Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় ধান কাটতে গিয়ে হিটস্ট্রোকে এক জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে মাঠে ধান কাটতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টার দিকে নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় শিমুলিয়া গ্রামের মাঠে ধান ক্ষেতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত দুলাল উদ্দিন সরদার ঐ গ্রামের কশরত আলীর ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, দুলাল উদ্দিন সরদার সকাল ৮টার দিকে তার বাড়ির কাছে মাঠে ধান কাটতে যান। সকাল পৌনে ৯টার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে মাঠে ধানের ক্ষেতে পড়ে যান। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে মাঠ থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রওশন হ্যাপি বলেন, কৃষক দুলালকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। আমাদের ধারণা, প্রচণ্ড গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে তিনি মাঠের মধ্যেই মারা গিয়েছিলেন। তবে তার লো প্রেশার ছিল বলেও জানিয়েছেন স্বজনরা।

এদিকে, গত তিন সপ্তাহ ধরে চলমান তাপদাহে জেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার জেলার বদলগাছি আবহাওয়া অফিসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ বুধবার জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৮ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



মওলানা ভাসানী আমাদের প্রেরণার উৎস

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

অসহায় মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় মওলানা ভাসানী সব সময় আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

রবিবার (১৭ নভেম্বর) মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, মওলানা ভাসানী অগাধ দেশপ্রেম, দেশ ও জাতির স্বার্থরক্ষা এবং গণতন্ত্র ও মানবতার শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে যুগ যুগ ধরে আমাদের অনুপ্রাণিত করবে। তার আদর্শকে সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারলেই আমরা আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হবো।

তিনি বলেন, মওলানা ভাসানী আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম। সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ ও আধিপত্যবাদবিরোধী সংগ্রামের প্রবাদ পুরুষ মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে উপমহাদেশের নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের পক্ষে আপসহীন ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়েছেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, মওলানা ভাসানী দেশমাতৃকার মুক্তির পথপ্রদর্শক হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি জনতার ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামে মওলানা ভাসানী ছিলেন এক আলোকবর্তিকা। তার অবস্থান ছিল শোষণের বিরুদ্ধে এবং শোষিতের পক্ষে।

তারেক রহমান বলেন, অধিকার আদায়ে তিনি এ দেশের মানুষকে সাহস যুগিয়েছেন তার নির্ভীক ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের দ্বারা। তার হুংকারে অত্যাচারী শাসক ও শোষক গোষ্ঠীর মসনদে কম্পন সৃষ্টি হতো। জাতির ভয়াবহ দুর্দিনগুলোয় তিনি জনস্বার্থের পক্ষে থাকতেন বলেই জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছিলেন।

আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

সূত্র : বাসস।


আরও খবর



ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মাভাবিপ্রবিতে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

গণআন্দোলন ও গণমানুষের রাজনীতির প্রাণপুরুষ স্বাধীনতা ও মুক্তিসংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে "'মওলানা ভাসানী ও নতুন বাংলাদেশ' শীর্ষক" আলোচনা সভায় অংশ নিতে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম।

আজ ১৩ নভেম্বর ২০২৪ (বুধবার) বিকাল ৩ ঘটিকায় মাভাবিপ্রবির দরবার হলে অনুষ্ঠিত হয়  আলোচনা সভা।

উক্ত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন মাভাবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো: আনোয়ারুল আজীম আখন্দ।

প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া পাশাপাশি প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন  মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলম।

আরও উপস্থিত ছিলেন আখতার হোসেন সদস্য সচিব, জাতীয় নাগরিক কমিটি, আরিফ সোহেল সদস্য সচিব, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন,

মাসুদুর রহমান রাসেল সদস্য সচিব, মওলানা ভাসানী পাঠচক্র, মাহমুদুল হক সানু মহাসচিব, ভাসানী ফাউন্ডেশন।

আলোচনা সভায় আসিফ মাহমুদ বলেন, "আমাদের পিতা একজন নয়। অনেকের অবদান রয়েছে দেশ গঠনে। তার মধ্যে অন্যতম মাওলানা ভাসানী। পাশাপাশি তিনি টাঙাইল স্টেডিয়ামের নাম শহিদ মারুফ স্টেডিয়াম নামকরণের কথা জানান।

অনুষ্ঠানটির আয়োজনে ছিল মওলানা ভাসানী পাঠচক্র ও জাতীয় নাগরিক কমিটি, টাঙ্গাইল জেলা।


আরও খবর



৩ মাসে ৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত তিন মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে, যা দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। 

