Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় নিখোঁজের ৯ ঘন্টা পর এক ব্যাক্তির মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টারঃ 


নওগাঁয় ইউক্যালিপটার্স বাগানের ভিতর থেকে নিখোঁজের ৯ ঘন্টা পর মনসুর আলী (৩৭) নামের এক ব্যাক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে মান্দা থানা পুলিশ। নিহত মুনসুর আলী নওগাঁর মান্দা উপজেলার গোয়ালমান্দা ফকিরপাড়া গ্রামের বদের আলীর ছেলে। 

স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯ টারদিকে জাহাঙ্গীর নামের এক ব্যাক্তি তাকে গল্প করার জন্য ডেকে নিয়ে গেলে সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। সারা রাত খোঁজাখুজি করেও তার কোন সন্ধান মেলেনি। সকালে স্থানীয় কৃষকেরা জমিতে ধান কাটতে গিয়ে নিহতের বাড়ি থেকে প্রায় ৪শ' গজ দূরের মাঠের মধ্যে জনৈক ইন্তাজ আলীর ইউক্যালিপটাস বাগানে তার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পেয়ে নিহত মুনছুরের বাড়িতে ও থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে সুরতহাল রির্পোট অন্তে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ উদ্ধার করেন।

সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার ওসি নূর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট আসার পর মৃত্যুর কারন জানাযাবে বলেও জানান ওসি।এ ব্যাপারে থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে দেশের ৩৬ শতাংশ মানুষ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

দারিদ্র্য বিমোচনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সত্ত্বেও পুষ্টির স্তর উন্নয়ন প্রত্যাশিত মাত্রায় হয়নি ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের ২০২৩ সালের সিকিউরিটি মনিটরিং অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৩৬ শতাংশ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে দারিদ্র্য অপুষ্টি এখনও হাত ধরাধরি করে চলছে নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী কক্সবাজার অঞ্চলে অপুষ্টির হার অত্যন্ত বেশি, যেখানে ২৯% শিশু কম ওজনসম্পন্ন এবং ৩৫ শতাংশ শিশুই খর্বাকৃতিতে ভুগে থাকে এই প্রেক্ষাপটে অপুষ্টি দূর করে জনসাধারণকে সচেতন করবার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে

কক্সবাজারের একটি হোটেলে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বক্তারা উল্লিখিত মত তুলে ধরেন। নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের অর্থায়নে, ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসূচি (বিএইচপি)- অ্যাডোপ্টিং মাল্টিসেক্টরাল অ্যাপ্রোচ ফর নিউট্রিশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। পুষ্টি উন্নয়নে বহুমাত্রিক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের মাল্টিসেক্টরাল মিনিমাম নিউট্রিশন প্যাকেজবাস্তবায়নে করণীয় ঠিক করতে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সাহাব উদ্দিন। এতে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন রামু উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অসীম বরন সেন, সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আতিকুর রহমান মিঞা, বিএইচপি- পল্লী কর্মসূচির অপারেশন প্রধান ডা. মনোয়ারুল আজিজ প্রমুখ। প্রশিক্ষক ছিলেন নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের প্রকল্প কর্মকর্তা অমিত কুমার মালাকার। ব্র্যাকের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএইচপি- এরিয়া ইনচার্জ মেহনাজ বিনতে আলম

ডা. মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পুষ্টির মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি বার্তাসমূহ সকলের নিকট পৌছে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ বিভাগের সকল মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের আরও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে

ডা. মনোয়ারুল আজিজ বলেন, পুষ্টি উন্নয়ন খাদ্য নিরাপত্তা বিবেচনায় দরিদ্র পরিবারের জন্য পুষ্টিকর খাবার অপরিহার্য। সেজন্য বৈচিত্র্যপূর্ণ খাবারের পাশাপাশি পুষ্টিগুনসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার জন্য প্রচারণা বাড়াতে হবে। তিনি অপুষ্টি দূরীকরণ সমস্যা মোকাবিলায় সরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজ বেসরকারি সংস্থাকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান


আরও খবর

আগামী ৪ অক্টোবরের সভা নিয়ে ব্যস্ত ইসি

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




মাভাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের কর্মীসভা সফলভাবে অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

মো: হৃদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: 

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার(২৪ সেপ্টেম্বর)  কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে এই কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি সাইফুল্লা আব্বাছী অনন্তর সভাপতিত্বে কর্মীসভার উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি মো. ফুয়াদ হাসান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক শিশির, সাংগঠনিক সম্পাদক সিয়াম রহমান, উপ-নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক মো. হাবিবুল বাশার এবং সদস্য জেবুন্নাহার শিলা। কর্মীসভায় প্রারম্ভিক সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, মাভাবিপ্রবি শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নিবিড় পাল। 

