Logo
শিরোনাম

অভিন্ন মানত পূরণে নওগাঁয় সূর্য পূজা করলো সনাতন ধর্মালম্বীরা  

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রির্পোটারঃ

নওগাঁয় বর্নাঢ্য আয়োজনে সনাতন ধর্মালম্বীরা উদযাপন করলো সূর্য পূজা। মনোবাসনা পূর্ণ, আপদ, বিপদ দূর সহ বিভিন্ন মানত পূরণে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হরিজন, রবিদাস ও রজক সম্প্রদায়ের লোকজন এ পুঁজা-অর্চনা করেন। দু'দিন ব্যাপি চলে এ পূজা।

রবিবার বিকেলে নওগাঁর ধামুরহাট উপজেলার খুকশী বিলের তীরে দু' দিনব্যাপী এ সূর্য পূজা শুরু হয়। প্রথম দিনে বিভিন্ন মানত পুরণে সূর্য দেবতাকে সন্তুষ্টির জন্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের হাজারো পূর্ণার্থীর সমাগম ঘটে এই সূর্য পূজায়। এরপর সূর্য অস্তে সকলেই বাড়ি ফিরে যান। 


২য় দিন সোমবার পূণ্যার্থীরা খুকশী বিলের তীরে উপস্থিত হয়ে সূর্য উদয় হওয়ার পূর্ব মুহূর্ত থেকে একই নিয়মে পূজা শুরু করেন এবং সূর্যদয় হওয়ার পর সূর্যকে প্রণাম করে নদীতে স্নান এবং শরবত পানের মধ্য দিয়ে শেষ করেন সূর্য পূজা।

এ বিষয়ে মহেশ পাল জানান, বাপ দাদাদের আমল থেকে সূর্য দেবতাকে সন্তুষ্ট করতেই প্রতি বছর এই দিনে সকলেই একত্রিত হয়ে খুকশী বিলের তীরে পূজা করেন তারা।

গৌরব প্রসাদ সাহা বলেন, এই পূজার কখন উৎপত্তি হয়েছিল তার কোনো স্পষ্ট নিদর্শন পাওয়া যায় না। কিন্তু কিছু পৌরাণিক আখ্যানে ছটপূজার নীতি নিয়মের সঙ্গে মিল থাকা উৎসব দেখা যায়। ঋগ্বেদের শ্লোকসমূহে সূর্যবন্দনার স্পষ্ট নিদর্শন আছে। ভারতীয় সভ্যতার সঙ্গে গ্রীক, রোমান, মিশরীয় ইত্যাদির সভ্যতা সমূহেও সূর্য মূখ্য দেবতা ছিলেন।


আরও খবর



চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরায়েল

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

শিশু ও নারীসহ ৫০ জন জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে গাজায় হামাসের সঙ্গে চার দিনের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েল সরকার।

বিবিসি জানিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার এক দীর্ঘ বৈঠকে যুদ্ধবিরতির ওই প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

কখন থেকে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে বা জিম্মিদের কোথায় কীভাবে মুক্তি দেওয়া হবে, সেসব বিষয়ে বিবৃতিতে কিছু বলা হয়নি। তবে ওই ৫০ জনের অতিরিক্ত প্রতি ১০ জন জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরো একদিন করে বাড়বে।

হামাসের দাবি ছিল, ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি তাদের সদস্যদের মুক্তি দিতে হবে। সে বিষয়ে ইসরায়েলের বিবৃতিতে কিছু বলা হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই চুক্তির আওতায় তিন বছরের এক শিশুসহ অন্তত তিন মার্কিন নাগরিককেও হামাস মুক্তি দেবে বলে তারা আশা করছেন।


আরও খবর



সব প্রস্তুতি সম্পন্ন অপেক্ষায় ইসি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

প্রধান প্রতিবেদক :দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দল ও জোটের বিপরীতমুখী অবস্থানের মধ্যেই কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, বাজেট, মাঠ প্রশাসনের শৃঙ্খলাবদ্ধকরণসহ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। এখন শুধু তপশিল ও ব্যালটের অপেক্ষা। এর আগে রেওয়াজ অনুযায়ী আগামী ৯ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করবে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন।