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রবাসীরা গত মাসে বাংলাদেশে মোট .০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে। এই তথ্য সম্প্রতি প্রকাশ করেছে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক . মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং। 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, গত তিন মাসে লাখ ২২ হাজার ৮২১ বাংলাদেশি শ্রমিক বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের মাধ্যমে হাজার ৪২৬ জন কর্মী বিভিন্ন দেশে কাজের জন্য গেছেন।

প্রবাসী কল্যাণ এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের বিশ্লেষণ করে আরও বলা হয়েছে, সরকার বিদেশে মৃত্যুবরণ করা অভিবাসী শ্রমিকদের পরিবারকে তিন লাখ টাকা করে প্রদান করেছে। এছাড়া, আহত বা অসুস্থ শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য .৮৮ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বিদেশে মৃত্যুবরণকারী শ্রমিকদের মরদেহ দেশে আনা এবং শেষকৃত্য কার্যক্রমের জন্য .৩২ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। 

এছাড়া, বিদেশে মৃত্যুবরণ করা শ্রমিকদের পরিবারের জন্য বীমা হিসেবে ১২ কোটি ৩৯ লাখ টাকার অর্থ বিতরণ করা হয়েছে এবং প্রবাসী শ্রমিকদের মেধাবী সন্তানদের জন্য .৯৭ কোটি টাকার শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। 

এসময় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে আবাসন ঋণ হিসেবে ,৯৮৯ জন শ্রমিকের মধ্যে মোট ২১৬.৩৩ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। পুনর্বাসন ঋণ হিসেবে ৮১১ জন শ্রমিকের মধ্যে ২২.৮৯ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। 

এছাড়া, বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের সহায়তার জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে, যাতে তাদের অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায়। পাশাপাশি, প্রবাসী সহায়তা কেন্দ্রও চালু করা হয়েছে।

এদিকে, অক্টোবর ২০২৪- ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ড (ডব্লিউইডব্লিউবি) এবং মালয়েশিয়ার সোশ্যাল সিকিউরিটি বোর্ড (পিইআরকেইএসও) একটি সহযোগিতা স্মারক (এমওসি) স্বাক্ষর করেছে, যার ফলে মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকরা নতুন সুবিধা পাবেন।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




নওগাঁয় গাছে ঝুলন্ত এক কৃষকের মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ২০ নভেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

নওগাঁয় গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা এক কৃষকের মৃতদেহ উদ্ধার। নিহত কৃষক

গোলাম মাওলা (৩৩) হলেন, নওগাঁর পোরশা উপজেলার বাদক-হেন্দা গ্রামের মৃত সাজির উদ্দিনের ছেলে। বুধবার ২০ নভেম্বর সকালে তার বাড়ির সামনে থাকা আম গাছের ডালের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো তার ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মৃতদেহ উদ্ধার করেন।  নিহত কৃষক গোলাম মওলার স্ত্রী লতিফুন বেগম জানান, তার স্বামী গোলাম মাওলা কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। গত মঙ্গলবার দিনগত রাতে লোকজনের অজান্তে কোন এক সময় সে গলায় ফাঁসদিয়ে আত্নহত্যা করেছেন বলে ধারনা করছেন। মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নওগাঁর পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ

শাহীন রেজা।


আরও খবর



সংস্কারের নামে বন অধিদপ্তরে দুর্নীতির সাম্রাজ্য বহালের আয়োজন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

এনামুল হক:

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিভিন্ন পর্যায়ে বইছে সংস্কারের হাওয়া। সংস্কার প্রস্তাব থেকে বাইরে নয় বন অধিদপ্তরও। কিন্তু সম্প্রতি বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তে গৃহীত সংস্কার প্রস্তাবের পর তা নিয়ে তীব্র সমালোচনা চলছে স্বয়ং বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে। জানা যায় গত ২৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে বন অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা খুবই গোপনে বৈঠক করে বেশ কিছু সংস্কার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করে যা অবিশ্বাস্য দ্রুত গতিতে বর্তমানে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগে রয়েছে। প্রস্তাবিত সংস্কার প্রস্তাবগুলোর একটা দফায় বলা হয়েছে, 'বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা' পদটি 'সহকারী বন সংরক্ষক' পদে পদনাম পরিবর্তন, প্রশাসনিক ক্ষমতায়ন এবং পর্যাপ্ত পদোন্নতি প্রদান নিশ্চিতকরণসহ অর্গানোগ্রামের মূল ধারার সাথে সমন্বয়করণ। 


