Logo
শিরোনাম

পাকিস্তানে ওষুধের সংকট, হচ্ছে না অস্ত্রোপচারও

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেক্স :রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং আর্থিক খাতগুলোতে অনিয়মের কারণে অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে পাকিস্তান। যার প্রভাব পড়েছে দেশটির স্বাস্থ্য খাতেও। অবস্থা এতটাই চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে যে প্রয়োজনীয় ওষুধও পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। যার ফলে হাসপাতালে করানো যাচ্ছে না কোনো অস্ত্রোপচারও।

পাক সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে ভারতে গণমাধ্যম এনডিটিভি জানাচ্ছে, বর্তমানে অপারেশন থিয়েটারে মাত্র দুই সপ্তাহের চেতনানাশক ওষুধ রয়েছে। হার্ট, ক্যানসার এবং কিডনির মতো স্পর্শকাতর রোগের অস্ত্রোপচারের জন্য যা অত্যাবশ্যকীয় একটি ওষুধ।

গণমাধ্যমটি আরও জানায়, যারা হাসপাতালে চাকরি করেন তারাও চাকরি হারাতে পারেন। এতে করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি আরও বৃদ্ধি করবে।

এদিকে ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এ সংকটের জন্য বর্তমান আর্থিক ব্যবস্থাকে দায়ী করছেন। তারা বলছেন, কাঁচামাল আমদানি করার জন্য লেটার অব ক্রেডিটের (এলসি) ছাড়পত্র দিচ্ছে না বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো।

পাকিস্তানের ওষুধ শিল্প প্রায় পুরোটাই আমদানি নির্ভর। মোট ওষুধের ৯৫ ভাগ কাঁচামালই ভারত, চীনসহ অন্যান্য দেশগুলো থেকে আসে। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে কাঁচামাল করাচি বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে।

দেশটির ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জোট পাকিস্তান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (পিএমএ) কয়েকদিন আগে এ সমস্যা সমাধানে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, সমস্যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই এটি থামাতে হবে।

গত মাসে (জানুয়ারি) পাকিস্তান ফার্মাসিউটিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারার অ্যাসোসিয়েশনের (পিপিএমএ) কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান সাঈদ ফারুক বুখারি জানিয়েছিলেন, ওষুধ উৎপাদন প্রায় ২৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তিনি সতর্কতা দিয়ে বলেছিলেন, যদি আগামী ৪-৫ সপ্তাহ কাঁচামাল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে তাহলে ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দেবে।


আরও খবর



এক সময়ের উত্তাল নওগাঁর পূনর্ভবা নদীতে নেই পানি, বালুচরে পরিণত

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার ;

এক সময়ের উত্তাল নওগাঁর পূনর্ভবা নদীতে নেই পানি, বালুচরে পরিণত। পূনর্ভবা নদীটি নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে। এক সময়ের উত্তাল পূনর্ভবা নদীতে এখন আর নেই পানির উত্তাল ঢেউ। উত্তাল নদীটি এখন নাব্যতা হারিয়ে বালুচরে পরিণত হয়েছে। যার ফলে ধু-ধু এ খরায় তলদেশ খেলার মাঠ হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। নদে পানি না থাকায় কয়েক হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান চাষে দেখা দিয়েছে ক্ষতির আশংকা।

জানা গেছে, নদটিতে এক সময় ঢেউয়ের তালে চলাচল করতো অসংখ্য পাল তোলা নৌকা, লঞ্চ, ষ্টির্মার। মাঝিরা নৌকা নিয়ে ছুটে চলতো গোমস্তাপুর, রহনপুর, নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সহ দেশের অন্যান্য উপজেলার ব্যবসা কেন্দ্র গুলোতে।

ঐসব উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠা বড়বড় হাট বাজারে ব্যবসার জন্য বিভিন্ন পন্য নিয়ে ব্যবসায়ীরা তাদের ছোট বড় নৌকায় পাল তুলে ছুটে চলতেন। শুধু পন্যই নয় হাট-বাজার গুলিতে বিক্রির জন্য তারা নিয়ে যেতেন গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি। সে সময় পূনর্ভবা নদীটি ছিল পূর্ন যৌবনা। এলাকার একমাত্র নদিপথ হিসাবে ব্যবহার করে অসংখ্য মানুষ ব্যবসা বাণিজ্যের মাধ্যমে জীবন জীবিকার শক্ত ভীত গড়ে তুলেছিল এক সময়। শুধু হাট-বাজারই নয়, নদটিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল অনেক জনপদ। এর পানি দিয়ে কৃষকরা নদীর দুই পাড়ের হাজার হাজার হেক্টর জমিতে সবুজ ফসল ধান ফলাতো। এই পানি দিয়ে নানা ফসলে ভরে উঠতো কৃষকের ক্ষেত। আবার ছোট বড় বিভিন্ন প্রজাতীর মাছের অফুরন্ত উৎস ছিল এই পূনর্ভবা নদী। মাছ পাওয়া যেত সারা বছর ধরে। ফলে জীবিকার সন্ধানে নদী সংলগ্ন ও পাশের গ্রাম গুলিতে অসংখ্য জেলে পরিবারের বসতি গড়ে উঠেছিল। জীবিকার নির্বাহের জন্য জেলেরা রাতদিন ডিঙি নৌকায় জাল নিয়ে চষে বেড়াতেন মাছ ধরার জন্য। মাছ বিক্রি করে অসংখ্য জেলে পরিবারের সংসার চলতো। সময় গড়িয়ে চলার সথে সাথে সেই ভরা যৌবনা পূনর্ভবা এখন খেলার মাঠে পরিণত হয়েছে। খরার সময় বালু ছাড়া আর কিছুই দেখা যায়না এর তলদেশে। একারনেই আশেপাশের জেলে পরিবার গুলো হয়ে গেছে প্রায় বিলীন। নদের পাড় গুলি পরিনত হয়েছে কৃষি জমি। নদী গর্ভে জেগে উঠা চরে এলাকার শিশুরা খেলছে ক্রিকেট, ফুটবল সহ বিভিন্ন খেলা। এক সময়ের ব্যবসা বণিজ্যের উৎসগুলো হয়ে গেছে চিরতরে বন্ধ।

থমকে গেছে নদ, নিভে গেছে বিপুল সম্ভবনা। নদ কেন্দ্রীক সম্ভবনাগুলো নিভে গেলেও কেউ কখনও এসব নিয়ে ভাবেনি। সরকারিভাবে নদীটি খননের পদক্ষেপ নেয়া হলে অন্তত সারা-বছরই এতে পানি থাকতো। এতে কৃষকদের জমির ধানের উৎপাদন বেড়ে যেত। নদটিও পরিনত হতো না বালুচরে। তাছাড়া নদটি কখনও খনন বা রক্ষণাবেক্ষনের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। যার ফলে নদটির পাড় ফসলের জমিতে পরিণত হয়েছে। এ সুযোগে অনেকেই ধান চাষ করছেন। খনন না করলে এক সময়ের উত্তাল পূনর্ভবা নদীটি হয়তো বা মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে কোন এক সময়। সেইসঙ্গে পানির অভাবে জমিতে ফসল হবেনা বলেও আশংখা কৃষকদের।


আরও খবর



দাম কমেছে ব্রয়লার মুরগির

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

পোলট্রি খাতের শীর্ষস্থানীয় চার প্রতিষ্ঠান খামার পর্যায়ে ১৯০-১৯৫ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রির ঘোষণা দেওয়ার পরই কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। শুক্রবার  রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২৪৫-২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। সোনালি মুরগির দামও কিছুটা কমেছে। প্রতি কেজি ৩৫০-৩৬০ টাকা। তবে বৃহস্পতিবার এই বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২৬০-২৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর সোনালি মুরগির দাম ছিল ৩৬০-৩৮০ টাকা।

