Logo
শিরোনাম

নওগাঁর নিভৃত পল্লীতে দিনব্যাপী অনন্য বই মেলা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১৫১জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

প্রত্যন্ত গ্রামের নিভৃত পল্লিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেয়া, গ্রামের মানুষকে শতভাগ শিক্ষিত করার মাধ্যমে আলোকিত মানুষ গড়ে তোলা, শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়া রোধ করাসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নের লক্ষে নওগাঁর মান্দা উপজেলার মসিদপুর উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে দিনব্যাপী অনন্য বই মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার সকালে মসিদপুর উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে দিনব্যাপী নিভৃত পল্লীতে অনন্য বই মেলার প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আবু বাক্কার সিদ্দিক। মসিদপুর শিক্ষা উন্নয়ন সমিতি ও পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী অনন্য বইমেলায়  অন্যান্যের মধ্যে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. এম মজনুর হোসেন। 

সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজশাহীর হেরিটেজ বাংলাদেশ ইতিহাসের আর্কাইভস প্রফেসর ড. মো. মাহবুবর রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত রেজিষ্ট্রার ড. শেখ সাদ আহম্মেদ, নওগাঁর মান্দার শাহ কৃষি তথ্য পাঠাগার ও যাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা জাহাঙ্গীর আলম শাহ, রাজশাহীর কথা সাহিত্যিক নিরমিন শিমেল, রাজশাহীর লেখক, গবেষক ও সমাজসেবক ডিএম খোশবর আলী, বিভাগীয় সরকারী গণগ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক মাসুদ রানা, বাংলাদেশ বেসরকারী গণগ্রন্থাগার পরিষদেও সহসভাপতি নুরুন নবী প্রভাত মৃধা, মসিদপুর শিক্ষা উন্নয়ন সমিতি ও পাঠাগারের সভাপতি মো. মোজাম্মেল হক, নওগাঁ সরকারী গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান এসএম আশিক, মশিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রশিদ প্রমুখ। 

নওগাঁ জেলা সদর থেকে প্রায় ৬০কিলোমিটার দুরে কিছু শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের নিয়ে ২০১০সালে মান্দা উপজেলার মসিদপুর শিক্ষা উন্নয়ন সমিতি ও পাঠাগার স্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রাজ্জাক। শিক্ষা কার্যক্রম ছাড়াও সংগঠনটি গত ১১বছর যাবত দরিদ্র শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরন প্রদান, মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, শিক্ষার্থীদের বই পড়ার আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষে বার্ষিক বই মেলার আয়োজন করা, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।  

এছাড়া অনন্য বই মেলায় চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, অভিনয়, কৌতুক, উপস্থিত বক্তৃতা দেশাত্মবোধক গান ও দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে মান্দা উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী, অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



হজ্জ যাত্রীদের খরচ সর্বোচ্চ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

পাশ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশীদের হজ্জে গমনের খরচ দেড়গুণ নির্ধারণ করে কোন অপশক্তির পরামর্শে আল্লাহর মেহমান হজ্জযাত্রীদের হজ্জে গমনে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে তা দেশবাসী জানতে চায় বলেছে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ। 

ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির আজ ১ মার্চ, বুধবার, গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে বলেন, হজ্জ একটি ফরজ ইবাদাত হবার কারণে দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের ইচ্ছা থাকে চাকরি বা অন্যান্য সার্ভিস শেষে জীবনের শেষ সম্বল দিয়ে আল্লাহর ঘরে উপস্থিত হয়ে হাজিরা দিবেন বা দিচ্ছেন। কিন্তু এবছর সরকার যেভাবে হজ্জযাত্রীদের খরচ নির্ধারণ করেছে তাতে ধর্মপ্রাণ মানুষের ইচ্ছা ও প্রাক নিবন্ধন করা থাকলেও তাদের পক্ষে হজ্জে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। প্রাক নিবন্ধন করেও অতিরিক্ত খরচ নির্ধারণ করার কারণে হজ্জে যেতে পারবেন না বলে এমন হজ্জ যাত্রীরা এখন মনোকষ্টে ভুগছেন।

বিবৃতিতে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি বলেন, আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের হজ্জ যাত্রীদের খরচ যেখানে ৪ লাখ টাকা, আর ডলারের উচ্চ মূল্যে সংকটে থাকার পরও পাকিস্তানের হজ্জ যাত্রীদের খরচ ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা হলেও বাংলাদেশের হজ্জ যাত্রীদের খরচ ৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা মেনে নেবার মতো নয়। ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের হজ্জ যাত্রীদের খরচ দেড়গুণ বেশী কেন? দেশের জনগণ সরকারের কাছে জানতে চায়। 

শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, বাংলাদেশের হজ্জ যাত্রীদের খরচ ভারত ও পাকিস্তানের ন্যায় সর্বোচ্চ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করতে হবে। প্রয়োজনে হজ্জ ফ্লাইট খালি না এনে সৌদি প্রবাসীদের বিশেষ সুযোগ দিয়ে ন্যায্য খরচে দেশে আনা ও নেয়ার ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিতে হবে। হজ্জ যাত্রা যেহেতু ইবাদাত তাই এই খরচ এর মধ্যে কোন ট্যাক্স না রেখে ট্যাক্সমুক্ত রাখতে হবে। 

তিনি বলেন, ধর্মীয় ইবাদাত হজ্জ, রমজান মাস ও কুরবানীর সময়ে যেভাবে মূল্য বৃদ্ধি হয় তা দুঃখজনক। এক্ষেত্রে সরকার আগে থেকে সেনাবাহিনী বা অন্য কোন সংস্থাকে দায়িত্ব দিলে মার্কেট পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হবে না।


আরও খবর



২৫ মার্চ ভয়াল গণহত্যা দিবস

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে ১৯৭১ সালের এইদিন শেষে এক বিভীষিকাময় ভয়াল রাত নেমে এসেছিল। এদিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত অপারেশন সার্চ লাইটের নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালী জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও সারাদেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গীতিনাট্য এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ঢাকাসহ সকল সিটি কর্পোরেশনের মিনিপোলগুলোতে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এদিন বাদ জোহর দেশের সকল মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে সুবিধাজনক সময়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।

বাঙালীর স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা মুছে দেওয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তারপর নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী যে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে, তারই নাম অপারেশন সার্চলাইট।

এই অভিযানের নির্দেশনামা তৈরি করে পাকিস্তানের দুই সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ও মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। নির্দেশনামার কোনো লিখিত নথি রাখা হয়নি। গণহত্যার সেই পুরো নির্দেশ মুখে মুখে ফরমেশন কমান্ডার বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হয়। অনেক পরে, ২০১২ সালে, মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ‘এ স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি’ নামে আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস প্রকাশিত সে আত্মজীবনীতে প্রথমবারের মতো অপারেশন সার্চলাইট সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশিত হয়।

অপারেশন সার্চলাইট কীভাবে পরিকল্পিত হয়, ১৯৭১ সালের সেই স্মৃতিচারণ করে রাজা লিখেছেন, ‘১৭ মার্চ, সকাল প্রায় ১০টা বাজে। টিক্কা খান আমাকে ও মেজর জেনারেল ফরমানকে কমান্ড হাউসে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে খবর পাঠান। খবর পেয়ে আমরা দুজন টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করি। গিয়ে দেখি, সেখানে জেনারেল আবদুল হামিদ খানও রয়েছেন। টিক্কা খান আমাদের বলেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শেখ মুজিবের সমঝোতা আলোচনা ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে না।

প্রেসিডেন্ট চান আমরা যেন সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি গ্রহন করি এবং সে অনুযায়ী একটা পরিকল্পনা তৈরি করি। এ ছাড়া আর কোনো মৌখিক বা লিখিত নির্দেশনা আমরা পাইনি। আমাদের বলা হয়, পরদিন ১৮ মার্চ বিকেলে আমরা দুজন যেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ওই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করি।’ পরদিন সকালেই খাদিম হোসেন রাজা তাঁর কার্যালয়ে রাও ফরমান আলীকে নিয়ে বসেন। তারাই গণহত্যার এ অভিযানের নাম দেন অপারেশন সার্চলাইট।

