Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় ফসলি জমিতে পুকুর খনন, রক্ষা পাচ্ছেনা পরিবেশ রক্ষাকারী বাগান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টারঃ


উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ খাদ্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁর মহাদেবপুরে ধানী, ভিটা ও বাগানের জমিতে পুকুর খনন অব্যাহত থাকলেও রহস্যজনক কারনে প্রশাসন রয়েছে নিরব। উপজেলায় গত দু'দশকে পুকুর খননে ফসলি জমি কমছে প্রায় দের হাজার হেক্টর। এক শ্রেণীর পরিবেশ বিবর্জিত ও সমাজ বিরোধী মাটি ব্যাবসায়ী এলাকার সহজ সরল মানুষকে নানা প্রলোভনে পুকুর খননে উৎসাহিত করছে। অভিযোগ রয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর সকালে মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর ইউনিয়নের দঃ লক্ষীপুর গ্রামের অতুল কবিরাজ ও প্রতুল কবিরাজ সহ তাদের ভাইদের পূর্বের একটি পুকুর এর পার্শ্বে ভিটা-মাটিতে থাকা বিশাল একটি আম বাগান কাটার পাশাপাশি ভিকু মেশিনের মাধ্যমে পুকুর খনন শুরু করেন। ঘটনাটি স্থানিয়রা সংবাদকর্মীদের জানালে সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আম বাগান কেটে পুকুর খননের দৃশ্য দেখতে পেয়ে মুঠোফোনে ঘটনাটি উপজেলা প্রশাসন ও স্থানিয় ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে জানান।  

সুত্র জানায়, নওগাঁ সদর উপজেলার বলিহার এলাকার জৈনক শাহিন আলম ও তার কিছু সহযোগী সহ মহাদেবপুর উপজেলার আরো উপজেলার ১৪/১৫ জন ব্যক্তি পুকুর খনন ও মাটি ক্রয়-বিক্রয় ব্যবসায় জড়িত রয়েছে। এসব মাটি ব্যবসায়ীরা আমন মৌসুমে কৃষকের ধান ঘরে তোলার আগেই মহাদেবপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে ঘুরে সহজ সরল মানুষদের নানা ভাবে উৎসাহিত করছে যে, তাদের জমিতে ধান চাষ না করে পুকুর খনন করলে "ধান চাষের চেয়ে" বেশি লাভবান হওয়া যাবে। এমন নানা প্রলোভনে পড়ে গ্রামের সাধারন মানুষ বা কৃষকরা তাদের প্রলোভনে পড়ে তিন ফসলি জমি সহ এমনকি ভিটামাটি বা বাগানেও পুকুর খননে উৎসাহীত হচ্ছে। আর মাটি ব্যবসায়ীদের ভিকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে সেই মাটি ইট ভাটা সহ বিভিন্ন স্থানে চড়ামূল্যে বিক্রি করছেন। যার ফলে এ উপজেলায় কমে যাচ্ছে দিন দিন ফসলি মাটি, বাড়ছে পুকুর।বিগত কয়েক বছর ধরে আবাদী বা ভিটা মাটি সহ বাগান থেকে পুকুর খনন অব্যহত থাকলেও অজ্ঞাত কারণে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী কর্তা ব্যাক্তিগন নিরব দর্শকের ভুমিকা থাকছে।

সুত্র মতে, উপজেলার ১০ ইউনিয়নে আমন ধান কেটে নেয়ার পরে ফাঁকা জমিতে শুরু হয় পুকুর খননের মহা-উৎসব। এবারও উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠে পুকুর খননে বিগত বছর গুলোর ধারা বাহিকতা অব্যাহত রেখেছে মাটি ব্যবসায়ীরা। মাটি ব্যবসায়ীদের খপ্পরে পড়ে একদিকে তিন ফসলের জমি কমছে। অপর দিকে বৃক্ষ নিধনের মাধ্যমে পরিবেশ ধংশের পাশাপাশি মাটি পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাক্টর (কাঁকড়া) এবং ১০ চাকার ডাম্পার ট্রাক অবৈধ ভাবে জেলার আঞ্চলিক মহা সড়ক সহ গ্রামীন সড়কগুলো ব্যাবহার করায় একটিকে হচ্ছে সড়ক নষ্ট অপরদিকে বাড়ছে দূর্ঘটনা, সাধারন মানুষেরও বাড়ছে দূর্ভোগ। ট্রাক্টর বা ড্রাম ট্রাক যোগে "মাটি না ঢেকে" বহনের কারনে সড়ক দূর্ঘটনায় মাত্র কিছু দিনের ব্যবধানে ৪ জন শিক্ষক/শিক্ষিকা, স্বামী-স্ত্রী ও বাবা-ছেলে সহ আরো কয়েক জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় এবং মাটিবাহী অবৈধ্য ট্রাক্টর বন্ধ সহ বৈধ্য বাহন যোগে মাটি ঢেকে বহনের দাবিতে এলাকার সচেতন সমাজ ও প্রথম সংবাদ বন্ধু ফোরাম এর উদ্যোগে মহাদেবপুর উপজেলার চৌমাশিয়া "নওহাটামোড়" বাজারে কিছুদিন পূর্বে পরপর দু'  বার মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।


