Logo
শিরোনাম

নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বাংলাদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

রোকসানা মনোয়ার :  নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্য, বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি, দৃষ্টিনন্দন জীবনাচার বাংলাদেশকে গড়ে তুলেছে একটি বহুমাত্রিক আকর্ষণ-সমৃদ্ধ পর্যটন গন্তব্য হিসেবে।

বিশ্ব পর্যটন দিবস আজ। প্রতি বছরের মতো এবারও অন্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘পর্যটনে নতুন ভাবনা’। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

ভ্রমণপিপাসুরা বলেন, তুলনামূলক বাংলাদেশ স্বল্প আয়তনের হলেও পর্যটন আকর্ষণে যে বৈচিত্র্য তা সহজেই পর্যটকদের আকর্ষণ করতে পারে। এ দেশে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম নীরবচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক সমুদ্রসৈকত-কক্সবাজার, পৃথিবীর একক বৃহত্তম জীববৈচিত্র্যে ভরপুর ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল-সুন্দরবন, একই সৈকত থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত অবলোকনের স্থান সমুদ্রকন্যা-কুয়াকাটা, দুটি পাতা একটি কুঁড়ির সবুজ রঙের নয়নাভিরাম চারণভূমি-সিলেট, আদিবাসীদের বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি ও কৃষ্টি আচার-অনুষ্ঠানসমৃদ্ধ উচ্চ সবুজ বনভূমি ঘেরা চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চল, সমৃদ্ধ অতীতের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা উত্তরাঞ্চলের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো। ফলে স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প উন্নয়নের সম্ভাবনা অপরিসীম। পর্যটনশিল্পের সবটুকু সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে মডেল হতে পারে।

এ ছাড়া ‘পর্যটনের নতুন ভাবনা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি (বিএমসি) ৭ দিনব্যাপী পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভ্যালের আয়োজন করছে। কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্টে বসছে আনন্দ-উৎসবের এ মেলা। প্রসঙ্গত, কক্সবাজারের সপ্তাহব্যাপী পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভ্যাল আয়োজনে দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ অন্যতম সহযোগী (স্পন্সর) হিসেবে থাকছে।

বিশ্ব পর্যটন সংস্থার প্রাক্কলন অনুযায়ী ২০২২ সাল নাগাদ পর্যটনশিল্প থেকে প্রতি বছর ২ ট্রিলিয়ন ডলার আয় হবে। ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের ৫১টি দেশের পর্যটকরা বাংলাদেশে ভ্রমণ করবেন, যা মোট জিডিপির ১০ শতাংশ অবদান রাখবে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৪ সালে মোট কর্মসংস্থানের ১ দশমিক ৯ শতাংশ হবে পর্যটনশিল্পের অবদান। পর্যটনশিল্পের অপার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার রোল মডেল।

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী পর্যটকের সংখ্যা প্রায় ১১০ কোটি। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২২ সাল নাগাদ এ সংখ্যা ২০০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। আর বিপুলসংখ্যক পর্যটকের প্রায় ৭৫ শতাংশ ভ্রমণ করবে এশিয়ার দেশগুলোতে। বাংলাদেশ যদি এ বিশাল বাজারে টিকে থাকতে পারে, তাহলে পর্যটনের হাত ধরেই বদলে যেতে পারে দেশের অর্থনীতির রূপরেখা।

২০২৫ সালের মধ্যে পর্যটনশিল্পের সর্বোচ্চ বিকাশে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। পুরো দেশকে আটটি পর্যটন জোনে ভাগ করে প্রতিটি স্তরে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রথমবারের মতো সরকারি-বেসরকারি যৌথ বিনিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে কক্সবাজারে পর্যটন অবকাঠামো নির্মাণে ২৫টি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এগুলোয় প্রায় প্রত্যক্ষভাবে বিনিয়োগ হবে ৩৭ হাজার কোটি টাকা। পরোক্ষভাবে বিনিয়োগ হবে ১ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া সরকারের প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন, আধুনিক হোটেল-মোটেল নির্মাণ, মহেশখালীতে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, সোনাদিয়াকে বিশেষ পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা, ইনানি সৈকতের উন্নয়ন, টেকনাফের সাবরাংয়ে ইকো ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণ, শ্যামলাপুর সৈকতের উন্নয়ন, ঝিলংঝা সৈকতের উন্নয়ন, চট্টগ্রাম কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ, কুতুবদিয়ায় বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পের সম্প্রসারণ, চকরিয়ায় মিনি সুন্দরবনে পর্যটকদের গমনের জন্য যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন, ডুলাহাজরা সাফারি পার্কের আধুনিকায়ন ইত্যাদি। এ ছাড়া আরো চারটি নতুন প্রকল্প নিতে যাচ্ছে সরকার। এসব বাস্তবায়ন হলে আগামীতে দেশের পর্যটন খাত আরো চাঙা হবে বলে আশা করা যায়।


আরও খবর



১৫৯ আরোহী নিয়ে শস্যখেতে রাশিয়ান বিমান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ১৫৯ জন আরোহী নিয়ে রাশিয়ায় একটি শস্যখেতে জরুরি অবতরণ করেছে একটি বিমান। রাশিয়ার ইউরাল এয়ারলাইন্সের বিমানটি দেশটির সোচি শহর থেকে ওমস্কে যাচ্ছিল এবং মাঝ আকাশে যান্ত্রিক ত্রুটির মুখে পড়ার পর পশ্চিম সাইবেরিয়ার নোভোসিবিরস্ক অঞ্চলে এটি জরুরি অবতরণ করে।

বেশ কয়েকটি বার্তাসংস্থার বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার ইউরাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ১৫৯ জন আরোহী নিয়ে সোচি থেকে ওমস্কের দিকে যাওয়ার সময় পশ্চিম সাইবেরিয়ার নোভোসিবিরস্ক অঞ্চলে জরুরি অবতরণ করেছে বলে রাশিয়ান সংস্থাগুলো মঙ্গলবার জানিয়েছে।

অবশ্য এই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কারও আহত হওয়ার কোনও খবর বা জরুরি অবতরণের কারণও জানা যায়নি।

রাশিয়ার বার্তাসংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, বিমানটিতে ১৫৯ জন আরোহী ছিলেন। এর আগে আরেক বার্তাসংস্থা তাস জানায়, জরুরি অবতরণ করা বিমানটিতে আরোহীর সংখ্যা ছিল ১৫৬ জন।

পৃথক প্রতিবেদনে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, সোচি থেকে ওমস্ক যাওয়ার পথে এয়ারবাস এ৩২০ মডেলের একটি বিমান মঙ্গলবার সকালে মাঝ আকাশে থাকা অবস্থায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে এবং সেটিকে নোভোসিবিরস্কের একটি এয়ারফিল্ডে অবতরণের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু বিমানটি সেখানেও পৌঁছাতে ব্যর্থ হয় বলে জরুরি পরিষেবাগুলো রাশিয়ান মিডিয়াকে জানিয়েছে।

পরে বিমানটি নোভোসিবিরস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে একটি মাঠে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, হাইড্রলিক্সের ত্রুটির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

আরটি বলছে, ইউরাল এয়ারলাইন্সের এই ফ্লাইটে ২৩ শিশুসহ ১৭০ জন লোক ছিল। প্রাথমিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, জরুর অবতরণের ঘটনায় যাত্রী বা ক্রুদের কেউই গুরুতর আহত হননি। কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিমানটি অবতরণ করার পরে প্লেনের বডিতে কোনও ফাঁটল বা ভাঙন দেখা দেয়নি এবং আগুনও ধরে যায়নি।

শস্যখেতে অবতরণের পর জরুরি স্লাইড ব্যবহার করে সবাই নিরাপদে বিমানটি থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন।

রুশ এই সংবাদমাধ্যমটি বলছে, একাধিক টেলিগ্রাম চ্যানেল ঘটনাস্থল থেকে ওই বিমানের ছবি শেয়ার করেছে। এসব ছবিতে অবতরণের পর ঘটনাস্থলে প্রথম উপস্থিত হওয়া কয়েকজন ব্যক্তিকে বেষ্টিত অবস্থায় শস্যখেতের মধ্যে জরুরি নির্গমণের স্লাইডসহ বিমানটিকে দেখা যাচ্ছে।

অন্যান্য ছবিতে যাত্রীদের একটি দলকেও কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।


আরও খবর

বন্ধের পথে ট্রাম্পের ব্যবসা

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ভুয়া দলিল তৈরি করলে ৭ বছরের জেল

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : অন্যের জমি নিজের দখলে রাখা, ভুয়া বা মিথ্যা দলিল তৈরি এবং নিজ মালিকানার বাইরে অন্য কোনো জমির অংশবিশেষ উল্লেখ করে দলিল হস্তান্তরে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রেখে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিল-২০২৩। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কন্ঠভোটে পাস হয়। এছাড়া সর্বোচ্চ ৬০ বিঘা কৃষি ভূমির মালিকানার বিধান রেখে সংসদে আরো একটি বিল পাস হয়েছে।

বিলে বলা হয়, ভূমি হস্তান্তর, জরিপ ও রেকর্ড হালনাগাদে অন্যের জমি নিজের নামে প্রচার, তথ্য গোপন করে কোনো ভূমির সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষ কারো কাছে হস্তান্তর, ব্যক্তির পরিচয় গোপন করে জমি হস্তান্তর ও মিথ্যা বিবরণ সংবলিত কোনো দলিলে সই করলে তার সাজা হবে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। এছাড়া কোনো দলিল সম্পাদিত হওয়ার পর আইনানুগ কর্তৃত্ব ছাড়া প্রতারণামূলকভাবে দলিলের কোনো অংশ কাটা বা পরিবর্তন করলে তার সাজাও হবে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে কোনো মিথ্যা দলিল প্রস্তুত করার সাজাও একই হবে। প্রতারণামূলকভাবে কোনো ব্যক্তিকে কোনো দলিলে সই বা পরিবর্তনে বাধ্য করার ক্ষেত্রেও একই সাজা ভোগ করতে হবে।

বিলে বলা হয়, সর্বশেষ খতিয়ান মালিক বা তার উত্তরাধিকারসূত্রে বা হস্তান্তর বা দখলের উদ্দেশে আইনানুগভাবে সম্পাদিত দলিল বা আদালতের আদেশের মাধ্যমে কোনো মালিকানা বা দখলের অধিকারপ্রাপ্ত না হলে কোনো ব্যক্তি ওই ভূমি দখলে রাখতে পারবেন না। অবৈধ দখলের সাজা হবে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।

বিলে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির নামে স্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড টেন্যান্সি অ্যাক্টের অধীনে প্রণীত বা হালনাগাদকৃত বলবৎ সর্বশেষ খতিয়ান না থাকলে এবং খতিয়ান ও হালনাগাদ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হলে তিনি ওই জমি বিক্রি, দান বা হেবা বা অন্য কোনোভাবে হস্তান্তর, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সম্পাদন বা দলিল নিবন্ধন করতে পারবেন না। কোনো ব্যক্তি জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া আবাদযোগ্য জমির উপরিস্তর কাটার সাজা সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। নতুন আইনের আওতায় কোনো অপরাধ সংঘটনে সহায়তা ও প্ররোচনা দিলে মূল অপরাধীর সমান দণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভূমির স্বত্ব সংরক্ষণ ও শান্তিপূর্ণ ভোগদখল বজায় রাখার লক্ষ্যে ভূমি সংক্রান্ত অপরাধ এবং দ্রুত প্রতিকার নিশ্চিত করতে এই আইন করা হচ্ছে। নাগরিকরা নিজ নিজ মালিকানাধীন ভূমিতে নিরবচ্ছিন্ন ভোগদখল অধিকারসমূহ নিশ্চিত, ভূমি বিষয়ক প্রতারণা ও জালিয়াতির ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত ও প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, সরকারি ও সর্বসাধারণের ব্যবহার প্রতিরোধ ও দমনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভূমি সংক্রান্ত কিছু অপরাধের দ্রুত প্রতিকারের ব্যবস্থা লক্ষ্যে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ভূমি থেকে বেআইনি দখল, স্থাপনা ব প্রতিবন্ধকতা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অবৈধভাবে ভরাটকৃত মাটি, বালু, ইত্যাদি অপসারণ করতে এবং ওই ভূমিকে এর আগের শ্রেণি বা প্রকৃতিতে পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা সন্নিবেশ করা হয়েছে।

