Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় ''সুফলা নওগাঁ এগ্রো প্রজেক্ট'' এর সু-ফল পাচ্ছে কৃষি উদ্যোক্তারা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর রাণীনগরের “সুফলা নওগাঁ এগ্রো প্রজেক্ট” একটি সমবায় ভিত্তিক একটি কৃষি প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যই নতুন নতুন জাতের উচ্চ মূল্যের ফসল ফলিয়ে সমবায় ভিত্তিক এই কৃষি প্রতিষ্ঠানটি নিজ এলাকা সহ দেশের কৃষি জগতে অগ্রনী ভূমিকা রাখায় কৃষি উদ্যোক্তাদের কাছে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। 

''সুফলা নওগাঁ'' বর্তমানে দেশের নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তাদের কাছে অনুপ্রেরণার বাতিঘর হিসেবে আলো ছড়িয়ে আসছে। 

উত্তরবঙ্গের মধ্যে প্রথম বারের মতো এই প্রজেক্টে নতুন সংযোজনের মাধ্যমে চাষ করা হচ্ছে টিস্যুকালচারের জি-৯ জাতের উচ্চ ফলনশীল কলা। দেশের সাধারণ কলার চেয়ে অধিক লাভজনক হিসেবে জি-৯ জাতের কলা বর্তমানে এই অঞ্চলের কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে চলেছে। এই কলার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে জি-৯ জাতের কলা পাঁকার এক সপ্তাহ যাবত সংরক্ষণ করা সম্ভব। এছাড়াও সাধারণ কলার চাইতে এই কলার পুষ্টিগুনও অনেক বেশি বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। 

প্রজেক্টের পরিচালক হাবিব রতন বলেন তরুন বেকার এবং প্রান্তিক কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে ২০১৯ সালে সম্মিলিত ভাবে গড়ে তোলেন “সুফলা নওগাঁ এগ্রো প্রজেক্ট” নামের ব্যতিক্রমী কৃষি প্রতিষ্ঠানটি। প্রায় ৬ মাস অর্থ সংগ্রহের পর উপজেলার চকাদিন গ্রামে দুই একর জমি ১০ বছরের জন্য লিজ নিয়ে শুরু হয় মিশ্র ফল বাগান সৃজনের কাজ। বর্তমানে তা সম্প্রসারিত হয়ে চার একর জমিতে বিস্তার লাভ করেছে। করোনাকালীন সময়ে বীজ-বিহীন চায়না-৩ লেবু চাষে সবচেয়ে বেশি পরিচিত করে তোলে সুফলা নওগাঁকে। এরপর থেকে আর পেছন ফিরে দেখতে হয়নি। বর্তমানে প্রজেক্টটি সম্প্রসারিত করে অন্যান্য স্থানে চাষ করা হচ্ছে নানা জাতের উচ্চ মূল্যের ফসল। বর্তমানে নতুন করে আশা জাগাচ্ছে উচ্চ ফলনশীল দীগন্ত জি-৯ জাতের কলা ও বানানা ম্যাংগো আম চাষ।  


