Logo
শিরোনাম

নৌকার পালে নির্বাচনের হাওয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম :

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে দেশের রাজনৈতিক মহল। তবে গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থে বিএনপির প্রতি বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা। বিএনপিকে নির্বাচনে আসার বার বার আহ্বান জানাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তবে তাদের একটাই কথা, আগামী সংসদ নির্বাচন হবে সংবিধানের আলোকে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের সাফ কথা বর্তমান সরকারের অধীনেই বিএনপিকে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। এই লক্ষ্যে সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হবে বলে দেশবাসীকে জানান দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এবং ছোট-বড় নেতারা।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা সরকার, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের নিয়ে একাধিক বৈঠক করছেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের উপস্থিতিতে এসব বৈঠকে বিদেশি কূটনীতিকরা বিএনপিসহ সব দলের অংশগ্রহণে নির্ভেজাল নির্বাচনের কথা প্রকাশ করেছেন। আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা রাজনৈতিক অনুষ্ঠান, কূটনীতিক কিংবা রাজনীতিকদের সঙ্গে যেকোনো আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় সুষ্ঠু ভোটের আশ্বাস দিচ্ছেন। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করার বিএনপির দাবি সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন সরকারি দলের নেতারা।

তারা বলছেন, বিএনপি আগামী জাতীয় নির্বাচনে আসুক তা আওয়ামী লীগের কাছে কাম্য। তবে তাদের কোনো দাবি থাকলে তা সংবিধানের উল্লেখিত বিধি-বিধান অনুসারে ছাড় দেওয়া যেতে পারে। এর বাহিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সরকারি দল হিসেবে বিএনপিকে নির্বাচনে চাইলেও তাদের তোষামোদ করে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের নয়। বিএনপির নেতারা যে দাবি করছেন তা দেশের সংবিধানবিরোধী। বিএনপির জন্য নির্বাচন বসে থাকবে না। নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ অনুযায়ী ভোটের জন্য প্রস্তুতি নিতেও শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছে দিয়েছেন, সংবিধানের বাইরে অন্য কোনো পদ্ধতিতে নির্বাচন হওয়ার সুযোগ নেই। নির্বাচনের সময় সরকার শুধু রুটিন কাজগুলো করবে বাকি সব করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না বলে হুশিয়ারি দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না, হবে না, হবে না। নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। আর এই নির্বাচন কারা যেন হতে দেবে না, এমন খবর আছে আমাদের কাছে। নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে।

সরকারপ্রধান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা একাধিক দলীয় সভায় বারবার বলছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। সে বিষয়টি মাথায় রেখেই কাজ করছে আওয়ামী লীগ। দলের তিনজন সিনিয়র নেতা বলেছেন, পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, সংবিধান মেনে বাংলাদেশেও সেভাবেই নির্বাচন হবে। বিএনপিও নির্বাচনে আসবে। সম্প্রতি বিএনপির দফাওয়ারি আন্দোলন বিএনপিকে ভোটের মাঠে নিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির বড় একটি অংশ ভেতরে ভেতরে আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এছাড়া আওয়ামী লীগের নেতারা সব সময়ই মত প্রকাশ করে আসছে আগামীতে বিএনপি অস্তিত্ব রক্ষার জন্য হলেও ভোটে অংশ নেবে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে অবাধ-সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। সে নির্বাচনে জনরায় প্রতিফলিত হবে। সরকার পরিবর্তন করতে হলেও বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে। জনগণের কাছে যদি বিএনপির কোনো কমিটমেন্ট ও দায়িত্ববোধ থাকে তাহলে দলটি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এর বাহিরে তাদের কোনো পথ খোলা নেই।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক, গবেষক 


আরও খবর

আত্মহননের সাংবাদিকতা

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24




নিঃসন্দেহে আমরা ঐতিহাসিক মুহূর্তে আছি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