মার্কিন সাংবাদিক রবার্ট পেইন ২৫ মার্চ রাত সম্পর্কে লিখেছেন, ‘সেই রাতে ৭০০০ মানুষকে হত্যা করা হয়, গ্রেফতার করা হল আরো ৩০০০ লোক। ঢাকায় ঘটনার শুরু মাত্র হয়েছিল। সমস্ত পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে সৈন্যরা বাড়িয়ে চললো মৃতের সংখ্যা। জ্বালাতে শুরু করলো ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট। লুট আর ধ্বংস যেন তাদের নেশায় পরিণত হল। রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো কাক-শেয়ালের খাবারে পরিণত হল। সমস্ত বাংলাদেশ হয়ে উঠলো শকুন তাড়িত শ্মশান ভূমি।

পাইকারি এই গণহত্যার স্বীকৃতি খোদ পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত দলিলেও রয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্কট সম্পর্কে যে শ্বেতপত্র পাকিস্তান সরকার মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রকাশ করেছিল, তাতে বলা হয় : ‘১৯৭১ সালের পয়লা মার্চ থেকে ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত ১ লাখেরও বেশি মানুষের জীবননাশ হয়েছিল।’

১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের কাছে পাকিস্তানি জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করার ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের প্রক্রিয়া চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা কুখ্যাত ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নাম দিয়ে নিরীহ বাঙালি বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা। এদিন দুপুরের পর থেকেই ঢাকাসহ সারাদেশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করতে থাকে। সকাল থেকেই সেনা কর্মকর্তাদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। হেলিকপ্টারযোগে তারা দেশের বিভিন্ন সেনানিবাস পরিদর্শন করে বিকেলের মধ্যে ঢাকা সেনানিবাসে ফিরে আসে।

ঢাকার ইপিআর সদর দফতর পিলখানাতে অবস্থানরত ২২তম বালুচ রেজিমেন্টকে পিলখানার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিতে দেখা যায়। মধ্যরাতে পিলখানা, রাজারবাগ, নীলক্ষেত আক্রমণ করে পাকিস্তানি সেনারা। হানাদার বাহিনী ট্যাঙ্ক ও মর্টারের মাধ্যমে নীলক্ষেতসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দখল নেয়। সেনাবাহিনীর মেশিনগানের গুলিতে, ট্যাঙ্ক-মর্টারের গোলায় ও আগুনের লেলিহান শিখায় নগরীর রাত হয়ে উঠে বিভীষিকাময়।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল এএকে নিয়াজীর জনসংযোগ অফিসারের দায়িত্বে থাকা সিদ্দিক সালিকের ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ গ্রন্থেও এ সংক্রান্ত একটি বিবরণ পাওয়া যায়। সিদ্দিক সালিক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জেনারেল নিয়াজীর পাশেই ছিলেন। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অনুগত পাকিস্তানি হিসাবে পাক সামরিক জান্তার চক্রান্ত তিনি খুব কাছে থেকেই দেখেছেন। ২৫ মার্চ, অপারেশন সার্চ লাইট শুরুর মুহূর্ত নিয়ে তিনি লিখেন ‘নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সামরিক কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। এমন আঘাত হানার নির্ধারিত মুহূর্ত (এইচ-আওয়ার) পর্যন্ত স্থির থাকার চিহ্ন বিলুপ্ত হয়ে গেল। নরকের দরজা উন্মুক্ত হয়ে গেল।’

পাকিস্তানি হায়েনাদের কাছ থেকে রক্ষা পায়নি রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও। ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব ও জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, ড. মনিরুজ্জামানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৯ জন শিক্ষককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। ঢাবির জগন্নাথ হলে চলে নৃশংসতম হত্যার সবচেয়ে বড় ঘটনাটি। এখানে হত্যাযজ্ঞ চলে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত।

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান অপারেশন সার্চ লাইট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সকল পদক্ষেপ চূড়ান্ত করে গোপনে ঢাকা ত্যাগ করে করাচি চলে যান। সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের আগে ২৬ মার্চ (২৫ মার্চ মধ্যরাতে) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যে কোন মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র লড়াই শেষে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ণ বিজয় অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।

সূত্র : বাসস।


আরও খবর

বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মডেল

শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩




নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সপ্তাহে এক দিন আসেন ডাক্তার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠী) পিরোজপুর :

নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন এবং অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার ও নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এক দিন আসেন। গাইনি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডাক্তার ইন্দ্রাণী কর, অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার সত্যজিৎ দত্ত ও নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শফিকুল ইসলাম রুমেন মাসে মাত্র চার দিন আসেন।

উপজেলার প্রায় দুই লক্ষ জনগণের চিকিৎসা সেবায় সরকারি এই হাসপাতালটি ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সার্জন ও অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তারের অভাবে চালু হয়নি অপারেশন থিয়েটার। 

গত বছর আঠারো ডিসেম্বর এখানে গাইনি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডাক্তার ইন্দ্রাণী কর ও অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার সত্যজিৎ দত্ত যোগদানের পরেও তাদের ডিউটি ফাঁকিবাজিতে এবং জিএ মেশিন মেরামতের অভাবে চালু হচ্ছেনা অপারেশন থিয়েটার। 

হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, ডাক্তার ইন্দ্রাণী কর সপ্তাহে রবিবার আসেন অ্যানেসথেসিয়া ও নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মাসের বেতন নেওয়ার জন্য একবার আসেন। এছাড়া হাসপাতালে যদি কোন ইনেক্সপেকশন থাকে তখন এসে হাজির হন। 

এ বিষয়ে নাক, কান, কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শফিকুল ইসলাম রুমেন বলেন, আমি সপ্তাহে বুধবার রোগী দেখি নেছারাবাদে। এছাড়া অন্যান্য দিন বরিশালের ল্যাবএইডে রোগী দেখি।

অনুপস্থিতির ব্যপারে অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার সত্যজিৎ দত্ত বলেন, অ্যানেসথেসিয়া মেশিন সংযোজন বা মেরামতের অভাবে অপারেশন থিয়েটার বন্ধ থাকায় আমার কোন কাজ নাই। হাসপাতালে গিয়ে অন্যের চেম্বারে বসে থাকতে হয়। ওটি চালু হলেই আমি ওখানে থাকবো। বর্তমানে ঢাকার ধানমন্ডিতে থাকি হাসপাতালে প্রায়ই যাই।

গাইনি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ইন্দ্রাণী কর রোগী থাকলে রবি বার আসতে বলে ফোন কল কেটে দেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ফিরোজ কিবরিয়া জানান, হাসপাতালের জিএ মেশিন চালু হলেই সার্জন ও অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার কন্টিনিউ ডিউটি করবেন। প্যাথলজিকাল পরীক্ষা নিরীক্ষা চলমান রয়েছে। ব্যাকের দেওয়া এক্সে মেশিনটি সামান্য মেরামত দরকার। হাসপাতালে কন্টিনিউ হওয়ার ব্যাপারে এই তিন ডাক্তারকে তাগিদ দেবো।


আরও খবর



সুস্বাদু ডিম লাবাবদার

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

প্রতিদিনের খাবারে নতুনত্ব আনতে আর পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে ডিম সবচাইতে ভালো একটি রান্নার উপকরণ। ডিম দিয়ে রান্না যেমন সহজ তেমনি ঠিক মত তৈরি করলেই দুর্দান্ত টেস্ট মেলে।

ডিম লাবাবদার তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ

১. সেদ্ধ ডিম, পেঁয়াজ কুচি ও পেঁয়াজের রিং, টমেটো কুচি, গোটা জিরে, মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, জিরে গুঁড়া, গরমমশলা গুঁড়া, টমেটো কেচআপ ,পরিমাণ মত লবন, রান্নার জন্য সরিষার তেল।

দুর্দান্ত স্বাদের ডিম লাবাবদার তৈরির পদ্ধতি

এই রান্নার জন্য সেদ্ধ ডিম লাগবে তাই প্রথমেই ডিম সেদ্ধ করে নিয়ে সেগুলোর খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে হবে। এরপর ডিমের গায়ে ছুরি দিয়ে চিরে দিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন টুকরো না হয়ে যায়। এরপর দুভাবে পেঁয়াজ কুচিয়ে নিতে হবে। একটা কুচি করে নিতে হবে। আরেকটা গোল গোল রিং মত করে কেটে নিতে হবে।