অপর দিকে অতিরিক্ত মাটি ভর্তি যানবাহন চলাচলে লোকাল রাস্তা গুলোর পিচ-পাথর উঠে যাওয়ায় দিন দিন এলাকাবাসীর দুর্ভোগ বাড়ছে। দেশের খাদ্য চাহিদা পুরনে সহায়ক হিসেবে ধান চাষের পাশাপাশি রবিশষ্য উৎপাদনে তিন ফসলি জমিতে পুকুর খননে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিষেধাজ্ঞা অমান্য হচ্ছে এ উপজেলায়। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানায়, ৩৯৭ দশমিক ৬৭ বর্গ কিঃমিঃ আয়োতনের এ উপজেলায় ৩০৭টি মৌজা এবং ২৯৮ টি গ্রামে ৩০ হাজার ৩৫০ হেক্টর তিন ফসলি কৃষি আবাদী জমি রয়েছে। সূত্র মতে উপজেলার ১০ ইউনিয়নে গত দু'দশকে পুকুর খননের ফলে তিন ফসলি জমি কমছে প্রায় দের হাজার হেক্টর। পুকুর খননের ফলে প্রায় দের হাজার হেক্টর তিন ফসলের জমি কমছে এর সত্যতা অস্বীকার করে উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মোমরেজ আলী বলেন এ পরিসংখ্যানে ত্রুটিপূর্ণ। মহাদেবপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) নুসরাত জাহান সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি নীতিমালা লংঘন করে পুকুর খননের বিষয়টি তিনি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন। স্থানীয় সচেতন মহলের মতে তিন ফসলের জমিতে যে ভাবে পুকুর খনন শুরু হয়েছে তাতে করে উত্তরাঞ্চলের অন্যতম খাদ্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁ জেলা দ্রুত খাদ্য ঘাটতিতে পরার আশংকা রয়েছে। এই জেলা খাদ্য ঘাটতিতে যাতে না পরে এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা প্রশাসক, মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভুমি) এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।


আরও খবর



রামগড় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা

রামগড়(খাগড়াছড়ি):

প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলায় প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১১টা থেকে জেলা নির্বাচন অফিসের সম্মেলন কক্ষে দুপুর পর্যন্ত প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল আলম।

তবে এই নিবার্চনে দলীয় প্রতীক না থাকায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এবং আরও দুইজন প্রার্থী সহ মোট ৩ জন চেয়ারম্যান পদে লড়বেন। এছাড়াও ৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ২ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নিবার্চনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কার্বারী পেয়েছেন আনারস প্রতীক, রামগড় উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো.আবদুল কাদের পেয়েছেন দোয়াত কলম এছাড়াও কংজঅং মারমা ঘোড়া প্রতীক পেয়ে নির্বাচনে লড়বেন।


এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো.আনোয়ার ফারুক পুনরায় টিয়া প্রতীক পেয়েছেন, মো.শামছুউদ্দিন মিলন তালা প্রতীক, মো.ওমর ফারুক মাইক প্রতীক, মোবারক হোসেন বাদশা চশমা প্রতীক, মো.নুরুল আমিন টিউবওয়েল প্রতীক এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা বেগম কলস প্রতীক ও নাছিমা আহসান নীলা প্রজাপ্রতি প্রতীকে নিবার্চনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

রামগড় উপজেলা নিবার্চন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৮ই মে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে রামগড় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে একটি পৌরসভা ও দুইটি ইউনিয়নের ৪১ হাজার দুইশত ৬১ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।


আরও খবর



"মানুষের মাঝে বৈষম্য দূর করাই হোক ঈদের শপথ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ড. সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী :

১১ এপ্রিল, ২০২৪ মাইজভাণ্ডার শরীফের শাহী ময়দানে ঈদ-উল-ফিতর এর সালাত আদায় করেছেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) এর চেয়ারম্যান ও মাইজভাণ্ডার শরীফের সাজ্জাদানশীন, ড. সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী। নামাযের পর তিনি বলেন, "মহান আল্লাহ্ এবং প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের মুসলিম জাতিকে একতাবদ্ধ থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ছিলেন মানবতার মহান দূত। তার কাছে ধনী-গরিব, জাতি-ধর্ম-শ্রেণী নির্বিশেষে সকলে মানুষ হিসেবে সমান মর্যাদা পেয়েছেন। তিনি আমাদেরকে বলেছেন, এক বিশ্বাসী মুসলমান আরেকজনের জন্য আয়নার মতো। আয়নায় যেমন নিজের রূপটিই প্রতিফলিত হয়, তেমনি যেন আমরা নিজের জন্য যা পছন্দ করি, ভালো মনে করি, তা অন্য ভাইয়ের জন্যও পছন্দ করি। ইসলামের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানবতা, সাম্য ও ভাতৃত্বকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে বারবার বলেছেন, আমাদের চারপাশের দুর্বল, অসহায়দের যত্ন নিতে। প্রতিবেশী অনাহারে, অভাবে থাকলে, হাজারো ইবাদাতও কখনো আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। পবিত্র রমজান মাস সংযমের, আত্মশুদ্ধি, সহমর্মিতা ও আত্নত্যাগের শিক্ষা দেয়। আমাদের ঈদের আনন্দ  তখনই পূর্ণতা পাবে, যখন সকলে মিলে আমরা ঈদের খুশি ভাগ করে নিতে পারবো। অথচ আজ আমরা দেখছি, রমজান ও ঈদকে ঘিরে একতার বিপরীতে সমাজে বৈষম্য বাড়ছে। বিত্তবানরা বিলাসিতার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত ; আর অভাবীদের সংকট, কষ্ট, ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। যাকাত দরিদ্রদের অধিকার হলেও, অনেকে এ হক আদায় করতে উদাসীন। তাই আসুন আমরা ঘুরে দাঁড়াই। প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর আদর্শ অনুসরণে, অভাবগ্রস্ত, অসহায় ও দুস্থদের পাশে দাঁড়াই। নতুন প্রজন্মকে একটি বৈষম্যহীন সমাজ উপহার দেই।

শাহ্জাদা সাইয়্যিদ মেহবুব-এ-মইনুদ্দীন আল হাসানী, শাহ্জাদা সাইয়্যিদ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন আল হাসানী, দরবার শরীফের আওলাদ-এ-পাক এবং ভক্তবৃন্দ জামাতে অংশগ্রহণ করেন।

এরপর মাইজভাণ্ডার শরিফের অলি আল্লাহ্দের মাজার শরিফ জিয়ারত শেষে ফিলিস্তিনের জনগণের মুক্তি ও নিরাপত্তার জন্য বিশেষভাবে প্রার্থনা করেন ড. সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী।


আরও খবর



তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে সারাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই রোদ আর গরমে। প্রখর রোদে পথ-ঘাট সব কিছুই উত্তপ্ত। সব থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন খেটে খাওয়া শ্রমিকরা।

দেশের চার জেলায় এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। বয়ে যাওয়া এ দাববাহ আগামী কয়েকদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এছাড়া সারা দেশে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ।

তবে দেশের দক্ষিণপূর্ব অঞ্চলের তুলনায় পশ্চিমাঞ্চলে এ তাপপ্রবাহ বেশি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসময় আবহাওয়া নিয়ে ভালো কোনও খবর নেই সংস্থাটির কাছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গরম আরও বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বাড়লেও রাতে অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি, বুধবার (১৭ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। যা ছিল সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এ তাপমাত্রা বেড়ে আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্কবার্তা জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।


আরও খবর



ঢাকাসহ ৬ বিভাগে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সারা দেশে গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এর মধ্যে ঢাকাসহ দেশের ৬ বিভাগে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু (৩৬-৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি (৩৮-৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা আরও বিস্তার হতে পারে। শনিবার থেকে পরবর্তী ৩ দিন এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

এ ছাড়া আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, সারা দেশে শনিবার তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ পরিস্থিতি আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) দিন ও রাতেও অব্যাহত থাকতে পারে।

তবে পরদিন সোমবার (১৫ এপ্রিল) সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আর বর্ধিত ৫ দিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। এ সময় দেশের উত্তর পূর্বাংশে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

রাঙ্গামাটিতে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। আজ শনিবার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে চ্যালেঞ্জ করে ৩৭ বছর আগে দায়ের করা রিট আবেদন সরাসরি খারিজের রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছেন, সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্মের স্বীকৃতি দেওয়া সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকেও আঘাত করে না।

বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বৃহত্তর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। অন্য দুই বিচারপতি হলেন, কাজী রেজা-উল হক ও মো. আশরাফুল কামাল।

১৯৮৮ সালে অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে সংযুক্ত করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সংবিধানে ২ (ক) অনুচ্ছেদ যুক্ত করে বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম হবে ইসলাম, তবে অন্যান্য ধর্মও প্রজাতন্ত্রে শান্তিতে পালন করা যাবে।

তখন স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে ওই বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন ১৫ জন বরেণ্য ব্যক্তি।

২০১১ সালের ৮ জুন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দেন। ওই দিনই অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের সহায়তাকারী) হিসেবে ১৪ জন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীকে নিয়োগ দেয়া হয়।

ওই রুল জারির প্রায় পাঁচ বছর পর ২০১৬ সালের ৮ মার্চ এই রুল শুনানির জন্য আদালতে ওঠে। ওই দিন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগের আদেশটি প্রত্যাহার করেন আদালত। পরে ২০১৬ সালের ২৮ মার্চ রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেওয়া হয়। সেই রায় সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।


আরও খবর