Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় পুলিশের হেফাজত থেকে হ্যান্ডকাপ সহ পালানো আসামীকে ফের আটক

প্রকাশিত:বুধবার ১০ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর পোরশা থানা পুলিশের হেফাজত থেকে হ্যান্ডকাপ পড়া অবস্থায় পালিয়ে যাবার মাত্র ১২ ঘন্টার মধ্যেই আলম আলী (৩৫) নামে মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছেন মহাদেবপুর থানা পুলিশ। আটককৃত আলম আলী নওগাঁ

জেলার পোরশা উপজেলা সদরের নীতপুর বাঙ্গালপাড়া এলাকার সোহরাব আলীর ছেলে। বুধবার ১০ জুলাই পূর্বরাত ৩টারদিকে মহাদেবপুর উপজেলার হাতুড় ইউনিয়ন এর মহিষবাথান এলাকায় অভিযান চালিয়ে থেকে তাকে আটক করেন মহাদেবপুর থানা পুলিশ।


সংশিষ্ট সুত্র জানান, একটি মাদক মামলায় আলম আলী দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী। বিজ্ঞ আদালতের ওয়ারেন্টমূলে গত সোমবার দিনগত রাতে পোরশা থানা পুলিশ আলম আলীকে আটক করেন এবং মঙ্গলবার ৯ জুলাই দুপুরে যাত্রীবাহী একটি বাস যোগে তাকে নওগাঁ কোর্টে নিয়ে যাবার জন্য রওনা দেন পোরশা থানা পুলিশ। যাওয়ার পথে বাসটি মহাদেবপুর উপজেলা সদর বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছলে আসামী আলম প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেবার অজুহাতে পুলিশের কাছ থেকে এক হাতের হ্যান্ডকাপ খুলে নেওয়ার পর অপর হাতে হ্যান্ডকাপ লাগানো অবস্থায় কৌশলে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরই পালিয়ে যাওয়া আসামীকে ফের আটক করার জন্য ঘটনার পর থেকেই সাঁড়াশি অভিযান চালায় পুলিশ। এক পর্যায়ে ঘটনার দিনগত রাতে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন, (ওসি তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ ও এসআই

জাহিদ মহাদেবপুর উপজেলার মহিষবাথান এলাকায় অভিযান চালিয়ে

পালিয়ে যাওয়া আসামী আলম আলীকে আটক করতে সক্ষম হোন। মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন জানান, বুধবার সকালে তাকে নওগাঁ কোর্টে পাঠানো হয়।


আরও খবর



গোলার বাজার টু যাত্রাবাড়ি, বাস সার্ভিসের বৈষম্য

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক :

পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকে সকাল ৭টার পর নড়িয়ার গোলার বাজার থেকে প্রতিদিন শুধু মাত্র একটি বাস ছেড়ে যায় ঢাকার উদ্দেশ্যে। এতে আশেপাশের ঢাকাগামী মানুষের যাতায়াতের স্বস্তি ফিরে এসেছিল কিন্তু এখানেও নিয়মিত চলছে বৈষম্য ও স্বজনপ্রীতি। আমি এর মধ্যে একদিন সকাল ৬টার পর পরই বাসে গিয়ে উঠলাম যেন সামনের সিট পাওয়া যায়, সে আশায় ঘন্টাখানেক আগেই গেলাম কিন্তু দেখলাম ভিন্ন চিত্র। পুরো বাস ফাঁকা তিনজন যাত্রী দেখতে পেলাম তাও তারা পিছনের সিটে, সামনে সব গুলো ফাঁকা, বসতে চাইলেও বসতে দিলো না জাহাঙ্গীর নামক এক হেলপার নাকি কন্ট্রাকদার বুঝিনি। তবে চেহারা চিনি সব আমলেই দৌরাত্ম্য তার গাড়ি ব্যবসায়। যাইহোক বসতে না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বলে লোক আছে, পিছনে একটা সিট ছিলো কোনরকম বসে পরলাম, অপেক্ষায় ৭.১০ বেজে গেলো, ছবিটি এ সময়েই তোলা। এর মধ্যে অনেক লোক আসলো কিন্তু তাদের ফিরিয়ে দিলো যায়গা নেই বলে। সবাই হতাশ আর মন খারাপ করে চলে গেলো। কেউ কেউ আমার মতোই কারণ জেনে চুপ হয়ে গেলো। ৭ টা ২০ মিনিটে হুট করে দেখি আগে থেকে হাসপাতালের মতো বুকিং দেওয়া লোকজনে বাস ভরে গেলো এবং ছেড়ে গেলো। 

