Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় গাঁজা সহ দুই যুবক আটক

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় থানা পুলিশ এর অভিযানে গাঁজা সহ দু'জন যুবক কে আটক। 

নওগাঁর রাণীনগর থানা পুলিশ শুক্রবার সন্ধায় দু' জন যুবককে আটক করার পর রাতে মামলা দায়ের পূর্বক শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর আটককৃতদের নওগাঁর বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করেন। 

আটককৃত দু'জন হলেন, রাণীনগর উপজেলার মিরাট দক্ষিনপাড়া গ্রামের জাবেদ মোল্লার ছেলে সানাউল্লাহ মোল্লা (২৮) এবং একই গ্রাামের গোপাল চন্দ্র'র ছেলে কিশোর কুমার (২৬)। সত্যতা নিশ্চিত করে রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান,মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা কালে শুক্রবার সন্ধায় উপজেলার মিরাট এলাকা থেকে এক জনের কাছে ৪০ গ্রাম গাঁজা ও আরেক জনের কাছ থেকে ৩০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার সহ তাদের আটক করা হয়। 

আটককৃতদের বিরুদ্ধে রাতে মাদক আইনে মামলা রুজু পূর্বক আজ শনিবার আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।


আরও খবর



ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্র সংস্কারই সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

সামাজিক ন্যায়বিচার ও রাষ্ট্র সংস্কারই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক সম্মেলন ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন (বিওবিসি) ২০২৪’র তৃতীয় আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একটি সমাজ গড়ার আওয়াজ তুলেছেন তরুণরা। আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, ও বাক-স্বাধীনতার। দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্র সংস্কারই সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ। এজন্য সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।

থ্রি জিরোর ভিত্তিতে সভ্যতা তৈরির আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, এই সভ্যতা আমাদের ব্যর্থ করেছে। শুধু পরিবেশের দিক দিয়েই নয়, মানুষ মুনাফার পেছনে মরিয়া হয়ে উঠাও এর জন্য দায়ী। আসুন আমরা নতুন একটি সভ্যতা তৈরি করি থ্রি জিরোর ভিত্তিতে। যেখানে সম্পদকে কুক্ষিগত করা হবে না। সবার মাঝে সমানভাবে বণ্টন হবে।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, বিদেশি অতিথিদের বলব আপনারা রাস্তাগুলো ঘুরে দেখুন। বাংলাদেশের তরুণদের মনের ভাষা বুঝতে পারবেন। আমি আপনাদের আহ্বান জানাব, নতুন একটি বিশ্ব গড়ার বিষয়ে ভাবতে। যেভাবে আমাদের তরুণরা আমাদের নতুন একটি বাংলাদেশের বিষয়ে ভাবতে শিখিয়েছেন।

আজ থেকে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী সম্মেলন চলবে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত। এবারের থিম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘এ ফ্র্যাকচারড ওয়ার্ল্ড’। এতে ৮০টিরও বেশি দেশ থেকে ২০০ জনের বেশি আলোচক, ৩০০ জন প্রতিনিধি এবং ৮০০ জন অংশ নেবেন।


আরও খবর



উৎপাদন বাড়লেও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

স্বাধীনতার পর থেকে উৎপাদন বেড়েছে কয়েকগুণ, তবুও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ। বাজারে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দামে নাকাল অবস্থা মধ্য ও নিম্নবিত্তের।

বিশ্লেষকরা বলছেন, একদিকে কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি পুরোপুরি ব্যবহার শুরু করা যায়নি। অন্যদিকে বাজার চলে গেছে সিন্ডিকেটের কবজায়।

দেশে পণ্যের দাম একবার বাড়লে আর কমার লক্ষণ থাকে না। বিশ্বের দাম বৃদ্ধির এমন বিরল চিত্রের দেখা মিলবে বাংলাদেশে। এতে বঞ্চনার শিকার কেবল সাধারণ মানুষ। শুধু তাই নয়, সরকারি কাগজে-কলমে মূল্যস্ফীতি গত কয়েক বছরে যে হিসাব দেখানো হয়েছে, বাস্তবে তার পরিমাণ অনেক বেশি।

বিভিন্ন পরিসংখ্যান বলছে, স্বাধীনতার পর থেকে দেশের ধানের উৎপাদন বেড়েছে সাড়ে তিনগুণ, ১০ গুণ বেড়েছে গম উৎপাদন। সবজি ও মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৪ থেকে ৭ গুণ। তারপরও কেন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পারছে না বাংলাদেশ?

এ বিষয়ে সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, আমাদের সমসাময়িক দেশগুলো যেভাবে কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়িয়েছে, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনও অনেক পিছিয়ে।

বিআইআইএসএসের গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবির বলেন, আমাদের বাজারব্যবস্থা পুরোপুরি সিন্ডিকেটভিত্তিক হওয়ায় এবং তাদের ব্যাপক প্রভাব থাকার কারণে আমরা সুফল পাচ্ছি না। কৃষকরা দাম পাচ্ছেন না। তারা ঋণের জালে আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে যারা কৃষি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, খাদ্যপণ্যের ব্যবসা যারা করছে তারা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছেন। তারা অর্থ পাচার করছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং কারসাজিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন তারা।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




প্যারিস, প্রেম ও ভালোবাসার শহর

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ নভেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

প্যারিস হল ফ্রান্সের রাজধানী এবং সর্বাধিক জনবহুল শহর।  এটি 

আইফেল টাওয়ার এবং আরও অনেক কিছুর জন্য বিশ্বের বিখ্যাত শহর। প্যারিস খুব ব্যয়বহুল শহর। সপ্তদশ শতাব্দী থেকে প্যারিস ইউরোপের অন্যতম অর্থ কেন্দ্র, কূটনীতি, বাণিজ্য, ফ্যাশন, বিজ্ঞান এবং চারুকলা কেন্দ্রগুলির একটি। 

প্যারিস বিশ্বের অন্যতম ট্যুরিস্ট স্পট। কাজেই আপনারা যারা ঘুরতে পছন্দ করেন , সবাই ফ্রান্স  ভিসা জন্য আবেদন করতে পারেন। বাংলাদেশেই ফ্রান্স দূতাবাস আছে।  আপনার ডকুমেন্টস ঠিক থাকলে আপনাকে ভিসা দিবে। 

প্যারিসের ট্যুরিস্ট স্পট সমূহ


আইফেল টাওয়ার

আইফেল টাওয়ারটি প্যারিস এমনকি ফ্রান্সের প্রতীকী আইকন। ইঞ্জিনিয়ার গুস্তাভে আইফেলের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে, যার সংস্থা টাওয়ারটি ডিজাইন করে তৈরি করেছিল। আইফেল টাওয়ারটি ১৮৮৭ থেকে ১৮৮৯ সালের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল এটি ফ্রান্সের একটি বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিক আইকন এবং বিশ্বের অন্যতম স্বীকৃত কাঠামো । আইফেল টাওয়ার বিশ্বে পর্যটকদের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান। প্রতি বছর বিশ্বের বহু দম্পতি এখানে আসে এবং আইফেল টাওয়ারের সামনে ছবি তুলেন। 

নটরডেম ক্যাথিড্রাল

নটরডেম দে প্যারিস, নটর ডেম নামেও পরিচিত, রোমান ক্যাথলিক ক্যাথেড্রাল ইল দে লা সিটির পূর্ব অর্ধে অবস্থিত। এটি মধ্যযুগের গথিক ক্যাথেড্রালগুলির মধ্যে সর্বাধিক বিখ্যাত এবং এর আকার, প্রাচীনত্ব এবং স্থাপত্য আগ্রহের জন্য আলাদা করা হয়। এটি পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় স্থান। 

ল্যুভরে জাদুঘর 

ল্যুভরে বিশ্বের সবচেয়ে পরিদর্শন করা আর্ট মিউজিয়াম যা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। জাদুঘরটি ল্যুভর প্রাসাদে অবস্থিত, মূলত দ্বিতীয় ফিলিপের অধীনে দ্বাদশ থেকে ১৩ শতকের শেষদিকে ল্যুভর  দুর্গ হিসাবে নির্মিত।  এই সংগ্রহশালাটি বিভিন্ন বিভাগে বিভক্ত - মিশরীয় প্রত্নতাত্ত্বিকতা, প্রাচ্য প্রত্নতত্ত্ব, ইসলামী শিল্প, গ্রীক এবং রোমান শিল্প, চিত্রকর্ম, শিল্পের বস্তু, মধ্যযুগীয় ভাস্কর্য । 

সেইন নদী

ফ্রান্সের উত্তরে প্যারিস অববাহিকার মধ্যে সেইন নদী একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক নৌপথ। এই নদীটি প্যারিসের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন স্থান। সেইন নদী  ভ্রমন আপনি কখনই ভুলতে পারবেন না। 

