Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় নিয়োগ না পেয়েও 'ব্যানবেইসে' শিক্ষক হিসেবে তথ্য.?

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিদ্যামাধুরী শিক্ষায়তন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ না পেলেও বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) এর ঘরে শিক্ষক হিসাবে ফারুক হোসেন নামের এক জনের নাম আপলোড করা হয়েছে। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসাবে কখনোই নিয়োগ পাননি। তবে অভিযোগ উঠেছে ব্যাকডেটে তার নিয়োগ দেখানো হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি পরিমল রায় দাবী করেন ভুলবসত তার নাম গিয়েছে। 

স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যমতে, বিদ্যামাধুরী বিদ্যায়তন বালিকা বিদ্যালয়টিয় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এমপিওভুক্ত। নবম ও দশম শ্রেণীর এমপিওভুক্ত হয়নি। এরমধ্যে গত ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখে ব্যাকডেটে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক হিসাবে ফারুক হোসেন নামের একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে তার দুইদিন পর ৯ জানুয়ারি সরেজমিনে প্রতিষ্ঠানে গেলে প্রতিষ্ঠান প্রধান ভারতী রাণী ও ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি তার স্বামী পরিমল রায় দাবী করেন তাদের প্রতিষ্ঠানে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ে কোন শিক্ষককে তারা নিয়োগ দেননি। তাদের প্রতিষ্ঠানে ওই পদ শুন্য রয়েছে। এসময় ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হাজিরা খাতায় ও ব্যানবেইজের তথ্য ফরমে ফারুক হোসেন নামের কোন শিক্ষকের তথ্য পাওয়া যায়নি। এ সময় প্রধান শিক্ষকের ম্যাসেঞ্জার থেকে প্রতিনিধির ম্যাসেঞ্জারে এ সব তথ্য পাঠাতে অনুরোধ করলে তিনি ম্যাসেঞ্জারে প্রতিনিধিকে তথ্যগুলো প্রেরণ করেন। যা প্রতিনিধির ম্যাসেঞ্জারে বিদ্যমান। এরপর প্রতিনিধির হাতে আসা গত বছরের আপলোডকৃত ব্যানবেইস-এ শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্য।  সেখানে দেখা যায় ফারুক হোসেনকে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক হিসাবে গত ২০২১ সালের ২৪ এপ্রিল তারিখে যোগদান দেখানো হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, গত ২০২১ সালের ৩১ মে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ আমিন স্বাক্ষরিত পরিপত্রের মাধ্যমে সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান) পদে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এ পদে নিয়োগের লক্ষে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষমতা দেওয়া হয় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কে। তারপর থেকে এ পদে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।

এবিষয়ে ২০২২ সালের ৭জানুয়ারি ফারুক হোসেনের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন, তিনি বিদ্যামাধুরী বিদ্যায়তন বালিকা বিদ্যালয়ে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের পদে নিয়োগ নেননি। তিনি ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক নয়। তিনি তার পূর্বে থেকে একটি এনজিওতে কর্মরত অবস্থায় রাজশাহীতে অবস্থান করছেন। বর্তমানে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটা বন্ধ থাকায় তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক ভারতী রাণী বলেন ফারুক হোসেনকে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি রেগুলার নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক নন। তাহলে ব্যানবেইজে শিক্ষক হিসাবে তার নাম কিভাবে আসলো?  সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কিভাবে তার নাম এসেছে এবিষয়ে দেখে জানাবো। তবে তিনি কবে জানাবেন তা নির্দিষ্ট করে বলতে বললে রেগে যান।

বিদ্যালয়ের সভাপতি পরিমল রায় বলেন, তাকে আরও আগে থেকে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এবার ভুলবসত হয়তো শিক্ষক হিসাবে তার নাম ব্যানবেইজে আপলোড হয়েছে। এরপর ব্যানবেইজ থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হবে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ বলেন, আমি এই উপজেলায় ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি যোগদান করি। তখন থেকে এ পর্যন্ত ওই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের কোন শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। আর ব্যানবেইসে শিক্ষক হিসাবে ফারুক হোসেনের তথ্য কিভাবে আপলোড করলো তা আমি জানিনা। তথ্য আপলোড করার দায়িত্ব প্রতিষ্ঠান প্রধানের। নিয়োগ না নিয়েও তিনি কিভাবে তার প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসাবে একজনের নাম সংযুক্ত করলেন তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।


আরও খবর



নওগাঁর হাতিরপুল ও রক্তদহ বিল হবে পর্যটন কেন্দ্র ও পাখি পল্লী

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর রাণীনগরের ঐতিহ্যবাহী হাতিরপুল এলাকাসহ শত বছরের ঐতিহ্য রক্তদহ বিলে গড়ে উঠছে পর্যটন কেন্দ্র ও পাখি পল্লী। ইতিমধ্যেই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সকল প্রাথমিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে দৃশ্যমান কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাইমেনা শারমীন। প্রকল্পটি শতভাগ বাস্তবায়ন করতে পারলে এলাকাটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভাবে আরো শক্তিশালী হবে এবং নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাইমেনা শারমীন বলেন, রাণীনগর উপজেলা একটি ঐতিহ্যবাহী উপজেলা। কিন্তু এখন পর্যন্ত উপজেলায় পর্যটনমুখি কোন খাত গড়ে তোলা হয়নি। উপজেলার শত বছরের ঐতিহ্য হচ্ছে রক্তদহ বিল। এই বিলটি বগুড়া জেলার আদমদীঘি ও নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলা এই দুই উপজেলার মধ্যে অবস্থিত। তবে বিলের সিংহ ভাগই হচ্ছে রাণীনগর উপজেলার অংশে। অপরদিকে রাণীনগর-কালীগঞ্জ সড়কটি নতুন করে নির্মাণ হওয়ায় হাতিরপুল এলাকাটি পর্যটকদের আকর্ষন করে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে রক্তদহ বিলের এই অঞ্চলটি যখন পানিতে টই টুম্বর হয়ে যায় তখন এলাকাটি আরো আকর্ষনীয় হয়ে ওঠে। বিশেষ করে নৌকা নিয়ে ভ্রমণের জন্য হাজারো পর্যটকরা এখানে ভীড় জমান। আর হরেক রকমের পাখিদের কলকাকলীতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো রক্তদহ বিল এলাকা। তাই হাতিরপুল ব্রিজ থেকে রতনডারার পাশ দিয়ে রক্তদহ বিলের মধ্যে চলাচলকারী মেঠো সড়কটি আধুনিকায়ন, সড়কের দুই পাশে পর্যটকদের জন্য বসার ব্রেঞ্চ নির্মাণ সহ আরো নানা রকমের সৌখিন ও আকর্ষনীয় স্থাপনা নির্মাণ করা এবং সারা বছর রক্তদহ বিলে আশ্রয় নেয়া হরেক রকমের পাখিদের অভয়ারন্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে পাখি পল্লী হিসেবে এলাকাটিকে গড়ে তোলার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পাখিরা যেন নিরাপদে বসবাস ও প্রজনন করতে পারে সেই জন্যে সড়ক ও বিলের পাশ দিয়ে থাকা গাছগুলোতে পাখির বাসা হিসেবে মাটির হাড়িও স্থাপন করা হবে। ইতিমধ্যে ''রক্তদহ বিল পর্যটন এলাকা ও পাখি পল্লি'' শীর্ষক প্রকল্প স্থাপনের জন্য সকল প্রাথমিক কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে। 

তিনি আরো বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাসহ উপজেলার সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে প্রথম বারের মতো উপজেলায় কোন এলাকাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এলাকাটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা গেলে স্থানীয়দের পাশাপাশি আশে পাশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষরা যান্ত্রিক এই জীবনের শত ব্যস্ততার মাঝেও একটু বিনোদন গ্রহণ করতে পারবেন। হরেক রকমের হাজার হাজার পাখির কিচির-মিচির শব্দে সকাল হবে এই অঞ্চলের মানুষদের। পরিবারের সকলকে নিয়ে গড়ে ওঠা পর্যটন কেন্দ্রে এসে পাখি দর্শনের পাশাপাশি কিছুটা সময় প্রকৃতির মাঝে কাটানোর সুযোগ পাবেন। অপরদিকে হাজার হাজার পর্যটকের আগমনের ফলে এই অঞ্চলে গড়ে উঠবে নতুন নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সৃষ্টি হবে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের। পাল্টে যাবে অর্থনৈতিক দৃশ্যপট। মেঠো সড়কের সংযোগস্থলে ছোট কালভার্ট  নির্মাণের মাধ্যমে রক্তদহ বিল পর্যটন এলাকা ও পাখি পল্লী গড়ে তোলার দৃশ্যমান কাজ শুরু করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। 


আরও খবর



জামিন পেলেন এসপি বাবুল আক্তার

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান এবং বিচারপতি আলী রেজার নেতৃত্বে হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এ ব্যাপারে, গত ১৪ আগস্ট চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে বাবুল আক্তার জামিনের আবেদন করেছিলেন, কিন্তু ১৮ আগস্ট আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করে।

মাহমুদা খানম মিতু ২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন। ওই সময় মিতুর স্বামী এসপি বাবুল আক্তার ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পর তিনি চট্টগ্রামে ফিরে পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয়দের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তবে তদন্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) জানতে পারে, মিতু হত্যায় বাবুল আক্তারের নিজেই সম্পৃক্ততা রয়েছে। ২০২১ সালের ১২ মে পিবিআই চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর একই দিন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে দ্বিতীয় মামলা দায়ের করেন। এরপর পিবিআই বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করে এবং তিনি কারাগারে রয়েছেন।

এরপর, ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর প্রথম মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন বাতিল করে নারাজির আবেদন করেন বাবুলের আইনজীবী। আদালত ওই বছরের ৩ নভেম্বর নারাজি ও পিবিআইয়ের প্রতিবেদন খারিজ করে মামলাটির অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। ২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে, ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথম মামলার অধিকতর তদন্ত শেষে বাবুলসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।

গত বছরের ১৩ মার্চ আদালত এই মামলায় বাবুল আক্তারসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।


আরও খবর

জয় বাংলা' এখন থেকে জাতীয় স্লোগান নয়

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪




প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাক্ষাৎ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশিদের একটি প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধি দলে ৩০ জন সদস্য ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তারা বৈঠকে অংশ নেন। তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, দুবাই, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া এবং গ্রিসে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতিনিধি ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রতি পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস এবং তাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন দাবির বিষয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করেন প্রবাসীরা। লিখিতভাবে তাদের বক্তব্য এবং দাবিগুলো প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেন তারা।

এ সময় প্রতিনিধিদলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আপনাদের সঙ্গে আলোচনার সূত্রপাত হলো। সময়ের স্বল্পতায় অনেক কথা বলা হলো না, ছোট করে শুনলাম। লিখিত পত্র থেকে বিস্তারিত জানব। এগুলো নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা হবে।

তিনি যুক্তরাজ্যসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ সম্পর্কে সত্য তথ্য তুলে ধরতে প্রতিনিধিদলের প্রতি আহ্বান জানান।


আরও খবর



একটা কমিটি দিয়েই সংবিধান সংস্কার নয়

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ নভেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ছাত্ররা রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলছে। তারা বলছে সংবিধানও সংস্কার করতে হবে। সংবিধান পরিবর্তন কিভাবে করবেন? একটা সংস্কার কমিটি দিয়েই সংবিধান সংস্কার হবে না। ওটা করতে গেলে সাংবিধানিক কিংবা সংসদের প্রতিনিধি লাগবে। সেটার জন্য ধৈর্য ধরতে হবে, বলে মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, সবচেয়ে প্রধান যে জিনিসটা দরকার, সেটি হলো নির্বাচন। একদিকে যেমন পরিবর্তনের জন্য জীবন দিয়েছে, তেমনি নির্বাচনের জন্য মানুষ প্রাণ দিয়েছে। একই সঙ্গে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। যার জন্য মানুষ প্রাণ দিয়েছে। হঠাৎ করেই কোনো কিছু পরিবর্তন করে ফেললে হবে না। সেটা কতটা টেকসই সেই চিন্তাও করতে হবে। তার জন্য গণতান্ত্রিক পথে যেতে হবে। তারা যদি বলত বিপ্লবী সরকার গঠন করেছি, তাহলে বিপ্লবী সরকার করত। আমাদের কিছু বলার ছিল না। এটা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) বিপ্লবী সরকার নয়, সাংবিধানিক সরকার। আপিল বিভাগ থেকে এই সরকারের বৈধতা নেওয়া হয়েছে। ওটাকে ধরে রেখেই আমাদের এগোতে হবে।

শুক্রবার রাতে জিলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা বিএনপির আয়োজিত ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী দীর্ঘ আন্দোলন : আজকের প্রেক্ষিত নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের সামনে বড় ক্রান্তিকাল। ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা ফ্যাসিস্টকে বিদায় দিয়েছি। আমাদেরকে ঐক্য ধরে রাখতে হবে। আমাদেরকে সঠিকভাবে রূপান্তর ঘটাতে হবে। যে রূপান্তরের মধ্যদিয়ে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, চেতনাকে ফিরে এনে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক, মানবিক মূল্যবোধ, কল্যাণকর দেশ গড়তে পারি। এটাই আমাদের সামনে লক্ষ্য।

সভায় বিগত দেড় দশকে বিএনপির আন্দোলন সংগ্রাম, হামলা, মামলার কথা তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের গোলটা দিয়েছে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান। এটা অস্বীকার করা যাবে না। এজন্য তাদেরকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।


আরও খবর



সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকারকে কঠোর হওয়ার আহ্বান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মাইজভান্ডার দরবার শরীফের পীর ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) চেয়ারম্যান হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী বলেছেন, ইসলাম মানুষকে ইনসানে কামেল বা পরিপূর্ণ মানুষ হওয়ার শিক্ষা দেয়। তিনি বলেন, সচ্চরিত্র তখনই অর্জিত হয়, যখন ক্রোধশক্তি ও খায়েশ শক্তিকে সমতার পর্যায়ে রাখা হয়। কেননা, কঠোরতা কখনও ক্রোধ থেকে এবং কখনও তীব্র লালসা থেকে উৎপন্ন হয়, কিন্তু নম্রতা সচ্চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। সে ব্যক্তি সহনশীল নয়, যে জুলুমের সময় চুপ থাকে, এরপর সক্ষম হলে প্রতিশোধ নেয়; বরং সহনশীল তাকেই বলা হয়, যে জুলুমের সময় সহ্য করে এবং সক্ষম হলে ক্ষমা করে। তিনি আরো বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন মহানবী (সা.) বিজয়ীবেশে মক্কায় প্রবেশ করলে কুরাইশদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তিনি বিজিত শত্রুদের প্রতি কোনো ধরনের দুর্ব্যবহার করেননি। হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী বলেন, প্রকৃত মুসলমান ওই ব্যক্তি যার মুখ ও হাতের অনিষ্ট থেকে লোকজন নিরাপদ থাকে এবং যার নির্যাতন থেকে মানুষ নিরাপদ তাকে মুমিন বলে। বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় বসবাসরত আদিম পৌত্তলিক, ইহুদি এবং নবদীক্ষিত মুসলিম তিন সম্প্রদায়ের সমন্বয়ে, দল-মত নির্বিশেষে মদিনা সনদের মাধ্যমে একটি ইসলামি প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। যেখানে সামাজিক নিরাপত্তা, পারস্পরিক সম্পর্ক, মদিনার নিরাপত্তার প্রশ্ন এবং মদিনার অর্থনীতি সচল রাখার বিষয়ে সবাই ঐকমত্যে পৌঁছেছিল। সে সময় কারও কোনো অধিকার বিন্দুমাত্র ভূলুণ্ঠিত হয়নি। সব নাগরিক সমান অধিকার পেয়েছে। রাসুল (সা.)-এর বলিষ্ঠ পদক্ষেপের ফলে তৎকালীন সমাজের গোত্রগুলোর অন্তর্কলহ, রক্তক্ষয়ী দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের অবসানসহ নৈরাজ্যমুক্ত, মানবিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বস্তুত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনুপস্থিতিতে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হয়। সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ সংঘাতের সূত্রপাত ঘটায়, গৃহযুদ্ধেও রূপ নেয়। তিনও দেশের এই ক্লান্তিকালে মব জাস্টিস, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এ সমস্ত ধ্বংসাত্মক বিশৃঙ্খল পন্থা পরিহার করার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। একই সাথে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টিকারী সম্প্রীতি বিনষ্টকারী উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি কঠোর হওয়ারও আহ্বান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী। 


২রা ডিসেম্বর (সোমবার) রাতে নরসিংদীর বেলাব উপজেলার নারায়ণপুর নামা বাজার সানিকুল ইসলাম সানির বালুর মাঠে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরাম বেলাব উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএসপি চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী। বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোঃ ধন মিয়া প্রধান ও জনাব মোঃ মকবুল হোসেন মেম্বারের সভাপতিত্বে মাহফিলে উদ্বোধক ছিলেন নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ কাউসার কাজল (এম.এ)। কোরআন সুন্নাহর আলোকে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন, রাজধানী ঢাকার মিরপুর-১ মসজিদ-এ গাউছুল আজমের খতিব মাওলানা মুফতি মাকসুদুর রহমান, মইনীয়া যুব ফোরাম কেন্দ্রীয় পরিষদের বিভাগীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক, হাফেজ মাওলানা কেরামত আলী, খাদেম মাওলানা হাফেজ খাজা বাহাউদ্দীন মাইজভান্ডারীসহ আরো অনেকেই। এসময় বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


পরে সালাতু সালাম শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি, কল্যাণ ও নিপিড়ীত মানবতার মুক্তি কামনায় আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন, মাইজভান্ডার দরবার শরীফের বর্তমান ইমাম ও বিএসপি চেয়ারম্যান হযরত শাহসূফী ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী।


আরও খবর

রমেশ শীল সুন্নিয়তের এক মহান কবি

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

সুফীবাদের মূলনীতি ও স্তর সমূহ

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