নিঃসন্দেহে আমরা একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তে উপস্থিত আছি। বিএনপির সঙ্গে আলোচিত বিষয়ে কিছু সামঞ্জস্য ও মতনৈক্য উভয় আছে। আশা করি, আজ আলোচনার সমাপ্তি টানতে পারবো বলে মন্তব্য করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির তৃতীয় দফা বৈঠকের সূচনা বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

এসব বৈঠকের আলোচিত বিষয়গুলো প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হচ্ছে এবং তিনি এ বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন বলেও জানান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন নতুন প্রস্তাব এসেছে, সেসব নিয়ে আমরা ঐকমত্য কমিশন নিজেদের সঙ্গে আলাপ শুরু করেছি। এখন সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যা আলোচনা হচ্ছে, তা প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা।’ দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় ঐকমত্যে পৌঁছানো যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন কমিশনের সহ-সভাপতি।

বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আজ বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার জনপ্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার নিয়ে আলোচনা হবে। রাষ্ট্রের বিষয় তাই তাড়াহুড়ো করে নয়, ধীরে-সুস্থে আলোচনা করছি।‘

যেসব সিদ্ধান্ত জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত হবে, তা জাতীয় জীবনে মহান ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, স্প্রেডশিট নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হওয়ায় তা নিয়ে আলোচনা করা হয়নি। দফা-ওয়ারি বিস্তারিত আলোচনা করছি। সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ যা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছে ও সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় গঠন করার কথা বলা হচ্ছে। এটা সহ-বিচার বিভাগের সব স্বাধীনতায় আমরা বিশ্বাস করি। কিন্তু সব কিছু যেন আইনানুগ ও সাংবিধানিকভাবে হয়। কোনও কিছু যেন অসাংবিধানিকভাবে না হয়।


আরও খবর



বাংলাদেশের দর্শকের প্রতি ভীষণ কৃতজ্ঞ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের দর্শকের প্রতি আমি ভীষণ কৃতজ্ঞ। তাদের ভালোবাসার কাছে ঋণী হয়ে গেলাম। কথাগুলো বলছিলেন শাকিব খানের বরবাদ সিনেমার নায়িকা ওপার বাংলার ইধিকা পাল।

এই সিনেমার সাফল্যে তিনি অনেকটাই আবেগাপ্লুত। বললেন, প্রিয়তমায় কাজ করার অভিজ্ঞতাটা আসলে আলাদা। কারণ ওটা ছিল আমার প্রথম সিনেমা, খুবই আবেগের। যেহেতু প্রথম সিনেমা ছিল, তাই এই ভাবনাটা মাথায় রাখতে হয়েছে যে, খুব ভালো করতে হবে, যেন দর্শকের ভালোবাসাটা পাই। আমাকে ঘিরে দর্শকের মধ্যে যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, সেটি যেন ছুঁতে পারি- এমনটাই মাথায় কাজ করেছে বরবাদ-এ কাজের সময়। আর শাকিব খানের সঙ্গে এটা আমার দ্বিতীয় সিনেমা। এই জুটিকে দর্শক যে ভালোবাসা দিয়েছেন, বরবাদ-এ যেন সেই ভালোবাসা আরও বেড়ে যায়, এমনটাও ভাবনায় ছিল। সব মিলিয়ে সিনেমা মুক্তির পর যে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে, তাতে এটা বলতে পারি- যা প্রত্যাশা ছিল, তার সবই পূরণ হয়েছে।

