Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

নওগাঁয় ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা উপলক্ষে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টারঃ 


নওগাঁর সাপাহারে ১দিন ব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা ও উদ্ভাবনী অলিম্পিয়াড উপলক্ষে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সাপাহার উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উক্ত প্রেস ব্রিফিং এ স্থানীয় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মেলায় বিষয় ভিত্তিক ৪টি প্যাভিলিয়নে উদ্ভাবন ডিজিটাল সেবা, হাতের মুঠোয় সেবা এবং শিক্ষা ও কর্মসংস্থান বিভিন্ন সরকারী/বেসরকারী প্রতিষ্ঠান সমূহে সেবা প্রদান নিশ্চিত সহ মডেল এসডিজি রাষ্ট্র এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিষয়ক সেমিনার, বিজ্ঞান বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগীতা ও স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উপর প্রেস বিফিং করেন সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ আব্দুল্যাহ আল মামুন। এসময় উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মনিরুজ্জামান টকি, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী খাদিজা আক্তার, উপ-সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সন্তোষ কুমার কুন্ডু এবং স্থানীয় বিভিন্ন গনমাধ্যম কর্মীগন।


আরও খবর



মহানায়কের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন আজ। ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এ দেশে তার আগে, তার সময়ে এবং তার পরেও অনেকে রাজনীতি করলেও সবাইকে ছাপিয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। অনুচ্চ আকৃতির মানুষের এই দেশে তিনি কাঁধে, মাথায় সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন, আক্ষরিক এবং গূঢ়উভয় অর্থেই।

বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠস্বর এবং বাচন-ভঙ্গিতে ছিল সম্মোহনী ক্ষমতা। জনসভা কিংবা কর্মিসভায় দেওয়া বক্তব্যে উচ্চারিত প্রতিটি শব্দের পেছনে ছিল তার বিশ্বাস এবং প্রত্যয়। পুরো বাঙালি জাতির কণ্ঠস্বর ধ্বনিত হতো তার বক্তৃতায়। ওই বক্তৃতার যে ভাষা, তা ছিল সহজ, অনাবিল এবং দেশীয়।

বঙ্গবন্ধু বক্তৃতা করতেন সাধারণ মানুষের ভাষায়। লোকজচিন্তা, প্রবাদ-প্রচলন, বাগধারা এবং গ্রামীণ কৌতুকের ব্যবহার করতেন। তার বক্তৃতায় কঠিন কোনো শব্দ কখনো শোনা যায়নি, তাত্ত্বিক কোনো বাতাবরণ তৈরির প্রয়াসও দেখা যায়নি। অথচ কত সহজভাবে কত বড় বড় তত্ত্বের তিনি নিজস্ব ব্যাখ্যা দিয়ে যেতেন।

বঙ্গবন্ধু ছিলেন ক্যারিশমাটিক নেতা। তার প্রবল ব্যক্তিত্ব, অসাধারণ বাগ্মিতা, অতুলনীয় কণ্ঠস্বরএ সবই ছিল ওই ক্যারিশমার উপাদান। বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি কথার পেছনে সততা ছিল। তার উচ্চারণ আর বিশ্বাসের মধ্যে কোনো ফাঁক ছিল না। তিনি সংগ্রামের ডাক দিয়ে ঘরে বসে থাকতেন না। জীবনের ১৩টি বসন্ত তাকে জেলে কাটাতে হয়েছে।

বাঙালি জাতির ইতিহাসের নায়ক বঙ্গবন্ধু। এ ইতিহাসে তার স্থান চির অমলিন, অমোঘ। তিনিই ছিলেন বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবের ঘটনার রূপকার, বাঙালির দুঃসময়ের কান্ডারি, ইতিহাসের মহানায়ক। ওই স্থানটি শুধু তারই জন্য তোলা। তাঁকে যতই ভুলে যাওয়ার, ভুলিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা হোক; কিংবা তার জায়গায় বা তার ওপরে কাউকে বসিয়ে দেওয়ার কসরত করা হোক, তাতে লাভ কিছুই হবে না। কারণ তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সব আশা-আকাঙ্ক্ষা, গৌরব আর অহংকারের প্রতীক।


আরও খবর



দুই গৃহবধূ'র ঝুলন্ত মৃতদেহ সহ ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে ঝুলন্ত  অবস্থায় দুই গৃহবধূ সহ আরো দুই যুবক মোট ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পারিবারিক বিরোধ সহ স্বামী-স্ত্রীর মান-অভিমান থেকে গলায় ওড়না ও দড়ির ফাঁসদিয়ে দুই গৃহবধূ ও গ্যাস বড়ি খেয়ে দুই যুবক আত্নহত্যা করেছেন বলেই প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছেন স্থানিয়রা সহ থানা পুলিশ। নিহত ৪ জন হলেন, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার নাইখট্টি গ্রামের আতিকুল ইসলাম এর স্ত্রী