জি-৯ জাতের কলা চাষ নিয়ে হাবিব রতন আরো জানান, উত্তরবঙ্গের মধ্যে এই প্রথম নওগাঁ জেলায় টিস্যুকালচারের জি-৯ জাতের কলার বাণিজ্যিক বাগান সুফলা নওগাঁর হাত ধরেই সূচিত হয়েছে। রোগ-বালাই প্রতিরোধী ও রপ্তানী যোগ্য জি-৯ জাতের কলার চাষ দারুন লাভজনক। প্রচলিত কলার গাছে প্রতিটি কাঁদিতে কলা পাওয়া যায় ৬০-১২০টি আর জি-৯জাতের কলার প্রতিটি কাঁদিতে ২০০-২৪০টি কলা পাওয়া যায়। সম্ভাবনাময় জি-৯কলা চাষ সম্প্রসারণে আগ্রহী কৃষকদের নিয়ে উদ্বুদ্ধকরণ সভা এবং প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে। আলট্রা হাইড্রেনসিটিতে ব্যানানা ম্যাংগো আম বাগানও সৃজন হয়েছে। তারা এই অঞ্চলের কৃষিকে আরো আধুনিক ও লাভজনক করতে আধুনিক প্রযুক্তিতে উচ্চ মূল্যের সবজিও চাষ করছেন এবং সেগুলো বিস্তারের আশায় আশেপাশের অঞ্চলের আগ্রহী কৃষকদের মাঝেও চারা সহজেই পৌছে দিচ্ছেন। বর্তমানে তাদের প্রজেক্টে আধুনিক ফল যেমন মাল্টা, কমলা, ড্রাগন ও অন্যান্য ফলের আধুনিক জাত চাষ করা হচ্ছে। ফলে এই প্রজেক্টে ১২-১৫ জন স্থানীয় বেকার মানুষের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হয়েছে। প্রতিদিনই এই অঞ্চল সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কৃষি উদ্যোক্তারা তাদের প্রজেক্ট পরিদর্শন করছেন। তাদের এই প্রজেক্ট দেখে অনেকেই আধুনিক লাভ জনক কৃষির প্রতি ঝুঁকছেন আর তাদের সহযোগিতা নিয়ে গড়ে তুলছেন নতুন নতুন কৃষি প্রজেক্ট। 

সিলেট থেকে এই প্রজেক্ট পরিদর্শন করতে আসেন কৃষি উদ্যোক্তা আব্দুল মোমিন। তিনি তার প্রতিক্রিয়ায় জানান দেশের কৃষিকে আরো আধুনিক ও কৃষকদের অল্প পরিশ্রমে এবং কম খরচে অধিক লাভবান করতে সুফলা নওগাঁ প্রজেক্টের অবদান অনেক। এই প্রজেক্টের মাধ্যমে কৃষি উদ্যোক্তাদের মাঝে কম মূল্যে বিভিন্ন ফসলের চারা সরবরাহ করাসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়। নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে ও জি-৯ জাতের কলার চাষসহ উচ্চ মূল্যের বিভিন্ন ফল চাষে অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছে সুফলা নওগাঁ। আমিও তাদের কাছ থেকে অনেক উচ্চ ফলনশীল জাতের চারা সংগ্রহ করেছি।

রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা হক বলেন, সুফলা নওগাঁ এগ্রো প্রজেক্ট কৃষির জগতে এক ব্যতিক্রমী নাম। আধুনিক কৃষির অনুপ্রেরণা হচ্ছে সমবায় ভিত্তিক এই প্রজেক্টটি। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সুফলা নওগাঁকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রেখেছি। পড়ালেখা শেষ করে চাকরীর পেছনে না ছুটে সুযোগ থাকলে সুফলা নওগাঁর মতো কৃষি প্রজেক্ট গড়ে তোলা সম্ভব। ডিজিটাল যুগে এখন সবকিছুই হাতে মুঠোয়। এছাড়া নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তাদের সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের সহযোগিতাও প্রদান করা হচ্ছে। তাই সুফলা নওগাঁর মতো এমন কৃষি প্রজেক্ট গড়ে তোলা সম্ভব হলে একদিকে যেমন দেশের কৃষি ও কৃষকরা আধুনিক হবে তেমনি ভাবে কৃষকরাও ফসল চাষে অধিক লাভবান হতে পারবেন। 


আরও খবর



মাহমুদুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন ও মিছিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ |

Image
মোঃ শাকিল আহামাদ - জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী 

দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তি চাই এই দাবিতে রাজশাহীতে সাংবাদিকগণ মানববন্ধন ও মিছিল করেছে। 

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল দশটায় নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। 

বক্তারা বলেন  সৈরাচারী সরকারের তথ্য উপদেষ্টার নামে হাজার হাজার কোটি টাকা জয়ের কাছে পাচারের  বিরুদ্ধে যখন কেউ লিখতে পারে নাই বলতে পারে নাই। তখন এই সাহসী সম্পাদক গবেষক লেখক পত্রিকায় লেখালেখি করেন  কারণে  স্বৈরাচারী সরকার দৈনিক আমার দেশ এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের নামে মিথ্যা বানোয়াট মামলা করেছে যার কোন ভিত্তি নাই। 