২০২৩ সালের ২৯ জুন মুক্তিপ্রাপ্ত হিমেল আশরাফ পরিচালিত এবং আরশাদ আদনান প্রযোজিত প্রিয়তমা সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বড়পর্দায় অভিষেক হয় ইধিকা পালের। সিনেমা মুক্তির মধ্য দিয়ে বেশ সফলতার সঙ্গেই নিজের নামের আগে নায়িকা যুক্ত করতে পেরেছেন তিনি। প্রিয়তমা বাংলাদেশের সিনেমার, বিশেষত শাকিব খানের ক্যারিয়ারের ইউটার্ন হিসেবে বিবেচিত হয়। আর এই সিনেমায় ঢালিউড সুপারস্টারের বিপরীতে অভিনয় করে প্রথম সিনেমা দিয়েই বাংলাদেশের দর্শকের মনে ইধিকা জায়গা করে নেন। প্রিয়তমার জনপ্রিয়তায়ই দুই বাংলার দর্শকের কাছে তিনি তারকায় পরিণত হন। এ ছাড়া গেল বছর কলকাতায় দেবের বিপরীতে মুক্তিপ্রাপ্ত খাদান সিনেমায় অভিনয় করেও আলোচনায় ছিলেন অভিনেত্রী।

ইধিকা জানান, এরই মধ্যে সোহমের বিপরীতে আকাশ মালাকারের বহুরূপ সিনেমার কাজ শেষ করেছেন। এই মুহূর্তে রঘু ডাকাত সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত, যাতে তার বিপরীতে আছেন দেব। এটি নির্মাণ করছেন ধ্রুব ব্যানার্জি। আসছে দুর্গাপূজায় সিনেমাটি মুক্তি পাবে বলে জানান ইধিকা।


আরও খবর

মডেল মেঘনার জামিন মেলেনি

রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫

সমাজে নারীর প্রেম নিয়েই সমস্যা

বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫




৯৯ শতাংশ পোশাক কারখানা চালু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ঈদুল ফিতরে বেশ বড় ছুটি পেয়েছেন দেশের পোশাক শ্রমিকরাও। ঈদের আগে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বেতন-বোনাস নিয়ে অসন্তোষ থাকলেও ঈদ কাটিয়ে তারা ফিরেছেন কর্মস্থলে। ছুটি শেষে দেশের তৈরি পোশাক খাতের কার্যক্রম পুরোদমে চালু হয়েছে। দেশের ৯৯ শতাংশ পোশাক কারখানা ঈদের ছুটি শেষে চালু হয়েছে।

বিজিএমইএ থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। বিজিএমইএ’র তথ্য অনুযায়ী, সংগঠনভুক্ত ২ হাজার ১০৪টি সক্রিয় কারখানার মধ্যে ২ হাজার ৯২টি কারখানা চালু রয়েছে। ঈদের ছুটিতে রয়েছে মাত্র ১২টি, যা মোট কারখানার মাত্র ০.৫৭ শতাংশ।

অঞ্চলভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ এলাকায় ৮৫৪টি কারখানার মধ্যে ৮৫১টি খোলা রয়েছে; সাভার-আশুলিয়া ও জিরানী এলাকায় ৪০৩টির মধ্যে ৩৯৯টি খোলা; নারায়ণগঞ্জে ১৮৮টির মধ্যে ১৮৬টি এবং ডিএমপি এলাকায় ৩২১টির মধ্যে ৩২০টি চালু রয়েছে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৩৩৮টি কারখানার মধ্যে ৩৩৬টি খোলা রয়েছে।

খোলা কারখানার অনুপাতে শতকরা হারে গড় হিসেবে ৯৯ শতাংশের বেশি কারখানা চালু রয়েছে। সবচেয়ে বেশি খোলা রয়েছে ডিএমপি এলাকায় (৯৯.৬৯%), এরপর নারায়ণগঞ্জ (৯৮.৯৪%), চট্টগ্রাম ও গাজীপুর-ময়মনসিংহ (৮৮.৮%) এবং সাভার-আশুলিয়া (৮৮%)।


আরও খবর



ঘুরে আসুন সুন্দরবনের দ্য ফরেস্ট রিট্রিটে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

সেন্ট অগাস্টিন বলেছেন, ‘পৃথিবী একটা বই, আর যারা ভ্রমণ করে না, তারা বইটি পড়তে পারে না’। ভ্রমণপিপাসু মানুষ বদ্ধ ঘরে না থেকে ছুঁটে বেড়ায় এক স্থান থেকে অন্যত্র।

