Logo
শিরোনাম

নতুন জঙ্গি সংগঠনের সন্ধান, বড় হামলার পরিকল্পনা

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ (আল-জিহাদী) নামে নতুন আরও একটি জঙ্গি সংগঠনের সন্ধান পেয়েছে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)। ২০২৪ সালে দেশে বড় হামলার পরিকল্পনা ছিল সংগঠনটির।

১৬ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় রাজধানীর বারিধারায় অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট হেড কোয়ার্টারের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান এটিইউয়ের ডিআইজি (অপারেশন্স) মোহা. আলীম মাহমুদ।

তিনি বলেন, গোয়েন্দা সূত্রে এসব তথ্য জানার পর সংগঠনটির শীর্ষ নেতা মো. জুয়েল মোল্লাসহ (২৯) তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি দুজন হলেন মো. রাহুল হোসেন (২১) ও মো. গাজিউল ইসলাম (৪০)।

ডিআইজি মোহা. আলীম মাহমুদ বলেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে অভিযান পরিচালনা করে জুয়েলকে বাগেরহাট থেকে, জয়পুরহাট থেকে রাহুলকে ও রাজধানীর ভাসানটেক এলাকা থেকে গাজীউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের মধ্যে জুয়েল এই সংগঠনের প্রধান। বাকি দুই জন শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। সংগঠনটি ২-৩ মাস তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। তাদের পরিকল্পনা ছিল ২০২৪ সালে দেশে বড় ধরনের জঙ্গি হামলা করা।

তিনি আরও বলেন, আমরা গত কয়েক মাস ধরে গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে খবর পাচ্ছিলাম কিছু উগ্রবাদী মানুষ একত্রিত হচ্ছে। যারা দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বিশ্বাস করে না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বানচাল করে উগ্রবাদী ব্যবস্থা কায়েমের জন্য তারা একত্রিত হচ্ছিল। গ্রেপ্তাররা সবাই আগে কোনো না কোনো জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ছিল। কিন্তু তারা নতুন লক্ষ্য নিয়ে এক ব্যানারে সবাই নতুন করে একত্রিত হচ্ছিল।

তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও ও পোস্টের মাধ্যমে নতুন সদস্য সংগ্রহ করে আসছিল। এই দলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নেতা হলেন জুয়েল। আমরা প্রথমে জুয়েলকে বাগেরহাটের রামপাল থেকে গ্রেপ্তার করি। পরে তার দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বাকি দুই শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের গ্রেপ্তারের সময় নতুন সংগঠনের ৮টি ব্যানার জব্দ করা হয়।

নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের কোনো হামলার পরিকল্পনা ছিল কি না জানতে চাইলে ডিআইজি মোহা. আলীম বলেন, এ বিষয়ে তাদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলার পরিকল্পনা ছিল কি না সে সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ২০২৪ সালে বড় একটি জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে এটিইউয়ের পুলিশ সুপার (অপারেশনস্) ছানোয়ার হোসেন বলেন, নতুন জঙ্গি সংগঠনটির মূল পরিকল্পনাকারী জুয়েল মোল্লা নিষিদ্ধ ঘোষিত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়। ৯ মাস কারাগারে ছিলেন। এই সময়ে কারাগারে বসেই নিজের একটি সংগঠন করার পরিকল্পনা করে। মাত্র ক্লাস সেভেন পাস জুয়েল মোল্লা পেশায় একটি বেকারি কর্মী ছিলেন। আর বাকি গ্রেপ্তার দুই জন হিজবুত তাওহীদের সদস্য ছিলেন।


আরও খবর

সন্ত্রাসীদের তালিকা করছে র‌্যাব

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




এক কোটি লিটার ভোজ্যতেল কিনবে সরকার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