তানজিলা আক্তার (৩০), একই উপজেলার পাতনা গ্রামের আঃ হামিদ এর স্ত্রী সেতারা বানু (২৬) ও চকরাজা গ্রামের ইউনুচ আলীর ছেলে সবুজ হোসেন (২৩) এবং নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বরবাড়িয়া গ্রামের মাজেদুর রহমানের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৮)।

মহাদেবপুর থানা ও নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ি সহ স্থানিয় সুত্রে জানাগেছে, রবিবার বিকেলে মহাদেবপুর উপজেলার নাইখট্টি গ্রামের আতিকুল ইসলাম এর স্ত্রী তানজিলা আক্তার (৩০) এর গলায় দড়ির ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছান। এখবর পেয়ে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স সহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ময়না তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করেন। অপরদিকে শনিবার বিকেলে মহাদেবপুর থানাধীন নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার ভীমপুর ইউনিয়ন এর পাতনা গ্রামের আঃ হামিদ এর স্ত্রী সেতারা বানু (২৬) এর গলায় ওড়নার ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে স্থানিয়রা মহাদেবপুর থানা ও নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ কে জানান। খবর পেয়ে নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ির এস আই আকবর সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে ময়না তদন্ত শেষে রবিবার বিকেলে মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন পুলিশ। ঐ দিনই অল্প সময়ের ব্যবধানে একই ইউপির চকরাজা গ্রামের ইউনুচ আলীর ছেলে সবুজ হোসেন (২৩) নামে এক যুবক গ্যাস বড়ি খেয়ে মারা গেছেন এমন খবর পেয়ে নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ সেখানেও দ্রুত পৌছান। দুই গৃহবধূ ও এক যুবক মোট ৩ জনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন বলেন, চকরাজা গ্রামে গ্যাস বড়ি খেয়ে যুবক সবুজ হোসেন এর মৃত্যুর ঘটনায় পরিবার সহ আত্বীয় স্বজন কারো কোন অভিযোগ নেই। এছাড়া দুই গৃহবধূ মৃত্যুর ঘটনায় আইনানুগ পক্রিয়া চলছে। অপরদিকে পুলিশ ও স্থানিয় সুত্রে জানাগেছে, পারিবারিক বিরোধের জেরধরে গলায় দড়ি ও ওড়না'র ফাঁস দিয়ে দুই গৃহবধূ আত্নহত্যা করেছেন বলেই প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছেন তারা। এছাড়া যুবক সবুজ হোসেন তার স্ত্রী পিতার বাড়ি থেকে না আসায় স্ত্রীর উপর অভিমান করে গ্যাস বড়ি খেয়ে আত্নহত্যা করেছেন এমন টা জানিয়ে তার পিতা বা স্বজন পক্ষ কেউ কোন অভিযোগ করেন নি। অপরদিকে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বরবড়িয়া গ্রামের মাজেদুর রহমান এর ছেলে শরিফুল ইসলাম গ্যাস বড়ি খেয়ে আত্নহত্যা করার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

রাণীনগর থানায় দায়েরকৃত মামলা ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে,শরিফুল ইসলাম গত ৬ বছর আগে একই উপজেলার করজগ্রাম টুংকুড়ি পাড়া গ্রামের আছির উদ্দীনের মেয়ে আরজিনার (২৬) সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের প্রায় ৬ মাস পর নানা প্রলোভনে স্বামী শরিফুলের নামীয় দু' বিঘা জমি লিখে নেয় স্ত্রী আরজিনা বিবি। এর পর থেকে স্বামী কে নানা ভাবে অবহেলা করতে থাকে। এক পর্যায়ে স্ত্রী আরজিনা বিবি লিখে দেয়া জমি ফেরত না দিয়েই গত ২০২২ সালের মার্চ মাসে স্বামীকে তালাক দেন। এরপরেও শরিফুল তার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করতে থাকে। এসময় স্ত্রী আরজিনা স্বামী শরিফুলকে আত্মহত্যা করতে নানাভাবে প্ররোচিত করে। গত শনিবার বিকেলে স্বামী শরিফুল ইসলাম তার সাবেক স্ত্রীর বাবার বাড়ী করজ গ্রামে গেলে সেখানেও নানাভাবে তুচ্ছ-তাচ্ছিল করে চরম অবহেলা মুলক কথা বলে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে। এক পর্যায়ে শরিফুল ঘৃনা এবং অপমানবোধ মনে করে সেখানেই গ্যাসের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করে। রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু ওবায়েদ বলেন, আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে শরিফুলের বোন বাদী হয়ে রবিবার দুপুরে শরিফুলের সাবেক স্ত্রী আরজিনাকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। শরিফুলের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আসামী পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা সাড়ে পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা নির্বিচার এই হামলার জেরে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই ভেঙে পড়েছে।

