Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় রাস্তার পাশ থেকে অজ্ঞাতনামা যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় রাস্তার পাশ থেকে আনুমানিক ২৪-২৫ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে মহাদেবপুর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় লোকজন অজ্ঞাত নারীর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পায়। নারীর মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর জানাজানি হওয়ার পর এক নজর দেখার জন্য সেখানে মানুষ ভীড় জমান। মৃতদেহ পড়ে থাকার ঘটনাটি থানা পুলিশ কে জানানোর পরই মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসমত আলী সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স সহ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহাদেবপুর উপজেলার খাজুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাত্র দেড়-দুই'শ গজ পশ্চিমে দক্ষিণ সাইডে ওড়া নামক স্থানে মহাদেবপুর টু শিবপুর রাস্তার পাশে ছোটো একটি ঝোপের ভেতর অজ্ঞাত নারীর মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। তাৎক্ষণিকভাবে তারা থানায় সংবাদ দিলে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসমত আলী বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে  প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন অন্তে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করার প্রস্তুতি চলছে। ময়না তদন্তের পর তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে এখন পর্যন্ত  মৃত নারীর নাম-পরিচয় সনাক্ত হয়নি।


আরও খবর



ঝালকাঠি সাংবাদিক সংস্থার নতুন কমিটি

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, রাজাপুর. ঝালকাঠি :

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ঝালকাঠি জেলা শাখার নতুন কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। এতে সভাপতি পদে মো. এমদাদুল হক স্বপন এবং উপধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু পুনরায় দ্বিতীয় মেয়াদে সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

বুধবার ২৫ ডিসেম্বর সকালে ঝালকাঠি কলেজ রোডস্থ সংগঠনের কার্যালয়ে সকল কর্মকর্তা ও সদস্যদের উপস্থিতিতে বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংস্থার জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চুর সঞ্চালনায় সংগঠনের সভাপতি এমদাদুল হক স্বপন ঐ সভায় সভাপতিত্ব করেছেন।

মধ্যাহ্ন বিরতীর পর বিকেলে সভা শেষে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ঝালকাঠি জেলা শাখার ২০২৫-২০২৬ সালের জন্য দ্বি-বার্ষিক কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষনা দেয়া হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নতুন কমিটির নাম ঘোষনা করেন প্রবীন সাংবাদিক দৈনিক দুরযাত্রা পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক, এ সংগঠনের উপদেষ্টা জিয়াউল হাসান পলাশ।

আগামী দুই বছরের জন্য ঘোষিত নতুন এ কমিটিতে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক ছাড়াও অন্যান্য পদে যারা নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন সহ-সভাপতি হাসনাইন তালুকদার দিবস, মো. আউয়াল গাজী ও মাহাবুবুর রহমান। যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হয়েছেন মো. মাসুম খান, মো. রুবেল খান, মাহাবুবুর রহমান ও শফিকুল ইসলাম পান্নু।


এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো. নুরুজ্জামান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রিয়াজ মোর্শেদ, কোষাধাক্ষ পদে মো. বাবুল মিনা, দপ্তর সম্পাদক পদে কামরুজ্জামান সুইট, প্রচার সম্পাদক পদে মো. খলিলুর রহমান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে কাজী আবুল খায়ের মাসুম, সহ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে অঞ্জন হালদার নির্বাচিত হয়েছেন।

এ কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য হয়েছেন আরো ৭ জন। তারা হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্যবান সেন গুপ্ত, মো. ওমর ফারুক, আসাদুজ্জামান সোহাগ, মো. খরলিলুর রহমান, প্রভাষক মো. আমির হোসেন, মো. বুলবুল মল্লিক এবং অধ্যাপক অমরেশ রায় চৌধুরী।

 ২৩ সদস্য বিশিষ্ট্য কার্যনির্বাহী কমিটি ছাড়াও আরো ১২ জন রয়েছে সাধারন সদস্য পদে। এরা হলেন:  

হাসিবুর রহমান, মো. কামাল হোসেন মৃধা, আল মাসুদ সবুজ, এইচ এম গিয়াস উদ্দিন, মো. মাসুম বিল্লাহ, সুদেব মালাকার, সাইফুল্লাহ পনু শান্ত, একেএম মঞ্জুরুল হক, শংকর দাস পবন, আব্দুর রাজ্জাক রাজু, আসাদুজ্জামান আরেফিন,এবং আসাদুজ্জামান নিশাত।