ডিজনিল্যান্ডে

মিকির ভক্তরা ডিজনিল্যান্ড প্যারিসে যেতে পারবেন যা মধ্য প্যারিস থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। মূলত ইউরো ডিজনি রিসর্ট নামে পরিচিত, প্যারিসে দেখার জন্য সর্বাধিক বিখ্যাত এই জায়গাগুলি সুপার মজাদার রাইড, শো, অ্যানিমেশন সিনেমা, সমাবেশ এবং আপনার প্রিয় চরিত্রগুলির সাথে মিলিত হওয়ার আকর্ষণীয় মুহুর্তের জন্য পরিচিত।


আরও খবর



নওগাঁয় হাটু সমান পানির নিচে পাকা সড়ক, নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন,সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে পাকা সড়কটি জলাবদ্ধতা (হাটু সমান) পানিতে তলিয়ে থাকায় চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন মানুষ। সড়কের উপর জমে থাকা পানি নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা দু' ঘন্টাব্যাপি অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নারীসহ প্রায় ২শ' অংশ গ্রহন করেন। জন-মানুষের দূর্ভোগ লাঘবে স্থানিয় জনপ্রিয় অনলাইন 'মহাদেবপুর দর্পণ' পরিবার মানববন্ধন এর আয়োজন করেন। গত এক বছরের ও বেশি সময় ধরে মহাদেবপুর বকের মোড় থেকে উপজেলা পরিষদের প্রধান গেট হয়ে মডেল স্কুল মোড় পর্যন্ত পাকা সড়কের প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ও হাসপাতালের সামনে ও উপজেলা পরিষদের প্রধান গেটের সামনের জনগুরুত্বপূর্ন পাকা সড়কের উপর হাটু সমান পানি জমে থাকার কারনে সড়কে কয়েকটি বড় গর্ত ও খানা খন্দক সৃষ্টি হওয়ায় সড়ক দিয়ে চলাচল রত প্রায় যানবাহন দূর্ঘটনার শিকার হয়। কর্মসূচি চলাকালে বক্তারা বলেন, প্রতিদিন শতাধিক গাড়ি উল্টে যাত্রীরা পানিতে পড়ে যান। ময়লা দুর্গন্ধ যুক্ত পানিতে কাপড় চোপর নষ্ট হয় মানুষের। ঘটনাটি নিয়ে একাধিকবার গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও সংশিস্নষ্ট কর্তৃপক্ষ এই সড়কের জলাবদ্ধতা নিরসনে কোনই পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তাই নিরুপায় হয়ে দূর্ভোগের শিকার লোকজনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে সড়কের উপর থেকে পানি সরানোর দাবিতে মহাদেবপুর দর্পণ পরিবার মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে।

মহাদেবপুর দর্পণের প্রকাশক, বার্তা সংস্থা এফএনএস এর মহাদেবপুর প্রতিনিধি, নারী নেত্রী কাজী রওশন জাহান এতে সভাপতিত্ব করেন। এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মহাদেবপুর দর্পণের সম্পাদক, দৈনিক সংবাদ এর মহাদেবপুর প্রতিনিধি কাজী সাঈদ টিটো, বার্তা সম্পাদক ও মহাদেবপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী সামছুজ্জোহা মিলন, দৈনিক যায়যায়দিনের বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি ও মহাদেবপুর মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইউসুফ আলী সুমন, দৈনিক আজকের পত্রিকার মহাদেবপুর প্রতিনিধি এম, আর, রাজ, পরিবেশবিদ ও পাখি গবেষক মুনসুর সরকার, মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক অসিত দাস, এনায়েতপুর ইউপির সাবেক মেম্বার রেজাউল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ওয়াজেদ আলী, হারুন অর রশিদ হারুন, বিশিষ্ট অটো বয়লার ব্যবসায়ী মামুনুর রশিদ মামুন, উপজেলা নার্সারী মালিক সমিতির সভাপতি আজমেরি হোসেন প্রমুখ। বক্তারা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই সড়কের জলাবদ্ধতা নিরসনের আল্টিমেটাম দেন। অন্যথায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের অফিস ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি নেয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন। উল্লেখ্য, মানববন্ধন চলাকালেই সড়ক ও জনপদ বিভাগ এই সড়কের উপর বালু ও খোয়া ফেলে জলাবদ্ধতা নিরসনের উদ্যোগ নেয়।