জানা গেছে, আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তার আগে এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণের মধ্য দিয়ে ভোটের তপশিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এরই মধ্যে তপশিল ও ভোটের প্রায় সব প্রস্তুতিই সেরে নিয়েছে কমিশন। শুধু ব্যালট ছাপানোই এখন বাকি রয়েছে, যাকে ভোটের সর্বশেষ ধাপ বলা হয়ে থাকে। এটি সাধারণত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমার পরই ছাপানো হয়ে থাকে। সর্বশেষ গত শনিবার নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে ডেকে প্রজেক্টরের মাধ্যমে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়। ৪৪টি দলের মধ্যে ইসির ডাকে সারা দেয় ২৬টি দল।

কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। এরই মধ্যে নির্বাচনী প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শেষ হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং নির্বাচনী কর্মকর্তাদের। বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) প্রথম দফার প্রশিক্ষণ এরই মধ্যে শেষ। আগামী শুক্র ও শনিবার হবে দ্বিতীয় দফার প্রশিক্ষণ। নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় মালপত্র কেনাকাটার কাজও শেষ। ব্যালট বাক্সসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে। এরই মধ্যে ঢাকা বিভাগের সব জেলায় পুলিশি নিরাপত্তায় এসব পাঠানো হয়েছে।

ইসির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন করতে হবে। ১ নভেম্বর থেকে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ক্ষণগননাও শুরু হয়ে গেছে। তপশিল ঘোষণার জন্য ইসির হাতে খুব বেশি সময় বাকি নেই। এ অবস্থায় আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দেশের দুই বড় রাজনৈতিক দলের মধ্যে এখনো কোনো ধরনের সমঝোতার সম্ভাবনা দেখা না গেলেও শেষ পর্যন্ত সংবিধানের পথেই হাঁটবে আউয়াল কমিশন। সেক্ষেত্রে কোনো দল নির্বাচনে না এলেও তাদের কোনো কিছু করার থাকবে না। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা মিলিয়ে ১০-১২ লাখের মতো জনবল বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।

সিইসিসহ অন্য কমিশনাররা এরই মধ্যে তাদের সাংবিধানিক দায়িত্বের কথা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। সর্বশেষ গত শনিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বর্তমান পরিস্থিতি নির্বাচনের সম্পূর্ণ অনুকূল না হলেও কিছু করার নেই বলে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন সিইসি। বলেন, চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে কমিশনের সামর্থ্য ও ম্যান্ডেট কোনোটাই কমিশনের নেই। দলগুলোকেই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সংকট সমাধানের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। নির্বাচনের পরিস্থিতি সব সময় শতভাগ অনুকূলে থাকে না। তবু সাংবিধানিক দায়িত্ব ও শপথের কারণে কমিশনকে ভোটের আয়োজন করতে হবে।

এর আগে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছিলেন, সংবিধান অনুযায়ী আগামী বছরের জানুয়ারির ২৯ তারিখের মধ্যে যেভাবেই হোক না কেন নির্বাচন হতে হবে। তা না হলে একটি সাংবিধানিক গ্যাপ (শূন্যতা) তৈরি হবে। সেই গ্যাপ তৈরি হলে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হবে। সেটি নির্বাচন কমিশন হতে দিতে পারে না।

ইসি ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, প্রস্তুতি হিসেবে এরই মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। আইনি কাঠামোর সংস্কারও হয়েছে। যদিও এতে ইসির ক্ষমতা বাড়া বা কমা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সংসদীয় আসনের পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ। নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার ১০টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন এসেছে। নতুন দলের নিবন্ধন এবং নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিরীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকাও প্রকাশিত হয়েছে। এবার ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ১০৩টি আর ভোটকক্ষের সংখ্যা ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪টি। তবে ভোট-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণসহ আরও কিছু কাজ চলমান রয়েছে। তপশিল ঘোষণার পর ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা, আসন অনুযায়ী ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ঠিক করার কাজ চলছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে পর্যবেক্ষক নিবন্ধনের প্রাথমিক ধাপ শেষ। দ্বিতীয় ধাপে আরও কিছু পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। চূড়ান্ত হয়েছে বিদেশি পর্যবেক্ষণ নীতিমালাও। একই সঙ্গে সংবাদ সংগ্রহে মোটরসাইকেলের অনুমতি দিয়ে সাংবাদিক নীতিমালাও সংশোধন করা হয়েছে।