ফ্যাসিট হাসিনার অজ্ঞাবহে আদালতের ফরমায়াশি রায় চলতে পারেনা। বানোয়াট মামলায় কারাবন্দি দৈনিক আমার দেশের মাজলুম সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এর নিঃশর্ত মুক্তি চাই।

আরও খবর



কুমারী পূজার দর্শন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

আরিফ রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক :

কুমারী পূজা হলো তন্ত্রশাস্ত্রমতে অনধিক ষোলো বছরের কুমারী মেয়ের পূজা। বিশেষত দুর্গাপূজার অঙ্গরূপে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়।


শাস্ত্রমতে কুমারী পূজার উদ্ভব হয় বানাসুর বধ করার মধ্য দিয়ে। গল্পে বর্ণিত রয়েছে, বানাসুর এক সময় স্বর্গ-মর্ত্য অধিকার করায় বাকি বিপন্ন দেবগণ মহাকালীর শরণাপন্ন হন। সে সকল দেবগণের আবেদনে সাড়া দিযে় দেবী পুনর্জন্মে কুমারীরূপে বানাসুরকে বধ করেন। এরপর থেকেই মর্ত্যে কুমারী পূজার প্রচলন শুরু হয়।


পৌরাণিক কাহিনী আমাদের জানায় প্রাগৈতিহাসিক তামিল যুগের অধিপতি ছিলেন রাক্ষস বানাসুর। তিনি ছিলেন অত্যন্ত শক্তিশালী রাজা। বানাসুর তপস্যা অনুশীলন করেছিলেন এবং ভগবান ব্রহ্মার কাছ থেকে বর পেয়েছিলেন যে তাঁ মৃত্যু কেবল একটি কিশোরী যুবতীর দ্বারাই হতে পারে।


এই শক্তিশালী বর পেয়ে বানাসুর নির্ভীক হয়ে যান এবং সমগ্র বিশ্বকে ধ্বংস করতে থকেন। বানাসুর ভগবান ইন্দ্রকে জয় করে তাকে সিংহাসন থেকে উৎখাত করেন। তিনি সেখান থেকে সমস্ত দেবতাদের বিতাড়িত করেন। বিশ্বের মৌলিক প্রাকৃতিক উপাদান, অগ্নি, জল, বায়ু সমন্বয়হীন হয়ে মহাবিশ্বে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়ে।


বানাসুরকে বধ করতে এবং প্রকৃতির ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে ভগবতী নিজেকে আর্যাবর্তের দক্ষিণ প্রান্তে কুমারী রূপে প্রকাশ করেন। এক কুমারী কিশোরী হিসাবে শিবের প্রতি তার অগাধ ভক্তি ছিলো তার। 


ঘটনাপ্রবাহে  ভগবান শিব কুমারী দেবীকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। বিয়ের সব আয়োজন করা হয়ে। ভগবান শিব বিয়ের জন্য শুচিন্দ্রাম থেকে যাত্রা শুরু করেন। বিবাহের মুহুর্ত (মুহুর্তম বা শুভ সময়) ছিল ভোরবেলা ব্রাহ্ম মুহুর্তে। 


এদিকে ঋষি নারদ বুঝতে পেরেছিলেন কুমারী দেবীই বানাসুরকে হত্যা করতে পারেন। তাই এই বিয়েকে বাধা দিতে তিনি মোরগের শব্দ করে শিবের কাছে ভুল তথ্য পাঠান যে সূর্য ইতিমধ্যে উদিত হয়েছে এবং শুভ সময় অতিবাহিত হয়েছে। শুভ মুহূর্ত পেরিয়ে যাওয়ায় বিয়ে বাতিল হয়।


কুমারী ভগবান শিবের জন্য অপেক্ষা করতে করতে একসময় বুঝতে পারেন শিব আর আসবেন না। অসহ্য অপমান, যন্ত্রণা, শোক এবং ক্রোধের তিনি সবকিছু ধ্বংস করতে থাকেন। অবশেষে কুমারী দেবী একটানা তপস্যা শুরু করেন। 


