Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

নওগাঁয় মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রির্পোটারঃ 

নওগাঁয় সততা সংঘের সদস‍্য ও দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। নওগাঁ শহরের বোয়ালিয়া উচ্চ বিদ‍্যালয় মিলনায়তনে দূর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মঙ্গলবার ১ নভেম্বর দুপুর ১ টায় "দেশ গড়ার শপথ নিন, দূর্নীতিকে বিদায় দিন" শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দূর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ- পরিচালক মাহাম্মদ মাহমুদুর রহমান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান পিএএ। অনুষ্ঠানে বক্তব‍্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মির্জা ইমাম উদ্দিন, সাবেক এমপি ও স্কুল ম‍্যানেজিং কমিটির সভাপতি বেগম শাহিন মনোয়ারা হক, জেলা শিক্ষা অফিসার লুৎফর রহমান, জেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি শক্তিপদ চৌধুরী এবং স্কুলের দাতা সদস‍্য শহিদুল আলম, স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিত মজুমদার ও শিক্ষার্থী ফাইজা ফারুকী রিফতী। অনুষ্ঠানে বোয়ালিয়া উচ্চ বিদ‍্যালয়ের সততা সংঘের ১১ জন সদস‍্য এবং ৭০ জন দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীর মধ্যে শিক্ষা উপকরন ও স্কুল ব্যাগ, ছাতা, জামিতি বক্স, খাতাসহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরন বিতরণ করা হয়। এ সময় দূর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিদ‍্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ বিশিষ্ট ব‍্যক্তিগন উপস্থিত ছিলেন


আরও খবর



ভাড়া বাড়ছে যাত্রীবাহী ট্রেনের

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

ভাড়া বাড়তে যাচ্ছে ১০০ কিলোমিটারের অতিরিক্ত দূরত্বের সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনের। মূলত ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণে রেয়াতি (ছাড়) সুবিধা বাতিলের মাধ্যমে এ ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি ট্রেনে নির্ধারিত সংখ্যার অতিরিক্ত সংযোজিত কোচের ভাড়ার সঙ্গে বাড়তি চার্জ যুক্ত করার মাধ্যমেও আয় বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কাছ থেকে এরই মধ্যে অনুমোদন পেয়ে গেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বর্ধিত ভাড়া কার্যকরের জন্য টিকিট ব্যবস্থাপনায় নিযুক্ত বেসরকারি অপারেটর সহজকে (জেভি) এরই মধ্যে স্টেশন টু স্টেশন বাণিজ্যিক দূরত্বের হিসাবও হস্তান্তর করা হয়েছে। অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও (ম্যানুয়াল প্রক্রিয়া) ভাড়া বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী মাসেই নতুন এ ভাড়া কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আগামী ১ এপ্রিল থেকেই এটি কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। 

রেল কর্মকর্তারা বলছেন, সড়ক ও নৌপথের তুলনায় ভাড়া কম হওয়ায় সাম্প্রতিক বছরগুলোয় রেলের যাত্রী বাড়লেও রাজস্ব আয় সেভাবে বাড়েনি। আয়ের বিপরীতে ব্যয় বেশি হওয়ায় লোকসানের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না রেলওয়ে। ট্রেনের ভাড়া সর্বশেষ বাড়ানো হয়েছিল ২০১৬ সালে। এরপর রেলের জ্বালানি-যন্ত্রাংশ এবং কর্মীদের বেতন-ভাতাসহ পরিচালন ব্যয় বাড়লেও সংস্থাটির ভাড়া বাবদ আয় তেমন বাড়েনি। কয়েক দফায় রেলের ভাড়া বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তা রাজনৈতিক বিবেচনায় কার্যকর হয়নি। যদিও আয়-ব্যয়ের অসামঞ্জস্যে লোকসান থেকে বের হতে পারেনি রেলওয়ে।  

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যয় ছিল ৩ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা। যদিও একই সময়ে আয় করেছে ১ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা। এ অনুযায়ী গত অর্থবছরে আয়ের চেয়ে ১ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা বেশি ব্যয় করেছে রেলওয়ে। সংস্থাটি এর আগে নিট লাভে ছিল শুধু ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে। ওই সময়ে সংস্থাটির নিট লাভ ছিল ১৮ কোটি ৪৭ লাখ ৯১ হাজার টাকা। এরপর প্রায় আড়াই দশক ধরে টানা লোকসান দিয়েছে সংস্থাটি। এ অবস্থায় পরিচালন আয় বৃদ্ধিতে নানামুখী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে রেলওয়ে। যাত্রী ভাড়া বাবদ আয় বাড়ানোর পাশাপাশি মনোযোগ দেয়া হচ্ছে রুট বৃদ্ধি ও পণ্য পরিবহনেও। 

এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়িয়েছিল রেলওয়ে। ২০১২ সালের অক্টোবরে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। পরে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেক দফায় রেলের ভাড়া বাড়ানো হয় ৭-৯ শতাংশ। এর প্রায় সাত বছর পর ২০২৩ সালের শেষার্ধে রেলওয়ের বিভিন্ন সেতু ও ভায়াডাক্টে পন্টেজ চার্জ আরোপের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় এখন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণে যাত্রীদের ভাড়ায় রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ট্রেনে সংযোজিত অতিরিক্ত কোচে শ্রেণীভেদে বাড়তি ভাড়া (রিজার্ভেশন চার্জ) যুক্ত করা হচ্ছে। রেলসংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার ও রিজার্ভেশন চার্জ আরোপের মাধ্যমে ভাড়া বাড়ানো হলে রেলের বার্ষিক রাজস্ব আয় বাড়বে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। 

এ বিষয়ে নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বাংলাদেশ রেলওয়ের অপারেশন বিভাগের শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেন, রেলওয়ের উন্নয়নে সরকার এরই মধ্যে ১ লাখ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করেছে। বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে রেলসেবাকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে রেলের ভাড়া বাড়ানো নিয়ে সরকারের কিছুটা দোটানা রয়েছে। যদিও প্রতি বছর রেলের লোকসান বেড়েই চলেছে। এজন্য বিদ্যমান বিভিন্ন সুবিধা প্রত্যাহার করে ভাড়া বাবদ আয় বাড়ানোর পথে হাঁটতে হচ্ছে রেলওয়েকে।

রেলের ভাড়ায় দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু হয়েছিল ১৯৯২ সালে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওই সময় রেলের যাত্রী ও মালামাল পরিবহন হতো সক্ষমতার তুলনায় কম। যাত্রী ও মালামাল পরিবহন আকৃষ্ট করতে ওই সময় দূরত্ব ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু করা হয়। এর মধ্যে সেকশনভিত্তিক রেয়াতি প্রত্যাহার করা হয় ২০১২ সালে। দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধার কারণে দূরপাল্লার ভ্রমণে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ হয় দূরত্বের তুলনায় কম। ঢাকা-কক্সবাজার নতুন রেলরুট ছাড়া (ঢাকা-কক্সবাজার) সারা দেশের সব ট্রেনেই ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের জন্য রেয়াতি সুবিধা বহাল রয়েছে। এক্ষেত্রে ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য রেয়াতের হার ২০ শতাংশ। আর ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটারের জন্য রেয়াতের হার ২৫ শতাংশ।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রামের নন-এসি বাসের ভাড়া ৬৮০ টাকা। যদিও রেলের আন্তঃনগর ট্রেনের একই সুবিধার আসনে ভাড়া ৩৪৫ টাকা। এছাড়া লোকাল, মেইল বা এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা-চট্টগ্রামে ভাড়া ১২০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে। এতে রেলযাত্রায় বাড়তি চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি টিকিট কালোবাজারি হলেও প্রাপ্য রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রেলওয়ে। গত অক্টোবরে পন্টেজ চার্জ আরোপের মাধ্যমে বিভিন্ন রেলসেতুর প্রতি কিলোমিটারকে ২৫ কিলোমিটার এবং ভায়াডাক্ট বা রেল ফ্লাইওভারের প্রতি কিলোমিটারকে পাঁচ কিলোমিটার হিসাব করে বাণিজ্যিক দূরত্ব নির্ধারণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এতে রেলপথে প্রকৃত দূরত্বের সঙ্গে বাণিজ্যিক দূরত্ব বেড়ে রেলের আয় স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে। 

