Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরে বিলবোর্ড স্থাপন

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ও সাফল্য তুলে ধরতে নওগাঁ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে বিলবোর্ড স্থাপন করেছে আজমীর ইন্টারন্যাশনাল। ইতোমধ্যেই এর সুফল ভোগ করছে নওগাঁবাসী। লাইফষ্টাইল, হেলথ এডুকেশনস এন্ড প্রমোশন, স্বাস্থ্য শিক্ষা, ব্যুরো, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এসডিজির দিকে "ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ" অর্জনে এল এবং এইচইপি উদ্যোগের উপর ভিডিও-অডিও ডকুমেন্টারির নির্মাণ ও স্মার্ট বাংলাদেশ শীর্ষক সেবা প্যাকেজের ২০২৩-২০২৪ এর আওতায় আজমির ইন্টারন্যাশনাল কনসাল্টিং ফার্ম এর সহযোগিতায় নওগাঁ জেলায় ব্রান্ডিংকৃত গাড়ীর মাধ্যমে সচেতনতা মূলক ক্যাম্পেইন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছেন এবং ৩ হাজার লিফলেট বিতরণ করেছেন। এছাড়াও অত্র দপ্তরের সামনে ১টি বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।


আরও খবর



জাতিসংঘের প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে দলিল হিসেবে ব্যবহৃত হবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

জুলাই-আগস্টে হওয়া আন্দোলন নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) তথ্যানুসন্ধান দলের দেওয়া প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অকাট্য দলিল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে বলে উল্লেখ করেছেন এর চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

তাজুল ইসলাম বলেন, অস্ত্রের ব্যবহার এবং আহত-নিহতের পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায়, একটা পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র ওয়াইডস্প্রেড ও সিস্টেমেটিক একটা জনগোষ্ঠীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তাদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য। এটা মানবতাবিরোধী অপরাধের পক্ষে একটা সুস্পষ্ট ও জোরালো প্রমাণ। এই প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে একটা এভিডেন্স হিসেবে ট্রাইব্যুনালে আসবে।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, যেহেতু জাতিসংঘ বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও সর্বজন গ্রহণযোগ্য একটা সংস্থা, তাই তাদের এ প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। কোনো দলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে প্রতিবেদনটি করা হয়নি। তাদের (প্রসিকিউশন) সঙ্গেও কথা বলেননি জাতিসংঘের তদন্তকারীরা। তারা (জাতিসংঘের তদন্ত দল) অপরাধীদের সঙ্গে কথা বলেছেন, ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। যেখানে কথা বলা দরকার, সেই জায়গায় কথা বলেছেন। সুতরাং এটা অকাট্য দলিল, প্রমাণ হিসেবে এই আদালতে ব্যবহার করা যাবে। সেটা তারা ব্যবহার করবেন।

তিনি বলেন, তৎকালীন সরকারপ্রধানের রেসপনসিবলিটিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে এবং ঘটনায় রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলো সম্পৃক্ত ছিল। যেসব অফিসার এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল বলে প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণে পাওয়া যাবে, জাতিসংঘ সুপারিশ করেছে প্রত্যেককে সাসপেন্ড করার জন্য ন্যায্য ও নিরপেক্ষ বিচার যাতে হতে পারে। চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ও এমনটা মনে করে।

আসামিদের মৃত্যুদণ্ড নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগ আছে জানিয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, শুধু তাদের (জাতিসংঘ) একটা কনসার্ন আছে যে মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারটা যেটা আছে, সেটা তারা বলেছে একটা মরাটোরিয়াম (স্থগিত)। অর্থাৎ এক ধরনের মৃত্যুদণ্ড যদিও দেওয়া হয়, সেটা যাতে স্থগিত রাখা হয়, এ রকম একটা প্রস্তাব করেছে। এটার সুযোগ, যেহেতু আমাদের ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের কাছে ক্ষমতা আছে, তারা কী ধরনের দণ্ড দেবেন কি দেবেন না, সেটা পরে দেখা যাবে।

জুলাই-আগস্টে হওয়া আন্দোলনের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের ঘটনাগুলোর তদন্ত শেষে গতকাল ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওএইচসিআর। ওই প্রতিবেদনে শেখ হাসিনা, তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে সাবেক সরকার এবং আওয়ামী লীগ সশস্ত্র কর্মীদের একত্রিত করে। তারা আন্দোলন দমনে ক্রমশ সহিংসতার আশ্রয় নেয় এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটায়। শত শত মানুষকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা, বেআইনি বলপ্রয়োগের মাধ্যমে হাজারো মানুষকে গুরুতর আহত করা হয়। নির্বিচারে ব্যাপক হারে গ্রেপ্তার, আটক ও নির্যাতন করা হয়।