শীর্ষ চার প্রতিষ্ঠানের দাম কমানোর ঘোষণায় মুরগির দাম কমেছে কি না, এমন প্রশ্ন করলে কারওয়ান বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজানে অধিকাংশ রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকে বলে মুরগির চাহিদা কমে গেছে। তাই দাম কিছুটা কমেছে। ফার্ম থেকে ১৯০-১৯৫ টাকায় মুরগি বিক্রি করলেও খুচরায় ২৩০-২৪০ টাকা কেজি দরে কিনতে হবে বলে দাবি করলেন তারা।

শুক্রবার সকালে কারওয়ান বাজার গিয়ে দেখা গেল, মুরগির দোকানে ভিড় তুলনামূলক কম। একইভাবে সবজির বাজারেও ক্রেতা কম। তবে বেলার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতার সংখ্যা কিছুটা বাড়ে।

সোহাগ হোসেন নামের এক বিক্রেতা ব্রয়লার মুরগি ২৫০ টাকা ও সোনালি মুরগির দাম ৩৬০ টাকা দাম চাচ্ছেন। আজকে পাইকারি বাজার থেকে কত দামে মুরগি কিনেছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ব্রয়লার ২৩৫ আর সোনালি ৩৪০ টাকা কিনেছি।

মুরগি বিক্রির এক দোকানের মূল্যতালিকায় দেখা গেল, ব্রয়লার মুরগির কেজি ২৬০ টাকা। আর সোনালি মুরগি ৩৬০ টাকা। সেই ছবি তুলতে গেলে দোকানি বদল আলী বললেন, ‘ভাই এটা কালকের দাম। আজকে ব্রয়লার ২৪৫-২৫০ টাকায় বিক্রি করছি। আর সোনালি ৩৬০ টাকা। পাইকারিতে দাম কিছুটা কমায় আমরাও দাম কমিয়েছি।

মুরগির বাজার থেকে সবজির বাজারে গিয়ে দেখা গেল, লেবুর দাম চড়া। ছোট আকারের একেকটি লেবু ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি আকারের লেবুর হালি ৬০ টাকা। আর বড় আকারের লেবুর হালি ১০০-১১০ টাকা। নতুন করে শসা ও বেগুনের দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি শসা ৭০-৮০ টাকা। তবে বাজারে ঘুরে দুই-এক দিনের পুরোনো শসা ৪০-৬০ টাকায় কেনা যাচ্ছে। বেগুনের কেজি ৯০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। তবে ৬০ টাকা কেজির বেগুনও আছে।

এদিকে, বাজারে গরুর মাংস বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। কেজি ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা, আর খাসির মাংসের কেজি ১০৫০-১১০০ টাকা।

তবে আগের দামেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। বড় রসুনের কেজি ১৩০-১৪০ টাকা। ছোট রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা, আদার কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, চায়না আদা ২২০ টাকা।

আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, খোলা চিনির কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা, খোলা আটা ৬০ টাকা। তবে প্যাকেট আটা প্রতি কেজি ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৭০ টাকা। আর ২ কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। এসব বাজারে দেশি মসুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, ইন্ডিয়ান মসুরের ডাল ১২০-১২৫ টাকা। সয়াবিন তেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ টাকা, লবণের কেজি ৩৮-৪০ টাকা। ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ১৪০ টাকা, হাঁসের ডিমের ডজন ১৮০-১৯০ টাকা, আর দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৯০-২০০ টাকা।

দাম বেড়েছে সবজিরও। লম্বা ও গোল বেগুনের কেজি ৮০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা। শিমের কেজি ৪০-৫০ টাকা। আর করলার কেজি ১০০-১২০ টাকা, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৮০-৯০ টাকা।

আকার ভেদে লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। চালকুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা, মিষ্টিকুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০, পটোল ৮০, ঢ্যাঁড়স ১০০, কচুর লতি ১০০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ১২০ ও ধুন্দুল ৫০-৬০ টাকা কেজি। পাতাকপি ৩০-৪০ টাকা পিস। আর কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকায়।


