Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় ননএমপিও স্কুলের নামে পরীক্ষা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৩৪০জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর মান্দার চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে তার নিজ বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষার্থীকে না জানিয়ে "চকচম্পক ছোট বালিকা বিদ্যালয়" নামের একটি নন এমপিও বিদ্যালয়ের নামে পরীক্ষা দেওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ঐ প্রধান শিক্ষকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয়রা। তারা অভিযোগ করে বলেন, নন এমপিওভুক্ত ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর কোঠা পূরণ করতে এই অনিয়ম করছেন তারা।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলেন, চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয় এলাকার মধ্যে একটি সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এজন্য এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী বেশি ভর্তি হয়। ২০২৩ সালে ঐ বিদ্যালয়ের ১১৭ জন পরীক্ষার্থী। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস আলী তার প্রতিষ্ঠান থেকে ১৩/১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত (নন এমপিওভুক্ত) চকচম্পক ছোট বালিকা বিদ্যালয়ের নামে শিক্ষার্থীদের না জানিয়ে রেজিষ্ট্রেশন ও ফরম পূরণ করেন। তিনি বছরের পর বছর ধরে এই অনিয়ম করে যাচ্ছেন বলে ও জানান তারা। অনুসন্ধানে দেখা যায়  চলতি ২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ঐ বিদ্যালয় থেকে ১১৭ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু ঐ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দিচ্ছেন ১০৪ জন বাকি ১৩ জন শিক্ষার্থীদেরকে না জানিয়ে ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস আলী চকচম্পক ছোট বালিকা বিদ্যালয়ের নামে ফরম করিয়ে পরীক্ষা দেওয়াচ্ছেন। সেই ১৩ জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৫ জন বিজ্ঞান বিভাগের আর ৮ জন শিক্ষার্থী মানবিক বিভাগের। বিজ্ঞান বিভাগের ৫ জন শিক্ষার্থীরা হলেন, মরিয়ম আক্তার, উর্মিলা, সীমা খাতুন, হিরা এবং সাহরিয়া আর মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা হলেন, হাফিজা আক্তার, ইসরাত জাহান ইভা, সুমি আক্তার, তাসমিন, রাজিয়া সুলতানা রিয়া, রাজ্জুমা এবং নাহিদা আক্তার। এর মধ্যে হাফিজা আক্তার নামের এক পরীক্ষার্থী অপহরণের ঘটনায় ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস আলীসহ ৭ জনের নামে মামলা দায়ের করায় তাকে পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেওয়া হয়নি। এজন্য হাফিজা আক্তারের পরীক্ষা দেওয়া হয়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী কয়েকজন পরীক্ষার্থী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। অত্র বিদ্যালয়ে আমরা ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত নিয়মিত ভাবে লেখাপড়া করেছি। করোনাকালীন সময়ে জিএসসি পরীক্ষায় আমরা সকলে অটোপাস করি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাউকে কোন সনদপত্র দেয়া হয়নি। এবারের ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিদ্যালয় থেকে ১১৭ জন পরীক্ষার্থী ছিলাম। ঐ স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর থেকে আমাদের ১৩ জন শিক্ষার্থীদের কাউকে উপবৃত্তির টাকাও দেয়া হয়নি। আমার মত আরো ১৩ জন পরীক্ষার্থীকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অন্য স্কুলে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। চকচম্পক ছোট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আমাদের ১৩ জন ছাত্রীর নামে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে সেসব বিষয়ে আমরা কেউ জানতাম না। পরীক্ষার আগের দিন প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিতে গিয়ে আমরা জানতে পারি চকচম্পক ছোট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী হিসেবে গোটগাড়ি শহীদ মামুন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রের ১১২ নং রুমে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে।আর বাকি ১০৪ জন এই স্কুলের শিক্ষার্থী হিসেবে মান্দার প্রসাদপুরে “মান্দা থানা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ" কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে।

জানতে চাইলে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইদ্রিস আলী বলেন, তারা জেএসসি পরীক্ষাও ঐ প্রতিষ্ঠান থেকে দিয়েছে। ঐ পরীক্ষার্থীরা কোন স্কুলে ভর্তি হয়েছে এবং ক্লাস করেছে জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে সাক্ষাত করতে বলেন।

চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষার্থী আপনার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষা দিচ্ছে কি না সেটা জানতে চাইলে সত্যতা স্বীকার করে চকচম্পক ছোট বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিদুল ইসলাম বলেন, শহরের প্রতিষ্ঠানে অনেকে লেখাপড়া করে গ্রামের প্রতিষ্ঠানের নামে পরীক্ষা দিচ্ছে। তাতে সমস্যা কি?

