Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় নিখোঁজের দু' দিন পর নদী থেকে এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

সিনিয়র রিপোর্টার নওগাঁ :

নিখোঁজের দু'দিন পর নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় ছোট যমুনা নদী থেকে স্বাধীন নামে তিন বছর বয়সী এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে বদলগাছী উপজেলার ডাকবাংলো মোড়ের সালকালী নামক এলাকায় নদীর পানি থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করেন পুলিশ।শিশু স্বাধীন হলেন, পার্শ্ববর্তী ধামুইরহাট উপজেলার চকচৈতন‍্য গ্রামের জুয়েলের ছেলে। স্বাধীন গত বুধবার দুপুর ১টার দিকে নিখোঁজ হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকেই নদীর পানিতে ভেসে থাকলেও স্থানীয় অনেকেই অন্য কোনো প্রানীর মৃত দেহ মনে করে। দুপুর ১টারদিকে এলাকার মহিলারা নদীর পাশে গেলে ভাসমান মৃতদেহটি দেখতে পায়। তাদের কথা শুনে জেলেরা সাথে সাথে নদীতে নেমে শিশুর মৃতদেহটি নদীর পাড়ে তুলে আনেন এবং থানা পুলিশকে জানালে এস আই নিহার চন্দ্র সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় গনমাধ‍্যম কর্মীদের দ্বারা বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায়  খোঁজ-খবর করলে শিশুটির পরিচয় মিলে।

নিহত শিশু স্বাধীনের বাবা জুয়েল বলেন, বুধবার দুপুরের দিকে আমার ছেলে নিখোঁজ হয়। তার বয়স ৩ বছর ২মাস। নদীর পাশে আমার বাড়ী হওয়ায় ইসবপুর ব্রীজ পর্যন্ত অনেক বার নদীতে খুঁজেছি। না পেয়ে গতকাল এলাকায় মাইকিং করা হয়। হঠাৎ আজ বদলগাছী থেকে পরিচিত জনের মাধ্যমে জানতে পারি এখানে একটি বাচ্চার মৃতদেহ পাওয়া গিছে এবং এসে দেখি আমার ছেলে।

এব‍্যপারে বদলগাছী অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান বলেন, শিশুর মৃতদেহ সনাক্ত করেছে তার স্বজনরা। মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি অপসারণের নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার (৯ মার্চ) সকালে বিটিআরসিকে এই নির্দেশনা দিয়েছেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এ সময় হাইকোর্ট বলেন, ধর্ষিতা শিশুটির ছবি যারা প্রকাশ করছেন তারা আইন ভাঙছেন। এটা অন্যায়। ছবি নির্ধারিত সময়ে না সরালে নতুন আদেশ দেয়া হবে।

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার মাহসিব হোসাইন। তিনি শিশুটির স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আর্জি জানান। আদালত এ বিষয়ে আজকেই আদেশ দেবেন বলে জানান আইনজীবী।

এদিকে রোববার সকালে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে দেখতে ঢাকা সেনানিবাসস্থ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) গিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মাগুরায় আট বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় মাগুরা সদর থানায় চার জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। দোষীরা যেন কোনোভাবেই ছাড় না পায় -এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোচ্চার রয়েছে।

এর আগে শনিবার বিকেল ৫টার দিকে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স করে ধর্ষণের শিকার সেই শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, শিশুটি প্রথম থেকে ক্রিটিক্যাল ছিল। ঢাকা মেডিকেলে তার চিকিৎসা চলছিল, কিন্তু অতিরিক্ত অ্যাটেনডেন্সের কারণে অন্য রোগীদের সমস্যা হচ্ছিল। অ্যাটেনডেন্সরা বারবার চিকিৎসকদের বিরক্ত করছিলেন। সব কিছু বিবেচনা করে শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



ট্রাম্পের হুমকিকে তোয়াক্কা করছে না গাজার মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ |

Image

মার্কিন জিম্মিদের মুক্তি দিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজার জনগণকে হুমকি দিয়েছেন। গত বুধবার রাতে তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, যদি জিাম্মদের আটক রাখে, তবে গাজার সব বাসিন্দা মারা যাবে।

