Logo
শিরোনাম

নতুন বছরে মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি 

নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের ২৪-এর জুলাই বিপ্লবের পরে শিক্ষার্থীরাও তাদের বাকস্বাধীনতা ফিরে পেয়েছেন। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরাও শিক্ষা ক্ষেত্রে নানা দাবি-দাওয়া তুলছেন এবং ইতিবাচক পরিবর্তনও দেখতে চাচ্ছেন। বিদায়ী বছরটির প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির স্মৃতি পেছনে ফেলে নতুন বছরে নতুন আশায় বুক বাঁধতে পিছিয়ে নেই তরুণরাও। নতুন বছরে কয়েকজন তরুণ শিক্ষার্থীর ভাবনা, প্রত্যাশা-প্রাপ্তি আর স্বপ্নের কথা তুলে ধরেছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক মো: হৃদয় হোসাইন।

'পুরাতন প্রশাসন এর স্বৈরাচারী মনোভাব ও  ভুল-ভ্রান্তি যেন আবার নতুন প্রশাসন এর গায়ে না লাগে' -তরফদার রোহান, শিক্ষার্থী, গনিত বিভাগ।

মাস্টার্সের গনিত বিভাগের শিক্ষার্থী তরফদার রোহান আরও বলেন, মানুষ নতুনত্বকে ভালোবাসে। পুরোনো জিনিসের প্রতি মায়া থাকলেও নতুন জিনিস এর প্রতি আগ্রহ মানুষের সুপ্রাচীন। তাই তো কালের বিবর্তনে মানুষ পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় অত্যন্ত আনন্দের সাথে। ২০২৪ কেউ আমরা ঠিক একইভাবে বিদায় জানিয়ে ২০২৫ কে গ্রহণ করে নিয়েছি উৎসাহ, উদ্দীপনা নিয়ে। সেই সাথে পুরোনো বছরের ভুল ভ্রান্তিকে ছাপিয়ে নতুন বছর এবার এসেছে জুলাই অভ্যুত্থান এ ছাত্র-জনতার বিজয় নিয়ে। তাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থীরাও আশাবাদী পুরোনো প্রশাসন এর স্বৈরাচারী মনোভাব ও  ভুল-ভ্রান্তি যেন আবার নতুন প্রশাসন এর গায়ে না লাগে। আমরা চাই একটি শিক্ষার্থীবান্ধব প্রশাসন সাথে শিক্ষার্থীসুলভ শিক্ষকদের মনোভাব। তবে সবার আগে আমি যেটা মনে করি সেটা হচ্ছে পরীক্ষার আগে রেজাল্ট পাবলিশ করা জরুরি। এই রেজাল্ট এর জন্য অনেক শিক্ষার্থীকে নানাভাবে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। নতুন বছরে আরেকটি প্রত্যাশা আমরা যাতে সুন্দর একটি অডিটোরিয়াম,জিমনেশিয়াম ও টিএসসি এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের উপহার দেয় যেটার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মনমানসিকতার উৎকর্ষ সাধন ত্বরান্বিত হয়।

'তরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তি, গবেষণা, এবং উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনায় দক্ষ করে গড়তে হবে।- এআর রুপক, শিক্ষার্থী, ইংরেজি  বিভাগ

