Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় রাস্তা বন্ধ করায় ১৫ টি পরিবার দূর্ভোগের শিকার

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁর পঞ্চাশ বছরের পুরাতন গ্রামীণ রাস্তা বেড়া দিয়ে বন্ধ করার অভিযোগ করা হয়েছে। ফলে কমপক্ষে ১৫টি পরিবারের ধানের গাড়ী নিয়ে যেতে বিড়ম্বনা   ''চরম দূর্ভোগে''' পড়েছেন। নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বকাপুর পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত ছয়েফ উদ্দিন সরদারের ছেলে বকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক প্রতিবন্ধী রুহুল আমিন রতন, মৃত তাছির উদ্দিনের ছেলে বৃদ্ধ আজিজুল ইসলাম, সুজন হোসেন, সেকেন্দার আলী, হামিদুর রহমান, এজদুল ইসলাম, খোকা, জাহের উদ্দিন প্রমুখ অভিযোগ করেন যে, বকাপুর সরদার পাড়া পাকা রাস্তা থেকে পূর্বপাড়ায় আসার জন্য পঞ্চাশ বছর আগে থেকে একটি গরুর গাড়ী চলার রাস্তা ছিল। পূর্বপাড়ার ১৫টি পরিবারের জমি থেকে ধান আনা নেয়ার কাজে এই রাস্তা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ১৯৯২ সালে জমির মালিকেরা রাস্তায় গর্ত খুঁড়ে গাড়ী চলাচল বন্ধ করে দেন। পূর্বপাড়ার বাসিন্দারা এর প্রতিবাদ জানান। এরমধ্যে প্রতিবন্ধী শিক্ষক রুহুল আমিন রতনের বাবা প্রতিবাদ করতে গিয়ে স্ট্রোক করেন। দু’সপ্তাহ ভূগে তিনি মারা যান। এরপর গ্রামের লোকেরা ওই গর্ত পূরণ করে আবার রাস্তা বের করেন তারা। 

সম্প্রতি এই রাস্তায় আবার বাঁশ- কাবারির বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে পূর্বপাড়ার বাসিন্দারা দারুণ বেকায়দায় পড়েছেন। অবিলম্বে তারা বেড়া অপসারণ করে আবারও রাস্তাটি খুলে দেয়ার দাবি জানান।

শনিবার (৩ জুন) বিকেলে সরেজমিনে ওই গ্রামে গেলে শিক্ষক রুহুল আমিন রতন কান্নাজড়িত কন্ঠে তার বাবার মৃত্যুর কথা স্মরণ করে রাস্তাটি আবার খুলে দেয়ার দাবি জানান। ওই গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধ আজিজুল হক জানান, পঞ্চাশ বছর ধরে তারা এই রাস্তা ব্যবহার করছেন। এখন এটা বন্ধ করে দিলে ভবিষ্যতে তাদের সন্তানেরা ঘরে ধান তোলার রাস্তা পাবেনা। তিনিও রাস্তাটি খুলে দেয়ার দাবি জানান।

জানতে চাইলে ওই জমির মালিক জাহাঙ্গীরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারি অধ্যাপক মাহফুজুল আহসান জুয়েল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, তার ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে তিনি বেড়া দিয়েছেন। তার পূর্বপুরুষেরা ওই জমির উপর দিয়ে রাস্তা দিলেও তিনি দিবেন কিনা সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।

স্থানীয়রা যেকোন মূল্যে ওই রাস্তা খুলে দেয়ার দাবি জানান।


আরও খবর

রাজশাহীতে গলাকাটা এক নারীর লাশ উদ্ধার

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বাংলাদেশ সফর নিয়ে দ্বিধায় দক্ষিণ আফ্রিকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশের চলমান সামগ্রিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কমনওয়েলথ কারাতের আসর সরে যায়। এবার ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিপাক্ষিক সিরিজও সরে যাওয়ার পথে।আগামী অক্টোবরে বাংলাদেশ সফর করার কথা রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার।