তবে ট্রাম্পের এ হুমকিকে কোনো পাত্তা দিচ্ছেন না গাজাবাসী। তারা বলছেন- আমাদের হারানো আর কিছুই নেই। খবর আল-জাজিরার।

গাজার ৫৯ বছর বয়সি এক ব্যবসায়ী ইয়াসির আল-শারাফা আল জাজিরাকে বলেন, আমি এসব হুমকিকে আর ভয় পাই না। কারণ গাজার অনেক মানুষের মতো আমিও বিশ্বাস করি- আমার হারানোর কিছুই নেই।

তিনি বলেন, আগে পোশাক ব্যবসায়ী ছিলাম। আমার একটি বড় দোকান, ছয়তলা একটি ভবন, একটি গাড়ি এবং গাজা সিটির তেল আল-হাওয়ায় স্টক রাখার জন্য গুদাম ছিল।

বছরের পর বছরের কঠোর পরিশ্রম এসব করেছিলাম। এখন সব কিছু ধ্বংস হয়ে গেছে, যুদ্ধ সবকিছু শেষ করে দিয়েছে। যেদিকেই তাকাই, কেবল ধ্বংস, ধ্বংসাবশেষ আর দুর্দশা। আমাদের শোক করার মতো আর কিছু বাকি আছে কি? আমি এখন শিশুদের জন্য ক্যান্ডি ও স্ন্যাকস বিক্রি করি।

যুদ্ধের সময় দক্ষিণে বাস্তুচ্যুত হওয়ার পর, আল-শারাফা ও তার পরিবার যুদ্ধবিরতি শুরু হলে উত্তরে ফিরে আসেন, কিন্তু সেখানে এসে দেখেন এক বিধ্বস্ত এলাকা, যেখানে জীবনযাপন প্রায় অসম্ভব।

তিনি বলেন, যদি আমরা জিম্মিদের হস্তান্তর করি, তবুও কিছুই বদলাবে না। তারা নতুন অজুহাত তৈরি করে যে কোনো সময় যুদ্ধ আবার শুরু করতে পারে। আমরা পুরো বিশ্ব থেকেই বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছি।

৬২ বছর বয়সি জামিলা মাহমুদ ট্রাম্পের কথাগুলো শোনেননি, তবে বৃহস্পতিবার সকালে তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য এ নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ট্রাম্পের হুমকিগুলো একটি মানসিক যুদ্ধের অংশ, যার উদ্দেশ্য গাজার মানুষকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা।

তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন, আমরা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। না আছে ইন্টারনেট, না বিদ্যুৎ, না কোনো যোগাযোগের মাধ্যম। প্রতিবারই একটা নতুন পরিকল্পনা আসে– কখনো বলে গাজার মানুষকে জোর করে সরিয়ে দেবে, কখনো বলে ইসরায়েল পুরো গাজা দখল নেবে। আর এখন তারা পুরো গাজার জনগণকে জিম্মিদের কারণে হুমকি দিচ্ছে।

জামিলা মাহমুদ জোর দিয়ে বলেন, যা কিছু ঘটুক না কেন, তিনি কখনোই গাজা ছেড়ে যাবেন না। আমার বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলেও আমাকে সরাতে পারবে না।

পরিবারের জন্য অল্প কিছু খাবার নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ৬০ বছর বয়সি আইমান আবু দাইয়েহ আল জাজিরাকে বলেন, তিনি শুধু চান 'হামাস এখন জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিক – একটি চুক্তি গ্রহণ করুক, আলোচনা করুক, এবং বন্দিদের হস্তান্তর করুক, যাতে এই অন্তহীন দুঃস্বপ্ন শেষ হয়।'

এটাই একমাত্র বাস্তবসম্মত পথ... আমাদের অবস্থান দুর্বল, আর কেউ আমাদের পাশে নেই।

তবে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন যে, শুধুমাত্র জিম্মিদের হস্তান্তর করলেই কি ট্রাম্প ও ইসরায়েলের জন্য যুদ্ধ শেষ হবে? যদিও এটি ভবিষ্যতে যুদ্ধকে কিছুটা কম বিধ্বংসী করতে পারে।

