Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় ছাত্রলীগের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৯১জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে মানবিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ৩ শতাধিক শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে নওগাঁ শহরের সরিষাহাটির মোড়ে আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যলয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন,  নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন। পরে প্রধান অতিথি শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

এসময় নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইলিয়াস তুহিন রেজা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুবুল হক কমল, নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান রেজভী ও সাধারণ সম্পাদক আমানুজ্জামান সিউল সহ আওয়ামী লীগ ও  ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মানবিক গুনাবলীর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত রয়েছে ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আগামীতেও সবধরনের ভালো কাজের ধারা অব্যাহত থাকবে। 


আরও খবর



নৌকার পালে নির্বাচনের হাওয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১৫৩জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম :

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে দেশের রাজনৈতিক মহল। তবে গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থে বিএনপির প্রতি বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা। বিএনপিকে নির্বাচনে আসার বার বার আহ্বান জানাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তবে তাদের একটাই কথা, আগামী সংসদ নির্বাচন হবে সংবিধানের আলোকে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের সাফ কথা বর্তমান সরকারের অধীনেই বিএনপিকে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। এই লক্ষ্যে সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হবে বলে দেশবাসীকে জানান দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এবং ছোট-বড় নেতারা।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা সরকার, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের নিয়ে একাধিক বৈঠক করছেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের উপস্থিতিতে এসব বৈঠকে বিদেশি কূটনীতিকরা বিএনপিসহ সব দলের অংশগ্রহণে নির্ভেজাল নির্বাচনের কথা প্রকাশ করেছেন। আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা রাজনৈতিক অনুষ্ঠান, কূটনীতিক কিংবা রাজনীতিকদের সঙ্গে যেকোনো আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় সুষ্ঠু ভোটের আশ্বাস দিচ্ছেন। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করার বিএনপির দাবি সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন সরকারি দলের নেতারা।

তারা বলছেন, বিএনপি আগামী জাতীয় নির্বাচনে আসুক তা আওয়ামী লীগের কাছে কাম্য। তবে তাদের কোনো দাবি থাকলে তা সংবিধানের উল্লেখিত বিধি-বিধান অনুসারে ছাড় দেওয়া যেতে পারে। এর বাহিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সরকারি দল হিসেবে বিএনপিকে নির্বাচনে চাইলেও তাদের তোষামোদ করে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের নয়। বিএনপির নেতারা যে দাবি করছেন তা দেশের সংবিধানবিরোধী। বিএনপির জন্য নির্বাচন বসে থাকবে না। নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ অনুযায়ী ভোটের জন্য প্রস্তুতি নিতেও শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছে দিয়েছেন, সংবিধানের বাইরে অন্য কোনো পদ্ধতিতে নির্বাচন হওয়ার সুযোগ নেই। নির্বাচনের সময় সরকার শুধু রুটিন কাজগুলো করবে বাকি সব করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না বলে হুশিয়ারি দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না, হবে না, হবে না। নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। আর এই নির্বাচন কারা যেন হতে দেবে না, এমন খবর আছে আমাদের কাছে। নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে।

সরকারপ্রধান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা একাধিক দলীয় সভায় বারবার বলছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। সে বিষয়টি মাথায় রেখেই কাজ করছে আওয়ামী লীগ। দলের তিনজন সিনিয়র নেতা বলেছেন, পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, সংবিধান মেনে বাংলাদেশেও সেভাবেই নির্বাচন হবে। বিএনপিও নির্বাচনে আসবে। সম্প্রতি বিএনপির দফাওয়ারি আন্দোলন বিএনপিকে ভোটের মাঠে নিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির বড় একটি অংশ ভেতরে ভেতরে আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এছাড়া আওয়ামী লীগের নেতারা সব সময়ই মত প্রকাশ করে আসছে আগামীতে বিএনপি অস্তিত্ব রক্ষার জন্য হলেও ভোটে অংশ নেবে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে অবাধ-সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। সে নির্বাচনে জনরায় প্রতিফলিত হবে। সরকার পরিবর্তন করতে হলেও বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে। জনগণের কাছে যদি বিএনপির কোনো কমিটমেন্ট ও দায়িত্ববোধ থাকে তাহলে দলটি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এর বাহিরে তাদের কোনো পথ খোলা নেই।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক, গবেষক 


আরও খবর



আহাদ শেখ সভাপতি মতিন মাষ্টার সম্পাদক

রাণীনগরের বড়গাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর রাণীনগরের বড়গাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে বড়গাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে বড়গাছা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে আব্দুল আহাদ শেখ (বাবু) সভাপতি এবং আব্দুল মতিন মাষ্টারকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে আংশিক কমিটি ঘোষনা করা হয়। 

বড়গাছা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শ্রী রবীন্দ্রনাথ চত্রুবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান। প্রধান বক্তা হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ দুলু,বিশেষ অতিথি হিসেবে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জাভেদ জাহাঙ্গীর সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানূর আল-মামুন, সম্মেলনে উদ্বোধক হিসেবে এমপি আনোয়ার হোসেন হেলাল উপস্থিত ছিলেন।এছাড়া উপজেলা ,ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে আব্দুল আহাদ শেখ (বাবু) সভাপতি এবং আব্দুল মতিন মাষ্টারকে সাধারণ সম্পাদক করে বড়গাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটি ঘোষনা করা হয়।


আরও খবর



নওগাঁয় ইরো-বোরো ধান চাষে খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ,ধানের মূল্য বাড়ানোর দাবি

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

শস্য-ভান্ডার নামে সারা দেশে পরিচিত উত্তরাঞ্চল এর নওগাঁ জেলার ১১ টি উপজেলায় এবার ইরি-বোরো ধান উৎপাদন (চাষে) খরচ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে বলেই জানিয়েছেন কৃষকরা। ধান চাষি কৃষকরা বলছেন, বিগত ধান চাষের মৌসম থেকে এবার চলতি ইরি-বোরো ধান চাষে দ্বিগুণ খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে দিন মজুর ও ধানের চারা রোপন কাজের শ্রমিকের মূল্য যেমন বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ তেমনি বাজারে ডিজেল এর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় জমি চাষের খরচও বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ, এছাড়া সার এর মূল্য কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও বেড়েছে পানি সেচ মূল্য, বীজ, কীটনাশক সহ কৃষি শ্রমিকের মজুরি। যার ফলে বিগত বছরের থেকে এবার প্রতি বিঘা ইরি-বোরো ধান চাষে ৪-৫ হাজার টাকা বেশি খরচ হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন কৃষকরা। একই সাথে কৃষকরা জানিয়েছেন, ধান - কাটা মাড়াই এর শুরু থেকেই বাজারে প্রতি মণ ধান সর্বনিন্ম ১৫-১৬ শ’ টাকা দরে যদি বিক্রি করতে পারেন, সেক্ষেত্রে তারা কিছুটা লাভমান হতে পারেন। এরনিচে কম মূল্যে বিক্রি করলে কৃষকরা লোকসানের মুখে পড়বেন।

তবে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বর্গাচাষিরা। ইউরিয়া সার, শ্রমিক, চাষের খরচ সহ পানি সেচ বাবদ খরচ বেড়ে যাওয়ায় জেলায় এবার গত বছরের চেয়ে ৮৬ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে করতে হচ্ছে কৃষকদের। 

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে নওগাঁ জেলার সদর, মহাদেবপুর, পত্নীতলা, ধামইরহাট, সাপাহার, নিয়ামতপুর, মান্দা, বদলগাছী, রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলায় মোট ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭শ' ৫৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, এ পরিমাণ জমিতে ধান চাষে পানি সেচ ও সার বাবদ খরচ হবে ২৯৭ কোটি ৮৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা। গত বছর এক লাখ ৮৯ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদে সার ও সেচে খরচ হয়েছিল ২১৩ কোটি ১৭ লাখ ৬২ হাজার টাকা। চলতি বছর এ বাড়তি খরচ প্রান্তিক চাষি (কৃষকদের) জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃষকরা সার, ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম সহনীয় পর্যায়ে এনে ধানের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণের দাবিও জানিয়েছেন কৃষকরা।

নওগাঁ জেলার পল্লী গ্রামের মাঠ গুলোতে এবার চিকন ধান জিরাশাইল, কাটারিভোগ, সম্পা কাটারি, ব্রি-২৮, ২৯, ৮১, ৮৬, ৮৮, ৮৯, ৯০, ৯২ ও বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতের ধানের আবাদ হয়েছে। নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলার মাঠ ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ যেন সবুজ চাদরে ঢাকা। ইরি-বোরো ধানের ক্ষেতে সবুজের সমারোহ নজর কাড়ব যে কারো মনে। ইরি-বোরো ধান ক্ষেত পরিচর্যায় কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার নওহাটামোড় চৌমাশিয়া গ্রামের কৃষক সাজ্জাদ হোসেন মন্ডল, খোর্দ্দনারায়নপুর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বাবু সহ বেশ কয়েক জন কৃষক জানান, বিগত বছরের চেয়ে এবার ইরি-বোরো ধান চাষে খরচ অনেক বেড়েছে। তারা বলেন, শ্রমিকের খরচ, পানি সেচ খরচ ও ডিজেল এর মূল্য রাড়ানোর ফলে জমি চাষ খরচ সহ কিটনাশকের মূল্যও ব্যাপক বৃদ্ধি হওয়ায় চলতি ইরিবোরো ধান চাষে বিঘা প্রতি ৪-৫ হাজার টাকা খরচ বৃদ্ধি হয়েছে, এজন্য বাজারে ধানের মূল্য ও বাড়ানোর দাবি করেন কৃষকরা। অপরদিকে আত্রাই উপজেলার দমদমা গ্রামের পোস্ট মাস্টার আব্দুল লতিফ চাকরির পাশাপাশি কৃষি কাজও করেন। এবার তিনি সারে ৪ বিঘা জমিতে ইরো বোরো ধান লাগিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। সেই সাথে বেড়েছে কীটনাশকের দাম, জমি চাষ, ধানের চারা লাগানো, নিড়ানিসহ বিভিন্ন খরচ গত বছরের চেয়ে এবার বিঘাপ্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা বেড়েছে। প্রতি মণ ধান ১৫শ' টাকা থেকে ১৬' টাকায় বিক্রি করা না গেলে ধানে লোকসান গুণতে হবে।

বদলগাছী উপজেলার চাংলা গ্রামের কৃসক ওয়াহেদ আলী এবার সারে ৬ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ইরি বোরো ধান রোপণ করেছেন। তিনি বলেন, গতবছর ধানের চারা রোপণ ৭০০-৮০০ টাকা বিঘা হিসেবে শ্রমিকের মজুরি ছিল। এবার তা বেড়ে ১৫০০ টাকা দ্বিগুণ হয়েছে। এছাড়া একজন শ্রমিক এক বেলা খাওয়া দিয়ে ৫০০ টাকা দিতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে এবার প্রতি বিঘা জমিতে ধান রোপণ থেকে শুরু করে ঘরে তোলা পর্যন্ত ১৬-১৭ হাজার টাকা খরচ হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ধান পাবো ২০ মণ। এর মধ্যে জমির মালিককে প্রতি বিঘাতে ৭ মণ করে ধান দিতে হবে। ৭ মন ধান দেওয়ার পর বিঘাতে ১৩ বা ১৪ মন ধান পাবো, তাহলে ধান চাষ করে কী লাভ হবে। এবার ধানের মন বিগত বছরের থেকে ৩০০-৪০০ টাকা বেশি না করা হলে আমরা ক্ষতির মুখে পড়বো।

রানীনগর উপজেলার মিরাট গ্রামের ধান চাষি কৃষক শুকবর আলী বলেন, এবছর ধার-দেনা করে ৭ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। গত বছরের তুলনায় এবার প্রতি বিঘা বোরো আবাদের শুরুতেই খরচ বেড়েছে ২হাজার টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত। শ্রমিকের মজুরি গত বছর ছিল ৩শ' টাকা। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫শ' থেকে সারে ৫শ' টাকায়। ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে সেচ ও জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ করায় খরচ বেড়েছে। এই ধার-দেনার টাকায় ধান কাটার পরেই তা বিক্রি করতে হয়। তখন (ধান-কাটা মাড়াই এর) সময় আবার ধানের দামও পাওয়া যায় না। ধান ঘরে তোলার সময় শ্রমিক পাওয়া যায় না। শ্রমিকদেরকে বেশি টাকা দিয়ে ধান কাটাতে হয়। তাই এবার ধানের দাম না বাড়লে ধান চাষি কৃষকরা মাঠে মারা যাবে বলেও মনে করেন তিনি।

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা একে এম মঞ্জুরে মাওলা জানান, ইতিমধ্যেই জেলায় মতভাগ আবাদি ধান চাষের জমিতে ধান রোপন সম্পূর্ণ করেছেন কৃষকরা। এখন ধান নিরানি, কিটনাশক, সেচ সহ ধান ক্ষেতের পরিচর্যা নিয়ে ব্যাস্ত কৃষকরা। তবে এখন পর্যন্ত জমিতে ইরি বোরো পরিবেশ ভালো রয়েছে। আশা করা হচ্ছে এবার লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে। তিনি আরো বলেন, এবছর বিদ্যুৎ খরচ ও সেচ খরচ বেড়েছে, বেড়েছে শ্রমিকের মূল্যও। আর যেকোনো বিষয়ে উৎপাদন খরচ বাড়লে সেটি শেষ পর্যন্ত কৃষক পর্যায়ে বেড়ে যায়। সরকার ধানের দাম নির্ধারণ করার সময় বর্তমান বাজার দরের সমন্বয় করবেন। তবে বাজারে ধানের দামও ভালো পাবেন কৃষকরা এবং কৃষকরা ধান বিক্রি করে লাভবান হবেন বলে আশা এই কৃষি কর্মকর্তার।


আরও খবর



খেজুরের বাজার চড়া

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১৪৪জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার :বাজারে খেজুরের দাম বেড়ে গেছে। গত বছর পবিত্র রমজান মাসের আগে একই সময়ের চেয়ে খেজুর কেজিতে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। খেজুরের দাম আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ফলের দোকানে খেজুরের বিভিন্ন জাতের মধ্যে বাপাশ ৩০০ টাকা, বরই খেজুর ৩০০ থেকে ৪০০, তিউনিসিয়ার খেজুর ৩৫০, আজোয়া ৬৫০ থেকে ১০০০, সৌদি মরিয়ম সুপরি ৬০০, ইরানি মরিয়ম ৮০০, কালমি ৬৫০ থেকে ৭০০ ও মাবরুম খেজুর ৮০০ থেকে ৯০০ টকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

কারওয়ান বাজারের ফুটপাতে মাবরুর মরিয়ম (সৌদি) ৭০০ টাকা, সৌদির কালমি ৬৫০, ইরানি মরিয়ম ৭৫০ থেকে ৮০০, মেরজুল ৬৫০ থেকে ১০৫০, সৌদির সুপরি ৫০০ থেকে ৬৫০, আজোয়া ৬৫০ থেকে ১০০০, বড়ই খেজুর ২৪০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।

ফুটপাতের খেজুর বিক্রেতা বাবুল বলেন, ‘আমদানি যদি আরো কমে যায় তাহলে সামনে খেজুরের দাম আরো বেড়ে যাবে। যে দামে বিক্রি করছি ঘাটেও একই দাম। হুটহাট করে দাম বেড়ে যায়। এবার দামে স্থিরতা নেই। তবে এবার খেজুর ভালো।

বিক্রেতাদের দাবি, করোনার আগে বর্তমানের দামেই খেজুর বিক্রি হতো। দাম কমেছিল শুধু করোনার সময়।

মহাখালীতে একটি ফলের দোকানে দেখা গেছে, আজোয়া খেজুর ৭০০ টাকা, ছড়া ৫০০ ও বরই খেজুর ৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

ফলের দোকানি রিটন বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে এবার খেজুরের দাম দ্বিগুন। গত বছর আজোয়া ৪০০, কালমি খেজুর ৪০০, ছড়া ৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি।’

আমদানিকারকরা এবার খেজুরের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বাড়তি কর ও ডলার সংকেটের কথা জানান।

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) হিসেবে, দেশে সারা বছরে খেজুরের চাহিদা এক লাখ টন। রমজানে ৫০ হাজার টন। কিন্তু এ বছর আমদানি বেশি কমেছে। গত তিন মাসে (নভেম্বর-জানুয়ারি) খেজুর আমদানি হয়েছে ২২ হাজার ৭০০ টন। গত বছর একই সময় আমদানি ছিল ৪০ হাজার ৮০০ টনের বেশি। অর্থাৎ এক বছর আগের একই সময়ের চেয়ে এ বছর আমদানি প্রায় ৪৫ শতাংশ কমেছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, ইরাক ছাড়াও সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া, জর্ডান ও মিসর থেকেও বাংলাদেশে খেজুর আসে। তবে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ইরাকের জাহেদি খেজুর, যা বাংলা খেজুর নামের গ্রামগঞ্জে কেজি দরে বিক্রি হয়।

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুরটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি শামসুল বলেন, ‘বাংলাদেশে খেজুরের সবচেয়ে বড় চালান আসে ইরাক থেকে। এজন্য প্রায় এক মাস সময় লাগে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশ থেকেও আমদানি করা খেজুর চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে ঢোকে দেশে। মিসরের অল্প কিছু খেজুর আসে বিমানে। রমজানের জন্য খেজুরের এলসি প্রায় শেষ করে ফেলেছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু সার্বিকভাবে এ বছর খেজুর খুব কম আমদানি হচ্ছে।


আরও খবর

ঈদের বাজারেও চড়া দাম

শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩

সরকারের প্রশংসায় ব্লুমবার্গ

শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩




গরম মাছ-মাংসের বাজার; প্রতিদিন কমছে ক্রেতা

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ২১জন দেখেছেন

Image

মইনুল ইসলাম মিতুল: বাজারে আরেক ধাপ বেড়েছে মাছ-মাংসের দাম। শবে বরাতকে উপলক্ষ করে বৃদ্ধি পায় এই দাম। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছে, পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ায় তারাও দাম বাড়িয়েছে। ক্রেতারা বলছেযে কোনও উপলক্ষে দাম বাড়ানোটা দেশে একটি রীতি হয়ে উঠেছে !

শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে মাছ ও মাংসের দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। এছাড়া কাঁচাবাজারে গরমে চাহিদা রয়েছে এমন সব সবজির দামও বেড়েছে। অন্যদিকে সব কিছুর দাম বাড়ায় ছুটির দিনে ক্রেতার সংখ্যা ছিল তুলনামূলক কম।

বাজারে বর্তমানে গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০০ থেকে ৭১০ টাকা। এছাড়া খাসির দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১১৫০ থেকে ১২০০ টাকায়। গত সপ্তাহে যা ১১০০ টাকায় বিক্রি হতো।

মুরগির দাম গত এক মাস ধরে ঊর্ধ্বমুখী, এখন তা সর্বোচ্চ দামে পৌঁছেছে। সাদা ব্রয়লার এখন ২০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২২০ টাকা, লাল লেয়ার ২৪০ টাকা, পাকিস্তানি কক ৩৫০ টাকা। গত সপ্তাহের তুলনায় যা ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।

দাম বাড়ায় নিম্নআয়ের মানুষ আলাদা করে বিক্রির জন্য রাখা মুরগির ডানা ও পা কেনার দিকে ঝুঁকছে। সেগুলোও কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা করে।

মাছের বাজারে মাছের সংখ্যা কমেছে। অধিকাংশ দোকানিকে পাঙাশ, তেলাপিয়া ও রুই মাছ বিক্রি করতে দেখা যায়। এ বিষয়ে দোকানিরা জানান, ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে পড়ে না এমন মাছ উঠালে অবিক্রিত রয়ে যায়। তবে সেই মাছেরও দাম বেড়েছে।

বাজারে পাঙাশ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ থেকে বেড়ে ১৭০ টাকা হয়েছে, রুই (নলা) ২০০ টাকা থেকে বেড়ে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  মাঝারি আকারের রুই ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে যা আগে ছিল ২৮০ টাকা। এছাড়া পুঁটি ২৪০ টাকা ও সিলভার কার্প ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে সবজির বাজার কিছুটা স্থির থাকলেও লেবুসহ সালাদ উপাদানের দাম চড়া। লেবু হালি (৪ পিস) বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। এছাড়া কেজিপ্রতি টমেটো ৩০, শশা ৫০ টাকা। অন্যান্য সবজি গড়ে ৫০ থেকে ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া মুদির দোকানে পণ্যের দাম আগের মতো উর্ধ্বমুখী। এই সপ্তাহে কোনও পরিবর্তন নেই।

গরুর মাংসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হিসেবে মিরপুরের ১১ নং বাজারের মহিউদ্দিন মাংস বিতানের মালিক মহিউদ্দিন বলেন, 'এক সময় গরুর ভুসির দাম ছিল ১৫ টাকা, সেটা এখন ৮০ টাকা। একটা গরু পালতে এখন অনেক খরচ। আর আমরা তো নিজের থেকে দাম বাড়াই না। বেশি দামে আনতে হয় বলে বেশি দামে বিক্রি করি।'

মুরগির মাংসের দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে রোকসানা বানু বলেন, 'আগে ১৪০ টাকা কেজিতে মুরগি পাওয়া যাইতো, সেই দামে এখন মুরগির হাবিজাবি কিনতে হচ্ছে। বাসায় বাচ্চাদের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে নিরূপায় হয়ে এসব কিনতে হচ্ছে। আমাদের দুঃখ দেখার কেউ নাই!

 


আরও খবর

বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মডেল

শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