বহু বছর পরে বানাসুর একদিন তপস্যারত কুমারীকে দেখে তাকে অপহরণ করার চেষ্টা করেন। ক্রুদ্ধ কুমারী বানাসুরকে বধ করেন।


নিজের মৃত্যুর কয়েক মুহূর্ত আগে বানাসুর বুঝতে পেরেছিলেন যে এই কুমারিই হচ্ছেন সর্বশক্তিমান আদি পরাশক্তি। তিনি দেবীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। 


পুরোহিতদর্পণসহ বহু ধর্মীয়গ্রন্থে কুমারী পূজার পদ্ধতি এবং মাহাত্ম্য বিশদভাবে বর্ণিত হযে়ছে। বর্ণনানুসারে কুমারী পূজায় কোন জাতি, ধর্ম বা বর্ণভেদ নেই। দেবীজ্ঞানে যে-কোন কুমারীই পূজনীয়। এজন্য এক থেকে ষোলো বছর বয়সী যে কোনো কুমারী মেয়ের পূজা করা যায়।


কুমারী পূজার দার্শনিক তত্ত্ব হলো- নারীতে পরমার্থ দর্শন ও পরমার্থ অর্জন। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে যে ত্রিশক্তির বলে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি, স্থিতি ও লয় ক্রিয়া সাধিত হচ্ছে, সেই ত্রিবিধ শক্তিই বীজাকারে কুমারীতে নিহিত। কুমারী প্রকৃতি বা নারী জাতির প্রতীক ও বীজাবস্থা। তাই কুমারী বা নারীতে দেবীভাব আরোপ করে তার সাধনা করা হয়।


আরও খবর



লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহ নেতা

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

লেবাননে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছেন হিজবুল্লার অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার এবং ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট ও বিস্ফোরক বিভাগের প্রধান ইব্রাহিম কুবাইসি।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এবং হিজবুল্লাহ পৃথক বিবৃতিতে বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর এএফপি ও টাইমস অব ইসরায়েলের

আইডিএফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে লেবাননের রাজধানী বৈরুতের শহরতলী এলাকা দাহিয়েতে হামলায় কুবাইসিসহ হিজবুল্লার অপর দুই জ্যেষ্ঠ কমান্ডারও নিহত হয়েছেন

অপর দুজনের নাম বিবৃতিতে প্রকাশ করা হয়নি, তবে বলা হয়েছে নিহত দুই কমান্ডার কুবাইসির সহচর ছিলেন

হিজবুল্লাকে দমন করতে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় বেশ কিছু শহর ও গ্রামে হামলা চালায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনী

এতে নিহত হন কমপক্ষ্যে ৫৫৮ জন। অতর্কিত এ হামলার জবাব দিতে মঙ্গলবার উত্তর ইসরায়েলের গ্যালিলি অঞ্চলের হাইফা, সাফেদ এবং নাজারেথ অঞ্চলে প্রায় ৩ শতাধিক রকেট ছোড়ে হিজবুল্লা

হিজবুল্লার রকেট হামলার প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার রাতে বৈরুতে ওই হামলা পরিচালিত হয়েছে ধারণা করা হচ্ছে

এদিকে শুরুর দিকে চুপ থাকলেও পরে কুবাইসির মৃত্যুর সত্যতা স্বীকার করেছে হিজবুল্লাও। গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইব্রাহিক কুবাইসি এবং তার সহযোগী দুই কমান্ডার জেরুজালেমের জন্য শহীদ হয়েছেন

গত শতকের আশির দশকের মাঝামাঝি সময় হিজবুল্লা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার অল্প সময় পরেই গোষ্ঠীটিতে যোগ দেন কুবাইসি। তারপর গত প্রায় ৪০ বছর হিজবুল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট ও বিস্ফোরক শাখার নেতৃত্ব দেওয়া এই কমান্ডার সংশ্লিষ্ট ছিলেন গোষ্ঠীটির প্রিসিশন-গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রকল্পের সঙ্গেও। হিজবুল্লার অনেক জেষ্ঠ কমান্ডারের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল

২০০০ সালে ইসরায়েলে মাউন্ট ডোভ অভিযান চালিয়েছিল হিজবুল্লা। সেই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন ইব্রাহিম কুবাইসি। মাউন্ড ডোভ অভিযানে তিন জন ইসরায়েলি সেনাকে অপহরণ করেছিল হিজবুল্লা। পরে তাদের হত্যা করা হয়। হিজবুল্লার হাই-প্রোফাইল যত হামলা রয়েছে, তার প্রত্যেকটির সঙ্গেই সংশ্লিষ্টতা ছিল কুবাইসির

১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় হিজবুল্লাহ। প্রতিষ্ঠান পর থেকেই ইসরায়েলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব-সংঘাত লেগে আছে গোষ্ঠীটির। তবে এর উল্লম্ফণ ঘটেছে গত বছর ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে। ওই হামলার পর হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েরের উত্তরাঞ্চলে রকেট-ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু করে হিজবুল্লাহ। জবাবে ইসরায়েলও সমান তালে হামলা অব্যাহত রাখে

গত সপ্তাহে লেবাননের সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সদস্যদের ব্যবহার করা হাজার হাজার পেজার ও ওয়াকি-টকিতে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের এই ঘটনায় লেবাননে ৪০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে, যাদের মধ্যে হিজবুল্লাহর অন্তত ১৬ সদস্য রয়েছেন। এই বিস্ফোরণের জন্য ইসরায়েলকে ব্যাপকভাবে দায়ী করছে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েল বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি, আবার হিজবুল্লার অভিযোগ প্রত্যাখ্যানও করেনি

এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছিলেন হিজবুল্লার অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার ইব্রাহিম আকিল। নিহত আকিল গোষ্ঠীটির এলিট শাখা রাদওয়ান ইউনিটের প্রধান ছিলেন


আরও খবর



কদমতলী ষ্টিল মার্কেট ব্যবস্যায়ীদের উপর হামলা ও লুটপাটের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

স্টাফ রিপোর্টার :

কদমতলী জালালাবাদ আয়রন ষ্টীল এন্ড মেশিনারিজ মার্কেট ব্যবসায়ীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও দোকানে লুটপাটের  প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ব্যবসায়ীরা।  রোববার সকালে মার্কেট প্রাঙ্গনে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জালালাবাদ আয়রন ষ্টীল এন্ড মেশিনারীজ মার্কেট এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মার্কেট কমিটির প্রধান সমন্বয়ক মোঃ শাহ্ আলম বলেন, ভূমিদস্যু ও শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মতিন, জুয়েল, গোলাম সরোয়ার মামুন এর নেতৃত্বে আক্তার মেম্বার জসিম চেয়ারম্যান, মাসুদ ডাবলুসহ ১০/১৫জন সন্ত্রাসী নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ ঘটিকার সময় মার্কেটে প্রবেশ করে মার্কেটের মালামাল লুট মার্কেটের দেয়াল ভাঙচুর করে জায়গা দখল করার চেষ্টা করে।

এসময় তাদেরকে বাঁধা দিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ব্যবসায়ীদেরকে এলোপাতারি কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এতে মার্কেট এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বর্তমান মার্কেট কমিটির প্রধান সমš^য় মোঃ শাহ্ আলম, ইউসুফ, আল আমিন, জামাল হোসেন, হযরত মেম্বারসহ ১০/১২ জন আহত হয়। এসময় ব্যবসায়ীদের দোকান থেকে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার মালামাল লুট ও ক্ষয়ক্ষতি করা হয়েছে। 

তিনি আরো বলেন- বিগত ১৭ বছর যাবৎ এ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে কয়েক কোটি টাকা চাঁদাবাজি ও লুটপাট করেছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার সরকারের পতনের পরও লুটপাটের লোভ সামাল দিতে না পেরে বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ীদের উপর হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় কদমতলী থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিলম্ভে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান। 


এসময় বক্তব্য রাখেন মার্কেট সমš^য় কমিটির উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিন্টু, মনির হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম টুটুল, ফয়সাল আহমেদ তুহিন, মোঃ মজিবুর রহমান,মোঃ ফারুক প্রমুখ। পরে ব্যবসায়ীরা মার্কেটে বিক্ষোভ মিছিল করেন।


কদমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুর রহমান বলেন, জালালাবাদ আয়রন ষ্টীল এন্ড মেশিনারিজ মার্কেট ব্যবসায়ীদের উপর হামলা ও দোকানে লুটপাটের ঘটনায় মামলা হয়েছে। অচিরেই আসামীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



তিস্তার ৪৪ জলকপাট খুলে দেওয়া হলো

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে অস্বস্তিকর গরমের পর টানা দুই দিন ধরে বৃষ্টি ঝরছে। ভোর রাত থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঝরছে বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিনভর টানা মাঝারি ধরনের বর্ষণ হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় শুধু রংপুরেই ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

আজ শুক্রবার সকাল থেকে রংপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। অতিবৃষ্টির ফলে অনেক স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। অব্যাহত এই বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে

পানির চাপ সামলাতে তিস্তার ব্যারেজের ৪৪ জলকপাট খোলা রাখা হয়েছে

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার ও শনিবার দুদিন পর্যন্ত রংপুর বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আছে। এর ফলে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল আগামী দুই দিন পর্যন্ত দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং পরবর্তী এক দিন নদীগুলোর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। আগামী দুইদিন লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার তিস্তা নদীর পানি সমতল সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে

এসব জেলার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আভাস দিয়েছে অধিদপ্তর। অপরদিকে আগামী তিন দিন পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলার ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে

আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী চার দিন পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) রংপুরের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে সকাল ৯টায় পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৭৬ সেন্টিমিটার। যা (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) বিপৎসীমার দশমিক ৩৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে

সকালে তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ২৮ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। যা (স্বাভাবিক ২৯ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার) বিপৎসীমার দশমিক ৫৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে সকাল ৬টায় বিপৎসীমার দশমিক ৬১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, সকাল ৯টার দিকে কুড়িগ্রামের ব্রক্ষ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে ২০ দশমিক শূন্য চার সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ২৩ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার), দুধকুমার নদের পাটেশ্বরী পয়েন্টে ২৬ দশমিক ৬৪ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ২৯ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার), ধরলা নদীর কুড়িগ্রাম পয়েন্টে ২২ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ২৬ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার), গাইবান্ধার যমুনা নদীর ফুলছড়ি পয়েন্টে ১৫ দশমিক ২৬ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ১৯ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার), ঘাঘট নদের গাইবান্ধা পয়েন্টে ১৭ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ২১ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার) পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখার উপ-প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদীন বলেন, অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানির চাপ সামলাতে তিস্তার ৪৪ জলকপাট খোলা রাখা হয়েছে

তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, অসময়ের বন্যা ও ভাঙনে প্রতি বছর এক লাখ কোটি টাকার সম্পদ তিস্তার গর্ভে চলে যায়। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য নদী খনন, সংরক্ষণ ও তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন করা ছাড়া বিকল্প নেই

রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আবহাওয়াবিদ মো. মোস্তাফিজার রহমান জানান,গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর জেলায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজ শুক্রবার রংপুর বিভাগসহ দেশের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুরের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান হাবীব জানান, গত দুইদিন ধরে উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে রংপুর বিভাগের কোনো নদ-নদীতে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে না। প্রতিদিনের বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধির ফলে রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার সব নদ-নদীর পানির পাশাপাশি বিলের পানি বৃদ্ধিও অব্যাহত আছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। সেই সঙ্গে ফসলি জমিতে পানি ওঠায় নষ্ট হচ্ছে আগাম শীতকালীন শাকসবজি ও বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসল। তবে আস্তে আস্তে বৃষ্টি কমে যাচ্ছে


আরও খবর