মাস্টার্সের ইংরেজি বিভাগের এআর রুপক আহমেদ আরও বলেন, ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের পর  বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক  ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় সূচনা হয়েছে। এই বিপ্লব শুধু রাজনৈতিক পরিবর্তন নয়, এটি জাতির নতুন স্বপ্ন ও আশার প্রতীক। নতুন বছরের সূচনা লগ্ন থেকেই আমরা নতুন বাংলাদেশ  বিনির্মাণে  এক নতুনত্বের উন্মোচন করতে চাই। আমার  দৃষ্টিভঙ্গিতে নববর্ষের  শুরু থেকেই নতুন   প্রজন্মের স্বপ্ন, প্রত্যাশা এবং চেতনার প্রতিফলন উন্মোচন করতে হবে। তরুণরাই নতুন বাংলাদেশের প্রকৃত স্থপতি। তরুণদের মধ্যে যদি সঠিক দিকনির্দেশনা থাকে, তবে তারা অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারবে,তরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তি, গবেষণা, এবং উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনায় দক্ষ করে গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশকে একটি আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাজনৈতিক সংস্কারের গুরুত্ব অপরিসীম, দেশে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। এটি দূর করতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা জরুরি। তরুণ নেতৃত্ব এবং সুশিক্ষিত ব্যক্তিদের রাজনীতিতে আসার আহ্বান করছি । পাশাপাশি, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে একটি শক্তিশালী আইন ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার প্রস্তাব করছি

আমরা মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, নতুন বছরের শুরুতেই আমরা ভাসানীয়ানরা চায়, একে অপরের সাথে ভাতৃত্ববোধ বজায় রেখে সকল অন্যায় অত্যাচারের  বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে। যেমনটা আমরা জুলাই বিপ্লবে একে অপরের  কাঁধে কাঁধ দেখে হেঁটেছিলাম। ভাসানী  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একে অপরের প্রতি যথেষ্ট সহানুভূতিশীল। জুলাই বিপ্লবের ধারাবাহিকতায় আমরা দেখেছি। আমরা  একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখি। নতুন বাংলাদেশ হবে এমন এক দেশ, যেখানে ধর্ম, জাতি, বা শ্রেণির ভিত্তিতে কোনো বৈষম্য থাকবে না। নারীর অধিকার, সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা, এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন এবং উদ্যমই এই পথচলার মূল শক্তি। বাংলাদেশকে একটি ন্যায়বিচারপূর্ণ, মানবিক, এবং উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই।

'কাম্পাসে গুণগত শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে হবে' - তুষার আহমেদ, শিক্ষার্থী, পরিসংখ্যান বিভাগ

পরিসংখ্যান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তুষার আহমেদ আরও বলেন, কাম্পাসে গুণগত শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে হবে, শিক্ষার্থীদের রাজনীতি সচেতন হওয়া উচিৎ যেন নিজ স্বার্থে কোন ব্যাক্তি বা দল ক্যাম্পাসকে ব্যবহার না করতে পারে। আমরা আশা রাখি শিক্ষার্থীবান্ধব প্রশাসন এবং শিক্ষকদের যথাযথ সহযোগিতা পেলে আমাদের শিক্ষার গুনগতমান উন্নয়ন সম্ভব হবে।  আমরা সবাই এক সাথে থেকে নতুন বাংলাদেশ গড়তে দৃঢ়

প্রতিজ্ঞা করছি।

শিক্ষার্থীরা স্বপ্ন দেখে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার এবং দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার- মো. কামাল, শিক্ষার্থী,  অর্থনীতি বিভাগ

অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. কামাল আরও বলেন, মাভাবিপ্রবির ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা বর্তমানে ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টার পর্যায়ে রয়েছে এবং ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে চতুর্থ বর্ষ ২য় সেমিস্টার শেষ করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে । করোনা মহামারি আমাদের শিক্ষা জীবন প্রায় দেড় বছর কেড়ে নিয়েছে । আমরা চাই ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা, ভাইভা, ল্যাব নিয়ে আমাদের ফাইনাল ইয়ার শেষ হয়ে যাক। এই লক্ষ্য অর্জনে নিরন্তর পরিশ্রম, নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষার প্রস্তুতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ২০২৫ সালে শেষ করতে । শিক্ষার্থীরা স্বপ্ন দেখে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার এবং দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শিক্ষকরা যদি পাশে থেকে ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়ে এই যাত্রাকে সহজতর করে আমাদের জন্য মঙ্গল হয় । আশা করি ছাত্র, শিক্ষক ও প্রশাসনের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ২০২৫ সালের মধ্যেই এই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সফল সমাপ্তি নিশ্চিত করবে।


