Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় পুলিশে চাকুরি দেওয়ার নামে প্রতারনা, বিজিবি সদস্য ও ছাত্রদল নেতা আটক

প্রকাশিত:শনিবার ১২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় অর্থের বিনিময়ে কনস্টেবল নিয়োগের নামে প্রতারনা করায় ফরিদ হোসেন (৩২) নামের এক বিজিবি সদস্য ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক পরিচয় দানকারী খায়রুল সরকার (৩০) নামের দু'জন প্রতারককে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। শনিবার পূর্বরাতে ডিবি পুলিশের একটি বিশেষ টিম নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানার কোলা ইউনিয়ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে। আটককৃতরা দু'জন হলেন, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কোলা হুদ্রাকুড়ী গ্রামের মৃত সেকান্দার মন্ডলের ছেলে মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন ও একই গ্রামের সিরাজুল সরকারের ছেলে খায়রুল সরকার।

জানা যায়, ফরিদ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ ছাড়াও অন্যান্য সংস্থায় চাকরি প্রার্থীর নিকট থেকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে অনেক টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন এবং খায়রুল ছিল তার সহযোগী। উভয়ে পরস্পর যোগসাজসে পুলিশ কনস্টেবলে চাকুরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে এক প্রার্থীর অভিভাবকের সাথে ৮ লক্ষ টাকায় চুক্তি করেন এবং তাদের কাছে থেকে ৩ টি ব্যাংকের স্বাক্ষরিত ফাঁকা চেক ও স্বাক্ষরিত ৩ টি ১শ টাকা মূল্যমানের নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন। সত্যতা নিশ্চিত করে নওগাঁ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মান্নান বলেন, আটককৃতদের কাছে থেকে এবারে চাকরি দেওয়ার কথা বলে স্বাক্ষরিত ব্যাংকের ৩টি ফাঁকা চেক ও ৩ টি ১শ টাকা মূল্যমানের নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত সন্দেহে স্বাক্ষরিত আরও ৬ টি ফাঁকা ব্যাংক চেক ও ৯ টি ১শ টাকা মূল্যমানের নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়। নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার আরও বলেন, চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়া শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে। টিআরসি নিয়োগ সংক্রান্ত কোন ধরণের প্রতারণার ফাঁদে পা না দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।


আরও খবর



বকশীগঞ্জে বহিস্কৃত নেতাকে নিয়ে পথসভা ,বিএনপির প্রতিবাদ

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের বকশীগঞ্জে বহিস্কৃত এক নেতাকে নিয়ে পথসভা করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্ঠা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাইয়ুমের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বকশীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপিসহ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। বুধবার দুপুরে পৌর বিএনপি কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফ্রিং করে প্রতিবাদ জানান তারা। তাদের দাবি আবদুর রউফ তালুকদার গত ১৭ বছর আওয়ামীলীগের সাথে আতাত করে চলেছেন এবং একাধিকবার দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন,যে কারনে বিএনপি থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়েছে।  

উল্লেখ্য গত ৫ মে সোমবার বকশীগঞ্জের নিলাক্ষিয়া মোড় ও পৌরশহরের বটতলা মোড়ে পথসভা করেন সাবেক আইজিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাইয়ুম। পরে সন্ধ্যায় পুরাতন ইসলামী ব্যাংক ভবনে মতবিনিময় সভা করেন তিনি। এ সময় বিএনপি থেকে বহিস্কৃত উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুর রউফ তালুকদারসহ পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়,ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী সরকার পতনের পর বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র কমিটি নিয়ে তোড়জোর শুরু হয়। কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ সাবেক এমপি এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত ও সাবেক আইজিপি আবদুল কাইয়ুমের অনুসারীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি খয়ের উদ্দিন মাদ্রাসা মাঠে দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের তারিখ ঘোষনা হয়। সম্মেলনকে প্রতিহত করতে মাঠে নামেন সাবেক আইজিপির অনুসারীরা। এতে নেতৃত্ব দেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রউফ তালুকদার। সম্মেলন ঘিরে দলটির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ও বিভক্তি দেখা দেয়। সম্মেলন সফল করতে মিছিল সমাবেশ করেন এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতের সমর্থকরা। এতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক (বর্তমান সভাপতি) মানিক সওদাগর। সম্মেলনকে ঘিরে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্র্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ১৮ ফেব্রুয়ারি বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে সেদিন নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। সম্মেলনের ২২ দিন গত ১২ মার্চ বকশীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর শাখার ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেয় জেলা বিএনপি। মানিক সওদাগর সভাপতি ও জাহিদুল ইসলাম প্রিন্সকে সাধারণ সম্পাদক এবং এডভোকেট আনিছুজ্জামান গামা সভাপতি ও সাইফুল ইসলাম শাকিল তালুকদারকে সাধারণ সম্পাদক করে পৌর বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি অনুমোদনের পর বাতিলের দাবিতেও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন আবদুর রউফ তালুকাদারের নেতৃত্বে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।

গত ৫ মে সোমবার দুপুরে বকশীগঞ্জে আসেন বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক আইজিপি আবদুল কাইয়ুম। পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের নিয়ে একাধিক পথসভা ও মতবিনিময় সভা করেন তিনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে তার সাথে ছিলেন বিএনপি থেকে বহিস্কৃত আবদুর রউফ তালুকদার।

এই ঘটনায় বুধবার প্রেসব্রিফ্রিং করে বিএনপি। আবদুর রউফ তালুকদারকে আওয়ামী দোসর আখ্যা দিয়ে এবং তাকে নিয়ে পথসভা করায় তীব্র সমালোচনা করে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মানিক সওদাগর,সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম প্রিন্স,পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ছানোয়ার হোসেন সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তালুকদার শাকিল প্রমূখ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাজাহান পারভেজ শাহীন,উপজেলা যুবদলের আহবায়ক বিপ্লব সওদাগর,সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান লাভলু,পৌর যুবদলের সদস্য সচিব তানজির আহমেদ সুজন,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আশিকুর রহমান তোলন,সদস্য সচিব শহিদুল হক দুলাল,পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শেখ রহমত আলী,সদস্য সচিব মিজানুর রহমান,উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জুবাইদুল ইসলাম শামীম,পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন ও সদস্য সচিব আহম্মেদ সায়েমসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম প্রিন্স বলেন,দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আবদুর রউফ তালুকদার দল থেকে একাধিকবার বহিস্কার হন। ক্ষমা চেয়ে আবেদন করলে আবার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারও করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। সবশেষ গত ২০২৪ সালের ২১ মে তাকে আবারো দল থেকে বহিস্কার করা হয়। এরপরও তিনি দলের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। তাই গত ২৫ মার্চ তাকে স্থায়ীভাবে আজীবনের জন্য বহিস্কার চেয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচির বরাবর আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির সকল নেতা স্বাক্ষর করেছেন। তিনি আরো বলেন,গত ১৭ বছর তিনি আওয়ামীলীগের সাথে আতাত করে চলেছেন। দলের নির্দেশনা অমান্য করে প্রতিটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন এবং আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের পক্ষে মাঠে কাজ করেছেন। আওয়ামীলীগের চিহ্নিত দোসর বহিস্কৃত একজন নেতাকে নিয়ে পথসভা দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। তাই এর  তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা।

এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আবদুল কাইয়ুম বলেন,বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। তৃনমূল বিএনপিকে উপেক্ষা করে ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে অগনতান্ত্রিক ভাবে কমিটি গঠন করা হয়েছে। যারা কমিটিতে আছেন তারা দলের দু:সময়ে ছিলেন না। আবদুর রউফ তালুকদার ৪ বারের উপজেলা চেয়ারম্যান। তিনি দলের জন্য অনেক শ্রম দিয়েছেন। তার নেতৃত্বে পদবঞ্চিত ত্যাগী নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় দলের জন্য কাজ করে যাবো আমরা।


আরও খবর



বিসিবির নেতৃত্বে কাদের থাকা উচিত

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। এরই মধ্যে নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন দেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তার মতে, ক্রিকেট বোঝেন এমন ও জেলার ক্রিকেট উন্নয়নে সক্ষম প্রতিনিধিরাই বিসিবির নেতৃত্বে আসা উচিত।

জুলাই- আগস্টের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ক্রীড়াঙ্গনেও আমূল পরিবর্তন আসে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের আত্মপ্রকাশ ঘটে।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মিলনয়াতনে সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে চমক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান কালে তামিম ভবিষ্যতে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে ক্রিকেট বোর্ডে আসতে যারা আগ্রহী, তাদের প্রতি দিয়েছেন কঠোর বার্তা।

তামিমের বক্তব্যে উঠে আসে জেলার কাউন্সিলরদের নির্বাচন পদ্ধতি নিয়েও স্পষ্ট মত। তিনি বলেন, আমি আপনাদের কাছে একটা বিনীত অনুরোধ করবযারা ক্রিকেট বোঝেন, যাদের স্বপ্ন আছে দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেওয়ার, তাদেরকেই জেলা বা বিভাগ থেকে নির্বাচিত করা হোক। আমি অতীতে অনেকবার দেখেছি, কেউ একজন জেলা বা বিভাগ থেকে বোর্ডে আসেন, তারপর বোর্ডের পরিচালক হয়ে নিজের অঞ্চলকে ভুলে যান। এটা হতে দেওয়া যায় না।

সম্প্রতি বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ক্রিকেটের অব্যবস্থাপনা ও লিগ কাঠামোর দুর্বলতা নিজের চোখে দেখেছেন তামিম। সে অভিজ্ঞতা থেকেই বলেন, অনেক জেলায় তো মানসম্মত একটা লিগই হয় না। অথচ আমরা ক্রিকেটকে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা বলে দাবি করি।

তামিম মনে করেন, জেলা বা বিভাগীয় ক্রিকেটের উন্নয়নে যারা ব্যর্থ, তাদের ক্রিকেট বোর্ডের উচ্চপদে আসার যোগ্যতা নেই। তার ভাষায়, যদি কেউ নিজের জেলার ক্রিকেটেও উন্নয়ন না করতে পারে, তাহলে তার বোর্ডে আসা উচিত নয়।


আরও খবর

শনিবার থেকে ফের শুরু আইপিএল

মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫




যতদিন মানবতা থাকবে,ততদিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও প্রাসঙ্গিক থাকবেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান, রাণীনগর (নওগাঁ)

:রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাসঙ্গিকতা কখনো সময়ের হাতে পুরনো হয় না। কারণ, তিনি মানুষকে নিয়ে লিখেছেন, মানুষের মন ও সমাজ নিয়ে ভাবনা রেখেছেন। তাই যতদিন মানবতা থাকবে, ততদিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও প্রাসঙ্গিক থাকবেন চিরকাল। রবীন্দ্রনাথের কবিতা, গল্প, উপন্যাস ও নাটক আজও পাঠক-শ্রোতার হৃদয়ে দাগ কাটে। কবিগুরু ছিলেন সত্যিকারের বিশ্বনাগরিক। পূর্ব ও পশ্চিমের সেতুবন্ধন ঘটিয়ে তিনি বাংলাকে পৌঁছে দিয়েছিলেন বিশ্বের দরবারে।

৮ মে (২৫ বৈশাখ) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নওগাঁর আত্রাই উপজেলার পতিসরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

রবীন্দ্রনাথ ও বাংলাদেশ শীর্ষক ৩দিন ব্যাপী আলোচনা সভা, রবীন্দ্রসংগীত, কবিতা পাঠ, নাট্য মঞ্চায়ন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ এনডিসি।

নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নওগাঁর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার বিপিএম। আলোচক ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ, বগুড়া সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো: বেলাল হোসেন, নওগাঁ সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ শামসুল আলম ও মনিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এসএম ফারুক বখত প্রমূখ l


আরও খবর



এক মুঠো চালের জন্য জেলেদের বুক ফাটা কান্না

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

ভোরের সূর্য ওঠার আগেই বরগুনার আমতলি ফকিরঘাটে ভিড় জমায় সাগরের সাহসী সন্তানরা। একসময় যাদের হাতের জালে ধরা পড়তো সাগরের সোনা, আজ তাদের হাতে কিছুই নেই। চোখে শূন্যতা, মুখে হতাশা। ট্রলারগুলো নিশ্চুপ, জালগুলো ছেঁড়াআর মানুষগুলো নীরব, অথচ বুকের ভেতর চলছে কান্নার তীব্র গর্জন।


সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের সাথে যুদ্ধ করে যারা জীবন কাটিয়েছেন, আজ সেই জীবনের সামনে শুধুই অনিশ্চয়তা। ১৫ দিন ধরে চলা মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা হাজারো জেলের ঘরে এনেছে হাহাকার, আর পাতে এনে দিয়েছে ফোঁটা ফোঁটা ক্ষুধা। প্রায় আট হাজার নিবন্ধিত সমুদ্রগামী জেলে আজ বাঁচার জন্য তাকিয়ে আছেন এক মুঠো সাহায্যের দিকে। কিন্তু এখনো তাদের ভাগ্যে জোটেনি সরকারি সহায়তার চালের এক দানাও।


ষাটোর্ধ্ব মোশাররফ হোসেন এক কোণে বসে আকাশের দিকে চেয়ে কাঁদছেন। তার কণ্ঠ রুদ্ধ, চোখের জল অবিরাম গড়িয়ে পড়ছে।


"ঝড়-তুফান, সাগরের কাঁচা ঢেউসবকিছুর সঙ্গে যুদ্ধ করেছি। কিন্তু আজ... আজ তো নিজেরই যুদ্ধ জীবন বাঁচানোর। সরকার যদি চাল না দেয়, আমরা না খেয়ে মরে যাবো।" তার কাঁপা কণ্ঠের এই মর্মস্পর্শী আহাজারি যেন আঘাত হানে মানবতার শেষ প্রাচীরে।


আরেক কোণে দাঁড়িয়ে শহিদুল ইসলাম, ছোট্ট মেয়ের হাত শক্ত করে ধরে রেখেছেন। মেয়ের ক্ষুধার্ত চোখ যেন হাজারটা প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে তার দিকে। মাথা নিচু করে শহিদুল ফিসফিস করে বলেন, "মাছ ধরতে জীবন বাজি রাখি। আজ মেয়েটার ভাতের জন্য রাস্তায় দাঁড়াতে হচ্ছে। একজন বাবার চেয়ে বড় লজ্জা আর কী হতে পারে?" 

মৎস্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, তালতলীতে প্রায় আট হাজার নিবন্ধিত সমুদ্রগামী জেলে রয়েছেন, যাদের কেউই এখন সাগরে যেতে পারছেন না। সাগরের হাওয়ায় এখন আর মাছের ঘ্রাণ নেইভেসে আসছে দুর্ভিক্ষের গন্ধ। প্রতিবছর নিষেধাজ্ঞার সময় কিছু খাদ্য সহায়তা মিললেও, এবারের নিষেধাজ্ঞায় এখনো কোনো বরাদ্দ এসে পৌঁছায়নি। সাগরের গর্জন আজ আর তাদের কাছে রোমাঞ্চ নয়, বরং মৃত্যুর সুর হয়ে বাজছে।


উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন বলেন, "নীতিমালা অনুযায়ী সাগরে নিষেধাজ্ঞা থাকে। আগেরবার খাদ্য সহায়তা ছিল, এবার বিলম্ব হয়েছে। চাল আসলে দেওয়া হবে।" কিন্তু তার কথাগুলো যেন ক্ষুধার্ত পেটের গহীন আর্তনাদের সামনে একটি তুচ্ছ আশ্বাসমাত্র। চাল কবে আসবে, তা কেউ জানে না। আর ততদিন ক্ষুধা আগুন হয়ে পুড়িয়ে দেবে তাদের শরীর ও আশা।


ফকিরঘাট নয়, উপকূলের সবখানেই একই ছবি। শীর্ণকায় জেলেরা ছেঁড়া গামছা দিয়ে মুখ ঢেকে কান্না চেপে রাখার চেষ্টা করছে। শিশুদের কান্না মিলিয়ে যাচ্ছে সাগরের বাতাসে। "ভাত দে মা, ক্ষুধা পেয়েছে"শত শত শিশুর এই চিৎকার যেন আকাশকেও ভারী করে তুলেছে।

এই বাস্তবতা কেবল দারিদ্র্যের গল্প নয়এ হলো লজ্জার গল্প। যেখানে রাষ্ট্রের নিষ্ক্রিয়তা আর মানবতার ব্যর্থতা মিলেমিশে একটি জাতির বিবেককে প্রশ্নবিদ্ধ করে। জীবনের যুদ্ধ তো তারা জিতেছে বারবার, কিন্তু আজতালতলীর সাগরপাড়ে বসে থাকা এই হাজারো জেলে হারছে ক্ষুধার কাছে।


আরও খবর



অনির্দিষ্টকালের জন্য আইপিএল স্থগিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের কারণে এবারের আইপিএল স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। বিসিসিআইয়ের এক সূত্র আজ শুক্রবার ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে খবরটি নিশ্চিত করেছে।

ভারতের জম্মুসহ সীমান্তবর্তী কয়েকটি এলাকায় গতকাল মিসাইল হামলা চালায় পাকিস্তান। এয়ার রেইড সতর্কতার অংশ হিসেবে এরপর ধর্মশালায় স্টেডিয়ামের আলো নিভিয়ে দেওয়া হয় এবং পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যকার ম্যাচটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ধর্মশালা স্টেডিয়াম পাঠানকোট থেকে ১০০ কিলোমিটারের কম দূরত্বে অবস্থিত, যেখানে মিসাইল হামলার কারণে এয়ার রেইড সতর্কতার ঘণ্টা বাজানো হয়। এরপর আইপিএল স্থগিত করার এই সিদ্ধান্ত নিলো বিসিসিআই।

হিন্দুস্তান টাইমসকে বিসিসিআইয়ের সেই সূত্র বলেছে, ‘আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য আইপিএল স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এ কারণে আমরা টুর্নামেন্টটি এখন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। টুর্নামেন্টটি পরে শুরু করা যাবে কি না, আর করলে সেটা কখন, এ বিষয়ে আমরা পরে সিদ্ধান্ত নিবো। এ মুহূর্তে জাতীয় স্বার্থ আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।


আরও খবর

শনিবার থেকে ফের শুরু আইপিএল

মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