স্বল্প আয়ের ১ কোটি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয়ের জন্য পৃথক দুটি দরপত্রের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১ কোটি ২০ লাখ লিটার ভোজ্যতেল (সয়াবিন তেল) কেনার উদোগ নিয়েছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এতে মোট ব্যয় হবে ২০৮ কোটি ৮২ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য টিসিবির সয়াবিন তেল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২৬ কোটি ৪০ লাখ লিটার। এর বিপরীতে এ পর্যন্ত মোট ৩ কোটি ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ের চুক্তিপত্র সম্পাদন করা হয়েছে। এ অবস্থায় সংস্থার চলমান ক্রয় পরিকল্পনার প্রেক্ষিতে দুটি প্রথক দরপত্রের মাধ্যমে ১ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহ করার উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি। এর মধ্যে পুনঃদরপত্রের মাধ্যমে ৮০ লাখ লিটার এবং নতুন একটি দরপত্রের মাধ্যমে আরও ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনা হবে।

সূত্র জানায়, দুই লিটার পেট বোতলে ৮০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ে গত ১৬ আগস্ট স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত পুনঃ দরপত্র (জাতীয়) আহ্বান করা হয় এবং এর বিপরীতে তিনটি দরপত্র জমা পড়ে। তিনটি দরপত্রই রেসপন্সিভ হিসেবে বিবেচিত হয়। এর মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে মেঘনা এডিবল অয়েলস রিফাইনারি লিমিটেড। অগ্রিম আয়কর, মূসক ও টিসিবির গুদামে পরিবহনসহ প্রতি লিটার সয়াবিনের ক্রয়মূল্য হবে ১৬১ টাকা ৯৪ পয়সা। তবে শুধু তেলের প্রকৃত দর হচ্ছে প্রতি লিটার ১৫৬ টাকা ৭০ পয়সা।

সূত্র জানায়, টিসিবির ক্রয় প্রস্তাবে প্রতি লিটার সয়াবিনের প্রাক্কলিত দর হচ্ছে ১৭১ টাকা ৩২ পয়সা। সে হিসেবে প্রাক্কলিত দরের চেয়ে প্রস্তাবিত দর প্রতি লিটারে ৯ টাকা ৩৮ পয়সা কম। তবে পর্যালোচনায় দেখা যায়, টিসিবি কর্তৃক স্থানীয় বাজার থেকে কেনা তেলের দাম ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এর আগে সর্বশেষ গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৬০ টাকা ৩০ পয়সা দরে কেনা হয়েছিল। সে হিসাবে এবার প্রতি লিটারে ১ টাকা ৬৪ পয়সা বেশি পড়ছে। এরও আগে গত ৩০ আগস্ট প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৫৯ টাকা ৮৫ পয়সা দরে কেনা হয়েছিল।

সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে স্থানীয় বাজারে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের গড় খুচরা মূল্য হচ্ছে ১৭২ টাকা ৫০ পয়সা। সে হিসাবে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে দাম কম পড়ছে ১০ টাকা ৫৬ পয়সা।

জানা গেছে, সয়াবিন তেল সরবরাহের অপর দুটি দরপত্র ছিল সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড এবং সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড-এর। এর মধ্যে সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড-এর প্রস্তাবিত দর ছিল প্রতি লিটার ১৬৩ টাকা ৭৩ পয়সা এবং সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড-এর প্রস্তাবিত দর ছিল প্রতি লিটার ১৬৩ টাকা ৯০ পয়সা।

সূত্র জানায়, ভোজ্যতেলের বাজার স্বল্পআয়ের মানুষদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সরকার টিসিবির মাধ্যমে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য স্বল্প দামে বিক্রি করছে। এরই অংশ হিসেবে স্থানীয় দরপত্রের মাধ্যমে আরও ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয় করা হবে।

স্থানীয়ভাবে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে এর মধ্যে সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৫৮.৫৫ টাকা দর উল্লেখ করে সর্বনিম্ন দরদাতা হয়। অন্য দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বসুন্ধরা মাল্টি ফুড প্রডাক্টস লিমিটেড প্রতি লিটারের দাম ১৫৮.৮২ টাকা এবং মেঘনা এডিবল অয়েলস রিফাইনারি লিমিটেড প্রতি লিটারের দাম ১৬১.৯৪ টাকা উল্লেখ করে। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশে সর্বসিনম্ন দরদাতা সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সরবরাহ করবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৭৯ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অর্থাৎ এক কোটি লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ে সরকারের মোট ব্যয় হবে ২০৮ কোটি ৮২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। প্রতিষ্ঠান দুটি ২ লিটারের পেট বোতলে এই এক কোটি ৩০ লাখ লিটার তেল টিসিবির গুদামে সরবরাহ করবে।