কর্মীসভার শুরুতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নেতৃবৃন্দ মাভাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের কর্মীদের সামগ্রিক পরিবেশ ও তাদের প্রত্যাশা নিয়ে মতামত প্রদান করতে বলেন এবং তাদের মতামত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালি আসিফ ইনানের কাছে পৌঁছে দেবার আশ্বাস দেন৷ 

এ সময় মো. রকিবুল হাসান রকি, রবিউল ইসলাম, মো. সাইদ ইসলাম সিয়াম, কামরুজ্জামান শতাব্দী, রায়হান আহম্মেদ শান্ত, রাফিউল হাসান, এমরান হোসেন মামুন, আকাশ, নাহিদুল ইসলাম হিমেল,  হুমায়ুন কবির, নাজিম উদ্দিন, বাবু কিশোর দেব, মানিক শীলসহ অন্যান্য কর্মীরা মতামত প্রদান করেন। 

মতামত প্রদান শেষে মাভাবিপ্রবিতে উপস্থিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের নেতারা বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি সাইফুল্লা আব্বাছী অনন্ত বলেন, অতীতের চেয়ে সাদ্দাম-ইনানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অনেক শক্তিশালী। যে ইউনিটগুলোতে কমিটি নেই, সবগুলোতেই  দ্রুত কমিটি করবে ছাত্রলীগ। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট কমিটি দেওয়া হবে।

নতুন নেতৃত্ব নির্ধারণে বিবেচ্য বিষয়গুলো জানতে চাইলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক শিশির বলেন, ‘আপনারা জানেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ একটি টিম ওয়ার্ক। আমরা কর্মীসভা সম্পন্ন করার দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে এখানে এসেছি। আমরা কেন্দ্রীয় নির্বাহী ছাত্র সংসদের সঙ্গে বসব, পর্যালোচনা ও বিচার বিবেচনা করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুমোদনে কমিটি অনুমোদিত হবে।’


আরও খবর



রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি সম্মিলিত প্রচেষ্টা আরও বহুগুণ বাড়াতে বৈশ্বিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে আসিয়ান সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের কাছে চারটি প্রস্তাব তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, মিয়ানমার থেকে উদ্ভূত এই (রোহিঙ্গা) সমস্যার স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আরও বহুগুণ বাড়াতে হবে, সব বিকল্পের মধ্যে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনই সবচেয়ে কার্যকর।

 নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে এক উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্টে প্রধানমন্ত্রী তার প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ, কানাডা, গাম্বিয়া, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ সদর দপ্তরে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে তারা কি আমাদের ভুলে গেছে? শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের এই ইভেন্ট আয়োজন করা হয়। ইভেন্টটি সঞ্চালনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।

প্রথম ও দ্বিতীয় প্রস্তাবে শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন বিষয়টি সমাধান করে এবং এই দুর্দশাগ্রস্ত ও অসহায় মানুষের জীবনধারণের জন্য আমাদের মানবিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি এই বিষয়টিকে তাদের এজেন্ডার শীর্ষে রাখে।

তৃতীয় প্রস্তাবে তিনি বলেন, এই জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত, নিয়মে পরিণত করা এবং ঘৃণ্য নৃশংসতাকারী অপরাধীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য চলমান এবং প্রচলিত আইনি এবং বহুপাক্ষিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ছয় বছর ধরে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের মর্মান্তিক বিতাড়নের ঘটনা দেখে আসা বিশ্বকে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের স্থায়ী দুর্ভোগের কথা আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে তারা আজ এখানে সমবেত হয়েছেন।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া এবং পরিবারের সদস্যদের প্রতি নির্মম হত্যাকাণ্ডের কারণে কয়েক মাসের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এরপর থেকে আমরা আমাদের মাটিতে তাদের আশ্রয় এবং তাদের মৌলিক ও মানবিক সেবা দিয়ে আসছি। আমি আমাদের সকল অংশীজন এবং বন্ধুদের তাদের সংহতির পাশাপাশি মানবিক সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানাই।

ইস্যুটি এখন স্থবিরতার পর্যায়ে পৌঁছেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত ছয় বছরে একজন বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাও মিয়ানমারে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারেনি।

বাংলাদেশে তাদের দীর্ঘ উপস্থিতি কেবল তাদের আরও হতাশার দিকেই ঠেলে দিচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি কক্সবাজারের পরিস্থিতিকেও অনিশ্চিত করে তুলছে।