যারা বনের কাছে যেতে চান? পাখির আওয়াজে মুগ্ধ হতে চান? ঝি ঝি পোকার ডাক শুনতে চান? তারা নববর্ষের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন সুন্দরবনের দ্য ফরেস্ট রিট্রিটে।

এখানে রাত্রিযাপন করতে পারবেন প্রকৃতির কোলে। এই রিসোর্টের রুম থেকেই সুন্দরবনের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। দোলনায় দোল খেতে খেতে বানর, হরিণ, মেছো বাঘ, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, জলজ্যান্ত কুমির দেখতে পারবেন। কখনোবা রয়েল বেঙ্গল টাইগারের হুংকারও শুনতে পারবেন।

ইকো রিসোর্ট দ্য ফরেস্ট রিট্রিট খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার বানিশান্তা ইউনিয়নের পশ্চিম ড্যাংমারি গ্রামে গড়ে উঠেছে।

ড্যাংমারি গ্রামে বয়ে যাওয়া চাংমারি খালের পাশে বাঁশ-কাঠ, গোলপাতা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই রিসোর্ট।

যেভাবে বুকিং করবেন : রিসোর্টের নিজস্ব ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইট রয়েছে। তার মাধ্যমে অগ্রিম বুকিং করতে হবে।

দরদাম : এখানে বিভিন্ন আকৃতি ও সুবিধার কটেজ ও ডুপ্লেক্স কটেজ রয়েছে। এখানে জনপ্রতি ৩৪৫০ টাকা থেকে ৪,৯০০ টাকায় জনপ্রতি রাত্রিযাপন করতে পারবেন।

নিরাপত্তা : এগুলোতে আছে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ। আছে নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী। এ ছাড়া কোস্ট গার্ড, ট্যুরিস্ট পুলিশ এবং বন বিভাগের কর্মকর্তারা সব সময় টহল দেন এসব এলাকায়।

প্যাকেজে যা রয়েছে : এক দিনের প্যাকেজে দুপুর, রাত ও সকালের খাবার সংযুক্ত। আগাম বুকিং দিলে নির্দিষ্ট রিসোর্ট মোংলা ঘাট থেকে ট্যুরিস্ট বোটে নিয়ে যাবে। এতে এক ঘণ্টার নদী ভ্রমণ হয়ে যাবে। এ ভ্রমণে দেখা যাবে মোংলা বন্দর, মাছেদের নাচানাচি, ডলফিনের লাফালাফি। এ ছাড়া কুমিরের বিচরণ তো রয়েছেই। আর থাকবে চোখজুড়ানো বন। দুপুরে লাঞ্চ। বিকেলে পর্যটকদের বইঠা নৌকায় সুন্দরবনের ভেতরে এক ঘণ্টা ক্রুজিং করানো হয়। এ ভ্রমণ জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ধারিত হয়। রাতে রিসোর্টে রাতযাপন। দ্বিতীয় দিন সকালে নাশতা শেষে ১১টায় চেক আউট শেষে বোটে নিয়ে যাবে করমজল। সেখানে ঢোকার জন্য ৪৬ টাকা জনপ্রতি টিকিট কাটতে হবে। করমজলে বিভিন্ন বন্য প্রাণীর দেখা মিলবে। তারপর ওয়াচ টাওয়ারে উঠে উপভোগ করা যাবে সুন্দরবনের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য।

যেভাবে যাওয়া যায় : ঢাকা থেকে সরাসরি মোংলায় যাওয়া যায় বাসে। সেখানে নেমে যাঁরা প্যাকেজে আসবেন, তাঁরা রিসোর্টের নিজস্ব বোটে চলে যাবেন। যাঁরা রুম বুকিং দিয়ে আসবেন, তাঁরা বোট ভাড়া করে রিসোর্টে যেতে পারবেন। এ ছাড়া সেপ্টেম্বর থেকে মার্চের শেষ পর্যন্ত নিজস্ব গাড়ি নিয়েও রিসোর্টে যাওয়া যাবে। সড়কপথে যেতে চাইলে মোংলা যাওয়ার তিন কিলোমিটার আগে লাউডোব ফেরিঘাটে নেমে যেতে হবে। সেখান থেকে ফেরি পার হয়ে সরাসরি রিসোর্টগুলোতে যাওয়া যাবে। তবে বর্ষাকালে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম নৌকা।