আসন্ন এই সফরে দুইটি টেস্ট খেলবে প্রোটিয়ারা। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী ২১ অক্টোবর থেকে মাঠে গড়ানোর কথা বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজটি। কিন্তু দেশের চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এই সিরিজ নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চিয়তা।

জানা গেছে, বাংলাদেশ সফরের পুরো বিষয়টি নিজেদের খেলোয়াড়দের ওপর ছেড়ে দিয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। চলতি সপ্তাহেই বাংলাদেশ সফর নিয়ে সাউথ আফ্রিকান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এসএসিএ) সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা (সিএসএ) বাংলাদেশ সফরে দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়রা আগ্রহী কি না তা জানতে চেয়েই এই আলোচনার আয়োজন।

ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে ক্রিকেটারদের কোনো চাপ দিতে চায় না ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা। তারা ক্রিকেটারদের ওপর ছেড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সফরে তারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন কিনা। চলতি চক্রে এমনিতেই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে মনোযোগ দিতে এবং নিজেদের ব্যয় কমিয়ে আনার চিন্তায় টেস্ট সিরিজগুলো সীমিত করে এনেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

চলমান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ মৌসুমে আর মাত্র ৬টি ম্যাচ বাকি আছে প্রোটিয়াদের। পয়েন্ট টেবিলে তারা সাত নম্বরে রয়েছে। লর্ডসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ফাইনালে জায়গা করে নিতে নিজেদের পরের টেস্টের মধ্যে অন্তত ৫টিতে জিততে হবে সাউথ আফ্রিকাকে।

প্রোটিয়ারা অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরে আসলেও তাতে খেলার সম্ভাবনা নেই মার্কো জানসেন জেরাল্ড কোয়েতজির। তাদের মাঠে ফেরার কথা রয়েছে আগামী নভেম্বরে। আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম অনুযায়ী আগামী ২১ অক্টোবর থেকে সিরিজের প্রথম টেস্টটি মাঠে গড়ানোর কথা রয়েছে। যদিও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এখনও কার্যকর রয়েছে। কারণেই মূলত সিরিজটি ঝুলে আছে।

এদিকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই সিরিজের কদর আলাদা। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের সামনে বাকি আরও টেস্ট। সংখ্যাতত্ত্বের জটিল হিসেব বলছে, পরের টেস্ট থেকে বাংলাদেশের অন্তত টেস্টে জয় পেলে বাংলাদেশও যেতে পারবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। শেষ পর্যন্ত ফলাফল কোথায় গড়ায় তা জানা যাবে দক্ষিণ আফ্রিকারের ক্রিকেটারদের আলোচনার পর।




আরও খবর



মিঠাপুকুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাদী ও সম্পাদক রিপুল

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি :


পেশাদার সাংবাদিকদের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন মিঠাপুকুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটি গঠিত হয়েছে। 

গতকাল সোমবার দুপুরে আহবায়ক কমিটির সভায় প্রেসক্লাব ভবনে সর্বসম্মতিক্রমে শেখসাদী সরকার সভাপতি (খোলা কাগজ) ও মেহেদী হাসান রিপুল (সকালের সময়) সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছে।

এছাড়াও, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে শামীম আখতার(দৈনিক ইত্তেফাক ও দৈনিক দাবানল), সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান(দৈনিক সংগ্রাম), যুগ্ম  সাধারন সম্পাদক পদে রুবেল হোসেন সংগ্রাম(দৈনিক যায়যায়দিন) , সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান(দৈনিক আওয়ার বাংলাদেশ), সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম(  দৈনিক বাংলার দুত),কোষাধ্যক্ষ পদে শাহিন মন্ডল (দৈনিক নয়া দিগন্ত), দপ্তর সম্পাদক পদে রুবেল ইসলাম (দৈনিক বাংলাদেশের খবর),সহ- দপ্তর সম্পাদক রায়হান কবির( দৈনিক স্বাধীনমত), প্রচার সম্পাদক হাফিজুর রহমান মানিক( দৈনিক আজকালের খবর), ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মারজান( দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ  ), ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক বিপ্লব রহমান( দৈনিক ও ভোরের কাগজ), আনোয়ার হোসেন রাব্বিকে শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট মিঠাপুকুর প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটি গঠনের আগে প্রেসক্লাব ভবনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রদীপ কুমার গোস্বামী ।