যাইহোক ঘটে যাওয়া বৈষম্য বললাম।  এমন ঘটনায় আমি যা দেখতে পেলাম তা অনেকের কাছে ভালো নাও লাগতে পারে। গোলার বাজার, আশেপাশের দুটি ইউনিয়নের মানুষের বসবাস, এখানে সবাই মিলেমিশে বসবাস করে, সবাই সবার পরিচিত কিন্তু বাস সার্ভিস যদি পরিচিতদের মধ্যে ভিআইপি তৈরি করে দেয় সেখানে বিভেদ সৃষ্টি হয়। যারা নিয়মিত ঢাকাগামী তারা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়, সময় মতো বাসে গিয়ে কেও সিট না পাওয়া কিংবা ফিরিয়ে দেওয়া সেসব মানুষজন আর এ বাসে যাওয়ার জন্য আসবে না তারা পূর্বের হাল ই বেছে নিবে। নিয়মিত যাত্রীবাহী বাস কখনো আগে থেকেই বুকিং হয়ে থাকে না এতে জরুরি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এখানকার সাধারণ যাত্রী। 

পরিশেষে- যারা এখানকার মানুষের সুবিধার কথা চিন্তা করে এ বাসটি চালু করেছেন তারা বিষয়টি দ্রুত সমাধান করবেন বলে আশাবাদী।  

নিয়ম করা যায়-আগে থেকে কোন বুকিং নয় সময়মতো বাস ছাড়বে সে অনুযায়ী যে যেখানে ফাঁকা পাবে সেখানে বসবে। বাস ভরে গেলো ছেড়ে যাবে। এতে সকলেই সুবিধাভোগ করগে পারবে বৈষম্য দুর হবে।


আরও খবর



হাসনাতের পোস্ট ‘রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি : সেনাসদর

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

রিফাইন্ড (সংশোধিত) আওয়ামী লীগ গঠনে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে চাপ দেওয়ার বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ সম্প্রতি ফেসবুকে যে পোস্ট দিয়েছেন, তাতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সেনাবাহিনী সদরদপ্তর।

সুইডেনভিত্তিক নেত্র নিউজের গতকাল শনিবারের এক প্রতিবেদনে এ প্রতিক্রিয়া জানানোর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে সেনাসদরকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, হাসনাত আবদুল্লাহর পোস্ট সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি বৈ অন্য কিছু নয়। এর আগে গত শুক্রবার হাসনাত আবদুল্লাহ এক পোস্টে লেখেন, ১১ই মার্চ, সময় দুপুর ২:৩০।

কিছুদিন আগে আমি আপনাদের বলেছিলাম যে রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ নামে নতুন একটি ষড়যন্ত্র নিয়ে আসার পরিকল্পনা চলছে। এই পরিকল্পনা পুরোপুরি ভারতের। সাবের হোসেন চৌধুরী, শিরিন শারমিন, তাপসকে সামনে রেখে এই পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে।

আমিসহ আরও দুজনের কাছে ক্যান্টনমেন্ট থেকে এই পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয় ১১ই মার্চ দুপুর ২:৩০এ। আমাদেরকে প্রস্তাব দেওয়া হয় আসন সমঝোতার বিনিময়ে আমরা যেন এই প্রস্তাব মেনে নিই। আমাদেরকে বলা হয়, ইতোমধ্যে একাধিক রাজনৈতিক দলকেও এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে-তারা শর্ত সাপেক্ষে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে রাজি হয়েছে। একটি বিরোধী দল থাকার চেয়ে একটি দুর্বল আওয়ামী লীগসহ একাধিক বিরোধী দল থাকা নাকি ভালো। ফলশ্রুতিতে আপনি দেখবেন গত দুই দিন মিডিয়াতে আওয়ামী লীগের পক্ষে একাধিক রাজনীতিবিদ বয়ান দেওয়া শুরু করেছে।

নেত্র নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল নেত্র নিউজকে দেওয়া সেনাসদরের এক বিবৃতিতে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে যে সেনানিবাসে খোদ সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গেই ১১ মার্চ বৈঠকটি হয়েছিল। তবে হাসনাত আবদুল্লাহকে ডেকে নিয়ে যাওয়া এবং আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের বিষয় নিয়ে তাদেরকে প্রস্তাব বা চাপ প্রয়োগের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বরং হাসনাত আবদুল্লাহ ও তার দলের আরেক মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলমের আগ্রহেই ওই বৈঠকটি হয়েছিল বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

নেত্র নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিষয়টি নিয়ে নেত্র নিউজ যোগাযোগ করলে একজন মুখপাত্রের মাধ্যমে বক্তব্য দেয় সেনাসদর। হাসনাত আবদুল্লাহর পোস্টকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি বৈ অন্য কিছু নয় বলেও মন্তব্য করা হয়েছে সেনাসদরের বিবৃতিতে। এ ছাড়া ২৭ বছর বয়সী এই ছাত্রনেতার বক্তব্যকে অত্যন্ত হাস্যকর ও অপরিপক্ব গল্পের সম্ভার হিসেবেও আখ্যা দিয়েছে সেনাবাহিনী।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে আগস্টে যে গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল, তার সূচনা ঘটেছিল সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালে আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে ছাত্রদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মাধ্যমে। পরবর্তী সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামে একটি প্ল্যাটফর্ম গঠিত হলে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর গঠিত নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মন্ত্রিসভায় ওই আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্তত তিনজন ছাত্রনেতা দায়িত্ব পালন করেন। তাদেরই একজন নাহিদ ইসলাম সম্প্রতি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করে জাতীয় নাগরিক পার্টি নামের একটি নতুন দলের আহ্বায়কের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ওই দলে দুই আঞ্চলিক মুখ্য সমন্বয়কের পদ পান হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম।

নেত্রর প্রতিবেদনে বলা হয়, তার (হাসনাত আবদুল্লাহ) পোস্টের পর ওই রাতেই জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। সেখানে নেত্র নিউজের একজন প্রতিবেদক হাসনাত আবদুল্লাহকে প্রশ্ন করেন, সেনানিবাসে তিনি যে বৈঠকটির কথা বলছেন, তা কি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে হয়েছিল কি না। কিন্তু এই বিষয়ে তিনি সরাসরি জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানান।

হাসনাত বলেন, আমি তো সেখানে ক্যান্টনমেন্ট উল্লেখ করেছি, আপনারা কথা বলতে পারেন সেখানে। আরেকজন সাংবাদিক তাকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করেন, কার উদ্যোগে বৈঠকটি হয়েছিল। জবাবে হাসনাত বলেন, সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা ও বিদ্যমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তাদের মধ্যে বিভিন্ন প্রশ্ন ছিল। এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য আমাদেরকে আহ্বান জানানো হয়েছিল।”’

সংবাদ সম্মেলনের পর নেত্র নিউজের একজন প্রতিবেদক আবারও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বাইনারি বা হ্যাঁ-না জবাব দিতে রাজি হননি।

নেত্র নিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাদের কাছে পাঠানো বিবৃতিতে সেনাসদর নিশ্চিত করে জানিয়েছে যে সেনাপ্রধানের সঙ্গেই ওই বৈঠকটি হয়েছিল, তবে ওই বৈঠক ছাত্রনেতাদের আগ্রহেই হয়েছিল বলে সেখানে উল্লেখ করা হয়।