আরও খবর



কমছে তাপমাত্রা বাড়বে শীত

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

রাজধানী ঢাকা এবং আশপাশের অঞ্চলে কুয়াশার কারণে আজ সূর্যের দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। যার ফলে দিনের বেলাতেও শীতের অনুভূতি থাকবে। একইসঙ্গে আজ রাতেও শীতের অনুভূতি আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি হতে পারে।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, আজ দেশের অধিকাংশ জায়গাতেই ঘন কুয়াশা পড়েছে। বাদ যায়নি ঢাকা। এখানেও কুয়াশার ঘনত্ব গতকালের তুলনায় অনেকটাই বেশি। দিনভর এমন অবস্থা বজায় থাকবে। দুপুরের পর স্বল্প সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিলতে পারে। তবে সেটি ঠান্ডার অনুভূতি কমাতে তেমন সহায়ক হবে না।

অন্যদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বুধবার সকাল ৭টায় প্রকাশিত পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসেও দিনে শীতের অনুভূতি বজায় থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও আশপাশের এলাকার আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকলেও আকাশ সাময়িকভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে ভোর থেকে হালকা ও মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়েছে। যার ফলে, দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে, খেজুরের গুঁড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, (কুড়িগ্রাম) 

বাংলার সংস্কৃতি বৈচিত্র্যময় পিঠা পায়েস এর কথা উঠতেই বাংলা মুলকে পৌষ কথা মনে আসে।পৌষের শীতে জমে উঠে পিঠা পুলি তৈরির আয়োজন,বিশেষ করে বাঙালিদের এই আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় পৌষ সংক্রান্তিতে,পৌষ সংক্রান্তি আবহমান বাংলার এক চিরায়ত সংস্কৃতি। পিঠা উৎসবের সঙ্গে এর ঘনিষ্ঠ যোগসূত্র রয়েছে,এর আরেক নাম মকরক্রান্তি পৌষ মাসের শেষ দিকে এই সংক্রান্তি পালন করা হয়।বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ এই দিনটি পিঠা উৎসবে পরিণত হয়।

শীত কাল আসলেই খেজুর রস ও রসের তৈরি গুড় দিয়ে পিঠা পায়েস খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। তারপর পৌষের শেষ দিকে বাঙালি সংস্কৃতি ঐতিহ্য পৌষ সংক্রান্তি কে সামনে রেখে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস ও রসের গুঁড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন খেজুর গাছিরা।এদিকে সংক্রান্তির দিনও ঘনিয়ে আসছে শীতের তীব্রতাও বেশি হচ্ছে রস ও গুড়ের চাহিদা ততই বেড়েই চলছে।


পৌষের এই কনকনে শীতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল গুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,প্রায় পরিবার গুলোতে খেজুর রস ও রসের তৈরি গুড় দিয়ে নানা রকমের পিঠা পুলি,পায়েস, ক্ষীর তৈরির এক রকম ধুম পড়ে গেছে। আবার কেউ কেউ পৌষ সংক্রান্তিতে সামনে রেখে নতুন করে পিঠা পুলি তৈরির উপকরণ তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।এই কারণে বর্তমান সময়ে খেজুর রস ও গুড়ের চাহিদা বেড়েই চলছে। এদিকে পৌষ সংক্রান্তি কে সামনে রেখে রস ও গুড়ের চাহিদা বাড়ায় শীতের তীব্রতা কে উপেক্ষা করে খেজুর রস সংগ্রহে ব্যস হয়ে পড়েছেন বিভিন্ন অঞ্চলের খেজুর গাছিরা।

দেখা গেছে খেজুর রস সংগ্রহকারী গাছিরা প্রতিদিনই গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার খেজুর গাছ গুলোতে ধারালো কাস্তে দিয়ে (চেঁচিয়ে) যেটাকে গ্রামের ভাষায় বলে,গাছ কাম দেওয়া বা পরিস্কার করা সেটি করে রস নামানোর জন্য একটি নল বসিয়ে দিয়ে ঠিক দুপুরের দিকে রস সংগ্রহের জন্য সেখানে বেঁধে দেওয়া হয় বিভিন্ন প্রকার হাঁড়ি,পাতিল,কলস প্লাস্টিকের জেরিকেন ইত্যাদি। রসের পাত্র গুলোর মুখে সুন্দর করে বেঁধে দেওয়া হতো নেট, কাপড় বা পলিথিন যাতে কোন ময়লা বা পাখপাখালির মলমূত্র রসের পাত্রের ভীতরে ঢুকতে না পারে।পরে দিন সাত সকালে খেজুর গাছ থেকে নামানো হয় রসে ভরা পাত্র গুলি।এভাবে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করেছেন গাছিরা,এই সুস্বাদু রস বিক্রির পাশাপাশি রসের তৈরি পাঁঠালি গুঁড় বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করে আর্থিক চাহিদা মেটাচ্ছেন গাছিরা।