Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় ''সুফলা নওগাঁ এগ্রো প্রজেক্ট'' এর সু-ফল পাচ্ছে কৃষি উদ্যোক্তারা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর রাণীনগরের “সুফলা নওগাঁ এগ্রো প্রজেক্ট” একটি সমবায় ভিত্তিক একটি কৃষি প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যই নতুন নতুন জাতের উচ্চ মূল্যের ফসল ফলিয়ে সমবায় ভিত্তিক এই কৃষি প্রতিষ্ঠানটি নিজ এলাকা সহ দেশের কৃষি জগতে অগ্রনী ভূমিকা রাখায় কৃষি উদ্যোক্তাদের কাছে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। 

''সুফলা নওগাঁ'' বর্তমানে দেশের নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তাদের কাছে অনুপ্রেরণার বাতিঘর হিসেবে আলো ছড়িয়ে আসছে। 

উত্তরবঙ্গের মধ্যে প্রথম বারের মতো এই প্রজেক্টে নতুন সংযোজনের মাধ্যমে চাষ করা হচ্ছে টিস্যুকালচারের জি-৯ জাতের উচ্চ ফলনশীল কলা। দেশের সাধারণ কলার চেয়ে অধিক লাভজনক হিসেবে জি-৯ জাতের কলা বর্তমানে এই অঞ্চলের কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে চলেছে। এই কলার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে জি-৯ জাতের কলা পাঁকার এক সপ্তাহ যাবত সংরক্ষণ করা সম্ভব। এছাড়াও সাধারণ কলার চাইতে এই কলার পুষ্টিগুনও অনেক বেশি বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। 

প্রজেক্টের পরিচালক হাবিব রতন বলেন তরুন বেকার এবং প্রান্তিক কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে ২০১৯ সালে সম্মিলিত ভাবে গড়ে তোলেন “সুফলা নওগাঁ এগ্রো প্রজেক্ট” নামের ব্যতিক্রমী কৃষি প্রতিষ্ঠানটি। প্রায় ৬ মাস অর্থ সংগ্রহের পর উপজেলার চকাদিন গ্রামে দুই একর জমি ১০ বছরের জন্য লিজ নিয়ে শুরু হয় মিশ্র ফল বাগান সৃজনের কাজ। বর্তমানে তা সম্প্রসারিত হয়ে চার একর জমিতে বিস্তার লাভ করেছে। করোনাকালীন সময়ে বীজ-বিহীন চায়না-৩ লেবু চাষে সবচেয়ে বেশি পরিচিত করে তোলে সুফলা নওগাঁকে। এরপর থেকে আর পেছন ফিরে দেখতে হয়নি। বর্তমানে প্রজেক্টটি সম্প্রসারিত করে অন্যান্য স্থানে চাষ করা হচ্ছে নানা জাতের উচ্চ মূল্যের ফসল। বর্তমানে নতুন করে আশা জাগাচ্ছে উচ্চ ফলনশীল দীগন্ত জি-৯ জাতের কলা ও বানানা ম্যাংগো আম চাষ।  


জি-৯ জাতের কলা চাষ নিয়ে হাবিব রতন আরো জানান, উত্তরবঙ্গের মধ্যে এই প্রথম নওগাঁ জেলায় টিস্যুকালচারের জি-৯ জাতের কলার বাণিজ্যিক বাগান সুফলা নওগাঁর হাত ধরেই সূচিত হয়েছে। রোগ-বালাই প্রতিরোধী ও রপ্তানী যোগ্য জি-৯ জাতের কলার চাষ দারুন লাভজনক। প্রচলিত কলার গাছে প্রতিটি কাঁদিতে কলা পাওয়া যায় ৬০-১২০টি আর জি-৯জাতের কলার প্রতিটি কাঁদিতে ২০০-২৪০টি কলা পাওয়া যায়। সম্ভাবনাময় জি-৯কলা চাষ সম্প্রসারণে আগ্রহী কৃষকদের নিয়ে উদ্বুদ্ধকরণ সভা এবং প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে। আলট্রা হাইড্রেনসিটিতে ব্যানানা ম্যাংগো আম বাগানও সৃজন হয়েছে। তারা এই অঞ্চলের কৃষিকে আরো আধুনিক ও লাভজনক করতে আধুনিক প্রযুক্তিতে উচ্চ মূল্যের সবজিও চাষ করছেন এবং সেগুলো বিস্তারের আশায় আশেপাশের অঞ্চলের আগ্রহী কৃষকদের মাঝেও চারা সহজেই পৌছে দিচ্ছেন। বর্তমানে তাদের প্রজেক্টে আধুনিক ফল যেমন মাল্টা, কমলা, ড্রাগন ও অন্যান্য ফলের আধুনিক জাত চাষ করা হচ্ছে। ফলে এই প্রজেক্টে ১২-১৫ জন স্থানীয় বেকার মানুষের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হয়েছে। প্রতিদিনই এই অঞ্চল সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কৃষি উদ্যোক্তারা তাদের প্রজেক্ট পরিদর্শন করছেন। তাদের এই প্রজেক্ট দেখে অনেকেই আধুনিক লাভ জনক কৃষির প্রতি ঝুঁকছেন আর তাদের সহযোগিতা নিয়ে গড়ে তুলছেন নতুন নতুন কৃষি প্রজেক্ট। 

