Logo
শিরোনাম

নওগাঁর সরস্বতীপুরে শিশু কিশোর ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার সরস্বতীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে  শিশু কিশোর ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও ইউনিসেফ কর্তৃক আয়োজিত এবং নওগাঁ জেলা ক্রীড়া অফিসের তত্ত্বাবধানে সরস্বতীপুর উচ্চ বিদ্যালয় ভেন্যুতে শিশু কিশোর ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৩ ইং অনুষ্ঠিত হয় এবং ক্রীড়া প্রতিযোগীতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পরুস্কার বিতরণ করা হয়। 

ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও পরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবু হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ জেলা ক্রীড়া অফিসার মোঃ আবু জাফর।  এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, মহাদেবপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইদুর রহমান লিটন, সরস্বতীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সায়েম, সরস্বতীপুর উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক তরফদার সহ ইউনিসেফ এর জেলা প্রতিনিধি সহ সুধীজনরা।


আরও খবর



নওগাঁয় ৩দিন ব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৯০জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা সারে ১১টায় নওগাঁ সদর উপজেলা পরষিদ চত্বরে ফিতা কেটে ও ফেস্টুন উড়িয়া এর উদ্বোধন করেন নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন।

পরে উপজেলা হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মির্জা ইমাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান ইলিয়াস তুহিন রেজা, মহিলা ভাইস চেয়ারম‍্যান শাহনাজ আক্তার নাইস, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারহানা নাজনীনসহ প্রমুখ। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্মল কৃষ্ণ সাহা, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহবুবুল হক কমল।

এর আগে একটি আনন্দ র‌্যালী বের করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করা হয়। আধুনিক প্রযুক্তির সম্পসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মেলায় প্রায় ৫০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।

এছাড়াও একই অনুষ্ঠানে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের খরিপ ১/২০২৩-২৪ মওসুমে উফশী আউশ ও পাট উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে প্রনোদনা কর্মসূচীর আওতায় ৩ হাজার ৩৩৫ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্য সার ও বীজ বিতরণ করা হয়। 


আরও খবর



করোনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক শিশুরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৯১জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার : করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকার সময় প্রতি পাঁচজন শিশুর মধ্যে একজনেরও কম (১৮ দশমিক ৭ শতাংশ) দূরশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নেয়। করোনা মহামারির কারণে বিশ্বের যেসব দেশে দীর্ঘ সময় ধরে স্কুল বন্ধ ছিল সেগুলোর একটি হলো বাংলাদেশ। এই বন্ধের কারণে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রান্তিক পর্যায়ের শিশুরা, যাদের ইন্টারনেট ও টেলিভিশন ব্যবহারের সুযোগ সীমিত এবং যাদের বাড়িতে কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের মতো সহায়ক ডিভাইসের অভাব রয়েছে। তা ছাড়া শহর এলাকার শিশুদের (২৮ দশমিক ৭ শতাংশ) তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় কমসংখ্যক শিশু (১৫ দশমিক ৯ শতাংশ) দূরশিক্ষণ ক্লাসে অংশ নেয়।

ন্যাশনাল সার্ভে অন চিলড্রেনস এডুকেশন ইন বাংলাদেশ-২০২১ শীর্ষক জরিপ প্রতিবেদনে শিশুদের লেখাপড়ার ওপর স্কুল বন্ধ থাকার প্রভাব ওঠে এসেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও ইউনিসেফ যৌথভাবে জরিপটি পরিচালনা করে।

বড় ধরনের ভৌগোলিক বৈষম্যের বিষয়টিও জরিপে দেখা গেছে, দূরশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের হার সবচেয়ে বেশি ছিল খুলনায় ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ঢাকায় ২৩ দশমিক ১ শতাংশ। সবচেয়ে কম ছিল ময়মনসিংহে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। সবচেয়ে কম বয়সি শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে। দূরশিক্ষণ ক্লাসে অংশগ্রহণের হার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের (নিম্ন মাধ্যমিকে ২০ দশমিক ৩ শতাংশ ও উচ্চমাধ্যমিকে ২৩ দশমিক ৭ শতাংশ) তুলনায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের ক্ষেত্রে (১৩ দশমিক ১ শতাংশ) ছিল কম।

