Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় ছাত্রলীগের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে মানবিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ৩ শতাধিক শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে নওগাঁ শহরের সরিষাহাটির মোড়ে আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যলয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন,  নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন। পরে প্রধান অতিথি শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

এসময় নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইলিয়াস তুহিন রেজা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুবুল হক কমল, নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান রেজভী ও সাধারণ সম্পাদক আমানুজ্জামান সিউল সহ আওয়ামী লীগ ও  ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মানবিক গুনাবলীর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত রয়েছে ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আগামীতেও সবধরনের ভালো কাজের ধারা অব্যাহত থাকবে। 


আরও খবর



শেখ হাসিনা আবারো ক্ষমতায় আসলে ভাতার টাকা আরো বৃদ্ধি করবেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) : নওগাঁ-৬,(আত্রাই-রাণীনগর) আসনের এমপি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন হেলাল বলেছেন,প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারো ক্ষমতায় আসলে দেশে উপকারভোগীদের ভাতার টাকা আরো বৃদ্ধি করে দিবেন। বিধবা ভাতা,গর্ভ ভাতা,বয়স্ক ভাতা,প্রতিবন্ধিভাতাসহ বিভিন্ন প্রকারের ভাতার প্রচলন শুরু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুরুতেই ১০০টাকা করে প্রতি মাসে ভাতার টাকা দেয়া শুরু করলেও বর্তমানে সেই টাকা বৃদ্ধি করে সর্বোচ্চ ৮৫০টাকা পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের প্রায় ২০হাজার টাকা পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে। দেশের অসহায়,দু:স্থ্য এবং বয়স্করা নানা ভাবে অবহেলিত ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সেই অসহায়ত্যের কথা চিন্তা করে তাদের সহায়তার জন্য সরকারীভাবে ভাতার প্রচলন শুরু করেন। তিনি বলেন,আগামী বছরের জানুয়ারীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে যদি আপনারা ভোট দেন এবং আবারো তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতে পারেন তাহলে আপনাদের ভাতার টাকার পরিমান আরো বৃদ্ধি করবেন। তাই আগামী নির্বাচনে আবারো শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে নৌকা মাকায় ভোটের কোন বিকল্প নেই। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার সাহাগোলা ইউনিয়ন পরিষদ আয়োজিত হাতিয়াপাড়া স্কুল মাঠে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচীর আওতায় উপকারভোগীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন এমপি আনোয়ার হোসেন হেলাল।

সাহাগোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে আত্রাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুক্তিযোদ্ধা এবাদুর রহমান,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শ্রী নৃপেন্দ্রনাথ দুলাল দত্ত,সাধারণ সম্পাদক আক্কাছ আলী,ভাইস চেয়ারম্যান শেখ হাফিজুর রহমান,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা সোহেল রানাসহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং ওই ইউনিয়নের আওতায় চার হাজার ৬২৪জন উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



নওগাঁয় ''সুফলা নওগাঁ এগ্রো প্রজেক্ট'' এর সু-ফল পাচ্ছে কৃষি উদ্যোক্তারা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর রাণীনগরের “সুফলা নওগাঁ এগ্রো প্রজেক্ট” একটি সমবায় ভিত্তিক একটি কৃষি প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যই নতুন নতুন জাতের উচ্চ মূল্যের ফসল ফলিয়ে সমবায় ভিত্তিক এই কৃষি প্রতিষ্ঠানটি নিজ এলাকা সহ দেশের কৃষি জগতে অগ্রনী ভূমিকা রাখায় কৃষি উদ্যোক্তাদের কাছে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। 

''সুফলা নওগাঁ'' বর্তমানে দেশের নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তাদের কাছে অনুপ্রেরণার বাতিঘর হিসেবে আলো ছড়িয়ে আসছে। 

উত্তরবঙ্গের মধ্যে প্রথম বারের মতো এই প্রজেক্টে নতুন সংযোজনের মাধ্যমে চাষ করা হচ্ছে টিস্যুকালচারের জি-৯ জাতের উচ্চ ফলনশীল কলা। দেশের সাধারণ কলার চেয়ে অধিক লাভজনক হিসেবে জি-৯ জাতের কলা বর্তমানে এই অঞ্চলের কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে চলেছে। এই কলার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে জি-৯ জাতের কলা পাঁকার এক সপ্তাহ যাবত সংরক্ষণ করা সম্ভব। এছাড়াও সাধারণ কলার চাইতে এই কলার পুষ্টিগুনও অনেক বেশি বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। 

প্রজেক্টের পরিচালক হাবিব রতন বলেন তরুন বেকার এবং প্রান্তিক কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে ২০১৯ সালে সম্মিলিত ভাবে গড়ে তোলেন “সুফলা নওগাঁ এগ্রো প্রজেক্ট” নামের ব্যতিক্রমী কৃষি প্রতিষ্ঠানটি। প্রায় ৬ মাস অর্থ সংগ্রহের পর উপজেলার চকাদিন গ্রামে দুই একর জমি ১০ বছরের জন্য লিজ নিয়ে শুরু হয় মিশ্র ফল বাগান সৃজনের কাজ। বর্তমানে তা সম্প্রসারিত হয়ে চার একর জমিতে বিস্তার লাভ করেছে। করোনাকালীন সময়ে বীজ-বিহীন চায়না-৩ লেবু চাষে সবচেয়ে বেশি পরিচিত করে তোলে সুফলা নওগাঁকে। এরপর থেকে আর পেছন ফিরে দেখতে হয়নি। বর্তমানে প্রজেক্টটি সম্প্রসারিত করে অন্যান্য স্থানে চাষ করা হচ্ছে নানা জাতের উচ্চ মূল্যের ফসল। বর্তমানে নতুন করে আশা জাগাচ্ছে উচ্চ ফলনশীল দীগন্ত জি-৯ জাতের কলা ও বানানা ম্যাংগো আম চাষ।  


জি-৯ জাতের কলা চাষ নিয়ে হাবিব রতন আরো জানান, উত্তরবঙ্গের মধ্যে এই প্রথম নওগাঁ জেলায় টিস্যুকালচারের জি-৯ জাতের কলার বাণিজ্যিক বাগান সুফলা নওগাঁর হাত ধরেই সূচিত হয়েছে। রোগ-বালাই প্রতিরোধী ও রপ্তানী যোগ্য জি-৯ জাতের কলার চাষ দারুন লাভজনক। প্রচলিত কলার গাছে প্রতিটি কাঁদিতে কলা পাওয়া যায় ৬০-১২০টি আর জি-৯জাতের কলার প্রতিটি কাঁদিতে ২০০-২৪০টি কলা পাওয়া যায়। সম্ভাবনাময় জি-৯কলা চাষ সম্প্রসারণে আগ্রহী কৃষকদের নিয়ে উদ্বুদ্ধকরণ সভা এবং প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে। আলট্রা হাইড্রেনসিটিতে ব্যানানা ম্যাংগো আম বাগানও সৃজন হয়েছে। তারা এই অঞ্চলের কৃষিকে আরো আধুনিক ও লাভজনক করতে আধুনিক প্রযুক্তিতে উচ্চ মূল্যের সবজিও চাষ করছেন এবং সেগুলো বিস্তারের আশায় আশেপাশের অঞ্চলের আগ্রহী কৃষকদের মাঝেও চারা সহজেই পৌছে দিচ্ছেন। বর্তমানে তাদের প্রজেক্টে আধুনিক ফল যেমন মাল্টা, কমলা, ড্রাগন ও অন্যান্য ফলের আধুনিক জাত চাষ করা হচ্ছে। ফলে এই প্রজেক্টে ১২-১৫ জন স্থানীয় বেকার মানুষের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হয়েছে। প্রতিদিনই এই অঞ্চল সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কৃষি উদ্যোক্তারা তাদের প্রজেক্ট পরিদর্শন করছেন। তাদের এই প্রজেক্ট দেখে অনেকেই আধুনিক লাভ জনক কৃষির প্রতি ঝুঁকছেন আর তাদের সহযোগিতা নিয়ে গড়ে তুলছেন নতুন নতুন কৃষি প্রজেক্ট। 

সিলেট থেকে এই প্রজেক্ট পরিদর্শন করতে আসেন কৃষি উদ্যোক্তা আব্দুল মোমিন। তিনি তার প্রতিক্রিয়ায় জানান দেশের কৃষিকে আরো আধুনিক ও কৃষকদের অল্প পরিশ্রমে এবং কম খরচে অধিক লাভবান করতে সুফলা নওগাঁ প্রজেক্টের অবদান অনেক। এই প্রজেক্টের মাধ্যমে কৃষি উদ্যোক্তাদের মাঝে কম মূল্যে বিভিন্ন ফসলের চারা সরবরাহ করাসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়। নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে ও জি-৯ জাতের কলার চাষসহ উচ্চ মূল্যের বিভিন্ন ফল চাষে অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছে সুফলা নওগাঁ। আমিও তাদের কাছ থেকে অনেক উচ্চ ফলনশীল জাতের চারা সংগ্রহ করেছি।

রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা হক বলেন, সুফলা নওগাঁ এগ্রো প্রজেক্ট কৃষির জগতে এক ব্যতিক্রমী নাম। আধুনিক কৃষির অনুপ্রেরণা হচ্ছে সমবায় ভিত্তিক এই প্রজেক্টটি। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সুফলা নওগাঁকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রেখেছি। পড়ালেখা শেষ করে চাকরীর পেছনে না ছুটে সুযোগ থাকলে সুফলা নওগাঁর মতো কৃষি প্রজেক্ট গড়ে তোলা সম্ভব। ডিজিটাল যুগে এখন সবকিছুই হাতে মুঠোয়। এছাড়া নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তাদের সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের সহযোগিতাও প্রদান করা হচ্ছে। তাই সুফলা নওগাঁর মতো এমন কৃষি প্রজেক্ট গড়ে তোলা সম্ভব হলে একদিকে যেমন দেশের কৃষি ও কৃষকরা আধুনিক হবে তেমনি ভাবে কৃষকরাও ফসল চাষে অধিক লাভবান হতে পারবেন। 


আরও খবর



গাজায় গণহত্যা অব্যাহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েই চলছে দখলদার ইসরায়েল। উত্তর গাজার পাশাপাশি এখন দক্ষিণ গাজায়ও নির্বিচারে হামলা করছে ইসরায়েল। বাড়ছে নারী ও শিশুর প্রাণহানি। এদিকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, গাজায় হামাসের বিস্তৃত টানেলে সাগরের পানি ঢুকানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল।

এক সপ্তাহ যুদ্ধবিরতির পর শুক্রবার থেকে ভয়াবহ আক্রমণ ফের শুরু করেছে ইসরায়েল। এবার পুরো গাজাকেই টার্গেট করছে ইসরায়েলি সেনা। গত শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত অন্তত ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এখন দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসসহ সব খানে বোমা হামলার পরিমাণ বাড়িয়েছে তারা। খবর আল জাজিরার

ইউনিসেফ বলছে, প্রতি ১০ মিনিটে অন্তত একটি করে বোমা বর্ষণ করা হচ্ছে। এতে গোটা গাজায় একটু জায়গাও নিরাপদ নেই। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গত চার দিনের টানা বর্বর হামলায় হাসপাতালগুলোতে লাশের বন্যা হয়ে গেছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলছে, গাজায় হামাসের কেন্দ্রগুলো ধ্বংস করতে তারা গোটা গাজায় হামলা বিস্তৃত করেছে। আইডিএফের প্রধান মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, সেনারা এখন হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াই করছে।

সোমবার সকালে গাজাবাসীকে গাজার কেন্দ্রস্থলের অন্তত ২০টি এলাকা থেকে অন্যত্র সরে যাওয়ার নতুন আদেশ জারি করেছে ইসরায়েল। কিন্তু এর আগে উত্তর থেকে দক্ষিণের খান ইউনিসের এসব এলাকায় ঠাঁই নিয়েছিলেন তারা। এখন আবার অন্যত্র চলে যাওয়ার নির্দেশে আতঙ্কিত বাসিন্দারা।

গত মাসে আল-শাতি শরণার্থী শিবিরের উত্তরে পাঁচটি বড় পাম্প একত্রিত করা হয়েছে। এসব পাম্প হাজার হাজার ঘনমিটার সমুদ্রের পানি টানেলে পাম্প করতে সক্ষম।

রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫ হাজার ৫২৩ জন। ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগ নারী ও শিশু।

এক সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কেদরা বলেছেন, দখলদার সেনাদের হামলায় আহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৩১৬ জন।

গত ৭ অক্টোবর গাজার সীমান্ত সংলগ্ন ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের নজিরবিহীন হামলায় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ সময় হামাস ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যায়। এর মধ্যে যুদ্ধবিরতির সময় ১১০ জনকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।

নিহত স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের সংখ্যার বিষয়ে আল-কেদরা বলেন, ইসরায়েলের হামলায় মোট ২৮১ চিকিৎসক ও ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হন। তাদের আক্রমণে ৫৬টি স্বাস্থ্য খাতের অবকাঠামো ও অ্যাম্বুলেন্স সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে। এছাড়া ২০টি হাসপাতাল ও ৪৬টি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র ধ্বংস হয়েছে ইসরায়েলি হামলায়।

গাজায় হামাসের ব্যবহৃত প্রায় ৮০০টি টানেল পাওয়ার দাবি করেছে আইডিএফ। এর মধ্যে ৫০০টি ধ্বংস করা হয়েছে বলেও দাবি তাদের।

এদিকে এক প্রতিবেদনে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে যে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হামাসের টানেল নেটওয়ার্কে সমুদ্রের পানি ঢুকানোর পরিকল্পনা করছে। গত মাসে আল-শাতি শরণার্থী শিবিরের উত্তরে পাঁচটি বড় পাম্প একত্রিত করা হয়েছে। এসব পাম্প হাজার হাজার ঘনমিটার সমুদ্রের পানি টানেলে পাম্প করতে সক্ষম।

এই পরিকল্পনার প্রধান উদ্বেগ হলো সমুদ্রের পানি ভূগর্ভের পানিকে বিষাক্ত করে ফেলতে পারে। ওই এলাকার ভূপৃষ্টের গতি প্রকৃতিও পাল্টে যেতে পারে। এর ফলে ওই এলাকায় কোনো ফসল নাও হতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল মার্কিন কর্মকর্তাদের জানিয়েছিল যে, তারা গত মাসে এই বিকল্পটি বিবেচনা করছে। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা পরিবেশগত কারণগুলো বিবেচনার আহ্বান জানান। কিছু মার্কিন কর্মকর্তা এই পরিকল্পনার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে বাকিরা এই পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছেন।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে যে, প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়ন করতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। এছাড়া হামাস যোদ্ধা ও তাদের কাছে থাকা জিম্মিদের সরে যাওয়ার বিষয়ে সতর্কতা করা হতে পারে। তবে সকল জিম্মি ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত ইসরায়েল অপেক্ষা করবে কি না সেটি স্পষ্ট নয়।

খবরে বলা হয়েছে, এই পরিকল্পনার একটি প্রধান উদ্বেগ হলো সমুদ্রের পানি ভূগর্ভে পাম্প করার পরিবেশগত প্রভাব। সমুদ্রের পানি মাটিতে প্রবেশ করা উদ্বেগের, কারণ এটি মাটির গভীরে থাকা আধা-লবনাক্ত জলাশয়গুলোকে বিষাক্ত করে ফেলতে পারে। এছাড়া এর ফলে ওই এলাকার ভূপৃষ্টের গতি প্রকৃতিও পাল্টে যেতে পারে।

সাগরের পানি টানেলে ঢুকালে সেটি গাজার মাটিকে লবণাক্ত করবে, ফলে ফসল ফলানো অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে। সাবেক মার্কিন কর্মকর্তারা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন যে, পরিকল্পনাটি সম্ভবত বিশ্বব্যাপী নিন্দা বয়ে আনবে। তবে তিনি দাবি করেন- এটি স্থায়ীভাবে টানেলগুলোকে নিষ্ক্রিয় করার কয়েকটি উপায়ের মধ্যে একটি হতে পারে।

