Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় ছিনতাইকৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার সহ ছিনতাইকারী আটক

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুরে গভীর রাতে রাস্তায় পথরোধ করে মোটরসাইকেল চালককে মারপিটে আহত করে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনায় তারেক হাসান (২৪) নামের এক যুবককে আটক করেছে মহাদেবপুর থানা পুলিশ। এঘটনায় ভুক্তভোগী মিলন নামের এক যুবক থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরই সোমবার মহাদেবপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আটককৃতের বাড়ি থেকে ছিনতাইকৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার সহ তাকে আটক করেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল রাত অনুমান সোয়া ১২ টারদিকে উপজেলার ভালাইন গ্রামের শিবগঞ্জ থেকে বামনসাতাগামী রাস্তার উপর ফিংঙ্গার পুকুর সংলগ্ন যাত্রী ছাউনীর সামনে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন দুষ্কৃতিকারী রাস্তার পথরোধ করে মিলন সহ মোটরসাইকেল আরোহী দু'জনকে এলোপাতারি ভাবে মারপিট করে তাদের ব্যবহৃত একটি সুজুকী জিসার মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন বলেন,  মহাদেবপুর সার্কেল (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) জয়ব্রত পালের নেতৃত্বে মহাদেবপুর থানার অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনার জন্যে একটি শক্তিশালী চৌকশ পুলিশ টিম গঠন করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত দস্যুদের আটকের জন্য জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত থাকায় ছিনতাইকৃত মোটরসাইকেল টি উদ্ধার সহ তারেক হাসানকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এ মামলায় জড়ীত অপরদের কেও আটকের জন্য অভিযান চলমান রয়েচে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



নওগাঁয় আলোচিত সুমন হত্যাকান্ড মামলার প্রধান আসামীকে আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর পত্নীতলায় আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর কম্পিউটার ব্যবসায়ী সুমন হোসাইন (২৩) হত্যাকান্ড মামলার প্রধান আসামী বুলবুল (৩৫) কে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করছে পুলিশ। বৃহষ্পতিবার ২১ নভেম্বর দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান। এর আগে ভোরে ঢাকার গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত বুলবুল হলেন, সুমন হোসাইন হত্যা মামলার মূল আসামী সে নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার গাহন গ্রামের আব্দুল করিম এর ছেলে। আর হত্যার শিকার যুবক সুমন হোসাইন হলেন, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার বিলছাড়া চকপাড়া গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিন ও শাহিদা'র ছেলে। সুমন হোসাইন পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার বাসস্ট্যান্ড মসজিদ মার্কেটের সুমন ফটোস্ট্যাটের স্বত্বাধিকারী। 

সংবাদ সম্মেলনে নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান জানান, গত ১৭ নভেম্বর রাত সারে ১০টায় নিজের ফেসবুকে আইডিতে লাইভে এসে সুমন দাবি করেন বুলবুল এর কাছ থেকে সুদের উপর ৭০ হাজার টাকা ঋণ নেয়। এই ঋণের টাকা দেওয়ার সময় বুলবুল তার কাছ থেকে স্বাক্ষর করা ফাঁকা স্ট্যাম্পও নেন। সেই টাকা বৃদ্ধি পেতে পেতে ১০ লাখ টাকা হয়ে যায়। এটা নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দন্দ চলছিল এবং বুলবুল সুমনকে চাপও দিচ্ছিলেন। সেই টাকাই সুমন রাতে মহাদেবপুর উপজেলা থেকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় রাস্তার মাঝখানে বুলবুল তার কিছু লোক দিয়ে তাকে ধাওয়া করে মেরে ফেলার চেষ্টা করছেন বলে লাইভে বলেন। এরপর একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। পুলিশ কর্মকর্তা


গাজিউর রহমান আরো জানান, এ ঘটনার পর থেকে বুলবুল পালিয়ে বেড়ান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ভোরে গাজীপুরের কোনাবাড়ী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিকভাবে বুলবুল এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন। তবে তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে। তারপর জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই হত্যাকান্ডের সাথে কারা কারা জড়িত এর মূল কারণ বেরিয়ে আসবে। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ১৭ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টারদিকে নিজের ফেসবুকে আইডিতে লাইভে এসে কথা বলেছিলেন সুমন হোসাইন। সেই ৫ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের ফেসবুক লাইভ ভাইরাল হয়। জানা যায়, কিছুদিন আগে তিনি নজিপুর বাসস্ট্যান্ড মজসিদ মার্কেটের বুলবুল টেলিকমের স্বত্বাধিকারী বুলবুল হোসেনের কাছ থেকে সুদের উপর ৭০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। এই ঋণের টাকা দেওয়ার সময় বুলবুল সুমন হোসাইন এর কাছ থেকে স্বাক্ষর করা ফাঁকা স্ট্যাম্প ও ব্যাংক চেকের পাতা নেন। ঋণ গ্রহণের পর সুমন পর্যায়ক্রমে সুদসহ বুলবুলকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু বুলবুল সুমনের কাছ থেকে প্রথমে আরো ১০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা দাবি করেন এবং পরে ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। সেই টাকার জন্য বুলবুল সুমনকে হত্যাসহ নানাভাবে হুমকি ও চাপ দিচ্ছিলেন। নিরুপায় হয়ে সুমন বুলবুলের দাবি করা ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে  গত সোমবার ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত সময় চান। বুলবুলকে টাকা দেওয়ার জন্য সুমন মহাদেবপুর থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে ১৭ নভেম্বর রবিবার রাতে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে গ্রামের বাড়ি বিলছাড়া চকপাড়া গ্রামে ফিরছিলেন। সুমনের ভাষ্যমতে, তিনি গ্রামের বাড়ি ফেরার পথে নাদৌড় মোড় এলাকায় পৌঁছালে বুলবুল এর নের্তৃত্বে দুষ্কৃতকারীরা তাঁকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে সঙ্গে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সুমন পালিয়ে ফেসবুকে লাইভে এসে তাঁকে বাঁচানোর আকুতি জানান। ছিনতাইকারীরা তার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে হত্যার জন্য খুঁজছে বলেও দাবি করেন সুমন। লাইভে সুমন বলে যান, মহাদেবপুর থেকে টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার খবর বুলবুল ছাড়া আর কেউ জানত না। সুমনের ফেসবুক লাইভ দেখে তার গ্রামের বাড়ি বিলছাড়া চকপাড়া ও আশপাশের গ্রামের লোকজন নাদৌড় মোড়ে ছুটে আসেন। লোকজন ছুটে এসে সুমনকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে উপজেলার পদ্মপুকুর বালকাপাড়া গ্রামের একটি গাছের ডালের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পান। তাকে উদ্ধার করে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর থেকে বুলবুল পলাতক ছিলেন।


আরও খবর



গজারিয়ায় অবৈধ গ্যাস সংযোগে চুনা ও মার্বেল ফ্যাক্টরি গুড়িয়ে দিল ভ্রাম্যমান আদালত

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

গজারিয়া উপজেলার জামালদী, বালুয়াকান্দি ও বাউশিয়া ইউনিয়নের অবৈধ চূনা ফ্যাক্টরি,  ঢালাই কারখানা ও মার্বেল ফ্যাক্টরিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।                                                             এসময় ২টি কারখানার ২ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে ২টি মামলায় ২০০০০০০/-(দুই লক্ষ টাকা) অর্থদণ্ড করা হয়।

                                                              আগামীকালের মধ্যে অবৈধ কারখানার সরঞ্জামাদি সরানোর নির্দেশ প্রদান করা হয় । অন্য ২টি কারখানার সবাই খবর পেয়ে পালিয়ে গেলেও একটি কারখানা যাকে পূর্বে অর্থদণ্ড প্রদান করে অবৈধ কারখানা বন্ধে মুচলেকা দেয়া সত্বেও কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছিলো সে কারখানার চুল্লী এক্সভেটরের সাহায্যে ভেঙে দেয়া হয়েছে। 

অভিযানটি পরিচালনা করেন গজারিয়া উপজেলার সুযোগ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কহিনুর আক্তার, ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মামুন শরীফ, সেনাবাহিনী গজারিয়া ক্যাম্প থানা  পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সহযোগিতায় অবৈধ গ্যাস সংযোগে চুনাও মার্বেল ফ্যাক্টরি এক্সভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান পরিবেশ দূষণে অবৈধ কারখানার গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



যুদ্ধবিরতি কার্যকর ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অবশেষে কার্যকর হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার ভোর চারটায় এই চুক্তি কার্যকর হয়।

যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় হওয়া এই চুক্তি উভয় পক্ষ মেনে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। খবর রয়টার্সের।

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানান, ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ১০-১ ভোটে এই চুক্তি অনুমোদন করেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও লেবাননের অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির সঙ্গে কথা বলার পর বাইডেন নিশ্চিত করেন যে, স্থানীয় সময় ভোর চারটায় যুদ্ধ বন্ধ হবে। এর মধ্য দিয়ে লেবানন সীমান্তে ১৪ মাস ধরে চলা লড়াই অবসানের একটি পথ তৈরি হয়। ইতোমধ্যে এই লড়াইয়ে হাজারও মানুষের প্রাণ গেছে।

ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা মঙ্গলবার ১০-১ ভোটে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদনের পরপরই হোয়াইট হাউসে বক্তৃতা দিতে আসেন বাইডেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির সঙ্গে তার কথা হয়েছে, স্থানীয় সময় ভোর ৪ টায় যুদ্ধবিরতি শুরু করতে তারা দুজনেই সম্মত হয়েছেন। বৈরিতার স্থায়ী অবসানের লক্ষ্য নিয়ে এ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের পরিকল্পনা করা হয়েছে। হিজবুল্লাহ এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনের যা অবশিষ্ট আছে, তাদের আর ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে দেওয়া হবে না।

চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েল আগামী ৬০ দিনের মধ্যে লেবানন থেকে পর্যায়ক্রমে তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করবে। একই সময়ে লেবাননের সেনাবাহিনী ইসরায়েল সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেবে, যাতে হিজবুল্লাহ সেখানে আবার কোনো অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ না করতে পারে।

এই যুদ্ধবিরতি নিয়ে হিজবুল্লাহ আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে তাদের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হাসান ফাদলাল্লাহ লেবাননের আল জাদেদ টিভিকে বলেছেন, এ চুক্তি লেবাননের রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের সম্প্রসারণকে সমর্থন করলেও হিজবুল্লাহ আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। হাজারো মানুষ আমাদের প্রতিরোধে যোগ দেবে। আমাদের নিরস্ত্র করার যে প্রস্তাব ইসরায়েলি দিয়েছিল, সেটা ভেস্তে গেছে।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ বলেছেন এক্স পোস্টে লিখেছে, এ চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় ইসরায়েলি ও লেবানিজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বহু মাস ধরে চলা আলোচনার চূড়ান্ত পরিণতি।


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




শুধু নির্বাচন দেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বললেন, শুধু নির্বাচন আয়োজন করা অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়। তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কেয়ারটেকার সরকার নয়। তাই শুধু নির্বাচন দেওয়াই এই সরকারের কাজ নয়। ইতিমধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের জন্য বিভিন্ন কমিশন গঠন করা হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার শেষে নির্বাচন দেওয়া হবে।

সোমবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের অফিসকক্ষে কমনওয়েলথের সহকারী মহাসচিব অধ্যাপক লুইস ফ্রান্সেচির সঙ্গে সাক্ষাতে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

দেশের স্বার্থ রক্ষা হয়, এমন যেকোনো কাজ করতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রস্তুত জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে যে গণহত্যা হয়েছে, তার বিচারপ্রক্রিয়া চলমান। এ বিচার নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে কমনওয়েলথের সহযোগিতা প্রয়োজন। পাশাপাশি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সারা পৃথিবী থেকে সমর্থন পেয়েছে, যা এখনো অব্যাহত আছে।

কমনওয়েলথের সহকারী মহাসচিব লুইস ফ্রান্সেচি নির্বাচনী প্রক্রিয়া সংস্কারসহ সরকারের চলমান সংস্কার উদ্যোগে কমনওয়েলথের সমর্থনের আশ্বাস দেন।

তিনি বৈষম্যমুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য কমনওয়েলথের অঙ্গীকারের ওপর জোর দেন। বাংলাদেশের পাশে তারা আছেন জানিয়ে বলেন, শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি, গণমাধ্যম, সাইবার নিরাপত্তা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী কমনওয়েলথ।

সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. মুশফিকুর রহমান, তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মুহম্মদ মেহেদী হাসান, কমন‌ওয়েলথের অ্যাডভাইজার অ্যান্ড হেড অব এশিয়া দিনুসা নিহারাসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।


আরও খবর



ভিজিট ভিসায় আমেরিকা গিয়ে যেভাবে সেটেল হবেন

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

অনেকেই আমাকে এই প্রশ্ন করেছেন কিভাবে ভিজিট ভিসায়  আমেরিকা গিয়ে সেটেল হওয়া যাবে ।

যেহেতু বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি ভিসা হয় আমেরিকার ভিজিট ভিসা । আমেরিকা প্রতিবছর আমাদের দেশ থেকে  কমপক্ষে ২০০০০ থেকে ৩৫ হাজার ভিজিট ভিসা দিয়ে থাকে। 