আরও খবর

রাজশাহীতে গলাকাটা এক নারীর লাশ উদ্ধার

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




আন্দোলনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য চায় জাতিসংঘ

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের যেসব ঘটনা ঘটেছে তার প্রাথমিক তথ্য দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এই সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস। এতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের পহেলা জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহার সম্পর্কিত প্রাথমিক তথ্য দেওয়ার জন্য সব ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমন্ত্রণে উদ্ভূত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করছে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস। এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল এমন সব তথ্য চেয়ে অনুরোধ করেছে যেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া যাবে না এবং প্রকাশিত বা প্রচার হয়নি

[email protected] - এই ই-মেইলে সব তথ্য জমা দিতে অনুরোধ করেছে দলটি

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তা, চিকিৎসা পেশাজীবী এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে তদন্ত দলের

তবে এই ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দলের তদন্ত কোনো আইনি তদন্ত নয়। এটি যেকোনো জাতীয় ফৌজদারি বিচার প্রক্রিয়া থেকে স্বাধীনভাবে পরিচালিত

এই তথ্য অনুসন্ধান প্রক্রিয়াতে কঠোরভাবে গোপনীয়তা বজায় রাখা হবে। তদন্ত চলাকালীন, তদন্ত দলের সদস্যরা কোনো গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেবেন না

তারা সবাইকে তথ্য অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার গোপনীয়তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ করা হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে

ঘটনাস্থলে পরিচালিত পরীক্ষা-নীরিক্ষা ও উপাত্ত বিশ্লেষণের পর, তদন্তের প্রধান ফলাফল, উপসংহার ও সুপারিশসহ একটি বিস্তারিত মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করবে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের আন্দোলনের মধ্যে জেলায় জেলায় সহিংসতায় মাত্র তিন সপ্তাহে কয়েকশ মানুষ মারা যায়

আগস্টের শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সরকারবিরোধী থেকে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থ্যানের মুখে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে চলে যান। এরপরও কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় অনেকে প্রাণ হারান


আরও খবর

বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




হদিস নেই পুলিশের প্রায় ৮০০ সদস্যের

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যাওয়া বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ৮০০ পুলিশ সদস্য এখনও কাজে যোগদান করেননি। কয়েক দফায় তাদের কাজে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হলেও কোনো হদিস নেই এসব সদস্যের। তারা কোথায় আছেন, সে বিষয়েও কোনো তথ্য নেই পুলিশ সদর দপ্তরের কাছে। হদিস নেই পুলিশের বিতর্কিত কর্তাদের

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে প্রথম থেকেই বিতর্কিত ভূমিকায় ছিলেন পুলিশের কিছু শীর্ষ কর্মকর্তা। আন্দোলনকারীদের হয়রানি, সমন্বয়কদের হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনসহ নির্বিচারে গুলি করে শতশত ছাত্র-জনতা হত্যার নির্দেশ-দাতা বিতর্কিত এসব কর্মকর্তা এখন লাপাত্তা। তাদের অবস্থান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যম ফেসবুকে নানা গুঞ্জন ছড়াচ্ছে। খোদ পুলিশের মধ্যেই আছে নানা আলোচনা। কেউ বলছেন, তারা একটি বিশেষ বাহিনীর হেফাজতে আছেন। কারও দাবি, তারা প্রশাসনের সহায়তায় দেশ ছেড়েছেন

 