আশ্রয়দাতা সম্প্রদায় আজ তাদের উদারতার শিকারে পরিণত হয়েছে, বলেন তিনি।

রোহিঙ্গাদের চাহিদার প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ দ্রুত হ্রাস পাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, এটি মানবিক সহায়তা পরিকল্পনায় ক্রমবর্ধমান অর্থায়নের অভাব স্পষ্ট।

তিনি বলেন, সমগ্র বিশ্ব অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য অনেক কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা যে, রেকর্ড পরিমাণ উচ্চতায় পৌঁছেছে সে বিষয়ে তারা অবগত আছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব রোহিঙ্গাদের ভুলে যেতে পারে না কেননা ২০১৭ সালে তাদের দেশত্যাগ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না এবং তারা কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারে নিপীড়ন ও বিতাড়নের শিকার হয়েছে।

তিনি বলেন, তাদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিকারে এগিয়ে আসতে সকলেরই দায়িত্ব রয়েছে। তাদের ভরণপোষণের জন্য মানবিক সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ, তবে এটিই সব কিছু নয়।

আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, তারা মিয়ানমারে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে পারবে এবং মর্যাদার সঙ্গে নিশ্চিত জীবন যাপন করতে পারবে। এর জন্য আমাদের সমস্যাটির মূলে গিয়ে সমাধান করতে হবে, যা মিয়ানমারেই রয়েছে, যোগ করেন তিনি।

তাদের নিজ দেশে সুরক্ষা এবং প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা দরকার যাতে বাড়িঘর থেকে তাদের পালাতে না হয়। তিনি বলেন, এখানে উপস্থিত অনেক দেশ আছে যারা কয়েক দশক ধরে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে আসছে। তার বিশ্বাস মালয়েশিয়া এবং সৌদি আরব বাংলাদেশের সাথে একমত হবে।

এক মিলিয়নেরও বেশি বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য আশ্রয় দেওয়া কখনোই বাংলাদেশের জন্য একটি বিকল্প ছিল না উল্লেখ করেন তিনি।

বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ যেখানে জনসংখ্যার উচ্চ ঘনত্ব রয়েছে এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোর মধ্যে একটি এবং এটি ইতোমধ্যেই জলবায়ু-প্ররোচিত অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার দ্বারা অতিরিক্ত চাপে পড়েছে।

তিনি বলেন, এর পাশাপাশি, রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ উপস্থিতি আমাদের জনগণের জন্য গুরুতর সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তাজনিত প্রভাব ফেলেছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির হিসেবে পরিচিত এই আশ্রয় শিবিরের কারণে ৬ হাজার ৮০০ একর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের ফলে কক্সবাজারের জীব বৈচিত্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০১৭ সালের নভেম্বরে আমরা মিয়ানমারের সাথে যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছি তার দ্রুত বাস্তবায়নের দিকে তাদের মনোযোগ দিতে হবে।

আমরা মায়ানমারের সাথে ছোট ব্যাচে যাচাইকৃত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য কাজ করছি। প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ এবং স্বেচ্ছামূলক হয় তা নিশ্চিত করার জন্য, রোহিঙ্গা এবং মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের মধ্যে একাধিকবার আলোচনার করা হয়েছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তার মতে প্রত্যাবর্তনকারীদের প্রথম ব্যাচের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে পথ দেখাতে এবং প্রক্রিয়ার ফাঁক-ফোকরগুলো পূরণ করতে গুরুত্বপূর্ণ হবে।

পাইলট প্রত্যাবাসন প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে ভবিষতে আশা বাঁচিয়ে রাখবে। আমি আশা করি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনকারীদের রাখাইনে পুনরায় একত্রিত হতে সহায়তা করতে এগিয়ে আসবে, তিনি বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাখাইনে মানবিক ও উন্নয়ন সংস্থার উপস্থিতি একটি গুরুত্বপূর্ণ আস্থা তৈরির ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করবে।

তিনি বলেন, আঞ্চলিক দেশগুলো, বিশেষ করে আসিয়ান সদস্যরা, মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক নিয়ে, নেতৃত্বের ভূমিকা নিতে পারে। এএইচএ কেন্দ্রের ব্যাপক প্রয়োজন মূল্যায়নের ভিত্তিতে, প্রত্যাবর্তনকারী রোহিঙ্গাদের সম্পৃক্ত করে ছোট সম্প্রদায় ভিত্তিক প্রকল্প গ্রহণ করা যেতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে, রোহিঙ্গা সঙ্কটের মূল কারণগুলোকে কার্যকরভাবে মোকাবেলায় অব্যাহত আন্তর্জাতিক মনোযোগ প্রয়োজন।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবের বাস্তবায়ন এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।

ন্যায়বিচার এবং জবাবদিহিতা প্রক্রিয়ার ওপর দৃষ্টি বজায় রাখা সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং যতক্ষণ না নৃশংসতার জন্য দায়ী অপরাধীদের জবাবদিহি করা না হয়, ততক্ষণ আরও নিপীড়নের ঝুঁকি থেকেই যাবে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা নির্যাতিতরা এবং জীবিতরা সত্যিকার অর্থে তাদের অতীত আর ফিরে পাবে না এবং বিচার না পেলে তারা গঠনমূলকভাবে মিয়ানমারে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়েও ফিরে যেতে পারবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার দেশ জবাবদিহিতা প্রক্রিয়ার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এবং আমরা আইসিজে, আইআইএমএম এবং আইসিসি-র সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। আমি অন্য সকল সদস্য রাষ্ট্রকে এই বিষয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থার সাথে সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানাই।

বাসস।


আরও খবর



মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে মাউশির সতর্কবার্তা

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জলাতঙ্ক বিষয়ে সতর্ক করার নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। নির্দেশনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে জলাতঙ্ক রোগ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য ২৬ সেপ্টেম্বর আলোচনা সভার আয়োজন করতে বলা হয়েছে।

মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে জলাতঙ্কমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, সিডিসি অপারেশনাল প্ল্যানের জুনোটিক ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম দেশব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মতে, জলাতঙ্ক একটি ভয়ংকর মরণব্যাধি, এ রোগে মৃত্যুর হার শতভাগ।

পৃথিবীতে প্রতি বছরে প্রায় ৫৯ হাজার মানুষ জলাতঙ্ক রোগে মারা যায়। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ মানুষ কুকুর, বিড়াল, শিয়ালের কামড় বা আঁচড়ের শিকার হয়ে থাকে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। মরণব্যাধি জলাতঙ্ক রোগের ভয়াবহতা উপলব্ধি, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রতিরোধ ও নির্মূলের লক্ষ্যে ২০০৭ সাল থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালিত হয়ে আসছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়- জলাতঙ্কের অবসান, সবে মিলে সমাধান।

নির্দেশনায় ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে জলাতঙ্ক রোগ সম্পর্কিত তথ্য শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।


আরও খবর



ধামরাই পৌরসভায় স্থানীয় সরকার দিবস পালন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

মাহবুবুল আলম রিপন(স্টাফ রিপোর্টার):

ঢাকার ধামরাইয়ে পৌর সভার আয়োজনে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালন উপলক্ষে সরকারের দেয়া বিভিন্ন ভাতা  গ্রহণকারী উপকারভোগীদের নিয়ে রেলী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ  মঙ্গলবার( ১৯ সেপ্টেম্বর)পৌরসভা চত্ত্বরে পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কবির মোল্লার  সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজীর আহমদ।  বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন, সানোড়া ইউপি চেয়ারম্যান খালেদ মাসুদ খান লাল্টুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। 

এ সময় বিভিন্ন ভাতা  উপকারভোগীদের উদ্দেশ্য করে এমপি বলেন, পনের বছর আগে আপনাদের কথা কেউ চিন্তা করেনাই। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। বিশেষ করে আপনাদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করার জন্য বই ফ্রী করে দিয়েছেন। 

এক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মায়ের মতো।  মা যেমন প্রত্যেক সন্তানদের ভাল ও  সুখে রাখার জন্য  অক্লান্ত পরিশ্রম করেন তেমনিই  প্রধানমন্ত্রীও আপনাদের  ভাগ্য উন্নয়নের জন্য  পরিশ্রম করেন। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় অর্থাৎ শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহবান করেন।  

পৌর মেয়র বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী  অসহায় মানুষ অর্থাৎ আপনাদের কথা চিন্তা করে ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। ধামরাইয়ে ছিন্নমূল মানুষের বসবাসের জন্য ঘর তৈরী করে দিয়েছেন। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দিয়েছেন। নৌকায়  ভোট দিয়েছেন বলেই প্রধানমন্ত্রী আপনাদের সম্মান করে  সকল  সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে।  তাই  আগামী নির্বাচনে নৌকায়  ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে  বিজয়ী করলে আরো সুযোগ সুবিধা পাবেন। সব শেষে সেরা কর দাতাদের মাঝ ক্রেস্ট বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন সকল ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বৃন্দ ও সুধিজন।


আরও খবর