Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করলেন প্রধান শিক্ষক

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নওগাঁর মান্দায় ক্লাসে পড়া না হওয়ায় ২০-২৫ জন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ উঠেছে নন এমপিও স্কুলের নামে পরীক্ষা দেওয়ানো সেই প্রধান শিক্ষক মোঃ ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার মান্দা উপজেলার চক গোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ে।

ঘটনাটি স্থানীয়দের মাধ্যমে জানার সাথে সাথেই বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন মান্দা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ। 

এঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পক্ষে ১০ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্র ইকবাল মঙ্গলবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

শিক্ষার্থীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অন্যান্য দিনের মতো সোমবার বিদ্যালয়ে যাওয়ার পর ৩য় ঘন্টার গণিত ক্লাসে পড়া না পারার জন্য ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পিটিয়ে শরীর রক্তাক্ত জখম করেছেন প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস আলী। তিনি শিক্ষার্থী ইকবালকে প্রায় ৫০ থেকে ৬০টি বেতের আঘাত করে বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করে বলে এতে আমার পুরো শরীর রক্তাক্ত হয়ে যায়। এভাবে আমাদের ক্লাসের ২০ থেকে ২৫ জন ছাত্রকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। তাৎক্ষনিকভাবে আমি নিজের প্রান বাঁচানোর তাগিদে স্কুলে বাহিরে চলে যাই। বিষয়টা এলাকাবাসিকে জানালে তারা উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানায়। পরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সরেজমিনে বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করেন এবং আমাকে সহ আমার সহপাঠীদের রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে যায়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত শরীরের ছবি ও ভিডিও অভিযোগের সাথে জমা দেন বলেও জানায় সে।

প্রতিবেদকের হাতে থাকা ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায় ইকবাল, মাহফুজুর, মুজাহিদ, সাকলাইন, মাহি, রাকিব, সাকিব, রনি, আরাফাত সহ ২০থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারপিট করা রক্তাক্ত শরীর। তারা সেই ভিডিওতে দাবি করেন প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস আলী তাদের এমন নির্মমভাবে নির্যাতন করেছেন।

এবিষয়ে জানার জন্য প্রধান শিক্ষক মোঃ ইদ্রিস আলীর মুঠোফোনে কল দিলে সে বিভিন্ন বিষয়ে ব্যস্ততা দেখিয়ে পড়ে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।

মারপিটের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ বলেন, মারপিটের ঘটনা ঘটার পর স্থানীয়রা আমাকে জানান। আমি জানার সাথে সাথেই বিদ্যালয়ে গিয়ে সরেজমিনে দেখে সত্যতা পেয়েছি। আর ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

এব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, আমি ঘটনাটি জানিনা বা আমাকে এই বিষয়ে কেউ জানায় নি। আপনার মাধ্যমেই প্রথম জানলাম। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখতে বলছি। ক্লাসে পড়া না পারলে কোন শিক্ষার্থীকে কি শারীরিক নির্যাতন করা যাবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শারীরিক নির্যাতন তো দূরের কথা শিক্ষার্থী মনোকষ্ট পাবে এমন কথাও বলা যাবেনা।


আরও খবর



নওগাঁয় দুদু

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে আন্দোলন জোরদার করতে হবে

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৯০জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার

তত্ত্বাবধায়ক সরকার এর দাবি আদায়ে সারা দেশে আন্দোলন আরো জোরদার করতে হবে বললেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি আরো বলেছেন, শিগগির নতুন আন্দোলনের ডাক আসবে। সেই আন্দোলন কে আমরা আগামী জুনের মধ্যে একটা যৌক্তিক অবস্থানে নিয়ে যাব। বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ের জন্য যা যা করা দরকার সব করা হবে।

শুক্রবার বিকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে তিনি নওগাঁয় আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। 

গায়েবি মামলায় গ্রেফতার, নির্যাতন, দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি'র প্রতিবাদ সহ সরকার পতনের ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নওগাঁ জেলা বিএনপির আয়োজনে নওগাঁ জেলা শহরের কেডির মোড়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথি'র বক্তব্যে শামসুজ্জামান দুদু আরো বলেন, আমাদের নেতা নতুন করে আন্দোলন শুরু করছেন। এর আগে পরীক্ষা হিসাবে বিভাগীয় পর্যায়ে রাজশাহী, খুলনা, ঢাকাসহ সব বিভাগে সমাবেশ হয়ে গেছে। এবার কিন্তু নতুন পর্যায়ের আন্দোলন হবে। এটা হচ্ছে শেষ আন্দোলন। শিগগির নতুন আন্দোলন কর্মসূচি আসছে। এই আন্দোলনকে আমরা আগামী জুনের মধ্যে একটা যৌক্তিক অবস্থানে নিয়ে যাব। বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ের জন্য যা যা করা দরকার সব করা হবে।

তিনি বক্তব্যে আরো বলেন, আমরা বলেছি, বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে। কিন্তু তারা সেটা করেনি। আমাদেরকে আইন ভাঙতে বাধ্য করবেন না। প্রয়োজন হলে জেল ভেঙে বেগম খালেদা জিয়াকে বের করে নিয়ে আসব। এখনো সময় আছে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। সম্মান থাকতে ক্ষমতা ছেড়ে চলে যান। এরপর যদি যান বেইজ্জতি হবে। তখন বাংলাদেশের জনগণ আপনাদেরকে মাফ করবে না।

এসময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, রাজনৈতিক দল হিসাবে আওয়ামী লীগের কোনো ক্ষমতা নেই। এখন প্রশাসনই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। পুলিশ ও প্রশাসন সহায়তা না করলে আপনারা এক ঘণ্টার মধ্যেই বিদায় নেবেন। পুলিশ যদি একটুখানি বিশ্রামে যায় আর প্রশাসনের লোকজন যদি আওয়ামী লীগকে চিনতে না পারে তাহলে তাদের বিদায় নিতে বেশি সময় লাগবে না।

নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কর্নেল (অবঃ) আব্দুল লতিফ খান, কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও নওগাঁ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামসুজ্জোহা খান, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও নওগাঁ পৌর সভার মেয়র নজমুল হক সনি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রহমান রিপন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন ও কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য আব্দুল মতিন প্রমুখ।


আরও খবর



বয়সের পার্থক্য কত হলে বিচ্ছেদের ঝুঁকি কম থাকে ?

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৪৫জন দেখেছেন

Image

সম্পর্ক শুরুর সময় একে অপরের প্রতি তীব্র আকর্ষণ থেকে বন্ধুত্ব, পরে প্রেম থেকে পরিণয় পাওয়ার সময়কালটা সব সময়ই আনন্দময়। এমন অনুভূতির মধ্যে দিয়ে যাওয়ার প্রতিটি পরতই খুব মোহময়।

তবে সেই প্রেম বা সম্পর্ককে ধরে রাখা, বা পরবর্তীতে বিয়ের পর দাম্পত্য অটুট রাখা মুখের কথা নয়। এক গবেষণায় উঠে এসেছে সম্পর্ক ধরে রাখতে বয়সের আদর্শ ফারাক নিয়ে কিছু তথ্য।

এ নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, আটলান্টার এমোরি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বয়সের ফারাক নিয়ে এক গবেষণায় বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরেছে।

তারা ৩০০০ জনের সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করেছে। সেখানে উঠে এসেছে দুজনের সম্পর্কে ৫ থেকে ৭ বছরের ফারাক, ১০ বছরের ফারাক ও সমবয়সীদের সম্পর্ক নিয়ে তথ্য।

৫ থেকে ৭ বছরের ফারাক: গবেষণায় বলা হচ্ছে, যে দম্পতিদের বয়সের ফারাক ৫ থেকে ৭ বছরের, সেখানে ১৮ শতাংশ সুযোগ রয়েছে বিচ্ছেদের। তুলনামূলকভাবে সমবয়সীদের মধ্যে সম্পর্ক অনেক বেশি স্থায়ী।

১০ বছরের ফারাক: দুজনের মাঝে বয়সের ফারাক ১০ বছরের হলে সেই সম্পর্ক ভাঙার সম্ভাবনা ৩৯ শতাংশ। এছাড়াও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যও বিভিন্ন বয়সীদের মধ্যে সম্পর্ক ভাঙার ক্ষেত্রে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়।

২০ বছরের ফারাক: দুজনের বয়সের ফারাক যদি ২০ বছরের হয় তাহলে সেই সম্পর্ক ভাঙার সম্ভাবনা ৯৫ শতাংশ। সেক্ষেত্রে এও বলা হচ্ছে যে, যদি বয়সের ফারাক ১ বছরের হয়, তাহলে সম্পর্ক ভাঙার সম্ভাবনা ৩ শতাংশ থাকে।

সম্পর্ক ও সন্তান: গবেষণা এও বলছে যে, সব সময় যে বয়সই একমাত্র বিচ্ছেদের কারণ হচ্ছে, তা নয়। রয়েছে আরও পারিপার্শ্বিক বিষয়। গবেষণায় বলা হচ্ছে, বিয়ের আগে সন্তান এলে সেই জুটির সম্পর্ক বেশ টেকসই হয়, সেক্ষেত্রে বিয়ের পরে সন্তান হওয়ার পরও অনেক সময় বিচ্ছেদের কবলে পড়তে পারেন ৫৯ শতাংশ।

এছাড়াও গবেষণা বলা হচ্ছে, সম্পর্ক স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে সমবয়সীদের প্রেমে। সেক্ষেত্রে একই বয়সের দুজনের মধ্যে প্রেম সম্পর্ককে স্থায়ী করে বলে ইঙ্গিত গবেষণার।


আরও খবর

রবীন্দ্র তীর্থস্থানে এক বিকেল

বুধবার ১৯ এপ্রিল ২০২৩




দশমিনায় গোখরা সাপে কামড়ে এক ছাত্রের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

মোঃ নাঈম হোসাইন দশমিনা (পটুয়াখালী) :

পটুয়াাখালীর দশমিনা উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নে গোখরা সাপর কামড়ে সৌরভ (১০) নামে এক শিশুর মৃত্য হয়েছে। সাপে কাটার পর পরিবার লোকেরা চিকিৎসকের পরিবর্তে ওঝাকে খবর দিয়ে বাড়িতে আনেন বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (১৯ মে) আলিপুর ইউনিয়নের পূর্ব আলিপুর গ্রামের আলী হোসেন মুন্সি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। সৌরভ ওই গ্রামের মো.খবির খলিফা ছোট ছেলে।

পারিবারিক সুত্র  জানা যায় পূর্ব আলিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প ম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন সৌরভ।

সৌরভ বাবা খবির খলিফা জানান, শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে বাড়ির সামনে পুকুরে আমার বাড়ির একটি শিশু  পরে গেলে তাকে  উঠানোর সময় আমার ছেলের ডান পায়ে গোখরা সাপে কাম দেয়।

কিছুক্ষণ পরে চিৎকার করলে আমি তাকে উঠিয়ে বাসায় নিয়ে আসি। তখন আমার পরিবারের লোকজন চিৎকার করলে এলাকার অনেক মানুষ এক্ষেত্রে হয়ার পরে। তাৎক্ষণিক আমার পরিবারের ও স্থানীয় লোকেরা পার্শ্ববর্তী উপজেলার গলাচিপা থানার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের মো.মনির হোসেন নামে এক ওঝাকে খবর দিলে বাড়িতে এসে ওঝা ঝাড়পোক করেন। 

তবে ওই ওঝা শেষ পর্যন্ত ঝারপোক দাও ব্যর্থ হয়ে পরেন। পরে সৌরভে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।এরপরে  সৌরভকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পরে  আনুমানিক  রাতে ৯ টার  সময়  চিকিৎসা দিন অবস্থা মারা জায়। 

এর আগে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা.মোস্তাফিজুর রহমানকে পরিবারের লোকজনেরা মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি বলেন,সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসার 'অ্যান্টিভেনম' আমাদের হাসপাতালে নেই। তাই আপনারা সাপে কাটার রোগীকে অতি দ্রুত পটুায়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।


আরও খবর



ইউক্রেনে ব্যাপক হামলা রাশিয়ার

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১১১জন দেখেছেন

Image

রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনজুড়ে বড় ধরনের হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। রুশ এই হামলার জেরে আহত হওয়ার পাশাপাশি ধ্বংসযজ্ঞের খবর পাওয়া গেছে। মূলত নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে বিজয় দিবস পালনের আগে ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার এই হামলার খবর সামনে এলো।

নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে বিজয় দিবস হিসেবে প্রতিবছর ৯ মে ভিক্টরি ডে রাশিয়ায় ব্যাপকভাবে পালিত হয়। নাৎসি জার্মানির পরাজয়ের বার্ষিকীকে চিহ্নিতকারী এই দিবসটি রাশিয়ার জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ এবং এই দিবসের প্রাক্কালেই রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনীয় শহরগুলোতে হামলার এই ঘটনা ঘটল।

রয়টার্স বলছে, রাজধানী কিয়েভে রাশিয়ার হামলার কারণে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলেছেন। এছাড়া রাশিয়ান নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কৃষ্ণ সাগরের তীরবর্তী ওডেসা শহরে একটি খাদ্যদ্রব্যের গুদামে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এবং ইউক্রেনের অন্যান্য কয়েকটি অঞ্চলেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।

মস্কো মঙ্গলবার তার বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য নাৎসি জার্মানির পরাজয়ের এই বার্ষিকী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এ কারণে মঙ্গলবারের মধ্যে বাখমুতের দখল নিতে রুশ বাহিনী শহরটির দিকে গোলাবর্ষণ আরও তীব্রতর করেছে বলে অবরুদ্ধ শহরটির প্রতিরক্ষার দায়িত্বে থাকা ইউক্রেনের শীর্ষ জেনারেল বলেছেন।

এদিকে কিয়েভের সোলোমিয়ানস্কি জেলায় বিস্ফোরণে তিনজন আহত হয়েছেন এবং সোভিয়াটোশিন জেলায় ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে অন্য আরও দুজন আহত হয়েছেন বলে মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলেছেন। এই দুটি শহরই রাজধানী কিয়েভের কেন্দ্র থেকে পশ্চিমে অবস্থিত।

কিয়েভের সামরিক প্রশাসন বলেছে, ইউক্রেনের রাজধানীতে অবস্থিত জুলিয়ানি বিমানবন্দরের রানওয়েতে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়েছে। এতে সেখানে কোনও আগুন লাগেনি, তবে জরুরি পরিষেবাগুলো সেখানে কাজ করছে। কিয়েভে দুটি যাত্রীবাহী বিমানবন্দর রয়েছে এবং জুলিয়ানি বিমানবন্দর তার একটি।

সামরিক প্রশাসন আরও বলেছে, কিয়েভের কেন্দ্রীয় শেভচেনকিভস্কি জেলায় ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ একটি দ্বিতল ভবনে আঘাত করেছে বলে মনে হচ্ছে এবং এর ফলে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে এই ঘটনায় সম্ভাব্য হতাহতের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, তারা কিয়েভে অসংখ্য বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আক্রমণ প্রতিহত করছে। অবশ্য কিয়েভের দিকে কতগুলো ড্রোন উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।

ওডেসার সামরিক প্রশাসনের মুখপাত্র সেরহি ব্রাচুক তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে একটি বিশাল অবকাঠামোর ছবি পোস্ট করেছেন। ওই অবকাঠামোটি সম্পূর্ণরূপে আগুনে নিমজ্জিত হয়েছে। তিনি বলেছেন, এই খাদ্য গুদামের পাশাপাশি অন্যান্য স্থাপনাতেও রাশিয়া আক্রমণ চালিয়েছে।

মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশজুড়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে বিমান হামলার সতর্কতা জারি ছিল। এছাড়া খেরসনের দক্ষিণাঞ্চলে এবং দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত জাপোরিঝিয়া অঞ্চলেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

জাপোরিঝিয়াতে রাশিয়ান-নিযুক্ত স্থানীয় কর্মকর্তা ভ্লাদিমির রোগভ বলেছেন, রাশিয়ান বাহিনী এই অঞ্চলের ছোট শহর ওরিখিভে একটি গুদাম এবং ইউক্রেনীয় সেনাদের অবস্থানে আঘাত করেছে। রয়টার্স স্বাধীনভাবে এই তথ্য যাচাই করতে সক্ষম হয়নি।

পৃথকভাবে রাশিয়ান বাহিনী রোববার উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলে আটটি স্থানে গোলাবর্ষণ করেছে বলে আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসন এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে।

গত দুই সপ্তাহে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বিশেষ করে ক্রিমিয়াতেও হামলা জোরদার হয়েছে। ইউক্রেন এসব হামলার পেছনে কোনও ভূমিকা রেখেছে কিনা তা নিশ্চিত না করেই বলেছে, শত্রুর অবকাঠামো ধ্বংস করে দীর্ঘ-প্রত্যাশিত স্থল হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।

ইউক্রেনে রাশিয়ার এই আগ্রাসন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় সংঘাতের জন্ম দিয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। এছাড়া আরও লাখ লাখ লোককে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে এই সংঘাত।

 


আরও খবর



কেরালায় পর্যটকবাহী নৌকাডুবিতে ২২ জন নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১৫১জন দেখেছেন

Image

ভারতের কেরালায় দোতলা একটি হাউসবোট উল্টে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৭ মে) সন্ধ্যায় রাজ্যটির মালাপ্পুরম জেলার উপকূলীয় শহর তানুরের সৈকতের কাছে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানিয়েছে, থুভালথিরাম সৈকতের কাছে নোঙর করা হাউসবোটটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে উল্টে যায়, অতিরিক্ত মানুষের ভারে এ ঘটনা ঘটে।

বোটটিতে টিকিটধারী ৪০ জন থাকলেও টিকিট ছাড়া অনেকে ছিলেন। তবে ঠিক কতজন ছিলেন, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বোটটির নিরাপত্তা ছাড়পত্রও ছিল না বলে খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের।

মালাপ্পুরম জেলার সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল নজর বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, অতিরিক্ত যাত্রীর ভারেই বোটটি ডুবে গেছে। উদ্ধার করার পর ১০ জনের মতো যাত্রীকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং আরো অনেককে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

কেরালার মৎস ও বন্দর উন্নয়নমন্ত্রী ভি. আব্দুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বোটটি ঘোলা পানিতে আটকা পড়ে। এর ভেতরে যারা আটকা পড়ে আছেন তাদের উদ্ধার করতে বোটটিকে টেনে আনা হয়। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

হাসপাতালে ভর্তি থাকা যাত্রীদের মধ্যে অন্তত চারজনের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানিয়েছেন তিনি।

কেরালার রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (কেএসডিএমএ) মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে কাজ করে। তারা পানির নিচে ক্যামেরা ব্যবহার করে উদ্ধারকাজ চালান।

বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় যাত্রীদের অনেকেই লাইফ জ্যাকেট পরা ছিলেন না।

এ ঘটনায় ঠিক কতজন নিখোঁজ রয়েছেন, তাৎক্ষণিকভাবে তা পরিষ্কার হয়নি। দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে দেখছে কর্তৃপক্ষ।

এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে মৃতদের প্রত্যেকের পরিবারকে দুই লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।


আরও খবর