Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় বাড়ী ঘর রক্ষায় ভাঙ্গা বাঁধ সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান, রাণীনগর (নওগাঁ)  : নওগাঁর আত্রাইয়ে নদীর বেড়িবাঁধ কাম পাকা সড়ক ভেঙ্গে এখনো লোকালয়ে পানি ঢুকছে। শুক্রবার বিকেল থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত নতুন করে কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়ে আরো দুই হাজার বিঘা জমির ধান তলে গেছে।এতে কয়েকদিনে উপজেলায় প্রায় ছয় হাজার বিঘা জমির ধান পানিতে তলে গেছে। এদিকে মাঠের ফসল ও বাড়ী ঘর রক্ষা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ কাম সড়ক সংস্কার কাজ খুব তোরজোর ভাবে শুরু করা হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন,আবহাওয়া ভাল থাকলে দুই/একদিনের মধ্যেই ভেঙ্গে যাওয়া সবগুলো বাঁধ সংস্কার কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। ফলে ফসল ও বাড়ী ঘর রক্ষা পাবে। 

আত্রাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়া উদ্দীন আহম্মেদ বলেন,বুধবার রাতে আত্রাই নদীর দক্ষিন পারের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রাই উপজেলা-সিংড়া পাকা সড়কের জগদাস বটতলি এবং তার একটু অদুরে শিকারপুর নামকস্থানে পাকা সড়ক ভেঙ্গে যায়। এতে উপজেলা সদরের সাথে পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় একই নদীর উত্তর পারে কাশিয়াবাড়ী বলরামচক-সমসপাড়া বেড়িবাঁধ কাম পাকা সড়কের বলরামচক শ্মশান ঘাট এলাকায় ভেঙ্গে যায়। এতে একদিকে যেমন যোগাযোগ বিচ্ছিন হয়ে পরেছে অন্যদিকে প্রবল বেগে পানি মাঠে প্রবেশ করায় প্রতি মূহুর্তে মুহুর্তে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করে। এতে বুধবার রাত থেকে শুক্রবার পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরে এবং প্রায় চার হাজার বিঘা জমির পাকা আউশ ও রোপনকৃত আমন ধান পানিতে তলে যায়। এছাড়া শুক্রবার দুপুর থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে মাঠে পানি প্রবেশ করে মনিয়ারী,বিশা,ভোঁপাড়া,সাহাগোলাসহ বেশ কয়েকটি এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অভিজিত কুমার কুন্ডু জানান,শুক্রবার দুপুর থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত নতুন করে আরো এক হাজার ৯৮৭বিঘা জমির ধান পানিতে তলে গেছে। এর আগে প্রায় চার হাজার বিঘা জমির ধান পানিতে তলে যায়। এতে কয়েকদিনের বন্যায় মোট পাঁচ হাজার ৬২৫ বিঘা জমির ধান পানিতে তলে গেলো। এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে আত্রাই নদীর উপজেলার নন্দনালী বেড়িবাঁধ বাধ ভেঙ্গে যায় এবং পানির তোরে আত্রাই-বান্দাইখাড়া পাকা সড়ক ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

জগদাস গ্রামের আমজাদ হোসেন বলেন,ভাঙ্গা বাঁধ বাঁধতে না পারলে মাঠের ফসল রক্ষা পাবেনা। কাশিয়াবড়ী বলরামচক চৌধুরী পাড়ার ওয়াশিম কুমার সরকার বলেন,বাঁধ ভেঙ্গে তার ১৯বিঘা জমির ধান পানিতে তলে গেছে। তিনি বলেন,বাঁধ সংস্কারের মাধ্যমে পানি আটকানো না গেলে আরো হাজার হাজার বিঘা জমির ধান তলে যাবে। এছাড়া বহু ঘরবাড়ী নষ্ট হয়ে যাবে।তাই যত দ্রæত বাঁধ সংস্কার করে পানি আটকানো যাবে তত ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। তিনি আরো বলেন,মাঠে যদি  পানি নতুন করে না ঢোকে এবং দ্রæত জমি থেকে পানি নেমে যায় তাহলে ডুবে যাওয়া ধান অনেকটায় স্বাভাবিক হতে পারে।

আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাস বলেন,ক্ষতিগ্রস্থ্যদের সরকারীভাবে খাদ্য সহায়তা অব্যাহত আছে। আমরা সবার প্রতি সার্বিকভাবে খোঁজ খবর রাখছি। প্রয়োজনে আরো সহায়তা করা হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড নওগাঁর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রবীর কুমার পাল বলেন,শুক্রবার থেকে নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে। মাঠের ফসল রক্ষায় প্রতিটি ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধের সংস্কার কাজ খুব তোরজোর ভাবেই শুরু করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন,জনপ্রতিনিধি এবং সেচ্ছাসেবকরা সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছেন। আবহাওয়া ভাল থাকলে দুই/এক দিনের মধ্যেই সংস্কার কাজ শেষ হতে পারে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



বিএনপি'র নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নে সব প্রস্তাবে রাজি হয়নি আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

জতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যাবে কি যাবে না, তা নিয়ে এখনও রহস্য রয়ে গেছে।

 বিএনপি যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে বলছে যে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা কোন নির্বাচনে যাবে না এবং এই দাবিতে তারা এখন অবরোধসহ বিভিন্ন আন্দোলন করছে।

কিন্তু, বাস্তবতা হলো- বিএনপির সঙ্গে কূটনৈতিক মহলের আলাপ-আলোচনা এবং সমঝোতা চেষ্টা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত তিনজন নেতা বিভিন্ন পর্যায়ের কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা বলছেন। কূটনীতিকরা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গেও কথা বলেছেন।

বিএনপির প্রথম দাবি হলো- নির্বাচনের তফসিল পেছাতে হবে। অন্তত দুই সপ্তাহ নির্বাচনের তফসিল পিছিয়ে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠান করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। এমন নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। 

বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা মার্কিন প্রতিনিধিদের কাছে নির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। এই বক্তব্যটি নিয়েই আওয়ামী লীগের একজন নেতার সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধিরা কথা বলেছেন।

তবে, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পরিস্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন পেছানো যেতে পারে, অন্যান্য তারিখগুলো সমন্বয় করা যেতে পারে। তবে, ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন, এটা পরিবর্তন করা যাবে না। 

এর ফলে সাংবিধানিক সংকট দেখা দিতে পারে। আওয়ামী লীগ সেই সুযোগ দেবে না।

বিএনপি চায় নির্বাচনের তফসিল জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে নিয়ে যেতে। ২৩-২৪ জানুয়ারির দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান হলে তারা বিষয়টি ‘ভেবে দেখতে পারে’ বলে জানিয়েছেন। 

ড. আব্দুল মঈন খানের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যোগাযোগ করেছেন। মঈন খান তাদেরকে অন্তত পাঁচটি শর্ত দিয়েছেন। এর মধ্যে প্রথম শর্তই হলো, নির্বাচন পেছাতে হবে। দ্বিতীয় শর্তে বলা হয়েছে যে, বিএনপির যেসব নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে মুক্ত করতে হবে।

মঈন খান যুক্তরাজ্যের কূটনীতিকদের বলেছেন যে, আমরা কাদেরকে নিয়ে কার সঙ্গে সংলাপ করবো। আমাদের সব নেতাকর্মীই তো জেলে। আর, এ কারণেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদসহ বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদেরকে কারামুক্তি না দিলে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা সম্ভব নয় বলে ড. মঈন খানের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি, বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে, তার ভাষায়, যে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলাগুলো করা হচ্ছে এবং ‘নির্বিচারে সাজা’ দেওয়া হচ্ছে তাও অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানান ড. মঈন খান। 

তার মতে, প্রথমে সংলাপের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে এবং সংলাপের পরিবেশ সৃষ্টি করেই বিএনপিকে নির্বাচনে যাওয়ার জন্য যথাযথ সময় দিতে হবে। তারপর বিএনপি হয়তো নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করবে। 

এছাড়াও মঈন খান নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কিছু পরিবর্তন এবং প্রশাসনের পরিবর্তনের ওপরও গুরুত্বারোপ করেছেন। 

তিনি মনে করেন যে, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা নেই। এই নির্বাচন কমিশনকে পরিবর্তন করে অন্তত আস্থাশীল একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হলে বিএনপি নির্বাচনের বিষয়টি ভেবে দেখতে পারে।

এছাড়াও তিনি বর্তমান প্রশাসন; বিশেষ করে মাঠ প্রশাসন সম্পূর্ণ আওয়ামী লীগের অনুগত বলে দাবি করেছেন এবং এই প্রশাসনকে যদি রাখা হয় তাহলে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় বলেও বিএনপির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আর এই সমস্ত দাবি যদি সরকার পূরণ করে তাহলে বিএনপি নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়টি ভেবে দেখতে পারে। তখন তারা হয়তো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুটিকে আর সামনে আনবে না। কিন্তু, আওয়ামী লীগের সঙ্গে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা এই সমস্ত প্রস্তাব নিয়ে যোগাযোগ করলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পরিস্কার বলে দেওয়া হয়েছে যে, প্রথমে বিএনপিকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করতে হবে এবং তাদেরকে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিতে হবে।

এরপর কি কি বিষয় নিয়ে সমঝোতা করা যায়, সেটি আলোচনা হতে পারে।


আরও খবর



ব্যাংকে নগদ টাকার সংকট বাড়ছে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

ব্যাংক খাতে নগদ টাকার সংকট দিন দিন তীব্র হচ্ছে। ফলে অনেক ব্যাংককে এখন ধার করে দৈনন্দিন কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। ফলে প্রতিদিনই চড়ছে আন্তঃব্যাংক কলমানির সুদহার। গতকাল কলমানির সর্বোচ্চ সুদ উঠেছে ৯ দশমিক ২৫ শতাংশে, যা গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। কলমানির পাশাপাশি শর্ট নোটিশে অর্থ ধার নেওয়ার সুদের হারও বাড়ছে। এদিকে আন্তঃব্যাংকের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও নিয়মিত ধার করে কার্যক্রম চালাচ্ছে বেশ কিছু ব্যাংক। সংশ্লিষ্টরা জানান, খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি, প্রত্যাশিত মাত্রায় আমানত সংগ্রহ না হওয়া, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি এবং সরকারকে ঋণ দেওয়ার কারণে ব্যাংক খাতে নগদ টাকার সংকট বেড়েছে। ফলে আন্তঃব্যাংক কলমানি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নিয়মিত ধার করে চলতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে।

সংকটের সময় এক ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে, আবার ব্যাংক থেকে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সাময়িক সময়ের জন্য টাকা ধার নেয়। সাধারণত একদিনের জন্য এই ধার নেওয়া হয়। এই ধার দেওয়া-নেওয়ার কার্যক্রম সম্পন্ন হয় যে ব্যবস্থায় তা আন্তঃব্যাংক কলমানি বাজার নামে পরিচিত। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, গত বছরের শেষ দিকে কয়েকটি ব্যাংকের ঋণ অনিয়মের খবর জানাজানি হওয়ার পর ব্যাংক খাতের প্রতি মানুষের আস্থার সংকট তৈরি হয়। এর পর সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো থেকে টাকা তুলে নিতে থাকেন গ্রাহকরা। আবার সেই সময় ব্যাংকগুলোতে নতুন আমানত আসাও কমে যায়। এতে ওই ব্যাংকগুলোতে নগদ টাকার সংকট তৈরি হয়, যা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি ব্যাংকগুলো।

 এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। এতে জীবনযাত্রার খরচ বেড়েছে। কিন্তু একই সময় মানুষের আয় খুব একটা বাড়েনি। আবার উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময়ে ব্যাংকে আমানতের সুদের হার যেভাবে বাড়ার কথা, সেভাবে বাড়েনি। এতে ব্যাংকগুলো প্রত্যাশিত মাত্রায় আমানত পাচ্ছে না। আবার আগের বিতরণ হওয়া ঋণ সময়মতো ফেরত আসছে না। এর মধ্যেই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নেওয়া বাড়িয়েছে সরকার। ফলে চলমান নগদ টাকার সংকট আরও বেড়েছে। আর এই সংকট সামাল দিতে আন্তঃব্যাংক কলমানির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বারস্থ হচ্ছে অনেক ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গতকাল আন্তঃব্যাংক কলমানিতে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ সুদে ৪ হাজার ২৬১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। তবে গড় সুদের হার উঠে ৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ। আগের দিন সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ সুদে ৪ হাজার ৪১৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। আর ওই দিন গড় সুদের হার ছিল ৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ। আন্তঃব্যাংক কলমানির সঙ্গে শর্ট নোটিশে ধারের সুদের হারও বাড়ছে।

গতকাল ৫ থেকে ১৪ দিন মেয়াদি ধারের সুদের হার ছিল ৯ থেকে ১০ দশমিক ৫০ শতাংশের মধ্যে।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, অব্যাহত ডলার বিক্রি, আমানতের প্রবাহ কমে যাওয়া, খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়া ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সংকোচন নীতির কারণে ব্যাংক খাতে তারল্য সংকট বেড়েছে। এ মুহূর্তে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে সংকোচন নীতি থেকে সরে আসা সম্ভব নয়। তাই তারল্য সংকট কাটাতে ডলার বাজার ও ব্যাংকের সুশাসনের দিকে নজর দেওয়ার বিকল্প নেই। সে ক্ষেত্রে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়িয়ে ডলার বাজারকে স্থিতিশীল করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়া ঋণখেলাপিদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি নতুন করে যাতে ব্যাংকে কোনো ধরনের অনিয়ম না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে।

এদিকে বেশি সুদেও চাহিদামতো নগদ টাকার সংস্থান করতে না পেরে গতকালও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের স্বল্পমেয়াদি ধার করেছে বেশ কয়েকটি ব্যাংক। রেপো, তারল্য সহায়তা ও স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি উপকরণের আওতায় প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ধার দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগের দিন এই ধারের পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, বিল ও বন্ডের বিপরীতে ব্যাংক থেকে সরকারকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। আবার ডলার বিক্রির বিপরীত টাকা উঠে আসছে। এখন যদি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার না দেওয়া হয়, তা হলে সংকট বাড়বে। তা ছাড়া একবারে সব দিক দিয়ে সংকোচন করা যায় না। যে কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক ধার দেওয়া অব্যাহত রেখেছে।

 


আরও খবর

কমছে সবজি ও ব্রয়লারের দাম

শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩




মাভাবিপ্রবিতে সেশন জট নিরসনে আমরা সফল হতে পেরেছি- উপাচার্য

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

মো: হৃদয় হোসাইন,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অন্যতম দাবি ছিল সেশনজট নিরশন। বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন যোগদানের পর ২০২৩ সাল থেকে যথাযথভাবে একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করার প্রতি জোর দেন। 

আজ ১৮ নভেম্বর ২০২৩ (শনিবার) একাডেমিক ক্যালেন্ডারের ২য় দফা অনুযায়ী ১ম দিনে বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ১ম বর্ষ ১ম সেমিস্টারের ইন্ট্রোডাকটরি বায়োকেমিস্ট্রি-২ কোর্সের পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন। এসময় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন বলেন, আমি যোগদানের পর থেকে আমার অন্যতম চ্যালেঞ্জ ছিল সেশনজট নিরসন। বিগত সেমিস্টারগুলো প্রায় চার মাসে সম্পন্ন করা গেছে। ২০২৩ সালের একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে যথাযথ সময়ে সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু করেছি। আমরা বলতেই পারি, সেশন জট নিরসনে আমরা সফল হতে পেরেছি।

পরীক্ষার হল পরিদর্শনকালে ভাইস-চ্যান্সেলরের সাথে শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শাহীন উদ্দিনসহ বিভাগের শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ঈশ্বরদীতে যুবলীগ নেতাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

পাবনা জেলা প্রতিনিধি:

গ্রুপিংয়ের শিকার হয়ে ঈশ্বরদী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি রবিউল ইসলাম রবিকে পিটিয়ে আহত করে একটি পিস্তল হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রবি’র স্ত্রী রোজিনা আক্তার। বুধবার (২২ নভেম্বর) উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে রোজিনা দাবি করে বলেন, ‘আমার স্বামী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ভাইয়ের সাথে রাজনীতি করার কারণে যুবলীগ নেতা মিলন চৌধুরীর আক্রোশে পড়ে। মঙ্গলবার রাত ১২ টার দিকে সাঁড়া গোপালপুর নিজ বাড়ি থেকে রবিউলকে মিলন চৌধুরীর ছোট ভাতিজা দীপ চৌধুরীর সাথে কয়েকটি মোটর সাইকেলে আসা একদল যুবক ডেকে নিয়ে যায়। রাত দেড়টার দিকে তিনি প্রতিবেশীদের কাছে খবর পান মিলন চৌধুরী ও তার লোকজন রবিউলকে পার্শ্ববর্তী রেল লাইনে  ফেলে রেখেছে। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন তাকে অস্ত্রসহ পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।

 তিনি বলেন, গতকাল রাতে রবিউলকে অফিসে নিয়ে জোরপূর্বক ছবি তুলে  মিলন চৌধুরীর সাথে যোগ দিয়েছেন বলে ফেসবুকে পোস্টও দেয় মিলনের অনুসারীরা। রবিউল এর প্রতিবাদ করায় তাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধোর করে রেললাইনে ফেলে হত্যার ভয় দেখিয়ে স্বীকোরোক্তি আদায় করে ফেসবুকে লাইভ করে তারা। এসময় তারা আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর পক্ষ ত্যাগ করে মিলন চৌধুরীর পক্ষে রাজনীতি করার জন্য বলে। এতে রাজী না হলে পরে তারা রেললাইনের ওপর নিয়ে হাত-পা বেঁধে তার কাছ থেকে স্বীকোরক্তি আদায়ের চেষ্টা করে যে, মিলন, উজ্জল ও দ্বীপকে হত্যার জন্য আওয়ামী লীগ নেতা মিন্টু ও যুবলীগ নেতা যুবায়ের বিশ্বাস তাকে পাঠিয়েছে। আমার ফোন পেয়ে পুলিশ এসে রবিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। মিথ্যা নাটক সাজিয়ে স্বামীকে অন্যায়ভাবে মারধরের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষিদের আইনের আওতায় নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন রোজিনা।

এসময় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ নেতা যুবায়ের বিশ্বাস বলেন, আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা এবং মনোনয়ন ঘোষণার পূর্বমূহুর্তে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা নাটক সাজানো হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতা কামনা করেন।

এদিকে, রবিউলকে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।  ভিডিওতে দেখা যায় , রবিউলকে হাত পা বেঁধে রেল লাইনে ফেলে পেটাচ্ছেন কয়েকজন যুবক। মিলন চৌধুরী রবিউলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাকে নানা প্রশ্ন করছেন। জঙ্গলে ওঁত পেতে থাকা রবিউলের কাছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র গুলিসহ পাওয়া গেছে জানিয়ে আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ও জুবায়ের মিলন ও দীপকে হত্যার জন্য পাঠিয়েছেন কিনা জানতে চাইছেন। একপর্যায়ে, রবিউল তা স্বীকার করলে মিলন বলেন, মিন্টু ও জুবায়েরের সাথে  বিএনপির কয়েকজন কর্মী আওয়ামীলীগ শেষ করতে তাকে পাঠিয়েছেন। এ সময় রবিউল আওয়ামীলীগকে নির্যাতন করে শেষ করা যায়না বলে প্রতিবাদ জানালে আবারো মারের ভয় দেখানো হয় ।

তবে, আগ্নোয়াস্ত্র সহ রবিউলকে পুলিশে দেয়ার ঘটনাকে পরিকল্পিত নাটক বলে দাবি করেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মিন্টু। তিনি বলেন, মিলন চৌধুরীর কোন দলীয় পদ নেই। রবিউল আওয়ামীলীগের ত্যাগী কর্মী , সাবেক যুবলীগ নেতা। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজির কোন অভিযোগ নেই। নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন সামনে রেখে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতেই আমার ও আমার অনুসারী জুবায়ের বিশ্বাসের নামে মিথ্যে অপবাদ দেয়া হচ্ছে। আমি নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।

পুলিশ সূত্র জানায়, এলাকাবাসী এবং স্ত্রী রোজিনার ফোন পেয়ে সাঁড়াগোপালপুর এলাকায় রেল লাইনের ওপর থেকে রবিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় একটি দেশীয় ওয়ান সার্টারগান উদ্ধার হয়। তবে রবির বিরুদ্ধে থানায় কেউ কোন অভিযোগ দাখিল করেনি বলে জানা গেছে।

 ফেসবুকের লাইভ এবং রবিকে আহত অবস্থায় উদ্ধারের পর থানা পুলিশের তৎপরতা শুরু হয়। পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, ডিবি এবং র‌্যাব ঈশ্বরদীতে অবস্থান নেয়। প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাতেন বলেন, পুলিশ, ডিবি এবং র‌্যাব প্রেসক্লাব এলাকায় আসার কারণে কেউ সংবাদ সম্মেলন করতে আসেনি। মিলন চৌধুরীর লোকজন পরে সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করেছে।

এবিষয়ে মিলন চৌধুরী বলেন, আমি এবং আরও ৬-৭ জন রাতে মোটর সাইকেলে বাস টার্মিনালের অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে পাতিবিলের তিনকোণা খাদ এলাকায় রবিসহ আরও ৫-৬জন ওৎ পেতে বসেছিল। আমার সঙ্গি-সাথিরা তাদের তাড়া করলে রবি ছাড়া অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে রবিকে সাড়া গোপালপুর সেন্টারের পাশে রেললাইনের ওপর নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসময় স্থানীয় লোকজন জমায়েত হয়ে রবিকে মারধর করে। জিজ্ঞাসাবাদে রবি জানায়, উজ্জল, দ্বীপ ও আমাকে গুলি করে মারার জন্য যুবায়ের বিশ্বাস তাদের পাঠিযেছে। পরে পুলিশ এসে রবিকে নিয়ে যায়। 

এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী বলেন, অস্ত্রসহ রবিকে উদ্ধারের ঘটনার মধ্যে রহস্য আছে। রবির বিরুদ্ধে থানায় কোন অভিযোগ দায়ের বা মামলা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রকৃত দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  


আরও খবর



সারা দেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে এছাড়া পর্যাপ্ত সংখ্যক বিজিবি প্লাটুন স্ট্যান্ডবাই রয়েছে ১৬ নভেম্বর সকালে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এই তথ্য জানান

 তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা আশপাশের জেলায় ৩২ প্লাটুন এবং সারা দেশে ১৯৭ প্লাটুনসহ মোট ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে

সরকারের পদত্যাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। সমাবেশ শুরুর দেড় ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় দলটির নেতাকর্মীরা। এতে সমাবেশ পণ্ড হলে মঞ্চ থেকে পরদিন হরতালের ডাক দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর বিরতি দিয়ে মোট পাঁচ দফা অবরোধ কর্মসূচি পালন করে দেড় দশকের বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। এসব কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে অনেক যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। ভাঙচুর করা হয় অনেক গাড়ি

এমন অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কয়েকদিন আগে থেকেই পুলিশের পাশাপাশি মাঠে কাজ করছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)

বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনের মধ্যেই গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় এরপরই তফসিলের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সারা দেশে অর্ধদিবস হরতালের ডাক দেয় বেশ কয়েকটি দল এই প্রেক্ষিতে সারাদেশে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