সেনাসদরের বিবৃতি উল্লেখ করে নেত্রর প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসনাত আবদুল্লাহ এবং সারজিস আলম দীর্ঘদিন যাবৎ সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য ইচ্ছা পোষণ করছিলেন। পরবর্তীতে সারজিস আলম ১১ই মার্চ ২০২৫ তারিখে সেনাপ্রধানের মিলিটারি এডভাইজারকে ফোন দিয়ে সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চান। এর পরিপ্রেক্ষিতে মিলিটারি এডভাইজার তাদেরকে সেনাসদরে আসার জন্য বলেন। অতঃপর ১১ই মার্চ দুপুরে সারজিস আলম এবং হাসনাত আবদুল্লাহ সেনাসদরে না এসে সরাসরি সেনাভবনে সেনাবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করেন। পরবর্তীতে সেনাপ্রধান অফিস কার্যক্রম শেষ করে সেনা ভবনে এসে তাদের সঙ্গে দেখা করেন।

নেত্র নিউজের প্রতিবেদেন বলা হয়, সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে ছাত্রনেতাদের বৈঠকে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল, তা নেত্র নিউজ স্বতন্ত্রভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ ইউনিটের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পৃথকভাবে নেত্র নিউজকে বলেছেন যে ছাত্রনেতাদের আগ্রহ ও উদ্যোগেই ওই বৈঠকটি হয়েছিল।

নেত্র নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের ইতিহাসে বহু রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে সেনাবাহিনী ও এর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ভূমিকা ছিল। ঐতিহাসিকভাবেই দেশটিতে এখনো রাজনীতি ও বিভিন্ন বেসামরিক কার্যক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর প্রভাব লক্ষ্যণীয়। তবে শেখ হাসিনার পতনপরবর্তী সময়ে বারবার কোনো ধরনের সেনা হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা বা আগ্রহ উড়িয়ে দিয়েছেন সেনাবাহিনীতে মৃদুভাষী হিসেবে পরিচিত জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। কিন্তু তারপরও সেনাবাহিনীর অবস্থান ও ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মধ্যে বিদ্যমান অস্বস্তি চাপা দিয়ে রাখা যায়নি।

তবে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের ওই বৈঠক তাদের ব্যক্তিগত কারণে নাকি জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে পুর্বানোমোদিত ছিল সেটি স্পষ্ট হওয়া যায়নি। শনিবার সিলেটে এক ইফতার মাহফিলে জাতীয় নাগরিক পার্টির আরেক নেতা নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী হাসনাতের ওই ফেসবুক পোস্টকে শিষ্টাচার বর্জিত হিসেবে উল্লেখ করেন।


আরও খবর



৭৬ বছরে চিত্রনায়ক আলমগীর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

নায়ক আলমগীরের আজ ৭৬তম জন্মদিন। ৭৬ বছরে পা রাখলেন তিনি। ১৯৫০ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। অভিনেতার কাছে জন্মদিন একেবারেই সাধারণ একটা দিন। খুব একটা গুরুত্ব বহন করে না। তারপরও পরিবারের সদস্যরা দিনটি নিজেদের মতো করে উদযাপন করে থাকেন। চলচ্চিত্রে আলমগীরের অভিষেক হয় ১৯৭৩ সালে আমার জন্মভূমি সিনেমা দিয়ে। ১৯৮৫ সালে তিনি পরিচালনা শুরু করেন। ১৯৮৫ সালে মা ও ছেলে সিনেমায় অভিনয় করে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘরে তোলেন আলমগীর। গত বছর রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক পেয়েছেন গুণী এই অভিনেতা। শিল্পকলা (অভিনয়) শাখায় এই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

অভিনয় ক্যারিয়ারে ২২৫টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে নয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন। এ ছাড়া ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন এ অভিনেতা। শুধু অভিনয় নয়, গানও গাইতে পারেন আলমগীর। এক সময় রাজধানীর গ্রিন রোডে একটি স্কুলে সংগীতশিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদীর কাছে গান শিখেছিলেন। কণ্ঠশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রেও গান গেয়েছেন। আগুনের আলো চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম কণ্ঠ দেন। এরপর কার পাপে, ঝুমকানির্দোষ চলচ্চিত্রেও গান গেয়েছেন।


আরও খবর



৬৬৮১ রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

দেশে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও অন্যান্য নানা কারণে দায়ের করা হয়রানিমূলক ৬ হাজার ৬৮১ টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

রাজনৈতিক, হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার সংক্রান্ত হাল নাগাদ তথ্য শীর্ষক এক নথিতে বলা হয়- উপদেষ্টা, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাপতিত্বে রাজনৈতিক, হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে সুপারিশ করার লক্ষ্যে গঠিত মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি কর্তৃক অদ্যাবধি ৯টি সভায় মোট ৬৬৮১টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও অন্যান্য নানা কারণে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও নিরীহ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মামলাসমূহ প্রত্যাহারের জন্য সুপারিশ করার লক্ষ্যে সরকার জেলা ও মন্ত্রণালয় পর্যায়ে দুটি কমিটি গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটির সভাপতি হচ্ছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। সদস্য হচ্ছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত সচিব (আইন ও শৃঙ্খলা) ও যুগ্ম সচিব (আইন) এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি (যুগ্ম সচিব পর্যায়ের নিচে নয়)।

কমিটির সদস্যসচিব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের আইন-১ শাখার উপসচিব/সিনিয়র সহকারী সচিব/ সহকারী সচিব।

আর জেলা পর্যায়ের কমিটির সভাপতি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সদস্য পুলিশ সুপার (মহানগর এলাকার জন্য পুলিশের একজন ডেপুটি কমিশনার) ও পাবলিক প্রসিকিউটর (মহানগর এলাকার মামলাগুলোর জন্য মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর) এবং সদস্যসচিব অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।


আরও খবর



উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বাবা ওপর হামলার ঘটনায়, দুঃখ প্রকাশ করলেন এ্যানি

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বাবা আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লার ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

মঙ্গলবার বিকেলে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নে বাচ্চু মোল্লার বাড়িতে গিয়ে তার খোঁজখবর নেন এ্যানি।

গত ৩০ মার্চ রাতে ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বাচ্চু মোল্লা তার বাড়ির কাছে হামলার শিকার হন। বিএনপি ও ছাত্রদলের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তার ভাতিজা, উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মেহেদী মঞ্জুর বাড়িতে হামলার চেষ্টা করলে বাধা দেওয়ায় বাচ্চু মোল্লাকে মারধর করা হয়। এতে তিনি হাতে গুরুতর আঘাত পান।

বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বাচ্চু মোল্লার বাড়িতে গিয়ে বলেন, “বাচ্চু মোল্লা আমাদের স্থানীয় নেতা। তার ছেলে সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি ও তার ছেলের ভূমিকা রয়েছে। তিনি এমন একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সম্মুখীন হবেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।”


এ্যানি আরও বলেন, “ঘটনার পর আমি বাচ্চু মোল্লাকে ফোন করেছিলাম, কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। মিডিয়ায় বিভিন্নভাবে ঘটনাটি তুলে ধরা হয়েছে। তবে প্রকৃত ঘটনা সরাসরি উনার কাছ থেকে শুনতে বাড়িতে এসেছি।


আন্দোলন করতে গিয়ে বাচ্চু মোল্লাসহ তার পরিবার নির্যাতনের শিকার হয়েছে। যারা এই নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত, কথিত মঞ্জু একজন সন্ত্রাসী ছিল। ছাত্রলীগের নেতৃত্বাধীন পদে ছিল, কিন্তু তার দায়-দায়িত্ব বাচ্চু মোল্লা কখনো গ্রহণ করেননি এবং করবেন না। কেউ যদি এটিকে ইস্যু বানিয়ে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করে, আমরা তা শক্ত হাতে প্রতিরোধ করবো।”


এসময় বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (বিএলডিপি) চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাবুব আলমসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর