Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় খাল ও নদীর পানিতে ডুবে দুই শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় গোসল করতে গিয়ে খাল ও নদীর পানিতে ডুবে দু'জন শিশু শিক্ষার্থীর মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে। এসময় অপর একজন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার সকালে নওগাঁর মান্দা উপজেলার চোঁয়াপুর ও শনিবার চকরাজাপুর গ্রামে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে।

নিহত শিক্ষার্থী মরিয়ম খাতুন (৬) নওগাঁর পার্শ্ববর্তী রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলার কলমা গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে ও শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী। অসুস্থ রিমা আক্তার (১০) একই গ্রামের জাহিদ হোসেনের মেয়ে। তারা সম্পর্কে খালাতো বোন। অপরদিকে নিহত রিয়া মনি (১০) মান্দা উপজেলার চকরাজাপুর গ্রামের সুজাউদ্দৌলার মেয়ে ও চকরাজাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী। শনিবার দুপুরে সমবয়সী দু'জন শিশুর সঙ্গে বাড়ির পাশে খালে গোসল করতে নেমে রিয়া মনি ডুবে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন খালের পানি থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে।  

নিহত মরিয়মের খালু আলমগীর হোসেন জানান, শালিকা রেজিয়া খাতুন তার মেয়ে মরিয়ম ও আরেক ভায়রার মেয়ে রিমাকে নিয়ে গত বৃহস্পতিবার আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। রবিবার সকাল ১০টারদিকে বাড়ীর পার্শ্বে শিবনদীতে গোসল করতে গিয়ে মরিয়ম পানিতে ডুবে যায়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে রিমাও ডুবে যায়। এসময় শিশু রায়হান ও মাহিমের চিৎকারে লোকজন নদীর পানি থেকে মরিয়ম ও রিমাকে উদ্ধার করলেও মরিয়মকে বাঁচানো যায়নি। অসুস্থ রিমাকে মান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর রহমান বলেন, অভিযোগ না থাকায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত দু'জন শিশুর মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



রাণীনগরে সেনাবাহিনীর একদিনের ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর রাণীনগরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একদিনের বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। অধিনায়ক ২৫ফিল্ড এ্যাম্বুলেন্স ১১পদাতিক ডিভিশন বগুড়ার জাহাঙ্গীরাবাদ সেনানিবাসের আয়োজনে  রোববার সকাল ৯টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত আবাদপুকুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এই চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। এসময় প্রায় দেড় হাজার বিভিন্ন ধরনের রোগী চিকিৎসা গ্রহন করেন।

২৫ফিল্ড এ্যাম্বুলেন্সের অধিনায়ক লে: কর্ণেল মো: রকিব উদ্দিন মজুমদার এমসিপিএস,ডিএফএম,এএমসি জানান,ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় দেশের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মানবিক উদ্যোগ অব্যাহত রেখেছে। এর ধারাবাহিকতায় রোববার রাণীনগর উপজেলার আবাদপুকুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ৬জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে মেডিসিন,চক্ষু,গাইনি,শিশু ও চর্ম রোগের চিকিৎসা প্রদানসহ প্রায় ৩০ প্রকারের ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। এছাড়া জটিল রোগীদের অন্যান্য চিকিৎসাসহ অপারেশনের ব্যবস্থাও রয়েছে। বগুড়া অঞ্চলের তত্ত¡াবধানে এবং ১১পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই মেডিকেল ক্যাম্পে প্রায় দেড় হাজার রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হয়।

 তমেজ উদ্দীন (৬৫),ফরেজ আলী ফকির (৭২),মেরিনা আক্তার (২৪),সাজ্জাদ হোসেন (৩৫)সহ ক্যাম্পে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা বাংলাদেশ সেনাবাহীনির এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।


আরও খবর



ভারতে বিমান বিধ্বস্ত : নিহতদের প্রত্যেক পরিবার পাবে ১ কোটি রুপি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