আরও খবর

ঈদের বাজারেও চড়া দাম

শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩

সরকারের প্রশংসায় ব্লুমবার্গ

শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩




ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচনায় গ্যাং সংস্কৃতি

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ২৪জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার :ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জোবায়ের ইবনে হুমায়ূনকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত ‘প্রলয় গ্যাংয়ের’ সদস্যদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। এসময় অতি দ্রুত দোষীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান মানববন্ধনে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে গ্যাং কালচার নির্মূল করতে হবে। প্রতিটি শিক্ষার্থী যাতে অবাধে ক্যাম্পাসে চালাচল করতে সেই পরিবেশ শিক্ষার্থীরা আশা করেন। জোবায়েরের ওপর হামলায় জড়িতদের স্থায়ী বহিষ্কারের পাশাপাশি গ্যাং মুক্ত ক্যাম্পাসের দাবি জানান‌ তারা।

মানববন্ধনে জোবায়েরের সহপাঠী জামিল শামস বলেন, জোবায়েরের ওপর যেভাবে হামলা করা হয়েছে তা কোন মানুষের কাজ হতে পারে না। আমরা চাই না এই ক্যাম্পাসে আর কোন অপরাধী চক্র গড়ে না উঠুক, কোন গ্যাং তৈরি না হোক। আমরা চাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে; প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী যাতে ন্যায় বিচার পায়; ক্যাম্পাসে নিরাপদ ভাবে চলাচল করতে পারে। রাতের বেলাও একজন শিক্ষার্থী চলাফেরা করে যেন এটা মনে না করে যে এই ক্যাম্পাস অনিরাপদ।

একই ব্যাচের জান্নাতী ঈশা বলেন, শুধু প্রলয় গ্যাং না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের যত গ্যাং আছে সবকিছুর নির্মূল চাই। আমরা একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই।

তানভীর আহমেদ সিয়াম বলেন, জোবায়েরের ওপরে এ হামলা প্রত্যেকটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা‌। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে এসেছি এবং আমরা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি এই গ্যাং কালচার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে থাকতে পারে না। তাদের নির্যাতন, নিপীড়ন সাধারণ শিক্ষার্থীরা আর সইতে পারবে না। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এর বিরুদ্ধে শাস্তি চায়, মুক্তি চায়।

গত শনিবার রাত সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদ্দিন হলের সামনে জোবায়েরকে বেদম মারধর করেন ‘প্রলয় গ্যাংয়ের’ দশ জনের অধিক সদস্যদের একটি দল। মারধরকারী শিক্ষার্থীরা জোবায়েরের ব্যাচের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় রবিবার শাহবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা সাদিয়া আফরোজ খান। লিখিত অভিযোগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৬-৭ জনের নাম উল্লেখ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর রবিবার দিবাগত রাতে অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশ।


আরও খবর



বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে মালয়েশিয়া

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশ থেকে কর্মী নেওয়া স্থগিত করেছে মালয়েশিয়া। সম্প্রতি দেশটির পক্ষ থেকে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। তবে এরই মাঝে সুখবর হলো- বাংলাদেশ থেকে পুরুষ নিরাপত্তাকর্মী ও নারী গৃহকর্মী নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে দেশটি। এ নিয়ে কথা চলছে। দুই দেশের মধ্যে মিটিংও হয়েছে। শিগগিরই সিদ্ধান্ত আসতে পারে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, তারা বাংলাদেশ থেকে সিকিউরিটি গার্ড ও গৃহকর্মী নেবে বলে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা প্রথমটার বিষয়ে খুব উৎসাহী। তবে গৃহকর্মীর বিষয়ে আমরা বলেছি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত জানাব।

