Logo
শিরোনাম

পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় ২০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং দেশের অভ্যন্তরে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে চলমান বন্যায় ২০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।

শনিবার (৬ জুলাই) সচিবালয়ে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাতে ১৫ জেলা আক্রান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।

জেলাগুলো হলো- সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, রংপুর, জামালপুর, গাইবান্ধা, ফেনী, রাঙামাটি, বগুড়া, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, লালমনিরহাট ও কক্সবাজার।

প্রতিমন্ত্রী জানান, এসব জেলায় এখন পর্যন্ত নগদ তিন কোটি ১০ লাখ টাকা, ৮ হাজার ৭০০ টন ত্রাণের চাল, ৫৮ হাজার ৫০০ বস্তা শুকনো খাবারের ব্যাগ ও অন্যান্য খাবার, শিশু খাদ্য কেনার জন্য ৬০ লাখ টাকা এবং গো-খাদ্য কেনার জন্য ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিনই বন্যা বিস্তৃতি লাভ করছে। ১৫ জেলার সব মানুষই পানিবন্দি নয়। কোনো কোনো জেলা আংশিকভাবে বন্যা কবলিত। এখন পর্যন্ত আমাদের আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৬ হাজার ২২৩ জন আশ্রয় নিয়েছেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মনে করি বন্যাদুর্গত এলাকায় যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা পর্যাপ্ত।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যা আক্রান্ত অঞ্চল নিয়ে সরকার কাজ করছে। বন্যা ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃতি লাভ করলে সেই জায়গাগুলোকেও আমরা অ্যাড্রেস করব। বন্যার কারণে দক্ষিণ দিকেও প্লাবন হতে পারে। আগামী মাস (আগস্ট) কিংবা তার পরের মাসেও (সেপ্টেম্বর) এ রকম আরেকটা বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী বন্যার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি।

তিনি বলেন, সবার সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা কাজ করছি। তারপরও বিভিন্ন সময় পত্রিকায় দেখি যে কোনো কোনো জায়গায় মানুষজন খাদ্য পায়নি। এজন্য আমরা জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলব।

স্থানীয় পর্যায়ে সংসদ সদস্য, ডিসি, ইউএনও যখন যেটা চাচ্ছে আমরা দিচ্ছি। ‌তারপরও গ্যাপ থাকার কোনো কারণ নেই- বলেন প্রতিমন্ত্রী।


আরও খবর



রমজানে ত্বকের পানিশূন্যতা রোধে করণীয়

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

রোজা রাখায় অনেকের দেহে পানির ঘাটতি দিয়ে থাকে। পানিশূন্যতায় চরম ক্ষতি হয় ত্বকের। দেখা দেয় শুষ্কতা। পাশাপাশি ত্বক হারায় ঔজ্জ্বল্য। একজন রোজাদারের শরীরে পানিশূন্যতার পরিমাণ নির্ভর করে ব্যক্তিটি ইফতার থেকে শুরু করে সেহরি পর্যন্ত কতটুকু পানি পান করেছেন, তার ওপর। অর্থাৎ তিনি রোজা থাকা অবস্থায় কী পরিমাণ শারীরিক পরিশ্রম করেন এবং তিনি যেখানে অবস্থান করছেন, সেখানকার আবহাওয়ার ওপর। পানি ও খাবারের স্বল্পতা, দৈনন্দিন রুটিনের পরিবর্তন এবং পর্যাপ্ত ঘুমের ঘাটতিতে রমজান মাসে আমাদের শারীরিক ও মানসিক এক ধরনের চাপতৈরি হয়। ক্লান্তিহীনতা দেখা দেয়। এ ছাড়া চোখের চারপাশে ডার্ক সার্কেল অর্থাৎ কালো দাগ পড়ে। শরীর পানিশূন্য হলে চোখের ক্লান্তি ফুটে ওঠে।

