Logo
শিরোনাম

নওগাঁর রাণীনগরে রাস্তা সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর রাণীনগরে পাকা রাস্তা সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়ম করার অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েক দিন থেকেই অনিয়ম করেই রাস্তা সংস্কারের কাজ চলছে। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, নওগাঁর রানীনগর উপজেলা এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজসে ঠিকাদার নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাস্তার কারপেটিংয়ের কাজ করছেন।

জানা যায়, রানীনগর উপজেলার বড়গাছা বাজার থেকে দেউলা পর্যন্ত পাকা রাস্তার মাঝে মাঝে কারপেটিং উঠে গিয়ে রাস্তারটির বেহলা দশায় পরিণত হয়। এতে দুর্ভোগে পরেন স্থানীয় লোকজনসহ রাস্তায় চলাচলকারী মানুষ। জনগণকে দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করতে বড়গাছা গ্রামের জিরো পয়েন্ট থেকে দেউলা অভিমুখি দুই কিলো ২০০ মিটার পাকা রাস্তা সংস্কার করার জন্য এলজিইডি থেকে টেন্ডার দেওয়া হয়। এতে কাজের ব্যয় ধরা হয় ৭০ লাখ টাকার বেশি। টেন্ডারে মেসার্স দিপু এন্ড ব্রাদার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পান। এরপর রাস্তার পুরাতন কারপেটিং তুলে বেশ কিছুদিন থেকে রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু করেন আব্দুর রহমান খান রেন্টু নামে ঠিকাদার।

জানা যায়, শুক্রবার রাস্তার কারপেটিং করার কাজ চলছে। উপজেলা এলজিইডি অফিসের একজন এসও কাজটি তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন। আর তার সামনেই ঠিকাদার রেন্টু তার কাজের শ্রমিক দিয়ে নিম্মমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাস্তার কারপেটিং কাজ করছে।

স্থানীয় ইকবাল হোসেন, এমদাদুল সহ আরো কয়েক জন জানান, কাজের শুরু থেকেই কাজে ব্যাপক অনিয়ম করা হচ্ছে। রাস্তার পুরাতন কারপেটিং তুলে ওর উপরেই রাস্তায় রোলার করেছে। আবার নিম্নমানের পাথর, ডাষ্ট এবং কম পরিমান বিটুমিন দিয়ে কারপেটিংয়ের কাজ চালানো হচ্ছে। এভাবে অনিয়ম করে কাজ চলতে থাকলে রাস্তা বেশি দিন টিকসই হবে না। সঠিকভাবে রাস্তার কাজ করার দাবি জানান স্থানীয়রা।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাজের ঠিকাদার আব্দুর রহমান খান রেন্টু বলেন, রাস্তা সংস্কার কাজে কোন অনিয়ম হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে।

রাণীনগর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ইসমালই হোসেন বলেন, কাজ দেখভালের জন্য অফিসের লোক সব সময় আছে। আমি নিজেও রাস্তায় গিয়েছি। নিময় অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে নওগাঁ এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল আহম্মেদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে রাস্তার কাজে অনিয়মের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



নওগাঁয় প্রাইভেটকার তল্লাসি, ৭২ কেজি গাঁজা সহ যুবক আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় প্রাইভেট কারে তল্লাশি চালিয়ে ৭২ কেজি গাঁজা উদ্ধার সহ মনির হোসেন (৪২) নামে এক যুবককে আটক করেছে র‍্যাব। এ সময় প্রাইভেট কার চালক কৌশলে পালিয়ে যায়। বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় নওগাঁ সার্কিট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় র‍্যাব-৫ এর কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোঃ শেখ সাদিক। গাঁজা সহ আটককৃত যুবক মনির হোসেন হলেন, সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার কুচরাই গ্রামের মোসলেমের ছেলে। জানা যায়, বুধবার মাদক ব্যবসায়ী মনির ও আলমগীর কুমিল্লা হতে নওগাঁর বদলগাছী এলাকায় প্রাইভেট কার এ গাঁজা নিয়ে আসবে। এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাবের চৌকস আভিযানিক দল নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ৪ মাথায় গোয়েন্দা নজরদারী বাড়িয়ে দিয়ে চেকপোস্ট স্থাপন করে এবং তল্লাশী করার সময় প্রাইভেট কারে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ৭২ কেজি গাঁজা ও প্রাইভেট কার সহ মুনির হোসেন কে হাতেনাতে আটক করেন। তবে চালক আলমগীর কৌশলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে প্রাইভেট কারে লুকিয়ে রাখা গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