২০১৫ সালে মিশর সামুদ্রিক পানি হামাসের টানেলে ঢুকিয়েছিল। পরে রাফাহর কৃষকদের অভিযোগ ছিল যে, এর ফলে তাদের ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট সোমবার বলেছেন, হামাসের সমস্ত অবকাঠামো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনাবাহিনী পুরো গাজা শহর এবং গাজা উপত্যকার উত্তর অংশে হামলা চালাবে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, হামাসের সমস্ত অবকাঠামো নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনী গাজায় থাকবে।

 


আরও খবর



নওগাঁর ৬টি আসনে ২২ জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

জাতীয় সংসদ নির্বাচন, নওগাঁর ৬টি সংসদীয় আসনে ২২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। নওগাঁর জেলা প্রশাসক ও ৬টি আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা নানা অসঙ্গগতির কারনে এসব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর যাচাই-বাছাই শেষে সোমবার সকাল ৯টা থেকে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বৈধ ও বাতিল হওয়া প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এসময় ৩৩ জনের মনোনয় পত্র বৈধ্য ঘোষণা করা হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম শেষ হয় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা এই ঘোষণা দেন।   

নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার) ৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ আসনে বৈধ্য প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, স্বতন্ত্র জামেদ আলী, জাতীয় পার্টির আকবর আলী কালু, জাকের পার্টির মোহাম্মদ আলী।

বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য খালেকুজ্জামান তোতা ও সোহরাব হোসেনের পক্ষে সংসদীয় এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসংবলিত সমর্থনসূচক তালিকায় ত্রুটিযুক্ত স্বাক্ষর ও মামলার তথ্য গোপন রাখায় তাঁদের মনোনয়ন ফরম বাতিল করা হয়। 

নওগাঁ-২ (পত্নীতলা ও ধামইরহাট) আসনে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়া ৬ জন প্রার্থীর-ই মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে। ঋণ খেলাপী হওয়া, মামলার তথ্য গোপন রাখা ও সংসদীয় এলাকার ১ শতাংশ  ভোটারের স্বাক্ষর সংবলিত সমর্থন সূচক তালিকায় ত্রুটিযুক্ত স্বাক্ষর সহ বিভিন্ন অসঙ্গতির কারণে তাঁদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

বাতিল ৬ প্রার্থী হলেন, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আইয়ুব হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এইচএম আখতারুল আলম, নজিপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজল চন্দ্র দাস, ধামইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আজিজার রহমান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মেজবাহুল আলম। 

বৈধ্য প্রার্থীরা হলেন নওগাঁ-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহীদুজ্জামান সরকার, জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন, জাকের পার্টির এম আর ফারুক।

নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর ও বদলগাছী) আসনে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক আমলা সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, স্বতন্ত্র প্রার্থী সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার, মাহফুজা আকরাম চৌধুরী মায়া, জাতীয় পার্টির মাসুদ রানা, জাকের পার্টির আলম হোসেনের মনোনয়ন ফরম বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

বিভিন্ন অসঙ্গতির কারণে কৌতুক অভিনেতা শামীনুর রহমান ওরফে চিকন আলী ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডিএম মাহবুব-উল মান্নাফ সহ ৫ জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। মনোনয়ন বাতিল হওয়া অপর তিন প্রার্থী হলেন, বিএনএমের প্রার্থী জাবেদ আলী, এনপিপির প্রার্থী স্বপন কুমার দাস ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজ হোসেন। এছাড়া তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী সোহেল কবির চৌধুরীর মনোনয়ন ফরম স্থগিত রাখা হয়েছে।

নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে ১০ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দেন। এদের মধ্যে বিভিন্ন অসঙ্গতির কারণে ৪ জনের মনোনয়ন ফরম বাতিল করা হয়েছে। 

বৈধ্য প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাহিদ মোর্শেদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক এসএম ব্রুহানী সুলতান মামুদ (গামা), জাতীয় পার্টির আলতাফ হোসেন, জাকের পার্টির দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ কনগ্রেস এর আব্দুর রহমান। 

বিভিন্ন অসঙ্গতি সম্বলিত কাগজ পত্র জমা দেয়ায় মনোনয়ন পত্র বাতিল হওয়া ৪ প্রার্থীরা হলেন, দলীয় সুপারিশপত্র না থাকায় বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী কামাল পারভেজ, সংসদীয় এলাকায় ১ শতাংশ ত্রুটিযুক্ত স্বাক্ষর কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী আফজাল হোসেন, স্বতন্ত্র আব্দুস সামাদ ও স্বতন্ত্র জিয়াউল হকের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে।

নওগাঁ-৫ (সদর) আসনে ৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দেন। এদের মধ্যে এক জনের ছাড়া বাঁকিদের মনোনয়নপত্র বৈধ্য ঘোষণা করা হয়। 

বৈধ্যরা হলেন, আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ ব্যারিষ্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক, দেওয়ান ছেকার আহম্মেদ শিষাণ, জাতীয় পার্টির ইফতেখারুল ইসলাম বকুল, জাসদ এর এসএম আজাদ হোসেন মুরাদ এবং জাকের পার্টির মশিউর রহমান এর প্রার্থীতা বৈধ্য ঘোষণা করা হয়। 

হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় এনপিপি’র খন্দকার আমিনুর রহমান এর প্রার্থীতা বাতিল করা হয়।

নওগাঁ-৬ আসনে ১২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। যাচাই-বাছাই শেষে ৮ জনের প্রার্থী বৈধ্য ঘোষণা করা হয়। 

বৈধ্য প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের আনোয়ার হোসেন হেলাল, স্বতন্ত্র ওমর ফারুক সুমন, স্বতন্ত্র প্রার্থী নওশের আলী, স্বতন্ত্র জাহিদুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির আবু বেলাল হোসেন, তৃণমূল বিএনপির পিকে আব্দুর রব, বাংলাদেশ কনগ্রেস এর আব্দুস ছাত্তার, জাকের পার্টির রবি রায়হান।

বিভিন্ন অসংগতি থাকায় ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। এদের মধ্যে মামলায় খালাস পাওয়ার পরও ৬টি মামলার তথ্য গোপন করা, সম্পদ বিবরণী ফরম ফাঁকা রাখায় স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদ ইসলাম বিপ্লব, ২১ নং ফরম পূরণ না করা এবং নির্বাচনী সংসদীয় এলাকায় ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সম্বলিত সমর্থনসূচক তালিকায় ত্রুটিযুক্ত থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ রতন, ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সম্বলিত সমর্থনসূচক তালিকায় ত্রুটিযুক্ত থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ জালাল উদ্দিন এবং হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় এনপিপি’র খন্দকার ইস্তেখাব আলমের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়। 

নওগাঁর ৬টি আসন থেকে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, স্বতন্ত্র সহ অন্যন্যা দলের মোট ৫৫ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র ৩১জন এবং অন্যান্য দলের ২৪ জন মনোনয়ন পত্র জমা দেন।


আরও খবর



মাতারবাড়ি সমুদ্র বন্দর, তিন বিলিয়ন ডলার যোগ হবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি ধলঘাট এলাকায় নির্মণাধীন মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর চালু হলে দেশের অর্থনীতিতে দুই থেকে তিন বিলিয়ন ডলার যুক্ত হবে। সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন খরচ ১০ থেকে ২০ ভাগ কমে আসবে।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর দক্ষিণ এশিয়ার সিম্বল হয়ে থাকবে। আর দেশের অর্থনীতিতে দুই থেকে তিন বিলিয়ন ডলার যোগ হবে। বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন খরচও কমে আসবে। এক কথায় অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত সূচিত হবে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেঁষে ১ হাজার ৩১ একর জায়গার নির্মাণ করা হচ্ছে এই বন্দরটি। মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ হলে ৮ হাজার ২০০ টিইইউএস ক্ষমতাসম্পন্ন কন্টেইনার বহনকারী জাহাজ নোঙ্গর করতে পারবে।
মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর দৃশ্যমান হয়ে গেছে-উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২৬ সালে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হবে। এখানে বড় ধরনের ফিডার ভেসেল আসবে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্নের জায়গায় নিয়ে গেছেন।  ১১ নভেম্বর শনিবার প্রধানমন্ত্রী মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের চ্যানেল উদ্বোধন এবং মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল জানান, চট্টগ্রাম বন্দর হবে অর্থনীতির লাইফ লাইন। গভীর সমুদ্র বন্দর চালু হলে পণ্য নিয়ে সিঙ্গাপুর, কলম্বো ও মালয়েশিয়ার বন্দরে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের আর অপেক্ষায় থাকতে হবে না। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় একটি পণ্যের চালান পাঠাতে সময় লাগে ৪৫ দিন। মাতারবাড়ি বন্দর চালু হলে মাত্র ২৩ দিনেই সরাসরি নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছে যাবে।

মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের প্রকল্প পরিচালক মো. জাহিদ হোসেন জানান, গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে ৩৫০ মিটার প্রশস্ত ও ১৬ মিটার গভীরতা সম্পন্ন ১৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের উত্তর পাশে ২ হাজার ১৫০ মিটার দীর্ঘ ও দক্ষিণ পাশে ৬৭০ মিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার (ঢেউ নিরোধক বাঁধ) নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে

তিনি আরও জানান, দেশের প্রথম ও একমাত্র গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনের জন্য ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। মাতারবাড়ি টার্মিনাল বাস্তবায়িত হলে ১৬ মিটার বা ততধিক গভীরতাসম্পন্ন বাণিজ্যিক জাহাজ গমনাগমন করতে সক্ষম হবে।

প্রকল্প সূত্র জানায়, গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে ৩৫০ মিটার প্রশস্ত ও ১৬ মিটার গভীরতাসম্পন্ন ১৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের নির্মাণকাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। এছাড়া  অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের উত্তর পাশে ২ হাজার ১৫০ মিটার দীর্ঘ ও দক্ষিণ পাশে ৬৭০ মিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার (ঢেউ নিরোধক বাঁধ) নির্মাণকাজও শেষ হয়েছে। বর্তমানে ৪৬০ মিটার দীর্ঘ কন্টেইনার জেটি ও ৩০০ মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস জেটি নির্মাণ এবং কন্টেইনার ইয়ার্ডসহ বন্দর সুবিধাদি নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে আনুমানিক শূন্য দশমিক ৬ থেকে ১ দশমিক ১ মিলিয়ন টিইইউস (২০ ফুট দৈর্ঘেরে কন্টেইনার) এবং ২০৪১ সালের মধ্যে আনুমানিক ২ দশমিক ২ হতে ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন টিইইউস কন্টেইনার কার্গো হ্যান্ডেল করা সম্ভব হবে। প্রকল্পের সড়ক ও জনপথ অংশে ২৭ দশমিক ৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে মাতারবাড়ি বন্দরের সঙ্গে ন্যাশনাল হাইওয়ের সংযোগ স্থাপন করার কাজও চলমান রয়েছে ।

উল্লেখ্য, মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ১৬ লাখ ১৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে সমুদ্রবন্দর নির্মাণে ব্যয় হবে ৮ হাজার ৯৫৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা। বন্দর নির্মাণে জাপানি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা ঋণ সহায়তা দিবে ৬ হাজার ৭৪২ কোটি ৫৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। বাকি ২ হাজার ২১৩ কোটি ২৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকা দিবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)।

এছাড়া বন্দর এলাকায় সড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৮২১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সড়ক নির্মাণে জাইকা ঋণ সহায়তা দিবে ৬ হাজার ১৫০ কোটি ১৯ লাখ টাকা। বাকি ২ হাজার ৬৭১ কোটি ১৫ লাখ সড়ক ও জনপথের (সওজ) ফান্ড থেকে ব্যয় করা হবে। বন্দর ও সড়ক নির্মাণে জাপান সরকার মোট ঋণ সহায়তা দিবে ১২ হাজার ৮৯২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।

আরও উল্লেখ্য যে, মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প ২০২০ সালের ১০ মার্চ একনেক সভায় অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পে মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২০ সালে জানুয়ারি থেকে ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)। এ ছাড়া প্রকল্প এলাকায় সড়ক নির্মাণ করছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)।

বাসস :


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