এরসঙ্গে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। এমন অবস্থায় গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েল সাহায্য সরবরাহে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে জাতিসংঘের একটি সংস্থা। সোমবার (২৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল নিশ্চিতভাবে উত্তর গাজায় সাহায্য বিতরণ করতে বাধা দিয়েছে বলে রোববার জানিয়েছে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)। গাজার এই অঞ্চলে দুর্ভিক্ষের হুমকি সবচেয়ে বেশি বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

জাতিসংঘের এই সংস্থাটির প্রধান ফিলিপ লাজারিনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে বলেছেন, আমাদের চোখের সামনে বিপর্যয়কর অবস্থা উদ্ঘাটিত হওয়া সত্ত্বেও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জাতিসংঘকে জানিয়েছে, তারা উত্তরে আর কোনো ইউএনআরডব্লিউএ-এর খাদ্যবাহী কনভয় প্রবেশ করার অনুমোদন দেবে না।

তিনি আরও বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ আপত্তিজনক এবং একইসঙ্গে এটি মানব-সৃষ্ট দুর্ভিক্ষের সময় জীবনরক্ষাকারী সহায়তা সরবরাহে বাধা দেওয়ার ইচ্ছাকেই সামনে তুলে ধরছে।

অবশ্য ফিলিপ লাজারিনির বিবৃতি সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য এএফপি যোগাযোগ করলেও রোববার ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।

এদিকে ইউএনআরডব্লিউএর যোগাযোগের পরিচালক জুলিয়েট তোমা এএফপিকে বলেছেন, রোববার ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। গত সপ্তাহে গাজার উত্তরে সহায়তা ডেলিভারির জন্য লিখিতভাবে দুবার অস্বীকার করার পর এই কথা জানানো হলো। তবে এই ধরনের সিদ্ধান্তের কোনো কারণ জানানো হয়নি বলেও জানান তোমা।

এএফপি বলছে, প্রায় ছয় মাস আগে শুরু হওয়া গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের ফলে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির মানুষ ভয়ানক মানবিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে। গত সপ্তাহে জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি খাদ্য নিরাপত্তা মূল্যায়নে সতর্ক করে বলা হয়েছে, জরুরিভাবে হস্তক্ষেপ না করা হলে আগামী মে মাসের মধ্যে গাজার উত্তরে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে।

আর ইউএনআরডব্লিউএর যোগাযোগের পরিচালক জুলিয়েট তোমা বলছেন, গত ২৯ জানুয়ারি থেকে ইউএনআরডব্লিউএ গাজার উত্তরে খাদ্য সরবরাহ করতে পারেনি। তিনি বলছেন, সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হলো কফিনে আরেকটি পেরেক

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৪ হাজারের বেশি মানুষ।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ কোনও ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ত্রাণবাহী ট্রাক এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে।

ইসরায়েল গাজার ওপর ব্যাপকভাবে অবরোধ আরোপ করে রেখেছে। এর ফলে এই ভূখণ্ডের জনগোষ্ঠী বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা অনাহারের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন।

 


আরও খবর



নওগাঁয় রহস্যজনক ভাবে ৩ সন্তানের জননী নিখোঁজ

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার পাতাড়ী মাদ্রাসা পাড়া থেকে মোছাঃ আনওয়ারী বেগম(৩৫) নামের এক গৃহবধূ রহস্য জনক ভাবে নিখোঁজ হয়েছেন। 

নিখোঁজ হওয়া ঐ গৃহবধূর স্বামী ও বাবার বাড়ির লোকজন সম্ভাব্য  সকল স্থানে খোঁজা-খুঁজি করেও কোন সন্ধান না পেয়ে গৃহবধূ আনওয়ারী বেগমের পিতা মাহবুবুর রহমান গত শুক্রবার দুপুরে সাপাহার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। 

উল্লেখ্য যে, নওগাঁর সাপাহার উপজেলার কলমুডাঙ্গা গ্রামের মাহাবুর রহমানের মেয়ে মোছাঃ আনওয়ারী বেগম এর সাথে একই উপজেলার পাতাড়ী মাদ্রাসা পাড়ার শফিকুল ইসলামের বিয়ে হয়। তাদের দীর্ঘ দিনের সংসার জীবনে দু' মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে। কয়েক দিন পূর্বে গৃহবধূ আনওয়ারী বেগম স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ছিলেন। সেখানে কয়েকদিন থাকার পর ঘটনার দিন গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি ফিরে আসেন। ফিরে আসার পর সংসারের কাজ কর্ম যথারীতি এক পর্যায়ে রাত ৮ পর হটাৎ করেই রহস্যজনক ভাবে গৃহবধূ নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হোন। নিখোঁজের পর স্বামী ও তার পিতার পরিবার থেকে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ খবর নিয়ে অদ্য পর্যন্ত কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করা  হয়েছে বলে থানার ওসি (তদন্ত)