আইমান আবু দাইয়েহ বলেন, আমরা ৫০ হাজার মানুষ হারিয়েছি। আমার দুই ছেলে মারা গেছে– একজন ২০২৩ সালের অক্টোবরে, আরেকজন ডিসেম্বর। তারা দুজনই তরুণ ছিল। আমার বাড়িটিও ধ্বংস হয়েছে। আমরা যথেষ্ট ক্ষতি ও দুর্ভোগ সহ্য করেছি। আমাদের বিষয়ে আরব দেশগুলো নীরব, ইউরোপের দেশগুলোও নীরব।

তিনি বলেন, ট্রাম্পের বক্তব্যের কোনো মূল্য নেই। আমার মনে হয়, সে শুধু হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে এসব হুমকি দিচ্ছে। তাদের যা করার বাকি, তা হলো আমাদের সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া।


আরও খবর



নওগাঁয় গ্রামীণ মেঠো রাস্তার উন্নয়ন কাজে বাধাঁ

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর রাণীনগরের সীমান্তবর্তি অবহেলিত একটি গ্রাম হচ্ছে একডালা ইউনিয়নের নিচ তালিমপুর। এই গ্রামটির সঙ্গে বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানার বিষ্ণুপুর নামক আরেকটি গ্রাম সংযুক্ত রয়েছে। গ্রাম দুটি উপজেলার শেষ প্রান্তে অবস্থিত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থায় তেমন একটা আধুনিকতার ছোঁয়া স্পর্শ করেনি। সম্প্রতি গ্রামের চলাচলের একমাত্র গ্রামীণ মেঠোপথের পাঁকাকরণ কাজ শুরু হয়েছে। সেই কাজে বালি দেওয়াকে কেন্দ্র করে কতিপয় ব্যক্তিরা বাঁধা দিতে গেলে গ্রামবাসীরা সেই বাঁধাকে প্রতিহত করে। ফলে বহুবছর পর অবহেলিত গ্রামের বাসিন্দাদের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। অপরদিকে বালু উত্তোলনের চাঁদা না দেওয়ায় ভেকু মেশিনে হামলা করে ভাংচুর করাসহ মারপিট করার ঘটনাও ঘটেছে।  

নিচ তালিমপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত-ওয়াজেদ আলীর ছেলে মিজানুর রহমান জানান গ্রাম দুটি উপজেলার শেষ প্রান্তে হওয়ার কারণে চলাচলের একমাত্র গ্রামীণ রাস্তায় আধুনিকতার ছোঁয়া স্পর্শ করেনি। একসময় রাস্তাটি জমির আইলের মতো ছিলো। এরপর গত ২০০৬ সালে একটি বরাদ্দের মাধ্যমে মাটি কেটে একটু প্রশস্ত করা হয়। শুষ্ক মৌসুমে কোন মতে চলাচল করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে এক হাটু কাঁদা ভেঙ্গে চলাচল করতে হয়। এতে করে গ্রামের শতাধিক শিক্ষার্থীসহ পুরো গ্রামবাসীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এমন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে গত ২০১৯ সালে আমরা গ্রামবাসীরা নিজেদের অর্থ দিয়ে ভ্যান চলাচল করা যায় এমন ভাবে মাটি কেটে প্রশস্তকরন করা হয়। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে চলতি বছর পৌনে দুই কিলোমিটার রাস্তার এক কিলোমিটার অংশ পাকাকরণ কাজ শুরু হয়েছে। সেই রাস্তার জন্য বালি দিতে আমরা গ্রামবাসীরা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বগুড়ার নাগরনদী থেকে বালু উত্তোলনের জন্য ঠিকাদারের প্রতিনিধিকে অনুমতি প্রদান করি। সেই বালু উত্তোলন করতে গেলে গত ২৫ফেব্রুয়ারী দিবাগত মধ্যরাতে অন্য দূরবর্তি দামুয়া গ্রামের ধান ব্যবসায়ী সবুজ, রিপন, গুয়াতা গ্রামের আম্মাদ হাজীর ছেলে লিটন বাধা প্রদান করে। ওই দিন রাতে খবর পেয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) স্যার আমাদের রাস্তার পরিস্থিতি দেখে নদী থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি প্রদান করে যান। এসিল্যান্ড স্যার আসার আগে সবুজ বাহিনী ভেকুর চালককে বেদম মারপিট করে এবং ভেকু মেশিনের বাটারিসহ বিভিন্ন উপকরণ লুট করে নিয়ে যায়। এতে ভেকু মেশিনের ঠিকাদার সবুজ বাহিনীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে পালিয়ে যায়। সবুজ বাহিনী ও এসিল্যান্ড চলে যাবার পর পাশের ঘাটাগন গ্রামের অছির উদ্দিনের ছেলে দুলাল, একই গ্রামের হামিদুল, স্বপন ও লাদুর ছেলে আকরাম মোটরসাইকেল নিয়ে পুনরায় এসে ভয়ভীতি দেখালে গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে তাদের প্রতিহত করে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে এই অঞ্চলের বাসিন্দারা সবুজ বাহিনী ও ঘাটাগন গ্রামের কয়েক জনের তান্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। অবহেলিত এই গ্রামের মানুষদের চলাচলের জন্য রাস্তাটির অবশিষ্ট অংশও পাঁকাকরণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