আরও খবর

পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১৪.৪৬ শতাংশ

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




মোবাইল ডেটার দাম নির্ধারণ

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

বিটিআরসির গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনায় মোবাইল ফোন অপারেটরদের ডাটা ও ডাটা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্যাকেজের নতুন নির্দেশিকার উদ্বোধন করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। নতুন এই নির্দেশিকা আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।

মন্ত্রী বলেন, গ্রাহকের স্বাচ্ছন্দ বিবেচনায় নতুন ডাটা প্যাকেজ ও মেয়াদসহ বিভিন্ন নির্দেশনা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিন দিনের মেয়াদে ১৫ জিবি ডাটা দিলে তা গ্রাহকের উপকারে আসে না জানিয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, মোবাইল অপারেটরগুলো ব্যবসায়িক স্বার্থে ডাটার মেয়াদ সীমিত রাখতে চায়। অতিরিক্ত মুনাফা থেকে অপারেটরদের বেরিয়ে আসার আহবান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, পূর্বে অসংখ্য প্যাকেজ থাকায় জনগণ বিভ্রান্ত্রিতে পড়েছে, নতুন নির্দেশিকায় ৪০ টি প্যাকেজ গ্রাহকদের স্বাচ্ছন্দ্য দিবে। বর্তমানে ০৩ দিনের প্যাকেজের যে মেয়াদ সেটাই ০৭ দিনের মেয়াদ হবে বলেও জানান তিনি।

সভার শুরুতে বিটিআরসির ভাইস-চেয়ারম্যান প্রকৌ. মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, টেলিযোগাযোগ খাতে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা তৈরিতে এবং প্রান্তিক জনগণের দৌড়গোড়াঁয় টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতে কাজ করছে বিটিআরসি। নতুন ডাটা প্যাকেজ নির্দেশিকার ফলে গ্রাহক ভোগান্ত্রি ছাড়াই তাদের পছন্দ অনুযায়ী ডাটা প্যাকেজ বাছাই করতে পারবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে অপারেটরগণ নিজেদের স্বার্থেই ডাটার মূল্য কমিয়ে আনবে।

পরবর্তীতে কমিশনের মহাপরিচালক (সিস্টেমস এন্ড সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ নতুন প্যাকেজ নির্দেশিকার আদ্যোপান্ত বিশদভাবে উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, নির্দেশিকায় পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে বিটিআরসি সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে সভা, আলোচনা, মতামত গ্রহণ, উন্মুক্ত পদ্ধতিতে গ্রাহকের সাথে সরাসরি মতবিনিময়সহ অনলাইন জরিপ পরিচালনা করেছে। উপস্থাপনায় তিনি নিম্নোক্ত বিষয় উল্লেখ করেন:

প্যাকেজ সংখ্যা ও মেয়াদ: একটি অপারেটরের নিয়মিত (regular package), বিশেষ প্যাকেজ (CCSP), রিসার্চ ও ডেভেলমেন্ট (R&D), সব ধরনের ব্র্যান্ড মিলিয়ে (ফ্ল্যাক্সিবল প্ল্যান অনুযায়ী) প্যাকেজের সংখ্যা হবে ৪০টি, যা আগে ছিলো ৮৫টি। এছাড়া, সকল প্যাকেজের সময়সীমা হবে ০৭ দিন, ৩০ দিন এবং আনলিমিটেড, যা আগে ছিলো ৩ দিন, ৭ দিন, ১৫ দিন এবং ৩০ দিন।

আনলিমিটেড প্যাকেজের সংখ্যা ও ডাটা ভলিউম: প্রতিটি অপারেটর তিনটি ভিন্ন ভলিউমে আনলিমিডেট ডাটা প্যাকেজ অফার করতে পারবে আর তা হবে ২৫ জিবি, ৫০ জিবি এবং ৭৫ জিবি। অর্থাৎ উক্ত তিনটি ভলিউমের যেকোনো একটি আনলিমিটেড প্যাকেজ হিসেবে গণ্য হবে। বিটিআরসির অনুমোদন নিয়ে পরবর্তীতে ভলিউম পরিবর্তন করা যাবে।