আরও খবর



নওগাঁর হাতিরপুল ও রক্তদহ বিল হবে পর্যটন কেন্দ্র ও পাখি পল্লী

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর রাণীনগরের ঐতিহ্যবাহী হাতিরপুল এলাকাসহ শত বছরের ঐতিহ্য রক্তদহ বিলে গড়ে উঠছে পর্যটন কেন্দ্র ও পাখি পল্লী। ইতিমধ্যেই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সকল প্রাথমিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে দৃশ্যমান কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাইমেনা শারমীন। প্রকল্পটি শতভাগ বাস্তবায়ন করতে পারলে এলাকাটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভাবে আরো শক্তিশালী হবে এবং নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাইমেনা শারমীন বলেন, রাণীনগর উপজেলা একটি ঐতিহ্যবাহী উপজেলা। কিন্তু এখন পর্যন্ত উপজেলায় পর্যটনমুখি কোন খাত গড়ে তোলা হয়নি। উপজেলার শত বছরের ঐতিহ্য হচ্ছে রক্তদহ বিল। এই বিলটি বগুড়া জেলার আদমদীঘি ও নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলা এই দুই উপজেলার মধ্যে অবস্থিত। তবে বিলের সিংহ ভাগই হচ্ছে রাণীনগর উপজেলার অংশে। অপরদিকে রাণীনগর-কালীগঞ্জ সড়কটি নতুন করে নির্মাণ হওয়ায় হাতিরপুল এলাকাটি পর্যটকদের আকর্ষন করে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে রক্তদহ বিলের এই অঞ্চলটি যখন পানিতে টই টুম্বর হয়ে যায় তখন এলাকাটি আরো আকর্ষনীয় হয়ে ওঠে। বিশেষ করে নৌকা নিয়ে ভ্রমণের জন্য হাজারো পর্যটকরা এখানে ভীড় জমান। আর হরেক রকমের পাখিদের কলকাকলীতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো রক্তদহ বিল এলাকা। তাই হাতিরপুল ব্রিজ থেকে রতনডারার পাশ দিয়ে রক্তদহ বিলের মধ্যে চলাচলকারী মেঠো সড়কটি আধুনিকায়ন, সড়কের দুই পাশে পর্যটকদের জন্য বসার ব্রেঞ্চ নির্মাণ সহ আরো নানা রকমের সৌখিন ও আকর্ষনীয় স্থাপনা নির্মাণ করা এবং সারা বছর রক্তদহ বিলে আশ্রয় নেয়া হরেক রকমের পাখিদের অভয়ারন্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে পাখি পল্লী হিসেবে এলাকাটিকে গড়ে তোলার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পাখিরা যেন নিরাপদে বসবাস ও প্রজনন করতে পারে সেই জন্যে সড়ক ও বিলের পাশ দিয়ে থাকা গাছগুলোতে পাখির বাসা হিসেবে মাটির হাড়িও স্থাপন করা হবে। ইতিমধ্যে ''রক্তদহ বিল পর্যটন এলাকা ও পাখি পল্লি'' শীর্ষক প্রকল্প স্থাপনের জন্য সকল প্রাথমিক কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে। 

তিনি আরো বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাসহ উপজেলার সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে প্রথম বারের মতো উপজেলায় কোন এলাকাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এলাকাটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা গেলে স্থানীয়দের পাশাপাশি আশে পাশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষরা যান্ত্রিক এই জীবনের শত ব্যস্ততার মাঝেও একটু বিনোদন গ্রহণ করতে পারবেন। হরেক রকমের হাজার হাজার পাখির কিচির-মিচির শব্দে সকাল হবে এই অঞ্চলের মানুষদের। পরিবারের সকলকে নিয়ে গড়ে ওঠা পর্যটন কেন্দ্রে এসে পাখি দর্শনের পাশাপাশি কিছুটা সময় প্রকৃতির মাঝে কাটানোর সুযোগ পাবেন। অপরদিকে হাজার হাজার পর্যটকের আগমনের ফলে এই অঞ্চলে গড়ে উঠবে নতুন নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সৃষ্টি হবে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের। পাল্টে যাবে অর্থনৈতিক দৃশ্যপট। মেঠো সড়কের সংযোগস্থলে ছোট কালভার্ট  নির্মাণের মাধ্যমে রক্তদহ বিল পর্যটন এলাকা ও পাখি পল্লী গড়ে তোলার দৃশ্যমান কাজ শুরু করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। 


আরও খবর