Logo
শিরোনাম

অন্যের এনআইডি দিয়ে ট্রেনের টিকেট অগ্রীম কেটে নিয়েছে কালোবাজারিরা!

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

বিডি টুডে ডিজিটাল ডেস্ক:


ঈদের সময় কালোবাজারি করতে অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে টিকিট কেটেছিল একটি চক্র। এরপর সেই টিকিট সাধারণ যাত্রীদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করে তারা।


শুক্রবার (১৪ জুন) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ের স্টেশনের প্লাটফর্মে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর।  



তিনি বলেন, ‘অভিযান চালিয়ে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-৩ এমন দুটি চক্রের ১২ জনকে আটক করেছে। এরমধ্যে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের বেসরকারি ট্রেনের বিক্রয় প্রতিনিধিও রয়েছেন। এসব কালোবাজারিরা আগামী ১০ দিনের প্রায় ৫০০ টিকিট কেটে রেখেছেন।’


সোহেল ও আরিফুল নামে দুইটি চক্র ঠাকুরগাঁও ও ঢাকা থেকে কালোবাজারি পরিচালনা করতেন বলেও জানান তিনি।  


ফিরোজ কবীর জানান, গতকাল রাতে তারা অভিযান পরিচালনা করেন। ঢাকা থেকে ১০ জনকে আটক করেন। আর দুইজনকে ঠাকুরগাঁও থেকে আটক করা হয়েছে। 


ফিরোজ কবীর বলেন, ‘আমরা গত রাতে অভিযান শুরু করি। এটি চলমান অভিযান ছিল। এটা দুই থেকে তিন ধাপে পরিচালনা করা হয়। ঢাকার কমলাপুর ও আশেপাশের এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ 


তিনি বলেন, ‘এখানে দুই ধরনের চক্র রয়েছে। এক ধরনের চক্র অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হলে তা ভুয়া জাতীয় পরিচয় পত্র ও মোবাইল নম্বর দিয়ে কেটে রাখতো। পরে ফেসবুক পেইজে বিজ্ঞাপন দিয়ে চড়া দামে বিক্রি করে। সফটকপি পাঠিয়ে দিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে টাকা বুঝে নেয়।’  


তিনি বলেন, ‘এমন চক্রের দুজনকে মৌচাক মোড়ের আশেপাশের এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করি। এদের একজনের নাম মানিক ও আরেকজনের নাম বকুল। এদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি মানিক মূলত সোহেল নামে একজন ও ঠাকুরগাঁওয়ে অবস্থানকারী আবু, রায়হান ও আনিস নামে আরও একজনের সঙ্গে কালোবাজারি ব্যবসায় আসে। 


তাদের থেকে আগামী ১০ দিনের টিকিট পাওয়া যায়। এগুলোর হার্ডকপি ও সফট কপি রয়েছে। এরমধ্যে দিনাজপুরের একতা এক্সপ্রেসের টিকিটের দাম তিন হাজার টাকা করে বিক্রি করছে।’


ফিরোজ কবীর বলেন, ‘মানিক ও বকুলের মাধ্যমে আনিস ও রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হয়। রায়হান একটি কম্পিউটারের দোকানে কাজ করে। সেখানে ভুয়া সিম ও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে অনেকগুলো টিকিট কেটে নেন। 


এদের বড় একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে। সেখানে চাহিদা ও অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করা হয়।’ 


তিনি বলেন, ‘রায়হান ও আনিস টিকিট পাঠাতেন সোহেল ও মানিকের কাছে৷ আর মানিক ও বকুল ফেসবুক পেইজে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করতেন।’  


এই সিও জানান, ‘কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বেসরকারি ট্রেনের বুকিং সহকারী করেন আরিফুল ইসলাম। তিনিও একটি চক্র চালান। 


বেসরকারি ট্রেনের বুকিং সহকারী হলেও তার থেকে সরকারি ট্রেনের টিকিট পাওয়া গেছে। তিনি অনেকদিন ধরেই এগুলো করে আসছিলেন।’


আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




জটিল রোগাক্রান্তদের হজ পালনে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

২০২৬ সালে পবিত্র হজ পালনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে সৌদি আরব। এতে ১২ অক্টোবরের মধ্যে হজে যেতে আগ্রহী বাংলাদেশিদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এরপর ৯ নভেম্বর বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের দ্বিপক্ষীয় হজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

তবে এবার মেডিকেল ফিটনেস (শারীরিক সুস্থতা) ছাড়া কেউ হজে অংশ নিতে পারবেন না। এর মধ্যে হৃদরোগ, ফুসফুস ও কিডনি জটিলতা, লিভার সিরোসিস, নিউরোলজিক্যাল বা মানসিক সমস্যা, কেমোথেরাপি/রেডিওথেরাপি নেওয়া ক্যানসার এবং ঝুঁকিপূর্ণ অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ জটিল রোগে আক্রান্তদের হজ পালনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সৌদি আরব। সম্প্রতি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এই ধরনের একটি রোডম্যাপ হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব), হজ এজেন্সি ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো পাঠিয়েছে।

সৌদি আরবের বরাত দিয়ে রোডম্যাপে বলা হয়েছে, হজ এজেন্সিগুলোর আগামী বছর হজে সর্বোচ্চ দুটি সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করার সুযোগ থাকবে। সব ধরনের চুক্তি এবং অর্থ প্রদান ‘নুসুক মাসার’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেই সম্পন্ন করতে হবে। এর বাইরে কোনো অর্থ দেওয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। কুরবানির অর্থও এই প্ল্যাটফর্মে জমা দিতে হবে। এছাড়া হজযাত্রীদের খাবারসংক্রান্ত চুক্তি করতে হবে সৌদি ক্যাটারিং কোম্পানির সঙ্গে। একই সঙ্গে তাঁবু, সেবা প্যাকেজ এবং পরিবহণ খরচ দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশে জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা হজের নিবন্ধন করতে পারবেন না বলে জানানো হয়।

আরো জানা যায়, ১০ জুলাই হজ কোটা ঘোষণা করবে সৌদি সরকার। ২৬ জুলাই থেকে ‘নুসুক মাসার’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ক্যাম্পসংক্রান্ত তথ্য পর্যবেক্ষণ ও অর্থ স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে। ৯ থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত চলতি হজ মৌসুমের ব্যবহৃত ক্যাম্পগুলো আগামী হজ মৌসুমের জন্য পুনর্ব্যবহারের সুযোগ থাকবে। এছাড়া প্যাকেজ, আবাসন, পরিবহণ চুক্তি, এয়ারলাইন্স নির্ধারণসহ ফ্লাইট সূচি চূড়ান্ত করতে হবে ২৪ আগস্টের মধ্যে।

একই সঙ্গে হজযাত্রীদের তথ্য নুসুক মাসারে আপলোড এবং গ্রুপ গঠন শুরু করতে হবে। ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁবু ভাড়া ও মাশায়ের প্যাকেজ বাবদ প্রয়োজনীয় অর্থ পাঠাতে হবে। ৪ জানুয়ারির মধ্যে সেবা সংস্থার সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তি এবং ফ্লাইট সূচি নির্ধারণ করতে হবে। ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে মক্কা-মদিনার হোটেল ও পরিবহণসংক্রান্ত অর্থ স্থানান্তর প্রক্রিয়া, যা চূড়ান্ত করতে হবে ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। হজযাত্রীদের ভিসা দেওয়া শুরু হবে ৮ ফেব্রুয়ারি এবং চলবে ২০ মার্চ পর্যন্ত। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রা শুরু হবে ১৮ এপ্রিল।