আবার যাত্রী চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায়ে গ্রুপ টিকিটের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ট্রেনে প্রায়ই নির্ধারিতের অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হয়। এতে জ্বালানি খরচ বেড়ে যাওয়া ছাড়াও অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ দিতে হচ্ছে। গমন ও ফেরত (আপ অ্যান্ড ডাউন)দুই ক্ষেত্রেই এ অতিরিক্ত কোচের চাহিদা থাকলে রেলের কিছু বাড়তি আয় হয়। কিন্তু চাহিদা একমুখী হলে (শুধু গমন) ফিরতি যাত্রায় টিকিট অবিক্রীত থেকে যায়। এজন্য অগ্রিম আবেদনের মাধ্যমে সংযুক্ত বাড়তি কোচ বা বাড়তি চাহিদার সময়ে সংযোজিত কোচের টিকিটে শোভন শ্রেণীর ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ, স্নিগ্ধা ও অন্যান্য উচ্চশ্রেণীতে ৩০ শতাংশ রিজার্ভেশন সার্ভিস চার্জ আরোপ করা হবে। 

এজন্য গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রী বরাবর সারসংক্ষেপ আকারে উত্থাপনের জন্য একটি প্রস্তাব তৈরি করা হয়। এতে সই করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম ও সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর । এরপর ২ মার্চ প্রস্তাবে সই করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর ৭ মার্চ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সালাহ্উদ্দিন আহমেদ রেলওয়ে মহাপরিচালক বরাবর যাত্রী পরিবহনে দূরত্ব রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার এবং অতিরিক্ত সংযোজিত কোচের টিকিট বিক্রিতে রিজার্ভেশন চার্জ আরোপের জন্য চিঠি দেন।  

রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করে আয় বৃদ্ধির পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এসএম সলিমুল্লাহ বাহার বলেন, ‘‌বাংলাদেশ রেলওয়ের মান ও সেবা অনুযায়ী ভাড়া প্রতিযোগিতামূলক বাজারের চেয়ে অনেক কম। জনগণ এর সুবিধা পেলেও রেলওয়ে লোকসানে থাকে। রেলকে আরো গতিশীল করতে ভাড়া বাড়িয়ে সড়ক যানবাহনের সমান পর্যায়ে নিয়ে আসা জরুরি। কিন্তু আপাতত মূল ভাড়া না বাড়িয়ে বিদ্যমান রেয়াতি সুবিধাগুলো প্রত্যাহারের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর চিন্তাভাবনা চলছে। রেলের বিভিন্ন আধুনিকায়ন পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের পর ধারাবাহিকভাবে আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে লোকসানও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। 


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে মসজিদে হামলায় ইমাম মুক্তিযোদ্ধাসহ আহত ১৫

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জমি বিরোধে একটি জামে মসজিদে জুমার নামাজের পূর্বে হামলা চালিয়ে মসজিদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এতে ইমাম, মুক্তিযোদ্ধাসহ দুই গ্রুপের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।  আহতদের উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। নিকটস্ত ফাঁড়ি পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। স্থানীয় মুসল্লিরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে প্রশাসনের  প্রতি দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছেন।  

জানাগেছে, উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের বরইতলা গ্রামে হেলালিয়া জামে মসজিদে দুপুর ১ টার দিকে মসজিদে ৬০/৭০ জন মুসল্লিরা জুমার নামাজের উদ্যোশে মসজিদে এসে খুদবা শুনছিল এ সময় মসজিদের সভাপতি জমিদাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সুলতান আলী হাওলাদারের সাথে প্রতিবেশী হেমায়েত উদ্দিন দিহিদারের সাথে জমি জমা বিরোধকে কেন্দ্র করে হেমায়েত উদ্দিনের নেতৃত্বে ২০/৩০ জন নারী পরুষ সংঘবদ্ধ দল মসজিদে ঢুকে বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান হাওলাদারকে এলোপতাড়ি মারপিট শুরু করে। এ সময় মুসল্লিরা বাঁধা দিলে হামলাকারিরা মসজিদের মধ্যে এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে।

এতে মসজিদের ইমাম ক্বারী আবু ইউসুফ (৩৮), বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আলী হাওলাদার (৭১), তার ছেলে এনামুল হক হাওলাদা

