Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় পল্লী চিকিৎসক কর্তৃক অপারেশন করার পর রোগীর মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ জেলা সদর হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রেফার্ট করা রোগী সাহেদ আলীকে অপারেশন করার অভিযোগ উঠেছে পল্লী চিকিৎসক সুমন কুমার মন্ডলের বিরুদ্ধে। তার অপারেশনের পর ক্ষতস্থানের মাংস পচে খুলে পরার পর সাহেদ আলীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। গত বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯ টার সময় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত সাহেদ আলী নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার বাগধানা (ঘোলাগাড়ী) গ্রামের মৃত কাফির উদ্দিনের ছেলে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, নিহত সাহেদ আলী তার কোমরে ফোঁড়া বের হওয়ার পর নওগাঁ জেলা সদর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়। সেখানে চিকিৎসা নেওয়ার এক পর্যায়ে গত ২ অক্টোবর নওগাঁ সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রেফার্ট করা হয় সাহেদ আলীকে। রাজশাহী (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে তার পরিবারের লোকজন সাহেদ আলীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ ঘটনাটি তাদের পারিবারিক পল্লী (প্রাথমিক) চিকিৎসক সুমন কুমার মন্ডলকে জানালে সে রাজশাহীতে নিয়ে যাওয়া লাগবে না জানিয়ে রেফার্ট করার দিনই সাহেদ আলীর ফোঁড়া অপারেশন করেন। এরপর ৪দিন ধরে প্রতিদিন ড্রেসিং করে দেয়। এক পর্যায়ে অপারেশন করা স্থানের মাংস পচে খুলে পড়তে লাগলে রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে গত মঙ্গলবার রোগীকে দ্রুত রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারের লোকজন ও স্বজনরা তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে দেন। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯টায় সে মারা যায়।

এ বিষয়ে নিহত সাহেদ আলীর ছেলে ফরিদ বলেন, আমরা গরিব মানুষ। আমার বাবা গেরস্তের বাড়িতে দিন মজুরী কাজ করতেন, আমিও পেটের দায়ে ঢাকা শহরে গিয়ে রিকশা চালায়। আমার বাবা ফোঁড়া জনিত কারনে চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তার আমার বাবাকে রাজশাহী হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দেন। বাবাকে রাজশাহীতে নেওয়ার পস্তুতিও চলছিল। সেই ফাঁকে আমাদের পরিবারের গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিতে বাবাকে তার চেম্বারে (সরস্বতীপুর কদমতলীর মোড়ে) নিলে গ্রাম্য ডাক্তার আমার পরিবারের লোকজনকে মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে তিনি চিকিৎসার নামে আমার বাবাকে সেখানে অপারেশন করেন। গ্রাম্য ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার কারনে-ই আমার বাবার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার ব্যাপারে মুঠোফেনে জানতে চাইলে অভিযুক্ত গ্রাম্য চিকিৎসক সুমন কুমার মন্ডল চিকিৎসার কথা শিকার করে বলেন, আমি ত কোন সিজার বা বড়ো কোন অপারেশান করিনি। এসময় নওগাঁ সদর হাসপাতাল থেকে রাজশাহীতে রেফার্ট করা রোগী সাহেদ আলীকে ফোঁড়া'র স্থানে অপারেশান করা হয়েছে, যা আপনি করেছেন বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন এবং চিকিৎসার কাগজ-পত্র ও আমরা হাতে পেয়েছি প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে অভিযুক্ত গ্রাম্য চিকিৎসক এক পর্যায়ে বলেন, আমার এই কাজটি করা ঠিক হয়নি এছাড়া 

তাকে রেফার্ট করা হয়েছিল সেটিও জানতাম না বলে তিনি ফোন কেটে দেন।

নওগাঁ জেলা সিভিল সার্জন মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, কোন গ্রাম্য চিকিৎসক-ই রেফার্ড করা কোন রোগীকে চিকিৎসাই করতে পারেন না। যদি এটা করা হয়ে থাকে নি:সন্ধেহে তিনি এটা অন্যায় করেছেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হাসমত আলী বলেন, এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



এবারও স্বস্তিদায়ক হবে উত্তরের ঈদযাত্রা

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ |

Image

উত্তরের ঈদযাত্রা এবারো আনন্দ ও স্বস্তিদায়ক হবে বলে দাবি করছে জেলা, হাইওয়ে পুলিশ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ। তাদের দাবি, গাড়ির চাপ বাড়লেও কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরছে মানুষ। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ২২টি জেলার মানুষের প্রবেশদ্বার যমুনা সেতু। ফলে এই মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন ১৭-২০ হাজার পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করে। ঈদের সময় এই সংখ্যা বেড়ে যায় প্রায় তিন গুণ। ফলে এসময় যানজটে আটকে চরম ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ। কিন্তু ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক চার লেন ও যমুনা রেল সেতু চালু হওয়ায় চিরচেনা এই যানজট দূর হয়েছে। ঢাকা থেকে রংপুরগামী বাসযাত্রী রুমা বেগম বলেন, এবারের কোন যানজটে পড়তে হয়নি। নিরাপদে বাড়ি যাচ্ছি।

ঢাকা থেকে রাজশাহী রুটের বাসচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এবার ঈদের ছুটির সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ প্রশাসন ছাড়াও সেনাবাহিনীর তৎপরতা বেশ বেড়েছে। এমন তৎপরতায় আমরা দিনরাত নির্ভয়ে গাড়ি চালাতে পারছি।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, এবার ঈদে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও দুর্ভোগের কোনো শঙ্কা নেই। তাছাড়া যানজট নিরসনে ছয় শতাধিক জেলা পুলিশ, একশো হাইওয়ে ও অর্ধশত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবে।

যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, এবারও মহাসড়কে যানজট নিরসনে যমুনা সেতুর উভয় অংশে ৯টি করে মোট ১৮টি বুথে টোল আদায় করা হবে। যার চারটি বুথ শুধু মোটরসাইকেলের জন্য স্থাপন করা হয়েছে। পরিবার ও পরিজন নিয়ে কোনো যানজট ছাড়াই এবারও উত্তরের মানুষ ঘরে ফিরবে বলে তিনি দাবি করেন।

হাটিকুমরুল ইন্টারচেঞ্জ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, নির্মাণাধীন ইন্টারচেঞ্জের সার্ভিস সড়ক খুলে দেওয়ায় এবারও ঈদযাত্রা নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক হবে। একটু চাপ থাকলেও কোনো যানজট দেখা দেবে না। ফলে স্বস্তি নিয়েই ঘরে ফিরবে মানুষ।

সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) ফারুক হোসেন বলেন, যমুনা সেতুর পশ্চিম সংযোগ সড়কের কোথাও যানজট হওয়ার শঙ্কা নেই। তাছাড়া যানজট রোধে জেলা ও হাইওয়ে পুলিশের মোবাইল টিম ও মোটরসাইকেল টিম দায়িত্ব পালন করছে।


আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




বঙ্গবন্ধুসহ চার নেতার মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা বাতিলের বিষয়টি সঠিক নয়

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ |

Image

বঙ্গবন্ধুসহ চার নেতা ও মুজিবনগর সরকারের অন্যদের মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা বাতিলের বিষয়ে যা বলা হচ্ছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। বুধবার (৪ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা জানান।

তিনি জানান, বঙ্গবন্ধুসহ মুজিবনগর সরকারের অন্যদের মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা বাতিলের বিষয়ে যা বলা হচ্ছে সেটি সঠিক নয়।

তিনি আরও বলেন, এটা তো ঐতিহাসিক সত্য যে, এই সরকার পুরো যুদ্ধটা পরিচালনা করেছে। এটা কেমন করে ইতিহাস পরিবর্তন করা যায়? এটা একটা মিসলিডিং নিউজ হয়েছে। এটা সত্য হয়নি।


আরও খবর

ইসির নিবন্ধন চায় ১৪৭টি দল

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




বাজেট ২০২৫-২৬: দাম কমতে পারে যেসব পণ্যের

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

আসছে নতুন বাজেট। আগামী ২ জুন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার প্রায় সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত। এরই মধ্যে বাজেট উপস্থাপনের প্রায় সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। এবার বাজেটে মূল্যস্ফীতি ও শিল্পখাতের ভারসাম্য রক্ষা করতে গিয়ে কিছু পণ্যের শুল্কহার কমানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে একদিকে ভোক্তা পর্যায়ে কিছুটা স্বস্তি মিললেও, অন্যদিকে দেশীয় শিল্প খাত পড়তে পারে অসম প্রতিযোগিতার মুখে।

যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে: নতুন বাজেটে চিনির প্রতি মেট্রিক টনে শুল্কায়ন মূল্য ৫০০ টাকা কমানোর প্রস্তাব রয়েছে। পাশাপাশি শুল্ক কমানো হচ্ছে বাটার, লবণ, কম ফ্যাটযুক্ত সয়াবিন তেল, বিদেশি জুস, জ্বালানি তেল, ইনসুলিন ও এর প্যাকেজিং উপকরণ, পশুখাদ্য, চুনাপাথর, দেশীয় কাগজ, কালি, শিরিশ কাগজ, নিউজপ্রিন্ট, ১৬ থেকে ৪০ আসনের বাস, ১০ থেকে ১৫ আসনের মাইক্রোবাস, ইস্পাত শিল্পের কাঁচামাল, ডুপ্লেক্স বোর্ড, আর্ট পেপার, আর্ট কার্ড, ক্রাউফট লাইনার পেপার, পরিবেশবান্ধব ফ্রুট ব্যাগ, ব্রেক প্যাড এবং ক্রিকেট ব্যাটের ওপরও।

তবে বাস্তবে এসব পণ্যের দাম কতটা কমবে, তা নির্ভর করবে বাজার ব্যবস্থাপনার ওপর। অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, অনেক সময় শুল্ক কমানোর সুফল সরাসরি ভোক্তার হাতে পৌঁছায় না।

যেসব শিল্প খাত পড়তে পারে চাপে: বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, শুল্ক কমিয়ে আমদানি পণ্যের প্রবাহ বাড়লে দেশে উৎপাদিত সমজাতীয় পণ্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পিভিসি পাইপ, কপার ওয়্যার, মোটর ও ব্যাটারিশিল্প, লিফট, এলইডি বাতি, রাইস ব্র্যান ওয়েল এবং টায়ার-টিউব খাত।

পিভিসি পাইপ দেশে উৎপাদন হলেও এর কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। এবার এ খাতে কাঁচামালের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে। একইভাবে কপার ওয়্যারের কাঁচামালে শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে।

কেমিক্যাল ও সফটওয়্যার খাতে পরিবর্তন: বন্ড অপব্যবহার রোধে কেমিক্যাল পণ্যের আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিদেশি সফটওয়্যার আমদানিতে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করায় দেশীয় সফটওয়্যার নির্মাতারা পড়তে পারেন নতুন চ্যালেঞ্জে।

বিশ্ববাজারে নজর দিয়ে রপ্তানিমুখী উদ্যোগ: জাপান, ইউরোপ ও আমেরিকায় চাহিদাসম্পন্ন জাপানিজ স্ক্যালোপ আমদানিতে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে, যাতে রপ্তানি সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যায়।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বাজেট বাস্তবায়নে নীতিগত সমন্বয় ও বাজার তদারকি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে।


আরও খবর

কালো টাকা বৈধ করার পথ বন্ধ

রবিবার ২২ জুন ২০২৫




উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেস : ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ |

Image

রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা না করেই বিক্ষোভ কবলিত লস অ্যাঞ্জেলেসে হাজার হাজার ন্যাশনাল গার্ড ও ৭০০ মেরিন সেনা সদস্যকে মোতায়েন করায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের রাজ্য প্রশাসন।

রাজ্যের রাজধানী সান ফ্রান্সিসকো শহরের ফেডারেল আদালতে দায়ের করা এই মামলায় আসামি করা হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মার্কিন সংবিধান অনুসারে প্রেসিডেন্ট নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের কোথাও সেনা মোতায়েন করতে পারেন না এবং ক্যালিফোর্নিয়ার রাজ্যপ্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা না করেই লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড ও সেনা মোতায়েনের মাধ্যমে ট্রাম্প সংবিধান বহির্ভূত কাজ করেছেন।

সেই সঙ্গে দাবি জানানো হয়েছে যে বর্তমানে ন্যাশনাল গার্ড এবং মেরিন বাহিনীর যেসব আধা সামরিক ও সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়েছে, তারা যেন এই বিক্ষোভ পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা ট্রাম্পের পরিবর্তে ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলেন।

মামলা দায়েরের পর ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল রব বনতা সাংবাদিকদের বলেন, “লস অ্যাঞ্জেলেসে ট্রাম্পের ন্যাশনাল গার্ড ও মেরিন সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত অপ্রয়োজনীয়, বিপরীতমুখী এবং সর্বোপরি আইন বহির্ভূত।”

গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসন উচ্ছেদ এবং নথিবিহীন অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন ট্রাম্প। তার পর থেকে নথিবিহীন অভিবাসীদের শনাক্ত ও আটক করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে অভিযান শুরু করে পুলিশ এবং মার্কিন কাস্টমস বিভাগের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা আইসিই।

তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার দেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যের দ্বিতীয় প্রধান শহর লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিযানে নামে পুলিশ এবং আইসিই। প্রসঙ্গত, প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার নথিবিহীন অভিবাসী আছেন। এদের অধিকাংশই মেক্সিকো এবং দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা। সাধারণত শহরতলী এলাকাগুলোতে তারা থাকেন।

