Logo
শিরোনাম

অবৈধ পার্কিংয়ে নগরজুড়ে নৈরাজ্য, বাড়ছে যানজট

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

মার্কেট আছে, গাড়ি আছে, কিন্তু নেই পার্কিং। ফলে সড়ক দখল করে গড়ে উঠেছে গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা। এতে বাড়ছে যানজট ও জনদুর্ভোগ। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠছে শহরের পথঘাট, অলিগলি। সৃষ্টি হচ্ছে নানা প্রতিবন্ধকতা। নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছাতে হিমশিম খেতে  হচ্ছে নগরবাসীকে। রাস্তা দখল করে পার্কিংয়ের কারণে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনাও। রাজধানীতে পার্কিং নৈরাজ্য দীর্ঘদিনের। দিন যতই যাচ্ছে, ততই এ সমস্যা আরও প্রকট হচ্ছে। বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে, ঢাকায় ৩০ শতাংশ যানজটের জন্য দায়ী অবৈধ গাড়ি পার্কিং।

এ জন্য প্রতিবছর অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি হচ্ছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানীতে অন্তত ১৫ হাজার বহুতল ভবনে নেই পার্কিং সুবিধা। ফ্ল্যাট অনুপাতে আরও লক্ষাধিক বহুতল ভবনে পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা নেই। ফলে ব্যস্ত সড়কের উপর অবৈধভাবে বাড়ছে গাড়ি পার্কিং। এতে রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কগুলো সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এসব অবৈধ পার্কিং নগরবাসীর জীবনে বিষফোঁড়া হয়ে উঠছে। অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন ঢাকাবাসী। পদ্মা সেতু চালু হলে ঢাকায় যানবাহনের সংখ্যা আরও বাড়বে। এতে থমকে যাবে মানুষের চলাচল। সরকার কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে গাড়ি, কমছে সড়ক। 
রাজধানীর পার্কিং নৈরাজ্য কমাতে ২০০৭ সালে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল। তবে ২০২৩ সালে এসেও তা আলোর মুখ দেখেনি। হয়নি নীতিমালাও। বিভিন্ন সময় পার্কিং নৈরাজ্য নিয়ে একাধিক সংস্থা কাজ করার কথা বললেও, সমস্যার জটিলতা কমেনি। বরং এই সময়ে পার্কিং নৈরাজ্য বেড়েছে বহুগুণ। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর অধিকাংশ ভবনের নেই পার্কিং-এর ব্যবস্থা। বড় বিপণি বিতানগুলোতে পার্কিং ব্যবস্থা থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। এ ছাড়া সড়কের পাশেই গড়ে ওঠা মার্কেটগুলোতে রাখা হয় না পার্কিংয়ের সুবিধা। ফলে গাড়ির মালিকের ইচ্ছা ও চালকদের সুবিধার জন্য সড়ককেই বেছে নেন। ব্যস্ত ঢাকার বাণিজ্যিক এলাকা, কিংবা মার্কেটের সামনের রাস্তায় চোখে পড়ে অবৈধ গাড়ি পার্কিংয়ের দৃশ্য। ফুটপাথ থেকে শুরু করে যেখানে সেখানে রাখা হচ্ছে এসব গাড়ি। সুবিধা মতো পার্কিংয়ের জায়গা না থাকায় যত্রতত্র গাড়ি রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকেন চালকরা। সড়ক দখল করে গড়ে তোলেন বাস কিংবা কার স্ট্যান্ড। সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। বিশেষ করে অফিস সময়ে অসহনীয় যানজটের ভোগান্তির শিকার হতে হয় কর্মজীবীদের। ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ঢাকার রাস্তায় নতুন করে শতাধিক যানবাহন রাস্তায় নামে। ফলে সড়কে গাড়ি পার্কিং বেড়েই চলছে। এতে যানবাহন চলাচলের গতি কমে যাচ্ছে।

রাজধানীর কাওরান বাজার। সেখানেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয়। অফিস থাকলেও সংস্থাটির কার পার্কিংয়ের কোনো ব্যবস্থা নেই। সড়কের উপর বেশ কয়েকটি খুঁটি বাসিয়ে পার্কিংয়ের জায়গা করে নিয়েছে সরকারের সেবাদাতা এ প্রতিষ্ঠানটি। শুধু সিটি করপোরেশনেই নয়। জনতা টাওয়ার থেকে পেট্রোবাংলা পর্যন্ত পুরো সড়কের উপর অবৈধভাবে পার্কিং করছে আরও ৯/১০ সরকারি প্রতিষ্ঠান। এতে প্রতিদিনই ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট লেগেই থাকছে। রাজধানীর বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলের দিলকুশা। ব্যাংকপাড়া হিসেবেও বেশি পরিচিত স্থানটি। সরজমিন গত মঙ্গলবার দুপুরে দেখা গেছে, এখানে প্রতিটি সড়কের অলিগলিতে রাখা হয়েছে ছোট বড় গাড়ি। গোটা বাণিজ্যিক এলাকায় যানজট লেগে আছে। এই এলাকায় অধিকাংশ বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে কোনো রকম পার্কিং সুবিধা ছাড়াই। হাতেগোনা কিছু নতুন ভবনে অপর্যাপ্ত পার্কিং সুবিধা রয়েছে। আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলোর তৈরি ফ্ল্যাটগুলোতে পার্কিং সুবিধা থাকলেও সেগুলোর উল্লেখযোগ্য অংশ বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

দিলকুশায় সাধারণ বীমা টাওয়ারে ২০০৬ সালে পার্কিং ব্যবস্থা চালু করা হলেও সেখানে গাড়ি উঠছে না। অথচ ব্যস্ত সড়কের দুপাশে হাজার হাজার গাড়ি দিনভর পার্ক করে রাখা হয়েছে। ৩৭তলা সিটি সেন্টারেও প্রায় সাড়ে ৫শ গাড়ি পার্ক করার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানেও গাড়ি উঠছে না। পল্টন-মতিঝিল রুটে চলছে মেট্রোরেল নির্মাণকাজ। এতে দুইদিকে সরু হয়ে গেছে সড়ক। এই সরু সড়কের ওপর রাখা হয়েছে ব্যক্তিগত গাড়ি। এতে গণপরিবহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। তৈরি হচ্ছে যানজট। শাপলা চত্বর থেকে নটরডেম কলেজ পর্যন্ত সড়কেরও একই চিত্র। সড়কের কোথাও নেই তিল পরিমাণ খালি জায়গা। গাড়ি সড়কের ওপর রেখেই এসব স্থানে খোশগল্পে মেতে উঠেছেন চালকরা। সেগুনবাগিচা, কাকরাইল, নয়াপল্টন, ফকিরাপুল, ফুলবাড়িয়া, গুলিস্তান, মগবাজার, ফার্মগেট, তেজগাঁও, সাতরাস্তা, মেয়র আনিসুল হক সড়ক, বনানী, গাবতলী, টেকনিক্যাল, মিরপুর ১ ও ১০ নম্বর, ধানমণ্ডি, গুলশান, বাড্ডা, নতুনবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ওপর বাস রাখার কারণে নগরবাসীর অশান্তির শেষ নেই।

সূত্রে জানা যায়, পার্কিং নৈরাজ্য কমাতে ২০০৭ সালে মহাপরিকল্পনা হাতে নেয় সিটি করপোরেশন। সেটিকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ওই সময়ে ডিএসসিসির আরবান প্ল্যানিং বিভাগ একটি খসড়াও তৈরি করে। রাজধানীর পার্কিং স্পটগুলোতে কত সংখ্যক গাড়ি পার্কিং করা যায় তাও নির্ধারণ করা হয়। তখন সিদ্ধান্ত হয় নির্ধারিত স্থানে পার্কিং করবে গাড়ি। দিতে হবে টোল। টোল আদায় কর্মীদের অনুমতি ছাড়া রাস্তার পাশে কেউ গাড়ি পার্কিং করতে পারবে না। তখন আশা করা হয়, এতে গাড়ি পার্কিংয়ের ক্ষেত্রে ফিরে আসবে শৃঙ্খলা, কমে যাবে যানজট। তবে নানা জটিলতায় পার্কিং নিয়ে মহাপরিকল্পনা আটকে যায়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সিটি করপোরেশন, রাজউক, ঢাকা ওয়াসা, সওজ, রেলওয়েসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো পার্কিং স্পেস বাড়াতে উচ্ছেদে নামে। সড়ক সংলগ্ন অবৈধ স্থাপনা এবং বহুতল ভবনের কার পার্কিং স্পেস অবমুক্ত করা হয়। তখন বিভিন্ন মার্কেট ও শপিং মলে পার্কিং স্পেস ছেড়ে দেন ভবন মালিকরা। অনেক মার্কেটের আন্ডারগ্রাউন্ডে বাণিজ্যিক কাজে ভাড়া দেয়া স্থাপনা ভেঙে ফেলেন। পরে সরকার পরিবর্তন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যায় সব চিত্র। ফের পার্কিং স্পেস ও আন্ডারগ্রাউন্ড বাণিজ্যিকীকরণ করা হয়।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ ফজলে রেজা সুমন বলেন, আমাদের দেশে পার্কিং নৈরাজ্য কমাতে কোনো গাইডলাইন নেই। প্রতিটি রোডে পার্কিং ব্যবস্থা রাখতে হয়। সেটা আমাদের দেখে নেই। গণপরিবহনের চেয়ে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেশি। যা মোটেও কাম্য নয়। আমরা বারবার বলে আসছি- প্রতিটি সড়কে পার্কিং ব্যবস্থা রাখা হোক। প্রয়োজনে এর জন্য একটা চার্জ নিতে পারে সরকার। সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এসব আমলে নিচ্ছেন না। তিনি বলেন, ঢাকায় গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য জায়গা প্রয়োজন ২৫ শতাংশ। অথচ আছে মাত্র ৮ শতাংশ। সেটাও দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। এজন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে মহাপরিকল্পনার বিকল্প কিছু নেই। ঢাকায় প্রতিটি ভবন নির্মাণকালে গাড়ি পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত জায়গা রাখা হচ্ছে কিনা সিটি করপোরেশন ও রাজউকসহ সংশ্লিষ্টদের নজরদারি বাড়াতে হবে। এ ছাড়া রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে গড়ে তুলতে হবে পরিকল্পিত পার্কিং ব্যবস্থা। পার্কিং নৈরাজ্যের সঙ্গে জড়িত সুবিধাভোগীদের লাগাম টানতে হবে। সড়কে কিংবা ফুটপাথে গাড়ি রাখলে তার মালিক ও চালকদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তাহলেই পার্কিং নৈরাজ্য কমে আসবে।

ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশন বলছে- নগরীর ভেতরে পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত স্থান নেই। এ ছাড়া বাসের রুট পারমিটেও চরম নৈরাজ্য চলছে। অবৈধ পার্কিং ঠেকাতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। শিগগিরই পার্কিং নৈরাজ্য বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি বলছে, যারা সড়কে গাড়ি নামান, তারা অনুমোদন নেয়ার সময় নিজস্ব পার্কিং জোন দেখান। যদিও পরে সেসব স্থানে গাড়ি পার্কিং করা হয় না। ফলে সড়কের ওপর অবৈধভাবে পার্কিং করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেন। গাড়ি রেখে যারা সড়ক দখল করবে বিআরটিএ আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 


আরও খবর

তীব্র যানজটে নাকাল নগরবাসী

সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫




ঝালকাঠিতে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ঝালকাঠির রাজাপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় শনিবার সন্ধ্যায় রাজাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় চত্ত্বরে ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন  জনাব আব্দুল আউয়াল মিন্টু সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও বরিশাল বিভাগের সাংগাঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত,জনাব রফিকুল ইসলাম জামাল ধর্ম বিষয়কহ সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটি,

জনাব আকন কুদ্দুসুর রহমান সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বরিশাল বিভাগ,জনাব মাহবুবুল হক নান্নু সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বরিশাল বিভাগ,জনাব হায়দার আলী লেলিন সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও আহবায়ক ঝালকাঠি জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি। জনাব তালুকদার আবুল কালাম আজাদ সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি, রাজাপুর উপজেলা শাখার তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের রাজাপুর উপজেলা শাখার শত শত নেতাকর্মী ইফতার পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য রাজাপুর উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নেই আজ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের রাজাপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে ইফতার পার্টি ও দোয়া মাহাফিল অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



ওলামা লীগের সদস্য সচিব এখন ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সহযোগী সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ পদে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ কৌশলে কমিটিভুক্ত হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে প্রভাব বিস্তার ও চাঁদাবাজির অভিযোগ। তাছাড়া বিভিন্ন প্রোগ্রামে সুশীল সমাজের ব্যক্তি হিসেবে অংশগ্রহণ করে অস্তিত্ব বহাল রাখছেন।তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৬মার্চ) ২৫ সদস্য বিশিষ্ট ঝালকাঠি জেলা জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মাওলানা কাজী সেলিম রেজা ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কাজী মাওলানা মোহা. আবুল হোসেন স্বাক্ষরিত এ কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে কানাঘুষা শুরু হয়। কমিটিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী ওলামা লীগের ঝালকাঠি জেলা কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা নেয়ামত উল্লাহকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা ছাইদুর রহমান বলেন, জেলা ওলামা দলের কমিটি করার পূর্বে বিভিন্নভাবে উপজেলা পর্যায়ে নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করেছি।

তাদের দেয়া মতামত ও সুপারিশের ভিত্তিতে নামের চূড়ান্ত তালিকা করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। তারা সেই কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। নেয়ামতের নাম কমিটির মধ্যে কিভাবে রইলো বা ঢুকলো সেটা বুঝতে পারছি না। তাকে এ কমিটি থেকে বাদ দেয়ার প্রচেষ্টা চলছে। অপরদিকে গত ১ মার্চ ক্যাবের সুলভ মূল্যের বাজার “প্রশান্তি” পরিচালনায় বেশ কয়েজন আওয়ামী লীগ নেতাকে সামাজিকভাবে পুনর্বাসিত করার অভিযোগ ওঠেছে। এ নিয়ে যুবদলের এক নেতা প্রতিবাদ করলে সেখানে হুলুস্থুল কাণ্ড বাধে। পরে ফ্যাসিবাদের দোসররা সেখান থেকে কৌশলে কেটে পড়ে। এছাড়া গত বুধবার ঝালকাঠি এলজিইডির হিসাব রক্ষকের দুর্নীতি-অনিয়মের বিচার দাবিতে করা মানববন্ধনে অন্যান্য ঠিকাদারদের সাথে আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী আ. হাকিমও অংশ নেন। তিনি ব্যানারে ছাত্রদলের শীর্ষ পদের এক নেতার পাশে দাঁড়িয়ে অবস্থান জানান দেন। আ. হাকিম নাচন মহল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সুনির্দিষ্ট পদধারী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও নলছিটি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানের ভাগিনা। ত্যাগী ও পরিচ্ছন্ন বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পরে অনেকেই বিভিন্ন ছদ্মবেশে অবস্থান নিয়েছে। সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে বিভিন্ন কমিটিতে ঢুকছে। বিএনপি কারো যথেচ্ছ দল না, যার মনে চাইবে আসবে আবার যার মনে চাইবে যাবে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নীতি-নির্ধারকদের আরো কঠোর হয়ে ভূমিকা নেয়ার অনুরোধ জানান তারা। জেলা বিএনপির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মুবিন জানান, বিএনপিতে কোন অনুপ্রবেশকারীর স্থান হবে না। সঠিক তথ্যের অভিযোগ পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



তীব্র খাদ্য ঘাটতিতে পড়তে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য সরবরাহ তহবিলে তীব্র ঘাটতির বিষয়ে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। সংস্থাটি বলছে, দ্রুত তহবিল পাওয়া না গেলে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গার মাসিক রেশনের পরিমাণ অর্ধেকের বেশি কমাতে হবে। ০৭ মার্চ ঢাকা থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে ডব্লিউএফপি এ সতর্কতা জারি করে।

আগামী এপ্রিল মাসে পূর্ণ রেশন বজায় রাখার জন্য জরুরিভাবে ১ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার দরকার বলে জানিয়েছে ডব্লিউএফপি। সংস্থাটির মতে চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের জন্য প্রয়োজন হবে ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার।

সংস্থাটি জানায়, রোহিঙ্গাদের মাসিক রেশনের জন্য জনপ্রতি বরাদ্দ বর্তমানে সাড়ে ১২ মার্কিন ডলার। জরুরি নতুন তহবিল না পেলে তা প্রায় অর্ধেক করে ছয় মার্কিন ডলারে নামিয়ে আনতে হবে। আর এটা ঘটবে এমন সময় যখন রমজানের শেষের দিকে তাঁরা ঈদ উদ্‌যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটকে বিশ্বের বৃহত্তম এবং দীর্ঘস্থায়ী সংকটগুলোর মধ্যে একটি অভিহিত করে বাংলাদেশে ডব্লিউএফপির পরিচালক ডম স্ক্যাল্পেলি বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীরা তাদের বেঁচে থাকার জন্য সম্পূর্ণরূপে মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। খাদ্য সহায়তায় যেকোনো হ্রাস তাদের ক্ষুধার গভীরে ঠেলে দেবে এবং বেঁচে থাকার জন্য মরিয়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করবে।’

এর আগে ২০২৩ সালে তহবিলের তীব্র সীমাবদ্ধতার কারণে ডব্লিউএফপি প্রতি মাসে প্রতি ব্যক্তির রেশন ১২ মার্কিন ডলার থেকে ৮ মার্কিন ডলারে নামিয়ে আনতে বাধ্য হয়। এর পরিণতিতে তীব্র খাদ্যসংকট দেখা দেয়। শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির মাত্রার বাড়ে। এরপর তহবিল পাওয়ার পর রেশন বাড়ানো হয়।

স্ক্যালপেল্লি বলেন, এখন আমাদের আগের চেয়ে আরও বেশি করে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানো দরকার। এই পরিবারগুলোর আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। ডব্লিউএফপির খাদ্যসহায়তাই হলো তাদের বাঁচা আর হতাশার মধ্যে পার্থক্য। এ সংকট আরও বাড়তে না দেওয়ার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি সহায়তা প্রয়োজন।


আরও খবর

অস্থির চালের বাজার

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫

বাড়তে পারে গরম

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫




পুরোনো সংবিধান রেখে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

পুরোনো সংবিধান এবং শাসন কাঠামো রেখে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম।

সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। নাহিদ ইসলাম বলেন, শুধু সরকার পরিবর্তন করে প্রকৃত গণতন্ত্র বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, নতুন প্রজাতন্ত্র গড়ার জন্য গণপরিষদ নির্বাচন এবং নতুন সংবিধান প্রয়োজন। মুক্তিযুদ্ধসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করবে নাগরিক পার্টি।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক বলেন, নিবন্ধন নিতে শর্তাবলী পূরণ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে আগাবো। গঠনতন্ত্র প্রণয়নের কাজ চলছে।

এ সময় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হান্নান মাসুদসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, সোমবার (৩ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তারা রাজধানীর রায়েরবাজারে সকাল ১০টায় চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের কবর জিয়ারত করবেন।

দুটি কর্মসূচিতেই জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।

এদিকে, এই কর্মসূচির মাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের রাজনৈতিক যাত্রার আনুষ্ঠানিক সূচনা করছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিশাল সমাবেশের মধ্যদিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে জাতীয় নাগরিক পার্টি। পরে ২১৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।


আরও খবর

অস্থির চালের বাজার

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫

বাড়তে পারে গরম

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫




রমজানের দ্বিতীয় ১০ দিনের আমল (মাগফিরাতের ১০ দিন)

প্রকাশিত:বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

সুফি মাজহারুল ইসলাম মাসুম :

১. তওবা ও ইস্তিগফার বৃদ্ধি করা

রমজানের দ্বিতীয় দশক হলো মাগফিরাত বা আল্লাহর ক্ষমা লাভের বিশেষ সময়। এই সময়ে আমাদের উচিত আন্তরিকভাবে আল্লাহর কাছে তওবা করা এবং গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য তাঁর দরবারে প্রার্থনা করা।

তওবা করার পদ্ধতি:

প্রথমে নিজের কৃত গুনাহ সম্পর্কে অনুতপ্ত হওয়া

সত্যিকারের মন থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া

ভবিষ্যতে ওই গুনাহ পুনরায় না করার দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করা

যদি গুনাহের কারণে কারো প্রতি অন্যায় করা হয়ে থাকে, তবে তাকে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া বা তার হক ফিরিয়ে দেওয়া

ইস্তিগফারের দোয়া-

اللهم إنك عفو تحب العفو فاعف عني

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফা’আফু ‘আন্নি।

অর্থ: হে আল্লাহ, তুমি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, তুমি ক্ষমা করতে ভালোবাসো, তাই আমাকে ক্ষমা করো।


অন্য একটি ইস্তিগফারের দোয়া-

أستغفر الله الذي لا إله إلا هو الحي القيوم وأتوب إليه

উচ্চারণ: আসতাগফিরুল্লাহাল্লাযি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি।

অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া কোনো সত্যিকারের উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বত্র বিরাজমান। আমি তাঁর দিকে ফিরে আসছি।


২. তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা-

তাহাজ্জুদ নামাজ হলো রাতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নফল নামাজ। এটি আল্লাহর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা অর্জনের শ্রেষ্ঠ উপায়। বিশেষত রমজানের দ্বিতীয় দশকে এই নামাজের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত, কারণ এটি গুনাহ মাফ ও দোয়া কবুলের অন্যতম মাধ্যম।


রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- ‘আমাদের প্রতিপালক প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে নিকটবর্তী আসমানে নেমে আসেন এবং বলেন— ‍‍`কে আছো আমাকে ডাকবে, আমি তার দোয়া কবুল করবো? কে আছো আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করবো?’ (বুখারি, মুসলিম)


৩. কুরআন তিলাওয়াত বৃদ্ধি করা

রমজান হলো কুরআন নাজিলের মাস। তাই এই মাসে আমাদের বেশি বেশি কুরআন পড়া উচিত, অর্থ বুঝে পড়া উচিত এবং কুরআনের শিক্ষা আমাদের জীবনে বাস্তবায়ন করা উচিত।

কুরআন তিলাওয়াতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক-

প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ কুরআন তিলাওয়াত করা

কুরআনের অর্থ ও ব্যাখ্যা বোঝার চেষ্টা করা

কুরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন গঠনের চেষ্টা করা

তিলাওয়াতের পর কুরআনের দোয়া ও জিকির করা


উত্তম আমল-

প্রতিদিন অন্তত এক পারা কুরআন তিলাওয়াত করা

কুরআনের ছোট ছোট সূরা মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তোলা


৪. দোয়া ও জিকির করা-

রমজানের দ্বিতীয় দশক দোয়া ও জিকিরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু এটি মাগফিরাতের সময়, তাই এই সময় বেশি বেশি দোয়া করলে আল্লাহ আমাদের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।

গুরুত্বপূর্ণ কিছু জিকির-

সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আজিম

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ

লা হাওলা ওলা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ

৫. দান-সদকা বৃদ্ধি করা-

দান-সদকা রমজানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন—

দান-সদকা গুনাহগুলোকে এমনভাবে দূর করে দেয়, যেভাবে পানি আগুন নিভিয়ে দেয়। (তিরমিজি)


৬. গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা-

শুধু খাবার ও পানীয় থেকে বিরত থাকলেই রোজা পূর্ণ হয় না। বরং চোখ, কান, মুখ, হাত-পা সবকিছুকে সংযত রাখতে হবে।


রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলা ও সে অনুযায়ী কাজ করা পরিত্যাগ করল না, তার পানাহার ত্যাগ করায় আল্লাহর কোনো দরকার নেই। (বুখারি)


৭. শবে কদরের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া-

রমজানের শেষ দশকের মধ্যে লাইলাতুল কদর (শবে কদর) রয়েছে, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। তাই দ্বিতীয় দশক থেকেই শবে কদরের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া দরকার।

কিভাবে প্রস্তুতি নেবেন?

রাতের ইবাদতের পরিমাণ বৃদ্ধি করা

আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য আরও বেশি ইবাদত করা

শেষ দশকের জন্য একটি ইবাদতের রুটিন ঠিক করে রাখা

রমজানের দ্বিতীয় দশক আমাদের জন্য ক্ষমা লাভের এক সুবর্ণ সুযোগ। এই সময়ে আমাদের উচিত গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বেশি করে দোয়া করা, তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া, কুরআন তিলাওয়াত করা এবং দান-সদকা করা। আল্লাহ যেন আমাদের এই রমজান কবুল করেন এবং সবাইকে ক্ষমা করে দেন। আমিন!


আরও খবর

রোজা রাখার বিষয়ে বিজ্ঞান কী বলে?

শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