রাস্তায় বালি সরবরাহকারী উপজেলার নারায়নপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী আকন্দের ছেলে ফারুক হোসেন জানান তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন স্থানে বালি সরবরাহের কাজ করে আসছেন। নিচ তালিমপুর গ্রামের মেঠো রাস্তার বেহাল দশা দেখে সেখানে বালি দেওয়ার চুক্তি হওয়ার পর থেকে সবুজ বাহিনী ও ঘাটাগন গ্রামের স্বপন বাহিনীকে চাঁদা না দেওয়ায় বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকী দিতে থাকে। গ্রামবাসীদের অনুমতিতে নাগরনদীর বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম থানার অংশ থেকে বালি উত্তোলন করে রাস্তায় সরবরাহের কাজ চলছিলো। তাহলে নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলার অন্য গ্রামের বিএনপি সমর্থিত সুবজ বাহিনী ও দুলাল বাহিনীকে চাঁদা দিতে হবে কেন? চাঁদা না দেওয়ার কারণে তারা মধ্যরাতে ভেকু মেশিনে হামলা করে ভাংচুর করেছে। এতে করে ভেকু মেশিনের কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ভেকুর চালককে বেদম মারপিট করে আহত করা হয়েছে। তাকেও হুমকি-ধামকী প্রদান করা হয়েছে। অথচ ম্যানেজ করে আবাদপুকুর এলাকার অন্যান্য স্থানে আ’লীগের লোকেরা ভেকু দিয়ে অবৈধ ভাবে মাটি খনন করলেও তাতে কোন সমস্যা নেই।