গত ৬ জুন শুক্রবার লস অ্যাঞ্জেলেসের শহরতলী এলাকা প্যারামাউন্টে নথিবিহীন অভিবাসীদের শনাক্ত ও আটক করতে অভিযানে নামেন পুলিশ ও আইসিই সদস্যরা। তবে অভিযানের শুরুতেই তারা ব্যাপক প্রতিরোধের সম্মুখীন হন। প্যারামাউন্টের বাসিন্দারা তীব্র বিক্ষোভের পাশাপাশি পুলিশ ও আইসিই সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল, বোতল ও মলোটভ ককটেল বা পেট্রোল বোমা ছুড়তে থাকেন।

অবস্থা বেগতিক দেখে পরের দিন পুলিশ ও আইসিই সদস্যদের সহায়তার জন্য মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন আধা সামরিক বাহিনী হাজার ন্যাশনাল গার্ডের ২ হাজার সদস্যকে মোতায়েনের নির্দেশ দেন ট্রাম্প। কিন্তু তাতে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটার পরিবর্তে সংঘাত আরও বাড়তে থাকে।

এই অবস্থায় গতকাল সোমবার লস অ্যাঞ্জেলেসে আরও ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড এবং তাদের সঙ্গে ৭০০ মেরিন সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাম্প।

আজ চার দিন ধরে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে আছে লস অ্যাঞ্জেলেস। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার নিউইয়র্ক সিটি, ফিলাডেলফিয়া এবং সান ফ্রান্সিসকোতেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রথম দফায় যখন লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের পাঠিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সে সময়েই এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের গভর্নর গ্যাভিন নিউসাম। সে সময় ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলার হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি। সোমবার লস অ্যাঞ্জেলেসে আরও ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য ও ৭০০ মেরিন সেনাসদস্য নামানোর পর সানফ্রান্সিসকোর ফেডারেল আদালতে এ মামলা করল ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্য প্রশাসন।

মামলার প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আনা কেলি সিএনএনকে বলেছেন, “নিউসাম নিজের মুখ বাঁচানো বা আত্মসম্মান রক্ষার জন্য এই মামলা করেছেন। এটা খুবই দুঃখজনক যে রাষ্ট্রের প্রয়োজন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তার থেকে নিজের আত্মসম্মানকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।”

এদিকে নিউসাম জানিয়েছেন, ট্রাম্প যদি ন্যাশনাল গার্ড ও সেনাদের প্রত্যাহার করেন, তাহলে তিনিও মামলা তুলে নেবেন।

সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় ট্রাম্পের উদ্দেশে নিউসাম বলেছেন, “এই সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করার ক্ষমতা আপনার আছে। দয়া করে সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করুন।


আরও খবর



নির্বাচন সুষ্ঠু করাই এখন লক্ষ্য: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করাই এখন লক্ষ্য বকলে জানালেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ কথা বলেন তিনি।

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে হওয়া বৈঠক নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই অধ্যাপক ইউনূসকে, যিনি অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে এই সভার আয়োজন করে সংকটপূর্ণ এক মুহূর্তে তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানান। চতুর্দিকে একটা অনিশ্চয়তা ছিল। অনেকে অনেক কথা বলেছেন বিভিন্নভাবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন সবচেয়ে প্রয়োজন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা। অতীতের ছোটখাটো ভুল-ভ্রান্তি ভুলে গিয়ে আমাদের সামনে তাকাতে হবে। জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে আমাদের সমস্যাগুলো সমাধান করে দ্রুত নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেটি যেন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়, এটাই এখন লক্ষ্য।

তিনি বলেন, আজকে এই দুই নেতা প্রমাণ করলেন যে বাংলাদেশের মানুষ এখনো প্রয়োজনের সময় ঐক্যবদ্ধ হতে পারে, নেতারা নেতৃত্ব দিতে পারেন এবং সেই হিসেবেই বাংলাদেশের মানুষ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই বৈঠক নিয়ে গোটা জাতি উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছিল। আমি তো আগেই বলেছিলাম, এই বৈঠক একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। সত্যিকার অর্থেই বৈঠকটি একটি টার্নিং পয়েন্ট হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে যে ফ্যাসিস্ট কাঠামো গড়ে উঠেছে, সেটিকে ভেঙে নতুন একটি গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে তোলার সময় এখন এসেছে। আমরা প্রায় ১৫ বছর পর গণতন্ত্রে উত্তরণের একটি সুযোগ পাচ্ছি এবং সেই পথেই এগিয়ে যাচ্ছি।

ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে তারেক রহমানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়েছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তিনি (তারেক রহমান) আন্দোলনের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামরত সব জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।


আরও খবর

ইসির নিবন্ধন চায় ১৪৭টি দল

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