Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি আর দমকা বাতাসের মধ‍্যে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী চন্দনা রানী (৫৪) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।  

সোমবার ২৭ মে বিকেল সারে ৪ টারদিকে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার মিঠাপুর নতুন বাজার এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত চন্দনা রানী নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার নান্দাস গ্রামের বিজয় চন্দ্রের স্ত্রী বলে জানাযায়। 

স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর আত্মীয়ের বাসা থেকে জামাইয়ের সাথে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে বদলগাছীর গোবরচাঁপা টু আক্কেলপুর সড়কের মিঠাপুর নতুন বাজার এলাকায় ধান বোঝাই ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১৬-৭০৭৮ এর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী চন্দনা রানী ট্রাকের চাকায় পৃষ্ঠ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। ঘটনাটি দেখে স্থানীয় জনতা ট্রাক চালক এবং ট্রাক আটক করেন।খবর পেয়ে থানা পুলিশের এস আই নীহার চন্দ্র সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ  মাহবুবুর রহমান (পিপিএ) বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ট্রাক ও চালককে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। এ ব‍্যপারে আইনগত ব‍্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর



মুন্সিগঞ্জে ডিবি পুলিশের অভিযানে ৪ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার-১

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

মো শাহাদাত হোসেন সায়মন :

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে সন্দেহভাজন এক যুবকের ট্রাভেল ব্যাগ তল্লাশি করে ৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার এড়াতে কৌশলের অংশ হিসাবে খুলনা থেকে ট্রাভেল ব্যাগে করে ওই গাঁজা মুন্সিগঞ্জে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসেন গ্রেপ্তারকৃত যুবক।

আজ সোমবার দুপুর ১টার দিকে সিরাজদিখান থানাধীন ছাতিয়ানতলী স্ট্যান্ড সংলগ্ন ইছাপুরা টু শ্রীনগরগামী পাকা রাস্তার উপর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত টিপু সুলতান (২৯) খুলনা সদরের মো. রফিকুল আলমের পুত্র।

ডিবির উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, সন্দেহভাজন ওই যুবকের পথরোধ করলে একটি ট্রাভেল ব্যাগের ভিতর কসটেপ দিয়ে পেচানো পলিথিনের ভিতরে রক্ষিত ৪ কেজি গাঁজা যার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এসময় জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক জানান, গাঁজাগুলো সে খুলনা টুটপাড়া এলাকা থেকে ক্রয় করে মুন্সিগঞ্জে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অত্র এলাকায় এসেছে।

এ ঘটনায় রাতে সিরাজদিখান থানায় মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানান ডিবির উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ।


আরও খবর



১৫ লাখ অনলাইন রিটার্নের ১০ লাখই শূন্য

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বললেন, চলতি করবর্ষে অনলাইন রিটার্নের মধ্যে ৬৬ শতাংশই শূন্য রিটার্ন।

সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে আয়োজিত প্রাক বাজেট আলোচনায় তিনি বলেন, ১৫ লাখ অনলাইন রিটার্নের ১০ লাখই সাড়ে ৩ লাখ টাকার নিচে। তার মানে আমরা সঠিক করদাতাদের ধরতে পারছি না।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়। অর্থাৎ ১০ লাখ করদাতা তাদের আয়কর বিবরণীতে যে বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন তার বিপরীতে কোনো কর দিতে হয়নি।

আলোচনা সভায় ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালা মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সম্পর্ক রেখে ব্যক্তি করদাতাদের কর ছাড়ের সীমা সাড়ে তিন লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেন।

জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের সাড়ে তিন লাখ থেকে ৪ লাখ বা ৫ লাখ টাকায় নিয়ে আসা যৌক্তিক কথা। সমস্যা হলো- যেমন ধরেন এখন ডিজিটালি রিটার্ন সাবমিশন হওয়ায় সব তথ্যগুলো আমার হাতে চলে আসছে। আজকে দেখলাম ১৫ লাখ ১৫ হাজার হয়েছে। প্রতিদিন কিন্তু ২-৩ হাজার করে রিটার্ন পাচ্ছি এখন। আমাদের অনলাইন রিটার্ন এখনও চালু আছে। অনলাইন রিটার্ন বন্ধ নেই। আবার অনেকেই রিভাইজড রিটার্ন দিতে পারছেন অনলাইনে, এটা একটা বড় সুবিধা হয়েছে।

শূন্য আয়কর বিবরণী প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ১৫ লাখ রিটার্নের মধ্যে ১০ লাখ রিটার্নই জমা পড়েছে সাড়ে তিন লাখ টাকার নিচে। এরা এক টাকাও ট্যাক্স দেয়নি। টু থার্ড। পেপার রিটার্নের ক্ষেত্রেও একই চিত্র। মফস্বলে যান, চিত্র কিন্তু একই। এটি বাড়িয়ে চার লাখ করলে শূন্য রিটার্নের সংখ্যা আরও এক লাখ বেড়ে যাবে।

করদাতারা কর দিতে চায় না জানিয়ে তিনি বলেন, কোয়ালিটি ট্যাক্সপেয়ারের সংখ্যা খুবই কম। এখন যদি আমরা এই সিলিংটাকে একটু বাড়িয়ে দেই, আমরা আলোচনা করব, দেবো না এটা বলছি না। শুধু এতটুকু বলছি, আরও বড় একটা গ্রুপ যারা মিনিমাম কর দিতো, তারাও ওই যে জিরো ট্যাক্সে চলে যাবে। এইটা হলো অসুবিধা।

ইআরএফের দেওয়া প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- বাজেটে মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণীর ওপর করের বোঝা কমাতে বাড়তি দেওয়া কর এমএফএসের মাধ্যমে ফেরতের ব্যবস্থা করা, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির ওপর করহার ৫ শতাংশে সীমিত রাখা, বেসরকারি প্রভিডেন্ট ফান্ডকে করমুক্ত করা, ব্যক্তিশ্রেণির করহার ৩০-৩৫ শতাংশ করা, ভ্যাটের হার ৭ শতাংশ করা, প্রত্যক্ষ করের দিকে জোর দেওয়া, বাজার মূল্যায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে কর আদায় ইত্যাদি।

ব্যাংকে আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক থাকায় অনেকে ব্যাংক টাকা রাখতে চাইছেন না উল্লেখ করে ইআরএফ সভাপতি বলেন, এরকম অবস্থায় ৫/১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জমার ওপর আবগারি শুল্ক প্রত্যাহার এবং মুনাফার ওপর কর কমানো যেতে পারে।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করের হার বাড়বে না এটা যেমন সত্য, আবার হার বাড়বেও। যারা এতদিন রিডিউসড রেটে ট্যাক্স দিতো, তারা মোর অর লেস রেগুলার রেটে চলে যাবে। এটা আমাদের একটা সুপারিশ থাকবে। এটা হলে সবার জন্য ভালো হয়।বৈষম্যমুক্ত করতে চাইলে এটা আমাদের করতে হবে। কর্মকর্তাদের বলেছি, আরও সময় লাগুক। যেখানে কাজ করব, ছোট এরিয়া সবার কাছ থেকে নেব। পাশের কোনো দোকানদার বলবে না একজন দিচ্ছে, আরেকজন দিচ্ছে না। এ রকম যেন না হয়।


আরও খবর



শিশুর প্রতি নিষ্ঠুরতার আবারও সাক্ষী হলো দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

শিশুটির মলদ্বারে বাতাস ঢুকিয়ে আজকে নির্মমভাবে হতা করা হয়েছে। শিশুর প্রতি নিষ্ঠুরতার আবারও সাক্ষী হলো দেশ।  

শিশুটির বাবারও আহামরি বয়স নয়। বড়জোর ৩০ হবে। এই লোক তার বড় ছেলে জিহাদকে একটি গ্যারেজে কাজ শেখার জন্য দিয়েছিলো। নিহত ছোট শিশুটির নাম আবু বকর সিদ্দিকী। শিশু শ্রেনীতে পড়তো।  

মিরপুর-১১, বাউনিয়াবাদ, ডি ব্লক পোড়া বস্তি পেরিয়ে 'আলহামদুলিল্লাহ বাইক সার্ভিসিং সেন্টার'। এই গ্যারেজেই বড় ভাই জিহাদ কাজ করতো। 

শিশু আবু মাঝেমধ্যে এখানে স্কুল শেষে ভাইয়ের সাথেই থাকতো। বাইকে চড়ার বায়না করতো। শিশুর এই আচরণ  গ্যারেজ মালিকের চোখে দুষ্টুমি লেগেছে। ব্যাস শিশুর অপরাধ এইটুকুই। 

গ্যারেজের মালিক সুজন খান বড় ভাইকে পাউরুটি-চা আনার জন্য পাঠায়। আর এই ফাঁকে শিশু আবুবকরকে দুষ্টুমির শাস্তিসরূপ মলদ্বারে কর্মচারীদেরকে দিয়ে মেশিনের বাতাস প্রবেশ করায়। 

ফলাফল, মূহুর্তেই শিশুটির নাক মুখ দিয়ে খাবার বেরিয়ে যায় ও পায়ুপথ দিয়ে রক্ত। হাসপাতাল যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়। 

এই ঘটনা ঘটানোর পর, হতাকারী শান্ত থাকেনি।

সমাধানের জন্য হতাকারী স্হানীয় রাজনৈতিক নেতাকে ধরেছে। তার মাধ্যমে হুমকি ধামকি দিয়েছে ক্ষতিপূরণ দিয়ে ঘটনাটি চেপে যাওয়ার জন্য।  

সবশেষ তিনজনের মধ্যে মাত্র একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

আপনাদের মনে আছে কীনা জানিনা, এর আগেও ২০১৫ সালে খুলনায় রাকিব (১২) এবং ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জে ইয়ামিন (১৩) নামের দুই কিশোরের পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যার ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন তুলেছিল। ওই দুই কিশোর কারখানায় কাজ করত। 

এবং ২২ সালেও গাজীপুরে একই ঘটনা ঘটে ও একজন শিশু নিহত হয়। একই বছরে আরেক নারী শ্রমিককে এভাবে আহত করা হয়েছিলো।    

আমার চোখে, এতটুকু দুধের শিশুর প্রতি যারা সহিংসতা করে। এদেরকে আসলে আইনী সাজা দেওয়ার চেয়ে উপস্থিত সাজাই দেওয়া উত্তম। কারণ এসব নপুংসক মানুষ না। নরখোর। এদের বেঁচে থাকার অধিকার নাই। 

প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, এই শিশুর হতাকারী তিনজনকে ফাঁসি দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি যে বা যারা এখানে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে শিশুর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। এদেরকেও আইনের আওতায় আনা হোক।

শিশু আবু বকর সিদ্দিকীর হতার বিচার চাই।


আরও খবর



মিয়ানমারে ফের ভূমিকম্প, নিহত ছাড়াল ৩০০০

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

মিয়ানমারের ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৩০০০ ছাড়িয়েছে। শুক্রবারের (২৮ মার্চ) পর থেকে একের পর এক কম্পন অনুভূত হয়েছে দেশটিতে। বুধবার (২ এপ্রিল) রাতেও ৪.৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছে।

শুক্রবারের জোরালো ভূমিকম্পের পর থেকে এখনও মাঝে মধ্যে কম্পন (আফটারশক) হয়ে চলছে মিয়ানমারে। বুধবার রাতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে মিয়ানমারে।

ভারতের ভূবিজ্ঞান সর্বেক্ষণ সংস্থা (ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি) অনুসারে, কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৮। ভূপৃষ্ঠ থেকে ২৫ কিলোমিটার গভীরে কম্পনটি অনুভূত হয়েছে। বুধবার বিকেলে ৪.৩ মাত্রার আরো একটি কম্পন অনুভূত হয়েছে মিয়ানমারে।

ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুক্রবার থেকে ৩০০০-এরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি চলছে। তার মধ্যে এই ভূমিকম্পে পরিস্থিতি আরো উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।

দেশটির জান্তা-বিরোধী পিপল্‌স ডিফেন্স ফোর্স আগেই ভূমিকম্প পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছিল। বুধবার মায়ানমারের জুন্টা সেনাও সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে।

গত শুক্রবার সকালে প্রথমে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মায়ানমারের মাটি। তার পর থেকে পর পর ১৫ বার ভূকম্প-পরবর্তী কম্পন হয়েছে সে দেশে। ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ভেঙে পড়েছে বহু ভবন, রাস্তা, সেতু। আহত হয়েছেন প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষ। খোঁজ মিলছে না ৪ শতাধিক মানুষের।

এরই মধ্যে বুধবার মিয়ানমারের এক হোটেলের ধ্বংসাবশেষ থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে এক যুবককে।

শুক্রবারের ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ থাইল্যান্ডেও। দেশটির রাজধানী ব্যাংককে একটি নির্মীণাধীন ৩০তলা ভবন ভেঙে পড়ে। সেখানে বহু মানুষের মৃত্যুর কথা জানা গেছে।

উদ্ধারকারীদের ধারণা, এখনো অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন। তাদের খুঁজে বের করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল।


আরও খবর



নওগাঁয় গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৪ জন আটক

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে এসিল্যান্ডের গাড়ীর চালকসহ ৪ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে ঈদের পূর্বরাত অথাৎ গতকাল রবিবার দিনগত রাতে নওগাঁর মান্দা উপজেলায়। এঘটনায় মান্দা থানা পুলিশ ভিকটিম গৃহবধূকে উদ্ধার উদ্ধার পূর্বক পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে।

গ্রেফতারকৃত ৪ জন যুবক হলেন, মান্দা উপজেলার ছোট-বেলালদহ গ্রামের সোলাইমান আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম সোহাগ (২৯), বড়পই গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল ইসলাম ওরফে সুইট (২৯), বিজয়পুরের প্রিন্সিপালের মোড় এলাকার মোজাহার আলীর ছেলে আসাদুজ্জামান ওরফে মুন্না (২৯) ও বিজয়পুর মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে নাসির উদ্দিন (২৯)। এদের মধ্যে নাসির উদ্দিন মাষ্টার রোলে এসিল্যান্ডের গাড়ী চালকের দায়িত্বে ছিলেন। মামলার এহাজার সুত্রে জানাযায়, ভিকটিম গৃহবধূর স্বামী পেশায় পিক-আপ চালক। তারা স্বামী-স্ত্রী ও তাদের কন্যা সন্তান সহ বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। ঈদ উপলক্ষে একমাত্র কন্যা সন্তানকে নানার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। ঘটনার দিনরাতে পিকআপের ভাড়া মারার জন্য গৃহবধূর স্বামী বাইরে যাওয়ায় বাসাতে একাই ছিলেন গৃহবধূ। ভিকটিম গৃহবধূ জানান, রবিবার দিনগত রাত সারে ৭টারদিকে আমার স্বামী পিকআপের ভাড়া মারার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলে রাত ৯ টারদিকে আমি খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ি। রাত সারে ১০টারদিকে আসামী স্বাধীন বাসায় এসে স্বামীকে ডাকাডাকি করেন। স্বাধীন আমার স্বামীর পূর্ব পরিচিত হওয়ায় সরল বিশ্বাসে আমি দরজা খুলে দেওয়ার সাথে সাথে ৬-৭জন যুবক বাসার ভেতরে প্রবেশ করে এবং আমার মুখ চেপে ধরে ঘরে নিয়ে একে অপরের সহায়তায় তারা আমাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করতে থাকাকালে আমার ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে ৪জন কে আটক করলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মনুসর রহমান বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২-৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এ মামলায় ৪ আসামীকে গ্রেফতার করে আজ সোমবার নওগাঁ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া শারীরিক পরীক্ষার জন্য ভিকটিম গৃহবধূকে নওগাঁ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে হয়েছে।


আরও খবর