Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু- প্রবাস ফেরত স্বামী আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় প্রবাসী স্বামী বাড়িতে ফেরার মাত্র ৩ দিনের মাথায় স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ উদ্ধার সহ নিহতের স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। রহস্যজনক এ গৃহবধূ মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার বাগাচারা দক্ষিণপাড়া গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানিয় সুত্র জানায়, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর ইউনিয়নের বাগাচারা দক্ষিণপাড়া গ্রামের ওসমান গণির ছেলে চঞ্চল হোসেন (৩৫) তার স্ত্রী শান্তনা পারভীন (৩২) ও একমাত্র সন্তান শিশু মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১৩) কে নিজ বাড়িতে রেখে প্রবাসে পাড়ি জমান এবং মাত্র ৩ দিন পূর্বে (দেশে) নিজ বাড়িতে আসেন চঞ্চল হোসেন। প্রবাস থেকে দেশে ফেরার মাত্র ৩ দিনের মাথায় মঙ্গলবার ১৭ জানুয়ারী ভোররাতে চঞ্চল হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন ডাক চিৎকার দিয়ে ওঠলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। এসময় প্রতিবেশীদের কাছে চঞ্চল হোসেন জানান, সোমবার দিনগত রাতের খাবার খেয়ে শিশু মেয়েকে সহ তারা স্বামী-স্ত্রী নিজ শয়ন ঘড়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুম থেকে জেগে দেখতে পান শয়ন ঘড়ে সেলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগানো অবস্থায় স্ত্রী সান্তনা পারভীনের ঝুলন্ত মৃতদেহ। এসময় স্বামীর পরিবার সান্তনা পারভীন গলায় ফাঁসদিয়ে আত্নহত্যা করেছে বলে দাবি করলেও স্বামী প্রবাস থেকে ফেরার মাত্র ৩ দিনের মাথায় গৃহবধূ সান্তনা পারভীনের  মৃত্যু রহস্যজনক বলে মনে করেন স্থানিয়রা। পরবর্তীতে নিহত সান্তনা পারভীনের পিতার বাড়ির লোকজন সহ স্বজনরা ঘটনাস্থলে পৌছার পর তাদের মাঝেও সন্দেহ দেখা দেয়। এসময় স্বজন সহ স্থানিয়দের মাঝে 'একই ঘড়ে স্বামী ও সন্তান থাকার পরও গৃহবধূ সান্তনা পারভীন গলায় ওড়নার ফাঁস দিলো' স্বামী চঞ্চল হোসেন জানতে পারলো না, আসলে সান্তনা পারভীন আত্নহত্যা করেছে কিনা তাকে হত্যা করে আত্নহত্যার প্রচার করা হচ্ছে এমন নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। এক পর্যায়ে স্থানিয়রা নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ কে খবর দেয়। খবর পেয়ে নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ উত্তম কুমার বিস্বাস ও ফাঁড়ির এসআই এ এম ফারুক ঘটনাস্থলে পৌছে বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে অবগত করলে মহাদেবপুর সার্কেল (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) জয়ব্রত পাল ও মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার ওসি মোজাফ্ফর হোসেন প্রতিবেদক কে জানান, গৃহবধূ মৃত্যুর খবর পেয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা সহ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করা সহ, প্রাথমিক সুরতহাল রির্পোট অন্তে মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে নিহত গৃহবধূ সান্তনা পারভীনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং নিহতের স্বামী চঞ্চল হোসেন কে আটক করা হয়েছে। এব্যাপারে থানায় একটি রেগুলার মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন ওসি। 


আরও খবর



"হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন মাইজভাণ্ডারী (রহঃ) মানুষের অন্তর জয় করেছেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মাইজভাণ্ডার শরীফের সাজ্জাদানশীন, সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী বলেছেন,"সুফিরা জ্ঞানের গরিমা দিয়ে নয় ; তাদের সুন্দর ব্যবহার, চরিত্র, নম্রতা, বিনয় ও হেকমতের মাধ্যমে মানুষের অন্তর জয় করতে পেরেছেন বলেই, কোটি কোটি মানুষ তাদের মাধ্যমে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে এসেছে। অন্য ধর্মের মানুষরা পবিত্র কুরআন বা ইসলাম সম্পর্কে জানতো না ; কিন্তু সুফিদের প্রতি প্রবল আকর্ষণের কারণে তারাও সুফিদের জীবনাচরণ ও ধর্মকে গ্রহণ করেছিলো। যুগে যুগে সুফিদের মাধ্যমেই ইসলামের খেদমত হয়েছে। সুফিরা অন্ধকার হৃদয়কে আলোকিত করতে পারেন। কারণ তারা আল্লাহর গুণে গুণান্বিত। বাহ্যিক জ্ঞানের চেয়ে অপ্রকাশ্য জ্ঞান অনেক বেশি মহিমান্বিত। সুফিরা সেই জ্ঞানে জ্ঞানী। হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন মাইজভাণ্ডারী (রহঃ) ছিলেন বিশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সুফি। সমগ্র বিশ্বে যেমন তার সম্মান মর্যাদার সাথে বিচরণ ছিলো, তেমনি বাংলাদেশের আনাচে কানাচে তিনি আল্লাহ্ ও নবীপ্রেমের ঢেউ তুলেছেন। অভাবী, অসহায়, দরিদ্র মানুষকে তিনি পরম মমতায় বুকে জড়িয়েছেন। তাদের সুখ-দুঃখের কথা শুনেছেন।

স্রষ্টা ও সৃষ্টির প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসাই ছিলো তার দর্শন। এভাবে তিনি মানুষের অন্তর জয় করেছেন বলেই তার হাতে হাত রেখে হাজারো মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেছেন। আবার অজস্র প্রাণে তিনি নবীপ্রেমের আলো জ্বেলেছেন। মানবতার জন্য তিনি ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। ইসলাম, সুফিবাদ, তরিকা ও মানবতায় তার অনন্য অবদানের জন্যই তিনি মহাকালকে জয় করতে পেরেছেন।"

২৯শে মার্চ, ২০২৪ মিরপুর-১ মাইজভাণ্ডার মইনীয়া খানকাহ্ শরীফে হুযুর গাউসুল ওয়ারা, হযরাতুলহাজ্ব আল্লামা শাহ্সুফি সাইয়্যিদ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী (রহঃ) স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহ্ফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রিয় নবিজী, (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও তার বংশধরগণের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম পেশ শেষে ফিলিস্তিনের জনগণসহ দেশ ও বিশ্ববাসীর কল্যাণ কামনায় মুনাজাত করা হয়।


আরও খবর



গরম বাড়বে, তাপপ্রবাহ নিয়ে দুঃসংবাদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দেশের পাঁচটি বিভাগের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এর পাশাপাশি কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্য জায়গায় আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তবে এ সময় রংপুর বিভাগের নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলা এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়া অফিসের। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে। এ পরিস্থিতি আগামী কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পাবনার ঈশ্বরদী এবং বাগেরহাটের মোংলায় সোমবার দেশের সর্বোচ্চ ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এদিন ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



বুড়িগঙ্গার পানি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে জলজ প্রাণী বেঁচে থাকার সুযোগ নেই। জলজ প্রাণী বেঁচে থাকার জন্য দ্রবীভূত অক্সিজেন (ডিও) ৪ মিলিগ্রাম/লিটার থাকা প্রয়োজন। কিন্তু বুড়িগঙ্গা নদীতে সদরঘাট টার্মিনাল থেকে শ্যামপুর বিআইডব্লিউটিএ টার্মিনাল পর্যন্ত দ্রবীভূত অক্সিজেন (ডিও) মাত্র ০.১৪ থেকে ০.৭২ মিলিগ্রাম/লিটার বলে জানিয়েছে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলন (পরিজা) ও মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্র।

বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (২২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে পরিজা ও মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে প্রতিবেদন প্রকাশ ও গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে জানানে হয়, পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মিঠা পানি নদীবেষ্টিত শহর ঢাকা। এই বিশাল মিঠা পানির জলাধার ইতোমধ্যে ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তাছাড়া অভিন্ন নদীর পানি উজান থেকে প্রত্যাহার করায় ধীরে ধীরে উত্তরাঞ্চল মরুকরণের দিকে যাচ্ছে এবং দক্ষিণাঞ্চলের নদীগুলোতে লবণাক্ততা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ পানির কারণে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় নেমে আসবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুড়িগঙ্গা নদীর পরিবেশ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। এতে কোনো জলজ প্রাণী বেঁচে থাকার সুযোগ নেই। অপরিশোধিত শিল্পকারখানায় বর্জ্য ও পয়:বর্জ্য, নৌযানের বর্জ্য, কঠিন বর্জ্য নদীতে ফেলার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

পরিজার সভাপতি প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও ডাকসুর সাবেক জিএস ডা. মোস্তাক হোসেন।

বক্তারা বলেন, জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী বিশ্বে বর্তমানে ২.২ বিলিয়ন মানুষ বিশুদ্ধ পানীয় জল থেকে বঞ্চিত এবং এদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্ব জনসংখ্যা ২ বিলিয়ন বৃদ্ধি পাবে এবং বিশ্বব্যাপী পানির চাহিদা ৩০ শতাংশ বেড়ে যাবে। বর্তমানে বিশ্বে কৃষি খাতে ৭০ শতাংশ (যার বেশির ভাগই সেচ কাজে), শিল্প খাতে ২০ শতাংশ (বিশেষ করে জ্বালানি ও উৎপাদনে), গৃহস্থালি কাজে ১০ শতাংশ (যার এক শতাংশেরও কম সুপেয় পানি) হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

এদেশে ছোট বড় ৪০৫টি নদী রয়েছে। এরমধ্যে অভিন্ন নদীর সংখ্যা ৫৭টি। ৫৪টি ভারতের এবং ৩টি মিয়ানমারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। দেশের নদীগুলোর ৪৮টি সীমান্ত নদী, ১৫৭টি বারোমাসি নদী, ২৪৮টি মৌসুমী নদী। মানুষের অত্যাচারে নদীগুলো আজ মৃতপ্রায়। উজানে পানি প্রত্যাহারের কারণে উত্তরাঞ্চলের নদীগুলো শুল্ক বালুচরে পরিণত হয়েছে এবং দক্ষিণাঞ্চলের নদীগুলোতে লবণাক্ততা বেড়েই চলেছে। দখল, ভরাট, আর বর্জ্যে নদীগুলো এখন নিস্তব্ধ স্রোতহীন এবং দূষণের ভারে পানি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে জীববৈচিত্র শূন্য হয়ে পড়ছে। ফলে পরিবেশ, প্রতিবেশ, অর্থনীতি, জনস্বাস্থ্য ও জীবন-জীবিকা মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন।

ডা. মোস্তাক হোসেন বলেন, নিরাপদ পানি অভাবে মানব শরীরের কিডনি, লিভার, হার্টসহ নানান অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যেতে পারে। নিরাপদ পানির অভাবে ঢাকা শহরের অধিকাংশ মানুষ পেটের সমস্যাসহ নানান সমস্যায় ভুগে থাকেন।

ঢাকা শহরের লক্ষ লক্ষ প্রান্তিক মানুষ পানির ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত দাবি করে পরিজার সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল বলেন, সকালবেলায় বস্তির মানুষেরা এক কলসি পানির জন্য এই শহরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে; যা তাদের জীবন জীবিকাকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলছে। সরকারকে এই প্রান্তিক মানুষের কথা ভেবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

একটি রোডম্যাপ করে দেশব্যাপী পানির অধিকারের জন্য আন্দোলন গড়ে তুলতে আহ্বান জানান মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের সদস্য সচিব মাহবুল হক।

 


আরও খবর



কলেরার প্রাদুর্ভাবে বৈশ্বিক কর্মসূচি ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কলেরার প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত অঙ্গ সংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। পানিবাহিত এই প্রাণঘাতী রোগটির প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে তাই বড় আকারের টেস্ট কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈশ্বিক এই সংস্থাটি।

ডব্লিউএইচওর হিসেব অনুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে কলেরায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪ লাখ ৭৩ হাজার জন। ২০২৩ সালে সেই সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ ৭ লাখ। চলতি ২০২৪ সালে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আলামত পাওয়া যাচ্ছে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত দুতিন বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমরা কলেরার অনাকাঙিক্ষত ও উদ্বেগজনক প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করছি। এই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে কলেরার বৈশ্বিক টেস্ট কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো কলেরা নির্ভুলভাবে শনাক্ত করা এবং নিয়মিত নজরদারি এবং কলেরা টেস্ট বিষয়ক সক্ষমতা বাড়ানো।

আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিভিন্ন দেশে কলেরা টেস্টের সরঞ্জাম পৌঁছে যাবে। প্রাথমিক ভাবে মালাউই, ইথিওপিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, জাম্বিয়াসহ মোট ১৪টি দেশে পাঠানো হবে সরঞ্জাম।

এ কর্মসূচিতে ডব্লিউএইচওর অংশীদার হিসেবে রয়েছে আন্তর্জাতিক টিকা সহায়তা সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (গ্যাভি), জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এবং কলেরা প্রতিরোধ সংক্রান্ত বৈশ্বিক সংস্থা গ্লোবাল টাস্কফোর্স অন কলেরা কন্ট্রোল।


আরও খবর



অভিযান বন্ধে দস্যুদের চাপের মুখে নাবিকরা

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি জিম্মি হওয়ার পর থেকে দস্যুদের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। এমন খবরে অভিযান বন্ধ করতে নাবিকদের ওপর চাপ দিচ্ছে দস্যুরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেশের সিনিয়র নাবিক ক্যাপ্টেন আতিক ইউএ খান জানান, গত দুদিন আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী জিম্মি হওয়া জাহাজটিকে চাপের মুখে রেখেছে। অন্যদিকে দস্যুরাও অভিযান বন্ধ করতে নাবিকদের ওপর চাপ দিচ্ছে। দস্যুরা নৌবাহিনীর উদ্দেশে বলেছে, বাড়াবাড়ি করলে জাহাজ তীরে তুলে দেবে।

এদিকে, জিম্মি হওয়া জাহাজের মালিকপক্ষ ও সরকার নাবিকদের নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তারা শান্তিপূর্ণ উপায়ে কোনো ক্ষতি ছাড়াই নাবিক ও জাহাজটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে।

জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমর মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, আমরা কোনো ধরনের সামরিক অভিযানকে সমর্থন করছি না। তাছাড়া রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও সুস্পষ্ট বার্তা হচ্ছে সহিংস অভিযান পরিচালনা করা যাবে না।

তিনি বলেন, নাবিকদের সুস্থভাবে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে মধ্যস্থতার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তবে এখন পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত সাড়া পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের দিকে সব থেকে বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছিল সোমালিয়ার দস্যুরা। দশ বছর চুপচাপ থাকার পর গত নভেম্বর থেকে ফের সক্রিয় হয়ে ওঠে তারা। তাদের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। মুক্তিপণ হিসেবে শত শত মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছে দস্যুরা।


আরও খবর

ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট?

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