
শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :
নওগাঁর মহাদেবপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর একজন শিক্ষিকা, তার স্বামী, শ্বাশুড়ি ও ভাসুড়ের বিরুদ্ধে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ এর জের ধরে চোখে মরিচের গুড়ো ছিটিয়ে ৩ জন নারীকে বেদম পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ।
শনিবার ৩ জুন দুপুরে মারাত্মক আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার চাঁন্দাশ ইউনিয়ন এর বাগডোব বাজারের মৃত হবিবর রহমানের স্ত্রী বৃদ্ধা মাজেদা বেওয়া (৬০) জানান, তিনি তার দুই মেয়ে সুফিয়া বেগম (৩৫) ও রুবিয়া বেগম (৩০) কে নিয়ে তার স্বামীর পৈত্রিক ভিটায় বসবাস করে আসছেন। এরমধ্যে তার ২জন মেয়ে ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করতে যায়। এসময় তিনি একা সে বাড়িতে থাকেন। এই সুযোগে তার প্রতিপক্ষ আহম্মদ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম মুকুল, তার স্ত্রী গুড়হাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর শিক্ষিকা নাজমা আকতার, নাজমার শ্বাশুড়ি ছফেরা বেগম ও জ্যাঠাতো ভাসুর মৃত ফজর মাস্টারের ছেলে গঙ্গারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর শিক্ষক বকুল হোসেন জমিজমা নিয়ে বিরোধ তৈরি করে তাদেরকে বাড়ি ভিটা থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা করছেন। এনিয়ে আদালতে একের পর এক মামলা দায়ের করে তাদেরকে হয়রানী করছেন। তাদের মাটির বাড়ির দেয়াল ও ধারি সংলগ্ন স্থানে পানি উত্তোলনের মর্টার বসানোর ফলে পানি জমে দেয়াল ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। দেয়ালের পাশ দিয়ে যাবার রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় দেয়াল ও ধারি মেরামতের জন্য বাড়ির পিছনে যেতে পারেন না। এছাড়া ঘরের দীর্ঘদিনের পুরনো টিন দিয়ে পানি পড়তে থাকায় টিন মেরামত করতে গেলে বাঁধা দেন।
বৃদ্ধা মাজেদা আরো অভিযোগ করেন, শনিবার ৩ জুন বেলা ১১টার দিকে প্রতিপক্ষ মুকুল বিরোধীয় জমিতে লাগানো গাছের আম পাড়তে গাছে ওঠেন। গাছের ডাল মাজেদা বেওয়ার বাড়ির টিনের উপর পড়ায় টিন ফুটো হয়ে যায়। তাই তিনি ও তার দুই মেয়ে সেখানে গিয়ে খাঁচি দিয়ে আম পাড়ার পরামর্শ দেন। এতে মুকুল রেগে গিয়ে গাছ থেকে নেমে তাদেরকে লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করেন। এনিয়ে হৈচৈ শুরু হলে মুকুলের স্ত্রী আগে থেকে তৈরি করে রাখা মরিচের গুড়ো প্রতিপক্ষদের চোখে ছিটিয়ে দিয়ে মারামারিতে লিপ্ত হন। এসময় নামজার শ্বাশুড়ি ও ভাসুরও সেখানে এসে মারামারিতে যোগ দেন।
হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে এব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলেও তিনি জানান।
বিকেলে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে শিক্ষিকা নাজমা আকতার বিরোধীয় জমির আমগাছ থেকে আম নামানোর কথা স্বীকার করে জানান ওই ৩জন নারী উল্টো তাকে ও তার শ্বাশুড়িকে মারধর করেছেন।