সিলেট থেকে এই প্রজেক্ট পরিদর্শন করতে আসেন কৃষি উদ্যোক্তা আব্দুল মোমিন। তিনি তার প্রতিক্রিয়ায় জানান দেশের কৃষিকে আরো আধুনিক ও কৃষকদের অল্প পরিশ্রমে এবং কম খরচে অধিক লাভবান করতে সুফলা নওগাঁ প্রজেক্টের অবদান অনেক। এই প্রজেক্টের মাধ্যমে কৃষি উদ্যোক্তাদের মাঝে কম মূল্যে বিভিন্ন ফসলের চারা সরবরাহ করাসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়। নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে ও জি-৯ জাতের কলার চাষসহ উচ্চ মূল্যের বিভিন্ন ফল চাষে অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছে সুফলা নওগাঁ। আমিও তাদের কাছ থেকে অনেক উচ্চ ফলনশীল জাতের চারা সংগ্রহ করেছি।

রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা হক বলেন, সুফলা নওগাঁ এগ্রো প্রজেক্ট কৃষির জগতে এক ব্যতিক্রমী নাম। আধুনিক কৃষির অনুপ্রেরণা হচ্ছে সমবায় ভিত্তিক এই প্রজেক্টটি। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সুফলা নওগাঁকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রেখেছি। পড়ালেখা শেষ করে চাকরীর পেছনে না ছুটে সুযোগ থাকলে সুফলা নওগাঁর মতো কৃষি প্রজেক্ট গড়ে তোলা সম্ভব। ডিজিটাল যুগে এখন সবকিছুই হাতে মুঠোয়। এছাড়া নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তাদের সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের সহযোগিতাও প্রদান করা হচ্ছে। তাই সুফলা নওগাঁর মতো এমন কৃষি প্রজেক্ট গড়ে তোলা সম্ভব হলে একদিকে যেমন দেশের কৃষি ও কৃষকরা আধুনিক হবে তেমনি ভাবে কৃষকরাও ফসল চাষে অধিক লাভবান হতে পারবেন। 


আরও খবর



সারাদেশে ২৪ দিনে ১৯৭ টি অগ্নিসংযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

ঢাকায় বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী দলগুলোর ডাকা মহাসমাবেশের দিন (২৮ অক্টোবর) থেকে সোমবার (২০ নভেম্বর) পর্যন্ত সারা দেশে ২৪ দিনে অন্তত ১৯৭টি যানবাহন ও স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের খবর পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। এই সময়ে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর হরতাল, অবরোধ ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে সারা দেশে এসব যানবাহন ও স্থাপনায় আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। সেই হিসাবে দেশে প্রতিদিন প্রায় সাতটি যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে, এর মধ্যে গড়ে প্রতিদিন প্রায় পাঁচটি করে বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মিডিয়া কর্মকর্তা তালহা বিন জসীম এ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

২৮ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত দেওয়া আগুনে মোট ১৮৫টি যানবাহন ও ১৫টি স্থাপনা পুড়েছে। যানবাহনের মধ্যে বাস ১১৮টি, ট্রাক ২৬টি, কাভার্ড ভ্যান ১৩টি, মোটরসাইকেল আটটি, প্রাইভেটকার দুটি, মাইক্রোবাস তিনটি, পিকআপ তিনটি, সিএনজি তিনটি, ট্রেন দুটি, নছিমন একটি, লেগুনা তিনটি, ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী গাড়ি একটি, পুলিশের গাড়ি একটি, অ্যাম্বুলেন্স একটি, বিএনপির দলীয় কার্যালয় পাঁচটি, আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় একটি, পুলিশ বক্স একটি, কাউন্সিলর অফিস একটি, বিদ্যুৎ অফিস দুটি, বাস কাউন্টার একটি, শোরুম দুটিসহ আরও দুটি স্থাপনা পুড়েছে।

এসব আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৩৪১টি ইউনিট ও এক হাজার ৮৮৮ জন জনবল কাজ করেছেন বলেও জানান তালহা বিন জসিম।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা তালহা বিন জসীম জানান, সারা দেশের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় আগুনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি। আর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মধ্যে মিরপুর এলাকায় সবচেয়ে বেশি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এই সময়ে সবমিলিয়ে মোট ৩৪ জেলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বাকি ৩০টি জেলায় আগুনের ঘটনা ঘটেনি।