এই মাল্টিপল ভিজিট ভিসা পাঁচ বছরের জন্য প্রদান করে,   অর্থাৎ আপনি পাঁচ বছর আমেরিকাতে যাওয়া আসা করতে পারবেন, কিন্তু একটানা ছয় মাসের বেশি থাকতে পারবেন না। 

কিন্তু বেশ কিছু উপায় আছে যেগুলো অবলম্বন করলে, পার্মানেন্টলি আমেরিকাতে থাকতে পারবেন এবং গ্রীন কার্ড পাবেন । 

বেশ কয়েকটি উপায়ে আমেরিকাতে গিয়ে সেটেল হওয়ার সুযোগ রয়েছে । আজকের এই পোস্টে বেশ কয়েকটি উপায় আলোচনা করব । 

১। আমেরিকাতে ভিজিট ভিসায় গিয়ে আপনি যদি একটি জব ম্যানেজ করতে পারেন তাহলে EB3 গ্রীন কার্ড ক্যাটাগরিতে আপনার স্ট্যাটাস চেঞ্জ করতে পারবেন । অনেক এজেন্সি আছে যারা জব ম্যানেজ করে দেয় ।

 EB3 এর আনিস্কিলড ক্যাটাগরিতে যে কেউ আবেদন করতে পারে উদাহরণস্বরূপ ওয়েটার, ফ্রুটপিকার, ডেলিভারি ম্যান, সেলসম্যান, রেস্টুরেন্টের কিচেন সহকারি, কেয়ার গিভার, বাগানের মালি এক কথায় যেকোনো আন স্কিল জব । 

তবে, আপনি যেহেতু টানা ছয় মাসে বেশি থাকতে পারবেন না, সুতরাং ছয় মাসের মধ্যে আপনি একটা জব ম্যানেজ করে আপনার লয়ারের সাথে কথাবার্তা বলে বাংলাদেশে চলে আসবেন । 

 আপনার lawyer আপনার জন্য Perm lebour certificate, I - 140 অ্যাপ্রুভ করে রাখবে এবং আপনার স্ট্যাটাস চেঞ্জ করবে । যাইহোক, পরবর্তী পদক্ষেপ বাংলাদেশ থেকে নিতে পারবেন  এবং EB3 হয়ে গেলে পরিবারসহ গ্রীন কার্ড নিয়ে চলে যেতে পারবেন । ( EB3 নিয়ে বিস্তারিত ভিডিও আকারে আসবে ) 

২। ভিজিট ভিসায় গিয়ে আপনি  ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স এ  অথবা অন্য  যেকোনো বিষয়ে আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী ভর্তি হতে পারেন এতে করে আপনি ভিজিট ভিসার ক্যাটাগরি  F1 ক্যাটাগরিতে পরিবর্তিত হবে এবং আপনি আমেরিকাতে থাকতে পারবেন । 

৩। আপনার যদি বাংলাদেশে থাকা নিরাপত্তা জনিত কারণে কঠিন হয় তাহলে, আমেরিকাতে ভিজিট ভিসায় গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে পারেন, আপনি রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করলেই বৈধভাবে আমেরিকাতে থাকতে পারবেন এবং কাজ করতে পারবেন ।

 যে কেউ এই আবেদন করতে পারে এবং সহজ প্রসেস ।

আপনার পিটিশন সঠিক কিনা সেটা রায় আসতে ৭ থেকে ১০ বছর সময় লাগবে । ১০ বছর পরে আপনি যদি প্রমাণ করতে পারেন আপনি সঠিক ছিলেন  তখন আপনাকে তারা পার্মানেন্টলি থাকার পারমিশন দেবে , আপনার পিটিশন ক্যানসেল হলে বাংলাদেশে ব্যাক করতে হবে । 

৪। আমেরিকার নাগরিক এমন করো নারী / পুরুষকে বিয়ে করতে পারেন । 

আরো অসংখ্য উপায় রয়েছে যেখানে বৈধভাবে থাকা যাবে, আমেরিকাতে গিয়ে নরমালি কেউ ফেরত আসে না । 

মাত্র ১৮৫ ডলার/  ২২ হাজার টাকা এম্বাসি ফি দিয়ে কিভাবে আমেরিকার ভিজিট ভিসা করবেন এই বিষয়ে ষ্টেপ বাই স্টেপ বিস্তারিত ভিডিও কোর্স তৈরি করা হচ্ছে । যেখানে আমি সরাসরি কয়েকটি অ্যাপ্লিকেশন করে দেখাবো । 


আরও খবর