ভূমি সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতা দূর করা এবং যথাসময়ে জনগণের বিচার পাওয়া নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং মাঠ পর্যায়ের মতামত নেওয়াসহ অংশীজনের মতামত নিয়ে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে বলেও বিলে উল্লেখ করা হয়েছে।

৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমির মালিকানা নয় : ১৯৮৪ সালের ল্যান্ড রিফর্মস অর্ডিন্যান্স রহিত করে ভূমি সংস্কার বিল-২০২৩ সংসদে পাস হয়েছে। ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কন্ঠভোটে গৃহীত হয়। পাস হওয়া বিলে বলা হয়, ৬০ বিঘার বেশি কৃষি ভূমির মালিক বা তার পরিবার হস্তান্তর, উত্তরাধিকার, দান বা অন্য কোনো উপায়ে নতুন কোনো কৃষি ভূমি অর্জন করতে পারবে না। তবে সমবায় সমিতির মাধ্যমে চা, কফি ও রাবার বাগান, শিল্প প্রতিষ্ঠান বা কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম, রফতানমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আইনটি শিথিল থাকবে। এই আইনে বাস্তুভিটার অধিকার, বর্গাচুক্তি ও উৎপন্ন ফসলের ন্যায্য ভাগের কথাও বলা হয়েছে।


আরও খবর



লালমনিরহাটের মেলা উদ্বোধন করলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী!

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

লালমনিরহাট সদরের কালেক্টরেট খেলার মাঠে স্থানীয় চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি.র আয়োজিত মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।  গতকাল ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বিকেলে বাণিজ্য ও শিল্প মেলার উদ্বোধন করেন।  এসময় জেলা আওয়ামীলীগের কয়েকজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি সহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর কমিটির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। এর আগে এই মেলা ৯ মাস আগে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মেলা বন্ধের দাবিতে লালমনিরহাটে একাধিক মানববন্ধন করে গোশালা বাজার ও গোশালা রোড  ব্যবসায়ীরা সহ খেলাপ্রমি মানুষজন। বিভিন্ন হাটে বাজারে খরচ করতে আসা একাধিক সাধারণ মানুষ জানান, সরকারের বেঁধে দেয়া দামে আলু কিনতে পারছিনা,ভাত আছে তরকারির জন্য আলুর বলে বিকল্প নাই কিন্তু সেই আলু বাজারে ৪০-৬০ টাকা মূল্যে কিনতে হয়। অপরদিকে শত শত সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি, মোটরসাইকেল প্রায় প্রতিদিন চুরি হওয়ায় অনেকের সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারছেনা। তাই এমন সময় এই মেলার অনুমোদন না দিলেই পারতো। গত মেলার সময় থেকে এই মেলা শুরুর আগের দিন পর্যন্ত সদর সহ জেলায় কমপক্ষে ৭/৮ টি মোটরসাইকেল ও শতাধিক বসতবাড়ি চুরি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।  পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের দায়িত্ব ও মানবিকতার দরুন বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন চোরকে আটক ও গ্রেপ্তার করলেও বিজ্ঞ আদালত থেকে কেউ কেউ জামিনে বেরিয়ে যাওয়ারও খবর পাওয়া গেছে।  চুরি হচ্ছে একের পর এক বাড়ী ও গাড়ি।

আবার অনেকে বলছেন,এই মেলা ৭ দিনের বেশি চললে চুরি আরও বাড়তে পারে। সেই সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কিংবা সরকারি আদেশ উপেক্ষা করে চরা দমে আলু বিক্রি বন্ধ না হলে এ জেলার সাধারণ মানুষ মারাত্মক ক্ষতিরমুখে পরতে পারে।  অপরদিকে এখানকার সাধারণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, মেলা চলায় শহরের দোকানে বেচা বিক্রি কমে যাবে, কর্মচারি, দোকানভাড়া দিতে না পারলে কারও কারও দোকান মারাত্মক ক্ষতির মুখে পরতে পারে। তবে এখনকার সাধারণ মানুষ,ক্ষুদ্র বয়বসায়ীরা মেলা বন্ধে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।


আরও খবর

বন্ধের পথে ট্রাম্পের ব্যবসা

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




নওগাঁর আবারও শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হলেন আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

স্টাফ রিপোর্টার :

প্রাথমিক শিক্ষায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ জেলা পর্যায়ে দ্বিতীয় বারের মতো শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নির্বাচিত হয়েছেন নওগাঁর সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন। এর আগে গত বছর জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে প্রাথমিক শিক্ষা পদকে শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি। এছাড়াও শুদ্ধাচার চর্চায় এ বছর জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হওয়ার সম্মান অর্জন করেছেন। গত মঙ্গলবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রাথমিক শিক্ষা পদক বাছাই কমিটির সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ফলাফলের তালিকা থেকে এ তথ্য জানা যায়।

কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতে নানা কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। নিয়মিত কাজের ফাঁকে সময় পেলেই ছুটে যান বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। কোমল মতি শিশুদের শিক্ষায় আকৃষ্ট করতে নিজ অর্থায়নে পুরুস্কার হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ তাদের মাঝে বিতরণ করেন। শিক্ষা উপকরণ হিসেবে উপহার দেন স্কুল ড্রেস, স্কুল ব্যাগ, টিফিন বক্সসহ বিভিন্ন ধরনের খেলার সামগ্রী।

সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন বলেন, কোমলমতি শিশুদের ক্লাসে গিয়ে কথা বলা, শিশুদের সাথে মেশা আমার এক প্রকার আনন্দের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিয়মিত বিভিন্ন বিদ্যালয়ে না গেলে একটা খারাপ লাগা কাজ করে। তাই আমি নিয়মিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাই। শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনাই এবং তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে মুক্তিযুদ্ধের বই উপহার দেই। কারন আজকের দিনের এই শিশুরা আগামীতে দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ করবে বলে আমি বিস্বাস করি। আমার এই পুরষ্কার আগামীতে আমাকে ভালো কাজে আরো উৎসাহ যোগাবে।


আরও খবর



রাণীনগরে ইউএনও‘র বদলি আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদাত হুসেইন এর বদলি আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পবিার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ এই মানববন্ধন করেন।

 রাণীনগর সরকারী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন শুরু হয়। মানববন্ধনে স্থানীয় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেনী পেশার মানুষ অংশ গ্রহন করেন। মানববন্ধনে বক্তারা জানান,ইউএনও শাহাদাত হুসেইন এই উপজেলায় যোগদানের পর থেকে উপজেলার চিত্র পাল্টাতে শুরু করে। মানবিক কার্যাবলী,কর্মদক্ষতা সম্পন্ন জনবান্ধব উদ্যোক্তা এই কর্মকর্তা উপজেলার সর্ব সাধারণের ভালবাসা ও আস্থা অর্জন করেন। ইউএনও শাহাদাত হুসেই, মাদক নিয়ন্ত্রন,বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ,কিশোর অপরাধ দমনসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্ছার থেকে নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করে আসছেন। এছাড়া শিক্ষার মান উন্নয়নে অতুলনিয় ভূমিকা রাখায় বিশেষ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভালবাসা অর্জনে সক্ষম হন তিনি। তিনি ভূমিহীন,অসহায়,হতদরিদ্রদের পাশে থেকে শুধু সরকারী অর্থেই নয়,ব্যক্তিগত ভাবেও সাধ্য মতো সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে আসছেন। কিন্তু হঠা’ করেই তার বদলির আদেশে ফুঁসে ওঠে উপজেলা বাসী। রাণীনগর উপজেলাকে মডেল উপজেলা হিসেবে জাতির সামনে তুলে ধরতে এবং উপজেলাবাসীর জীবন মান-উন্নয়নে ইউএনও শাহাদাত হুসেইন এর বদলি আদেশ দ্রæত প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় এই মানববন্ধনে। 

মানববন্ধনে রাণীনগর সরকারী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক চাঁদ সুলতানা,উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন তোতা,ত্রিমোহনী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম,দূর্গাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাব্বেল হোসেনসহ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেনীপেশার লোকজন অংশ নেয়।

উল্লেখ্য,গত গত বছরের ১৭মে শাহাদাত হুসেইন এই উপজেলায় ইউএনও হিসেবে যোগদান করেন। সরকারী এক আদেশে গত ২৭আগষ্ট তাকে ঢাকা বিভাগের ইউএনও হিসেবে পদায়নের জন্য কমিশনার অফিসে ন্যাস্ত করা হয়েছে। 


আরও খবর