আর উপজেলার হিসাবে দেশের ৬০টি উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বাকি ৪৩৫টি উপজেলায় কোনও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেনি। জেলা হিসেবে গাজীপুরে, উপজেলা হিসেবে বগুড়া সদরে আগুনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি।

ফায়ার সার্ভিসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঢাকা সিটিতে ৯৫টি, ঢাকা বিভাগে ৩৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২২টি, রাজশাহী বিভাগে ২৪টি, বরিশাল বিভাগে সাতটি, রংপুর বিভাগে সাতটি, খুলনা বিভাগে দুটি, ময়মনসিংহ বিভাগে দুটি এবং সিলেট বিভাগে একটি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় আগুনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৬০টি, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩৫টি আগুনের ঘটনা ঘটে।

এলাকাভিত্তিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, মিরপুরে এলাকায় আগুনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি। মিরপুর এলাকায় ১৭টি, গুলিস্তানে ৯টি, নয়াপল্টন-কাকরাইল এলাকায় সাতটি, খিলগাঁও-মুগদা এলাকায় সাতটি, পোস্তাগোলা-যাত্রাবাড়ী এলাকায় সাতটি, মতিঝিল-আরামবাগ এলাকায় পাঁচটি, মোহাম্মদ চারটি ও বারিধারা চারটি করে আগুনের ঘটনা ঘটে।

এদিকে জেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গাজীপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গাজীপুরে ১৬টি, চট্টগ্রামে ১৪টি, বগুড়া ১৩টি, নারায়ণগঞ্জ ছয়টি, মানিকগঞ্জ চারটি, ফরিদপুর চারটি, লালমনিরহাট চারটি ও নাটোর চারটি করে আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস।

এছাড়া উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বগুড়া সদর উপজেলায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা সবচেয়ে বেশি। বগুড়া সদরে আটটি, গাজীপুর সদরে ছয়টি, নারায়ণগঞ্জ সদরে চারটি, ফেনী সদরে তিনটি এবং কালিয়াকৈর উপজেলায় চারটি করে আগুনের ঘটনা ঘটে।

অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রমে সারা দেশে ফায়ার সার্ভিসের দুই কর্মী ও তিন জন সাধারণ মানুষকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তবে এসব অগ্নিকাণ্ডে নিহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে জানান ফায়ার সার্ভিস।

 


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




নওগাঁয় এক গৃহ-বধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

নওগাঁয় এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত গৃহবধূ হলেন, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর ইউনিয়ন এর তেজপাইন গ্রামের পরিতোষ চন্দ্র সরকার (৩৩) এর স্ত্রী শিউলি রানী সরকার (২৭)।

স্থানিয় ইউপি সদস্য বিপুল কুমার সহ প্রতিবেশিরা জানান, পরিতোষ চন্দ্র সরকার ও শিউলি রানী সরকার দম্পতির ৭ বছর বয়সি এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। তারা আরো জানান, ঘটনার দিন মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর বিকেলে তেজপাইন গ্রামে নিজ শয়ন ঘরের ভেতর গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূ শিউলি রানী সরকার কে দেখতে পেয়ে স্বজনরা হৈ চৈ করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন এবং বেঁচে আছেন ভেবে স্বজন ও প্রতিবেশিরা ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে মহাদেবপুর থানা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানাধীন নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এস আই জিয়াউর রহমান প্রতিবেদক কে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরত হাল রিপোর্ট অন্তে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ টি উদ্ধার পূর্বক পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। স্বজন ও স্থানিয়দের বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে স্বামী ও স্ত্রীর মাঝে মান-অভিমান থেকে গলায় ফাঁসদিয়ে আত্নহত্যা করেছেন, তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর সঠিক কারন জানাযাবে। এঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি। 


আরও খবর



নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে। আগের জাতীয় নির্বাচনে যেহেতু সেনাবাহিনী মোতায়েন ছিল, সেহেতু এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনা রয়েছে। এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।

মঙ্গলবার মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে কমিশন। ভোটার তালিকা, ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত এবং নির্বাচনী সরঞ্জাম ঠিক করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণও হয়ে গেছে। বিভিন্ন জেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিমিয় করা হচ্ছে। আচরণবিধিমালা প্রতিপালনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন।

নির্বাচনে বিদেশি কোন কোন দেশ থেকে কারা পর্যবেক্ষক হিসেবে আসবে, তাদের তালিকা নির্বাচন কমিশন হাতে পেয়েছে জানিয়ে মো. আলমগীর বলেন, বিদেশিরা নির্বাচন দেখতে আসবে না এমন কথা কেউ এখনও বলেনি।

বিএনপি যদি নির্বাচনে নাও আসে তাতে বহির্বিশ্বের কোনো চাপ নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, নির্বাচনে কোন দল অংশগ্রহণ করবে, সেটা সেই দলের সিদ্ধান্ত। শুধু বিএনপি নয়, ৪৪টি রাজনৈতিক দলকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আহ্বান করেছে কমিশন। যদি বিএনপি নির্বাচনে আসতে চায়, তাহলে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন রাজি আছে।

 


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




বন্দির তালিকা নিয়ে হামাস-ইসরায়েল বিরোধ

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

গাজায় চলমান চার দিনের যুদ্ধবিরতির শেষ দিনে যেসব জিম্মি ও বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে তাদের তালিকা নিয়ে আপত্তি তুলেছে হামাস ও ইসরায়েল। সোমবার এই তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একটি সূত্রের বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, জিম্মি ও বন্দির মুক্তিতে বিলম্ব এড়াতে এবং আপত্তি নিরসনে কাতারি মধ্যস্থতাকারীরা হামাস ও ইসরায়েলের সঙ্গে কাজ করছেন।

চলমান যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে আগ্রহের কথা জানিয়েছে হামাস। ইসরায়েল এর আগে বলেছিল, প্রতি দিন ১০ জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে তারা বিরতির মেয়াদ এক দিন বাড়াবে এবং হামাসের মুক্তি দেওয়া জিম্মির বদলে তারা তিনগুণ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে।

ওই কর্মকর্তা বলেছেন, আজকের তালিকা নিয়ে সামান্য সমস্যা দেখা দিয়েছে। উভয়পক্ষের সঙ্গে কাজ করছে কাতারিরা।

এর আগে ইসরায়েল জানিয়েছিল, রবিবার দিবাগত রাতে তারা শেষ দিনে যেসব জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে তাদের তালিকা হাতে পেয়েছে। তালিকা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় আরও জানিয়েছিল যে, যখন সম্ভব হবে নতুন তথ্য জানানো হবে।

রবিবার ১৭ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। শুক্রবার থেকে হামাস ৫৮ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। ইসরায়েল রবিবার ৩৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে। সমঝোতার আওতায় মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৭ জনে।

সমঝোতার আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস ও ইসরায়েল উভয়পক্ষ চার দিনের সমঝোতার মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, অতিরিক্ত এক দিন সমঝোতার বিনিময়ে মঙ্গলবার যেসব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে তাদের একটি তালিকা দেওয়ার দায়িত্ব ছিল হামাসের। ইসরায়েল যদি তালিকাটি অনুমোদন করে তাহলে বিরতি পঞ্চম দিনে গড়াবে। একইসঙ্গে তিনগুণ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, এই ধারায় সর্বোচ্চ আরও পাঁচ দিন বিরতি চালিয়ে যেতে রাজি হতে পারে ইসরায়েল।

হামাসের মুখপাত্র ওসামা হামদান লেবাননের এলবিসি সম্প্রচারমাধ্যমকে বলেছেন, আরও জিম্মিদের মুক্তি দিতে তাদের খুঁজতে বিরতির মেয়াদ বাড়ানোর প্রয়োজন।

 


আরও খবর



বিদেশি সহযোগিতা ছাড়াই নির্বাচনে সক্ষম বাংলাদেশ: রাশিয়া

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

বিদেশি শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহযোগিতা ছাড়াই জাতীয় নির্বাচন করতে সক্ষম বাংলাদেশ। ২৫ নভেম্বর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভারের বরাত দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুক পোস্টে এমন দাবি করে ঢাকাস্থ রাশিয়ান দূতাবাস।

পোস্টে বলা হয়, স্বাধীন, বিদেশি শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহযোগিতা ছাড়াই বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ২০২৪-এর ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে সক্ষম বাংলাদেশ। বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি এমন আত্নবিশ্বাস আছে রাশিয়ার।

পোস্টে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা। বিশেষ করে স্বচ্ছতা এবং অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার ব্যানারে এমন করা হচ্ছে।

এই প্রসঙ্গে দূতাবাসের পোস্টে আরও বলা হয়, অক্টোবরের শেষের দিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং বিরোধীদলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকের বিষয়ে খবর উঠে পাওয়া যায়। বৈঠকে তারা দেশে ব্যাপক সরকারবিরোধী বিক্ষোভ সংগঠিত করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে। বিশেষ করে, আমেরিকান রাষ্ট্রদূত তার কথোপকথনকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে কর্তৃপক্ষ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করলে তথ্য সহায়তা প্রদান করবে।


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