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, শিশুদের ওপর মহামারির প্রভাব দেশজুড়ে এখনো একই রকম। শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো বেশি মাত্রায় অভিঘাত সহনশীল করতে ডিজিটাল বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে। উদ্ভাবনী প্রতিকারমূলক শিক্ষাসহ পড়াশোনার ক্ষতি দূর করতে ইউনিসেফ বাংলাদেশ সরকারকে কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে।

জরিপে বাল্যবিবাহ সম্পর্কিত মহামারি-পরবর্তী প্রাথমিক উপাত্ত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। জরিপটি এ ক্ষেত্রে নিম্নমুখী প্রবণতা নির্দেশ করে, যা সতর্কতার সঙ্গে আশাবাদী হওয়ার কারণ। শিশুদের পরিস্থিতির ওপর দেশের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য জরিপ ২০১৯ সালের বাংলাদেশ মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে (এমআইসিএস) অনুসারে, ৫১ দশমিক ৪ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়েছে তাদের বয়স ১৮ বছর হওয়ার আগে। ২০২৪ সালে হতে যাওয়া পরবর্তী এমআইসিএস নিশ্চিত করবে যে ন্যাশনাল সার্ভে অন চিলড্রেনস এডুকেশন ইন বাংলাদেশ ২০২১ জরিপে নির্দেশিত বাল্যবিবাহ ইতিবাচক নিম্নগামী প্রবণতা টিকে আছে কি-না।


আরও খবর

বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মডেল

শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩




সেন্ট মার্টিন ও ছেঁড়াদ্বীপের ভবিষ্যৎ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, যাকে ঘিরে রয়েছে অপার পর্যটন সম্ভাবনা। প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ অবসর যাপনের জন্য ভিড় করে দেশের সর্বশেষ প্রান্তে অবস্থিত এই নীল জলের দ্বীপে। সারি সারি নারিকেলগাছ আর কেয়াবনের সৌন্দর্য সেন্ট মার্টিনের গ্রহণযোগ্যতা আরও অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয় ভ্রমণপিপাসুদের কাছে। কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলায় অবস্থিত এই দ্বীপ বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। এই দ্বীপটি ঠিক কত আগে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে উঠেছিল তার সঠিক দিন-তারিখ খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুরুতে এই দ্বীপটিকে জিঞ্জিরা নামে ডাকা হতো। যা পরবর্তীতে নারিকেল জিঞ্জিরা, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, দারুচিনি দ্বীপ ইত্যাদি নামে পরিচিতি পেয়েছে। সেন্ট মার্টিন নামকরণের দুই রকম ইতিহাস থাকলেও ধারণা করা হয় চট্টগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মার্টিনের নামানুসারেই এর নাম সেন্ট মার্টিন দ্বীপ হয়। ভৌগোলিকভাবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে তিনটি অংশে ভাগ করা যায়।

যার উত্তর অংশের ভাগকে বলা হয় উত্তর পাড়া বা নারিকেল জিঞ্জিরা। দক্ষিণ অংশকে বলা হয় দক্ষিণ পাড়া এবং দক্ষিণ-পূর্বদিকে বিস্তৃত লেজের মতো অংশটিকে ডাকা হয় গলাচিপা নামে। এই দ্বীপের দক্ষিণে ছোট আরেকটি দ্বীপ আছে যা স্থানীয়ভাবে ছেঁড়াদিয়া বা ছেঁড়া দ্বীপ নামে পরিচিত। জনশূন্য এই দ্বীপে ভাটার সময় হেটে যাওয়া গেলেও জোয়ারের সময় প্রয়োজন হয় নৌকা। তবে পর্যটকরা বেশিরভাগই ট্রলার, স্পিডবোট ইত্যাদিতে করে ছেঁড়াদ্বীপে যান। অনেকে আবার বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেলও ব্যবহার করেন, যা এই দ্বীপের বিভিন্ন স্থানে ভাড়ায় পাওয়া যায়। এত সুন্দর ভৌগোলিক পরিবেশে অবস্থিত এই দ্বীপের বর্তমানে বড়ই বেহাল দশা। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার ফলে সেন্ট মার্টিনের পরিবেশের উপর পড়ছে বিরূপ প্রভাব। প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে প্রবালের পরিমাণ। কমছে গাছপালা আচ্ছাদিত অঞ্চলের পরিমাণ, নষ্ট করা হচ্ছে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ীঠা কেয়াবন। যেখানে ১৯৯৬-৯৭ সালে সেন্ট মার্টিনে বার্ষিক পর্যটকের পরিমাণ ছিল মাত্র ১৫০-২০০ জন সেখানে এখন প্রতি বছর লক্ষাধিক পর্যটক ভিড় করছেন এই দ্বীপে। একদিকে যেমন পর্যটন সম্ভাবনা বিকশিত হয়েছে অন্যদিকে হচ্ছে পরিবেশের বিপর্যয়।

যে প্রবালকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে স্বচ্ছ জলধারার এই দ্বীপ সেটিই এখন প্রবালশূন্য হওয়ার পথে। গত চার দশকে এই দ্বীপে প্রবালের পরিমাণ কমেছে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ। অথচ শুধু এই প্রবালের উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে এই দ্বীপ। প্রবাল কমে যাওয়ায় এই দ্বীপের আয়তনও কমা শুরু হয়েছে। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের ধারণা, এভাবে চলতে থাকলে ২০৪৫-৫০ সালের মধ্যে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ প্রবালশূন্য হয়ে বঙ্গোপসাগরে তলিয়ে যাবে। প্রবালকে আমরা সাধারণভাবে পাথর মনে করলেও এটি এক ধরনের অমেরুদন্ডী প্রাণী। এর বাইরের আবরণ শক্ত হওয়ায় আমরা একে পাথর ভেবে ভুল করে থাকি।

 সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু প্রতিবেদনে লক্ষ্য করা যায়, সেন্ট মার্টিনে হোটেল-মোটেল ও আবাসিক স্থাপনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত পর্যটকের চাপ সামলাতে এই স্থাপনাগুলো গড়ে উঠছে। ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে এবং নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। প্রবাল পাথরগুলোকে ভেঙে হোটেল নির্মাতাদের কাছে বিক্রি করছেন স্থানীয় মানুষজন। যা সেন্ট মার্টিনের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। অল্প কিছু টাকার জন্য তারা নিজেদের আবাসস্থলকে ফেলছে অসম্ভব বড় ঝুঁকিতে। এই মানুষ হয়তো অজ্ঞতার ফলে বুঝতে পারছে না এই প্রবালের সঙ্গেই নির্ভর করছে তাদের টিকে থাকা, এই দ্বীপের টিকে থাকা।

ব্যক্তি বা বেসরকারি পর্যায়ে অনেকেই গবেষণা করছেন সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে কিন্তু সবার গবেষণালব্ধ ফলাফলই আমাদের এই দ্বীপ সম্পর্কে অশনিসংকেত দিচ্ছে। স্থানীয় কিছু সংগঠন ও পরিবেশবাদী লোকজন এই বিষয়ে অল্পবিস্তর আলোচনা বা প্রতিবাদ করলেও হচ্ছে না কোনো প্রতিকার। তাদের ধারণা, কিছু প্রভাবশালী মহল সেন্ট মার্টিনে নিজেদের ব্যবসা প্রসারিত করতে গিয়ে চালাচ্ছেন এক ধ্বংসলীলা। সরেজমিনে গিয়েও আপনি একই চিত্র দেখতে পাবেন। যেখানে ২০১২ সালে সেন্ট মার্টিনে মাত্র ১৭-১৮টি হোটেল-রিসোর্ট ছিল এখন সেখানে হোটেল-রিসোর্টের সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়েছে। এসব হোটেল-রিসোর্টের সিংহভাগেরই মালিক বিভিন্ন বড় বড় ব্যবসায়ী কিংবা প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। টাকার খেলায় যারা ধরাকে সরা জ্ঞান করে চলেছেন প্রতিনিয়ত। স্থানীয় অধিবাসীদের শিক্ষা ও সচেতনতার অভাবকে কাজে লাগিয়ে কাজ করে যাচ্ছে এই কুচক্রী মহলের মানুষরূপী পরিবেশখেকোর দল।

