ের সভাপতি পরিমল রায় বলেন, তাকে আরও আগে থেকে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এবার ভুলবসত হয়তো শিক্ষক হিসাবে তার নাম ব্যানবেইজে আপলোড হয়েছে। এরপর ব্যানবেইজ থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হবে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ বলেন, আমি এই উপজেলায় ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি যোগদান করি। তখন থেকে এ পর্যন্ত ওই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের কোন শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। আর ব্যানবেইসে শিক্ষক হিসাবে ফারুক হোসেনের তথ্য কিভাবে আপলোড করলো তা আমি জানিনা। তথ্য আপলোড করার দায়িত্ব প্রতিষ্ঠান প্রধানের। নিয়োগ না নিয়েও তিনি কিভাবে তার প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসাবে একজনের নাম সংযুক্ত করলেন তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।


আরও খবর



আত্রাইয়ে ১৯বছর পর ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর আত্রাইয়ে রতন হত্যা মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী আব্দুল হামিদ কে দীর্ঘ ১৯বছর পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হামিদকে শুক্রবার বিকেলে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। তিনি উপজেলার সাহেবগঞ্জ দক্ষিন পাড়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে এবং একই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে রতন খন্দকার হত্যা মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী।

 রতন খন্দকারের ছোট ভাই রিপন খন্দকার জানান,২০০৪সালের ১৬মে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে বড় ভাই রতনকে পিটিয়ে হত্যা করে আব্দুল হামিদ ও তার সহযোগিরা।এঘটনায় তিনি বাদী হয়ে চারজনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।মামলার পর থেকে আব্দুল হামিদ পলাতক ছিল।ওই মামলার রায়ে বিজ্ঞ আদালত হামিদকে মৃত্যু দন্ড এবং আরো দুইজনকে যাবতজীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করে। এছাড়া আরো একজন খালাস পায়। 

 আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার বলেন,রতন হত্যা মামলার রায়ে আদালত হামিদকে ২০০৯সালে মৃত্যু দন্ডে দন্ডিত করে। ঘটনার পর থেকে হামিদ বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় অভিযান চালিয়ে স্থানীয় র‍্যাবের সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হামিদকে শুক্রবার বিকেলে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।


আরও খবর



চলতি মাসে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা

প্রকাশিত:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

চলতি মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টির পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। তারা বলছেন, অক্টোবরে স্বাভাবিকের চেয়ে ভারী বৃষ্টিপাত দেখা দিতে পারে স্বল্পমেয়াদি বন্যা। আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিতে গঠিত আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটির সভায় এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

রোববার আবহাওয়া অধিদপ্তরে কমিটির নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান আবহাওয়াবিদ মো. আজিজুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।

সভায় বলা হয়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে বিহার ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। দেশের উপক‚লীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কা আপাতত আর নেই। এ জন্য দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরের জন্য দেওয়া ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত রোববার নামিয়ে ফেলতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে চলতি মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টি হতে পারে।

আজিজুর রহমান বলেন, ‘অক্টোবরে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ কিংবা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।’

অক্টোবরের মধ্যভাগে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষাকালীন বায়ুপ্রবাহ) বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, এ মাসে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে চার দিন মাঝারি ধরনের বজ্রসহ ঝড় এবং সারা দেশে তিন থেকে পাঁচ দিন হালকা বজ্রসহ ঝড় হতে পারে। এ মাসে দিন ও রাতে তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে পারে। তবে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকতে পারে। চলতি মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোতে স্বাভাবিক প্রবাহ থাকতে পারে। তবে ভারী বৃষ্টিপাতজনিত কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল (রংপুর অঞ্চল), উত্তর-পূর্বাঞ্চল (সিলেট অঞ্চল) ও দক্ষিণ-পূর্ব পার্বত্য অববাহিকার (চট্টগ্রাম অঞ্চল) কিছু স্থানে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে, কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ ফেসবুকে লিখেছেন, ৩ অক্টোবর ৬৪ জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ৪ থেকে ৫ অক্টোবর তিস্তা নদীর উপক‚লবর্তী জেলাগুলো বন্যার পানিতে প্লাবিত হতে পারে।


আরও খবর

সন্ত্রাসীদের তালিকা করছে র‌্যাব

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




ধামরাইয়ে কারখানার ভিতর থেকে শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার):

ঢাকার ধামরাইয়ে করিম টেক্সটাইল মিল লিমিটেড কারখানার ভিতর থেকে অনিক(১৯) নামে এক শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার উপ- পরিদর্শক ( এস আই) শিমুল বিশ্বাস।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) প্রায় ১১ টার দিকে লাশ উদ্ধার করা হয়। অনিক করিম টেক্সটাইল কারখানায় রিং অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিল।

অনিক নেত্রকোনা জেলার কুমারপাড়া গ্রামের মো: সাইফুল ইসলামের ছেলে। সে গত দুই মাস ধরে চাকরিতে যোগদান করেন।

জানা যায়, অনিক কারখানার ভিতর ডর্মেটরিতে থাকেন।গতকাল সোমবার দিনগত রাতে অনিককে ডর্মেটরিতে না পেয়ে তার সাথে থাকা সহকর্মীরা রাতে অনেক খোজাখুজি করে। পরে সকালে কারখানার ভিতর ডর্মেটরির পিছনে মেশিনের সাথে অনিকের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় কারখানা কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি পুলিশকে জানালে আজ মঙ্গলবার(১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল প্রায় ১১ টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অনিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে। প্রেম বা পারিবারিক কারণে এই আত্মহত্যা সংঘঠিত হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

করিম টেক্সটাইল লি: কারখানার এইচ আর এডমিন অলি চৌধুরী বলেন, আমি অফিসে আসার সময় জানতে পারলাম অনিক নামে এক শ্রমিক গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে। আমি কারখানায় এসে পুলিশকে খবর দেয়ার পর পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। তবে কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা আমরা বলতে পারবো না।

এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপ- পরিদর্শক শিমুল বিশ্বাস বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে লাশের গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



মরক্কোর এক গ্রামে সবাই মৃত অথবা নিখোঁজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত মরক্কোতে শনাক্তকৃত মৃতের সংখ্যা আড়াই হাজার ছুঁইছুঁই। সোমবার সেখানে ২ হাজার ৪৯৭ জনের মৃত্যুর তথ্য মিলেছে। উদ্ধারকাজ পরিচালনার অত্যাধুনিক সরঞ্জাম নেই মরক্কোর কাছে। রীতিমতো শূন্য হাতেই দুর্গত এলাকায় কাজ করছে সেনাবাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবীরা। এমন পরিস্থিতিতে উত্তর আফ্রিকার দেশটি ব্রিটেন-স্পেন-কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহায়তা গ্রহণ করেছে। এদিকে এটলাস পর্বতমালার তাফেঘাঘতে গ্রামের প্রায় সব বাসিন্দা হয় মারা গেছেঅথবা নিখোঁজ বলে উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানে। খবর বিবিসিরয়টার্স ও দ্য গার্ডিয়ানের।


প্রত্যন্ত বহু এলাকায় এখনও পৌঁছাতেই পারেনি উদ্ধারকারী দল। এ প্রসঙ্গে ওই অঞ্চলের একজন বাসিন্দা বলেনভূমিকম্পের সময় ক্যাফেতে ঘুমন্ত অবস্থায় আমার বাবা মারা গেছেন। আটকা পড়াদের বাঁচাতে শুক্রবার থেকে উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে। স্থানীয়রা পরস্পরকে সাহায্য করছে। অথচ এখন পর্যন্ত প্রশাসনিক কোনো কর্মকর্তা আসেননি। উত্তর আফ্রিকার দেশটির সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে প্রতিবেশী স্পেন। ব্রিটেনকাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত পাঠিয়েছে ত্রাণবিশেষজ্ঞ উদ্ধারকারী দলডগ স্কোয়াড ও অত্যাধুনিক সরঞ্জাম।


সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ফ্রান্স আর তুরস্কও। তবে সেই সহায়তা নেওয়া হবে কি নাএখনও নিশ্চিত নয়। তুরস্ককে সহায়তা করতে প্রস্তুততারা রাজি হলেই সহায়তা দেওয়া হবেবলেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়্যেব এরদোগান। এদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও জানিয়েছেনতার দেশও সহায়তার হাত বাড়াতে প্রস্তুত। তবে মরক্কোর তরফ থেকে অনুমতি মেলেনি এখনও। 


সবাই মৃত অথবা নিখোঁজমরক্কোর এটলাস পর্বতমালার তাফেঘাঘতে গ্রামের এক বাসিন্দা বিবিসিকে বলেছেনএই গ্রামের সব মানুষ হয় হাসপাতালেআর না হয় মৃত। বিবিসি সরেজমিন প্রতিবেদনে বলছেসেখানকার ইট ও পাথরের তৈরি গ্রামের পুরোনো ধাঁচের বাড়িগুলো কোনোভাবেই এই মাত্রার ভূমিকম্প সামাল দেওয়ার মতো ছিল না। গ্রামের ২০০ জন বাসিন্দার মধ্যে ৯০ জনের মৃত্যুর খবর সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আরও অনেকেই এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা হাসান বিবিসিকে বলেনতারা (নিখোঁজরা) সরে যাওয়ার সুযোগ পায়নি। তাদের হাতে নিজেদের বাঁচানোর সময়ও ছিল না।


হাসান বলছিলেন তার চাচা এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। তাকে সেখান থেকে বের করার কোনো সম্ভাবনাও নেই। গ্রামে কারও কাছে এই মাত্রার ধ্বংসস্তূপ খোঁড়ার যন্ত্রপাতি নেই। আর তিন দিন হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে পৌঁছায়নি। আল্লাহ আমাদের এই পরিস্থিতির মুখোমুখি করেছেন এবং আমরা সবকিছুর জন্য আল্লাহকে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু এখন আমাদের সরকারের সহায়তা দরকার। তারা মানুষকে সাহায্য করার বিষয়ে অনেক দেরি করে ফেলেছেবলছিলেন তিনি। হাসান বলছিলেন যে মরক্কোর কর্তৃপক্ষের উচিত সব ধরনের আন্তর্জাতিক সহায়তা গ্রহণ করা। কিন্তু তিনি সন্দেহ পোষণ করেন যেনিজেদের অহংকারের কারণে হয়তো তারা সেই সহায়তা নেবে না।


বিবিসি বলছেসবদিক থেকেই শোনা যাচ্ছিল অবিরাম কান্নার আওয়াজ। এটলাস পর্বতমালার মতো মরক্কোর আরও অনেক অঞ্চলেই জরুরি সেবা পৌঁছাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দেশটির কর্তৃপক্ষকে। বিভিন্ন এলাকায় গ্রামবাসী হাত দিয়ে বা তাদের কাছে থাকা বেলচাশাবল দিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আটকে পড়া মানুষ উদ্ধার করছেন। আবার কিছুক্ষণ পর ঐ বেলচা আর শাবল দিয়েই মরদেহের জন্য কবরও খুঁড়তে হচ্ছে তাদের।

বিবিসিকে এ রকম একটি গ্রামের একজন বাসিন্দা বলছিলেনমানুষের কাছে আর কিছুই বাকি নেই। গ্রামে কোনো খাবার নেইশিশুরা পানির পিপাসায় কষ্ট পাচ্ছে।


আরও খবর