Logo
শিরোনাম

অলিগলিতে টহল বাড়ানো হবে

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বললেন, অপরাধ প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা জোরদার করতে মহানগরীর অলিতে-গলিতে মোটরসাইকেল টহল আরও বাড়ানো হবে।

রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ফেব্রুয়ারি (২০২৫) মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, রমজানের শুরুতে ছিনতাইয়ের গতি বৃদ্ধি পেলেও পুলিশি তৎপরতায় তা অনেকাংশে কমে এসেছে। তিনি পুলিশের সফলতা ধরে রাখতে আরও আন্তরিক প্রচেষ্টার আহ্বান জানান এবং বলেন, "সহায়ক পুলিশরাও পুলিশের মতো গ্রেফতার ক্ষমতা প্রয়োগ করবে, থানাগুলো তাদের সহায়তা করবে।"

নগরীর নিরাপত্তা জোরদার নিয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, জিডি এন্ট্রির এক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ রেসপন্স করবে এবং ঘটনাস্থলের ফ্ল্যাশ রিপোর্ট প্রদান করবে। মহানগরীর অলিতে-গলিতে মোটরসাইকেল টহল আরও বাড়ানো হবে। গ্রেফতারি ও সাজা পরোয়ানা কার্যকরে জোর দেওয়া হবে। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে মহানগরবাসীকে সচেতন থাকতে হবে।

ঈদকে কেন্দ্র করে বিশেষ সতর্কতা

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে অনেক ছিনতাইকারী গ্রেফতার হওয়ায় মহানগরীর ছিনতাই পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, "ছিনতাইকারীদের কোনও নির্দিষ্ট পেশা নেই, তাই তারা ঈদকে কেন্দ্র করে অপরাধে জড়াতে পারে। বিশেষ করে গাবতলী ও মহাখালী এলাকায় ছিনতাইকারীদের তৎপরতা বাড়তে পারে, এ বিষয়ে পুলিশকে সতর্ক থাকতে হবে।"

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, "ঈদের সময় অনেক বাসা ও মার্কেট খালি থাকবে, বিশেষ করে স্বর্ণের দোকানগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। রাত্রিকালীন টহল বাড়িয়ে চুরির ঘটনা প্রতিরোধ করতে হবে।"

অস্থিরতা ঠেকাতে পুলিশের প্রস্তুতি

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. মাসুদ করিম বলেন, বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে কিছু গোষ্ঠী রাস্তায় নেমে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে, পুলিশকে এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।

ডিএমপির অপরাধ পর্যালোচনা

সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন ফেব্রুয়ারি ২০২৫ মাসের সার্বিক অপরাধ পরিসংখ্যান উপস্থাপন করেন, যেখানে ডাকাতি, চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধার সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরা হয়।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী, যুগ্ম পুলিশ কমিশনাররা, উপ-পুলিশ কমিশনাররা, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনাররা, সহকারী পুলিশ কমিশনাররা ও সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি)।

ডিএমপি কমিশনার সকল কর্মকর্তাকে ঈদকে ঘিরে নিরাপত্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন এবং নগরবাসীকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান।


আরও খবর



নওগাঁয় গাছকাটা নিয়ে বিরোধে চাচাত দুই ভাইয়ের মৃত্যু, আটক ১০ জন

প্রকাশিত:শনিবার ১২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় বিরোধপূর্ন জমি থেকে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দু’ পক্ষের লোকজনের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনায় দু' জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত দু'জন সম্পর্কে চাচাত ভাই। এসংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত পক্ষে আরও ১০ জন।

গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে।

নিহত দু'জন হলেন, ডাঙ্গাপাড়া গ্রাম এলাকার মৃত উছির আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (৫২) ও তার সম্পর্কে চাচাত ভাই একই এলাকার মৃত আফছের আলীর ছেলে আজিজুল রহমান (৪৮)। 

স্থানিয় ও থানা সূত্রে জানা গেছে, ঐ এলাকার সাইফুল ইসলাম ও লালচানের বুধরিয়া এলাকায় পাশাপাশি জমি রয়েছে। সাইফুল ইসলামের বাবা তাদের জায়গাতে গাছ লাগালে জমিজমা মাপজোকে মেহহনি গাছ লালচানদের জমির মধ্যে পড়ে। গাছ সাইফুলের বাবা লাগানোর সুবাদে উভয় পক্ষের সম্মতিতে সাইফুল গত বুধবার মেহগনি গাছ কাটলে এনিয়ে দু' পক্ষের লোকজনের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হয়। সেইজেরে বৃহস্পতিবার সাইফুল ইসলামকে দেখতে পেয়ে লালচান তার অংশ বেড়া দিয়ে ঘিরে নিতে বলেন। এসময় সাইফুল ব্যাস্ত আছেন জানালে লালচান, কাশেম হাজীসহ তাদের পক্ষের লোকজন দেশিয় অস্ত্র লাঠি- হাসুয়া নিয়ে হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই শরিফুল ইসলাম এর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় আহত হোন অন্তত পক্ষে আরো ১০-১১ জন।আহতদের মধ্যে আজিজুল রহমানকে রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়। সর্বশেষ তথ্যমতে রাজশাহীতে ২ জন ও স্থানিয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কয়েক জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দু' জনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান জানান, ঐ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।


আরও খবর



পুরোপুরি সেরে ওঠার পথ দীর্ঘ

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

তামিম ইকবাল মারাত্মক হার্ট অ্যাটাকের পর মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন। সাভারের কেপিজে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর তামিমকে নেওয়া হয় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে। হার্ট অ্যাটাকের ধকল কাটিয়ে একটু একটু করে সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি। কিছুটা সুস্থ হয়ে গতকাল শুক্রবার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন। সেদিন রাতেই তিনি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে একটা দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন। ভক্তদের জানিয়েছেন পুরোপুরি সেরে উঠতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে তাকে।

শুরুতেই শুকরিয়া আদায় করে তামিম লিখেছেন, ‘আপনাদের সবার দোয়ায় ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর রহমতে এখন আমি বাসায়। উথালপাথাল এই চারটি দিনে নতুন জীবন যেমন পেয়েছি, তেমনি আমার চারপাশকে আবিষ্কার করেছি নতুন করে। সেই উপলব্ধির সবটুকুতে মিশে আছে কেবল ভালোলাগা ও কৃতজ্ঞতা। আপনাদের সবার ভালোবাসার ছোঁয়া ক্যারিয়ারজুড়ে নানা সময়ই পেয়েছি। তবে এবার তা অনভুব করতে পেরেছি আরও তীব্রভাবে। আমি সত্যিই আপ্লুত।

তামিমকে হাসাপাতালে নেওয়ার প্রক্রিয়ার আগে পরে অনেকই সম্পৃক্ত ছিলেন। তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে তামিম লিখেছেন, ‘বিকেএসপিতে আমার অসুস্থতার শুরু থেকেই অনেককে পাশে পেয়েছি তাৎক্ষণিকভাবে। ম্যাচ রেফারি দেবু দা (দেবব্রত পাল), বিকেএসপির চিকিৎসকরা এবং আরও যারা তখন ছিলেন, অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার যে ভাই আমাকে দ্রুতগতিতে নিয়ে গেছেন হাসপাতালে, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

তামিম আরও যোগ করে লিখেছেন, ‘আমাদের ট্রেনার ইয়াকুব চৌধুরী ডালিম ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাব কীভাবে, আমার আসলে জানা নেই। আমি পরে জেনেছি, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন যে, ডালিম ভাই ওই সময় সঠিকভাবে সিপিআর না দিলে হয়তো আমাকে বাঁচানো যেত না। উপযুক্ত মানুষকে উপযুক্ত সময়ে আমার পাশে রেখে আল্লাহ আমাকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরিয়েছেন। মোহামেডানের সাপোর্ট স্টাফ ওয়াসিমের কথা না বললেও নয়। শুরু থেকে এখনও সার্বক্ষণিক সঙ্গী হয়েই আছে আমার।

এক পর্যায়ে কেপিজে হাসপাতালের ডাক্তার হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মনিরুজ্জামান মারুফকে ধন্যবাদ জানিয়ে তামিম লিখেছেন, ‘কেপিজে হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মনিরুজ্জামান মারুফ ও তার দক্ষ চিকিৎসক দল তাদের পেশাদারিত্ব আর আন্তরিকতার মিশেলে যেভাবে দ্রুততায় চিকিৎসা করেছেন, আমাদের দেশের চিকিৎসকদের মান ও কার্যকারিতাই ফুটে উঠেছে তাতে। আমি পরে শুনেছি যে, দেশের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ডা. মারুফ ও তার দল মিরাকল ঘটিয়েছেন। গোটা চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় কেপিজে হাসপাতালের চিকিৎসক, সেবিকা থেকে শুরু করে যারা যে কোনোভাবে যতটুকু সম্পৃক্ত ছিলেন, সবাইকে হৃদয়ে লালন করবো আজীবন। এই হাসপাতালে যতটুকু সময় ছিলাম, তাদের হৃদ্যতার পরশ অনুভব করে যাবো সবসময়।

