Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় লুণ্ঠিত ৩৪২ বস্তা চাল ও চাল বিক্রির টাকাসহ ১২ ডাকাত আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৯০জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় পুলিশ কর্তৃক আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় ১২ জন ডাকাত সদস্য গ্রেফতার, লুষ্ঠিত ট্রাকসহ ৩৪২ বস্তা চাল ও চাল বিক্রির নগদ ২ লাখ ১৬ হাজার ৪৫০ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার বেলা ১১টায় নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক জানান, 

গত ২২মার্চ রাত আনুমানিক দেরটারদিকে নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার বাইপাস সড়ক থেকে ৮ জন ডাকাত ট্রাকের চালক ও হেলপারকে বেঁধে রেখে একটি চাল বোঝাই ট্রাক ডাকাতি করেন। ট্রাকটি ৪শ' বস্তা আতব চাল নিয়ে গাইবান্ধা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে রাত একটার পরে নওগাঁ সদরের বাইপাস সড়কের ইকরতারা নামক স্থানে পৌঁছলে ডাকাত দল রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে উক্ত ট্রাকটি থামিয়ে ড্রাইভার এবং হেলপারকে ট্রাক থেকে নামিয়ে রাস্তার পাশে মাঠের মধ্যে হাত পা বেঁধে রেখে দু'জন ডাকাত ট্রাকটি নিয়ে চলে যায়। প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা পর অপর ডাকাতরা ড্রাইভার এবং হেলপার’কে ফেলে রেখে চলে যায়। ভোরে ড্রাইভার এবং হেলপার কৌশলে তাদের হাতের বাঁধন খুলে পাশে লোকালায়ে গিয়ে বিষয়টি জানালে তারা সকালে ঘটনাটি পুলিশকে জানায়।

এ সংক্রান্তে নওগাঁ সদর মডেল থানা একটি মামলা দায়ের হলে নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার এর সার্বিক সহযোগীতা ও দিক নির্দেশনায় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ গাজিউর রহমান পিপিএম এর নেতৃত্বে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফৌজিয়া হাবিব খান ও নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান এর নের্তৃত্বে পুলিশের চৌকস টিম ডাকাতদের সনাক্ত করার জন্য কার্যক্রম শুরু করেন। এক পর্যায়ে বগুড়া জেলার শেরপুর থানার রানিরহাটে পরিত্যক্ত অবস্থায় ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়। এরপর প্রযুক্তি এবং সোর্সকে কাজে লাগিয়ে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে, ডাকাতিকৃত চাল শেরপুর থানার একটি গোডাউনে আনলোড করা হয়েছে গত ২৮ মার্চ সেখানে অভিযান চালিয়ে ডাকাতিকৃত চালের দুই জন ক্রেতাকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ডাকাত সোহাগের বাড়ী থেকে ১০ বস্তা চাল এবং বগুড়া সদরের নিশিন্দারা হতে ২০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও গত ২৯ মার্চ কাহালু থানা এলাকা থেকে শাজির উদ্দীন মন্ডল ওরফে মিলন ডাকাতকে গ্রেফতার করে তার কাছে থেকে ১১১ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। এরপর ২৯ মার্চ ডাকাত জিয়াকে কাহালু থানা এলাকা থেকে এবং ৩০ মার্চ রাতে ডাকাত শাজাহান ওরফে লালন, মেহেদী এবং ইউসুফকে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ডাকাত মেহেদী হাসান ও ইউসুফ বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

জেলা পুলিশ সুপার আরো বলেন, গতরাতে বগুড়া সদরে অভিযান চালিয়ে ডাকাত মাহফুজ, রাজু পালোয়ান এবং রতনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত রাজু পালোয়ানকে নিয়ে সিরাজগঞ্জ-এ অভিযান চালিয়ে ডাকাতিকৃত চাল বিক্রয়ের সাথে জড়িত হাটিকুমরুল এলাকার শরিফকে গ্রেফতার করে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ১১১ বস্তা চাল বিক্রির নগদ ২ লাখ ১৬ হাজার ৪৫০ টাকা তার নিকট হতে জব্দ (উদ্ধার) করা হয়।