রায়হান কবির জানিয়েছেন।


আরও খবর



নওগাঁয় যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে পুলিশের চাকরি পেলেন ৬৫ জন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে পুলিশে কনস্টেবল পদে চাকরি পেয়েছেন ৬৫ জন প্রার্থী। এর মধ্যে পুরুষ ৫৫ জন ও নারী ১০ জন। বুধবার রাতে নিয়োগ প্রাপ্তদের নামের তালিকা প্রকাশ ও তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক বিপিএম। এসময় নওগাঁ জেলা পুলিশের অন্যান্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে পুলিশ সুপার চুড়ান্ত প্রার্থী ও তাদের পরিবারের অভিভাবকদের অভিমত শোনেন। 

পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হওয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেয় মোট ২ হাজার ২শ' ৩১ জন প্রার্থী। প্রথম ধাপে শারীরিক পরীক্ষায় ১ হাজার ১শ' ১৫ জন উত্তীর্ণ হয়। দ্বিতীয় ধাপে ২০০ মিটার দৌঁড়, পুশ আপ, লং ও হাই জাম্প পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় ৭শ' ৯০ জন। তৃতীয় ধাপে ১ হাজার ৬০০ মিটার দৌঁড়, ড্রাগিং ও রোপ ক্লাইম্বিং পরীক্ষায় ৫শ' ৪৫ জন উত্তীর্ণ হয়। গত ৬ মার্চ চতুর্থ ধাপে লিখিত পরীক্ষায় ২শ' ২০ জন মনোনীত হয়। সর্বশেষ মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয় যেখানে ৬৫ জন প্রাথমিকভাবে মনোনীত হয়েছে। নতুন নিয়োগ প্রাপ্তদের মধ্যে সাধারণ কোটায় ৩৫ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ১১জন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটায় ৩ জন, পুলিশ পোষ্য কোটায় ৫ জন ও আনসার কোটায় ১ জন সহ মোট ৫৫ জন পুরুষ রয়েছে। আর নারীদের মধ্যে সাধারণ কোটায় ৯ জন ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটায় ১ জন সহ ১০ জন চাকরি পেয়েছে।

নিয়োগ প্রাপ্তদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা অধিকাংশই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। এর আগের নিয়োগ পরীক্ষায় মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়েও টাকা না থাকায় চাকরি পাননি তারা। তবে এবার মাত্র ১২০ টাকা খরচ করেই চাকরি পেয়েছে। কোনো রকম তদবির বা অর্থ লেনদেন ছাড়াই বাছাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে। অভিভাবকদের কাছে নিজের সন্তানের চাকরীরি বিষয়টি স্বপ্নের মতো লাগছে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন অনেকেই।

শিক্ষার্থী মোঃ সজিব, আখি আক্তার জানায়, তাদের বাবা শ্রমজীবী। শ্রমিকের কাজ করেন।  অনেক কষ্ট করে তাদের পড়াশোনা করিয়েছে। আজকে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পুলিশের চাকরি পেয়ে অনেক খুশি তারা। তারা সবার কাছে দোয়া চায়। তারা যেন পুলিশের চাকরির মাধ্যমে দেশের মানুষের সেবা করতে পারেন।  নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক বিপিএম বলেন, নিজের যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে চাকরি পেলো ৬৫ তরুণ-তরুণী। যারা আজকে নিয়োগ পেয়েছেন তারা সবাই নিজেদের যোগ্যতা ও মেধায় উত্তীর্ণ হয়েছে। এতে তাদের কোনো যোগাযোগ, লবিং ও ঘুষ দিতে হয়নি। তাদের মাত্র আবেদন করতে যে খরচ হয়েছে ১২০ টাকা, সেটিই তাদের খরচ। সরকারের জন্য মেধাবী ও দক্ষ পুলিশ জনবল নিশ্চিত করতে পেরে ভালো লাগছে। এসব মেধাবীরা দ্রুত পুলিশের বিভিন্ন কৌশল ও পাঠগুলো আয়ত্ত করতে পারবে। এতে আগের চেয়ে অনেক বেশি দক্ষ পুলিশ বিভাগ গড়ে উঠবে।


আরও খবর