ভারতের শিল্পগোষ্ঠী টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১ কোটি রুপি সহায়তা দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাটা গ্রুপের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন এ সহায়তা ঘোষণা দেন।

এ ছাড়া দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার পুরো ব্যয় বহন করবে টাটা গোষ্ঠী। ক্ষতিগ্রস্ত বি জে মেডিকেল কলেজের হোস্টেলটি নতুন করে নির্মাণেও সহায়তা দেওয়া হবে।

চন্দ্রশেখরন এক বিবৃতিতে বলেছেন, শোক প্রকাশের জন্য কোনো শব্দই এ মুহূর্তে যথেষ্ট নয়। যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। খবর ইন্ডিয়া টুডের।

বৃহস্পতিবার ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী ওই প্লেনটি ২৪২ জন আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয়। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের ৭৮৭ মডেলের তৈরি এ প্লেনটি ‘ড্রিমলাইনার’ হিসেবে পরিচিত। প্লেনটি ১৪ বছর আগে আকাশে ওড়া শুরু করেছিল। তবে বোয়িং ৭৮৭ মডেলের কোনো প্লেনের এর আগে এভাবে ভেঙে পড়ার তথ্য নেই।


আরও খবর



‎মাভাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের আধিপত্য, চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

‎মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

‎টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) ঈদের ছুটির ফাঁকা সময়ে বাড়ছে বহিরাগতদের আড্ডা, মাদকসেবন, নিয়ন্ত্রিত বাইক চালনা, ছেলে-মেয়েদের অশ্লীল ও অসামাজিক কার্যকলাপ এবং দৃষ্টিকটূ টিকটক ভিডিও তৈরি। এতে করে দেখা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ঝুঁকি, বাড়ছে চুরির শঙ্কা, বাড়ছে উদ্বেগ।

‎সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম গেট দিয়ে অনিয়ন্ত্রিতভাবে প্রবেশ করছে বহিরাগতদের বাইক; ক্যাম্পাসজুড়ে চলছে অনিয়ন্ত্রিত গতিতে বাইক রেস। এছাড়া হাতির কবর, বিজয় অঙ্গন, ধ্রুবতারা ক্লাব, সিডিসি ক্লাব, শহীদ মিনার, বুদ্ধিজীবী চত্বর, ক্যাফেটেরিয়া, প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন এলাকা, প্রথম একাডেমিক ভবনের রাস্তাসহ বিভিন্ন আনাচে-কানাচে চলছে অবৈধ কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল ফিল্ড ও মুক্তমঞ্চের পেছনে বেড়েছে প্রকাশ্যে মাদকসেবন। ছেলেদের আবাসিক হলের আশপাশে চলছে ছেলে-মেয়েদের অশ্লীল টিকটক ভিডিও ধারণ।

‎এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও উঠছে নানা প্রশ্ন।

‎গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী সাইদুল হাসান সোহাগ বলেন, "শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মানেই জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র, যেখানে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং প্রশাসন একত্রে একটি সুশৃঙ্খল পরিবেশ গড়ে তোলে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ক্যাম্পাস ছুটির দিনে বা দীর্ঘ বন্ধের সময় ফাঁকা পড়ে থাকে, আর সেই সুযোগে সেখানে ঢুকে পড়ছে বহিরাগতরা। এই বহিরাগতদের নিয়ন্ত্রণহীন বিচরণ এখন এক ভয়াবহ সামাজিক সংকটে রূপ নিচ্ছে। ফাঁকা ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের আনাগোনায় বাড়ছে অশ্লীলতা, মাদকসেবন, জুয়া কিংবা অবৈধ সমাবেশ। ক্যাম্পাসের গাছপালা, পেছনের মাঠ কিংবা নির্জন ভবন চত্বর ব্যবহার করা হচ্ছে অসামাজিক কার্যকলাপে। এ কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি যেমন ক্ষুণ্ন হচ্ছে, তেমনি নিরাপদ শিক্ষাব্যবস্থাও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে।"

‎পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব আল হাসান রাব্বি বলেন, "ক্যাম্পাস এখন এমন ফাঁকা, মনে হয় যেন ছাত্রদের নয়, বহিরাগতদের জন্যই বানানো হয়েছে! আর আমরা ভাবছি এটা কি বিশ্ববিদ্যালয়, না যেন টিকটক স্টুডিও! অশ্লীলতার উৎসব চলতেছে, আর নিরাপত্তা? সেইটা তো গেটেই দাঁড়ায়নি এখনো। প্রশাসন আছেন ঠিকই, কিন্তু কাজকর্মে যেন ইনভিজিবল মোডে! এখনই যদি ক্যাম্পাসকে নিয়ন্ত্রণে আনা না যায়, তাহলে 'প্রবেশ নিষেধ' সাইনটা ছাত্রদের জন্যই বসাতে হবে!”

‎টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রাকিব বলেন, "ঈদের ছুটিতে যখন শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাড়িতে, তখন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হয়ে পড়ে প্রায় জনশূন্য। এই সুযোগে বহিরাগতরা মোটরবাইক নিয়ে অবাধে প্রবেশ করছে, উচ্চ শব্দে বাইক চালাচ্ছে, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ঘোরাফেরা করছে এবং অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। এমন কর্মকাণ্ড একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে ছুটির সময় বহিরাগতদের প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত, সেখানে আমাদের প্রশাসনের নজরদারির অভাব স্পষ্ট। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রধান দায়িত্ব হলো ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সুস্থ, নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখা। এই অব্যবস্থাপনা ও দুর্বলতা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে না, বরং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দিকেও বড় হুমকি তৈরি করে।"

‎এফটিএনএস বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী সমাপ্তি খান বলেন, "ঈদের এই ছুটিতে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী বাড়ি চলে গেছে, ফাঁকা ক্যাম্পাসে যে কেউ ঘুরে বেড়াচ্ছে, অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। ফলে ক্যাম্পাসে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের জন্য একটা নিরাপত্তাহীন অবস্থা তৈরি হচ্ছে। ক্যাম্পাসের প্রতিটি গেটে নিরাপত্তা কর্মী থাকা সত্ত্বেও ক্যাম্পাসের ভেতরে বহিরাগতদের অবাধ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা প্রশাসনের দুর্বলতা। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান থাকবে, তারা যেন অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনে।"

‎ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. ইমাম হোসেন জানান, "আমরা দিনে কয়েকবার টহল দিচ্ছি। অপ্রীতিকর কোনো বিষয় আমাদের নজরে আসলে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য নিরাপত্তা শাখার সদস্যরা নিয়োজিত আছেন। শিক্ষার্থীদেরও এই বিষয়ে সহযোগিতা করতে হবে প্রশাসনকে।"

‎নিরাপত্তার ঘাটতি বা দায়িত্বে কোনো অবহেলা আছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে নিরাপত্তা শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, "আমাদের দায়িত্ব পালনে কোনো অবহেলা নেই। প্রথম গেট থেকে বাইকগুলোকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ভেতরে প্রবেশ করানো হয়। আমাদের পর্যাপ্ত আনসার সদস্য না থাকায় আমরা কিছু জায়গায় তাদের নিয়োজিত করতে পারছি না। আমাদের ৮ জন আনসার সদস্য একসঙ্গে দায়িত্ব পালন করলে সেন্ট্রাল ফিল্ডে একজনকে নিয়োজিত করতে পারবো। আর অসামাজিক কোনো কার্যকলাপ আমাদের চোখে পড়লে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।"

‎বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন শিক্ষক শ্রেণি ও সচেতন মহল।



আরও খবর



যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ছাড়াই ইউক্রেন-রাশিয়ার শান্তি আলোচনা শেষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ |

Image

যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়ার দ্বিতীয় মুখোমুখি শান্তি আলোচন। তবে এ পর্যন্ত সব থেকে বড় বন্দী বিনিময় এবং প্রায় ৬ হাজার সৈন্যের মৃতদেহ ফেরত দেওয়ার বিষয়ে এক ঐতিহাসিক চুক্তিতে উপনীত হয়েছে দুদেশ। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল দ্বিতীয়বার মুখোমুখি আলোচনা বসেন।

সংক্ষিপ্ত এই আলোচনায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো ঐকমত্য না হলেও দুই দেশ আবারও যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। 

আলজাজিরা জানিয়েছে, যুদ্ধ চলাকালীন দুই দেশের মধ্যে বন্দী বিনিময় নতুন কিছু নয়, তবে এবার ইস্তাম্বুলে হওয়া আলোচনার ফলেই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বন্দী বিনিময়ের চুক্তি হয়েছে।

বৈঠকের পর উভয় পক্ষই জানিয়েছে, তারা ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী অসুস্থ, আহত ও তরুণ সৈন্যদের এই বিনিময়ের আওতায় আনবে। রাশিয়ান প্রতিনিধিদের ভাষ্য অনুযায়ী, এতে প্রায় ১,০০০ থেকে ১,২০০ সৈন্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে-যা এ যাবতকালে সবচেয়ে বড় বিনিময় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে গত মে মাসে অনুষ্ঠিত প্রথম মুখোমুখি আলোচনার ফলস্বরূপ দুই দেশ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বন্দি বিনিময় সম্পন্ন করেছিল। এই চুক্তির অধীনে, দেশ দুটি এক হাজার করে বন্দি মুক্তি দিয়েছিল।

তবে আলোচনা এখানেই থেমে নেই। ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদল অভিযোগ করেছে, মস্কো এখনও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছে। কিয়েভের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা জুন মাসের শেষ দিকে একটি সম্ভাব্য শান্তি সম্মেলনের প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে যুদ্ধ বন্ধের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে।

বর্তমানে ইস্তাম্বুলই এই আলোচনার প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। উভয় দেশের মধ্যকার অন্যান্য কূটনৈতিক ইস্যুগুলোতে অগ্রগতি ধীরগতির হলেও, বন্দী বিনিময় একটি কার্যকর চ্যানেল হিসেবে নিজেদের গুরুত্ব প্রমাণ করছে।


আরও খবর



মার্কিন নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডেকেছেন ট্রাম্প

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

ইরানে ইসরায়েলের হামলার পর মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডেকেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় এ বৈঠক হওয়ার কথা বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে ট্রাম্প প্রশাসন গত কয়েক মাস ধরে তেহরানের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে ইসরায়েলি হামলা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলল।

ইসরায়েল বলেছে, তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কারখানা এবং সামরিক কমান্ডারদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তেহরান যাতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে তারা অভিযান শুরু করেছে। শুক্রবারের হামলা এই অভিযানের শুরু, অভিযান দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা ইসরায়েলের এই হামলার সঙ্গে কোনও ভাবেই জড়িত নয়।

‘ইরানের বিরুদ্ধে হামলায় যুক্তরাষ্ট্র জড়িত নয়। আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার হচ্ছে ওই অঞ্চলে আমেরিকান বাহিনীর সুরক্ষা,’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও

জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন বলেছেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চললেও ইরানে হামলার সিদ্ধান্ত একান্তভাবেই ইসরায়েলের।

ইরানে হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মনে হয় না, আমাদের এখন কোনো জল্পনা করা উচিত।

ইসরায়েলের হামলার পর ইরানের পাল্টা প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র তাদের জেরুজালেমে দূতাবাসের কর্মীদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলেছে।

রবিবার ওমানে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে ষষ্ঠ দফার আলোচনা হওয়ার কথা থাকলেও ইসরায়েলি হামলার পর তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

এর আগে ট্রাম্প বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, ‘ইরানে ইসরায়েল হামলা করতে পারে।’ তা সত্ত্বেও তিনি শান্তিপূর্ণ সমাধান চান।


আরও খবর