এ বিষয়ে হজ অধিশাখার যুগ্ম সচিব ড. মো. মঞ্জুরুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, সৌদি সরকারের নির্দেশনা আমরা যথাযথ অনুসরণ করব। হজের প্রাক-নিবন্ধন করার আগে সিভিল সার্জন কর্মকর্তার কর্তৃক শারীরিক সুস্থতার সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অবহিত করব।


আরও খবর

আগামী ২৫ বছর গরমকালে হজ হবে না

মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫




মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ, বললেন ট্রাম্প

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ২১ জুন ২০২৫ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ধনকুবের ইলন মাস্কের সঙ্গে তার সম্পর্ক শেষ। তিনি আর সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে চান না।

শনিবার এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এ কথা বলেন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে কী না? জবাবে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি তা-ই ধরেই নিচ্ছি।’ খবর বিবিসির

মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে চান কী না? এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প স্পষ্টভাবে ‘না’ বলে দেন। এই মন্তব্য সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে মাস্কের সঙ্গে তার প্রকাশ্য বিরোধের সর্বশেষ বহিঃপ্রকাশ।

টেসলা ও স্পেসএক্সের সিইও মাস্ক মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রচারে কোটি ডলার অনুদান দিয়েছিলেন। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তিনি হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সম্প্রতি তিনি ট্রাম্পের কর ও ব্যয় বিলের কঠোর সমালোচনা করেন।

সম্প্রতি ট্রাম্পের কর ও ব্যয় বিলকে ‘জঘন্য’ বলে কটাক্ষ করেন মাস্ক। তার ওই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ওভাল অফিসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেখুন, ইলনের সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। জানি না সেটা আর থাকবে কি না।’

মাস্ককে নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ভীষণ হতাশ। কারণ, এখানে উপস্থিত অন্য যে কারও চেয়ে তিনি এ বিলের ভেতরের খুঁটিনাটি সম্পর্কে ভালো জানতেন। হঠাৎই এটি নিয়ে তার সমস্যা শুরু হয়েছে।’ তবে ট্রাম্পের এ দাবিকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মাস্ক।

ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মাস্ক একাধিক পোস্ট দিয়েছেন। এসব পোস্টে ট্রাম্পকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতেও ছাড়েননি। প্রমাণ না দিলেও মাস্ক দাবি করেছেন, ট্রাম্প ‘এপস্টেইন ফাইল’-এ আছেন।


আরও খবর



হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া হতে পারে কঠিন ৫ রোগের লক্ষণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

অতিরিক্ত ওজনে যারা ভুগছেন সামান্য ওজন ঝরতেই তারা খুশি হয়ে যান! তবে ডায়েট বা শরীরচর্চা ছাড়াও যদি হঠাৎ করে আপনার ওজন কমতে শুরু করে তাহলে সচেতন হতে হবে। কোনো কারণ ছাড়াই ওজন কমে যাওয়া মোটেও ভালো কোনো লক্ষণ নয়। এর পেছনে থাকতে পারে জটিল কিছু রোগের কারণ।

ওজন সবার সামগ্রিক স্বাস্থ্যকেই প্রতিফলিত করে। ওজনের ওঠানামা শারীরিক বিভিন্ন ব্যাধির ইঙ্গিত দেয়। জানেন কি, ওজনের ওঠানা কখনো কখনো মানসিক রোগের কারণও হতে পারে। এর সঙ্গে কিছু উপসর্গ যেমন- চুল পড়া বা ঘন ঘন ঠান্ডা অনুভব করা কিংবা দুর্বল বোধ করাও হতে পারে নানা কঠিন রোগের কারণ। তাই হঠাৎ ওজন কমতে শুরু করলে সতর্ক হওয়া জরুরি। জেনে নিন কোন ৫ রোগের কারণে কমতে শুরু করে ওজন-