এর আগে বিভিন্ন খাতে পুরুষ কর্মীরা কাজের জন্য মালয়েশিয়ায় গেছেন। তারা কৃষি থেকে শুরু করে কারখানাতে কাজ করছেন। এখনো কর্মী যাওয়া অব্যাহত আছে বলে জানা গেছে। তবে এই প্রথম নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে পুরুষ নেওয়ার আগ্রহ জানিয়েছে মালয়েশিয়া। তারা হবেন প্রশিক্ষিত। এজন্য বাংলাদেশ সেনাকল্যাণ সংস্থার সঙ্গে দেশটির প্রতিনিধিরা দেখাও করেছেন। তবে কতজন পুরুষ নিরাপত্তাকর্মী তারা নেবে এবং কি ধরনের বেতন ও সুবিধা দেওয়া হবে তা তারা জানাননি।

সূত্র জানায়, দেশটির প্রতিনিধিরা সংস্থাটির সংশ্লিষ্টদের সাথে বৈঠকে আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছেন। তবে এখনো বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। এই খাতে যারা যাবেন তারা ভালো বেতন পাবেন বলেও আশা করছে মন্ত্রণালয়।

অন্যদিকে বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব ও জর্ডানসহ আরও কয়েকটি দেশে বাংলাদেশ থেকে নারী গৃহকর্মী পাঠানো হচ্ছে। তবে প্রতি বছর নির্যাতিত হয়ে নারী গৃহকর্মী ফিরে আসার সংখ্যাও উদ্বেগজনক। সেই পরিপ্রেক্ষিতে মালয়েশিয়ায় নারী গৃহকর্মী গেলে গাইডলাইন কি হবে, তারা কিভাবে থাকবেন, বেতন কত পাবেন এবং কি প্রসেসে দেশটিতে যাবেন- তা নিয়ে ভাবছে বাংলাদেশ সরকার।

মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, দেশটিতে প্রাথমিকভাবে ১ হাজার নারী গৃহকর্মী পাঠানো হবে। এই নারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাজের দক্ষতা ও ভাষা জ্ঞান কি হবে এবং তাদের যাওয়ার খরচ কারা বহন করবে ও তারা কী কী সুবিধা পাবেন তা নিয়ে একটি গাইডলাইন তৈরিতে শিগগির হাত দেবে মন্ত্রণালয়। এরপর সেই গাইডলাইন অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় নারী গৃহকর্মী পাঠানো হবে।

প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, মালয়েশিয়ায় এর আগে অন্য খাতগুলোতে কর্মী পাঠাতে গিয়ে সিন্ডিকেট হয়েছে। এজেন্সিগুলোর স্বেচ্ছাচারিতা এবং কর্মীদের কাছ থেকে খরচ বাবদ বেশি টাকা আদায়ের অভিযোগ ছিল। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে পুরুষ নিরাপত্তাকর্মী ও নারী গৃহকর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম ও অস্বচ্ছতা যেন না হয় তা ভাবছেন তারা। এজন্য একটু সময় নিয়ে সুন্দর একটি গাইডলাইন তৈরি করা হবে। এরপর দেশটিকে সিদ্ধান্ত জানাবে বাংলাদেশ সরকার। তবে কবে নাগাদ শুরু হবে তা এখনো কেউ স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যে নারী গৃহকর্মী প্রতি বছর পাঠাচ্ছি। কিন্তু সেই দেশগুলোতে আমাদের মা-বোনদের এখনো নিরাপদ করতে পারিনি। তাই মালয়েশিয়ায় নারীদের শক্ত গাইডলাইন তৈরি না করে পাঠালে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মতোই হবে। তখন সুফলের চেয়ে দুর্ভোগ বাড়বে আমাদের মা-বোনদের। আর যেন কোনো নারী বিদেশে কাজ করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার না হন সেই দিকটি খেয়াল রেখেই গাইডলাইন তৈরি করা উচিত হবে।

