Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় ধান ক্ষেতের ভেতর থেকে এক ব্যাক্তির মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় আব্দুল জব্বার (৫৯) নামে এক ব্যক্তির গলাকাটা অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। নিহত জব্বার নওগাঁর মান্দা উপজেলার নূরুল্যাবাদ গ্রামের মৃত ফজর আলীর ছেলে। বুধবার দুপুর ১টারদিকে মান্দা উপজেলার কশব ইউনিয়নের ভোলাগাড়ি (কশব মধ্যপাড়া) গ্রামের তালপুকুড়িয়া বিলের মধ্যে ধান ক্ষেতের ভেতর থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করেন থানা পুলিশ। 


এ ঘটনায় অত্র এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অর্ধগলিত মৃতদেহের সাথে থাকা জুতা এবং জামা দেখে সনাক্ত করে নিহত জব্বারের ছোট ভাই আজহারুল ইসলাম জানান, তার ভাই গত শুক্রবার সকাল ১০টারদিকে ভোলাগাড়ি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে বুলবুলের কাছে পাওনা ৫০ হাজার টাকা নেওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে এসেছিল। এরপর থেকে তার কোন খোঁজখবর পাওয়া যাচ্ছিল না। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। তিনি সন্দেহ পোষণ করে বলেন, টাকার জন্যই তার ভাই খুন হয়ে থাকতে পারেন।

এ ব্যাপারে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর রহমান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করার জন্য ঘটনাস্থলে এসেছি। মৃতদেহ অর্ধগলিত এবং গলাকাটা হওয়ায় সিআইডি এবং পিবিআইকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা এলে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



যুদ্ধবিরতি হলেও স্থগিতই থাকছে সিন্ধু পানি চুক্তি

প্রকাশিত:রবিবার ১১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ভারত ও পাকিস্তান কয়েকদিনের প্রাণঘাতী লড়াইয়ের পর অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হলেও দুই দেশের পানি ভাগাভাগির গুরুত্বপূর্ণ একটি চুক্তি স্থগিতই থাকছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যস্থতায় ১৯৬০ সালে হওয়া সিন্ধু পানি চুক্তি দুই দেশের মধ্যে সিন্ধু নদ ও এর শাখা নদীগুলোর পানি বন্টন নিয়ন্ত্রণ করে।

কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলা হওয়ার পর এর পেছনে ইসলামাবাদ আছে বলে অভিযোগ করে নয়া দিল্লি সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে।

পাকিস্তান পেহেলগামের সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে। দেশটি জানিয়েছে, তারা ভারতের একতরফাভাবে সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের বিষয়ে আন্তর্জাতিক আইনি পদক্ষেপের দারস্থ হবে।

পাকিস্তানের কৃষি সেচের ৮০ শতাংশ পানি নিশ্চিত হয়েছে এই চুক্তির মাধ্যমে। পাকিস্তানের পানি মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, সিন্ধু পানি চুক্তি (যুদ্ধবিরতি) আলোচনার কোনো অংশ না।

ভারতের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকার কর্মকর্তাও রয়টার্সকে জানান, এই চুক্তির বিষয়ে নেওয়া পদক্ষেপে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া দেয়নি আর পাকিস্তানের পানি মন্ত্রণালয় ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও প্রকাশ্যে কিছু জানাননি।

কাশ্মীর হামলার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছে তার অন্যতম এই পানি বণ্টন চুক্তি।

ভারত সরকারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, দুই দেশের সংঘাতের ক্ষেত্রে বিরতি দেওয়া হলেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাণিজ্য, ভিসা স্থগিতের মতো যে সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলো সব বহাল আছে।


আরও খবর



এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হওয়া উচিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিশ্চিত করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের ওপর যুক্তিযুক্ত পর্যায়ে শুল্ক বজায় রাখার আহবান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, শুল্ক সহনীয় পর্যায়ে না রাখলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ব্যাহত হবে।

সফররত মার্কিন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল চুলিকের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

সফররত কর্মকর্তারা ঢাকায় মার্কিন ডেপুটি হেড অব মিশনের গুলশান বাসভবনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠন করেন। এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদও উপস্থিত ছিলেন।

আমীর খসরু বলেন, ‘আলোচনার সময় অর্থনৈতিক দিক এবং শুল্কের বিষয়টি উঠে এসেছে। আমরা শুল্ক বিষয়ে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা মার্কিন নেতাকে বলেছি, শুল্কের বিষয়টি সব অংশীদারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।শুল্ক সহনীয় পর্যায়ে না রাখলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ব্যাহত হবে।

বিএনপি নেতা বলেন, আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক কিছুটা টানাপড়েনের সম্মুখীন হবে। আমরা এ বিষয়ে যা করতে যাচ্ছি তা বলেছি। আমরা এটি নিয়ে আরো কাজ করছি।

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তাঁদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। কারণ মার্কিন পক্ষ নির্বাচন কখন অনুষ্ঠিত হবে এবং এ বিষয়ে বিএনপির আবস্থান কী তা জানতে আগ্রহী।

বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা বৈঠকে জানিয়েছি, এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত। আমরা সংস্কারের রূপরেখা তৈরি করতে পারি, যার ওপর এক মাসের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে।’ তিনি বলেন, যদি ঐকমত্য অর্জন করা হয় তবে জুলাইয়ের সনদে সব দল স্বাক্ষর করা সময়ের ব্যাপার মাত্র।

বিএনপি নেতা বলেন, তাঁরা মার্কিন কর্মকর্তাকে বলেছেন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার না হওয়ার কারণে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অসুবিধা হচ্ছে। জনসমর্থনের মাধ্যমে পরিচালিত একটি নির্বাচিত সরকারের পক্ষে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ।


আরও খবর



চালের বাজার নিম্নমুখী, সবজির দামে উত্তাপ

প্রকাশিত:শনিবার ১০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

নতুন মৌসুমের চাল ওঠায় বাজারে মিনিকেটের দাম কমতে শুরু করেছে। গত দুই সপ্তাহে ধরনভেদে এই চালের দাম কেজিতে ১২ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে মাঝারি ও মোটা চালের দাম অনেকটা অপরিবর্তিত রয়েছে। অন্যদিকে সবজির দাম কেবল বাড়ছেই। এতে তরিতরকারি কিনতে পকেটের ওপর চাপ আগের চেয়ে বেড়েছে। কিনতে হচ্ছে হিসাব করে।

রাজধানীর চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, রশিদ থেকে শুরু করে ডায়মন্ড, মঞ্জুর ইত্যাদি ব্র্যান্ডের নতুন মিনিকেট চাল কেজিপ্রতি ৭৪ থেকে ৭৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগেও এই চালের কেজি ৮৬ থেকে ৯০ টাকার আশপাশে ছিল। তবে পুরনো মিনিকেট চালের দাম এখনও বেশিই রয়েছে। অন্যদিকে মাঝারি ও মোটা চাল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ানবাজারের চালের পাইকারি ব্যবসায়ী মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, সরু চালের দাম; বিশেষ করে মিনিকেট বলে পরিচিত চালের দাম অনেকটা কমেছে। মিলগেটেই কমে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু অন্য চালের বাজার একই রয়েছে। আগামীতে হয়তো সেগুলোর দামও কমতে পারে।

এদিকে নিম্ন ও সীমিত আয়ের ভোক্তাদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সবজির বাজার। পছন্দের তরিতরকারি কিনতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ করতে হচ্ছে তাদের। ফলে বাজেটের মধ্যে বাজার সারতে অনেকে কম করে কিনছেন কিংবা কিনছেনই না।

রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৭০ টাকার নিচে পছন্দের সবজি মিলছে না। কাঁকরোল ৯০ থেকে ১২০, ঝিঙা ৮০ থেকে ৯০, কচুরমুখী ১০০, করলা ৮০, পটোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। সজনে ডাঁটার কেজি ১৫০ টাকার আশপাশে। চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। প্রতি পিস লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকা ও চালকুমড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা। দেশি শসার কেজি ৮০ টাকা। বেড়েছে টমেটোর দামও। কেজি এখন ৫০ টাকায় ঠেকেছে। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। অন্যান্য সবজির দামও চড়া।

মালিবাগ বাজারের ক্রেতা মো. ইফতেখার উদ্দিন বলেন, প্রতিদিন কমবেশি তরিতরকারি খাওয়া হয়। মাছ-মাংসের যে দাম, তাতে সেগুলো প্রতিদিন খাওয়া সম্ভব নয়। এখন সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় তরিতরকারিও কিনতে হচ্ছে হিসাব করে। সবজির দাম যদি এতটা বাড়ে, তাহলে তো টিকে থাকাটাই মুশকিল।

এই বাজারের একজন সবজি বিক্রেতা জানান, অনেক সবজির মৌসুম শেষ। আবার গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ এখনও বাড়েনি। সব মিলিয়ে সরবরাহ কম থাকায় বাজার চড়া।

অন্যদিকে এখনও চড়া দামে আটকা রয়েছে পেঁয়াজ। প্রতিদিনের রান্নায় দরকারি মসলাজাতীয় এ পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত। আলুর কেজি ২৫ টাকার আশপাশে বিক্রি হচ্ছে। তবে কোথাও কোথাও পাল্লা হিসাবে (৫ কেজি) কিনলে প্রতি পাল্লা ৯০ টাকাতেও পাওয়া যাচ্ছে। আর মুরগির বাজারে এখনও উত্তাপ বিরাজ করছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০ টাকা এবং ধরনভেদে সোনালি মুরগি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ফার্মের বাদামি ডিম ডজনে ৫ টাকা বেড়ে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা হয়েছে।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবির কৃষ্ণচূড়া লেন প্রেম, প্রকৃতি আর প্রশান্তির অনন্য প্রতীক

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

গ্রীষ্মকাল মানেই বাংলার প্রকৃতিতে রঙের বিস্ফোরণ। সেই রঙিন উৎসবের প্রাণভোমরা যেন কৃষ্ণচূড়া ফুল। আর এই কৃষ্ণচূড়ার জাদুতে মোড়ানো একটি পথ মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) প্রাণকেন্দ্রে দাঁড়িয়ে আছে ‘কৃষ্ণচূড়া লেন’ নামে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্স থেকে দ্বিতীয় একাডেমিক ভবনের দিকে যেতে যে পথ ধরে প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী, শিক্ষক আর কর্মচারী চলাচল করেন, সেই পথের দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জীবন্ত গহনা। লেনটির পাশে বয়ে গেছে শান্ত এক খাল, যার জলে প্রতিবিম্বিত হয় চারপাশের সবুজ আর ফুলের রঙিন ছটা।এখন গ্রীষ্মে গাছগুলোর ডালপালায় লাল-কমলালার এক অভাবনীয় দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছে। মনে হয়, আকাশ ভেঙে যেন আগুনরাঙা ফুলের বৃষ্টি নেমেছে।

এই রাস্তাটির নাম ‘কৃষ্ণচূড়া লেন’ হলেও এর পেছনের গল্প আরও গভীর এবং আবেগঘন। ২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অষ্টম ব্যাচের কিছু শিক্ষার্থী নিজেদের উদ্যোগে ও অর্থায়নে রোপণ করেন কৃষ্ণচূড়ার চারা। সময়ের সঙ্গে সেই চারাগুলো বড় হতে থাকে, শাখা ছড়ায়, আর গ্রীষ্মকালের আগমনে ফুটে ওঠে কৃষ্ণচূড়ার ঝাঁকড়া রূপ। ধীরে ধীরে সেই রাস্তাটি রূপ নেয় এক অনন্য প্রাকৃতিক লেনে। শিক্ষার্থীরাই ভালোবেসে রঙিন অক্ষরে লেখেন ‘কৃষ্ণচূড়া লেন’ নামটি, যা আজ মাভাবিপ্রবির সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অংশ হয়ে উঠেছে।

প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এই পথে হেঁটে যান, কিন্তু হাঁটার অভিজ্ঞতা কখনও একঘেয়ে নয়। প্রতিটি পদক্ষেপ যেন নতুন এক আবিষ্কার। পাতার ফাঁক গলে সূর্যের সোনালি রশ্মি ঝরে পড়ে ফুলে, রঙিন ছায়ায় ভেসে যায় পথ। এখন গাছের নিচে দাঁড়িয়ে ওপরে তাকালে মনে হয়, লাল ফুলে মোড়া এক বিশাল তোড়া মাথার ওপর ঝুলে আছে।


টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রাকিব বলেন, এই পথ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মনে হয়, প্রকৃতি তার নিজস্ব ভাষায় কথা বলছে। এই রঙিন দোল খাওয়া ফুলগুলোর সৌন্দর্য হৃদয়ে প্রশান্তি এনে দেয়।

শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, মাভাবিপ্রবির এই কৃষ্ণচূড়া লেন পর্যটকদের কাছেও এক বিশেষ আকর্ষণ। অনেকেই পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে আসেন এখানে। ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসা পর্যটক ঊর্মি আক্তার বলেন, আমি যখন প্রথম এই লেন দিয়ে হেঁটে যাই, মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। কৃষ্ণচূড়ার লাল ফুল যেন প্রকৃতিকে এক জীবন্ত ক্যানভাসে রূপ দেয়। আমার কাছে এই ফুল ভালোবাসার প্রতীক, এক রকম আবেগেরও।

অর্থনীতি  বিভাগের শিক্ষার্থী কামাল  বলেন, ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশে নানা ফুল ফুটলেও কৃষ্ণচূড়ার জন্য যে বিশেষ এক প্রতীক্ষা থাকে, তা মনে করিয়ে দেয়। এই গ্রীষ্মে কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙে সেজেছে পুরো ক্যাম্পাস, আমার কাছে এখন মনে হয় উৎসব শুরু হয়েছে প্রকৃতির আপন ঘরে।”

এ যেন শুধুই ফুল নয়, একটি আবেগ, একটি গল্প, এবং প্রকৃতিপ্রেমের প্রতিচ্ছবি। কেউ কেউ বলেন, কৃষ্ণচূড়া লেন হলো ‘ক্যাম্পাসের হৃদস্পন্দন’। বসন্ত শেষে গ্রীষ্ম এসেছে আগমনী বার্তা নিয়ে, কৃষ্ণচূড়া লেন হয়ে উঠেছে ভালোবাসার বার্তাবাহক। এখানে প্রেমিক-প্রেমিকার দেখা হয়, বন্ধুরা বসে আড্ডায় মেতে ওঠে, কেউ হয়তো একা হেঁটে নিজের ভেতরের ক্লান্তিকে প্রকৃতির কোলে রেখে আসে।

পর্যটক ইউসুফ সরকার বলেন, “এই ক্যাম্পাসে আমি মাঝে মাঝে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসি, শুধু এই কৃষ্ণচূড়ার রঙ দেখার জন্য। আমার কাছে এটি শুধু একটা রাস্তা নয়, বরং এটি পুরো মাভাবিপ্রবির সবচেয়ে মুগ্ধকর জায়গা।”

জীবনের ব্যস্ততা, ক্লান্তি আর যান্ত্রিকতার মাঝেও এই পথটি যেন এক নীরব আশ্রয়। কৃষ্ণচূড়ার ছায়ায় হাঁটা মানে প্রকৃতির সঙ্গে আত্মার এক নিবিড় সংযোগ। অনেক শিক্ষার্থীরই প্রিয় স্মৃতি গাঁথা এই লেনকে ঘিরে—ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে হাঁটা, কবিতা লেখা, কিংবা নীরবে কারও অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা।

মাভাবিপ্রবির কৃষ্ণচূড়া লেন আজ আর কেবল কিছু গাছের সমষ্টি নয়, এটি হয়ে উঠেছে একটি  সৌন্দর্যের প্রতীক, যেখানে প্রকৃতি তার শিল্পশৈলীর শ্রেষ্ঠ উদাহরণ গড়ে তুলেছে। ফুলে ফুলে গড়ে ওঠা এই লেন যেন জানিয়ে দেয়—প্রকৃতির কোলে এখনও রয়ে গেছে ভালোবাসা, প্রশান্তি আর কিছুটা স্বপ্নময়তা। আর তাই, মাভাবিপ্রবির কৃষ্ণচূড়া লেন এখন শুধু একটি রাস্তার নাম নয়, এটি হয়ে উঠেছে সৌন্দর্যের এক জীবন্ত নিদর্শন।


আরও খবর



ঐক্যের চেতনা ধারণ করে আমাদের অগ্রসর হতে হবে

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ |

Image

জনসাধারণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসক পালাতে বাধ্য হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ঐক্যের চেতনাকে ধারণ করে আমাদের অগ্রসর হতে হবে। এটা শুধুমাত্র আমাদের অঙ্গীকার নয়, এটা আমাদের দায়।

জাতীয় সংসদের এলডি হলে গণসংহতি আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত বৈঠকের প্রারম্ভিক বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সংস্কার কমিশনগুলোর প্রস্তাবের বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, যেগুলো দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে যে পুঞ্জীভূত সংকট মোকাবিলা করার চেষ্টা। শুধু সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাস্তবায়ন যথেষ্ট নয়, সে জন্য দরকার দরকার একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কাঠামো তৈরি করা, গণতন্ত্রের চর্চা করা, গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে একত্রিত থাকা।

তিনি বলেন, জনসাধারণের ঐকবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসককে পলায়নে বাধ্য করেছে। এ ঐক্য বজায় রেখে, ঐক্যের চেতনাকে ধারণ করে আমাদের অগ্রসর হতে হবে। এটা শুধুমাত্র আমাদের অঙ্গীকার নয়, এটা আমাদের দায়।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে যারা প্রাণ দিয়েছেন, লড়াই করেছেন, যারা আহত-নিহত হয়েছেন, তারও আগে গত ১৬ বছর ধরে সমস্ত রকম জুলুম নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করেছন, গত ৫৩ বছর ধরে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক, জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্র, সবার অংশগ্রহণমূলক রাষ্ট্র, নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার মতো রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন, তাদের সবার কাছে আমাদের দায়।

সংস্কারের বিষয়ে সংলাপকে আলোচনার অগ্রগতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সামান্য হলেও অগ্রগতি অর্জন করতে পেরেছি। সেটা ধরে রাখতে না পারলে, বিকশিত করতে না পারলে সমস্ত সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাবে। সেটা যাতে না হয়, সে জন্য সবার প্রচেষ্টা। আমরা একত্রিতভাবে অর্জনের চেষ্টা করছি। যে অর্জন শুধু আমাদের জন্য নয়, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি নতুন গণতান্ত্রিক জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র তৈরি করার জন্য।

সবাইকে একমত হয়ে দ্রুততার সঙ্গে জাতীয় সনদ তৈরি করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

প্রতিষ্ঠার লগ্ন থেকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের সংগ্রামে যুক্ত ছিল গণসংহতি আন্দোলন উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, তারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে, অংশগ্রহণ করেছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান।


আরও খবর