থাইরয়েড

থাইরয়েডের কারণে বিপাকক্রিয়া বেড়ে যায়। যিদিও বিপাকক্রিয়া বেড়ে গেলে ওজন দ্রুত কমে, তবে অতি দ্রুত বিপাকক্রিয়ার কারণে ওজন কমতেও শুরু করে ।হাইপোথাইরয়েডিজমের কারণে ওজন যেমন বেড়ে যায় ঠিক তেমনই হাইপারথাইরয়েডিজমে ওজন দ্রুত কমতে থাকে। খুব দ্রুত ওজন কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, উদ্বেগ, ঝাঁকুনি, কাঁপুনি বা অনিদ্রা, সবই একটি অতি সক্রিয় থাইরয়েড (হাইপারথাইরয়েডিজম) এর লক্ষণ।

অন্ত্রের রোগ

সিলিয়াক ডিজিজ, ক্রোনস ডিজিজ, ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা ও অন্ত্রের ক্ষতির মতো অবস্থার কারণেও ওজন কমতে শুরু করে। যা ম্যালাবসোরপশন ঘটায়। ম্যালাবসোরপশন ঘটে যখন কিছু অন্ত্রকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি শোষণ করতে বাঁধা দেয়। যেমন- সিলিয়াক ডিজিজ, অন্ত্রের রোগ। গ্লুটেনমুক্ত ডায়েট অনুসরণ করলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।

ক্যানসার

ক্যানসারের ফলে দ্রুত ওজন কমতে পারে। কোনো ছাড়াই যদি কারও ওজন হঠাৎ করেই কমতে শুরু করে তাহলে তা ক্যানসারের লক্ষণও হতে পারে। গ্যাস্ট্রিক ও অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের পাশাপাশি ফুসফুস, মাথা, ঘাড় ও কোলোরেক্টাল ক্যানসারে সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হলো ওজন কমে যাওয়া।

রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস

একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত ব্যাধি, যা শরীরের জয়েন্টগুলিকে প্রভাবিত করে। এটি দ্রুত ওজন কমিয়ে দেয়। এর কারণ হল প্রো-ইনফ্লেমেটরি সাইটোকাইনগুলো রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে প্রদাহ ও শক্তি ব্যয় উভয়ই বাড়ায়। ফলে দৈনিক ক্যালোরি ও চর্বি পোড়ার কারণে ওজনও কমে। ৩০-৫০ বছর বয়সীদের মধ্যেই রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বেশি।

ওষুধের অপব্যবহার

যারা মাদক সেবন করেন তারা প্রায়ই দীর্ঘ সময়ের জন্য না খেয়ে থাকেন। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও দুর্বল করে, যা দ্রুত ওজন কমায়। যেমন- সিগারেটের ধোঁয়া ক্ষুধা দমন করতে পারে, এমনকি ওজনও কমাতে পারে।


আরও খবর



বালুয়াকান্দীতে জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল

প্রকাশিত:সোমবার ০২ জুন 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

গজারিয়া(মুন্সীগঞ্জ)প্রতিনিধি:

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ওসাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল সোমবার দুপুরে বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে বালুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক।

বালুয়াকান্দী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মোজাফফর হোসেন এর সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি নেতা শরীফ হোসেন মাষ্টার,বিএনপি নেতা রেজাউল করিম সেলিম মাষ্টার,আব্দুস সামাদ,মিছির আলী মেম্বার,আবু ইউসুফ খোকন,জসিম উদ্দিন,জজ মিয়া,আবদুল ওয়াদুদ,উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব তোফাজ্জল হোসেনে সরকার, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আলী আরশাদ,মিহিন উল্লাহ,ফুয়াদ মৃধা,কামরুল হাসান জিয়া,ছাত্রদল নেতা সাইদুল ইসলাম,নোমান বিল্লাল,কামরুজ্জামান সানি প্রমুখ।

আলোচনা সভায় সঞ্চালনা করেন বালুয়াকান্দী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো:শফিকুল ইসলাম স্বপন।


আরও খবর



ট্রান্সশিপমেন্ট সংকট পেরিয়ে আকাশপথে বিজয়ের পথে বিমান কার্গো

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের মূল চালিকাশক্তি হলো ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।প্রতিবছর গড়ে ২,১০,০০০ মেট্রিক টন রপ্তানি এবং ১,২১,০০০ মেট্রিক টন আমদানি পণ্য এই বিমানবন্দর দিয়ে পরিবাহিত হয়। পক্ষান্তরে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বছরে রপ্তানি হয় গড়ে মাত্র ৩,৩৫২ মেট্রিক টন এবং আমদানি ২,৯২০ মেট্রিক টন।

অর্থাৎ দেশের আকাশপথের বাণিজ্য কার্যক্রম প্রায় পুরোটাই ঢাকার উপর নির্ভরশীল। এর বাইরেও কিছু পণ্য সড়ক পথে ভারতে পরিবহন করে সেখান থেকে ট্রান্সশিপমেন্ট করা হতো, ভারত যখন হঠাৎ করে বাংলাদেশের পণ্যের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে দেয়, তখন রপ্তানিকারকরা কিছুটা অনিশ্চয়তায় পড়ে যান। কিন্তু ভারতীয় এই সুবিধা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও থেমে থাকেনি বাংলাদেশ থেকে আকাশ পথে পণ্য পরিবহন বরং এটি বাংলাদেশর আকাশ পথে পণ্য পরিবহনের নতুন দ্বার উন্মুক্ত করেছে। এর পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

সাময়িক এই সংকটময় সময়েই এগিয়ে আসে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অফ বাংলাদেশ,রপ্তানিকারকগণ এবং এই উদ্যোগের প্রাথমিক ধাপে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে ফ্রেইটার অপারেশনের উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়। এ লক্ষে ২০২৫ সালের মার্চ থেকে সিলেট বিমানবন্দরে কার্গো সেবার জন্য বাধ্যতামূলক Safety and Security Compliance নিশ্চিত করতে ইউরোপিয় ইউনিয়ন এবং UK থেকে RA3 সার্টিফিকেশন ভেলিডেশন করা হয়, যা ২০২৮ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। যার ফলশ্রুতিতে ২০২৫ সালের ২৭ এপ্রিল বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সিলেট থেকে স্পেনের জারাগোজা গন্তব্যে প্রথম এয়ার ফ্রেইটার অপারেশন আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর থেকে মে মাস পর্যন্ত সপ্তাহে ১ টি করে ডেডিকেটেড কার্গো ফ্রেইটার পরিচালনা করা হচ্ছে। জুন ২০২৫ থেকে সপ্তাহে ২ টি করে ফ্রেইটার পরিচালিত হবে। বর্তমানে সপ্তাহে অন্তত চারটি ফ্রেইটার পরিচালনার প্রস্তুতি রয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের।

এছাড়া চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকেও কার্গো ফ্রেইটার অপারেশন চালুর প্রস্তুতি চলছে। সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরির কাজ হাতে নেয়া হয়েছে এবং নিয়মিত ফ্লাইটের পাশাপাশি কার্গো ফ্লাইট চালুর জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স প্রস্তুত রয়েছে। একইসাথে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে-কক্সবাজার বিমানবন্দর। সুদৃঢ় অবকাঠামো ও সম্প্রসারিত রানওয়ে সুবিধার মাধ্যমে এটিকে দেশের চতুর্থ বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথ চালু হওয়ায় এবং চট্টগ্রাম থেকে এর দূরত্ব মাত্র ১৮০ কিলোমিটার হওয়ায় এখানে কম খরচে ও কম সময় কার্গো পরিবহণ সম্ভব। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে প্রয়োজন বিমানের জনবল, কার্গো ওয়্যারহাউজ এবং হ্যান্ডলিং সরঞ্জাম, যার প্রস্তুতি নিয়েও এগিয়ে চলছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

এদিকে ঢাকায় নবনির্মিত তৃতীয় টার্মিনাল চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। অত্যাধুনিক এই টার্মিনাল চালু হলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কার্গো পরিচালনা সক্ষমতা প্রায় তিনগুণ বাড়বে। ২০১৯ সালে যেখানে মোট আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ কার্গো পরিবহনের পরিমাণ ছিল প্রায় ৩ লক্ষ ৩৪ হাজার মেট্রিক টন, ২০২৫ সালের মধ্যে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৪ লক্ষ ৩৪ হাজার মেট্রিক টন। ২০৩৫ সালের মধ্যে সম্ভাব্য এয়ার কার্গো পরিবহণ হবে প্রায় ৬৬৩ হাজার মেট্রিক টন। এই প্রস্তুতি ও রূপান্তরের মূল চালিকাশক্তি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, যারা নতুন কার্গো টার্মিনাল পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, জনবল এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিত করতে আগেই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। নতুন কার্গো টার্মিনালের জন্য ৩৩৫টি হাইড্রোলিক হ্যান্ড ট্রলি, ৮টি টো ট্রাক্টর, ১৮টি মিনি ফর্ক লিফট, ১৪টি ফর্ক লিফট এবং ৬টি বাগি সহ— মোট ৩৮১টি আধুনিক কার্গো হ্যান্ডলিং সরঞ্জাম সংযোজন করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে, যার মধ্যে সিংহভাগ সরঞ্জাম ইতোমধ্যে সংযোজিত হয়েছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিমানের কার্গো বিভাগ রেকর্ড পরিমান আয় করেছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আন্তর্জাতিক কার্গো পরিবহনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও গুণগত মানের নিশ্চয়তা হিসেবে RA3 (Regulated Agent Third Country) এবং ACC3 (Air Cargo or Mail Carrier operating into the European Union from a Third Country Airport) সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে। এই সার্টিফিকেশন দু’টি ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং UK-তে কার্গো পাঠানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা বিমানের সক্ষমতা ও মান বজায় রাখার প্রতীক।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৪৮টি আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের নির্ধারিত কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। বিমান কার্গো বিভাগ সিডিউল ফ্লাইট এ সাথে সাথে প্রতি বছর গড়ে ২,১০০টি নন সিডিউল কার্গো চার্টার ফ্লাইট দক্ষতার সাথে হ্যান্ডলিং সম্পন্ন করে, যা এর কার্যকর অপারেশনাল সক্ষমতা এবং বৈশ্বিক এয়ার কার্গো পরিবহন ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রতিফলন।

ভবিষ্যৎ উন্নয়নমূলক কৌশলের অংশ হিসেবে, বিমান কার্গো বর্তমানে ইতিহাদ এয়ারওয়েজ, এমিরেটস, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, গালফ এয়ার, রয়েল ডাচ এয়ার, এয়ার ফ্রান্স সহ অনন্যা স্বনামধন্য এয়ারলাইন্সের সাথে স্পেশাল প্রোরেট এগ্রিমেন্ট (SPA), ব্লক স্পেস এগ্রিমেন্ট (BSA), কোড-শেয়ারিং এবং কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে কার্গো নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, পরিবহন ক্ষমতার সর্বোত্তম ব্যবহার এবং উন্নতমানের সেবা প্রদানের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ নিশ্চিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।একই সাথে ঢাকা হয়ে ট্রানজিট/ট্রান্সফার কার্গো পরিবহনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।

সংকটকে সম্ভাবনায় রূপান্তর করার যে সাহস, নেতৃত্ব এবং নিরলস প্রয়াস প্রয়োজন, তা আজকের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স প্রমান করেছে। আকাশপথে বাংলাদেশের কার্গো পরিবহণ খাতে এই প্রগতির পেছনে বিমান শুধু একজন অংশীদার নয়—এক নির্ভরযোগ্য অগ্রদূত। কার্গো এখন কেবল পরিবহন সেবা নয়, এটি দেশের স্বপ্ন, গর্ব ও বিশ্বজয়ের প্রতীক। আর সেই প্রতীকে নতুন ডানা যোগ করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।


আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