খাবারদাবার : প্যাকেজে গেলে রিসোর্টগুলোর মেনু অনুযায়ী তিন বেলা খাবার পাবেন। চাইলে অর্ডার করেও খাওয়া যাবে। এগুলো অবশ্যই বুকিংয়ের সময় রিসোর্টে জানাতে হবে। এখানে দক্ষিণাঞ্চলের বৈচিত্র্যময় মাছ পাওয়া যায়। ঘুরতে এলে সেগুলো খাওয়ার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের যেকোনো খাবার খেতে পারেন।

সাবধানতা : পরযটকদের খেয়াল রাখতে হবে প্রকৃতি ও পরিবেশের কোনো ক্ষতি যাতে না হয়।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে চীনের বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপনের দাবীতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

চীনের উপহারের একটি হাসপাতাল দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নির্মাণ এবং ভাঙ্গা-কুয়াকাটা ৬ লেন সড়ক বাস্তবায়নের দাবিতে নলছিটি বাসস্ট্যান্ডের চায়না কবরস্থানের সামনে মানববন্ধন ও বাংলাদেশে চীনা দূতাবাস বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

২২ এপ্রিল, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় স্থানীয় সাধারণ মানুষ এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে বক্তব্য রাখেন ইজিবাইক শ্রমিক নেতা আল-আমিন হাওলাদার, বিডি ক্লিন সমন্বয়কারী মারজান, সমাজকর্মী বালী তূর্য প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে বরিশাল পটুয়াখালী মহাসড়কের পাশে নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া এলাকায় অথবা কুমারখালি মরা নদীর ১২০ একর খাসজমিতে চীনের উপহারে একটি ১০০০ শয্যার “চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল” স্থাপন সময়ের দাবি। তারা আরও বলেন, মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ৬ লেন সড়ক বাস্তবায়ন এই অঞ্চলের পর্যটন, ব্যবসা ও সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।

সমাজকর্মী বালী তাইফুর রহমান তূর্য তার বক্তব্যে বলেন, ভারত সবসময় বন্ধু পরিচয়ে আমাদের শোষণ করেছে, কিন্তু চীন বরাবরই বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে পাশে থেকেছে। নলছিটির সঙ্গে চীনের সম্পর্ক প্রায় দেড় হাজার বছরের পুরনো—যার সাক্ষ্য মেলে “চায়না বাজার”, “চায়না ফিল্ড” এবং “চায়না কবর” এর অস্তিত্বে।

জনশ্রুতি অনুযায়ী, সপ্তম শতাব্দীতে চীনের তাং রাজবংশের এক ব্যবসায়ী নলছিটিতে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন এবং তাঁকে চায়না ফিল্ড সংলগ্ন স্থানে দাফন করা হয়। সেই কবরস্থান আজও স্থানীয়রা শ্রদ্ধার সঙ্গে সংরক্ষণ করে আসছেন।

এছাড়া বক্তারা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, দপদপিয়া এলাকাটি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী, বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে সংযুক্ত ও একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ কেন্দ্রস্থল হওয়ায় হাসপাতাল নির্মাণের জন্য উপযুক্ত স্থান। তারা জানান, হাসপাতাল স্থাপনে জমি ও স্থানীয় সহযোগিতা প্রদানে নলছিটির জনগণ প্রস্তুত রয়েছে।

মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্মারকলিপি বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসে প্রেরণ করা হয়। প্রায় শতাধিক লোকের অংশগ্রহণে এই কর্মসূচি ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর