Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় মামাকে হত্যা মামলায় ভাগ্নের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় মামাকে হত্যা করায় মোঃ বাবুল রহমান নামে এক জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ রায় দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। বুধবার ৯ এপ্রিল দুপুরে তার উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন জেলা দায়রা জজ মোঃ রোকনুজ্জামান। মামলাটি রাস্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর আবু জাহিদ মোঃ রফিকুল আলম ও আসামী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী মোঃ আব্দুল লতিফ।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বাবুল রহমান নওগাঁ জেলার সাপাহার থানাধীন খেড়ন্দা গ্রামের তমিজ উদ্দিনের ছেলে। মামলা সূত্রে জানা যায়, বাবলু রহমান পারিবারিক বিষয়কে কেন্দ্র করে তার বাবা-মাকে মারপিটসহ শারীরিক নির্যাতন করে আসছিলেন। ঐ ঘটনায় তার মা হালিমা খাতুন গত ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ১৩ মে শিরন্টি ইউনিয়ন পরিষদে ছেলের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর বার বার নোটিশ করেও সে ইউনিয়ন পরিষদের শালিসে উপস্থিত না হওয়ায় ও তার অত্যাচার মা সহ্য করতে না পেরে শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং তাকে শাসন করার জন্য গত ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ২৩ মে তার ভাই ফয়েজ উদ্দিনকে তার বাড়ীতে আসতে বলেন। এরপর তার বাবাসহ তার ফুফাতো ভাই আশরাফুল ইসলাম ও চাচাতো ভাই আসাদুল ইসলামকে নিয়ে গত ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ২৩ মে বিকাল অনুমান ৪ টায় তার ফুপুর বাড়ীতে যায়। এসময় বাদীর ফুফু-ফুফা (আসামীর পিতা-মাতা) এবং অন্যরা আপোষ মিমাংসার আলোচনা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে সে উত্তেজিত হয়ে তার শয়ন ঘর হতে একটি লোহার রড নিয়ে এসে ফয়েজ উদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে সাক্ষীদের সামনে রড দিয়ে মাথায় স্ব-জোরে আঘাত করে। সেই আঘাতের ফলে বাদীর বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যায়। সে সময় তারা ভিকটিমকে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ভিকটিমের অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিমের অবস্থা আরও খারাপ হলে তাকে গত ২৫ মে সন্ধ্যা সোয়া ৬ সময় সময় রাজশাহীর সিডিএম হসপিটালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৭ মে রাত সারে ১২ টার সময় সে মৃত্যু বরণ করেন। 

এ বিষয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর আবু জাহিদ মোঃ রফিকুল আলম বলেন, আসামীর বিরুদ্ধে পেনাল কোর্ট এর ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলায় উল্লেখিত ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড সহ ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

এবিষয়ে জানতে আসামী পক্ষের আইনজীবী মোঃ আব্দুল লতিফের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি বন্ধ থাকায় তার কোন মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



৬ কোটিতে আইপিএলে দল পেলেন মুস্তাফিজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

শেষ মুহূর্তে চলতি আইপিএলে দল পেলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। ব্যক্তিগত কারণে টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ানো জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্কের পরিবর্তে মুস্তাফিজকে স্কোয়াডে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। ৬ কোটি রুপিতে তাকে দলে টেনেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। নিলামে তার ভিত্তিমূল্য ছিল ২ কোটি রুপি। যদিও নিলাম থেকে টাইগার পেসারের প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কেউ। মূলত, ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের পর আইপিএলে নতুন ঠিকানা খুঁজে পেয়েছেন তিনি।

বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে আইপিএল কর্তৃপক্ষ মুস্তাফিজের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ফলে চলতি ২০২৫ আইপিএলের বাকি অংশে দিল্লির জার্সিতে মাঠে দেখা যাবে ‘দ্য ফিজ’কে। সাময়িক বিকল্প হিসেবে মুস্তাফিজের সঙ্গে চুক্তি করেছে দিল্লি। আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, পরের আসরের জন্য তাকে ধরে রাখতে পারবে না এই ফ্র্যাঞ্চাইজি। অর্থাৎ, শুধুমাত্র চলমান আসরের বাকি অংশে মুস্তাফিজকে খেলাতে পারবে দিল্লি।

৬ কোটি রুপিতে দল পেয়ে বাংলাদেশিদের মধ্যে মুস্তাফিজই এখন সবচেয়ে বেশি টাকায় আইপিএলে ডাক পাওয়া ক্রিকেটার। এর আগে ২০০৯ সালে মাশরাফিকে ৬ লাখ ডলারে কিনেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। সে সময়ের বাজারদরে তা চার কোটি টাকার কাছাকাছি ছিল।

আগামী শনিবার থেকে আবারও শুরু হচ্ছে টুর্নামেন্টের বাকি অংশ। দিল্লি ১১ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট অর্জন করে টেবিলের ৫ নম্বরে আছে। সুযোগ আছে শেষ চারে জায়গা করে নেওয়ার। প্লে অফের আগে এখনও ৪টি ম্যাচ খেলার সুযোগ আছে মুস্তাফিজের দলের।

আইপিএলে মুস্তাফিজের অভিজ্ঞতা বেশ সমৃদ্ধ। এখন পর্যন্ত ৫৭ ম্যাচে ৬১ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন ১০৬ ম্যাচ, নিয়েছেন ১৩২টি উইকেট।

২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে আইপিএলে অভিষেক হয় মুস্তাফিজের। এরপর খেলেছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস, দিল্লি ক্যাপিটালস এবং সর্বশেষ ২০২৪ আসরে ছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে। এবার আবারও দিল্লির হয়ে মাঠে নামছেন তিনি।


আরও খবর

শনিবার থেকে ফের শুরু আইপিএল

মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫




পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ওয়াক্ফ আইন ঘিরে অতি সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে যে সহিংসতা ঘটল, তা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ বলে মনে করে ভারত। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক সহিংসতায় উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম গত ৮ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, “পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

শফিকুল আলমের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আজ শুক্রবারের বিবৃতিতে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের ঘটনায় বাংলাদেশের তরফ থেকে যে বক্তব্য এসেছে, তা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।”

“বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর চলমান নির্যাতনের বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের সাথে তুলনা করার জন্য এটি একটি ছদ্মবেশী এবং ছলনাপূর্ণ প্রচেষ্টা, যেখানে এই ধরনের অপরাধের জন্য দায়ীরা এখনও মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অযৌক্তিক মন্তব্য করা এবং সদ্গুণের পরামর্শ প্রদানের পরিবর্তে বাংলাদেশ যদি তার নিজস্ব সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার দিকে মনোনিবেশ করে, তাহলে আরও ভাল করবে।”

গত ২ এপ্রিল গভীর রাতে ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভা এবং পরের দিন উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পাস হয় ‘সংশোধিত ওয়াক্ফ বিল, ২০২৫’। তারপর ৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর স্বাক্ষরের মধ্যে দিয়ে আইনে পরিণত হয় সেই বিল এবং ৮ এপ্রিল তা কার্যকর হয়।

এদিকে আইন কার্যকর হওয়ার পরপরই ভারতের রাজধানী দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, মণিপুরসহ বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু করেন মুসলিমরা ও বিজেপিবিরোধী বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ। সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এই বিক্ষোভকে ঘিরে আক্ষরিক অর্থেই রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছিল রাজ্যের মুর্শিদাবাদ, মালদহ, নদীয়াসহ বিভিন্ন জেলা। পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘাতে মুর্শিদাবাদে ৩ জন সংবাদও পাওয়া গেছে এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন ২ শতাধিক বিক্ষোভকারী। তবে বর্তমানে মুর্শিদাবাদ ও অন্যান্য জেলার অবস্থা শান্ত।

আইন স্থগিতের দাবিতে ইতমধ্যে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে এবং দেশটির প্রধান বিচারপতি সঞ্জিব খান্নার বেঞ্চে বুধবার মামলার ওপর শুনানিও শুরু হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি শুরু হওয়ার দিনই আইনটির কার্যকর হওয়ার সময় পিছিয়ে দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।


আরও খবর



বিসিবির নেতৃত্বে কাদের থাকা উচিত

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। এরই মধ্যে নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন দেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তার মতে, ক্রিকেট বোঝেন এমন ও জেলার ক্রিকেট উন্নয়নে সক্ষম প্রতিনিধিরাই বিসিবির নেতৃত্বে আসা উচিত।

জুলাই- আগস্টের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ক্রীড়াঙ্গনেও আমূল পরিবর্তন আসে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের আত্মপ্রকাশ ঘটে।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মিলনয়াতনে সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে চমক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান কালে তামিম ভবিষ্যতে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে ক্রিকেট বোর্ডে আসতে যারা আগ্রহী, তাদের প্রতি দিয়েছেন কঠোর বার্তা।

তামিমের বক্তব্যে উঠে আসে জেলার কাউন্সিলরদের নির্বাচন পদ্ধতি নিয়েও স্পষ্ট মত। তিনি বলেন, আমি আপনাদের কাছে একটা বিনীত অনুরোধ করবযারা ক্রিকেট বোঝেন, যাদের স্বপ্ন আছে দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেওয়ার, তাদেরকেই জেলা বা বিভাগ থেকে নির্বাচিত করা হোক। আমি অতীতে অনেকবার দেখেছি, কেউ একজন জেলা বা বিভাগ থেকে বোর্ডে আসেন, তারপর বোর্ডের পরিচালক হয়ে নিজের অঞ্চলকে ভুলে যান। এটা হতে দেওয়া যায় না।

সম্প্রতি বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ক্রিকেটের অব্যবস্থাপনা ও লিগ কাঠামোর দুর্বলতা নিজের চোখে দেখেছেন তামিম। সে অভিজ্ঞতা থেকেই বলেন, অনেক জেলায় তো মানসম্মত একটা লিগই হয় না। অথচ আমরা ক্রিকেটকে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা বলে দাবি করি।

তামিম মনে করেন, জেলা বা বিভাগীয় ক্রিকেটের উন্নয়নে যারা ব্যর্থ, তাদের ক্রিকেট বোর্ডের উচ্চপদে আসার যোগ্যতা নেই। তার ভাষায়, যদি কেউ নিজের জেলার ক্রিকেটেও উন্নয়ন না করতে পারে, তাহলে তার বোর্ডে আসা উচিত নয়।


আরও খবর

শনিবার থেকে ফের শুরু আইপিএল

মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫




এপ্রিলে সড়কে ৫৯৩ দুর্ঘটনায় নিহত ৫৮৮

প্রকাশিত:রবিবার ১১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

বিদায়ি এপ্রিল মাসে দেশের সড়কে ৫৯৩টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৫৮৮ জন নিহত এবং ১১২৪ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৮৬ জন নারী এবং ৭৮ জন শিশু রয়েছে।

এ সময়ে ২১৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২২৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ৭টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত এবং ৪ জন আহত হয়েছেন। ২২টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত এবং ৬ জন আহত হয়েছেন।

রবিবার (১১ মে) সকালে সংবাদমাধ্যমে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের পাঠানো এপ্রিলের সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা বিভাগে সর্বাধিক ১৭৩টি দুর্ঘটনায় ১৫৪ জন নিহত হয়েছেন। রংপুর বিভাগে সবচেয়ে কম ৩১টি দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত হয়েছেন। জেলা হিসেবে চট্টগ্রামে ৩৫টি দুর্ঘটনায় ৪৬ জন নিহত হয়েছে। নীলফামারী জেলায় দুর্ঘটনা ঘটলেও প্রাণহানি হয়নি। রাজধানীতে ৩৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ২৭ জন আহত হয়েছেন।

সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও মানসিক অসুস্থতা, বেতন-কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যান চলাচল, তরুণদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের ট্রাফিক আইন না মানা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতির কথা বলা হয়েছে।

সুপারিশ হিসেবে দক্ষ চালক তৈরি, চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি, পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও পথচারীদের ট্রাফিক আইন মানার বাধ্যবাধকতা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ এবং আলাদা সার্ভিস রোড তৈরি, মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ, গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ এবং সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ কার্যকর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

দুর্ঘটনা পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, গত মার্চ মাসে ৫৮৭টি দুর্ঘটনায় ৬০৪ জন নিহত হয়েছিলেন। প্রতিদিন গড়ে ১৯.৪৮ জন নিহত হলেও এপ্রিলে এই সংখ্যা ১৯.৬ জনে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ, প্রাণহানি কমার লক্ষণ নেই। অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটে অতিরিক্ত গতির কারণে। এই গতি নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তিগত নজরদারি এবং চালকদের মোটিভেশনাল প্রশিক্ষণ জরুরি।

এ ছাড়া পেশাগত সুযোগ-সুবিধার অভাবে যানবাহন চালকরা শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে চালকদের পেশাগত সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।


আরও খবর



জুনে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ আগামী জুন মাসে মোট ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন (সাড়ে তিন বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের বৈদেশিক ঋণ পেতে যাচ্ছে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে পাওয়া যাবে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার এবং বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি), জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা), এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি)-সহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা থেকে আসবে আরও ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

গভর্নর দুবাই থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সংবাদ সম্মেলনে ডেপুটি গভর্নর ড. হাবিবুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর জানান, ব্যাংক খাত সংস্কারে বাংলাদেশ ব্যাংক কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ব্যাংকের গর্ভানেন্স বা সুশাসন নিশ্চিত করা। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ১৪টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন আনা হয়েছে, যার ফলে গুণগত পরিবর্তনও এসেছে।’

তিনি আরও জানান, কোনো ব্যাংকের বিতরণকৃত ঋণের ১০ শতাংশ বা তার বেশি যদি খেলাপি হয়, তাহলে সে ব্যাংক শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিতে পারবে না। তাছাড়া, নগদ জমা ও বিধিবদ্ধ জমার ঘাটতির কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে দণ্ডসুদ বা জরিমানা পাওনা থাকলে সেসব ব্যাংকের লভ্যাংশ বিতরণেও নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

গভর্নর বলেন, ‘আমরা ব্যাংক সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। যারা অনিয়ম করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে ব্যাংক রাষ্ট্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হবে, মার্জার করা হবে—সবকিছুই করা হবে, যাতে ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংক সবসময় আমানতকারীদের পাশে আছে। ব্যাংক নয়, আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা করা।’

এই বক্তব্যের মাধ্যমে ব্যাংক খাতের প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর মনোভাব এবং সংস্কারপন্থী অবস্থান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।


আরও খবর