ফ্ল্যাক্সিবল প্ল্যান প্যাকেজ ডিজাইন: যে সকল গ্রাহক (MyGP, MyRobi, MyBL, My Teletalk) ব্যবহার করে তারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী টকটাইম, ডাটা ভলিউম,সোশ্যাল প্যাক, এসএমএস ইত্যাদি নির্বাচন করে নিজের প্যাকেজ নিজেই ডিজাইন করতে পারবেন। প্রদর্শিত মূল্য গ্রাহকের পছন্দ হলে নিজেই তার মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে প্যাকেজটি গ্রহণ করতে পারবে এবং এটি একটি রেগুলার প্যাকেজ হিসেবে গণ্য হবে। বোনাসসহ অব্যবহৃত ডেটা ক্যারি ফরওয়ার্ড ( অব্যবহৃত ডাটা নতুন প্যাকেজে যুক্ত হওয়া) : নতুন নির্দেশিকায় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে একই প্যাকেজ কিনলে ডেটা ক্যারি ফরওয়ার্ড হবে। একই ভলিউমের ৭ বা ৩০ দিন মেয়াদের প্যাকেজ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গ্রাহক উক্ত প্যাকেজ আবার ক্রয় করলে ডেটা ক্যারি ফরওয়ার্ড হবে। ক্যারি ফরওয়ার্ড করা যাবে সর্বোচ্চ ৫০ জিবি ডাটা পর্যন্ত। এছাড়া, গ্রাহককে অপারেটররা প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩ টি প্রমোশনাল এসএমএস দিতে পারবে, যা পূর্বে ছিল ৪টি। সোশ্যাল প্যাকেজের ক্ষেত্রেও মেয়াদের মধ্যে একই প্যাক পুনরায় গ্রহণ করলে অব্যবহৃত ডাটা ক্যারি ফরওয়ার্ড হবে এবং বোনাস হিসেবে প্রদান করা ডাটাও ক্যারি ফরওয়ার্ডের অন্তর্ভূক্ত হবে।

ডাটা শেষ হওয়ার পূর্বে গ্রাহককে অবহিতকরণ: একজন গ্রাহককে প্যাকেজের সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে নতুন প্যাকেজ অফার প্রদান করলে অফারটি অবশ্যই একই প্যাকেজ হতে হবে এবং অন্য দুটি প্যাকেজ তার ব্যবহারের প্যাটার্নের ওপর ভিত্তি করে হতে পারে। যেকোনো প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার ০১ (এক) দিন পূর্বে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে ডাটার মেয়াদ শেষ হওয়ার নোটিফিকেশন পাঠাতে হবে। অব্যবহৃত ডাটা ক্যারি ফরওয়ার্ডের ক্ষেত্রেও মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে চলতি প্যাক পুনরায় ক্রয় করার নিদের্শনা উক্ত এসএমএস এ থাকবে।

৩ দিনের প্যাকেজে না রাখার কারণ: মোবাইল অপারেটর তিন দিনের প্যাকেজে যে পরিমাণ ডাটার অফার প্রদান করেন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গ্রাহকগণ উক্ত সময়সীমার মধ্যে করতে ব্যর্থ হয় । এছাড়া, উক্ত প্যাকেজ সংখ্যা বেশি হওয়ায় এবং সময়সীমা কম হওয়ায় গ্রাহকরা পুনরায় প্যাকেজ ক্রয় করলে ডাটা ক্যারি ফর্ওয়ার্ড নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়। বিটিআরসি কর্তৃক পরিচালিত অনলাইনে জরিপে দেখা যায়, ৫৪.৬% গ্রাহক ০৩ দিনের প্যাকেজ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক নয়।

অনলাইনে প্যাকেজ ও ডাটার উপরে গ্রাহকদের মতামত জরিপের ফলাফল: বিটিআরসি কর্তৃক অনলাইনে প্যাকেজ ও ডাটার উপরে গ্রাহকদের মতামত জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, ৬১% গ্রাহক মনে করে প্যাকেজের সংখ্যা সর্বোচ্চ ৪০-৫০ টি হওয়া উচিত এবং ৫৪% গ্রাহক ৭ দিন, ৩০ দিন ও আনলিমিটেড মেয়াদ রাখার পক্ষে মতামত প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, অপারেটরগুলো সবসময় গ্রাহকবান্ধব এবং গ্রাহক সন্তুষ্টির জন্য কাজ করে থাকে। ভবিষ্যতে বিটিআরসির সাথে আলোচনার মাধ্যমে গ্রাহক সন্তুষ্টির বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হবে।

টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম হাবিবুর রহমান বলেন, বিটিআরসির নতুন নির্দেশিকায় অপারেটর ও গ্রাহকদের জন্য স্বচ্ছ ধারণা দেওয়া হয়েছে এবং টেলিপ্ল্যানগুলোতে গ্রাহকদের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। বিটিআরসি কর্তৃক নির্ধারিত ৪০ টি প্যাকেজের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, প্যাকেজ সংখ্যা ৪০ এর মধ্যে রাখার বিষয়ে কাজ শুরু করেছে টেলিটক ।

রবির চিফ কর্পোরেট এন্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার মোহাম্মদ শাহেদুল আলম বলেন, রবি সবসময় গ্রাহককের গুণগত সেবা দেওয়ার পাশাপাশি উদ্ভূত প্রতিটি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে গ্রাহকদের সাথে নিয়ে অপারেটরগুলো কাজ করবে উল্লেখ করে এক্ষেত্রে বিটিআরসির সহায়তা কামনা করেন তিনি।

অ্যামটবের সভাপতি এবং বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস নতুন নির্দেশিকাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলালিংক গ্রাহক সন্তুষ্টির ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

সভাপতির বক্তব্যে বিটিআরসির চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) জনাব শ্যাম সুন্দর সিকদার জানান, টেলিযোগাযোগ আইনে কমিশনের ওপর যে দায়িত্ব দেওয়া রয়েছে সে অনুযায়ী কাজ করছে বিটিআরসি। এর আগে এক দেশ এক রেট বাস্তবায়নের ফলে গ্রাহক সুফল ভোগ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, মোবাইল ডাটার ফ্লোর প্রাইস ও সিলিং প্রাইস আপাতত নির্ধারণ করা না হলেও ভবিষ্যতে সময়ের চাহিদানুযায়ী সেটা নির্ধারণ করে দেয়া হবে। অপারেটর ও গ্রাহক উভয়ের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে বিটিআরসি কাজ করছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর

দেশে সাইবার হামলার হুমকি

শনিবার ০৫ আগস্ট ২০২৩




দশমনিায় ৫০তম গ্রীস্মকালীন খেলাধুলার উদ্ধোধন

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মোঃ নাঈম হোসাইন (পটুয়াখালী) দশমিনা,প্রতিনিধি :

পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে বুধবার সকাল ১১ টায়এসএ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ৫০ তম গ্রীস্মকালীন খেলাধুলার শুভউদ্ধোধন করা হয়।উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সেলিম মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধানঅতিথি হিসাবে উপস্তিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা।এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়েরপ্রধান শিক্ষক সালাহ উদ্দিন সৈকত, এসএ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতিআসাদুল হক হাওলাদার, দক্ষিন দশমিনা দাখিল মাদ্রসার সভাপতি শাহমেয়াজ্জেম হোসেন সুমন সিকদার, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতিকাজী আনোয়ার, ভ্যানু প্রধান কাওসার হোসেন, ডাঃ ডলি আকবরমহিলা কলেজের প্রভাষক(শারীরিক শিক্ষক) মোঃ বেল্লাল হোসেন সহবিভিন্ন মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অংশ গ্রহনকারি শিক্ষার্থী।প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার পাশাপাশিশরীরচর্চার জন্য প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর ৫০ তম স্কুল, মাদ্রাসা ওকারিগরি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার আয়োজ করা হয়। এর মাধ্যমেশিক্ষার্থীদের শারীরিক গঠন ও মানসিক বিকাশে বিশেষ ভুমিকা রাখবে।


আরও খবর

আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ব্যালন ডি’অরের দৌঁড়ে অষ্টমবারের মতো মেসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : লিওনেল মেসিকে বিশ্ব ফুটবলের জন্য সম্পদ আখ্যায়িত করে একবার কিংবদন্তী ডাচ ফুটবলার ইয়োহান ক্রুইফ বলেছিলেন, ‘মেসি পাঁচটা, ছয়টা এমনকি সাতটা পর্যন্ত ব্যালন ডি’অর জিততে পারে।’

