শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :
নওগাঁয় পাতকুয়ার পানি নিয়ে ক্ষুদ্র চাষিরা চাষ করতেন মৌসুমী ফসল, বিলিং সিস্টেম চালু করায় চাষীদের মাঝে ক্ষোভ।
তৎকালীন কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর আমলে নওগাঁর বরেন্দ্র এলাকা খ্যাত সাপাহারের বরেন্দ্র ভুমিতে পাতকুয়া খননের মাধ্যমে স্বল্প সেচে ফসল উৎপাদন প্রকল্পের অধিনে স্থাপিত পাতকুয়াগুলির কিছু কিছু কুয়া সচল থাকলেও অধিকাংশ কুয়া অচল হয়ে পড়ে রয়েছে। সাপাহার উপজেলা বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অফিস কে জানিয়েও কোন কাজ হয়নি বলে বেশ কিছু কুয়ার তত্বাবোধায়করা জানিয়েছেন।
গত ২০১৭-১৮ সালের দিকে স্থাপিত সচল কুয়ার পানি দিয়ে এলাকার বেশ কিছু দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ (কৃষকরা) কুয়ার আসে পাশে সামান্য জমিতে রসুন, পিয়াজ, মরিচ ও শাক সব্জী চাষাবাদ করে আসছিল। হঠাৎ করে গত নভেম্বর মাস হতে সচল ওইসব কুয়াগুলিতে উপজেলা বরেন্দ্র অফিস হতে বিলিং সিস্টেমে একটি করে পানির মিটার স্থাপন করে মাসিক বিল আদায় করায় ক্ষুদ্র ও দরিদ্র ওই সব সব্জী চাষীরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের কথা প্রথমে প্রকল্প স্থাপনের সময় সোলার সিস্টেম এসব কুয়ার পানি ব্যবহারে কোন পয়সা দিতে হবেনা বলে জানানো হলেও হঠাৎ করে এখন পানির বিল করায় ক্ষুদ্র সব্জী চাষীরা বিপাকে পড়েছেন।
ক্ষুদ্র সবজি চাষীদের কথা একটি কুয়ার অধিনে কয়েক জন করে চাষী থাকায় প্রতমত প্রত্যেকের নিকট হতে পানির বিল তুলতে ঝামেলা বা গোল মালের সৃষ্টি হতে পারে। তাই তারা সোলার চালিত এসব কুয়া হতে পানির বিল প্রত্যাহার করে পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে চান। তা না হলে হয়তো ক্ষুদ্র এসব সব্জী চাষীরা সব্জী চাষে তাদের আগহ্র হারাবে বলেও তারা মনে করছেন।
এ বিষয়ে সাপাহার উপজেলা করেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পরে ওই প্রকল্পের ফান্ডে কোন অর্থ জমা নেই। কোথাও কোন পাতকুয়া বিকল হয়ে গেলে সেটি পুনরায় মেরামত করার উপায় থাকেনা। তাই সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পর্যায় ক্রমে প্রতিটি পাতকুয়াকে বিলের আওতায় আনা হবে এবং কৃষকের পানির বিলের আদায়কৃত ওই অর্থ দিয়ে বিকল হওয়া কুয়াগুলি সচল করা হবে, সাপাহারে স্থাপিত প্রায় ১২০টি পাতকুয়া হতে ইতো মধ্যে বেশ কিছু কুয়া হতে পানির বিল আদায়ও করা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।