আরও খবর



স্বামীর মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার ৭০ শতাংশ নারী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের অধিকাংশ নারীই জীবনসঙ্গী বা স্বামীর মাধ্যমে সহিংসতার শিকার হন, যা একজন নারীর জীবনে গভীর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এক জরিপে দেখা গেছে, দেশের ৭০ শতাংশ নারী অন্তত একবার হলেও স্বামীর মাধ্যমে শারীরিক, যৌন, মানসিক এবং অর্থনৈতিক সহিংসতার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণমূলক আচরণের শিকার হন। যেখানে গত ১২ মাসে এ ধরনের সহিংসতার শিকার হয়েছে ৪১ শতাংশ নারী।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) অডিটোরিয়ামে নারীদের ওপর সহিংসতা শীর্ষক জরিপ ২০২৪-এর প্রতিবেদনে এসব তথ্য ওঠে আসে। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) অর্থায়নে বিবিএস ও ইউএনএফপিএ যৌথভাবে এ জরিপ পরিচালনা করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ পরিসংখ্যানগুলো জাতিসংঘের মানসম্পন্ন পরিমাপের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক এমন সহিংসতামূলক আচরণগুলো অন্তর্ভুক্ত করলে সহিংসতার ব্যাপকতা আরও বেশি হয়।

২০১১ ও ২০১৫ সালের জরিপের পর তৃতীয়বারের মতো ২০২৪ সালের এ জরিপ বাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতার প্রকৃতি, মাত্রা এবং প্রভাব সম্পর্কে সবচেয়ে বিস্তৃত এবং সমসাময়িক প্রেক্ষাপটের প্রকৃত চিত্র উঠে এসেছে।

জরিপটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো- সহিংসতার ঝুঁকির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য তারতম্য, যেমন- দুর্যোগপ্রবণ এলাকার নারীরা এবং বিগত ১২ মাসের মধ্যে অ-দুর্যোগপ্রবণ এলাকার নারীদের তুলনায় জীবনসঙ্গী বা স্বামীর দ্বারা বেশি মাত্রায় সহিংসতার সম্মুখীন হয়েছেন।

জীবনসঙ্গী বা স্বামীর মাধ্যমে সহিংসতার মাত্রা বেশি হলেও সহিংসতার শিকার নারীদের প্রায় ৬৪ শতাংশ তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া সহিংসতার কথা কাউকে কখনো বলেননি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। পরিবারের সুনাম রক্ষার আকাঙ্ক্ষা, সন্তানদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে উদ্বেগ এবং এ ধরনের সহিংসতা স্বাভাবিক বলে মনে করার প্রবণতাসহ বিভিন্ন কারণ থেকে মূলত এ নীরবতা।

২০২৪ সালের নারীর প্রতি সহিংসতা জরিপের মূল ফলাফল উপস্থাপন করেন বিবিএসের প্রকল্প পরিচালক ইফতেখাইরুল করিম। জরিপটি তৈরিতে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে দেশের ২৭ হাজার ৪৭৬ জন নারীর সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। জরিপের সময়কাল ছিল ২১ দিন।

জরিপে উঠে এসেছে, যদিও স্বামী বা জীবনসঙ্গীর মাধ্যমে সহিংসতার বিস্তৃতি এখনো ৭০ শতাংশে, অর্থাৎ উচ্চমাত্রায় রয়েছে, তবে বিগত ১২ মাসে এ হার ৪১ শতাংশ। যেখানে ২০১৫ সালের হার ছিল ৭৩ শতাংশ এবং তখন ১২ মাসের হার ছিল ৫৫ শতাংশ। জরিপটিতে নন-পার্টনার সহিংসতার চেয়ে জীবনসঙ্গী বা স্বামীর মাধ্যমে সহিংসতা বিস্তারের মাত্রা বেশি হিসেবে উঠে এসেছে।

এ জরিপে ‘জীবনসঙ্গী’ বলতে বর্তমান বা প্রাক্তন স্বামী এবং ‘নন-পার্টনার’ বলতে বর্তমান বা প্রাক্তন স্বামী বোঝানো হয়েছে। উত্তরদাতা নারীদের অর্ধেকেরও বেশি (৫৪ শতাংশ) তাদের স্বামীর মাধ্যমে শারীরিক অথবা যৌন সহিংসতা বা উভয় সহিসতার সম্মুখীন হয়েছেন। গত ১২ মাসে স্বামীর মাধ্যমে এ ধরনের সহিংসতার মুখোমুখি হয়েছেন ১৬ শতাংশ নারী।

এছাড়া নিয়ন্ত্রণমূলক আচরণ এবং মানসিক সহিংসতা সর্বাধিক সংঘটিত সহিংসতার ধরন হিসেবে পাওয়া গেছে, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের বিষয় বলে জরিপে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, নারীদের অন্য কারও তুলনায় তাদের স্বামীর কাছ থেকে শারীরিক সহিংসতার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা তিনগুণ বেশি এবং যৌন সহিংসতার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা ১৪ গুণ বেশি। বৈবাহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে শারীরিক এবং যৌন সহিংসতার ঝুঁকি অত্যধিক বেশি বলে জরিপে বলা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্মকর্তা, উন্নয়ন সহযোগী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ওই মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মমতাজ আহমেদ, এনডিসি এবং পরিসংখ্যান ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগের সচিব আলেয়া আক্তার।

অন্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) ভারপ্রাপ্ত প্রতিনিধি মাসাকি ওয়াতাবে এবং অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার ক্লিনটন পবকে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।


আরও খবর



ইসলামি রীতিতে দাফন চান কবীর সুমন

প্রকাশিত:সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

পশ্চিবঙ্গের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। পাঁচ বছর আগে মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি। তবে সম্প্রতি এই গায়ক জানালেন, সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে কবীর সুমন লিখেছেন, রমজান মোবারক। সবাইকে জানাতে চাই-কিছুকাল আগে এই ফেসবুকেই ঘোষণা করেছিলাম, আমি আমার দেহদান করেছি, কোনো ধর্মীয় শেষকৃত্য আমি চাই না। অনেক ভেবে আমি সেই সিদ্ধান্ত পাল্টালাম। দেহদানের ইচ্ছা প্রত্যাহার করছি আমি। আমার দেহ আমি দান করব না।

কবীর সুমন লিখেছেন, আমি চাই, আমায় এই কলকাতারই মাটিতে, সম্ভব হলে গোবরায়, ইসলামি রীতিতে কবর দেওয়া হোক। এটাই আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। আমার কতিপয় স্বজনকে এটা জানিয়ে দিলাম। আমার এই ঘোষণা বিষয়ে কারও মত বা মন্তব্য চাই না। সকলের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্ট দিতেই সেখানে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। অনেকেরই মতে কবীর সুমন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আবার অনেকে ঈশ্বরের কাছে তার দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন। কবীর সুমন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন অনেক বছর আগেই। সেই কারণেই তিনি চান, ইসলামীয় রীতি মেনে তার শেষকৃত্য করা হোক। চিরকাল তিনি কাটিয়েছেন কলকাতাতেই। সেই কারণেই তিনি চান, কলকাতার মাটিতেই বিলীন হয়ে যাক তার নশ্বর দেহ। তবে অনুরাগীদের কথা, তার এই ইচ্ছা পূরণ হলেও তা যেন হয় অনেক বছর পরে।

সদ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় এক তরুণীর সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন কবীর সুমন। সেই তরুণী ছিল কবীর সুমনের ছাত্রী। পরে জানা গিয়েছিল, সৌমী অনেকটাই সময় কাটান কবীর সুমনের বাড়িতে। ছবির ক্যাপশানে সৌমীকে ভ্যালেন্টাইন বলে উল্লেখ করেছিলেন কবীর সুমন। তবে পরে তিনি বলেন, সৌমীর সঙ্গে তার কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই।

কবীর সুমনের নাম ছিল সুমন চট্টোপাধ্যায়। ধর্মান্তরিত হয়ে কবীর সুমন নাম ধারণ করেন। তার জন্ম ভারতের ওডিশা রাজ্যে, ১৯৪৯ সালের ১৬ মার্চ।


আরও খবর



হৃদরোগীর রোজা পালনের ক্ষেত্রে করণীয়

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ শাহরিয়ার : হৃদরোগীরা রোজা পালন করতে পারবেন কিনা, রোজা এলেই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের প্রতিনিয়ত প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। হৃদরোগীদের রোজা রাখতে তেমন সমস্যা নেই। রোজা রাখলে বরং শরীরের জন্য আরও ভালো। গবেষণায় দেখা গেছে, রোজা পালন করলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত হয়। সেই সঙ্গে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রিত হয়। সে হিসেবে রোজা পালন কিন্তু শরীরের জন্য খারাপ নয় বরং উপকারী। উচ্চ রক্তচাপ রোজা পালনে কোনো প্রতিবন্ধক নয়।

তবে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের রোজা পালনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের মাধ্যমে ওষুধের ডোজ পরিবর্তন করে নিতে হবে। যেসব ওষুধ দিনে তিনবার খেতে হয় সেগুলো বাদ দিয়ে দিনে একবার খেলেই চলে এমন ওষুধ খেতে পারেন। চিকিৎসককে বললে আপনাকে দিনে একবার খেলেই চলে এমন ওষুধ প্রেসক্রাইব করে দেবেন।

অ্যানজাইনা পেকটোরিস, হার্ট অ্যাটাকের রোগী এমনকি যাদের হৃদপিণ্ডের রক্তনালিতে রিং লাগানো আছে তারাও রোজা রাখতে পারবেন। এজন্য আপনাকে ওষুধের ডোজ পরিবর্তন করে নিতে হবে। আপনাকে যদি অ্যাসপিরিন সেবন করতে হয় তবে তা সেহরির সময় সেবন করবেন। যদি এসিডিটির সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ওমিপ্রাজল খেতে পারেন।

এখন দেশের আর্দ্রতা অনেক বেশি। এজন্য আমাদের ঘাম হয় বেশি। অনেক হৃদরোগীকেই ডাইইউরেটিক যেমন ফ্রুসেমাইড, স্পাইরোনোল্যাকটোন, টোলাজেমাইড ইত্যাদি ওষুধ খেতে হয়। এ ওষুধগুলো দেহে থেকে পানি বের করে দেয়। ঘামের সঙ্গে সঙ্গে এ ওষুধ দেহ থেকে বেশি পরিমাণে পানি বের করে দেওয়ায় সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রোজার সময় এ ওষুধ সেবন না করাই ভালো। যদি সেবন করতেই হয় তবে ওষুধের ডোজ কমিয়ে দিতে হবে। এ জাতীয় ওষুধগুলো সন্ধ্যার পর সেবন করুন।

রোজা পালন করতে গিয়ে যদি হঠাৎ করে সিস্টোলিক রক্তচাপ ১৮০ মিলিমিটার পারদ চাপের বেশি ও ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ ১১০ মিলিমিটার পারদ চাপের বেশি হয় তবে রোজা ভেঙে ফেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ সেবন করতে হবে।

রোজা রাখলে যদি শ্বাসকষ্ট ও বুকে বেশি ব্যথা অনুভূত হয় তবে রোজা না রাখাই ভালো। যদি উচ্চ রক্তচাপের সঙ্গে কিডনির সমস্যা থাকে তবে রোজা রাখতে হলে একজন কিডনি রোগের বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

বুকের দুধ পান করাচ্ছেন এমন উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা রোজা পালনে কোনো সমস্যা নেই।

হৃদরোগীরা ইফতারিতে ভাজা-পোড়া খাবেন না। অতিরিক্ত খাবার খাবেন না। প্রচুর ফলমূল ও শাকসবজি খান। রোজার ফল খেজুর খেতে পারেন বেশি করে। পানি পান করুন বেশি করে। একটা কথা না বললেই নয় সেটি হলো, কোনো ওষুধেরই ডোজ নিজে নিজে পরিবর্তন করবেন না। চিকিৎসক যদি মনে করেন রোজা পালনে আপনার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বা অসুখ মারাত্মক আকার ধারণ করার আশঙ্কা থাকে, তবে রোজা না রাখাই শ্রেয়। পরবর্তী সময় রোজাগুলো আদায় করতে পারেন বা বদলি রোজাও পালন করতে পারেন।

লেখক : শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এবং অধ্যাপক

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল

শেরেবাংলানগর, ঢাকা


আরও খবর



একটি দল দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

একটা পলাতক দল দেশ ছেড়ে চলে গেছে বা তাদের নেতৃত্ব চলে গেছে। অথচ তারা দেশটাকে অস্থিতিশীল করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। সোমবার (৩ মার্চ) সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করেছে সংবাদ মাধ্যমটি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমার কোনো চিন্তাভাবনা ছিল না হঠাৎ করে একটা সরকারের প্রধান হবো। এবং সেই দেশ এমন যেখানে সব তছনছ হয়ে গেছে। কোনো জিনিস আর ঠিকমতো কাজ করছে না। যা কিছু আছে ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে কাজ করতে হবে। আমার প্রথম চেষ্টা ছিল সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে আসল চেহারাটা বের করে আনা। মানুষের দৈনন্দিন জীবন সহজ করে আনা।

তিনি বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর অনেক পরিবর্তন হয়েছে। অর্থনীতি সহজ করেছি। দেশ-বিদেশের আস্থা অর্জন করেছি। এটাতো পরিষ্কার- সারা দুনিয়ায় আমরা আস্থা স্থাপন করতে পেরেছি। দেশের মানুষেরও আমাদের ওপর আস্থা আছে। আমাদের মধ্যে ভুলভ্রান্তি হতে পারে। কিছু ভালো করেছে, কিছু ভালো করতে পারেনি। এটা হতে পারে। এটা আমিতো অস্বীকার করছি না।

ছাত্রদের রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, নতুন দলকে সরকার কোনো সহায়তা করে না। যে রাজনীতি করতে চায়, সে নিজেই ইস্তফা দিয়ে চলে গেছে। তিনজন ছাত্র প্রতিনিধি ছিল সরকারের ভেতরে। যিনি রাজনীতি করতে মন স্থির করেছেন, তিনি ইস্তফা দিয়ে সরকার থেকে চলে গেছেন। উনি প্রাইভেট সিটিজেনশিপে রাজনীতি করবেন, কার বাধা দেওয়ার কী আছে?

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই ভালো জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সম্পর্কের কোনো অবনতি হয় নাই। আমি যেভাবে ব্যাখ্যা করে এসেছি আমাদের সম্পর্ক সবসময় ভালো থাকবে। এখনও ভালো আছে, ভবিষ্যতেও ভালো থাকবে।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক ভালো না থেকে উপায় নেই। আমাদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ, আমাদের পরস্পরের ওপর নির্ভরশীলতা এত বেশি এবং ঐতিহাসিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে আমাদের এত ক্লোজ সম্পর্ক, সেটা থেকে আমরা বিচ্যুত হতে পারবো না।