এতে বলা হয়, বিক্ষোভ চলতে থাকলে আওয়ামী লীগের সশস্ত্র কর্মীরা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে বা তাদের সঙ্গে মিলে বিক্ষোভকারীদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে। কিছু ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যরা এবং অনেক সরকারি কর্মকর্তা হামলার নেতৃত্ব দেন।

ক্ষমতা ধরে রাখতেই আওয়ামী লীগ সরকার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে জানিয়ে জাতিসংঘ বলছে, ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগের সশস্ত্র কর্মীদের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়নের কারণ ছিল যেকোনো মূল্যে ক্ষমতা ধরে রাখা। বেআইনি উপায়ে পরিকল্পিতভাবে তারা বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিগত সরকার ও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতৃত্বের সমন্বয় ও নির্দেশনায় পুলিশ, আধাসামরিক, সামরিক, গোয়েন্দা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন শাখা একসঙ্গে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়ন চালিয়ে যায়। সুতরাং, এসব মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার সঙ্গে তখনকার রাজনৈতিক নেতৃত্ব সরাসরি জড়িত থাকার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে।


আরও খবর



কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বে থাকায় বর্তমানে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, ‘আমি কোনো দলের কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত নই। এখন সরকারের দায়িত্বে আছি। এই সরকারের দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় রূপান্তরের যে দায়িত্বটা রয়েছে, সে কারণে আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারব না। তবে আমার প্রত্যাশা থাকবে শুধু নতুন দল নয়, বাংলাদেশের যে কয়টি রাজনৈতিক দল আছে, সবাই জনকল্যাণমুখী হবে, জনগণের জন্য কাজ করবে।’

কুমিল্লার মুরাদনগরে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। উপজেলার আকাবপুর হাজী ইয়াকুব আলী ভূঁইয়া পাবলিক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ‘আকাবপুর ইউনিয়নবাসীর’ ব্যানারে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ‘উপজেলার সার্বিক পরিকল্পনা বিষয়ে স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায়’ প্রধান অতিথি ছিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। আকাবপুর আসিফ মাহমুদের নিজ গ্রাম।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়টি নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দ্রুতই জানানো হবে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। সিদ্ধান্ত হলে জানতে পারবেন।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল উল্লেখ করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা এই উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যেই সরকারের নানা উদ্যোগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। আপনারা দেখেছেন ইতিপূর্বে ছিনতাইয়ের সংখ্যাটা বেড়ে গিয়েছিল। তাই নিরাপত্তা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। আপনারা দেখবেন ঢাকার প্রতিটি অলিগলিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাহিনীগুলো এখন অ্যাকটিভ (সক্রিয়) অবস্থায় আছে, আমরা আশা করছি খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি আরও উন্নতি হবে।


আরও খবর



হৃদরোগীর রোজা পালনের ক্ষেত্রে করণীয়

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ |

Image

অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ শাহরিয়ার : হৃদরোগীরা রোজা পালন করতে পারবেন কিনা, রোজা এলেই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের প্রতিনিয়ত প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। হৃদরোগীদের রোজা রাখতে তেমন সমস্যা নেই। রোজা রাখলে বরং শরীরের জন্য আরও ভালো। গবেষণায় দেখা গেছে, রোজা পালন করলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত হয়। সেই সঙ্গে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রিত হয়। সে হিসেবে রোজা পালন কিন্তু শরীরের জন্য খারাপ নয় বরং উপকারী। উচ্চ রক্তচাপ রোজা পালনে কোনো প্রতিবন্ধক নয়।

তবে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের রোজা পালনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের মাধ্যমে ওষুধের ডোজ পরিবর্তন করে নিতে হবে। যেসব ওষুধ দিনে তিনবার খেতে হয় সেগুলো বাদ দিয়ে দিনে একবার খেলেই চলে এমন ওষুধ খেতে পারেন। চিকিৎসককে বললে আপনাকে দিনে একবার খেলেই চলে এমন ওষুধ প্রেসক্রাইব করে দেবেন।

অ্যানজাইনা পেকটোরিস, হার্ট অ্যাটাকের রোগী এমনকি যাদের হৃদপিণ্ডের রক্তনালিতে রিং লাগানো আছে তারাও রোজা রাখতে পারবেন। এজন্য আপনাকে ওষুধের ডোজ পরিবর্তন করে নিতে হবে। আপনাকে যদি অ্যাসপিরিন সেবন করতে হয় তবে তা সেহরির সময় সেবন করবেন। যদি এসিডিটির সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ওমিপ্রাজল খেতে পারেন।

এখন দেশের আর্দ্রতা অনেক বেশি। এজন্য আমাদের ঘাম হয় বেশি। অনেক হৃদরোগীকেই ডাইইউরেটিক যেমন ফ্রুসেমাইড, স্পাইরোনোল্যাকটোন, টোলাজেমাইড ইত্যাদি ওষুধ খেতে হয়। এ ওষুধগুলো দেহে থেকে পানি বের করে দেয়। ঘামের সঙ্গে সঙ্গে এ ওষুধ দেহ থেকে বেশি পরিমাণে পানি বের করে দেওয়ায় সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রোজার সময় এ ওষুধ সেবন না করাই ভালো। যদি সেবন করতেই হয় তবে ওষুধের ডোজ কমিয়ে দিতে হবে। এ জাতীয় ওষুধগুলো সন্ধ্যার পর সেবন করুন।

রোজা পালন করতে গিয়ে যদি হঠাৎ করে সিস্টোলিক রক্তচাপ ১৮০ মিলিমিটার পারদ চাপের বেশি ও ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ ১১০ মিলিমিটার পারদ চাপের বেশি হয় তবে রোজা ভেঙে ফেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ সেবন করতে হবে।

রোজা রাখলে যদি শ্বাসকষ্ট ও বুকে বেশি ব্যথা অনুভূত হয় তবে রোজা না রাখাই ভালো। যদি উচ্চ রক্তচাপের সঙ্গে কিডনির সমস্যা থাকে তবে রোজা রাখতে হলে একজন কিডনি রোগের বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

বুকের দুধ পান করাচ্ছেন এমন উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা রোজা পালনে কোনো সমস্যা নেই।

হৃদরোগীরা ইফতারিতে ভাজা-পোড়া খাবেন না। অতিরিক্ত খাবার খাবেন না। প্রচুর ফলমূল ও শাকসবজি খান। রোজার ফল খেজুর খেতে পারেন বেশি করে। পানি পান করুন বেশি করে। একটা কথা না বললেই নয় সেটি হলো, কোনো ওষুধেরই ডোজ নিজে নিজে পরিবর্তন করবেন না। চিকিৎসক যদি মনে করেন রোজা পালনে আপনার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বা অসুখ মারাত্মক আকার ধারণ করার আশঙ্কা থাকে, তবে রোজা না রাখাই শ্রেয়। পরবর্তী সময় রোজাগুলো আদায় করতে পারেন বা বদলি রোজাও পালন করতে পারেন।

লেখক : শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এবং অধ্যাপক

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল

শেরেবাংলানগর, ঢাকা


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪৬ শতাংশ

প্রকাশিত:বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৭৯ কোটি ৯৫ লাখ ৬০ হাজার ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ রপ্তানি গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় ৪৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেশি।

আগের বছর ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রপ্তানি আয় ছিল ৫৪ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিকারকরা ৭২০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করেছে। গত বছরের জানুয়ারিতে তারা আমদানি করেছিল ৬০৩ কোটি ডলারের পোশাক। তার মানে চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পোশাক আমদানি বেড়েছে সাড়ে ১৯ শতাংশ।

বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। এ বাজারে গত বছর তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে বাংলাদেশ। ২০২৪ সাল শেষে বড় প্রবৃদ্ধি না হলেও ইতিবাচক ধারায় ফেরে। সব মিলিয়ে গত বছর বাংলাদেশ থেকে ৭৩৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি ২০২৩ সালের তুলনায় শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি ২৫ শতাংশ কমে ৭২৯ কোটি ডলারে নেমেছিল।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার দুই সপ্তাহের মাথায় কানাডা, মেক্সিকো ও চীন থেকে পণ্য আমদানিতে বাড়তি শুল্ক আরোপ করায় বাজারটি নিয়ে নতুন করে সম্ভাবনার কথা বলেন বাংলাদেশে তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা। তারা বলছেন, চীনা পণ্যে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছে। এতে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রয়াদেশ স্থানান্তর করবে। ফলে বাড়তি ক্রয়াদেশ পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে বাংলাদেশের জন্য।

এমনকি বিনিয়োগকারীরা চীন থেকে কারখানা সরিয়ে এখন অন্য দেশে নিতে আগ্রহী হতে পারেন। বিনিয়োগের সেই সুযোগ বাংলাদেশও নিতে পারে। অবশ্য বর্তমানে পোশাক রপ্তানিতে যে প্রবৃদ্ধি, তা মূলত দেশটির অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোয় বাড়তি ক্রয়াদেশের প্রভাব বলে জানান পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা।

অটেক্সার তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ১৬০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে চীন। এ রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভিয়েতনাম রপ্তানি করেছে ১৪৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। এ রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৯০ শতাংশ বেশি।


আরও খবর

ব্যাংক আমানতে ফিরছে সুদিন

বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫




আইনশৃঙ্খলা নিয়ে অস্বস্তি কাটেনি

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

একের পর এক ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মব সৃষ্টি করে ভাঙচুর ও লুটপাটসহ অপরাধ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে দেশজুড়ে অপারেশন ডেভিল হান্ট নামে বিশেষ অভিযান শুরু হয়। গতকাল শনিবার এই বিশেষ অভিযানের এক মাস পূর্ণ হয়েছে। এই সময়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কতটা উন্নতি হয়েছে, অভিযানের লক্ষ্য কতটা পূরণ হয়েছে তা নিয়ে চলছে আলোচনা। সমাজ চিন্তক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশেষ অভিযান সত্ত্বেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। এখনও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অস্বস্তি কাটেনি, বরং আতঙ্ক বেড়েছে। এ সময়েই কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ অঞ্চলে চরমপন্থিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। প্রকাশ্যে অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাই, ডাকাতি, প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, তৌহিদী জনতার নামে মব সৃষ্টি করে মানুষের বাড়িঘরে হামলা-লুটপাট হচ্ছে। কয়েকটি স্থানে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। বেড়েছে নারী হেনস্থা এবং ধর্ষণের ঘটনাও।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার শিকার হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। ওই ঘটনার পরদিন ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে অপারেশন ডেভিল হান্ট নামে বিশেষ অভিযান শুরু হয়। এই বিশেষ অভিযান এখনও চলমান আছে। তবে ডেভিল হান্ট নামে আর অভিযান হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত অপারেশন ডেভিল হান্ট বিশেষ অভিযানে সারাদেশে ১১ হাজার ৮৮২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই সময়ে সারাদেশে মোট গ্রেপ্তার করা হয় ৩০ হাজার ৭২৩ জনকে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে জুলাই-আগস্ট মামলার আসামিও রয়েছে।

সমাজবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. তৌহিদুল হক বলেন, ডেভিল হান্ট অপারেশন নামটা যতটা প্রভাবশালী; অভিযানটা তেমন প্রভাব ফেলতে পারছে না। কারণ ১১ হাজারের বেশি গ্রেপ্তার হওয়ার পরও যদি একই ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়, তা হলে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে কোন অপরাধীদের? তিনি বলেন, অভিযানটা সামগ্রিকভাবে হওয়া উচিত ছিল। পেশাদার অপরাধীদেরও যদি একই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হতো, তা হলে অবস্থার আরও উন্নতি হতো।

তবে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বিত টহল ও চেকপোস্ট কার্যক্রমের কারণে কয়েক দিন ধরে ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আপাতত ঢাকাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ঢাকার বাইরেও পুলিশের কার্যক্রম আগের তুলনায় আরও গতিশীল করা হয়েছে।

মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের দেওয়া তথ্য বলছে, অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরু হওয়ার আগের মাস জানুয়ারিতে দেশে ৪২টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ফেব্রুয়ারিতে সেটি বেড়ে ৫৭টি হয়। জানুয়ারিতে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল ১৫টি। ফেব্রুয়ারিতে তা ১৭ হয়েছে। এর মধ্যে দুই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হতে হয়েছে। বেড়েছে দলবেঁধে ধর্ষণচেষ্টার সংখ্যাও। সর্বশেষ গতকাল শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সমুদ্রসৈকত এলাকায় ঘুরতে গিয়ে এক কলেজছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে বিকেল তিনটার দিকে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করা হয়।

বিশেষ অভিযানের মধ্যে গণপিটুনির ঘটনাও কমেনি। এক সপ্তাহ আগে শরীয়তপুরে ডাকাত সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আহত হয় আরও কয়েক জন। গত সপ্তাহে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ডাকাত সন্দেহে আরও দুজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। বুধবার রাতে ঢাকার মগবাজারে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার সময় জনতা একজনকে ধরে গণপিটুনি দেয়।

পরিসংখ্যান বলছে, জানুয়ারিতে গণপিটুনিতে ১২ জন নিহত ও ১৮ জন আহত হয়েছিল। আর ফেব্রুয়ারিতে গণপিটুনির ঘটনায় আটজনের প্রাণ যায়। আহত হয় কমপক্ষে ২০ জন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর উত্তরায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে দুজনকে আটক করে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। পরে দড়ি দিয়ে বেঁধে তাদেরকে ফুটওভার ব্রিজের রেলিংয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে গভীর রাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কুষ্টিয়ার গড়াই নদীর তীরে অন্তত তিনটি ডাকাতি ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে একদল অস্ত্রধারী বালুর ঘাটে হামলা চালিয়ে ক্যাশ কাউন্টারের দুই লাখ টাকা লুট করে নেয়। ওই ঘটনায় বাধা দিতে গিয়ে স্থানীয় একজন গুলিতে আহতও হন।

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বেড়া-সাঁথিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের তলট এলাকায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত একটার দিকে গাছ ফেলে অন্তত ১০টি গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদের মারধরে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের শশানঘাট এলাকায় ৩ জনকে গুলি করে হত্যা করে শক্তির জানান দেয় চরমপন্থি দলের নেতা কালু। হত্যার দায় স্বীকারও করে সে। গতকাল পর্যন্ত কালু গ্রেপ্তার হয়নি। ফলে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ জেলায় এই বাহিনীর হাতে আরও প্রাণহানির আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।

এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষাপটে গত সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দপ্তর ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোর কমিটি আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এর পরই যৌথ বাহিনীসহ র‌্যাব-পুলিশ দৃশ্যমান তৎপরতা শুরু করে। গভীর রাতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন শুরু করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় রাত্রিকালীন টহলও বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন সড়কে বসেছে চেকপোস্ট। এ অবস্থার মধ্যেই শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডির একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। পরে খবর পেয়ে সেখান থেকে ১৪ জন সমন্বয়ককে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী।

ঢাকা মহানগর পুলিশ কর্মকর্তাদের দাবি, তাদের নানামুখী ব্যবস্থার কারণে ঢাকায় পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। ছিনতাই কমে আসছে।

তবে ঢাকার একাধিক এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জেনেছে, রাতে ঢাকার রাস্তায় র‌্যাব-পুলিশের দৃশ্যমান তৎপরতা বেড়েছে। তবে পাড়া-মহল্লায় তাদের উপস্থিতি বাড়েনি। ফলে আগের মতোই আতঙ্ক নিয়ে তাদের ঘর থেকে বের হতে হয়। ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটছে।

এদিকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে মাঠে কাজ করা পুলিশ সদস্যরাও বিভিন্ন জায়গায় মার খাচ্ছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবককে তল্লাশি চৌকিতে থামার জন্য ইশারা দেন পুলিশের এসআই ইউসুফ আলী। এর কিছুক্ষণ পর ১০-১৫ জন এসে ভুয়া পুলিশ অপবাদ দিয়ে ওই কর্মকর্তাকে মারধর শুরু করেন। ছিনিয়ে নেওয়া হয় সঙ্গে থাকা মুঠোফোন, মানিব্যাগ ও ওয়াকিটকি। সারাদেশে আরও কয়েক জায়গায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত ছয় মাসে পুলিশের ওপর এ ধরনের ২২৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। কোথাও কোথাও হামলা করে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে। বেশির ভাগ ঘটনা ঘটানো হয়েছে উচ্ছৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধ আক্রমণে বা মব তৈরি করে।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য বলছে, গত ছয় মাসে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যের ওপর হামলার ২২৫টি ঘটনার মধ্যে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ২৪টি, অক্টোবরে ৩৪, নভেম্বরে ৪৯, ডিসেম্বরে ৪৩, জানুয়ারিতে ৩৮ এবং ফেব্রুয়ারিতে ৩৭টি হামলার ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম শাখার এআইজি ইনামুল হক সাগর  বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ আন্তরিকতা এবং পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে লক্ষ করেছেন বিভিন্ন আভিযানিক কার্যক্রমে অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। অপরাধ প্রতিরোধে কৌশলগত বিভিন্ন কার্যক্রমের মাত্রা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মব জাস্টিস কোনোমতেই সমর্থনযোগ্য নয়। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেউ অপরাধ করলে আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে পুলিশকে জানাতে হবে। পুলিশ এক্ষেত্রে অবশ্যই দ্রুততার সঙ্গে রেসপন্স করবে। পুলিশের আইনি দায়িত্ব পালনে যারা বাধা সৃষ্টি করবে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, তাদেরকে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।

 


আরও খবর

অস্থির চালের বাজার

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫

বাড়তে পারে গরম

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