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ বলেন, এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা। খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখছি।

জানতে চাইলে নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, এব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। স্বীকৃতি প্রাপ্ত এক স্কুলের শিক্ষার্থীকে অন্য কোনো স্কুলের শিক্ষার্থী হিসাবে দেখিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার কোন নিয়ম নেই। এরপরেও যদি এরকম ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে 


আরও খবর



মোখা’ থেকে ফসল রক্ষায় ১০ পরামর্শ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মোখা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ১২ মে অতি প্রবল আকার ধারণ করবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ঘূর্ণিঝড় মোখা থেকে ধান ও অন্যান্য ফসল রক্ষায় বিশেষ কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাংলাদেশ কৃষি আবহাওয়া তথ্য সেবা (বামিস)।

আগামী ১৪ মে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ঝোড়ো হাওয়া এবং হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতির হাত থেকে ফসল রক্ষার জন্য জরুরি কৃষি আবহাওয়া বিষয়ক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উপকূলীয় এলাকা বরিশাল, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারের জন্য বিশেষ এই পরামর্শের কথা বলা হয়।

১. বোরো ধান ৮০ শতাংশ পরিপক্ব হয়ে গেলে দ্রুত সংগ্রহ করে ফেলুন।

২. সংগ্রহ করা ফসল পরিবহন না করা গেলে মাঠে গাদা করে পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে রাখুন যেন ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ক্ষতি না হয়।

৩. দ্রুত পরিপক্ব সবজি ও ফল সংগ্রহ করে ফেলুন।

৪. সেচ, সার ও বালাইনাশক প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।

৫. দণ্ডায়মান ফসলকে পানির স্রোত থেকে রক্ষার জন্য বোরো ধানের জমির আইল উঁচু করে দিন।

৬. নিষ্কাশন নালা পরিষ্কার রাখুন যেন জমিতে পানি জমে না থাকতে পারে।

৭. খামারজাত সব পণ্য নিরাপদ স্থানে রাখুন।

৮. আখের ঝাড় বেঁধে দিন, কলা ও অন্যান্য উদ্যানতাত্ত্বিক ফসল এবং সবজির জন্য খুঁটির ব্যবস্থা করুন।

৯. পুকুরের চারপাশ জাল দিয়ে ঘিরে দিন যেন ভারী বৃষ্টিপাতের পানিতে মাছ ভেসে না যায়।

১০. গবাদি পশু ও হাঁসমুরগি শুকনো ও নিরাপদ জায়গায় রাখুন।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




মেট্রোরেলের যাত্রীসেবায় ভ্যাট মওকুফ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৫২জন দেখেছেন

Image

মেট্রোরেলের যাত্রীসেবার ওপর মূল্য সংযাজন কর (ভ্যাট) অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এ অব্যাহতি কার্যকর থাকবে।

সম্প্রতি রাজস্ব বোর্ডের এক বিশেষ আদেশে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

আদেশে বলা হয়, মেট্রোরেল বাংলাদেশের প্রথম সর্বাধুনিক গণপরিবহন। মেট্রোরেল যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি কর্মঘণ্টা সাশ্রয়ে বিরাট ভূমিকা পালন করবে। মেট্রোরেল চালু হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে এ জাতীয় গণপরিবহনকে অধিক জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে এ গণপরিবহনে যাতায়াত ব্যয় সাশ্রয়ী করা প্রয়োজন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ (২০১২ সালের ৪৭ নং আইন) এর ধারা ১২৬ এর উপ-ধারা (৩)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মেট্রোরেল সেবার ওপর আরোপণীয় মূল্য সংযোজন কর ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অব্যাহতি প্রদান করা হলো। এ আদেশ ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর হতে কার্যকর হয়েছে মর্মে গণ্য হবে।

গত মার্চে যাত্রীদের কোনো শ্রেণিবিন্যাস না থাকায় মেট্রোরেলের যাত্রীসেবার ওপর কোনো মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট প্রযোজ্য নয় উল্লেখ করে ভ্যাট ছাড় চায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। এমন অবস্থায় ডিএমটিসিএল থেকে ভ্যাট আদায়ে রাজস্ব বোর্ডের দিকনির্দেশনা চায় কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা (দক্ষিণ)।

এনবিআরের আইন অনুযায়ী তাপানুকূল (এসি) ও নন-এসি রেলওয়ে সার্ভিসের ওপর ১৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট প্রযোজ্য রয়েছে। তবে ডিএমটিসিএলের দাবি ছিল মেট্রোরেল এবং মেট্রোরেলের যাত্রীদের কোনো শ্রেণিবিন্যাস না থাকায় যাত্রীসেবার ওপর কোনো ধরনের মূসক প্রযোজ্য হবে না।


আরও খবর



বীরভূমের মসজিদে ফলেছে দুষ্প্রাপ্য "মিয়াজাকি" আম

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৪২জন দেখেছেন

Image

ভাবলে অবাক হবেন, কিন্তু বাস্তবতা হল ১ কেজি আমের দাম আড়াই থেকে ৩ লক্ষ রুপি। বিশ্বের মূল্যবান জাপানি 'মিয়াজাকি' আমের দেখা মিলল পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার দুবরাজপুরের এক মসজিদে। সম্পূর্ণ সতেজ একটি আপেলের মত দেখতে এই আম৷ ইতিমধ্যে এই আম দেখতে ওই মসজিদে ভিড় জমাচ্ছেন মানুষজন৷ 

শুক্রবার জুমার নামাজের পর এই আম নিলামে চড়ালো মসজিদ কমিটি৷ নিলামের সেই অর্থ ব্যবহার করা হবে মসজিদের উন্নয়ন কাজে। 

জাপানের কিউশু প্রদেশের মিয়াজাকি শহরকে 'king of fruit' বলা হয় ৷ সেই শহরেই একটি বিশেষ আমের ফলন হয়৷ গোটা বিশ্বে দামি আমগুলির মধ্যে অন্যতম এই 'মিয়াজাকি' আম- যা অনেকটা আপেলের মত দেখতে। শহরের নামানুসারে এই আমের নাম 'মিয়াজাকি'। এই প্রজাতির এক একটি আম ৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রাম ওজনের হয়৷ মসৃণ ত্বক ও লাল রঙের সৌন্দর্য্যের জন্য সূর্যদয়ের দেশে এই আমের অপর একটি নাম 'egg of sun'। আমের আঁটি ছোট হয়, শ্বাস বেশি হয়। তবে সব জলবায়ুতে এই আমের ফলন হয় না৷ দুষ্প্রাপ্য বলে প্রতি কেজি আমের দাম ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় আড়াই থেকে ৩ লক্ষ রুপি৷ ভারতের মতো বাজারে প্রতি পিস আমের দাম ১৫ হাজার রুপি হয়ে থাকে। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বেটা-ক্যারোটিন, ফলিক অ্যাসিড। এই আমের প্রচুর গুনাগুনও আছে। 

সেই দুষ্প্রাপ্য আমের দেখা মিলল বীরভূমের দুবরাজপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত ইসলামপুর বনকাঠি পাড়ার গওসিয়া মসজিদে। ২০১৯ সালে এই মসজিদটি তৈরি করা হয়। এরপরেই প্রায় তিন বছর আগে স্থানীয় এক যুবক সৈয়দ নিজামুদ্দিন ওরফে সোনা এই গাছের চারা এনে মসজিদে লাগিয়েছিলেন৷ তবে নিজের হাতে ওই আমার চারা গাছ লাগানোর কয়েকদিন পরেই তিনি মারা যান। যদিও কোথা থেকে এই আমের চারা এই মসজিদে লাগানো হয়েছিল, তা কারো জানা নেই। সোনার সেই লাগানো গাছে চলতি বছর আমার ফলন হয়৷ যেহেতু আর পাঁচটি সাধারণ আমের থেকে এই আম একটু ভিন্ন দেখতে, তাই সহজেই সেটি সকলের নজরে আসে৷ প্রায় ৮ ফুট উচ্চতার এই গাছটিতে ১১ টি আম ধরে। এরমধ্যে ঝড়ে একটি আম পড়ে যায়। সেক্ষেত্রে ১০টা আমের মধ্যে এদিন একটি আম নিলাম করা হলো। 

বিভিন্ন সূত্র মারফত মসজিদের লোকজন জানতে পারেন এই আমের মূল্য, গুণগত মান, দুষ্প্রাপ্যতার কথা৷ আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিশ্বে দামি আম দেখতে মসজিদে ভিড় জমাতে থাকেন মানুষজন। মোবাইলের লেন্স বন্দি করেছেন আমগুলি৷ 

এদিন, এই গাছটি থেকে একটি মাত্র আম পাড়া হয় এবং সেটিকে বিক্রির জন্য দরপত্র (নিলাম) ডাকে মসজিদ কমিটি৷ তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই আম বিক্রির অর্থ মসজিদের উন্নয়নের স্বার্থে ব্যবহার করা হবে৷ আগামী বছরগুলিতেও এই গাছটিকে পরিচর্যা করে আম বিক্রি করে এই প্রক্রিয়া চলবে বলে জানান তারা। 

মসজিদের ইমাম মহম্মদ রফিউদ্দিন খান বলেন, 'প্রথমে আমরা জানতাম না যে এটা এত দামি আম গাছ৷ স্যোসাল সাইট দেখে জানতে পারি এটা 'মিয়াজাকি' আম। এটি সহজে পাওয়া যায় না, খুব দামি৷ তাই আমরা ঠিক করি একটা আম নিলাম করা হবে। পরবর্তীতে বাকি আমগুলিকে বিক্রি করার জন্য দরপত্র ডাকা হবে।' 

সৈয়দ মোতায়ার হোসেন নামে মসজিদ কমিটির এক সদস্য জানান 'তিন বছর আগে আমার ভাই এই গাছটি এনে লাগিয়েছিলেন। তিনি এখন নেই, মারা গেছেন। মোবাইলের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে এটি একটি দুষ্প্রাপ্য আম গাছ। প্রথমে সবুজ, পরে বেগুনি, শেষে পেকে লাল রঙের হয়েছে আমগুলি। অন্য আমের চেয়ে আলাদা দেখতে৷' 

দুষ্প্রাপ্য এই গাছটিকে সুন্দর রাখতে ও এর পরিচর্যা করতে স্থানীয় নার্সারী কিংবা গাছ বিশারদদের সাথে আলোচনা করা হবে বলে জানান মোতাহার।


আরও খবর



চীন ও রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে চায় জি-৭

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

সাতটি শিল্পোন্নত দেশ শনিবার ক্রমবর্ধমান সামরিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা হুমকির জন্য চীনকে দায়ী করেছে এবং এর নিন্দা করেছে। একই সময়ে তারা রাশিয়াকে তার সামরিক আগ্রাসন বন্ধ করতে এবং ইউক্রেন থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিতে বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

হিরোশিমায় জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনের এক বিবৃতিতে, চীনের 'অর্থনৈতিক বল প্রয়োগ', দক্ষিণ চীন সাগরের সামরিকীকরণ এবং কূটনীতিকদের নিরাপত্তাকে অবমূল্যায়ন ও তাদের কাজে হস্তক্ষেপ, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের নিষ্ঠা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে অবমূল্যায়নের সমালোচনা করা হয়েছে। খবর ভয়েস অব আমেরিকার

এছাড়া 'জি-সেভেন রাশিয়ার অবৈধ আগ্রাসনের মুখে, যতদিন প্রয়োজন হবে ততদিন ইউক্রেনকে সমর্থন করার' প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই গ্রুপ বলেছে যে তাদের উদ্যোগগুলো চীনের ক্ষতি করার জন্য বা তার অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং উন্নয়নকে বাধা দেয়ার জন্য নয়। জি-সেভেন বেইজিংকে জলবায়ু, ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ঋণ পুনর্গঠন, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার বিষয়ে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা বিচ্ছিন্ন হচ্ছি না বা অন্তর্মুখি হয়ে যাচ্ছি না। একই সঙ্গে, আমরা স্বীকার করি যে স্থিতিশীলতার জন্য অর্থনীতিকে ঝুঁকিমুক্ত ও বৈচিত্র্যময় করা প্রয়োজন। আমরা আমাদের নিজস্ব অর্থনৈতিকে প্রানবন্ত করতে, আমাদের অর্থনীতিতে এককভাবে এবং সম্মিলিতভাবে পদক্ষেপ নেবো। আমরা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ শৃঙ্খলে অত্যধিক নির্ভরশীলতা হ্রাস করবো।

জি-সেভেন পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরের পরিস্থিতি নিয়ে পুনরায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং এটি ইউক্রেনে 'সার্বিক, ন্যায্য এবং স্থায়ী শান্তি'কে সমর্থন করতে বেইজিংকে উৎসাহিত করে।

যুক্তরাজ্যের কর্নওয়ালে ২০২১ সালের জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনের পর এই বিবৃতিকে বেইজিংয়ের সবচেয়ে কঠোর সমালোচনা হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। সেই সম্মেলনে চীনের কথা প্রথমবারের মতো উল্লেখ করা হয়েছিলে। তুলনামূলকভাবে মৃদু ভাষায় এক 'শান্তিপূর্ণ সমাধানের' আহ্বান এবং তাইওয়ানে 'স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের একতরফা প্রচেষ্টার' বিরোধিতা করা হয় বিবৃতিতে।

তবে জি-সেভেন সদস্যদের মধ্যে একটি সমঝোতার ভাবও দেখা গেছে; কেউ কেউ এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আলোচনায় অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।এদের মধ্যে রয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

ম্যাক্রোঁ এপ্রিলে বলেছিলেন, এটা ভাবা সবচেয়ে খারাপ হবে যে আমরা ইউরোপীয়রা এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্ডা এবং চীনের অতি-প্রতিক্রিয়ার অনুগামী হবো।

এর আগে শনিবার জি-সেভেন নেতারা 'অর্থনৈতিক বলপ্রয়োগ সংক্রান্ত সমন্বয় প্ল্যাটফর্ম' চালু করেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে শাস্তিমূলক বাণিজ্য অনুশীলনের মোকাবেলার জন্য এটি একটি নতুন পরিকাঠামো । নির্দিষ্টভাবে কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করলেও এই পরিকাঠামোটি চীনকে লক্ষ্য করেই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, তা অনুধাবন করা যায়।

এক বিবৃতিতে, জি-সেভেন বলেছে যে প্লাটফর্মটি এই গ্রুপের 'সম্মিলিত মূল্যায়ন, প্রস্তুতি, প্রতিরোধ এবং প্রতিক্রিয়া' সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। আর 'সমন্বিত প্রতিক্রিয়া সন্ধান, প্রতিরোধ এবং যেখানে প্রয়োজন সেখানে অর্থনৈতিক চাপ মোকাবেলা' করতে ব্যবহৃত হবে নিজ নিজ আইনি ব্যবস্থা অনুসারে।

বেইজিং থেকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন শুক্রবার এই উদ্যোগের বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলন যদি অর্থনৈতিক বলপ্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করতে চায়, তবে যুক্তরাষ্ট্র অন্য ছয় সদস্যকে যেভাবে বল প্রয়োগ করছে তা আগে আলোচিত হতে হবে।


আরও খবর



নওগাঁর পতিসরে রবীন্দ্র জয়ন্তীতে অ-ব্যাস্থাপনায় আমি লজ্জিত...জেলা প্রশাসক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১২৮জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর পতিসরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২ তম জন্মবার্ষিকীর উৎসব এর উদ্বোধনী দিনে অব্যবস্থাপনার কথা স্বীকার করেছেন নওগাঁ জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান। নানা নাটকীয়তার পর তিনি এ জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় সভায় তিনি অ-ব্যবস্থপনার কথা স্বীকার করেন। আগামী দিনে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তার প্রতিশ্রুতি দেন।

জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময়ে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব এর সভাপতি কায়েস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শফিক ছোটন, নওগাঁ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল নয়নসহ বিভিন্ন উপজেলা প্রেস ক্লাব ও উপজেলার সাংবাদিক সংগঠন এর নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন। এসময়  জেলার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তারা পতিসরের সাংবাদিকদের অ-সস্মানিত করার তীব্র প্রতিবাদ করে জেলা প্রশাসকের কাছে ব্যখ্যা চান। 

রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের অ-সম্মান করার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আয়োজনের প্রথম দিনে সাংবাদিকদের বসার কোন জায়গা না থাকায় তিনি বিব্রত ও লজ্জিত হয়েছেন। এ জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। আগামীতে কোন আয়োজনে যাতে এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় তার প্রতিশ্রুতি দেন জেলা প্রশাসক।

প্রসঙ্গত, পতিসরে এবার বিশ্বকবির জন্মোৎসবের মূল আয়োজন ছিলো। ৩ দিনের অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে অব্যবস্থাপনার কারনে আগত সাংবাদিকরা অসম্মানিত হোন। এ ঘটনায় নওগাঁ জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার সাংবাদিকরা প্রতিকার চেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।

এসব ঘটনার জন্য নওগাঁ জেলা প্রশাসনকে দায়ি করেন তারা। ঘটনার সুষ্ঠ সম্মান জনক সমাধানের দাবি জানিয়ে আন্দোলন কর্মসূচী দেয় নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব। তাদের আন্দোলনে একাত্বতা প্রকাশ করে সাংবাদিকদের অন্যান্য সংগঠন। সেই ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কাছে একটি স্মারকলিপি দেন। কয়েক দিন নাটকীয়তার পর জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের নিয়ে মত বিনিময় সভায় বসেন।

এদিকে জেলা প্রশাসকের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকরা নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবে জড়ো হোন। সেখানে বক্তারা আগামী দিনে দেশ ও মানুষের কল্যানে কাজ করার পাশাপাশি নিজেদের সুরক্ষা ও অধিকার আদায়ে একাত্ন থাকার প্রত্যায় ব্যক্ত করেন।


আরও খবর