তার সেই কথাকে মেসি প্রমাণ তো করেছেনই, তার সঙ্গে সঙ্গে সেই ভবিষ্যদ্বাণীকেও যেন ছাড়িয়ে যাওয়ার মিশনে রয়েছেন। ক্যারিারে অষ্টমবারের মতো ব্যালন জেতার দৌঁড়ে রয়েছেন তিনি। সম্প্রতি ৩০ জনের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকায় তার নাম এসেছে। পাশাপাশি রয়েছেন সিটির হয়ে ট্রেবল জয়ী আর্লিং হালান্ড এবং বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা কিলিয়ান এমবাপ্পেও।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রকাশ হওয়া ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় তারা তিনজনই ঠাঁই করে নিয়েছেন। খবর স্পোর্টস ব্রিফ, স্পোর্টস কিডা ও ইউরো স্পোর্টের।

তবে এই তালিকায় ঠাঁই পাননি দুই তারকা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও নেইমার জুনিয়র। গতবারের শীর্ষ দুইয়ে থাকা সাদিও মানেও প্রাথমিক তালিকায় নেই এবার। তিনজনেই এখন সৌদি লিগে যোগ দিয়েছেন। প্রদীপ্ত শিখার আলো থেকে তাই অনেকটাই দূরে রয়েছেন তারা।

এর আগে ২০০৪ সাল থেকে প্রতি বছর ব্যালন ডি’অরের ৩০ জনের তালিকায় ছিলেন রোনালদো। পাঁচবার পুরস্কার জয়ী এই পর্তুগিজ তারকা এবার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। ইউরোপ ছেড়ে এখন সৌদি ক্লাব আল নাসরে খেলছেন তিনি।


আরও খবর

আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




নওগাঁয় নদীর পানিতে পড়ে ৩ বছর বয়সী শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

নওগাঁয় নদীর পানিতে পড়ে নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর ৩ বছর বয়সি রামিশা আক্তার নামে এক শিশুর মৃতদেহ বৃহস্পতিবার বিকেলে উদ্ধার করেছে সার্ভিসের ''ডুবুরি দল''

উল্লেখ্য- গত বুধবার বিকেল পনে ৩ টারদিকে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বালুভরা (পালশা) গ্রাম এলাকায় নদীর পানিতে পড়ে শিশুটি নিখোঁজ হয়। 

সত্যতা নিশ্চিত করে বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান নিহত শিশুর স্বজনদের বরাত দিয়ে বলেন,

বুধবার দুপুরের দিকে নদীর পানিতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া ৩ বছর বয়সী শিশু রামিশা'র মৃতদেহ বৃহস্পতিবার বিকেলে ডুবরি দলের চেষ্টায় কটকবাড়ী চন্তরামপুর ব্রীজের নিকট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত শিশু রামিশা আক্তার বদলগাছী উপজেলার বালুভরা ইউপির পলশা গ্রামের আব্দুল রউফ মন্ডল এর মেয়ে।

স্থানিয়রা ও পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, ঘটনার দিন ও সময় শিশুটি তাদের বাড়ীর পাশে নদীর ধারে খেলা করতে গিয়ে অ-সাবধানতা বশত নদীর পানিতে পড়েন। পানিতে পড়ে যাওয়ার ঘটনাটি স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে নদীতে নেমে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে এক পর্যায়ে বদলগাছী থানা পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসকে জানায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। বুধবার রাত পর্যন্ত নদীতে ডুবে যাওয়া শিশুর সন্ধান না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে ''ডুবুরির একটি দল'' ঘটনাস্থলে পৌছে দীর্ঘ সময় চেষ্টা চালিয়ে বিকেলে (পড়ে যাওয়া ঘটনাস্থল থেকে দূরে) কটকবাড়ী চন্তরামপুর ব্রীজের নিকট থেকে শিশু রামিশা আক্তার এর মৃতদেহ উদ্ধার করেন। শিশু মৃত্যুর ঘটনায় পরিবার, স্বজন সহ এলাকাবাসীর মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছাঁয়া।


আরও খবর