

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫
শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বললেন, আগামী দুই দিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচাবাজার পরিদর্শন শেষে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন একথা বলেন। এসময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।
সয়াবিন তেলের সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ঘাটতি নেই। সয়াবিন তেলের সরবরাহ কিছুটা কম আছে। এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। আশা করছি আজ থেকেই সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন , সয়াবিন তেল বেশি দামে যেমন বিক্রি হচ্ছে তেমনি পামওয়েল তেল সরকার নির্ধারিত দামের থেকে ২৫ টাকা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। আমাদের মোট ভোগ্য তেলের ষাট শতাংশ পামওয়েল। বাজারে তেলের দাম একই সঙ্গে কমেছে এবং বেড়েছে। আশা করছি সয়াবিন তেলের দামও কমে আসবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ ও খাদ্যে ভেজাল রোধে পবিত্র রমজান মাসে বিএসটিআই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। আজ চারটি বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান ও বিএসটিআইয়ের এস এম ফেরদৌস আলম উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫
বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫
রমজান উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে ছোলা আমদানি। যার প্রভাবে বাজারে কমতে শুরু করেছে ছোলার দাম। গত এক সপ্তাহ আগেও বাজারে ছোলা বুটের কেজি ছিলো ১২৫ টাকা কেজি, বর্তমান দাম কমে তা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে। পাশাপাশি অন্যান্য ডাল, মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে মোটাটা ১০০ টাকা ও দেশিটা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি। বুটের ডাল ১২০, খেঁসারির ডাল ১০৫, মাসকলাই ১৮০ ও মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি দরে।
দাম কমে যাওয়ায় খুশি সাধারণ ক্রেতারা। সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে হিলি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
হিলি বাজারে ছোলা কিনতে আসা জাকিরুল ইসলাম বলেন, রমজান মাসে ছোলার প্রয়োজন বেশি হয়। বিশেষ করে ইফতারের জন্য ছোলার প্রয়োজনীয় অপরিসীম। তাই বাজারে ছোলা কিনতে আসছি। তবে দাম আগের চেয়ে কম। এর আগে ১২০ টাকা কেজি কিনেছিলাম এখন ১০০ টাকা কেজি কিনলাম।
হিলি বাজারে ছোলা বুট ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান হোসেন বলেন, বর্তমান ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দরে পর্যাপ্ত ছোলা আমদানি হচ্ছে। পাশাপাশি অন্যান্য দেশ থেকেও ছোলা আমদানি করছেন সরকার। মূলত রমজান মাসে এসব পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখার জন্যই আমদানি করা হচ্ছে। আমরা ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি হিসেবে ছোলা বুট খুচরা বিক্রি করছি। আগের থেকে ক্রেতাও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, পবিত্র মাহেরমজানে বাজারে ছোলা বুটের দাম কম এবং স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে পর্যাপ্ত ছোলা আমদানি করা হচ্ছে। কয়েক মাস আগেও এই বন্দরে দিনে এক থেকে দুই ট্রাক ছোলা আমদানি হতো। বর্তমান রমজানকে ঘিরে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ট্রাক ছোলা বুট আমদানি হচ্ছে। যার কারণে খুচরা বাজারে কমে গেছে ছোলার দাম।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শফিউল ইসলাম বলেন, বেশ কিছুদিন থেকে এই বন্দরে ছোলা আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শুল্কমুক্ত ভাবে পণ্যটি আমদানি হচ্ছে। যেহেতু রমজান মাস চলে এসেছে, সেহেতু আমরা কাস্টমসের সকল কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সম্পূর্ণ করে পণ্যটি ছাড়করণ করা হচ্ছে। এতে করে ব্যবসায়ীরা দেশের বাজারে নিত্যপণ্যগুলো সরবরাহ করতে পারছেন।
শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫
বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫
সদ্য গত হওয়া ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে এসেছে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন
ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩১ হাজার ৯৪ কোটি
টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা ধরে)।
এর আগে বাংলাদেশের ইতিহাসে ফেব্রুয়ারিতে এত পরিমাণ প্রবাসী আয়
আসেনি। এছাড়া এবারের ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স তার আগের বছরের ফেব্রুয়ারির
তুলনায় ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল
২০২ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে দৈনিক গড়ে ৯ কোটি
ডলার বা ১ হাজার ১১০ কোটি টাকা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ মাসে
দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৮৪৯ কোটি মার্কিন ডলার; যা আগের অর্থবছরের তুলনায়
২৩ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৪৯৩
কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ
৭০ হাজার ডলার, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে
২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে ২২০ কোটি
ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ২৫২
কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
অর্থাৎ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর টানা সাত
মাস দুই বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে।
শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫
বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫
দীর্ঘ একদলীয় শাসনের ফলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমান্বয়ে রাজনীতিকীকরণ হয়েছে, যা দেশের সমগ্র নিরাপত্তা খাতকেও গ্রাস করেছে। নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ পেশাদারিত্বের পরিবর্তে রাজনৈতিক আনুগত্যকে অগ্রাধিকার দিয়েছে বলে জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর (ওএইচসিএইচআর) কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘একটি রাজনৈতিক দলের টানা পনেরো বছরের শাসনের ফলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রমাগত রাজনীতিকীকরণ হয়েছে, যা সমগ্র নিরাপত্তা খাতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।’
ওএইচসিএইচআর জানিয়েছে, অনেক পুলিশ কর্মকর্তাকে পেশাদারিত্ব, সততা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নয়, বরং আওয়ামী লীগ ও এর সমর্থিত সরকারে তাদের আনুগত্য বা সংশ্লিষ্টতার ভিত্তিতে নিয়োগ ও পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
জেনেভা থেকে গত সপ্তাহে জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশের ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে আন্দোলনের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে ‘নিরাপত্তা খাতের রাজনীতিকীকরণ’ বিষয়ে একটি অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই), ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স (এনএসআই) এবং পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) মধ্য ও উচ্চ পর্যায়ের পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে শুধু প্রার্থীর রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নয়, তাদের আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক দলীয় সংযোগও যাচাই করত।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে ডেপুটি ইন্সপেক্টর-জেনারেল (ডিআইজি) বা তার ঊর্ধ্বতন পদে নিয়োগ অনুমোদন করতেন এবং আওয়ামী লীগ অনুগত ব্যক্তিদের কৌশলগতভাবে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখাসহ গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটগুলোর নেতৃত্বে বসানো হতো।
ওএইচসিএইচআর জানিয়েছে, তাদের তথ্য অনুসন্ধানকারীদের সঙ্গে কথা বলা ব্যক্তিরা উল্লেখ করেছেন যে বাংলাদেশে পুলিশের নিয়োগ ও পদোন্নতি ব্যবস্থাপনায় স্বাধীন প্রতিষ্ঠান না থাকার কারণে রাজনৈতিক দলীয় আনুগত্যের ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্তির প্রবণতা আগের সরকারগুলোর আমলেও ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অতীতে সামরিক অভ্যুত্থান ও অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গনে ভূমিকা রেখেছে, তবে অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর তুলনায় সেনাবাহিনী তুলনামূলকভাবে কম রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত।
কিন্তু, এতে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীতে কর্মরত কর্মকর্তারা এবং ভেতরের তথ্য জানা ব্যক্তিরা ওএইচসিএইচআর’কে জানিয়েছেন, সামরিক বাহিনীও দীর্ঘদিন ধরে দলীয় রাজনীতির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পড়েছিল, বিশেষ করে সিনিয়র পর্যায়ে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক আনুগত্যের ভিত্তিতে সিনিয়র অফিসারদের পদোন্নতি দেওয়া হতো বা গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হতো। অন্যদিকে যারা অনুগত নয় বলে বিবেচিত হতো, তাদের পদোন্নতি বঞ্চিত করা হতো, দূরবর্তী পোস্টিং দেওয়া হতো বা কিছু ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা হতো।
জাতিসংঘের তদন্তকারীরা পর্যবেক্ষণ করেছেন যে রাজনীতিকীকরণের ফলে ক্ষমতাসীন দল ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে একটি নেতিবাচক পারস্পরিক নির্ভরশীলতার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
ওএইচসিএইচআরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন দলের প্রতিদ্বন্দ্বীদের দমন করার এবং ক্ষমতাসীন দলের সদস্যদের অপরাধে হস্তক্ষেপ না করার বিনিময়ে পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের নিজেদের গুরুতর অপরাধ ও দুর্নীতির জন্য দায়মুক্তির নিশ্চয়তা পেত।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গুরুতর অপরাধের জন্য ফৌজদারি জবাবদিহিতা বিরল ঘটনা ছিল এবং সাধারণভাবে দায়মুক্তির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশি নাগরিক সমাজ সংগঠনগুলো ২৫৯৭টি কথিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং ৭০৮টি গুমের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘র্যাব এককভাবে ৮০০টির বেশি কথিত হত্যাকাণ্ড ও প্রায় ২২০টি গুমের ঘটনায় জড়িত ছিল। কিন্তু র্যাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হত্যার দায়ে মাত্র একটি মামলায় সাজা হয়েছে, যেখানে ভুক্তভোগী ছিলেন আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী স্থানীয় নেতা।’
নাগরিক সমাজ সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ডিজিএফআই কর্মকর্তারা ১৭০টিরও বেশি কথিত গুমের ঘটনায় জড়িত ছিলেন, তবে কোনো ডিজিএফআই কর্মকর্তাকে এখন পর্যন্ত বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি।
জাতিসংঘের নির্যাতন বিরোধী কমিটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য নির্যাতন ও ঘুষ আদায়ের ব্যাপক এবং নিয়মিত চর্চা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ওএইচসিএইচআর জানিয়েছে, বাংলাদেশ ২০১৩ সালে ‘নির্যাতন ও নিরাপত্তা হেফাজতে মৃত্যু (নিষিদ্ধকরণ) আইন’ প্রণয়ন করলেও তারপর থেকে অন্তত ১০৩ জন বন্দি নির্যাতনে নিহত হয়েছেন।
সরকার এখন পর্যন্ত এই আইনের আওতায় মাত্র ২৪টি মামলা নথিভুক্ত করেছে এবং মাত্র একটিতে পুলিশ কর্মকর্তাদের হেফাজতে নির্যাতনে হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫
রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫
রমজানে
সারা দিনের তৃপ্তি মেটে ইফতারের সময়েই। তখন অন্য খাবারের চেয়ে শরবত পানেই ক্লান্তি
দূর হয়। আর তাই তো ইফতারে থাকে নানা ধরনের শরবত। আজ আপনাদের জন্য এমনই কয়েকটি শরবতের
রেসিপি নিয়ে এসেছি, যেগুলো রমজানে শরীর চাঙ্গা রাখতে সহায়তা করবে।
রমজানে
শরীর চাঙ্গা রাখতে শরবত
১)
খেজুরের শরবত
বানাতে যা
যা লাগবে
• নরম খেজুর ১/২ কাপ
• দুধ (ঘন হলে ভালো) ১ কাপ
• বাদাম কুচি ১ চা চামচ
• চিনি পরিমাণমতো (না দিলেও অসুবিধা নেই)
• পানি পরিমাণমতো
যেভাবে
বানাবেন
খেজুরগুলো
ভালোভাবে ধুয়ে বিচি ফেলে দিয়ে কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সবগুলো উপকরণ
একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। গ্লাসে ঢেলে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।
বরফ কুচি না দিলে খাওয়ার কিছুক্ষণ আগে ফ্রিজে রেখেও ঠান্ডা করে নিতে পারেন।
২) দুধ
তোকমার শরবত
বানাতে যা
যা লাগবে
• দুধ ১/২ লিটার (মানুষ বেশি হলে পরিমাণ বাড়বে)
• তোকমার দানা ১ টেবিল চামচ
• চিনি ১ টেবিল চামচ
• রুহ আফজা ১/২ চা চামচ
যেভাবে
বানাবেন
দুধ জ্বাল
দিয়ে ঠান্ডা করে নিন। তোকমা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন আধা ঘন্টা। এবার এই তোকমা দানা
দুধে মিশিয়ে নিন। চিনি ও রুহ আফজা ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার সবগুলো উপকরণ
ভালোভাবে মিশিয়ে বরফকুচি দিয়ে ঝাঁকিয়ে নিন। ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।
৩)
তেঁতুলের শরবত
বানাতে যা
যা লাগবে
• তেঁতুল ১/২ কাপ
• বিট লবণ ১/২ চা চামচ
• কাঁচা মরিচ কুঁচি ১ টেবিল চামচ
• ধনিয়া পাতা কুঁচি স্বাদমতো
• চিলি ফ্লেক্স ১ টেবিল চামচ
• ঠাণ্ডা পানি
যেভাবে
বানাবেন
বিচি
ছাড়িয়ে তেঁতুল কিছুক্ষণ একটি পাত্রে ভিজিয়ে রাখুন। এর সাথে ঠান্ডা পানি মিশিয়ে
দিন। এবার সবগুলো উপকরণ এতে দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার
মিশ্রণটি ছেঁকে নিন আরেকটি পাত্রে। খাওয়ার আগে বরফ কুঁচি দিয়ে পরিবেশন করুন
মজাদার তেঁতুলের শরবত।
৪) পুদিনা
পেস্তার লাচ্ছি
বানাতে যা
যা লাগবে
• মিষ্টি দই ১ কাপ
• পুদিনা ২ টেবিল চামচ
• পেস্তা বাদাম ১ টেবিল চামচ
• কাঁচা মরিচ ১ টেবিল চামচ
• চিনি ২ টেবিল চামচ
• বরক কয়েক টুকরো
যেভাবে
বানাবেন
সবগুলো
উপকরণ একসাথে ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। চাইলে ছেঁকে নিতে পারেন। এবার
পরিবেশনের জন্য পছন্দের গ্লাসে ঢেলে তার উপর ছড়িয়ে দিন কয়েক টুকরো পুদিনা পাতা।
৫)
তরমুজের শরবত
বানাতে যা
যা লাগবে
• তরমুজ কুঁচি ২ কাপ
• চিনি ২ টেবিল চামচ
• বিট লবণ ১/২ চা চামচ
• লেবুর রস ২ চা চামচ
• বরফ কুঁচি
যেভাবে
বানাবেন
সবগুলো
উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। ছেঁকে নিলে তরমুজের দানাদার বিচিগুলোর
স্বাদ মুখে লাগবে না। এবার এই মিশ্রণটি ফ্রিজে রেখে দিন। ঠান্ডা হলে নামিয়ে নিয়ে
পরিবেশন করুন বরফ কুঁচি দিয়ে।
রমজানে
সারাদিন পর তৃষ্ণা মেটানোর জন্য শরবত বেশ উপকারি। দুধ ও বিভিন্ন ফলের আলাদা আলাদা
উপকার থাকায় শরীরকে অল্প সময়ে চাঙ্গাও করে তোলে এই শরবতগুলো। তাইতো রমজানে শরীর
চাঙ্গা রাখতে শরবতের জুড়ি নেই। এই রমজানে এই রেসিপিগুলো থেকে
মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪
সোমবার ২৮ অক্টোবর ২০২৪