Logo
শিরোনাম
উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নওগাঁয় মাটি ব্যবসায়ীদের নতুন কৌশল, রাতের আধারে কাটছে মাটি মাদক সেবনরত অবস্থায় ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গ্রেফতার মাভাবিপ্রবিতে দোল পূর্ণিমা উদযাপিত

পাংশায় বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিরিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষে সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

 রাজবাড়ী, প্রতিনিধি ঃ

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রর সম্মেলন কক্ষে বেলা ১১ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মাদ হাসানাৎ আল মতিন এর সভাপতিত্বে এন্টিবায়োটিক রেজিষ্ট্যান্স সহনীয় মাত্রায় আনায়নের জন্য চিকিৎসক সহ সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মাসুুর রহমান রুবেল প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বিশেষ অতিথি ছিলেন পাংশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার ঘোষ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজাহার উদ্দিন, পাংশা উপজেলা আবাসিক ম্যাডিকেল অফিসার তরুন কুমার পাল প্রমুখ। অনুষ্ঠান সজ্ঞালনা করেন উপজেলা সেনেটারী ইন্সিপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক তৈয়বুর রহমান। 

বক্তাগণ বলেন , সারাবিশ্ব জুরে এন্টিবায়োটিক রেজিষ্ট্যান্স একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে এবং জীবাণু সমূহ এন্টিবয়োটিকের প্রতি তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেই চলছে। জীবাণু সমূহ বহু প্রকার এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে পড়ছে। এমতাবস্থায় এন্টিবায়োটিক রেজিষ্ট্যান্স সহনীয় মাত্রায় আনয়নের জন্য সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে সচেতনতা বৃদ্ধি এখনই জরুরী।


আরও খবর



দৈনিক ৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে সিএনজি স্টেশন

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

রমজানে প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে মোট পাঁচ ঘণ্টা করে সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখা হবে জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।

১২ মার্চ থেকে আগামী ৬ এপ্রিল পর্যন্ত বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। এছাড়া ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে আগামী ৭ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত সিএনজি স্টেশন সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রমজান মাসে বিদ্যুৎ চাহিদার দৈনিক পিক আওয়ারে গ্যাস বিতরণ নেটওয়ার্কে সম্ভাব্য স্বল্প-চাপ পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে ১২ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত সিএনজি স্টেশনগুলো বন্ধের সময়কাল (সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত) পরিবর্তন করে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মোট পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হবে।

এছাড়া আসন্ন ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষ্যে মহাসড়কে যাত্রী সাধারণের যাতায়াতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য জ্বালানি সরবরাহের সুবিধার্থে ৭ থেকে ১৮ এপ্রিল সিএনজি স্টেশনগুলো সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে। ১৯ এপ্রিল থেকে পূর্বের নিয়মে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সিএনজি স্টেশনগুলো বন্ধ থাকবে।


আরও খবর



ইফতারের উপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে মাভাবিপ্রবিতে গণ-ইফতার

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি  :

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ইফতার পার্টির ওপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে গণইফতার করেছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। 

আজ বুধবার (১৩ মার্চ) রমজানের দ্বিতীয় দিনে বিশ্ববিদ্যালয়টির মান্নান হল-দ্বিতীয় একাডেমিক প্রাঙ্গনের পাশের খেলার মাঠে  গণ-ইফতার কর্মসূচি পালন করেন তারা।

কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, দুটি ক্যাম্পাসে ইফতার মাহফিলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে  বাঙালির চিরায়ত মুসলিম সংস্কৃতি রমজান, সেহেরি ও ইফতার। এই সংস্কৃতি ও ধর্মীয়রীতির ওপর হস্তক্ষেপ কখনও কাম্য নয়। এর প্রতিবাদে মাভাবিপ্রবিতে গণ-ইফতার কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, গত রোববার ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ইফতার পার্টি আয়োজন না করার অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। পরদিন সোমবার সকালে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ও  ইফতার পার্টি আয়োজন না করার অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়।


আরও খবর



টুইন পিক ভবনের ১৪ রেস্তোরাঁ সিলগালা

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণের অভিযোগে রাজউকের অভিযানে ধানমন্ডির টুইন পিক টাওয়ারের ১৪টি রেস্তোরাঁ সিলগালা করা হয়েছে। এছাড়াও ভবনের রুফটপ রেস্তোরাঁ ভেঙে দেয়া হচ্ছে।

সোমবার (০৪ মার্চ) ভবনটিতে অভিযান চলাকালে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারোয়ার।

তিনি বলেন, এই ভবনটি মূলত এফ ক্যাটাগরির। এটি অফিসের জন্য রাজউক থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখানে অবৈধভাবে প্রায় ৮-১০টির মতো রেস্টুরেন্ট করা হয়েছে। আমরা বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছি। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, এই ভবনটি এফ ওয়ান ক্যাটাগরিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই ক্যাটাগরি অনুসারে ভবনটি শুধু অফিস হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু আমরা পরিদর্শনে মাত্র দুই ফ্লোরের কিছু অংশ অফিস হিসেবে বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়টি দেখেছি। বাকি অংশগুলোতে নিয়মের বাইরে গিয়ে ১২ থেকে ১৫টি রেস্টুরেন্ট ভাড়া দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ওষুধ ও কাপড়ের দোকান পেয়েছি।

প্রশ্নের জবাবে তাজিনা সারোয়ার বলেন, রাজউক ছাড়াও সিটি করপোরেশন কিংবা কলকারখানা অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট যে-সব সরকারি প্রতিষ্ঠান আছে, আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাদের বিষয়টি অবগত করবো। যারা নিয়মের বাইরে এসব করেছে তাদের বিরুদ্ধে যেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

এর আগে, রোববার (০৩ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে রাজধানীজুড়ে বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। অভিযানে রেস্তোরাঁগুলোর অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে কিনা বা যথাযথ অনুমতি আছে কিনা সেগুলা দেখা হয়। অভিযানে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অনিয়ম থাকার কারণে মোট ৩৫ জনকে আটক করা হয়।


আরও খবর



বিএনপি আবারও নতুন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে..পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

বিএনপি আবারও নতুন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। দেশে বিদেশে বিএনপি তাদের ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বাবলু। শনিবার দুপুরে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পাবলিক মাঠে আওয়ামী লীগের আয়োজনে এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি আরো বলেন, সরকারের নানা উন্নয়নমূখী পরিকল্পনায় সাধারণ জনগণ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে। এখন সর্বস্তরের জনগণের এই সুবিধাভোগে বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। 

এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল খালেক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গাফফার, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বেন্টু, সাধারণ সম্পাদক মিল্টন উদ্দিন, পৌর মেয়র রেজাউল কবির চৌধুরীসহ উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।


আরও খবর



রাজাপুরে ট্রান্সফর্মার চুরির হিড়িক, পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারিরা জড়িত থাকার অভিযোগ:

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

হাসিবুর রাহমান :

ঝালকাঠির রাজাপুরে পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার চুরির হিড়িক পড়েছে। এ উপজেলায় চলতি মাসের সম্প্রতি ৬ টিসহ গত আড়াই মাসে ১১ ট্রান্সফর্মার চুরি হয়েছে। চুরি হওয়ায় বর্তমানে ৪টি স্থানের ট্রান্সফর্মার না থাকায় ২ শতাধিক পরিবার অন্ধকারে রয়েছেন। চুরি হওয়া স্থানে নতুন করে ট্রান্সফর্মার স্থাপন করতে গ্রাহকদের টাকায় নতুন ট্রান্সফর্মার কিনতে হচ্ছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ থাকাকালীন ও লোডশেডিংয়ের সময় ট্রান্সফর্মার চুরি হচ্ছে, যা কোন সাধারন মানুষের পক্ষে চুরি করা সম্ভব নয়, এর সাথে পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারিরা জড়িত রয়েছে। উপজেলার মধ্য চাড়াখালী গ্রামের আল আমিন জানান, কয়েকদিন আগে মধ্য চাড়াখালী ১৫ কেবির ট্রান্সফর্মার চুরি হয়েছে। এতে অন্তত ৩৫ পরিবার বিপাকে পড়েছে। নিমহাওলা এলাকার জাহিদ ও হিরন খান জানান, গালুয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের খায়রে হাট নিমহাওলা এলাকার ১০ কেবি ট্রান্সফর্মার চুরি হয়েছে। এতে ওই এলাকার ১৫ পরিবারেরও বেশি পরিবার অন্ধকারে রয়েছে। ছোট কৈবর্তখালী গ্রামের ইসা আকন পলাশ জানান, ছোট কৈবর্তখালী গ্রামের ৫ কেবি ট্রান্সফর্মার চুরি হয়েছে। এতে ১৫ পরিবার দুর্ভোগে রয়েছে।


বদনিকাঠি গ্রামের মুন্না জানান, বদনিকাঠি খান বাড়ির ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে অনেক পরিবার অন্ধকারে রয়েছে। সত্যনগর তুলাতলা এলাকার আখি, লিজা জানান, সত্যনগর তুলাতলা এলাকার সাড়ে ৩৭ কেবির ট্রান্সফর্মার চুরি হয়ে অন্তত ৭৫ পরিবার কয়েকদিন ধরে অন্ধকারে রয়েছে। চরম ভোগান্তিতে থাকলেও নতুন করে ট্রান্সফর্মার স্থাপন করা হচ্ছে না। এখনও গ্রাহকদের টাকা দিয়ে নতুন করে ট্রান্সফর্মার কিনতে হবে বলে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন জানিয়েছে। বাগড়ি বাশতলা গ্রামের রিংকু সিকদার, নাদিম, আলিম ও আলম জানান, বাগরি বাশতলা গ্রামের ট্রান্সফর্মার চুরি হয়ে যায় পরে ৪৫ জন গ্রাহকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে নতুন করে ট্রান্সফর্মার কিনে স্থাপন করতে হয়েছে। এতে প্রায় এক সপ্তাহ অন্ধাকারে থাকতে হয়েছে সবাইকে। লাইন চালু থাকাকালিন সাধারন মানুষের পক্ষে ট্রান্সফর্মার চুরি করা সম্ভব নয়, এর সাথে পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারিরা জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন গ্রাহকরা। গ্রাহকদের আরও অভিযোগ, মাঝে মাঝে বিদ্যুতের লোডশেডিং দেয়া হয়, ওই সময় ট্রান্সফর্মার চুরি। পল্লী ঠিকাদারের কর্মচারি, পল্লীবিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের যোগসাজসে একের পর এক ট্রান্সফর্মার চুরি হচ্ছে। আর ট্রান্সফর্মার চুরি হলে পল্লী বিদ্যুতের অফিস থেকে গ্রাহকদের টাকা দিয়ে নতুন করে ট্রান্সফর্মার স্থাপন করতে হয়। নতুন ট্রান্সফর্মার বিক্রির একটি কৌশল হলো ট্রান্সফর্মার চুরি বলেও অভিযোগ গ্রাহকদের। এছাড়াও উপজেলার বড়ইয়া পালট, চুনপরি ও সাতুরিয়া ইউনিয়নে ট্রান্সফর্মার চুরির খবর পাওয়া গেছে। অধিকাংশ স্থানের ট্রান্সফর্মারের ভেতরের তামার কয়েল নেয় চোরেরা। গ্রাহকরা জানান, কিছুদিন পর পর একের পর এক ট্রান্সফর্মার চুরির ঘটনা ঘটেইে চলছে। কিন্তু প্রতিরোধে বা চুরি ঠেকাতে পল্লী বিদ্যুতের কোন মাথাব্যাথা নেই। চোরের কাছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি অসহায় হয়ে পড়েছে। তাতে অনেক দিন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ফ্রীজের মাছ, গোশতসহ বিভিন্ন পণ্যের ক্ষতি হয় চরমভাবে। এ ছাড়াও ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ায় চরম বিঘœ ঘটে। গ্রাহকরা আরও জানান, ট্রান্সফর্মার চুরি ঠেকাতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেও কোন লাভ হচ্ছে না। রাজাপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্র জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ২ টি, ফেব্রæয়ারি মাসে ৩ ও চলতি মার্চ মাসে এ পর্যন্ত ৬ টি ট্রান্সফর্মার চুরি হয়েছে। সাড়ে ৩৭ কেবির ট্রান্সফর্মারের দাম প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার, ২৫ কেবির ট্রান্সফর্মারের দাম প্রায় এক লাখ টাকা, ১৫ কেবির ট্রান্সফর্মারের দাম প্রায় ৭৯ হাজার টাকা, ১০ কেবির ট্রান্সফর্মারের দাম প্রায় ৬৫ হাজার টাকা ও ৫ কেবির ট্রান্সফর্মারের দাম প্রায় ৪০ হাজার টাকা। পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারি জড়িতের অভিযোগ অস্বীকার করে এ বিষয়ে রাজাপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম (ওএন্ডএম) মধুসূদন রায় জানান, বর্তমানে ৪ টি স্থানের ট্রান্সফর্মার চুরি হওয়ার পর নতুন করে স্থাপন করা হয়নি। এতে অন্তত দেড় থেকে ২ শ গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়েছে। চুরি হওয়া স্থানে প্রথম বার গ্রাহকদের অর্ধেক ও দ্বিতীয় বার সম্পূর্ণ টাকা গ্রাহকদের দিতে হয়, এটা কষ্টের বিষয়। চুরি ঠেকাতে গ্রাহকদের সচেতনতার পাশাপাশি পাহাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াও চুরি ঠেকাতে মাইকিং করা হবে। এ বিষয় নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতাও জরুরি। পুলিশ প্রশাসনেরও সহযোগীতা চাওয়া হবে। জানতে চাইলে মুঠোফোনে রাজাপুর থানার ওসি মুঃ আতাউর রহমান জানান, পল্লী বিদ্যুতের পক্ষ থেকে ট্রান্সফর্মার চুরির বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ট্রান্সফর্মার চুরি ঠেকাতে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে চোরের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর