Logo
শিরোনাম

অবৈধ অভিবাসী তাড়াতে নতুন বিল পাস যুক্তরাষ্ট্রে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

গত ২০ জানুয়ারি নথিবিহীন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপর থেকে দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে শুরু হয়েছে অভিযান, যা এখনও জারি আাছে।

এবার সেই অভিযানকে আরও দৃঢ় করতে নতুন একটি বিল পাস করেছে দেশটির পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ (হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস)। ‘দ্য এজেন্স রাউল গঞ্জালেস অফিসার সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ নামের সেই বিলটিতে বলা হয়েছে, যদি কোনো নথিবিহীন অভিবাসী ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো অপরাধ করেন কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা বা সীমান্তরক্ষীদের ওপর হামলা চালান, সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে গুরুতর আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এছাড়া সীমান্ত এলাকায় দায়িত্বরত রক্ষী ও কর্মকর্তাদের ফাঁকি দেয়ে প্রবেশের মতলবে কোনো অভিবাসনপ্রত্যাশী যদি সীমান্ত এলাকার ১০০ মাইল বা ১৬১ কিলোমিটারের মধ্যে গাড়ি, মোটরসাইকেল বা অন্য কোনো মোটরযান নিয়ে প্রবেশ করেন, তাহলেও ওই অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সেই বিলে।

বৃহস্পতিবার বিলটি উত্থাপনের পর সেটির পক্ষে ভোট দেন প্রতিনিধি পরিষদের ২৬৪ জন সদস্য এবং বিপক্ষে ভোট দেন ১৫৫ জন।

বিধি অনুযায়ী, এখন বিলটি পাঠানো হবে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে। সেখানে সেটি পাস হলে তা যাবে প্রেসিডেন্টের দপ্তরে এবং তিনি তাতে স্বাক্ষরের পরেই আইনে পরিণত হবে বিলটি।

বিলটি পাসের পর এক ব্রিফিংয়ে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার মাইক জনসন বলেন, “এই বিল একটি দৃঢ় বার্তা দিচ্ছে আমাদের, তা হলো— যারা অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করছে এবং আমাদের কর্মকর্তা-কর্মীদের নিরাপত্তাকে সংকটে ফেলছে, তাদেরকে অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে হবে এবং সেই ক্ষতিপূরণ হবে গুরুতর।”

২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য টেক্সাসের সীমান্তে দায়িত্বপালনের সময় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ইচ্ছুক অবৈধ অভিবাসীদের হামলায় নিহত হয়েছিলেন মার্কিন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য রাউল গঞ্জালেস। তার নামেই নামকরন করা হয়েছে বিলটির।


আরও খবর



পুলিশ আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে আক্রমণের শিকার হচ্ছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ |

Image

পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বললেন, ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের কারণে পুলিশ আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে মানুষের আক্রমণের শিকার হচ্ছে।

তিনি বলেছেন, ‘৫ আগস্ট-পরবর্তী অপরাধী পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় এনে ও সরিয়ে দিয়ে পুলিশ বাহিনীকে স্বগৌরবে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এরপরও আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ বাধার মুখে পড়ছে, পুলিশের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। উল্টো পথে যান চলাচল বন্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে ট্রাফিক পুলিশের ওপর সাইকেল চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে।

রংপুরে একটি কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইজিপি এসব কথা বলেন। ‘দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালাটি রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের মিলনায়তনে আয়োজন করা হয়।

আইজিপি বলেন, ‘নাগরিক সমাজের প্রতি আমার অনুরোধ, পুলিশকে আপনারা আবার কাছে টেনে নিন। পুলিশকে কাজ করতে সহায়তা করেন। দেশে বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেছে, পুলিশ আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে মানুষের আক্রমণের শিকার হচ্ছে। এটা আবেগের বিষয়। হয়তোবা তাদের অতীত স্মৃতি মনে করে দেয় যখন পুলিশ অন্যায়ভাবে মানুষের ওপর আক্রমণ করেছে, অন্যায় আচরণ করেছে এবং গণবিরোধী আচরণ করেছে।

পুলিশকে আবার মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার চেষ্টা হচ্ছে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, ‘৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে আমরা চেষ্টা করছি যারা অপরাধী (পুলিশ), তাদের বিচারের আওতায় এনে ও সরিয়ে দিয়ে পুলিশকে আবার স্বগৌরবে ফিরিয়ে আনতে, কর্মক্ষম করে তুলতে।’

বাহারুল আলম আরও বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের মামলাগুলো সঠিক তদন্ত ও বিচারের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে হবে। যদি নিষ্পত্তি না করা হয় এবং মানুষ যদি ন্যায়বিচার না পায়, তাহলে জাতি আমাদের ক্ষমা করবে না। এ জন্য বিচারক, সরকারি কৌঁসুলি, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সবার একটি সম্মিলিত প্রয়াসের দরকার।

কর্মশালায় রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী, আট জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা ও দায়রা জজ, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক, সরকারি কৌঁসুলি ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) উপস্থিত হয়েছেন।


আরও খবর



সয়াবিন তেল লাপাত্তা, ক্রেতার ধরনা দোকানে দোকানে

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিনে বাজারে ক্রেতার চাপ বেড়েছে। রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন সবাই। কিন্তু রাজধানীর বাজারে সব পণ্যের দেখা মিললেও পাওয়া যাচ্ছে না সয়াবিন তেলের বোতল। রান্নায় দরকারি পণ্যটির খোঁজে তাই ক্রেতাদের ঘুরতে হচ্ছে দোকানে দোকানে। রোজার শুরুতেই ভোজ্যতেলে এমন বিড়ম্বনায় বেজায় ক্ষুব্ধ ভোক্তারা।

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের অবস্থাও তথৈবচ। বোতলজাত সয়াবিন তেল মিলছে না বাজারে। দাম বেড়েছে খোলা সয়াবিন তেলেরও। এর মধ্যে সরিষার তেলের দামও বাড়তির দিকে। রোজা শুরুর দুই সপ্তাহ আগে ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে বলেছিলেন, সরবরাহ খুবই ভালো। তাই এবার একটি পণ্যের দামও বাড়বে না। এ ছাড়া বাড়তি দাম রাখার কারণে প্রতিদিনই জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন দোকান ও বাজারকে জরিমানা করে চলেছেন। কিন্তু কিছুতেই লাগাম টানা যাচ্ছে না।

রাজধানীর কদমতলী এলাকার বাসিন্দা মো. এনামুল হক গতকাল বাজারে গিয়ে অন্তত পাঁচটি দোকান ঘুরেও পাঁচ লিটারের বোতলের সন্ধান পাননি। যে দোকানেই যাচ্ছেন, বলা হচ্ছে বোতল নেই। কথা হলে এনামুল বলেন, রোজার মাস এলেই বাজারে বিভিন্ন পণ্যমূল্যের নাটক-সিনেমা চলে। এবার বাজারে অনেক পণ্যের দাম বাড়েনি। কিন্তু সয়াবিন তেল নিয়ে এখনও খেলাধুলা চলছে। রোজার সময় যেখানে পণ্যের সরবরাহ বাড়ার কথা, সেখানে সয়াবিনের বোতল পাওয়াই যাচ্ছে না। সুপারশপে গিয়েও পাচ্ছি না। এগুলো দেখার কি কেউ নেই? আক্ষেপের সঙ্গে প্রশ্ন রাখেন তিনি।

পাড়ার মুদি দোকান ঘুরে না পেয়ে সয়াবিনের বোতলের খোঁজে একটি সুপারশপে এসেছেন আশকোনা এলাকার বাসিন্দা মো. আলতাফ হোসেন। সেখানে বোতলের দেখা পেলেও আরেক বিপত্তিতে পড়তে হয় তাকে। তিনি বলেন, এখানে ৫ লিটারের বোতল পাওয়া গেলেও শর্ত দেওয়া হচ্ছে ৩৫০ টাকা সমপরিমাণ অন্য পণ্যও কিনতে হবে। তা না হলে বোতল বিক্রি করবে না। এটা কেমন কথা? কোথায় আছি আমরা?

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, রোজা শুরু হলেও সয়াবিন তেলের সরবরাহ বাড়েনি। আগের মতোই কম তেল সরবরাহ করছে ডিলাররা। কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটেও গতকাল বোতলজাত সয়াবিন তেলের খোঁজে দোকানে দোকানে ঘুরতে দেখা গেছে অসংখ্য ক্রেতাকে। সেখানেও বিক্রেতাদের একই জবাব- সরবরাহ নেই। ডিলাররা যতটুকু দিচ্ছেন তা মুহূর্তেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।

কথা হলে কিচেন মার্কেটের বিউটি স্টোরের ব্যবসায়ী মো. জাকির হোসাইন বলেন, বাজারে কোনো সয়াবিনের বোতল নেই। ডিলাররা সরবরাহ করছে না। কোম্পানির কাছে চাহিদা দিচ্ছি ২০-২৫ কার্টন, কিন্তু পাচ্ছি ২-৩ কার্টন। এগুলো অল্প সময়েই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। রোজায় চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এ কারণে এ সময়ে সরবরাহ বাড়ার কথা।

বাজারে সয়াবিনের বোতল সরবরাহে ঘাটতির প্রসঙ্গে একাধিক ডিলারের সঙ্গে কথা বললেও তারা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। অপরদিকে যোগাযোগ করা হলে কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকেও সারা পাওয়া যায়নি।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, দাম এক দফা বাড়ানো হলেও আরও বাড়াতে চাইছে কোম্পানিগুলো। সে জন্য পুরনো কায়দায় সংকট তৈরি করা হচ্ছে।

খোলা সয়াবিন তেলের মোকাম রাজধানীর মৌলভীবাজারেও তেলের বাজার চড়া যাচ্ছে। আগের মতো সরবরাহ না থাকায় দাম বাড়তি রয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মাওলা।

এদিকে চট্টগ্রামে তেলেই শুধু তেলেসমাতি চলছে না, এক বছরের ব্যবধানে ছোলার দাম বেড়ে ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা হয়েছে। দুদিন ধরে আলুর সরবরাহে সংকট দেখিয়ে প্রতি কেজি ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকায় উঠে গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক বছর আগে যে ছোলা প্রতি কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হতো, এবার তা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত দুদিন আলুর সরবরাহে ঘাটতি দেখা যাওয়ায় ২০ টাকার আলুর কেজি ৩০ টাকায় উঠেছে। ক্ষীরার কেজি ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকায়, কাঁচামরিচ ৫০ টাকা থেকে ৭০ টাকায়, বেগুন ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকায় উঠে গেছে দাম। দেশে ব্যাপক আমদানি সত্ত্বেও সয়াবিন তেল বিশেষ করে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহে সংকট রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, দামি ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ না থাকার সুযোগে রাতারাতি অখ্যাত কোম্পানিগুলো খোলাবাজারের সয়াবিন তেল বোতলজাত করে বাজারে সরবরাহ করছে।

গতকাল চট্টগ্রাম নগরীর একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বোতলজাত সয়াবিন তেল নেই বললেই চলে। বিশেষ করে পাঁচ লিটারের বোতল পাওয়া যাচ্ছে না। কয়েক সপ্তাহ ধরেই এই সংকট চলছে বলে জানান বিক্রেতারা। তারা বলেন, চাহিদার বিপরীতে বোতলজাত তেলের সরবরাহ খুব কম। কিন্তু এই মুহূর্তে চাহিদা অনেক। কারণ হিসেবে মোমিন রোডের ব্যবসায়ী কুতুব উদ্দিন আমাদের সময়কে বলেন, রমজানে ভাজাভোজির ব্যাপার বেশি। সক্ষম ক্রেতারা ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেল নিতে চান। দাম তাদের কাছে ব্যাপার নয়। কিন্তু আমরা তো দিতে পারছি না।

আন্তর্জাতিক বাজারের চিত্র বলছে, সয়াবিন তেলের দর গত তিন মাসে নিম্নমুখী রয়েছে। বিশ্ব বাজারে পণ্যমূল্যের পর্যবেক্ষণ নিয়ে বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত সর্বশেষ ফেব্রুয়ারি মাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাজারে গত নভেম্বর মাসে প্রতিটন সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১১৪৫ ডলার। ডিসেম্বরে যা কমে হয় ১০৬৪ ডলার এবং গত জানুয়ারিতে তা আরও কমে ১০৬১ ডলারে নেমেছে। অথচ দেশে ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। আরও বাড়ানোর পাঁয়তারাও চলছে।

এদিকে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) তথ্য অনুযায়ী, দেশে ভোজ্যতেলের বার্ষিক চাহিদা ২৩ থেকে ২৪ লাখ টন। রমজানে চাহিদা বেশি থাকে। এ মাসে চাহিদা ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে ৩ লাখ টন।

বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট ও সরবরাহ নিয়ে চলতি ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত এক সভায় ট্যারিফ কমিশন জানিয়েছে, সয়াবিন তেলের আমদানি বেড়েছে। দেশে ভোজ্যতেলের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে, কোনো ঘাটতি নেই। যেটি হয়েছে তা কৃত্রিম এবং প্রকৃত তথ্যের ঘাটতি থেকে সৃষ্ট। সভায় উৎপাদনকারীরাও জানান, সয়াবিন তেলের সরবরাহ বেড়েছে।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, রমজান মাস সামনে রেখে বাজারে ভোজ্যতেলের বাড়তি চাহিদা বিবেচনায় অ্যাসোসিয়েশনভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অধিক পরিমাণ ভোজ্যতেল সরবরাহ করছে। ভোজ্যতেল সরবরাহের পরিমাণ বিবেচনায় সংকটের কোনো সুযোগ নেই। বাড়তি চাহিদা বিবেচনায় কিছু ব্যবসায়ীর মজুদের প্রবণতা থেকে যদি সংকট হয়ে থাকে, তা অচিরেই কেটে যাবে। দেশের শীর্ষস্থানীয় ভোজ্যতেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি ভোজ্যতেল আমদানি করেছে, যা ৭ থেকে ১০ দিনের ভেতরে বাজারে প্রবেশ করবে। পাইপলাইনে আছে দেড় লাখ মেট্রিক টন।

এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বসির উদ্দিনও আশ্বস্ত করেছিলেন, সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের বাজার স্থিতিশীল থেকে নিম্নমুখী হয়ে যাবে এবং সরবরাহের ঘাটতি দূর হবে। কিন্তু বাজারের চিত্র বলছে, বোতলের তেলের সংকট রয়েই গেছে। খোলা তেলের দামও চড়া। নেপথ্যে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি। সরকারি সংস্থার তদারকি অভিযানেও বেরিয়ে আসছে কারসাজির তথ্য।

গত বৃহস্পতিবার কারওয়ানবাজারে অভিযান চালিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দেখতে পায়, সেখানকার অনেক দোকানে আড়ালে ভোজ্যতেল লুকিয়ে রেখে ক্রেতাকে তেল নেই বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অথচ তল্লাশি করে গোপন জায়গায় ৫ লিটারের বোতলের ২০০টিরও অধিক কার্টনের মজুদ খুঁজে পায় সংস্থাটি। আরও দেখা যায়, কিছু খুচরা ব্যবসায়ী সয়াবিন তেল গোপনে বিক্রি করছেন। ৫ লিটারের বোতলে এমআরপি ৮১৮ টাকা লেখা থাকলেও বিক্রি করা হচ্ছে ৮৫০-৮৫২ টাকায়। এর আগে আরেক অভিযানে দেখা গেছে, বেশি লাভের আশায় খুচরা বিক্রেতারা বোতল কেটে ড্রামে ঢেলে খোলা হিসেবে বিক্রি করছেন।

বারবার একই কায়দায় বাজারে অস্থিরতা দেখা দিলেও এ থেকে ভোক্তারা পরিত্রাণ পাচ্ছেন না। এর পেছনে ট্যারিফ কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর ব্যর্থতাই দায়ী বলে মনে করেন ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এসএম নাজের হোসাইন। তিনি বলেন, বিটিটিসির বৈঠকে ব্যবসায়ীরা জানালেন, সরবরাহ বেড়েছে। কিন্তু সংকট কেন, তা তারা জানেন না। তারা তো এভাবে দায় এড়াতে পারেন না। ডিস্ট্রিবিউটররা তেল নিয়ে কি করেছে, সেটা দেখার দায়িত্বও তাদেরই। এভাবেই কোম্পানি-ডিস্ট্রিবিউটর মিলে ভোক্তার পকেট কাটে। ট্যারিফ কমিশন কিভাবে মূল্য সমন্বয় করছে তা জানা নেই। এর মধ্যে বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রশাসনে ও বাজার মনিটরিংয়ে দুর্বলতা রয়েছে। যদিও ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর প্রতিদিন কয়েকটি বাজারে তদারকি করছে, জরিমানা করছে। কিন্তু তাদের জনবল কম। মনিটরিংয়ে এমন দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে অসাধুরা।

 


আরও খবর



বাংলাদেশি সিনেমার প্রতি বিশ্ববাসীর আগ্রহ বাড়ছে

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশের সিনেমা নিয়ে আলোচনা সীমাবদ্ধ ছিল দেশের মধ্যেই। তবে সময় বদলেছে। এখন দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশের সিনেমা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সেটাই যেন মনে করিয়ে দিলেন সুপারস্টার শাকিব খান।

রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শাকিব খান বলেন, আগে আমাদের দেশের সিনেমা নিয়ে শুধু আমরাই কথা বলতাম। এখন সেই চিত্র বদলেছে। বেশ কয়েক বছর ধরে দেখছি, বাংলাদেশের সিনেমা নিয়ে বিদেশিরাও রিভিউ দিচ্ছেন এবং সেটা দিন দিন আরও বাড়ছে। আমার সিনেমার টিজার-গান ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, আমেরিকা ও ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ রিভিউ করছে। এর অর্থ হচ্ছে, আমাদের সংস্কৃতি নিয়ে বৈশ্বিক আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

শুধু সিনেমাই নয়, পণ্য উৎপাদন খাতেও নিজের অবস্থান দৃঢ় করতে চান শাকিব খান। তার প্রতিষ্ঠান রিমার্ক হারল্যান ইতোমধ্যে হালাল পণ্য উৎপাদনে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

শাকিব বলেন, ইউরোপ-আমেরিকায় স্থাপিত গবেষণাগারে আমাদের পণ্যগুলোর মানোন্নয়নের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এরপর বিভিন্ন দেশে অবস্থিত কারখানাগুলোর মাধ্যমে গুণগত মান বজায় রেখে উৎপাদন করা হচ্ছে।

আসন্ন ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে শাকিব খানের নতুন সিনেমা বরবাদ। সিনেমাটির পোস্টার, টিজার ও গান ইতোমধ্যে দর্শকদের মধ্যে আলোচনার ঝড় তুলেছে। এ নিয়ে শাকিব বলেন, দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দারুণ! সিনেমাটি নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে, যা নিঃসন্দেহে আমার জন্য ভালো লাগার বিষয়।

রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত লিলি হালাল বিউটি সোপের বিএসটিআই সনদপ্রাপ্তি ঘোষণা অনুষ্ঠানে শাকিব খানের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ, সংগীতশিল্পী তানজিব সারোয়ার, অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম, শবনম ফারিয়া, কেয়া পায়েল এবং অভিনেতা মামনুন ইমনসহ আরও অনেকে।

সিনেমার পাশাপাশি নিজের ব্যবসায়িক উদ্যোগ এবং বাংলাদেশের সিনেমার আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আশাবাদী শাকিব খান। তার ভাষায়, এই পরিবর্তন ইতিবাচক। সিনেমা ও সংস্কৃতির সীমানা নেই। আমরা চাই, বাংলাদেশের সিনেমা বিশ্বদরবারে আরও বড় জায়গা করে নিক।


আরও খবর



হজে শিশুদের নিয়ে নতুন নির্দেশনা সৌদি আরবের

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

পবিত্র রমজানের শেষ দিনগুলোয় মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে আগত হজযাত্রীদের সঙ্গে ছোট শিশু না নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ। প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। খবর মিডল ইস্ট মনিটরের।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতীয় নিরাপত্তা অপারেশন কেন্দ্র (এনসিও) নামাজের সময় অতিরিক্ত যানজটের বিষয়ে সতর্ক করেছে এবং নিরাপদ অভিজ্ঞতা নিশ্চিতের জন্য হজযাত্রীদের নিরাপত্তা নির্দেশিকা অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছে।

রমজান মাস ওমরাহর জন্য সবচেয়ে ব্যস্ততম সময়। এ সময়ই মুসলিমদের হজ পালনের প্রবণতা বেড়ে যায়। পবিত্র এই মাসের শেষ ১০ দিন বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এর মধ্যে রয়েছে লাইলাতুল কদর, যে রাতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর প্রথম কোরআন নাজিল হয়েছিল।

উদ্বেগ কমাতে, দুই পবিত্র মসজিদের যত্নের জন্য জেনারেল অথরিটি শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ এবং আরামদায়ক পরিবেশ প্রদানের জন্য সার্বক্ষণিক শিশু যত্ন কেন্দ্রের উপলব্ধতার কথা তুলে ধরেছে। সংস্থাটি অভিভাবকদের আশ্বস্ত করে বলেছে, ‘আপনার শিশুরা নিরাপদ হাতে আছে’। পাশাপাশি তুলনামূলকভাবে স্বাচ্ছন্দ্যে নামাজ আদায় করার সময় এই সুবিধাগুলো ব্যবহার করার জন্য অভিভাকদের উৎসাহিত করেছে সংস্থাটি।


আরও খবর

রোজা রাখার বিষয়ে বিজ্ঞান কী বলে?

শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫




ঈদে নতুন নোট বিনিময় স্থগিত

প্রকাশিত:সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে আগামী ১৯ মার্চ থেকে ৫, ২০ ও ৫০ টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় ঈদে নতুন নোট বিতরণ স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, টাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় কয়েকটি পক্ষ থেকে আপত্তি উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে ঈদ সামনে রেখে নতুন নোট বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত করার জন্য ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ বিষয় জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, এবার ঈদে নতুন নোট বিনিময় করা হবে না। বাজারে যেসব নোট রয়েছে, তার প্রচলন অব্যাহত থাকবে।

নোট বিনিময় স্থগিত বিষয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানো চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে জনসাধারণের মাঝে নতুন নোট বিনিময় কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো। পাশাপাশি ব্যাংকের শাখায় যে নতুন নোট গচ্ছিত রয়েছে, তা বিনিময় না করে সংশ্লিষ্ট শাখায় সংরক্ষণ করার জন্য বলা হলো। চিঠিতে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোট দ্বারা সব নগদ লেনদেন কার্যক্রম সম্পাদনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে নতুন টাকা পাওয়া যাবে ১৯ মার্চ থেকে। এবার ৫, ২০ ও ৫০ টাকার নতুন নোট দেওয়া হবে। নতুন নোট বিনিময় হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক ও কয়েকটি ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে। ২৫ মার্চ পর্যন্ত জনসাধারণ ও গ্রাহকদের মধ্যে নতুন নোট বিনিময়ের পরিকল্পনা ছিল। এর মধ্যে নতুন নোট বিতরণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বর্তমানে বাংলাদেশের ১, ২, ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার ১০টি কাগুজে নোট প্রচলন আছে। এর মধ্যে ২ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা পর্যন্ত সব কাগুজে নোটে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি আছে। কোনো কোনো নোটের দুপাশে শেখ মুজিবের ছবি রয়েছে। এ ছাড়া ধাতব মুদ্রাগুলোতেও তার ছবি আছে। নতুন করে নোটের নকশার যে প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে সেখানে শেখ হাসিনা সরকারের সময় ছাপানো নোটের ডিজাইন পরিবর্তন হবে এবং শেখ মুজিবের ছবি থাকবে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। ওই নোটে শেখ মুজিবের জায়গায় ধর্মীয় স্থাপনা, বাঙালি ঐতিহ্য এবং জুলাই বিপ্লবের দোলচিত্র বা গ্রাফিতি যুক্ত হবে বলে জানা গেছে।


আরও খবর