
শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :
নওগাঁর রাণীনগরে পাকা রাস্তা সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়ম করার অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েক দিন থেকেই অনিয়ম করেই রাস্তা সংস্কারের কাজ চলছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নওগাঁর রানীনগর উপজেলা এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজসে ঠিকাদার নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাস্তার কারপেটিংয়ের কাজ করছেন।
জানা যায়, রানীনগর উপজেলার বড়গাছা বাজার থেকে দেউলা পর্যন্ত পাকা রাস্তার মাঝে মাঝে কারপেটিং উঠে গিয়ে রাস্তারটির বেহলা দশায় পরিণত হয়। এতে দুর্ভোগে পরেন স্থানীয় লোকজনসহ রাস্তায় চলাচলকারী মানুষ। জনগণকে দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করতে বড়গাছা গ্রামের জিরো পয়েন্ট থেকে দেউলা অভিমুখি দুই কিলো ২০০ মিটার পাকা রাস্তা সংস্কার করার জন্য এলজিইডি থেকে টেন্ডার দেওয়া হয়। এতে কাজের ব্যয় ধরা হয় ৭০ লাখ টাকার বেশি। টেন্ডারে মেসার্স দিপু এন্ড ব্রাদার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পান। এরপর রাস্তার পুরাতন কারপেটিং তুলে বেশ কিছুদিন থেকে রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু করেন আব্দুর রহমান খান রেন্টু নামে ঠিকাদার।
জানা যায়, শুক্রবার রাস্তার কারপেটিং করার কাজ চলছে। উপজেলা এলজিইডি অফিসের একজন এসও কাজটি তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন। আর তার সামনেই ঠিকাদার রেন্টু তার কাজের শ্রমিক দিয়ে নিম্মমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাস্তার কারপেটিং কাজ করছে।
স্থানীয় ইকবাল হোসেন, এমদাদুল সহ আরো কয়েক জন জানান, কাজের শুরু থেকেই কাজে ব্যাপক অনিয়ম করা হচ্ছে। রাস্তার পুরাতন কারপেটিং তুলে ওর উপরেই রাস্তায় রোলার করেছে। আবার নিম্নমানের পাথর, ডাষ্ট এবং কম পরিমান বিটুমিন দিয়ে কারপেটিংয়ের কাজ চালানো হচ্ছে। এভাবে অনিয়ম করে কাজ চলতে থাকলে রাস্তা বেশি দিন টিকসই হবে না। সঠিকভাবে রাস্তার কাজ করার দাবি জানান স্থানীয়রা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাজের ঠিকাদার আব্দুর রহমান খান রেন্টু বলেন, রাস্তা সংস্কার কাজে কোন অনিয়ম হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে।
রাণীনগর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ইসমালই হোসেন বলেন, কাজ দেখভালের জন্য অফিসের লোক সব সময় আছে। আমি নিজেও রাস্তায় গিয়েছি। নিময় অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে নওগাঁ এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল আহম্মেদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে রাস্তার কাজে অনিয়মের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।