সেন্ট মার্টিনে একসময় দেখা যেত বিরল প্রজাতির সব কাছিমসহ অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীদের। অথচ এসব প্রাণী এখন চোখেই পড়ে না। সরকারিভাবে এসব প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে আশানুরূপ কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না বলে পরিবেশবিদদের ধারণা। কয়েক প্রজাতির কাছিমের অভয়ারণ্য ও প্রজননস্থান হিসেবে সেন্ট মার্টিনের পশ্চিম বিচকে আলাদা করা হলেও এই বিচেও কমেছে কাছিমের আনাগোনা। স্বাভাবিক সময়ে এখন আর এখানে কাছিম দেখতে পাওয়া যায় না। তবে করোনাকালীন লকডাউনের সময় সেন্ট মার্টিন পর্যটকশূন্য থাকায় ঝাঁকে ঝাঁকে মা কাছিম এই সমুদ্রতটে এসে ডিম পেড়ে বাচ্চা ফুটিয়েছে। এতে সহজেই অনুমান করতে পারি আমরা পর্যটকরা এই সামুদ্রিক প্রাণীদের স্বাভাবিক প্রজননের ক্ষেত্রেও হুমকি তৈরি করছি।

সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ বিপর্যয় ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের জন্য অনিয়ন্ত্রিত ও অতিরিক্ত পর্যটক, পাথর তুলে ফেলা, প্রবাল উত্তোলন, আবাসিক হোটেলের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পর্যটকদের ব্যবহৃত সামগ্রী সমুদ্রের পানিতে ফেলা ইত্যাদি বিশেষভাবে দায়ী। গবেষকদের মতে, সেন্ট মার্টিনে নতুন জন্ম নেওয়া প্রবালগুলো জেলেদের জালের টানে নষ্ট হওযার সম্ভাবনা থাকে কারণ জেলেরা দ্বীপের তীর উপকূলবর্তী এলাকায় জাল ফেলে মাছ ধরেন। যেখানে জন্মায় সবচেয়ে বেশি প্রবাল। ধীরে ধীরে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দ্বীপের চারপাশের সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন ও সামুদ্রিক জলের রাসায়নিক পরিবর্তন যার মধ্যে অন্যতম প্রধান কারণ। সম্প্রতি সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ভারসাম্য রক্ষায় 'প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন' এলাকা ঘোষণা করে ভ্রমণে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

এতে বলা হয়েছে, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন এবং পর্যটকদের অসচেতনতা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, পরিবেশ এবং প্রতিবেশ বিরোধী আচরণের কারণে সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যসহ দ্বীপটিকে টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০)-এর ৪ ধারার ক্ষমতাবলে সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে এই বিধিনিষেধগুলো আরোপিত হয়েছে। নিষেধগুলোর মধ্যে রয়েছে- দ্বীপের সৈকতে বাইসাইকেল, মোটরসাইকেলসহ কোনো ধরনের যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক বাহন না চালানো।

সৈকত বা সমুদ্রে পস্নাস্টিক বা অন্য কোনো ধরনের বর্জ্য না ফেলা। দ্বীপের চারপাশে নৌ-ভ্রমণ না করা। জোয়ার-ভাটা এলাকায় পাথরের ওপর দিয়ে হাঁটাচলা না করা। সামুদ্রিক কাছিমের ডিম পাড়ার স্থানে চলাফেরা না করা। সৈকতে মাইক না বাজানো, হইচই এবং উচ্চৈঃস্বরে গান-বাজনা না করা। স্পিডবোট, ট্রলার কিংবা অন্যান্য উপায়ে ছেঁড়াদ্বীপে না যাওয়া। প্রবাল, শামুক, ঝিনুক, কাছিম, রাজকাঁকড়া, সামুদ্রিক শৈবাল এবং কেয়া ফল সংগ্রহ ও ক্রয়-বিক্রয় না করা। সর্বোপরি সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পরিবেশ ও প্রতিবেশের জন্য ক্ষতিকর যে কোনো কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। সেন্ট মার্টিনের পরিবেশগত বিপর্যয়ের অন্যতম প্রধান কারণ পস্নাস্টিক। সম্প্রতি এই দ্বীপের মাত্র দেড় কিলোমিটার এলাকা থেকে প্রায় ১২০ কেজি পস্নাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

সংগৃহীত পস্নাস্টিক বর্জ্যের বেশির ভাগই ছিল একবার ব্যবহারযোগ্য কাপ, পেস্নট, চিপসের খালি প্যাকেট প্রভৃতি। আমরা জেনে কিংবা অজান্তেই এসব পস্নাস্টিক এই দ্বীপে ফেলে আসি যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। যেহেতু খাবার এবং পানির জন্য প্যাকেটজাত ও বোতলজাত পণ্যের উপর নির্ভর করতে হয় তাই নূ্যনতম সচেতন না হলে এই মারাত্মক দূষণ ঠেকানো কঠিনসাধ্য হবে। এছাড়া সেন্ট মার্টিনকে পর্যটনবান্ধব করতে এবং এর পরিবেশ বিপর্যয় রোধ করতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে। যত্রতত্র হোটেল তৈরি না করে নিয়ন্ত্রিত ও মানসম্পন্ন স্বল্পসংখ্যক হোটেল তৈরি করা যেতে পারে।

আধুনিক পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সর্বোপরি দ্বীপটিকে পর্যটকদের নিকট নিরাপদ ও আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে যাতে সেই সুন্দর স্থানটিকে কেউ নষ্ট করতে উদ্যত না হয়। মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে স্থানীয় প্রশাসন, কোস্ট-গার্ড, নৌ-বাহিনীসহ পরিবেশ অধিদপ্তরকে এগিয়ে আসতে হবে। সেই সঙ্গে পর্যটক হিসেবে আমাদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে এবং পরিবেশকে ভালোবাসতে হবে। তবেই প্রিয় সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে আমরা সবাই মিলে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে পারব।

 


আরও খবর

বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মডেল

শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩




নওগাঁয় মাদকসেবী ছেলেকে পুলিশে দিলেন বাবা-মা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মার্চ 2০২3 | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় মারপিট ও অত্যাচারে অতিষ্ট মা-বাবার অভিযোগে মাদকসেবী ছেলে শ্রীঘরে।

বৃহস্পতিবার মা-বাবার অভিযোগ এর ভিত্তি তে মাদকসেবী ছেলে ফিরোজ (৩৬)কে ১০ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সাথে তাকে ৫০০ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁর রানীনগর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহাদাত হুসেইন এ দন্ড আদেশ দেন। দন্ডপ্রাপ্ত ফিরোজ উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের কুজাইল গ্রামের সুজন সরদারের ছেলে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন জানান, ফিরোজ দীর্ঘদিন ধরে গাঁজা সেবন করে আসছিল। মাদক সেবন করে মাঝের মধ্যেই তার মাকে মারধর করাসহ পরিবারের লোকজনের উপর অত্যাচারও করতো। তার মা-বাবার এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ফিরোজের বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মাদক সেবন ও মাসহ পরিবারের লোকজনের উপর অত্যাচার করার বিষয়ে সত্যতা পাওয়ায় ফিরোজকে ১০ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা সহ ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

রাণীনগর থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম রেজা বলেন, দন্ডপ্রাপ্ত ফিরোজকে বৃহস্পতিবার দুপুরেই নওগাঁ জেল হাজাতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে আহম্মদিয়া মাদ্রাসায় গোপনে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১৮৫জন দেখেছেন

Image

এম. পলাশ শরীফ, মোরেলগঞ্জ বাগেরহাট:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি দাখিল মাদরাসায় গোপনে শিক্ষক, কর্মচারি নিয়োগ দিয়ে বিপাকে পড়েছেন এক মাদরাসা সুপার। ঘোলাটে পরিস্থিতিতে ইতোমধ্যে মাদরাসাটির শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমে গেছে। অভিভাবক, শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের মধ্যে বিরাজ করছে ক্ষোভ। দু’পক্ষের কঠোর অবস্থান ও উত্তেজনায় প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের উপক্রম হয়েছে। পঞ্চকরণ ইউনিয়নের আহম্মদিয়া দাখিল মাদরাসার ৩ টি শূণ্যপদে জনবল নিয়োগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে এ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে।

জানা গেছে, খারইখালী আহম্মদিয়া দাখিল মাদরাসাটিতে আয়া ও নিরাপত্তাকর্মী পদে লোক নিয়োগের জন্য ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। অনেকে ৫০০ টাকার অফেরৎযোগ্য পোষ্টাল অর্ডারসহ আবেদন করেন। কিন্তু কাউকে ইন্টারভিউ বোর্ডে ডাকা হয়নি। পরে ২০২২ সালে ২ অক্টোবর আবারও সহকারি সুপার, আয়া ও নিরাপত্তাকর্মী পদে লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

২য় দফার ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গত ১৭ ফেব্রæয়ারি মাদরাসার খাতাপত্র নিয়ে পার্শ্ববর্তী বলইবুনিয়া ইউনিয়নের একটি বিদ্যালয়ে নিয়োগবোর্ড বসিয়ে ৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগপ্রাপ্তরা হচ্ছেন, সহকারি সুপার পদে মিজানুর রহমান, আয়া পদে তামান্না আক্তার ও নিরাপত্তাকর্মী পদে আল মামুন। পার্শ্ববর্তী একটি বিদ্যালয়ে নিয়োগবোর্ড বসিয়ে এই নিয়োগ দেওয়ার খবর জানাজানি হয়ে গেলে স্থানীয়দের ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার কারনে নিয়োগের ১৫ দিন পরে ওই ৩ জন মাদরাসায় যোগদান করতে পারেননি।

মাদরাসাটির প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল খালেক বলেন, টাকার বিনিময়ে গোপনে ভিন্ন এলাকায় গিয়ে ৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এমন অবৈধ নিয়োগ কেউ মেনে নেবেনা। প্রয়োজনে আন্দোলন ও আদালতের আশ্রয় নেওয়া হবে বলেও বৃহস্পতিবার মাদরাসার অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় ঘোষণা দেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

আয়া পদে চাকুরির জন্য আবেদনকারি পারভিন বেগমের স্বামী পলাশ শেখ বলেন, ‘আমার নিকট থেকে ২ লাখ টাকা নিয়ে আমার স্ত্রীকে চাকুরি দেয়নি। বেশী টাকা পেয়ে গোপনে ভিন্ন এলাকায় বোর্ড বসিয়ে তামান্নাকে চাকুরি দিয়েছে’।

ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হারুন অর রশিদ, কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি ইয়াকুব আলী কাজী, সহকারি শিক্ষক আনন্দ মোহন, মাহবুব আলম, মো. আবুল হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তালেব খান, দাতা সদস্য পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক, ইউপি সদস্য শাহিন হাওলাদার বলেন, এখানে কমিটি গঠন হয়েছে গোপনে। শিক্ষক, কর্মচারি নিয়োগও হয়েছে গোপনে। এসব মেনে নিয়ে আমরা একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হতে দেবনা। এ নিয়োগ বাতিল করতে হবে।

এ বিষয়ে মাদরাসা সুপার মাওলানা মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, ৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে, কিছু ঝামেলা থাকার কারনে নিয়োগপ্রাপ্তরা এখনো যোগদান করতে পারেনি। স্থানীয় কিছু লোক সুবিধা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ তুলছে। এসব ঠিক হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে মাদরাসার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম তারেক সুলতান বলেন, ‘আমি এখানে নতুন। শহীদ শেখ রাসেল মুজিব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বসানো আহম্মদিয়া দাখিল মাদরাসার নিয়োগবোর্ড়ে আমি ছিলাম। পরে কিছু সমস্যার কথা শুনেছি। তাই আপাতত ওই নিয়োগ স্থগিত রাখা হয়েছে। বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে’। 


আরও খবর