বন অধিদপ্তরে বর্তমানে কর্মরত 'বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা' পদের কর্মকর্তাবৃন্দ কোনোরকম প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা ছাড়া নিয়োগপ্রাপ্ত। ২০১১ সালে বাংলাদেশ বন বিভাগ দেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং ইকোট্যুরিজম উন্নয়নে ৫ বছর মেয়াদী প্রকল্প গ্রহন করে। এই প্রকল্পের অধীনে অস্থায়ী ভিত্তিতে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকতার্র পদসহ ৭৫টি পদ সৃষ্টি করা হয়। ২০১৬ সালে প্রকল্পটি শেষ হলেও ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় ৫৭টি পদ জনবলসহ রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত করে তাদের পদায়ন করা হয়। এই সিদ্ধান্ত ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে ভুতাপেক্ষভাবে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। এই প্রকল্পের আওতায় ২৫ জন বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা নিয়োগপ্রাপ্ত হন। 


'স্ট্রেনদেনিং রিজিওনাল কো-অপারেশন ফর ওয়াইল্ডলাইফ প্রটেকশন' নামক আরেকটি প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয় ৬ জন 'বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা'। প্রকল্পটি ২০১১ সালের জুলাইয়ে শুরু হয়ে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয়।


বিভিন্ন নথিসমূহ পর্যালোচনা করে দেখা যায় আওয়ামী লীগ সরকার পতনের মাত্র ২ কর্মদিবস আগে তড়িঘড়ি করে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) থেকে নিয়মিতকরণের প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সে ধারাবাহিকতায় ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে নিয়মিতকরণ করা হয়। এখন একই সাথে দ্রুতগতিতে উক্ত কর্মকর্তাদের স্থায়ীকরণ এবং পদনাম পরিবর্তন করে 'সহকারী বন সংরক্ষক' এ পরিবর্তনের কাজ এগিয়ে চলেছে। উল্লেখ্য যে, 'সহকারী বন সংরক্ষক' পদটি বন অধিদপ্তরের অন্তর্ভুক্ত ক্যাডার পদ যাতে শুধুমাত্র বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে এবং ফরেস্ট রেঞ্জার পদ থেকে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে যোগদানের সুযোগ আছে৷ কিন্তু আইন বহির্ভূতভাবে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তাদের পদনাম ক্যাডার পদে অন্তর্ভুক্তকরণের প্রস্তাবে গভীর ষড়যন্ত্র দেখছেন বিভিন্ন পর্যায়ের অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। একজন কর্মকর্তা জানান, 'বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তাদের মাঠপর্যায়ে কাজের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তারা কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমেও আসেন নি। এখন তাদের পদনাম ক্যাডার পদনামে পরিবর্তন করলে আমরা পদোন্নতিবঞ্চিত হবে, পদোন্নতি স্থবির হবে অন্যান্য পদগুলোতেও। এমনিতেই ক্যাডার-এনক্যাডার, প্রকল্প এরকম বহুমুখী মামলায় বহু বছর বনবিভাগের কার্যক্রম স্থবির। এসব জট কাটিয়ে গতিশীল হতে শুরু করা মাত্রই এমন সংস্কার প্রস্তাবকে আমরা দুর্নীতির সাম্রাজ্য বহাল রাখার চোখেই দেখি।'

তিনি আরও জানান, 'প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তারা মূলত বিগত সরকারের সময়ে রাজনৈতিক লবিং এ আসা। এখন তাদেরকে ক্যাডার পদে পদনাম পরিবর্তনের প্রস্তাবের মাধ্যমে পতিত স্বৈরাচারের চিহ্ন বহাল ও শক্তিশালী করার নামান্তর। আমরা বিগত সরকারের আমলে প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়া এবং ভুতাপেক্ষভাবে রাজস্বে স্থানান্তরের বিষয়গুলো বর্তমান সরকারকে খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানাই।'

অন্য একজন কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা যোগদানের পর থেকে বনবিভাগের নানা অসংগতি দেখি৷ জুলাই বিপ্লবের চেতনা ধারণ করে বনবিভাগকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কিন্তু যখন দেখি অবৈধ টাকার প্রবাহে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা পরীক্ষা না দিয়ে ক্যাডার পদে আসার চেষ্টা করে এবং তাতে স্বয়ং জড়িত থাকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, তখন আমরা কাজ করার নৈতিক শক্তিতে অনেক পিছিয়ে পড়ি।'


আরও খবর

দেশের নদ-নদীর সংখ্যা ১১৫৬টি

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