মেজর শেখ সাদিক আরো বলেন, আটতকৃত মনির ও পলাতক আলমগীর (চালক) চিহ্নিত পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা কুমিল্লার সীমান্তবর্তী অঞ্চল হতে গাঁজার চালান সংগ্রহ করে আইন-শৃংখলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাইভেট কার নিয়ে গাঁজা সরবরাহ করে আসছিল। বুধবার দুপুরে আটককৃত মুনির হোসেন কে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরণ করেন বদলগাছী থানা পুলিশ।


আরও খবর



ইংল্যান্ডের স্কুলে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

ইংল্যান্ডের সব স্কুলে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। এক্স হ্যান্ডলে একটি ভিডিওয় এই ঘোষণা করেন তিনি। মোবাইল ফোনের ওপরে বিধিনিষেধের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, স্কুলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে ফোন। ব্যাহত হয় পঠনপাঠন। সরকারি নির্দেশিকায় বিষয়টিতে নজরদারির জন্য প্রধানশিক্ষকের ওপরে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে নানা উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে। পড়ুয়ারা যাতে স্কুলে ফোন না নিয়ে আসে তা শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। আবার কেউ ফোন আনলে তা যাতে লকারে সুরক্ষিতভাবে রাখা যায়, ওই বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে, ক্লাস চলাকালীন যেন কেউ যাতে ফোন ব্যবহার না করে কিংবা ফোনের আওয়াজে পড়াশোনা ব্যাহত না হয়। শিক্ষামন্ত্রী স্কুলে পড়াশোনার ধারাবাহিকতার ওপরে জোর দিয়েছেন।

মোবাইল ফোন কিভাবে কাজে বিঘ্ন ঘটায়, তা বোঝাতে ৫১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন সুনক। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তিনি যখনই কিছু বলতে যাচ্ছেন, বার বার বেজে উঠছে ফোন। সুনক বলেছেন, 'প্রায় এক তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছে, ফোনের জন্য কিভাবে তাদের পঠনপাঠনে বিঘ্ন ঘটে। অনেক স্কুল ইতিমধ্যেই ফোনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যার ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পরিবেশের উন্নতি ঘটেছে। এবার নতুন করে এ বিষয়ে নির্দেশিকা দেয়া হলো। যাতে সব স্কুলই এই বিষয়টি মেনে চলে। ছাত্রছাত্রীদের যে শিক্ষা প্রয়োজন, তা যেন সকলে পায়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই আমরা।

তবে সুনকের এই ভিডিওর সমালোচনা করেছেন অনেকেই। কারো কারো মন্তব্য, 'খুবই দুর্বল অভিনয় দক্ষতা। বিরোধী লেবার পার্টিও ওই ভিডিওকে ব্যঙ্গ করে একই ধরনের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সুনক কিছু বলতে যাচ্ছেন কিন্তু বার বার ফোনে নোটিফিকেশন আসছে। কখনো ব্রিটেনে আর্থিক মন্দার খবর, আবার কখনো অভিবাসন কিংবা স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত সমস্যা সংক্রান্ত বার্তাও আসছে ফোনে।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরও খবর

রেকর্ড ব্যবধানে পুতিনের বিজয়

সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪




হার্টের রিংয়ের দাম কমাতেই হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ওষুধ ও হার্টের রিংয়ের দাম নির্ধারণে বৈঠক বসেছে। তবে দাম কমাতেই হবে। স্বাস্থ্যখাতে এত অসঙ্গতি, এর কোনোটার দায়ই মন্ত্রী হিসেবে এড়ানো সম্ভব নয়। দায় মাথায় নিয়েই কাজ করতে হবে।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে, যেকোনো দিন মন্ত্রী হিসেবে অভিযানে যাওয়া যাব আমি।