আবার গণপিটুনি খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন-এমন তথ্যও ছড়ানো হয়েছে। পলাতক এসব কর্মকর্তার মধ্যে আছেন সাবেক এসবি প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, অ্যাডিশনাল ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ারদার, ঢাকা জেলার সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম প্রমুখ। প্রকৃত পক্ষে তারা কোথায় আছেন, কেন আইনের আওতায় আসছেন না, সে বিষয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। এসব কর্মকর্তাসহ পুলিশের শীর্ষ অনেকের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলাও হয়েছে। এখন পর্যন্ত তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক ও সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য শীর্ষ কর্তারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পুলিশে একচ্ছত্র প্রভাব ছিল সাবেক এসবিপ্রধান মনিরুল ইসলামের। বিসিএস ১৫তম ব্যাচের এ কর্মকর্তার বাড়ি গোপালগঞ্জের মোকসুদপুরে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থা-ভাজন হওয়ায় পুলিশে অঘোষিত ডন ছিলেন তিনি। তার কথার বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন না তৎকালীন আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন

আবার গণপিটুনি খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন-এমন তথ্যও ছড়ানো হয়েছে। পলাতক এসব কর্মকর্তার মধ্যে আছেন সাবেক এসবি প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, অ্যাডিশনাল ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ারদার, ঢাকা জেলার সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম প্রমুখ। প্রকৃত পক্ষে তারা কোথায় আছেন, কেন আইনের আওতায় আসছেন না, সে বিষয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। এসব কর্মকর্তাসহ পুলিশের শীর্ষ অনেকের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলাও হয়েছে। এখন পর্যন্ত তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক ও সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য শীর্ষ কর্তারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পুলিশে একচ্ছত্র প্রভাব ছিল সাবেক এসবিপ্রধান মনিরুল ইসলামের। বিসিএস ১৫তম ব্যাচের এ কর্মকর্তার বাড়ি গোপালগঞ্জের মোকসুদপুরে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থা-ভাজন হওয়ায় পুলিশে অঘোষিত ডন ছিলেন তিনি। তার কথার বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন না তৎকালীন আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন

সূত্র বলছে, ৫ আগস্ট পুলিশ সদর দপ্তর থেকে দেওয়াল টপকে বের হয়ে লাপাত্তা হন তিনি। তার অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা গুঞ্জন রটেছে। তিনি হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় একটি বাহিনীর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন-এমন তথ্য ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যম ফেসবুকে। আবার তিনি সীমান্ত পারি দিয়ে দেশ ছেড়েছে-এমন তথ্যও ফেসবুকে ছড়িয়েছে। তার বিরুদ্ধে অন্তত ৫০টি হত্যা মামলা হয়েছে। কিন্তু তাকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী


আরও খবর

বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বর-কণের উপস্থিতি ছাড়া বিয়ে পড়ান চরপাথরঘাটার ভূয়া কাজী!

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image



নিজস্ব প্রতিবেদক 

চট্টগ্রাম কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নে নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে কাজীর অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করলেও কাজীর কাছে নেই সরকারি কাবিন নামার বালাম বই। এমনকি অতিরিক্ত কাজী দাবিদার নিজে অনুপস্থিত ও জনৈক যুবক নিজেকে কাজী পরিচয় দিয়ে বর-কণের উপস্থিতি ছাড়াই বিয়ে পড়ান বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো এক প্রতিবেদনে
কর্ণফুলী ইউএনও তার বিস্তারিত তুলে ধরেন।

সূত্রে জানা যায়, কর্ণফুলীর ১ নং (খ) চরপাথরঘাটা ইউনিয়নে নিকাহ রেজিস্ট্রার শূন্য পদে ভুয়া কাজীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে ৪৪ পৃষ্ঠার সংযুক্তিসহ ৬ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন।

৩৭৮ স্মারকের ওই প্রতিবেদনের বিষয়টি তিনি জেলা রেজিস্ট্রার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছেও অনুলিপি প্রেরণ করেন।

এতে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুমা জান্নাত অভিযোগকারী চরলক্ষ্যার কাজী সৈয়দ মো. নজরুল ইসলাম, অভিযুক্ত পটিয়ার কাজী শরফুদ্দীন মো. সেলিম ও সহযোগী কামরুল ইসলামের শুনানি, লিখিত বক্তব্য ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করার কথা জানান।

পরে শুনানি শেষে ডিসির কাছে পাঠানো ইউএনও'র প্রতিবেদনে উঠে আসে, ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটার ইউনিয়নের কাজী মৌলানা নূরুল হুদা অবসর গ্রহণের পর থেকে পটিয়ার কাজী শরফুদ্দীন মো. সেলিম কয়েকবার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন।

দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন সময়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় হাইকোর্টে রিট, কনটেম্পট পিটিশন, সিভিল পিটিশন ফর লীভ টু আপীলসহ পাঁচটি মামলা হয়। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে পটিয়ার কাজী শরফুদ্দীন মো. সেলিম চরপাথরঘাটার অতিরিক্ত কাজীর দায়িত্ব দাবি করলেও শুনানিতে কাবিননামার বালাম বই কোথায় রাখা হয় তা জানাতে পারেননি। কাজী অফিসের চাবিও তাঁর কাছে রক্ষিত নেই। কাজীর সাইনবোর্ডে তার সহযোগী কামরুল ইসলাম নামক এক যুবকের ফোন নম্বর ঝুঁলিয়ে রেখেছেন। 

প্রতিবেদনে আরও জানান, আইনগত ভাবে এরূপ সহযোগী রাখার সুযোগ না থাকলেও 
পটিয়ার কাজী শরফুদ্দীন মো. সেলিম সহযোগী হিসেবে জনৈক কামরুল ইসলাম কে দিয়ে অফিস ব্যবস্থাপনা করেন, বালাম লিখান, বর-কণের উপস্থিতি ছাড়া নিকাহ রেজিষ্ট্রি (বিবাহ) করেন বলে উল্লেখ করেন।

এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না বলে তারা লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এমনকি সহযোগী কামরুল ভবিষ্যতে নিজেকে কাজী (নিকাহ রেজিস্ট্রার) পরিচয় দিবে না বলেও জানান। কিন্তু এখনো কামরুল নিজেকে কাজী পরিচয় দিয়ে অফিস খোলা রেখে বিবাহ রেজিস্ট্রার করছেন বলে  কাজী সৈয়দ মো. নজরুল ইসলামের অভিযোগ।

এসব উদ্ভুত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কর্ণফুলী ইউএনও প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করেন-আদালতে বিভিন্ন মামলা, শূন্য পদে কাজী নিয়োগে জটিলতা, নিকাহ রেজিস্ট্রার পরিচয়ে ভুয়া কাজী বিবাহ পড়ানো, কাজী না হয়েও সাইনবোর্ডে নিজের নম্বর লিখে প্রচার করায় জনসাধারণের মনে বৈধ কাজীর বিষয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তি ও জনদূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চরলক্ষ্যার কাজী সৈয়দ মো. নজরুল ইসলাম বলেন, 'কাজী শরফুদ্দীন মো. সেলিম কিসের ভিত্তিতে চরপাথরঘাটার অতিরিক্ত কাজী দাবি করছেন, এটিসহ আমি ৮টি অভিযোগ করেছিলাম। কিন্তু ইউএনও স্যার কৌশলে বিষয়গুলো এড়িয়ে গেছেন। কেন এড়িয়ে গেছেন তা আমি জানি না। এমনকি দীর্ঘদিন শরফুদ্দীন সেলিম ও তার সহযোগী কামরুল কাজী পরিচয়ে বিবাহ পড়িয়ে অনিয়ম দুর্নীতি করছেন। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেই প্রশাসনের।'

এ প্রসঙ্গে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুমা জান্নাত বলেন, 'উভয় পক্ষের লিখিত বক্তব্য ও সমস্ত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ৪৪ পৃষ্টার সংযুক্তিসহ জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।'

আরও খবর

রাজশাহীতে গলাকাটা এক নারীর লাশ উদ্ধার

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