র (৪৮), নাতী রাব্বি হাওলাদার (২৫), মুসল্লি ওবায়দুল হাওলাদার (৪০)। অপরপক্ষের হালিমা বেগম (৩৫), আসমা বেগম (৩৮), এনায়েত হাওলাদার (৫৫), ইস্রাফিল হাওলাদার (২১), তরিকুল ইসলাম জয় (১৪)সহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুত্বর ৫ জখমীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মসজিদ কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আলী হাওলাদার বলেন, ২০ বছর ধরে  তারই প্রতিবেশী  হেমায়েত উদ্দিন দিহিদারের সাথে দুই একর জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। তারা পরিকল্পিতভাবে মসজিদে ঢুকে মহিলাদের নিয়ে এ হামলা চালিয়েছে। এলাকার ওরা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত, আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।  

হেমায়েত উদ্দিন দিহিদার বলেন, মসজিদের সভাপতি সুলতান আলী হাওলাদার মসজিদের কোন হিসাব নিকাশ না দিয়ে মসজিদের দেড় বিঘা জমি একাই ভোগ করছে। হিসাব চাইলে তার ভাই এনায়েত হাওলারসহ ৫ জনকে জখম করে।  

মসজিদের ইমাম ক্বারী আবু ইউসুফ বলেন, জুমার নামাজের পূর্বে খুদবা পড়াতে ছিলাম। হঠাৎ করে চারদিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ। মুসল্লিরা ছুটাছুটি করে চলে গেছেন। আমি নিজেও ইটের আঘাতে আহত হয়েছি। পরবর্তীতে ৬ জন মুসল্লিকে নিয়ে নামাজ পড়েছি।

এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, মসজিদের হামলার বিষয়টি সতিনি অবহিত নন। ফাঁড়ি পুলিশও আমাকে ঘটনাটি জানাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পুড়ছে ব্রাজিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখল দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। রিও ডি জেনেরিওতে সোমবার সকালে সর্বোচ্চ ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলেও দেশটির আবহাওয়া দফতর বলছে, মানুষ যে তাপ অনুভব করছে তার বিচারে ফিলস লাইক টেম্পারেচার ৬২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে, যা ইতিহাসের সর্বোচ্চ।

দাবদাহের তীব্রতা থেকে থেকে বাঁচতে সমুদ্র সৈকত আর সুইমিং পুলে ছুটে যাচ্ছেন শহরের বাসিন্দারা। শরীর সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত গোসলের পানি পাচ্ছেন না অনেকে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তীব্র দাবদাহের কারণে রিও ডি জেনেরিওতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে স্কুল, কলেজ ও বেশ কিছু অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

দেশটির আবহাওয়াবিদরা বলছেন, শুধু আবহাওয়া অফিসের রেকর্ড করা তাপমাত্রা দিয়ে গরমের তীব্রতা বিচার করলে হবে না। এর সঙ্গে আদ্রতাসহ বেশ কিছু জিনিস বিবেচনায় নিতে হবে। সেসব জিনিস বিবেচনায় নিলে রিও ডি জেনেরিওর মানুষ এখন প্রায় সাড়ে ৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অনুভব করছে। এটিকেই বলে ফিলস লাইক টেম্পারেচার

ব্রাজিল আবহাওয়া অফিসের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও আবহাওয়াবিদ রাকুয়েল কোরিয়ে বলেন, গত বছরের নভেম্বরে রিওতে ৫৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস অনুভূত হয়েছিল।

অস্বাভাবিক মাত্রায় গরম বেড়ে যাওয়ার পেছনে নির্বিচারে গাছ কাটা, বন উজাড় করা, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বহুতল ভবন নির্মাণ করা, রাস্তায় মাত্রাতিরিক্ত যানবাহন বেড়ে যাওয়াকে দুষছেন আবহাওয়াবিদেরা।

আবহাওয়াবিদ রাকুয়েল কোরিয়ে বলেন, সামনের দিনগুলোতে অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ যেভাবে জনসংখ্যা আবাসন বাড়ছে, বনভূমি উজাড় হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে, পরিবেশ বিপর্যয় হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে তীব্র গরমঅতিবৃষ্টিবন্যাখরা অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।

 


আরও খবর



রমজান মাসজুড়ে যেমন থাকবে আবহাওয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

দেশের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আজ মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে রোজা শুরু। সোমবার দিবাগত রাত থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা তারাবির নামাজের মধ্য দিয়ে রোজা রাখার প্রস্তুতি শুরু করেছেন। রমজান মাসজুড়ে আবহাওয়া কেমন থাকবে সেটি নিয়ে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকেই রাতের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে। সার্বিকভাবেই তাপমাত্রা বাড়তে পারে। এখনো তাপমাত্রা স্বাভাবিকই আছে। মাসের শেষ দিকে অবশ্য দুয়েকটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহের আশঙ্কাও রয়েছে।