লক্ষণ : রোজা থাকা অবস্থায় যদি শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে, তা হলে দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া, চোখ গর্তে চলে যাওয়া, প্রস্রাবে ইনফেকশন, প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া, মাথাব্যথা ও ঝিমঝিম, কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া, দুর্বলতা, শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়া, ত্বক শুকিয়ে যাওয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। পানির অভাব দেখা দিলে শরীরে ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালান্স হয়। অর্থাৎ শরীরে তরলরূপে থাকা বিভিন্ন লবণ, যেমন- সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্লোরাইড, ক্যালসিয়াম, ফসফেট, পটাসিয়ামের মতো বিভিন্ন উপাদানের অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয়। এ অবস্থা আরও বেড়ে গেলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

যা খাবেন : পানিশূন্যতা রোধে রমজানে শুধু পানি পরিমাণমতো পান করলেই চলবে না। বেশি বেশি অন্যান্য তরল খাবার খেতে হবে, যাতে ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালান্স না হয়। ডাবের পানি, চিনির শরবত, গুড়ের শরবত, লাচ্ছি, দুধ, স্যুপ খাওয়া যেতে পারে। পানিশূন্যতা দেখা দিলে স্যালাইন খাওয়া যেতে পারে। পানিশূন্যতা খাবার দিয়েও পূরণ করা যায়। মাছের ঝোল, ডাল, দুধ খেতে হবে। এতে কিছুটা পানির চাহিদা পূরণ হবে। ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্সে ঠিক রাখতে পানির চাহিদা পূরণে ফলের রস পান করা যায়। এটি ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্সে সাহায্য করবে। তরমুজ, বাঙি, কমলা, বেলসহ মৌসুমি ফল খেতে পারেন। তবে ফলের জুস ইফতারের সময় সরাসরি খাওয়া যাবে না। পানি মিলিয়ে খেতে হবে। সারা দিন রোজা রেখে খালি পেটে ফলের রস খেলে অ্যাসিডিটিসহ নানা সমস্যা হতে পারে।

ত্বক সতেজ রাখতে : একজন রোজাদার ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করবেন। ত্বকের ধরন বুঝে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত শর্করা, লবণাক্ত খাবার, ফলমূলের কনসেনট্রেটেড জুস পুরোপুরি বাদ দিন। বেশি করে শাক-সবজি, ফলমূল খান। আট ঘণ্টার মতো ঘুমানোর চেষ্টা করুন। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফেইস-সিরাম ও হায়ালুরনিক অ্যাসিডসমৃদ্ধ প্রসাধন ব্যবহার করতে পারেন। মানসিক চাপমুক্ত থাকুন। ইফতারের আধঘণ্টা পর অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট হাঁটুন বা শারীরিক ব্যায়াম করুন।

 

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগ


আরও খবর

এই বছরের ঈদ ফ্যাশন

বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫




বৈশ্বিক অগ্রগতির অপরিহার্য শর্ত নারীর অধিকার

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫ |

Image

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, শান্তি, নিরাপত্তা, মানবাধিকার এবং টেকসই উন্নয়নে বৈশ্বিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে অপরিহার্য শর্ত হলো নারীর অধিকার। তিনি বলেন, নারী সমাজ যাতে অবহেলা, নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার এবং ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়, সেদিকে সবার সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তারেক রহমান এসব কথা বলেন। দিবসটি উপলক্ষে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব নারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি তাদের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

তারেক রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবস একটি অত্যন্ত তাৎপর্যময় দিন। বিশ্বব্যাপী মহিলাদের আর্থিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠা গুরুত্ব পায়। এ দিবসটি নারীর প্রতি সাধারণ সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনে সচেতনতা সৃষ্টি করে। বাংলাদেশে এ দিবসটির গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। তাই নারী সমাজের অগ্রগতি সাধিত হলে জাতির সামগ্রিক বিকাশ সম্ভব হবে। এ সত্যটি উপলব্ধি করেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে নারীর অধিকতর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। সেটির ধারাবাহিকতায় বেগম খালেদা জিয়ার সরকার এ দেশের নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়নসহ নারী সমাজের অশিক্ষার অন্ধকার ঘুচিয়ে শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের জন্য অনেক কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে প্রাথমিক স্কুলে ভর্তির হার ৯৭ শতাংশে উন্নীত হয়। ছাত্রীদের শিক্ষাবৃত্তির আওতায় আনা হয় এবং স্কুলে ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠিত হয়। মেয়েদের জন্য দুটি নতুন ক্যাডেট কলেজ ও তিনটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় চট্টগ্রামে এশিয়ার ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়। বেগম খালেদা জিয়ার সরকার একটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে এবং উচ্চ শিক্ষা উৎসাহিত করার জন্য ব্যক্তি খাতে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠান অনুমোদন দেয়। যাতে নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি পায়।

তারেক রহমান আরও বলেন, দেশের মানুষকে দ্রুততম সময়ে সাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে একটি পৃথক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৯৩ সালের ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হয়। দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে শিক্ষা লাভে আগ্রহী করে তুলতে বেগম খালেদা জিয়া সরকার ১৯৯৩ সালে শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি চালু করে। পল্লি অঞ্চলে মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষা অবৈতনিক করা হয় এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্রীদের জন্য দেশব্যাপী একটি উপবৃত্তি কর্মসূচি চালু করা হয়। ফলে নারীর ক্ষমতায়ন এবং উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় তাদের সম্পৃক্ত করার কারণে তাদের মধ্যে আত্মপ্রত্যয় জেগে উঠে। একই সঙ্গে তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ খুঁজে পায়। নারীদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পুরুষদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার সমান সুযোগে সমাজের অগ্রগতি ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। বদলে যাওয়া বিশ্বের কর্মপরিবেশে নারীর সরব উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, আজকের এই শুভ দিনে আমি নারী সমাজের উন্নয়ন ও কল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাই। এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মূল থিম ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন নারী ও কন্যার উন্নয়ন’-এর সফলতা কামনা করছি।


আরও খবর



ভারত সীমান্তে ওড়ছে তুরস্কের তৈরি বাংলাদেশি নজরদারি ড্রোন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে নজরদারি ড্রোন ওড়াচ্ছে বাংলাদেশ। প্রতিরক্ষা সূত্রের বরাত দিয়ে  এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করেছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই।

তুরস্কের তৈরি এসব ড্রোন ভারত সীমান্তের খুব কাছাকাছি অঞ্চলে পরিচালনা করা হচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে এএনআই বলেছে, বাংলাদেশ তুরস্কের তৈরি টিবি-টু বায়রাক্টার ড্রোনগুলো হাতে পেয়েছে এবং নজরদারি কর্মকাণ্ডের জন্য ভারতীয় সীমান্তের কাছাকাছি সেগুলো পরিচালনা করছে।

বার্তাসংস্থাটির দাবি, ভারতীয় প্রতিরক্ষা সূত্রগুলো এএনআইকে জানিয়েছে— ভারতীয় সংস্থাগুলো এসব ড্রোন উড্ডয়ন করতে দেখেছে এবং সেগুলোকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। সূত্র জানিয়েছে, এসব ড্রোনকে গত কয়েক মাস ধরে নজরদারি অভিযান পরিচালনা করতে দেখা গেছে এবং ভারতের সীমান্ত বরাবর তাদের (বাংলাদেশের) নিজস্ব অঞ্চলের ভেতরে উড়ছে।

আর তাই ভারত এই এলাকায় তাদের কার্যকলাপের ওপর নিবিড় নজর রাখার জন্য রাডার স্থাপনসহ অন্যান্য সকল ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা। এমনকি মাঝে মাঝে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর টিবি-২ ড্রোনগুলো নজরদারি মিশনে ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে উড়েছে বলেও সূত্রগুলো দাবি করেছে।