দামুয়া গ্রামের ধান ব্যবসায়ী সবুজ মুঠোফোনে জানান, ঐ রাতে তারা কয়েকজন পাশের গ্রাম থেকে মাহফিল শেষ করে ফিরছিলেন। পথেমধ্যে এসিল্যান্ড স্যার তাদের সহযোগিতা নিয়ে নিচ তালিমপুর গ্রামের নাগর নদীর বালু উত্তোলনের স্থানে যান। তারা আবার এসিল্যান্ড স্যারের সঙ্গে ফিরে আসেন। তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পন্ন মিথ্যে। তারা চাঁদা চাওয়া কিংবা ভেকু মেশিন ভাংচুরের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শেখ নওশাদ হাসান মুঠোফোনে জানান ঐ রাতে সবুজ ফোনে বালু উত্তোলনের বিষয়ে তথ্য প্রদান করে। ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য সবুজরা তাকে চয়েনের মোড় থেকে রিসিভ করে নিয়ে যান। গ্রামের মেঠো রাস্তার বেহাল দশা দেখে তিনি নদী থেকে বালু উত্তোলন করে রাস্তায় দেওয়ার অনুমতি প্রদান করে চলে আসেন। এসময় সবুজরা কারো কাছ থেকে চাঁদা দাবী কিংবা ভয়ভীতি প্রদান করেননি। তবে তিনি ঘটনাস্থল থেকে চলে আসার পর কি হয়েছে সেটা তার অজানা বলে জানান এই কর্মকর্তা। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুঠোফোনে জানান নিচ তালিমপুর গ্রামবাসীরা চরম ভাবে অবহেলিত হয়ে আসছে। তিনি যখন একডালা ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন তখন ওই গ্রামের অভ্যন্তরীণ রাস্তায় ইট বিছিয়ে দিয়েছেন। তাই ওই গ্রামের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটির পুরো অংশ পাঁকা হওয়া খুবই জরুরী। এমন বিষয়টি না বুঝে সবুজরা অন্যায় করেছে। তাদের দ্বারা এই ধরণের কর্মকান্ড আর কখনোই হবে না বলে অঙ্গিকার করেছে। পরবর্তিতে যদি সবুজসহ অন্যরা উপজেলার কোন স্থানে এমন অনৈতিক কর্মকান্ড করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে দলের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে এবং সেগুলো বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তসমূহ নিম্নরূপ:

১. চিহ্নিত অপরাধী, সন্ত্রাসী এবং মাদক ও চোরা কারবারিদের ধরতে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ থেকে সারাদেশে বিশেষ অপারেশন শুরু হয়েছে।

২. পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মনোবল বাড়ানো ও দক্ষতার সঙ্গে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ, প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও পাবলিক প্রসিকিউটরদের অংশগ্রহণে সারাদেশে "দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের উপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ" বিষয়ে ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৩. পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট প্রধান, উপপুলিশ কমিশনার, সেনাবাহিনীর মাঠে নিয়োজিত ব্রিগেড প্রধান ও অন্যান্য দায়িত্বশীল কর্মকর্তাবৃন্দ প্রতিটি ঘটনার বিষয়ে গৃহীত সিদ্ধান্তের বিষয়ে গণমাধ্যমে ব্রিফ করা।

৪. রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তল্লাশিচৌকি/চেকপোস্ট ও অপরাধপ্রবণ এলাকায় টহল সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সেনাবাহিনী, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও বিজিবি'র সমন্বয়ে যৌথবাহিনী টার্গেট এলাকাসমূহে জোরদার অপারেশন পরিচালনা করছে।

৫. রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে নিয়মিত প্যাট্রোলের পাশাপাশি নৌবাহিনী এবং কোস্টগার্ডের অতিরিক্ত প্যাট্রোল নিয়োজিত করা হয়েছে।

৬. ছিনতাইকারী, ডাকাত, কিশোর গ্যাং ও অন্যান্য অপরাধপ্রবণ স্থানগুলোতে কম্বাইন্ড অভিযান পরিচালনা করে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

৭. থানাভিত্তিক সন্ত্রাসীদের তালিকা হালনাগাদ করে ত্বরিৎ পদক্ষেপ নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

৮. ঢাকা শহরের আশপাশে বিশেষ করে টঙ্গী, বসিলা, কেরানীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল বাড়ানো হয়েছে।

৯. ডিএমপি'র পুলিশ সদস্য, বিজিবি, আনসার ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যদের জন্য মোটরসাইকেল ক্রয়ের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে যাতে করে তাৎক্ষণিকভাবে অলিগলিতে টহল দিয়ে অপরাধীদের ধরা সম্ভব হয়।

১০. মিথ্যা, গুজব ও প্রোপাগাণ্ডার বিপরীতে সত্য তথ্য প্রচারে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

১১. স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিপি, ডিএমপি কমিশনারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ভোর ও গভীর রাতে ঝটিকা সফরে থানা, চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম পরিদর্শন ও মনিটরিং করছেন।

১২. স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ইতোমধ্যে দেশের সকল প্রশাসনিক বিভাগে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন।

১৩. ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কার্যকর উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বিভিন্ন চেকপোস্ট এবং টহল দলের রাত্রিকালীন কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরকে নিয়মিত দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।

১৪. মামলা যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্তকরণে জেলা ও মেট্রোপলিটন পর্যায়ে মামলা মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে করে নিরপরাধ ব্যক্তিরা মামলার হয়রানি থেকে রেহাই পাচ্ছেন।

১৫. জুলাই বিপ্লবের শহিদ পরিবারের মামলাসমূহ নিয়মিতভাবে গুরুত্বের সঙ্গে মনিটরিং করা হচ্ছে যাতে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্তপূর্বক আইনের আওতায় নিয়ে আসা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যায়।

১৬. আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত প্রতিটি ঘটনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।


আরও খবর



বাংলাদেশ নিয়ে ভারত ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যে গিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানে তিনি যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং এই বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়সহ বাংলাদেশ ও ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেছেন।

এছাড়া বৈঠকে বর্তমান বিশ্বের ভূরাজনৈতিক নানা ইস্যুও ভারতীয় ও ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনায় স্থান পেয়েছে।  ৬ মার্চ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, যুক্তরাজ্যে সরকারি সফরে থাকা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর এবং ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেছেন। দুই মন্ত্রী ইউক্রেন, বাংলাদেশ, পশ্চিম এশিয়া এবং কমনওয়েলথ নিয়েও আলোচনা করেছেন বলে জয়শঙ্কর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ বলেছেন।

অবশ্য বাংলাদেশ বিষয়ে তারা ঠিক কী আলোচনা করেছেন, তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি জয়শঙ্কর।

সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া ওই পোস্টে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা ইউক্রেন ইস্যু, পশ্চিম এশিয়া, বাংলাদেশ, কমনওয়েলথসহ নানা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেছি। অনিশ্চিত ও অস্থির বিশ্বে ভারত-যুক্তরাজ্য স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির পথে অবদান রাখছে।

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত বছরের আগস্টের শুরুতে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। তারপর থেকে তিনি ভারতেই নির্বাসনে রয়েছেন। গত বছরের আগস্টে পদচ্যুত হয়ে ভারতে পালানোর পর হাসিনাকে ঘিরে কিছু জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছিল।

শোনা গিয়েছিল, হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলেও যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চেয়েছিলেন। কিন্তু যুক্তরাজ্য তাকে আশ্রয় দেয়নি। ইউরোপের এই দেশটি সেসময় বলেছিল, এই পরিস্থিতিতে কাউকে আশ্রয় দেওয়ার কোনও আইনি ব্যবস্থা তাদের নেই।

এছাড়া শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি ও দেশ ছেড়ে পলায়নের পর তার পরিবারের সদস্যসহ অনেকের বিরুদ্ধেই নানা অভিযোগ বের হয়ে আসছে এবং দুর্নীতিবিরোধী তদন্ত চলছে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে তাদের একজন ব্রিটিশ লেবার এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি শেখ হাসিনার ভাগ্নী।

বাংলাদেশে দুর্নীতির তদন্তে নাম আসার পর গত জানুয়ারি মাসে টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। মূলত টিউলিপ ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য এবং পদত্যাগের আগে তিনি ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার কাজ ছিল যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া।

অবশ্য লন্ডনে হাসিনা ঘনিষ্ঠের কাছ থেকে উপহার নেওয়া ছাড়াও; সাবেক এক বাংলাদেশি এমপির কাছ থেকে ২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের দুটি টিকিট নিয়েছিলেন টিউলিপ। এছাড়া তার বিরুদ্ধে অন্যান্য আরও আর্থিক অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে।

এসবের মধ্যেই দেশটির বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টিও টিউলিপকে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছিল।


আরও খবর

রোহিঙ্গারা মায়ানমারে ফিরতে চায়

শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