তিনি বলেন, মাঝখানে কিছু কিছু দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে, আমি বলেছি মেঘ দেখা দিয়েছে। এই মেঘগুলো মোটামুটি এসেছে অপপ্রচার থেকে। অপপ্রচারের সূত্র কারা সেটা অন্যরা বিচার করবে। কিন্তু এই অপপ্রচারের ফলে আমাদের সঙ্গে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গেছে। সেই ভুল বোঝাবুঝি থেকে আমরা উত্তরণের চেষ্টা করছি।

ড. ইউনূস বলেন, ভারত সরকারের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ হচ্ছে। তারা এখানে আসছে, আমাদের লোকজন সেখানে যাচ্ছে। প্রাইম মিনিস্টার মোদির সঙ্গে আমার প্রথম সপ্তাহেই কথাবার্তা হয়ে গেছে।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সবাই মিলে যা ঠিক করবে আমরা তাই করবো। তবে, আমরা সব ভাই ভাই। আমাদেরকে এই দেশেই বাঁচতে হবে। এ দেশকেই বড় করতে হবে। যে অন্যায় করেছে, যার বিচার হওয়া উচিৎ, তার বিচার হতে হবে। এটুকুই শুধু।


আরও খবর



কোনো ম্যাচ না জিতলেও ‘কোটিপতি’ শান্তরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

বৃষ্টির কল্যাণে পাকিস্তানের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে বাংলাদেশ। দুই দলেরই পয়েন্ট সমান সমান। তবে রান রেটে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে গ্রুপে তৃতীয় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এক পয়েন্ট পাওয়ায় স্বস্তি থাকলেও লম্বা সময় পর আইসিসি ইভেন্ট থেকে শূন্য হাতে ফিরছে বাংলাদেশ। অবশ্য সাফল্য বিবেচনায় খালি হাতে ফিরলেও টাকার হিসাবে কোটিপতি তারা।

টুর্নামেন্টে সবমিলিয়ে বাংলাদেশ এখন সাত নম্বরে। তবে ইংল্যান্ড দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ ম্যাচ হেরে গেলে বাংলদেশ আট দলের প্রতিযোগিতা শেষ করবে ৬ নম্বরে থেকে। তাতে করে প্রাইজমানিও খানিকটা বেশি পাবে।

গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার পরও বাংলাদেশে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে কোটি টাকা আয় করছে। আইসিসি ঘোষিত প্রাইজমানি অনুযায়ী, সপ্তম ও অষ্টম দল প্রাইজমানি ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আর অংশগ্রহণ ফি হিসেবে বাংলাদেশ পাবে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার, যা প্রায় ১ কোটি ৫১ লাখ টাকা। অর্থাৎ বাংলাদেশ দলের কোষাগারে ইতোমধ্যে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা চলে এসেছে। টাকার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে যদি ইংল্যান্ড শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরে যায়। সেটি হলে বাংলাদেশ ষষ্ঠ স্থান অর্জন করবে, ফলে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলারের বদলে শান্তরা পাবে ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার বা ৪ কোটি ২২ লাখ টাকার বেশি।

গতবারের চেয়ে প্রাইজমানি এবার ৩৬ লাখ ডলার বেশি দেওয়া হবে, ৫৩ শতাংশ বেশি।

সব মিলিয়ে প্রাইজমানি ৬৯ লাখ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৮৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকার বেশি। ৯ মার্চ ফাইনাল শেষে ট্রফির সঙ্গে চ্যাম্পিয়নরা পাবে ২২ লাখ ৪০ হাজার ডলার বা ২৭ কোটি ৬ লাখ ৪৬ হাজার ৪২৪ টাকা। রানার্সআপদের ব্যাংকে ঢুকবে ১১ লাখ ২০ হাজার ডলার বা সাড়ে ১৩ কোটি ৫৩ লাখ ২৩ হাজার ২১২ টাকা। সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া প্রত্যেক দল পাবে ৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার (৬ কোটি ৭৬ লাখ ৬১ হাজার ৬০৬ টাকা) করে।


আরও খবর

আইপিএলের নিয়মে পরিবর্তন

শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