এছাড়াও গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের কাছ থেকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া, দা, প্লাস ও হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য যে, দেশের বিভিন্ন জেলায় গ্রেফতারকৃত আসামী জিয়ার বিরুদ্ধে ডাকাতি সহ ৭টি, আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে ডাকাতি সহ ৪টি, মেহেদীর বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ ২টি, রতনের বিরুদ্ধে ডাকাতি সহ ৭টি এবং রাজু পালোয়ানের বিরুদ্ধে খুন-ডাকাতিসহ ৮টি মামলা রয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁর পতিসরে রবীন্দ্র জয়ন্তীতে অ-ব্যাস্থাপনায় আমি লজ্জিত...জেলা প্রশাসক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১২৮জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর পতিসরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২ তম জন্মবার্ষিকীর উৎসব এর উদ্বোধনী দিনে অব্যবস্থাপনার কথা স্বীকার করেছেন নওগাঁ জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান। নানা নাটকীয়তার পর তিনি এ জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় সভায় তিনি অ-ব্যবস্থপনার কথা স্বীকার করেন। আগামী দিনে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তার প্রতিশ্রুতি দেন।

জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময়ে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব এর সভাপতি কায়েস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শফিক ছোটন, নওগাঁ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল নয়নসহ বিভিন্ন উপজেলা প্রেস ক্লাব ও উপজেলার সাংবাদিক সংগঠন এর নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন। এসময়  জেলার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তারা পতিসরের সাংবাদিকদের অ-সস্মানিত করার তীব্র প্রতিবাদ করে জেলা প্রশাসকের কাছে ব্যখ্যা চান। 

রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের অ-সম্মান করার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আয়োজনের প্রথম দিনে সাংবাদিকদের বসার কোন জায়গা না থাকায় তিনি বিব্রত ও লজ্জিত হয়েছেন। এ জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। আগামীতে কোন আয়োজনে যাতে এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় তার প্রতিশ্রুতি দেন জেলা প্রশাসক।

প্রসঙ্গত, পতিসরে এবার বিশ্বকবির জন্মোৎসবের মূল আয়োজন ছিলো। ৩ দিনের অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে অব্যবস্থাপনার কারনে আগত সাংবাদিকরা অসম্মানিত হোন। এ ঘটনায় নওগাঁ জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার সাংবাদিকরা প্রতিকার চেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।

এসব ঘটনার জন্য নওগাঁ জেলা প্রশাসনকে দায়ি করেন তারা। ঘটনার সুষ্ঠ সম্মান জনক সমাধানের দাবি জানিয়ে আন্দোলন কর্মসূচী দেয় নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব। তাদের আন্দোলনে একাত্বতা প্রকাশ করে সাংবাদিকদের অন্যান্য সংগঠন। সেই ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কাছে একটি স্মারকলিপি দেন। কয়েক দিন নাটকীয়তার পর জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের নিয়ে মত বিনিময় সভায় বসেন।

এদিকে জেলা প্রশাসকের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকরা নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবে জড়ো হোন। সেখানে বক্তারা আগামী দিনে দেশ ও মানুষের কল্যানে কাজ করার পাশাপাশি নিজেদের সুরক্ষা ও অধিকার আদায়ে একাত্ন থাকার প্রত্যায় ব্যক্ত করেন।


আরও খবর



বেড়েছে তেল-চিনি ডিম-আলু পেঁয়াজের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৩৯জন দেখেছেন

Image

ঈদ উল ফিতরের আগে থেকে বেড়ে গেছে মুরগি ও গরুর গোশতের দাম। ঈদ শেষ হওয়ার প্রায় দুই সপ্তাহ হয়ে গেলেও এখনও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের গোশত। গোশতের পাশাপাশি এবার বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে সব ধরনের সবজি। ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজিই মিলছে না। এতে বিপাকে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ।

রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি মরিচ ১২০ টাকা, করলার কেজি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০-৭০ টাকা, পটল ৬০-৮০ টাকা, লাউ পিস ৬০, মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিস ৩০-৩৫ টাকা, চাল কুমড়া ৫০-৬০ টাকা, সজনে ১৪০ টাকা কেজি, ৩০০ গ্রাম ওজনের ফুলকপি ৪০ টাকা, পাতাকপি ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, বেগুন ৬০-৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা কেজি, কাঁকরোল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, কচু ১২০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা কেজি ও লেবু ৩০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।

বাসাবো বাজারে আসা ক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিনই জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। কোনো পণ্যের দাম একবার বাড়লে আর সেটি কমছে না। গরু-খাসীর দাম বাড়ায় সেগুলো আর কিনতে পারি না। এখন মুরগির দামও বেড়ে গেছে। খাবার মত সামর্থ আছে সবজির। সেটিও এখন ৫০ টাকার নিচে মিলছে না।

বিক্রেতারা বলছেন, আমাদের নিজেদেরকেও সবজি খেতে হয়। ৫০-৬০ টাকায় সবজি খাওয়া আমাদের জন্যও কষ্টের। আমরা চাই সব ধরণের সবজি ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি করি। কিন্তু পাইকারী বাজারে দাম বেশি। বেশি দামে কেনা থাকায় কম দামে সবজি বিক্রি সম্ভব হচ্ছে না।

বাজারে পাট শাক জোড়া আঁটি ২০ টাকা, কলমি শাক জোড়া আঁটি ২০ টাকা, কচুর দুই আঁটি ১০ টাকা, লাল শাকের জোড়া আঁটি ২০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ টাকা, শাপলা ডাটা ১০ টাকা, ডাটা শাক ১০ টাকা, সবুজ ডাটা ২০ টাকা আঁটিতে বিক্রি হচ্ছে। আর ধনে পাতা ১০০ গ্রাম ৩০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

এছাড়াও বাজারে নতুন করে তেল, চিনি, ডিম, আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুনের দামও বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেলের লিটারে ১২ টাকা এবং খোলা সয়াবিনের লিটারে লিটারে ৯ টাকা বেড়েছে। আর ৫ লিটারের বোতলের দাম বেড়েছে ৫৪ টাকা। এছাড়া পাম সুপার ওয়েলের দাম লিটারে বাড়ানো হয়েছে ১৮ টাকা। এখন বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৯৯ টাকা, ৫ লিটারের দাম ৯৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারের দাম ১৭৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে কোথাও মিলছে না প্যাকেটজাত চিনি। খোলা চিনি কিনতে হলে খুঁজতে হচ্ছে দুই-চার দোকান। কয়েক দিনের ব্যবধানে দাম আরো বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজিপ্রতি। যা গত সপ্তাহে ১২০-১২৫ টাকার মধ্যে ছিল।

এ ছাড়া বাজারে ঈদের পরে আলুর দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। সারাবছরই স্থিতিশীল থাকলেও মৌসুমের শুরুতে আলুর অস্থিতিশীল বাজারকে অস্বাভাবিক মনে করছেন ক্রেতারা।

দফায় দফায় দাম বেড়ে খুচরা বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, যা ঈদের আগে ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে ছিল। আর গত বছরের এ সময় আলুর দাম ছিল ১৬ থেকে ২০ টাকা।

আগে দেশী পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। যা এখন বেড়ে হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। একইভাবে আমদানি করা চায়না রসুনের কেজি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। আর দেশী রসুনের কেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। রোজার ঈদের দুই-এক দিন পরও চায়না রসুনের কেজি ছিল ১৩০ টাকার আশপাশে। আর দেশি রসুন বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।

পাশাপাশি দর বেড়েছে আদার। দেশী আদা ২০০ থেকে ২২০ এবং আমদানি করা চায়না আদার কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগেও দেশী আদা ১৫০ থেকে ২০০ টাকা এবং আমদানি করা আদার দাম ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে ছিল।

এদিকে বাজারে ঈদের মধ্যে বেড়ে যাওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম কমেনি। বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে। সোনালি মুরগির কেজি ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা। এর সাথে গত দুই দিন ধরে বাড়ছে ডিমের দাম। ১৫ টাকা বেড়ে প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পাঙ্গাস ১৭০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া মাছের কেজি হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা। প্রতি কেজি চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকায়। তাজা রুই, কাতলা, মৃগেল বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি দরে। দেশি প্রজাতির টেংরা, শিং, গচি ও বোয়াল মাছের কেজি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 


আরও খবর



নওগাঁয় এক ব্যাক্তির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ১০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ১৪৪জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁয় গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় গণেশ নামে এক সুইপার এর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টারদিকে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরের বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় একটি হার্ডওয়ারের দোকানের সাটারিং গেটের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করেন মহাদেবপুর থানা পুলিশ। নিহত সুইপার গণেশ বাঁশফোড় (৩৮) দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলা সদরের পার্বতীপুর বাবুপাড়ার মৃত কেদার বাঁশফোড়ের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘদিন থেকে মহাদেবপুর উপজেলা সদরে থেকে বিভিন্ন বাসা-বাড়ির বাথরুমের ট্যাংকি পরিষ্কার করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পরিবার পরিজন না থাকায় বিভিন্ন হোটেলে খেতেন এবং অধিকাংশ রাতে ওই দোকানের সামনের বারান্দায় ঘুমাতেন। স্থানীয়রা আরো জানান, তিনি অধিকাংশ সময় মদ্যপ অবস্থায় থাকতেন। এ দিন রাতের কোন এক সময় বন্ধ দোকানের সাটারের সাথে দড়ি বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ধারনা করছেন। তবে মৃতদেহ এর পা মাটির সাথে দাঁড়ানো অবস্থায় ছিল।

সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন বলেন, সকালে স্থানীয়রা তার ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ উদ্ধার করে বুধবার দুপরে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।


আরও খবর



মে মাসে প্রবাসী আয় এলো ১৮ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৩৬জন দেখেছেন

Image

চলতি বছরের মে মাসে প্রবাসীরা ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন। প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ধরে যার পরিমাণ ১৮ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের মধ্যে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩৩ কোটি ৬২ লাখ ১০ হাজার ডলার। এ ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২৮ কোটি ৮৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ কোটি ৯৯ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

প্রবাসী বাংলাদেশিরা আনুষ্ঠানিক ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পছন্দ করেন। কারণ, খোলাবাজারের তুলনায় ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের দাম কম দেওয়া হয়।

ব্যাংকাররা বলছেন, হুন্ডিতে পাঠানো ডলারের দাম বেশি পাওয়া যায়। এ কারণে কমছে আনুষ্ঠানিক মাধ্যমে ডলার আসা।

এর আগে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ১২ লাখ ডলার, মার্চে ২০১ কোটি ৭৬ লাখ ডলার এবং এপ্রিল মাসে এসেছিল ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার।


আরও খবর



নওগাঁয় সড়ক দূর্ঘটনায় মা নিহত, বাবা ও মেয়ে আহত

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৪৬জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় ট্রাক্টর ও অটো-বাইক সংঘর্ষে দূর্ঘটনাস্থলে মা নিহত, বাবা ও মেয়ে আহত। মর্মান্তিক এ সড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুরে নওগাঁর মান্দা উপজেলার জোতবাজার টু ফতেপুর সড়কের গোয়ালমান্দা সুইসগেট মোড় এলাকায়।

নিহত সানোয়ারা বেগম (৬৪) হলেন, নওগাঁর আত্রাই উপজেলার হাট কালুপাড়া গ্রামের মুনসুর রহমান এর স্ত্রী।এদূর্ঘটনায় নিহতের স্বামী

মনসুর রহমান (৭১) এবং তার মেয়ে মোসাঃ ফুলেরা বেগম (৩৩) আহত হন। আহত বাবা ও মেয়েকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান স্থানীয়রা। দায়িত্বরত চিকিৎসক গুরুতর আহত অবস্থায় মেয়ে মোসাঃ ফুলেরা বেগম কে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন।

স্থানিয় সুত্র জানায়, মান্দার প্রসাদপুর বাজারে ডাক্তার দেখিয়ে চার্জার ব্যাটারি চালিত একটি অটো-বাইক যোগে বাড়ি ফিরছিলেন, মনসুর রহমান, তার স্ত্রী, মেয়ে ও নাতনি।

পথে ঘটনাস্থলে পৌছালে বে-পরোয়া গতীতে আসা বিপরীদমুখি ধান বোঝাই একটি ট্রাক্টরের সাথে অটো-বাইকের সংঘর্ষ ঘটে। 

এসময় দূর্ঘটনাস্থলেই নিহত হোন সানোয়ারা বেগম এবং তার স্বামী ও মেয়ে গুরুতর আহত হওয়ায় স্থানিয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।

এসময় ধান বোঝাই ট্রাক্টরটি নিয়ে তার চালক ও হেলপার পালানোর চেষ্টা করলে স্থানিয় লোকজন ধাওয়া করায় কিছুদূরে গিয়ে ট্রাক্টর রেখে চালক ও হেলপাড় পালিয়ে যান।

দূর্ঘটনার খবর পেয়ে মান্দা থানা পুলিশের টিম দূর্ঘটনাস্থলে পৌছান।

নিহত ও আহতদের সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ নূর-এ আলম সিদ্দিকী জানান, সড়ক দূর্ঘটনার খবর পেয়ে থানা দূর্ঘটনাস্থল থেকে নিহত নারীর মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য উদ্ধার করা হয়েছে। এব্যাপারে আইনানুগ পদক্ষেপ পক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।


আরও খবর