প্রতিবছর ফেব্রুয়ারির পর থেকেই সাধারণত তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত এসে তাপমাত্রা আরও বেড়ে যায়। আর এপ্রিল মাসে দেশে তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে। এখন দেশের আবহাওয়া আসলে গরমের দিকে যাচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর চলতি মার্চ মাসের আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিয়েছে। সে অনুযায়ী, সামগ্রিকভাবে এ মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হবে। দুই থেকে তিন দিন বজ্র, শিলাবৃষ্টিসহ এবং একদিন তীব্র কালবৈশাখীর আশঙ্কা আছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আগামীকাল খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া আগামী বৃহস্পতিবারও দেশের দুয়েক স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়ার এ মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস বলছে, মাসের শেষ দিকে পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি আকারের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ এস এম কামরুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা এখন যে সময়ে আছি, সেটা গরমের দিকে যাওয়ার সময়। দিন দিন তাপ বাড়বে। আর এপ্রিল হলো দেশের সবচেয়ে গরম মাস। সে ক্ষেত্রে তখন তো তাপমাত্রা বাড়বেই।


আরও খবর



রিশাদ তাণ্ডবে সিরিজ জিতল টাইগাররা

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

ঘরের মাঠে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে সফরকারী শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ। লঙ্কানদের হারানোর দিনে দলের চাপের মুখে ঝড়ো ব্যাটিং করেন রিশাদ হোসেন। ১৮ বলে ৪৮ রান করে দলকে সিরিজ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন রিশাদ।

সোমবার (১৮ মার্চ) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ২৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট ও ৫৮ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। এতে তিন ম্যাচের সিরিজ ১-২ ব্যবধানে জিতে নিল স্বাগতিকরা।

২৩৬ রান তাড়ায় আহত সৌম্য সরকারের বদলি কনকাশন সাব হিসেবে ব্যাটিং করতে নামেন তানজিদ হাসান তামিম। এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে ৫০ বলে ৫০ রানের জুটি ছিল তার। ২২ বলে ১২ রান করে ড্রাইভ করতে গিয়ে এক্সট্রা কাভারে আভিশকা ফার্নান্দোর হাতে ক্যাচ দেন বিজয়। লাহিরু কুমারার বলে আউট হয়ে যান তিনি।

পরের ওভারে এসে নাজমুল হোসেন শান্তকে ফেরান কুমারা। তার বলে উইকেটে পেছনে ক্যাচ দেন ৫ বলে ১ রান করা এই ব্যাটার। পরে কুমারাই নেন তাওহীদ হৃদয় ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের উইকেট। ২৫ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি ছোঁয়া তানজিদ খেলেন ৮১ বলে ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৪ রানের ইনিংস।

সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুশফিকুর রহিম। কিন্তু মিরাজকে ফিরিয়ে হাসারাঙ্গা চাপ বাড়ান বাংলাদেশের ওপর। ৬২ বলে ৪৮ রানের জুটি ছিল তাদের। মিরাজ ফেরার পর উইকেটে আসেন রিশাদ।

উইকেটে এসে প্রথম বলেই হাসারাঙ্গাকে ছক্কা হাঁকান রিশাদ। ওই ওভারের বাকি চার বলে আরও একটি চার ও ছক্কা। হাসারাঙ্গা আবার ৪০তম ওভার করতে আসেন। ওই ওভারে ২৪ রান নেন রিশাদ। এতে দলের জয়ও তখন অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে থিকসানাকে চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন মুশফিক।

২৫ বলে তার সঙ্গে রিশাদের জুটি ছিল ৫৯ রানের। ১৮ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৮ রান করেন রিশাদ। ৩৬ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন মুশফিক।

এ জয়ে সিরিজটিও নিজেদের করে নিল বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডে বাংলাদেশ জেতার পর দ্বিতীয়টিতে জিতেছিল সফরকারীরা।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ২৩৫ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। জেনিথ লিয়ানাগে একাই খেলেন। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকেন এই মিডল অর্ডার। ১০১ রান করেন তিনি। এ ছাড়া ৩৭ রান করেন চারিথ আশালঙ্কা ও ২৯ রান করেন কুশল মেন্ডিস।


আরও খবর