অভিযানে অবৈধ প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে চিকিৎসাসেবা নেওয়া মানুষের ভোগান্তি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ভুল জায়গায় চিকিৎসা নেওয়ার চেয়ে চিকিৎসা না নেওয়া ভালো। সঠিক জায়গায় চিকিৎসা নেওয়া উচিত।


আরও খবর



মেট্রোরেলে স্টেশন কন্ট্রোলার হিসেবে নিয়োগ পেলেন মাভাবিপ্রবির সুমন

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

মো হৃদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

মেট্রোরেলের স্টেশন কন্ট্রোলার হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) এর রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সুমন মিয়া। একই বিভাগ থেকেই  স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন শেরপুর সদর উপজেলার বলাইরচর ইউনিয়নের  আব্দুল হামিদের  ছেলে মো. সুমন মিয়া। সুমনের এই সাফল্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সকলেই অনেক আনন্দিত। স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে নানা চড়াই-উতরাই পার করে আজ (শনিবার) তিনি মেট্রোরেলের স্টেশন কন্ট্রোলার হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন  বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি  মো হৃদয় হোসাইন। 

প্রশ্ন: মেট্রোরেলের স্টেশন কন্ট্রোলার হওয়ার পর অনুভূতি কেমন? 

সুমন: বাংলাদেশের জন্য মেট্রোরেল যেমন স্বপ্নের মতো, ঠিক তেমনি মেট্রোরেল আমার কাছেও একটা স্বপ্ন। আমি নিজে মেট্রোরেলের একটি স্টেশনের কন্ট্রোলার, এটা ভেবে এখনই বেশ আনন্দ লাগছে। এখন মূল কাজ সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ নেওয়া এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করা।

প্রশ্ন: মেট্রোরেলের স্টেশন কন্ট্রোলারদের বেতন স্ট্রাকচার কেমন ? 

সুমন: সর্বসাকুল্যে মেট্রোরেল স্টেশন কন্ট্রোলার হিসাবে প্রতি মাসে বায়ান্ন হাজার সাতশত  টাকা পাবো। চাকুরীটি মূলত ১০ম গ্রেডের। যার বেসিক বত্রিশ হাজার টাকা। এর সাথে ৬০% বাড়ি ভাড়া ও ১৫০০ টাকা মেডিকেল বিল যুক্ত হবে।

প্রশ্ন: কর্মজীবনে আপনি স্টেশন কন্ট্রোলারদের স্থানটি কেন বেঁছে নিলেন? 

সুমন: আমার জীবনের একটা প্রধান লক্ষ্য ছিল হালাল উপায়ে অর্থ উপার্জন করে সহজভাবে জীবন ধারণ করা এবং বাবা মাকে খেদমত করা। আমি মনে করি মেট্রোরেল ই বাংলাদেশের একটি সেক্টর, যার মাধ্যমে হালাল উপায়ে একটা স্মার্ট সেলারি দিয়ে বাবা মার খেদমত সহ সহজভাবে জীবন ধারণ করা সম্ভব। তাই আমি  আমার  কর্মজীবনে মেট্রোরেলকেই বেছে নিয়েছি। মেট্রোরেলের স্টেশন কন্ট্রোলার হতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত এবং  একই সাথে আনন্দিত এই ভেবে যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দুরদর্শি নেতৃতে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের অন্যতম দ্রুতগামী পরিবহনের অংশ হতে পেরেছি। 


প্রশ্ন: মেট্রোরেল স্টেশন কন্ট্রোলার হিসাবে ট্রেনিং এর সুযোগ-সুবিধা কেমন?

সুমন: প্রাথমিকভাবে ঢাকায় উত্তরার দিয়াবাড়িতে বিশেষ ট্রেনিং  নিবে বলে আমাকে জানানো  হয়েছে। এখানে মেট্রোরেলের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জাপানের মিতসুবিশি-কাওয়াসাকি কোম্পানির বিশেষজ্ঞরা ট্রেন পরিচালনার কারিগরি ও প্রায়োগিক নানা প্রশিক্ষণ দিবেন। এরপর তিনি দিল্লি মেট্রোরেল একাডেমিতে প্রশিক্ষণে অংশ নিতে হবে। প্রয়োজনে ট্রেন পরিচালনায় যুক্ত ব্যক্তিদের জাপানেও প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা আছে কর্তৃপক্ষের বলে আমি জানতে পেরেছি। 

প্রশ্ন: আপনার স্বপ্নপূরনের গল্পটি জানতে চাই?

সুমন: এটি এক অনন্য স্বপ্ন পূরণের পথচলা। এই স্বপ্ন পূরণে অনেকের অবদান ছিল। তাদের মধ্যে অন্যতম আমার মা-বাবা এবং আমার জীবন ট্রেনের একমাত্র যাত্রী ফারজানা আক্তার লাবণ্য ( স্ত্রী)। যাদের অনুপ্রেণা আর সাহস ছিল আমার জীবনের একমাত্র পথচলা। ছোটকাল আমার মায়ের দিকনির্দেশনা আর বাবার মেশিনের ফয়েলের মত শক্তিই ছিল একমাত্র পাথেয়। আমার বাবা একজন কৃষক এবং মা গৃহিণী। আমার বাবার ইচ্ছে ছিল আমার ছেলেদের  যেন আমার মত কঠোর পরিশ্রম করতে না হয়। তাই তার জীবনের সবকিছু দিয়ে আমাদের লেখা করিয়েছেন। আমি তিন ভাইয়ের মধ্যে ছোট ছেলে ছিলাম। আমি আমার  তিন ভাইয়ের মধ্য পড়ালেখায় তুলনামূলকভাবে ভাল ছিলাম। তাই আমার আব্বু আম্মুর ইচ্ছে ছিল আমি যেন ভাল কিছু করতে পারি। তাই ছোট থেকে আমি বাবা মার ইচ্ছে পূরণে ছিলাম অটল। বাবা মার সর্বোচ্চ ইচ্ছা পূরণ না করতে পারলেও অনেকটাই পেরেছি। আমি চাকরিটা পেয়ে যখন আমার আব্বু আম্মু কে ফোন দিয়েছি তারা শুনে কান্না করে দিয়েছে। এই কান্না দু:খের কান্না নয় বরং সুখের কান্না বটে এবং  একই সাথে তারা অত্যন্ত আনন্দিত যে আমি মেট্রোরেলের মত দ্রুতগামী পরিবহনের অংশ হতে পেরেছি। আমার জীবনের পথ চলার আরো একটি মানুষের অবদান অত্যন্ত অনস্বীকার্য সে হল আমার জীবনের ট্রেনের একমাত্র যাত্রী আমার অর্ধাঙ্গিনী। আমি অনার্স ফাইনাল পরিক্ষা দিয়েই বিয়ে করি। আমি যখন বিয়ে করি তখন আমার হাতে নিজের বলে কোনো টাকা ছিল না। আব্বু নিজে টাকা দিয়ে একটা শাড়ি কিনে দেয়। সেটাই ছিল আমার পক্ষ তাকে দেওয়া একমাত্র উপহার। তবুও চার বছরে আমার কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। বলেনি তুমি আমাকে কিছু দেওনি। আমার চরম হাতাশার দিনের যাদের সবসময় কাছে পেয়েছি তাদের অন্যতম আমার মা এবং আমার অর্ধাঙ্গিনী। এমনও সময় ছিল যে চাকরির পরিক্ষায়  আমি সিলেক্টড হয়নি তাই নিজের নিজের প্রতি বিরক্ত। কিন্তু আমার অর্ধাঙ্গিনী তখন আমাকে বলতো এত হতাশ হচ্ছো কেন আল্লাহ চায়নি তাই হচ্ছে না, আমি বিশ্বাস করি তুমি পারবে। আরও বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তোমার জন্য উত্তম কিছুই রাখছে। আমি তখন নিজেকে আরো নতুন ভাবে আবিষ্কার করতাম। আবার নতুন উদ্দীপনা নিয়ে পড়াশোনা শুরু করতাম। বলা চলে আমার অর্ধাঙ্গিনী ছিল সাগরে ভাসমান আমার জীবনের ভেলা।তার এবং আমার বাবা মার অনুপ্রেরণায় আজ আমি আমার স্বপ্ন বাস্তবায়নের শুভ সূচনা করতে পেরেছি। 