সাধারণত নির্বাচনী কাজের জন্য প্রায় ১১ ধরনের সামগ্রীর প্রয়োজন পড়ে। এর মধ্যে ব্যালট পেপার, স্ট্যাম্প প্যাড, লাল গালা, মনোনয়ন ফরম, অফিসিয়াল সিল, মার্কিং সিল, ব্রাশ সিল, অমোচনীয় কালির কলম, গানি ব্যাগ, হেসিয়ান ব্যাগ (বড়), হেসিয়ান ব্যাগ (ছোট) ও স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের লক রয়েছে। এরই মধ্যে ব্যালট বাক্স, বাক্সের ঢাকনা, বিভিন্ন ধরনের সিল, কালি ও ব্যাগ কেনার কাজ হয়ে গেছে। এবার ব্যালট বাক্স ও ঢাকনা দেশীয় প্রতিষ্ঠান থেকেই কিনেছে ইসি। ১ লাখ ৬১ হাজার রিম বা ৩২ লাখ ২০ হাজার দিস্তা কাগজ কেনা হয়েছে। এসব কাগজ দিয়ে তৈরি হবে ব্যালট পেপার, বিভিন্ন ধরনের খাম ও প্যাড। নির্বাচনের জন্য মোট ৮০ হাজার ব্যালট বাক্স কেনা হয়েছে যা এরই মধ্যে মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হচ্ছে। আর তপশিল ঘোষণার পর ব্যালট পেপারের কাগজ সংগ্রহ ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর হবে মুদ্রণের কাজ।

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে সম্প্রতি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। সেখানে নির্বাচনের প্রস্তুতির পাশাপাশি সম্ভাব্য ব্যয়ের হিসাবও তুলে ধরা হয়। এবার প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং পোলিং কর্মকর্তাদের দুই দিনের সম্মানী ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগে নির্বাচনে এক দিনের ভাতা দেওয়া হতো। পাশাপাশি জ্বালানি খরচও এবার বাড়বে। নির্বাচনী দায়িত্বে থাকবেন ৯ লাখের বেশি সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা। নির্বাচনী সরঞ্জাম কেনাকাটা, নির্বাচনে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের ভাতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ভাতা মিলিয়ে এবার প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা খরচ হবে। এর বাইরে নির্বাচনী প্রশিক্ষণে খরচ হবে ১০০ কোটি টাকার বেশি। যদিও প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন মোট ৬ লাখ ৮ হাজার সদস্য। নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে ভোটকেন্দ্রে থাকেন পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। ভোটকেন্দ্রের বাইরে থাকে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ডের মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স। নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হলে মোট খরচ আরও বাড়বে। সশস্ত্র বাহিনীকে সাধারণত মোতায়েন করা হয় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে। তবে এবার সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। সেজন্য এ খাতে ব্যয়ও এখন পর্যন্ত ধরা হয়নি।

এবার প্রার্থীদের মনোয়নপত্র দাখিলে বাধাদান ঠেকাতে অনলাইনে জমা দেওয়ার সুযোগ রাখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে ই-ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অনলাইনে জামানতের টাকাও পরিশোধের সুযোগও থাকছে। ভোটকেন্দ্রের নাম ও ভোটার নম্বর খুঁজে পাওয়ার ভোগান্তি কমাতে বাংলাদেশ ইলেকশন অ্যাপ নামে একটি অ্যাপ তৈরি করছে কমিশন। এই অ্যাপে ভোটারের তথ্যের পাশাপাশি রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, ডিসি, এসপি, ওসিসহ নির্বাচনের দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তাদের পরিচয়, ফোন নম্বর থাকবে।

ভোটের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ এবং সেটি সন্তোষজনক।

নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সেপ্টেম্বরে শুরু হয়েছে প্রশিক্ষণের কাজ। ভোটের এক সপ্তাহ আগ পর্যন্ত ১০ লাখের মতো ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া মাঠ প্রশাসনকেও প্রশিক্ষণের আওতায় এনেছে ইটিআই। এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। শুক্র ও শনিবার বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দ্বিতীয় ধাপের প্রশিক্ষণ হবে।


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




ফুলবাড়িতে ০৭কেজি গাঁজা সহ দুই মাদক কারবারি আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত,ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :

কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এর নির্দেশ ক্রমে চলমান মাদক বিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে ফুলবাড়ি থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ০৭কেজি গাঁজা সহ দুই মাদক কারবারি কে আটক করেছে পুলিশ।

জানাযায়,ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ এর নেতৃত্বে,০৩ (নভেম্বর )শুক্রবার থানা পুলিশের মাদক উদ্ধার কারী একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের যতিন্দ্র নারায়ন মৌজার গুয়াবাড়ি ঘাট ব্রিজে অভিমান চালিয়ে ০৭কেজি গাঁজা সহ নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম ফুলমতি গ্রামের মোঃ সহিদুল ইসলাম (৩৫)ও মোঃ আবু হোসেন (৪০) নামের দুই মাদক কারবারি কে হাতেনাতে আটক করে।

এব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান, আটককৃত মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। 


আরও খবর



নতুন সঙ্গীকে প্রকাশ্যে আনলেন শ্রাবন্তী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

টলিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের জীবনে এল নতুন সঙ্গী। অভিনেত্রী নিজেই সে সঙ্গীকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসলেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে দেওয়া পোস্টে নতুন সঙ্গীকে হাজির করেন শ্রাবন্তী। তাতে দেখা যায়, রাতের পোশাক পরে আছেন তিনি।

তার কোলে রয়েছে একটি কুকুর ছানা। ছবিতে তাকে হাস্যোজ্জ্বল দেখা যাচ্ছে। ছবিটি পোস্ট করে শ্রাবন্তী লিখেছেন, আমার রূপকথার গল্পের পরিবারে তোমাকে স্বাগত। শ্রাবন্তী এমনিতেই প্রাণীপ্রেমী। তার বাড়িতে এতদিন তিনটি প্রাণী ছিল। এবার যুক্ত হল আরও একটি।

শ্রাবন্তীর কোলে তারে পরিবারের নতুন সদস্যকে দেখে খুশি টলিউডের অনেকেই। মিমি চক্রবর্তী, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় অনেকেই মন্তব্য করেছেন তার পোস্টে।

মিমি লিখেছেন, নাম কী পুচকুটার? উত্তরে শ্রাবন্তী জানিয়েছেন পশুটির নাম রেখেছেন রোজ়।

শ্রাবন্তীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। একাধিক বিয়ে ও প্রেম নিয়েই মূলত এসব সমালোচনার মুখ পড়তে হয়েছে তাকে। তবে আপাতত ছেলে, বন্ধু এবং পোষা প্রাণীদের নিয়ে নিজের সংসার গোছাচ্ছেন শ্রাবন্তী।


আরও খবর

নওগাঁয় নবান্ন উৎসব উদযাপন

বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩




এখন পর্যন্ত ২৫ ফ্যাক্টরিতে ভাঙচুর, ১৩০টি বন্ধ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

বর্তমান পরিস্থিতিতে এখন পর্যন্ত ২৫টি ফ্যাক্টরিতে ভাঙচুরের ঘটনা এবং ১৩০টি ফ্যাক্টরি বন্ধ আছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। তবে বেতন বৈষম্য নাকি হরতাল-অবরোধের কারণে এমন হচ্ছে, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি সংগঠনটি।

১২ নভেম্বর দুপুরের উত্তরার বিজিএমইএ কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান।

ফারুক হাসান বলেন, আমরা যখন বৈশ্বিক ও আর্থিক চাপের মধ্যে থেকেই টিকে থাকার সংগ্রাম করছি, ঠিক তখন শিল্পকে নিয়ে শুরু হয়েছে নানা অপতৎপরতা। বিশেষ করে আমাদের শান্ত শ্রমিক গোষ্ঠীকে উসকানি দিয়ে অশান্ত করা হচ্ছে। আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে সে লক্ষ্য করছি, মজুরি বৃদ্ধির পরও আন্দোলনের নামে বিভিন্ন জায়গায় কারখানা ভাঙচুর করা হচ্ছে। মজুরি ঘোষণার পর থেকে বেশ কিছু কারখানায় অজ্ঞাতপরিচয় কিছু উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক অযৌক্তিক দাবিতে বেআইনিভাবে কর্মবিরতি পালন করে কর্মকর্তাদের মারধর করেছে, কারখানার ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুর ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাগুলো এ ব্যাপারে আমাদেরকে ভিডিও ফুটেজ দিয়েছে, মামলার কপিও আমাদেরকে দিয়েছে।

তিনি বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আশুলিয়া, কাশিমপুর, মিরপুর ও কোনাবাড়ি এলাকার প্রায় ১৩০টি পোশাক কারখানা কারখানা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং কারখানার সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে কারখানার সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেসব কারখানা শ্রমিকরা কাজ করতে আগ্রহী, সেগুলোতে কাজ চলছে। তাদের কাজ চলমান থাকবে। দুঃখের বিষয় যে, যখন মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে সরকার গঠিত ন্যূনতম মজুরি বোর্ড কাজ করছিল, তখনও কারখানা ভাঙচুর, কারখানায় অগ্নি-সংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, উদ্যোক্তারা কিন্তু অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকেই অনেক ঝুঁকি নিয়ে এই শিল্প পরিচালনা করছেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছেন, অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। এমন অনেক উদ্যোক্তা আছেন, যারা লোকসান দিয়েও কারখানা সচল রেখেছেন, শুধুমাত্র ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য। শ্রমিকদেরকে বেতন দিচ্ছেন ঋণের বোঝা মাথায় রেখে।

তিনি বলেন, শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার ৮৮৫টি পোশাক কারখানা বিজিএমইএ এর সদস্যপদ গ্রহণ করলেও কালের পরিক্রমায় ৩ হাজার ৯৬৪টি সদস্য কারখানা বিভিন্ন কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। অবশিষ্ট ২ হাজার ৯২১টি সদস্য কারখানার মধ্যে ২ হাজার ৩৩৯টি কারখানা বিজিএমইএ-তে তাদের সদস্যপদ নবায়ন করেছে। এই ২ হাজার ৩৩৯টি সদস্য কারখানার মধ্যে মাত্র ১ হাজার ৬০০টি সদস্য কারখানা ক্রেতাদের কাছ থেকে সরাসরি অর্ডার এনে কাজ করছে। অর্থাৎ আমাদের এ মুহূর্তে সরাসরি রপ্তানিকারক কারখানার সংখ্যা মাত্র ১ হাজার ৬০০টি।

তিনি আরও বলেন, সদস্যপদ নবায়ন করা ২ হাজার ৩৩৯টি কারখানার মধ্যে ১ হাজার ৬০০ কারখানা বাদে বাকি কারখানাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কারখানা বিভিন্ন ব্যাংক দেনা ও দায়ের কারণে সরাসরি ব্যাক-টু-ব্যাক খুলতে পারছে না। ফলে তারা ক্রেতাদের কাছ থেকে সরাসরি অর্ডার নিতে পারছে না। এই সদস্য কারখানাগুলো মূলত সাব-কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছে। অবশিষ্ট কারখানাগুলো ব্যাংক দেনা ও আর্থিক সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। তবে তারা আগামীতে দেনা পরিশোধ করে ব্যবসায় ফিরে আসতে ইচ্ছুক।

এ পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে, শিল্পের উত্থানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বন্ধ কারখানার সংখ্যাও বাড়ছে। শুধু করোনা মহামারির কারণে ২০২০-২১ সালে বন্ধ হওয়া কারখানার সংখ্যা ৩১৭টি এবং পরবর্তীতে অন্যান্য কারণে প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে না পারার কারণে ২৬০টি কারখানা বন্ধ হয়েছে, বলেও জানান বিজিএমইএ সভাপতি।


আরও খবর

কমছে সবজি ও ব্রয়লারের দাম

শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