ঢাকার বাইরে কেপিজির মতো আরও হাসপাতাল তৈরি হলে মানুষের প্রাণ রক্ষা হবে বলে মনে করেন তামিম, ‘ঢাকা শহরের বাইরে ওই এলাকায় এতটা উঁচু মানের হাসপাতাল আছে, এতটা কুশলী চিকিৎসক দল ও স্টাফরা আছেন, দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার এগিয়ে চলার একটি প্রমাণ এটি। দেশজুড়ে নানা জায়গায় এর কাছাকাছি মানের হাসপাতাল যদি আরও কিছু থাকে, আমার মতো আরও অনেক মানুষের প্রাণ রক্ষা পেতে পারে।

একদম শেষে তামিমের জানিয়ে দিয়েছেন পুরোপুরি সেরে উঠার পথটা যে সহজ হবে না, ‘ধন্যবাদের তালিকা আসলে শেষ হওয়ার নয়। আরও অনেকেই নানাভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন, অনেকের কথা জানি, অনেকের কথা হয়তো জানি না। এতটুকু জানি, ধন্যবাদ পাওয়ার আশায় তারা কিছু করেননি। আমি তাদের ভালোবাসার ঋণে আবদ্ধ সারা জীবনের জন্য। পুরোপুরি সেরে ওঠার পথ এখনও দীর্ঘ। আমাকে ও আমার পরিবারকে প্রার্থনায় রাখবেন। সবার জীবন সুন্দর ও শান্তিময় হোক। ভালোবাসা সবার জন্য।


আরও খবর



গজারিয়ার ফাঁস দিয়ে এক ইলেক্ট্রিশিয়ান শ্রমিকের আত্মহত্যা

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

গজারিয়া থেকে সৈয়দ মোঃ শাকিল: মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের লস্করর্দী গ্রামে এক শ্রমিক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার করার খবর পাওয়া গেছে।

 শনিবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় হোসেন্দি ইউনিয়নের লস্করর্দী গ্রামের আব্দুস সালাম মিয়ার বাড়ি থেকে ফাঁসিতে লটকানো ঐ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করে গজারিয়া থানা পুলিশ। 

স্থানীয় এলাকবাসী সূত্রের খোঁজ নিয়ে জানা যায় ফাঁসিতে নিহত মো.জুয়েল (২৫) তার বাড়ি যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলায়।তিনি হোসেন্দী অর্থনৈতিক অঞ্চলের সিটি গ্রুপে ইলেক্টিশিয়ান হিসাবে কর্মরত ছিলেন।নিহত জুয়েল লস্করদী গ্রামের মুদি দোকানদার আব্দুস সালাম মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলেন।  

এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো: আব্দুল্লাহ জানায়, স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে লস্করর্দী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সালাম মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া জুয়েলকে ব্যাচেলর বাসা থেকে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এই পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন “প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। তবে তদন্ত শেষে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টসহ বিভিন্ন স্থানে ঈদের ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে।

পর্যটকেরা জানান, যান্ত্রিক জীবনের অবসাদ কাটাতে কক্সবাজারের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছেন তারা। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মতে, ঈদের ছুটির দ্বিতীয় দিনেও লাখো পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে কক্সবাজার। রমজানে পর্যটক কম থাকলেও ঈদের ছুটিতে ভিড় বাড়ছে।

হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সাড়ে পাঁচ শতাধিক আবাসিক হোটেলের প্রায় ৮০ শতাংশ কক্ষ বুকড রয়েছে। তৃতীয় দিন থেকে শতভাগ বুকিং পূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত পর্যটকের ঢল অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কক্সবাজার আবাসিক হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, 'ঈদের প্রথম দিনে পর্যটক তুলনামূলক কম থাকলেও দ্বিতীয় দিন থেকে পর্যটকের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১ এপ্রিল এক লাখের বেশি পর্যটক কক্সবাজার এসেছেন এবং ৫ এপ্রিল পর্যন্ত এ সংখ্যা ৭ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে।

অতিরিক্ত ভাড়া আদায় প্রসঙ্গে জানান, প্রতিটি হোটেলে নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা টানানো থাকে এবং প্রতারণা এড়াতে অনলাইন বুকিং ব্যবস্থাও চালু রয়েছে।

এদিকে, সৈকতে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। সী সেইফ লাইফগার্ডের সুপারভাইজার ওসমান গনি জানান, বিপদ এড়াতে লাইফগার্ড সদস্যরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন এবং পর্যটকদের নির্ধারিত স্থানে গোসলের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের পরিদর্শক মোহাম্মদ সোহেল বলেন, 'সৈকতসহ অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত টহল ও অভিযোগ কেন্দ্র চালু রাখা হয়েছে। জেলা পুলিশের সহযোগিতায় পর্যটকদের যেকোনো সমস্যা দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'

ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারের পাশাপাশি মেরিন ড্রাইভ, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, বার্মিজ মার্কেট, মহেশখালী ও রামুর বিভিন্ন স্থানে পর্যটকের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।


আরও খবর



গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত করার সুযোগ এসেছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বললেন, ফ্যাসিবাদের পতনের পর এখন সুযোগ এসেছে বাংলাদেশের সব দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, সংগঠন, ব্যক্তি এবং জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত করা। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে সংহত করার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক বানীতে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণীর শুরুতে তারেক রহমান সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে নবীন সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়ে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। হাজার বছরের সংগ্রাম মূখর এ জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আজকের এই দিনে আমি দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশীসহ সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

তারেক রহমান বলেন, এই স্বাধীনতা দিবসে আনন্দোজ্জল মূহুর্তের মধ্যে প্রথমেই যে কথা মনে পড়ে, তাহলো এ দেশের অগণিত দেশপ্রেমিক শহীদের আত্মদান; আমি এ মহান দিনে তাদের গভীর শ্রদ্ধা জানাই। যাদের অবিস্মরণীয় আত্মদানে অর্জিত হয়েছে দেশমাতৃকার মুক্তি। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমসহ সব জাতীয় নেতার স্মৃতির প্রতি আমি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। যাদের জীবন মরণ লড়াইয়ে ৯ মাসে আমরা বিজয় লাভ করেছি সেইসব অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা জাতি কখনোই বিস্মৃত হবে না।

আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সেসব মা-বোনদের কথা, যারা মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। স্বাধিকার আর স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে রক্তস্নাত পথে বিশ্ব মানচিত্রে উদ্ভাসিত হয় আমাদের মানচিত্র। এ দিনে দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। তাঁর ঐতিহাসিক ঘোষণায় সেই মূহুর্তে দিশেহারা জাতি পেয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার অভয়মন্ত্র। একটি শোষণ, বঞ্চনাহীন, মানবিক সাম্যের উদার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এদেশের মানুষ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। দুর্ভাগ্যক্রমে গণতন্ত্রবিনাশী শক্তির চক্রান্ত এখনও থেমে নেই।

বারবার ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী ও অবৈধ শক্তি আমাদের সে লক্ষ্য পূরণ করতে দেয়নি। দেশি-বিদেশী চক্রান্তের ফলে আমাদের গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি হোঁচট খেয়েছে এবং স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়েছে। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান চক্রান্তমূলকভাবে হত্যার পরে বেগম খালেদা জিয়ার সফল ও সার্থক নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারের ধারা সূচিত হলেও গণতন্ত্রের শত্রুদের কারণে স্থায়ী ও মজবুত গণতান্ত্রিক কাঠামো তৈরী করা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরও বলেন, একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার হীন লক্ষ্যে পলাতক অবৈধ সরকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙ্গে ফেলেছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে আজও তাই এদেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি। ফ্যাসিবাদের পতনের পর এখন সুযোগ এসেছে বাংলাদেশের সব দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, সংগঠন, ব্যক্তি এবং জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত করা এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে সংহত করা। এটিই হচ্ছে স্বাধীনতার মূল চেতনা।

তারেক রহমান বাণীতে আরও বলেন, আজকের এই মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে আমি আহবান জানাচ্ছি-জাতির সম্মিলিত ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ‘৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা বহুমত ও পথের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সমুন্নত রাখার জন্য। আমি দেশবাসী সকলের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে প্রার্থনা জানাই।


আরও খবর