এ ব্যাপারে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক শহীদুল আলম বলেন, মালয়েশিয়ায় আমাদের কর্মীরা যে সেক্টরে যাচ্ছিল তার বাইরে নতুন করে নিরাপত্তাকর্মী ও গৃহকর্মী যাওয়া শুরু করবে। এ বাজারটা যদি আমরা পেয়ে যাই তবে মধ্যপ্রাচ্যের চেয়ে বেশি কর্মী যাবে মালয়েশিয়ায়। তবে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আগে থেকেই টাকা বা পাসপোর্ট জমা না দিয়ে বিষয়টাতে কনফার্ম হতে হবে। আমাদের দেশে প্রচুর মানুষ ভুল বুঝে বিপথগামী হয়। সবার আগে দরকার দক্ষ হওয়া, সে দক্ষতার সার্টিফিকেট নেওয়া এবং জেনে-বুঝে যাওয়া।


আরও খবর

বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মডেল

শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩




সরকারের প্রশংসায় ব্লুমবার্গ

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১৬জন দেখেছেন

Image

বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যেও সময়োচিত সংস্কার পদক্ষেপগ্রহণের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছে বিশ্বখ্যাত সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গ। সংবাদ সংস্থাটির বাংলাদেশে আগামী সাধারণ নির্বাচনে তার নেতৃত্বাধীন সরকার চতুর্থ মেয়াদে নির্বাচিত হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক অর্থ বিষয়ক সংবাদ সংস্থাটি এক নিবন্ধে লিখেছে,  (শেখ হাসিনা) টানা চতুর্থ মেয়াদে জয়ী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে শেখ হাসিনাকে পুরো তহবিল পেতে আরো সংস্কার করতে হবে বলেও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে টানা চতুর্থ মেয়াদে সম্ভাব্য জয়ী হওয়ার কারণ এটা নয় যে, যে তার অনেক প্রতিপক্ষ কারাগারে আছেন বা আইনি ফাঁদে পড়েছেন।

নিবন্ধে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার বিজয়ের কারণ কেবলমাত্র তার অনেক প্রতিপক্ষ কারাগারে আছে বা আইনি ফাঁদে পড়েছেন-এটা নয়, বরং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তার সাফল্যের কারণেই এটা ব্যাপকভাবে প্রত্যাশিত।

আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে দক্ষিণ এশিয়ার  দেশটির সময়োপযোগী সংস্কারের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ প্রাপ্তির পটভূমিতে ব্লুমবার্গ দুটি উপ-শিরোনামসহ বাংলাদেশ লিডার বেটস আইএমএফ-ম্যান্ডেটেড রিগর উইল পে অফ ইন পোলসশিরোনামের এই নিবন্ধটি প্রকাশ করে। 

এতে বলা হয়, পুরো তহবিল পেতে শেখ হাসিনাকে আরও সংস্কার করতে হবে। নির্বাচনে তিনি টানা চতুর্থবারের মতো জয়ী হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

ব্যালট বাক্সে পরাজিত হওয়ার ভয়ে বিশ্বজুড়ে সরকারি দলের নেতারা প্রায়শই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে সম্মত সংস্কার বাস্তবায়নে পিছিয়ে পড়ছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের মতো নন।

এতে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি ঘুরে দাঁড়িয়েছে যেখানে পাকিস্তান এখনও জ্বালানি ভর্তুকি নিয়ে দুরবস্থার মধ্যে রয়েছে। শ্রীলঙ্কা স্থানীয় পৌরসভা নির্বাচন বিলম্বিত করেছে, কারণ, তারা গত সপ্তাহে আইএমএফ তহবিল পেতে কর এবং সুদের হার বাড়িয়েছে।

গত জুলাই মাসে আইএমএফের সহায়তা চাওয়া দক্ষিণ এশিয়ার তিনটি দেশের মধ্যে সর্বশেষ ছিল বাংলাদেশ। দেশটি দ্রুত জ্বালানি মূল্যবৃদ্ধির পর প্রথম ঋণ অনুমোদন পেয়েছে। ৭৫ বছর বয়সী শেখ হাসিনা এই পদক্ষেপ নিতে কোনো কুণ্ঠা বোধ করেননি।

 খবর বাসস

 

 


আরও খবর

ঈদের বাজারেও চড়া দাম

শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩

ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ টাকা

বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