প্রশ্ন : মেট্রোরেল এর স্টেশন কন্ট্রোলার হিসাবে ক্যারিয়ার গড়ার উদ্দেশ্য কিছু বলবেন?  

সুমন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিস্ময়কর এক প্রকল্প মেট্রোরেল। তিনি সব সময় দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ চালিত, পরিবেশবান্ধব ও দ্রুতগামী এ মেট্রোরেলের প্রতিটি কোচ শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থার যুগে প্রবেশ করেছে। ক্যারিয়ার হিসাবে মেট্রোরেলকে অবশ্যই অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে। এর স্যালারি স্ট্রাকচারও বেশ ভালো। যা দিয়ে সাচ্ছন্দ্যে পরিবার নিয়ে হালাল ভাবে জীবনযাপন করা সম্ভব।


আরও খবর



নওগাঁয় কম্পিউটার ব্যবসার অন্তরালে অশ্লিল ভিডিও বিক্রি করায় ৩ যুবক আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

নওগাঁয় কম্পিউটার ব্যবসার অন্তরালে পর্নোগ্রাফি ভিডিও বিক্রি করায় ৩ যুবককে আটক করেছে র‍্যাব-৫, সিপিসি-৩, এর চৌকস অভিযানিক দল। সোমবার দিনগত রাত ৮ টারদিকে নওগাঁর ধামুরহাট উপজেলার মঙ্গলবাড়ী বাজারে অভিযান চালিয়ে

তাদের নিজ নিজ দোকান থেকে আটক করা হয়।

আটককৃত ৩ জন যুবক হলেন, নওগাঁর মুকুন্দপুর গ্রামের নৃপেন্দ্র নাথ সরকার এর ছেলে শ্রী নিত্য সরকার (২৪) এবং পার্শ্ববর্তী জয়পুরহাট জেলাধীন বিল্লা গ্রামের আজিজুল ইসলাম এর ছেলে শহিদ হোসেন (২২) ও দোগাছী গ্রামের আবু হানিফ এর ছেলে সিফাত হোসেন (১৮)।

সত্যতা নিশ্চিক করে মঙ্গলবার র‍্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট কাম্প থেকে জানানো হয়, তরুণ ও যুব সমাজের মূল্যবোধের অবক্ষয়ের অন্যতম প্রধান কারণ পর্নোগ্রাফি (অশ্লিল ভিডিও)। আটককৃতরা মঙ্গলবাড়ী বাজারে তাদের কম্পিউটার ব্যবসা (দোকানের) অন্তরালে তারা তাদেন নিজস্ব কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে সিনেমা ও গানের পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি (অশ্লিল) ভিডিও সংরক্ষণ করে টাকার বিনিময়ে পর্নোগ্রাফি ভিডিও গুলো বিভিন্ন ইলেকট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমে স্থানীয় কিশোর ও যুব সমাজ সহ স্কুল পডুয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে সরবরাহ করত। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের গোয়েন্দা দল অশ্লিল সিনেমা ও গানের ভিডিও ক্লিপ আপলোড ব্যবসার পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি ভিডিও সরবরাহের বিষয়টি তদন্ত শুরু করে এর সত্যতা পায়। এরপর র‌্যাবের অভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে তাদের হাতেনাতে আটক পূর্বক নওগাঁর ধামইরহাট থানায় হস্তান্তর করা হয়।

পরে মঙ্গলবার আটককৃত ৩ জনকে আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরণ করেন ধামইরহাট থানা পুলিশ।


আরও খবর