বায়রাক্টার টিবি-টু ড্রোনগুলো খুবই অত্যাধুনিক এবং এটি তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পের সবচেয়ে বড় সাফল্য। মনুষ্যবিহীন এই আকাশযানটি আকাশ থেকে স্থল লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে সক্ষম এবং বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন যুদ্ধ ও সংঘাতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।

মূলত তুরস্কের বাইকার টেকনোলজি কোম্পানি ২০১৪ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে বায়রাক্টার টিবি-টু ড্রোন উৎপাদন ও বিক্রি করতে শুরু করলেও রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধে এই ড্রোন বিশেষ নজর কেড়েছে।

বায়রাক্টার টিবি-টু ড্রোন হচ্ছে এমন এক ধরনের যুদ্ধাস্ত্র যা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি নজরদারি এবং হামলা চালানোতেও অংশ নিতে পারে। এই ড্রোনে একটি অত্যন্ত উন্নত প্রযুক্তির ইলেকট্রো-অপটিক্যাল ক্যামেরা আছে। তার সাথে আছে ডাটা-লিংক সিস্টেম এবং দুই থেকে চারটি পর্যন্ত বিস্ফোরক— যা প্রিসিশন-গাইডেড অর্থাৎ উড়ে গিয়ে নির্ভুল নিশানায় লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে।

এর ফলে এটা দিয়ে আগে থেকে লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করা যায় এবং তারপর দিক-নির্ণয় করে চলতে সক্ষম বোমা দিয়ে তাদের ওপর আঘাত হানা যায়।

এটি জনপ্রিয় হওয়ার আরেকটি কারণ হলো— মূল কমান্ড সেন্টার থেকে দূরে কোথাও একটি কন্টেইনার বা ট্রাকে মোবাইল বেজ স্থাপন করে সহজে ড্রোনটি পরিচালনা করা যায়। ফলে মিশনের প্রয়োজনে যেকোনও স্থানে নিয়ে গিয়ে ড্রোন উড্ডয়ন বা হামলা চালানো যায়।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়রাক্টার টিবি-টু ড্রোনে চারটি লেজার গাইডেড স্মার্ট রকেট সংযুক্ত করা যায়, যা লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত করতে পারে। ড্রোনটি ঘণ্টায় ১২৯ কিলোমিটার থেকে শুরু করে ২২২ কিলোমিটার গতিতে উড়তে পারে।

এছাড়া বেজ স্টেশন থেকে তিনশ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত ড্রোনটি চালানো যায়। এর ভেতরে একমন কিছু সেন্সর রয়েছে, যার ফলে জিপিএসের ওপর পুরোপুরি নির্ভর না করে ন্যাভিগেশন করতে পারে। সর্বোচ্চ ৭০০ কেজি ওজন নিয়ে ড্রোনটি উড়তে পারে। মোট জ্বালানি ধরে ৩০০ লিটার।

ড্রোনটি টেক-অফ, ল্যান্ডিংসহ পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত হতে পারে। এর কম্পিউরাইজড সিস্টেমে তিনটি অটো পাইলট প্রোগ্রাম রয়েছে। বায়রাক্টার টিবি-টু ড্রোনটি ১৮ হাজার ফিট উচ্চতায় থেকে কার্যক্রম চালাতে পারে। তবে আকাশে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার ফিট পর্যন্ত উড়তে এবং সর্বোচ্চ ২৭ ঘণ্টা তিন মিনিট ওড়ার রেকর্ড রয়েছে।

ড্রোনে থাকা রিয়েল ইমাজেরি টাইম ট্রান্সমিশন সিস্টেমের ফলে একাধিক ব্যবহারকারী একইসঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে উচ্চমানের ভিডিও দেখতে পারেন। ওয়েবভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন হওয়ার কারণে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ট্যাবলেট বা মোবাইলেও নজরদারি করা সম্ভব।


আরও খবর



চাকরি যাবে জানলে ট্রাম্পকে ভোট দিতাম না

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

গত বছরের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিপুল ভোটে জয়ী হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অনেক মার্কিনরা মনে করেছিলেন ট্রাম্প দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন আনবেন। সেই আশায় তারা ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেনি ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে তারা চাকরি হারাবেন। ট্রাম্পকে বড় আশা করে ভোট দিয়েছিলেন মাইকেল গ্রগনার্ড। তার ধারণা ছিল ট্রাম্প ক্ষমতায় গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনবেন। কিন্তু তিন মাস যেতে না যেতেই গ্রগনার্ড বুঝে ফেলেছেন, তিনি ট্রাম্পকে ভোট দিয়ে কত বড় ভুল করেছেন। সম্প্রতি দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সংস্থা থেকে যে হাজার হাজার কর্মীর চাকরি গেছে, গ্রগনার্ডও তাদের মধ্যে রয়েছেন। মার্কিন কৃষি বিভাগে একজন আইনি উপদেষ্টা হিসেবে সবে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি।

সিএনএনকে এই রিপাবলিকান ভোটার বলেন, ‘চাকরি হারিয়ে আমি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। এটি ছিল আমার কাছে স্বপ্নের চাকরি। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও শিশুসন্তানকে নিয়ে এই সেদিনই জায়গা পাল্টে আরকানসাসের লিটল রক এলাকায় এসেছেন। বলেন, ‘আশা করছিলাম, চাকরিটা করে বাকি জীবন কাটিয়ে দেব।’

তার মতোই চাকরি হারানো অনেক ফেডারেল কর্মীও ট্রাম্পকেই ভোট দিয়েছিলেন। সাবেক এই কর্মীদের কয়েকজন সিএনএনকে বলেন, তারা ভেবেছিলেন, ট্রাম্পের নীতি তাদের মূল্যবোধের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ এবং এ নীতি তাদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাবে। কিন্তু এখন চাকরিই চলে গেছে। কাজ খুঁজে পেতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।

চাকরি হারানো আরেকজন হলেন জেমস ডায়াজ। তিনি অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বিভাগে (আইআরএস) কাজ করতেন। ডায়াজ সিএনএনকে বলেন, ‘আমি ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছি ঠিক, কিন্তু তার প্রশাসন যেভাবে গণহারে কর্মীদের চাকরি খাচ্ছে, তার সঙ্গে একমত নই।’

চাকরি হারানো কিছু ফেডারেল কর্মী এখন ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ার জন্য অনুশোচনা করছেন। সেন্টারস ফর মেডিকেয়ার অ্যান্ড মেডিকেইড সার্ভিসেসের সাবেক একজন নারী কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নতুন চাকরি শুরু করার মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যাশা ছিল ট্রাম্প নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি ও মূল্যস্ফীতি কমানোর মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাবেন। কিন্তু তিনি এমনটা করবেন জানলে তাকে কখনোই ভোট দিতাম না।’

ফেডারেল কর্মীদের এমন গণ-চাকরিচ্যুতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ধনকুবের ইলন মাস্কের কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় ও জনশক্তির আকার কমানোর পরিকল্পনারই অংশ।


আরও খবর



বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

বায়ুদূষণের শীর্ষে উঠে এসেছে রাজধানী ঢাকা। অন্যদিকে ভারতের দিল্লি রয়েছে দ্বিতীয় নম্বরে। ১৮ মার্চ সকাল ৮টা ২১ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।

দূষণ তালিকায় শীর্ষে থাকা ঢাকার স্কোর ১৮২ অর্থাৎ ঢাকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দিল্লির দূষণ স্কোর ১৭৭ অর্থাৎ অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে সেখানকার বায়ু।

তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইরাকের বাগদাদ। এই শহরের দূষণ স্কোর ১৭৬ অর্থাৎ সেখানকার বাতাসও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।

তৃতীয় নম্বরে রয়েছে উগান্ডার কামপালা। শহরটির স্কোর ১৬১ অর্থাৎ অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে সেখানকার বাতাসও।


আরও খবর

তীব্র যানজটে নাকাল নগরবাসী

সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