এরপর কড়ায় তেল দিয়ে গরম হলে তাতে কিছুটা গোটা জিরে ফোঁড়ন দিতে হবে। ফোঁড়ন দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে নেয়ার পর পেঁয়াজ কুচি কড়ায় দিয়ে ভাজতে শুরু করতে হবে।

পেঁয়াজ প্রায় ভাজা হয়ে গেলে টমেটো কুচি, পরিমাণ মত লবন, মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, জিরে গুঁড়া দিয়ে সবটাকে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হয়ে গেল আসমানি পানি দিয়ে মিডিয়াম আঁচে ভালো করে আবারও কষিয়ে নিতে হবে। এই সময় টমেটো গুলোকে খুন্তি দিয়ে টমেটো চেপে দিতে হবে।

কষানো হয়ে গেলে পেঁয়াজের রিং গুলো হাতে করে ছাড়িয়ে নিয়ে কড়ায় দিয়ে দিতে হবে। আর মশলার সাথে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। মশলা মেশানো হয়ে গেলে ১ চামচ মত টমেটো কেচআপ দিয়ে সবটাকে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।

এবার কড়ায় সামান্য গৰম মশলা দিয়ে আবারও কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে নিয়ে আঁচ একেবারে কমিয়ে চিরে রাখা ডিম কড়ায় দিয়ে ধীরে সুস্থে মশলা মাখিয়ে নিতে হবে। কিছুক্ষণ সব মশলা মিশিয়ে নেওয়ার পর চাইলে গ্যাস বন্ধ করে নিতে পারেন। নাহলে আরও কিছুটা গ্রেভি করতে পারেন।

গ্রেভির জন্য ডিম দিয়ে মশলা মাখানোর পর আধ কাপ মত পানি দিয়ে ঢাকা দিয়ে কম আঁচেই মিনিট ২-৩ রান্না করে নিলেই তৈরি ডিম লাবাবদার। যেটা একবার খেলেই বারবার খেতে ইচ্ছা করবে।

 

তথ্যসূত্র : রিমিস ড্রিম 


আরও খবর

আদর্শ সবজি সজিনা

শুক্রবার ০৪ নভেম্বর ২০২২

পাহাড়ের টক-মিষ্টি ফল লটকন

বৃহস্পতিবার ০৭ জুলাই ২০২২




প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া চলছে আওয়ামী লীগে

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ২১জন দেখেছেন

Image

জহিরুল কবির আমজাদ: রাজনৈতিক অঙ্গনের প্রধান ইস্যু আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। গত ডিসেম্বর থেকে কার্যত নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আসন্ন নির্বাচনে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি নাএখনো পরিস্কার নয়, তবে ক্ষমতাসীন দল নির্বাচনের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। আগামী নির্বাচনে কাদের কপালে জুটবে নৌকার মনোনয়ন তা নিয়ে দলটির মধ্যে কানাঘুষা শুরু হয়ে গেছে। আবার বর্তমান এমপি হয়েও ব্যর্থতার কারণে নৌকা থেকে কারা ছিটকে পড়তে পারেন, তা নিয়েও চলছে জল্পনাকল্পনা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ নির্বাচন ঘিরে দলের হাইকমান্ড যোগ্য প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করেছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে মূলত দুভাবে তালিকা করা হচ্ছে। প্রথমে এমপিদের ওপর জরিপ চালানো হচ্ছে। যে সব এমপি বিতর্কিত, তাদের স্থলে কাদের মনোনয়ন দেওয়া যেতে পারে, সেই তালিকাও করা হচ্ছে। বিকল্প হিসেবে এক আসনে কয়েকজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এ ধরনের কাজে যুক্ত একজন কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য যারা আছেন তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। যারা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িতে থাকায় মাঝে মধ্যে আলোচনায় আসছেন তাদের বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বর্তমান এমপিদের মধ্যে কাদের সন্তানরা দেশের বাইরে অবস্থান করছেন, কোন দেশে অবস্থান করছেন, সেসব বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে আলাপে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে, প্রকাশ্যে কেউ এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, আগামী নির্বাচনের জন্য যথাযত প্রস্তুতি রয়েছে দলের। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় সম্মেলনের পর আমরা নির্বাচনের জন্য মাঠে নেমে গেছি। তৃণমূল পর্যায়েও আমরা কাজ শুরু করেছি। দলীয় প্রার্থী নির্বাচনে আমরা বিগত সময়ের মতো বেশ কয়েকটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। যাদের জনপ্রিয়তা আছে, এলাকায় যাদের গ্রহণযোগ্যতা ভালো, তাদের ওপর দল আস্থা রাখবে।

আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের সম্পাদক নেতারা জানান, প্রার্থীর পাশাপশি দলীয়ভাবেও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ের প্রস্তুতি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। দল ও সহযোগী সংগঠনকে তৃণমূল পর্যন্ত সুসংগঠিত করার পাশাপাশি নির্বাচনকেন্দ্রিক কাজগুলো এগিয়ে নিচ্ছে দলটি। তৃণমূলের সব পর্যায়ে ভোটের আমেজ তৈরি করতে কাজ করছের দলের নেতারা। নিজ দলের নেতাদের সক্রিয় করতে সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্তরা মাঠে অবস্থান করছেন। নিজ নিজ কর্মসূচির পাশাপাশি বিরোধী দলের কর্মসূচির দিকেও নজর রাখছেন ক্ষমতাসীনরা। কর্মসূচির পাশাপাশি মাঠে মিছিল, মিটিং কিংবা জনসভা ছাড়াও ভেতরে ভেতরে দলকে গুছিয়ে নিচ্ছেন দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা।

জানা যায়, আগামী নির্বাচনে কারা দলীয় প্রার্থী হবেন তা নিয়েও কাজ শুরু হয়েছে। আপাতত একাদশ জাতীয় সংসদের এমপিদের আমলনামা নিয়েই কাজ চলছে। সরকারের বিশেষ ৩টি সংস্থার পাশাপাশি সাংগঠনিকভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে এমপিদের সার্বিক কর্মকাণ্ড। আগামী নির্বাচনে যাদের ওপর আস্থা রাখা যায় তাদের তালিকা আলাদাভাবে তৈরি করা হচ্ছে। যারা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন, তাদেরও তালিকা তৈরি করছে দলটি। এখানেই শেষ নয়, বিতর্কের কারণে যারা বাদ পড়তে পারেন তাদের আসনে বিকল্প প্রার্থীও খুঁজে দেখা হচ্ছে।

চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ ভবনে সরকারি দলের সভাকক্ষে আওয়ামী লীগের সংসদীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সংসদ সদস্যদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, জনগণ যাদের চায় তাদেরই মনোনয়ন দেওয়া হবে। জনগণের সঙ্গে সম্পর্কহীন কিংবা অনেক ক্ষমতাধর মনে করা কেউই মনোনয়ন পাবেন না- তা পরিষ্কার করেই বলছি আমি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের অধিকাংশ সংসদ সদস্য নির্বাচনী আসনে নিয়মিত আসেন না। বেশির ভাগ সময় ঢাকায় অবস্থান করেন তারা। ফলে স্থানীয় ভোটাররা তাদের জনপ্রতিনিধিদের কাছে পান না। অন্যদিকে, পারিবারিক দ্বন্দ্বে যারা সামাজিক মর্যাদা খুইয়েছেন; ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দ্ব কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাদের আপত্তিকর ক্লিপ নেতিবাচকভাবে উপস্থাপিত হয়েছে তাদের বিষয়ও গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। এ ধরণের সংসদ সদস্যদের বিষয়ে এবার কঠোর হবে দলের হাইকমান্ড।

আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করে বলেন, প্রতি ছয় মাস পরপর সংসদ সদস্যদের ব্যাপারে তদন্ত করা হয়। সেই রিপোর্ট দলের হাইকমান্ডের কাছে রয়েছে। অতীতের কর্মযজ্ঞ আর জনসম্পৃক্ততাই আগামীর নৌকার টিকিট। আর যারা মাঠে যাননি, ভোটারদের খোঁজখবর নেননি, তারা এবার ছিটকে পড়বেন।

যে নেতাকর্মীরা দলের সুনাম নষ্ট করছেন, তারা কখনো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, দলকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। আওয়ামী লীগের নামে অপকর্ম করবেন না। যারাই অপকর্ম করছে তাদের এসিআর কিন্তু নেত্রীর কাছে জমা আছে। শেখ হাসিনার কাছে নমিনেশন চাইবেন, হিসাব আছে।

 


আরও খবর