বুলবুল আহমেদ সোহেল: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান , ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে বলেন, ষড়যন্ত্র আরেকটু হবে। আমি বলেছি ওরা নাকে খত দিয়ে নির্বাচনে আসবে। কেউ ওদের ডেকে নিয়ে আসবে না। ওদের চরিত্র মানুষের কাছে প্রকাশ হয়ে গেছে। পশ্চিমাদের সুর নরম, এখন বলে শর্ত ছাড়া আলোচনায় বসো।
বুধবার বিকেলে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল পার্কে, ৪ নভেম্বর ঢাকায় ওয়ামী লীগের সভায় যোগদানের জন্য প্রস্তুতি সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আড়াইহাজারে বিএনপির তাণ্ডবের কথা তুলে ধরে শামীম ওসমান বলেন, আড়াইহাজারে পুলিশকে কোপানো হলো। কিছু মানুষ তাকে ভ্যানগাড়িতে তুলে দেয়। তারপরও তাকে মারা হলো। আমি প্রশাসনকে ধন্যবাদ দেই, আপনারা ধৈর্য্য ধরেছেন। ওরা ক্ষমতার ৫২ লাখ কিলোমিটারেও নেই। এখনই মৃত পুলিশকে চাপাতি দিয়ে কোপায়, আর ক্ষমতায় আসলে কী করবে? সাংবাদিকদের মাটিতে ফেলে নির্দয়ভাবে পেটানো হচ্ছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেন, সবাই যার যার এলাকায় কার সাথে বসছেন কোথায় বসছেন দেখে শুনে বসবেন। খোলা পরিবেশে কেউ বসবেন না। ওরা কিন্তু আর কিছুদিন পর হায়েনার রুপ নিবে। পরাজিত শক্তি যখন দেখবে হেরে গেছে তখন ওরা কিন্তু মরণ কামড় দিবে।
তিনি বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রিজভী আহমেদ নারায়ণগঞ্জে অবস্থান নিয়েছেন। শুধু দেখতে চেয়েছি ওদের সাংগঠনিক ক্ষমতা কতটুকু। আমি লজ্জিত হলাম, এদের সঙ্গে খেলবো কীভাবে? ছাত্রলীগ তো খেলবে না। মহিলা লীগও তো বলবে না।
তিনি বলেন, আমরা ধৈর্য্য ধরেছি। আমরা দেখাতে চাই ওরা গণতান্ত্রিক শক্তি নয়। জামায়াত-বিএনপি মিলে এ কাজ করেছে। ওরা ভয় দেখায় কাকে, শেখ হাসিনাকে। শেখ হাসিনা যেদিন ভয় পাবেন সেদিন দুনিয়া থাকবে না। কালকে সংবাদ সম্মেলনে জবাব পেয়েছেন তো?
সভায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মোহাম্মদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।